![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই প্রশ্ন করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ওআইসি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিশ্ববিবেক আজ কোথায়? ইউএনএইচসিআর, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি সংস্থা মৃদুকণ্ঠে মিয়ানমারের নিষ্ঠুর নিপীড়নের ব্যাপারে উদ্বেগ জানালেও তাতে সাড়া মিলছে না। এসব সংস্থা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিতেও বলছে। কিন্তু বাংলাদেশে থাকা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ দিচ্ছে না তারা।
বাংলাদেশ বিগত সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে দাবি তুললেও বিশ্বমহল ছিল নিশ্চুপ। এ কারণে আশির দশকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিসহ নানা অপরাধ অপকর্মে জড়িয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এমনকি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে রোহিঙ্গারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেসব দেশেও সমস্যা সৃষ্টি করেছে মর্মে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে মারাত্মকভাবে। এমনি অবস্থায় নতুন করে যদি এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, তাহলে জনবহুল এই দেশে নতুন করে বহুবিধ সমস্যায় পড়তে হবে। কাজেই যে কোনোভাবেই হোক, দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বের মোড়ল সব রাষ্ট্র ও সরকার নীরবতা পালন করে আসছে। এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, তাদের হত্যা, জোর করে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ, বাড়িঘরে অগি্নসংযোগের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের লোমহর্ষক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও বিশ্ববিবেক কিছুই বলছে না। এমনি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়েও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও বলতে গেলে নিশ্চুপ। তাদের কেউ কেউ দায়সারা গোছের প্রতিবাদ জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। তবে কোনো কোনো আন্তর্জাতিক মহল অবশ্য মিয়ানমারের চলমান সেনা অভিযানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের দমন-পীড়নের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশও। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ব্যাপারে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে। যুগযুগ ধরে তারা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কাঠখড় পোহাতে হয়েছে সামরিক সরকারের শাসনামলে। ২০১৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকার গঠন করে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও দেশটির মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দেশটিতে। এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার। সুচির সরকার এখনো দেশটিতে মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্যাতন রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যার শিকার হয়েছে। সর্বশেষ হামলায় প্রায় ৩০ হাজার গ্রামবাসীর ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে যত রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয়ের জন্য প্রবেশ করেছে, তাদের বেশির ভাগই টেকনাফের দুটি এবং কুতুপালংয়ের একটি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে এসে উঠেছে। বাকি অনেকেই উঠছে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আগে থেকেই অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের কাছে। সরকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবে এমন একটি বক্তব্য দিলেও কিভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে বাংলাদেশ সরকার চায় না, রোহিঙ্গারা এখানে এসে নিজেদের আবাস গড়ে তুলুক। এর পক্ষে-বিপক্ষেও যুক্তি আছে। প্রথমত, বাংলাদেশ অন্য দেশের নাগরিকদের গ্রহণ করবে কেন? কারণ বাংলাদেশ এখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে মিয়ানমার সরকার সেখানকার সব রোহিঙ্গাকে এখানে পুশ করে দেয়ার একটা সহজ সুযোগ পেয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের যে একটা নৈতিক দায়িত্ব নেই, তা নয়। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়াও দেশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো যুদ্ধগ্রস্ত দেশের অসহায় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে শুধু মানবিক কারণে। এমনকি ১৯৭১ সালে শরণার্থী হিসেবে এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। ওই সহযোগিতাকে এখনো আমরা মানবিক ও কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে দেখে থাকি। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে, তা আগেই উল্লেখ করেছি।
মিয়ানমার সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের ভেতর আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়েছে। এখনো জাতিসংঘের তৎপরতা থেকে স্বীকৃত শরণার্থীদের কিছু কিছু সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। বাকি যাদের সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ, তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিছু রোহিঙ্গা দেশে ফিরে গেলেও বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থীর দায়ভার বহন করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন মিয়ানমারের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বিশেষ চেষ্টা চালিয়ে বেশ কিছুটা সফল হয়েছেন, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটা সত্য সত্যই উদ্বেগজনক। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ যে শান্তির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, তাতে মিয়ানমারের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই ভুল বোঝাবোঝির এ সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ চায় জাতিসংঘসহ বিশ্বের বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর হোক। রোহিঙ্গারা যাতে তাদের স্বদেশে নাগরিকত্ব পেয়ে বসবাস করতে পারে এবং বিদেশে আশ্রিতরা দেশে ফিরে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রিতরা যাতে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে জাতিসংঘ এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
