নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাস্থ্য খাতে এগিয়ে বাংলাদেশ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

সম্প্রতিকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যোগ হইয়াছে অনেক সাফল্য। তন্মধ্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। টিকা কর্মসূচি ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার নিবিড় বাস্তবায়নের ফলে আমাদের দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক হ্রাস পাইয়াছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবা ক্রমবিকাশমান। ইহাতে বড় বড় শহরে গড়িয়া উঠিতেছে দৃষ্টিনন্দন বিশেষায়িত হাসপাতাল। প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারেও গড়িয়া উঠিতেছে অসংখ্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এভাবে শহর-গ্রাম সর্বত্র স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত হইতেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এখন এইসব সাফল্যের স্বীকৃতি মিলিতেছে। কয়েক দিন আগে তৃণমূল জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাইয়া দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাইয়াছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান। গত সোমবার চীনের সাংহাইয়ে ‘হেলথ প্রমোশন ইন দ্য এসডিজিস’ শীর্ষক নবম বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এই অভিনন্দন জানান। চ্যানের মতে, সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জন বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্যখাতের সমপ্রসারণ ও উন্নয়নে সচেষ্ট। ইহার আগে গত মে মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় মালি ও নাইজারের মন্ত্রীবৃন্দ এবং আফ্রিকা মহাদেশের সাহেল দেশসমূহের প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের অনেক দেশের জন্য শিক্ষণীয় বলিয়া ভূয়সী প্রশংসা করেন। পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর ও পূর্বে লোহিত সাগরের মধ্যবর্তী আফ্রিকার এইসব সাহেল দেশের মধ্যে আছে মালি, সুদান, চাঁদ, আলজেরিয়া, নাইজার, বারকিনাফাসো, মৌরিতানিয়া, সেনেগাল ও ইরিত্রিয়া। মূলত জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাইয়া দেওয়ার কৃতিত্বই অন্যদের আকৃষ্ট করিতেছে। পাওয়া যাইতেছে ইহার বিশ্বস্বীকৃতি। সবচাইতে বড় কথা হইলো, আমাদের স্বাস্থ্য খাতে তৃণমূল পর্যন্ত গড়িয়া উঠিয়াছে একটি মজবুত পরিকাঠামো যাহা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। উপজেলায় রহিয়াছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল। ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। আর ওয়ার্ড পর্যায়ে নিরলস কাজ করিয়া যাইতেছে কমিউনিটি হাসপাতালগুলি। ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে মৌলিক চিকিত্সা সেবা সমপ্রসারণে পালন করিতেছে অনন্য ভূমিকা। ইহাছাড়াও উপজেলা সদরের বাহিরে আছে একাধিক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সর্বোপরি আছে বিকাশমান বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাত। তাই চিকিত্সা ব্যবস্থায় এই দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নয়ন অস্বীকার করিবার উপায় নাই।
আমাদের দেশে চিকিত্সা ক্ষেত্রে কর্মস্থলে চিকিত্সকের অনুপস্থিতি একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। বর্তমানে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সংকটেরও অবসান হইয়াছে বহুলাংশে। সরকারি হাসপাতালের জনবল সংকট মোকাবিলায় ইতোমধ্যে কয়েক দফায় নিয়োগ দেওয়া হইয়াছে চিকিত্সক ও নার্স। নবনিযুক্ত ডাক্তারদের কমপক্ষে দুই বত্সর প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিত্সাসেবা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হইয়াছে। এইসব পদক্ষেপ ও উদ্যোগের তাত্পর্য অপরিসীম। ইহা অন্য অনেক দেশের জন্য উত্সাহব্যঞ্জক। তবে স্বাস্থ্যখাতে এখনও অনেক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। বিশেষত সরকারি-বেসরকারি চিকিত্সা ব্যবস্থার সমন্বয় সাধন এবং জটিল ও অসংক্রামক রোগের চিকিত্সা উন্নয়নে মনোযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.