![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গি দমনে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আশাব্যঞ্জক হলেও এই অপশক্তিকে পুরোপুরি দমন করা যায়নি। এখন নারী ও কিশোরদেরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, যারা জঙ্গিবাদে দীক্ষিত। জঙ্গি নেতা সুমনের স্ত্রী শারিকা ও তানভীর কাদেরীর কিশোর ছেলে আসিফ কাদেরীর আত্মহত্যা প্রমাণ করে, তারা শুধু দীক্ষাই নেয়নি, বিশ্বাসে অটল। অবশ্য নারীদের জঙ্গিবাদে দীক্ষিত হওয়ার প্রবণতার প্রমাণ মিলেছে অনেক আগেই। গত আগস্ট মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকসহ পাঁচ তরুণী গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় নারী জঙ্গিদের বিষয়টি নতুন করে সবার সামনে চলে আসে। এই পাঁচ তরুণীর জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে র্যামব। অভিযোগপত্র চূড়ান্ত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বেশ কিছুদিন থেকেই দেখা গেছে, পুরষদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরাও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জঙ্গিবাদে আস্থা স্থাপন করে একাধিক পরিবার নিরুদ্দেশ হয়েছে। ঢাকার আশকোনায় যে নারী সদস্যদের পাওয়া গেছে, তারাও জঙ্গি নেতাদের স্ত্রী ও সন্তান। এই প্রবণতা আমাদের সমাজের জন্য ভালো নয়।
চলতি বছর দেশে জঙ্গিবিরোধী বহু সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর এসব অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ ও র্যােব। এরপর গত ছয় মাসে পরিচালিত আটটি অভিযানে ২৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। কিন্তু দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। সাময়িক দুর্বলতা কাটিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে তারা। আশকোনার মতো আরো অনেক বাড়িতে মিথ্যা পরিচয়ে আশ্রয় নিয়ে সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। আগে ব্যক্তিকে টার্গেট করা হতো। এখন পরিবারকে টার্গেট করে জঙ্গিবাদে ভেড়ানো হচ্ছে। এই প্রবণতা রোধ করার কাজে গুরুত্ব দিতে হবে।
জঙ্গিবাদ নির্মূলের কাজটি সহজ নয়। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা নিয়েও উন্নত অনেক দেশ জঙ্গি তৎপরতা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অনেক জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেখান থেকে অর্থ ও অস্ত্রের জোগান আসাও অসম্ভব নয়। এর আগে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানের সময় উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তার প্রমাণও মিলেছে। রাজধানীর আশকোনার বাড়িতে অভিযানের আগেও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। বেশ কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি নেতা এসব অভিযানে নিহত হয়েছে। অনেককে জীবিত ধরা হয়েছে। কিন্তু তার পরও জঙ্গি নির্মূল করা যায়নি। চাপের মুখে কৌশল পরিবর্তন করেছে জঙ্গিরা। কাজেই জঙ্গিবিরোধী অভিযান আরো জোরদার করার কোনো বিকল্প আপাতত নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে আত্মগোপনে যাওয়া জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল সন্ধানের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: কি ভয়ানক বেপার।