এখন সময় এসেছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে অগ্রসর হওয়ার। বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সহায়তায় জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করতে পারে অথবা নিজেরাও মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ আলোচনায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় অগ্রসর হতে পারে। আমরা আশা করব মিয়ানমারের নেত্রী সু চি জাতিসংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করবেন। যাতে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন। মিয়ানমারের কারণে বাংলাদেশে যেন অশান্তির সৃষ্টি না হয়। রোহিঙ্গারা যেন তাদের অধিকার ফিরে পায়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, ঐতিহাসিক এ সত্য মেনে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের উচিত, রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ন বন্ধ করে তাদের নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার বিষয়ে যত্নবান হওয়া। নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে, এই পরিস্থিতি মোটেও সুখকর নয়। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশের পাহাড়, জঙ্গল ও অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত গঠনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
মানবিক সমস্যা মানবিক দৃষ্টিতেই দেখা উচিত। পৃথিবীর যেখানেই মানবিক বিপর্যয় ঘটুক না কেন, পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করাই বিবেক ও মানবিকবোধসম্পন্ন মানুষের কাজ। তবে ব্যক্তির দাঁড়ানো আর রাষ্ট্রের দাঁড়ানো এক কথা নয়। কোনো রাষ্ট্র যদি মনে করে, মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে বৃহত্তর স্বার্থে এগিয়ে নাও আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। যৌক্তিক কারণেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি এমন আচরণ করছে। কারণ তারা বাংলাদেশে ঢুকে নানা ধরনের অপরাধে ও অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে, অতীত তাই বলে।
রোহিঙ্গাদের ভাষা কিছুটা চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে মিল হওয়ায়, তারা বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে মিলে মাদক চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকা- এমনকি বাংলাদেশের গলাকাটা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে, বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, নীপিড়ন, তাদের সম্পদ দখল, গ্রাস, সম্পদে-বাড়িঘরে হামলা, অগি্নসংযোগের ঘটনা নতুন নয়। পৃথিবীর সভ্য দেশ, উন্নত রাষ্ট্র থেকে শুরু করে, অনুন্নত, গরিব দেশেও ঘটে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববিবেককে। সংখ্যালঘু মুসলিম নারী, শিশু ও বৃদ্ধ কেউই বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। দেশি-বিদেশি প্রচার মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিদিন লোকহর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে চলেছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, কাদায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ১০ মাসের ছোট্ট শিশু। এ যেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মানবতা। প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পার হতে চেয়েছিল রোহিঙ্গা শিশুটি। কিন্তু তাকে একেবারে না ফেরার দেশেই পাঠিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশ-বিজিপি। মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর তীরে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ওই রোহিঙ্গা শিশুর পরিচয় মিলেছে। মাত্র ১০ মাসের ছোট্ট শিশুটির নাম তোহাইত। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গাদের ১৫ জনের একটি দল বাংলাদেশের দিকে আসার চেষ্টা করছিল। মংডুর এই রোহিঙ্গারা একটি নৌকায় চেপে বসতেই নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মিয়ানমার বিজিপি। রোববার রাতের এই ঘটনায় দুই শিশুসহ এক ডজনেরও বেশি রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটে। এর চেয়ে নিষ্ঠুরতা আর কী হতে পারে?
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বাঁচার আশায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোট্ট নৌকায় চেপে বসেছিল তিন বছর বয়সী শিশু আয়লান কুর্দি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের আশায় যেতে চেয়েছিল গ্রিসে। কিন্তু সাগরের উত্তাল ঢেউ কেড়ে নেয় আয়লান কুর্দিকে। সাগর তীরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। সাগর তীরে শিশু আয়লানের পড়ে থাকা মরদেহ হয়ে ওঠে বিপন্ন মানবতার প্রতীক। এনিয়ে সেসময় বিশ্বজুড়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার একই চিত্র আবারও ভেসে উঠলো মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'জাতিগত নিধনের' নিষ্ঠুর শিকার রোহিঙ্গাদের প্রতীক তোহাইতকে বলা হচ্ছে 'আয়লান রোহিঙ্গা'।
ভেবে কষ্ট লাগে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির দল। যিনি সারা জীবন অধিকারহারা, গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে জীবনের বেশির ভাগ সময় ধরে রাখা হয়েছে অন্তরীণ। ভোগ করতে হয়েছে নির্যাতন, নিপীড়ন। আর তিনি এবং তার দল ক্ষমতায় এসে এখন কাজ করছেন পুরো শান্তি এবং মানবতাবিরোধী কর্মকা-। আর যাই হোক, এটা মেনে নেয়া যায় না। এর সুষ্ঠু ও মানবিক সমাধান জরুরি এবং এর কোনো বিকল্প নেই।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
আহা রুবন বলেছেন: কাল খবরে দেখলাম দুই বাংলাদেশি জেলেকে বিজিপি ধরে নিয়ে গেছে। আমরা রোহিঙ্গাদের জেলে সাজিয়ে মাছ ধরতে পাঠাতে পারি। বিজিপি ওদের ধরে নিয়ে যাবে, দেশের মাল দেশেই থাকবে।
ক্ষোভে একটু কৌতুক করলাম। শালারা...
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
কালীদাস বলেছেন: সব বড় বড় বাঞ্চোত ধইড়া রাখছে বরাবরের মত বাংলাদেশই খালি এই ঠেলা সামাল দেবে। মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশ যদি কখনই এই বিপদ কাঁধে না নিত, তাহলেই মনে হয় শালার সমস্যাটা বুঝত। আর আছে এক সম্মানিত সুচি খালা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কফি আনান সাহেব তিনি তো বলেই গেলেন রোহিঙ্গা নির্যাতনকে তিনি গণহত্যা বলতে নারাজ! তিনি আরাকানে পর্যবেক্ষক হয়ে আসলেই রোহিঙ্গাদের জন্য সহয়তার ব্যপারে কিছু বলে যাননি! আন্তর্জাতিক মহল কতটা উদাসীন এই থেকেই আন্দাজ করা যায়!