নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৭ ভালোভাবে কাটুক

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

জীর্ণ ও পুরনোকে পেছনে ফেলে এসেছে নতুন বছর। ২০১৬ সালকে বিদায় জানিয়ে এসেছে ২০১৭ সাল। নতুন বছরে নতুন বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্নের জাল বুনবে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে আনন্দিত হবে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোপান বেয়ে এগিয়ে যাবে। নতুন বছরের প্রথম দিনে ১৬ কোটি মানুষের আজ একটাই প্রত্যাশা।
একসময় যাঁরা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বা ‘বটমলেস বাস্কেট’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, পাশ্চাত্যের সেই সব রাজনীতিক-অর্থনীতিবিদই আজ ভিন্ন কথা বলছেন। প্রভাবশালী সাময়িকী ইকোনমিস্ট ২০১২ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের নানামুখী সম্ভাবনা তুলে ধরে যে নিবন্ধটি ছেপেছিল, তার শিরোনামই ছিল, ‘আউট অব দ্য বাস্কেট’। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশসহ ‘নেক্সট ইলেভেন’ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতি ইউরোপের ২৭ দেশের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা জেপি মর্গান বাংলাদেশকে ‘ফ্রন্টিয়ার ফাইভ’ বা অগ্রগামী পাঁচ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছে। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা বলে যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকও এখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শরিক থাকারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রশংসা করে আসছেন। প্রশংসা আসছে আরো অনেক দিক থেকেই। বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা কিংবা এত প্রশংসাপ্রাপ্তি—এর মূল দাবিদার অবশ্যই বাংলাদেশের উদ্যমী জনগণ। কৃষক-শ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতাও একটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
অনেক প্রাপ্তির মধ্যেও পুরনো বছরের অনেক কিছুই আমাদের হতাশ করেছে। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ছিল সবচেয়ে উদ্বেগজনক। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন শঙ্কার পারদকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছে। দেশে উন্নয়ন সহায়ক রাজনীতি এখনো অনেক দূরবর্তী। জঙ্গি কর্মকাণ্ড কিছুটা কমলেও এখনো তা বড় ধরনের হুমকি হয়ে আছে। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো দুষ্টক্ষতগুলো দেশের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করছে। দুর্নীতির লাগাম টানার ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগে এখনো বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। দেশের ভেতরের ও বাইরের নানা ধরনের ষড়যন্ত্র বারবারই অগ্রযাত্রায় হুমকি হয়ে উঠছে। এ জন্য দেশের রাজনীতিবিদ ও জনগণকে ধৈর্য, সহনশীলতা ও সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। সামগ্রিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করতে হবে, আলো জ্বালাতে হবে। তাই নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে—অন্ধকারের শক্তিকে রুখে দিয়ে এবং সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নেবই। নতুন বছরের শুরুতে তরুণসমাজের কণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হোক সেই দৃঢ় সংকল্পের কথা—কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রগতি রুখতে পারবে না, রুখতে দেব না। আমরা চাই, ২০১৭ সাল হোক বাংলাদেশের সমৃদ্ধির বছর, শান্তির বছর। নতুন বছরে কালের কণ্ঠ’র অগণিত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাবশালী সাময়িকী ইকোনমিস্ট ২০১২ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের নানামুখী সম্ভাবনা তুলে ধরে যে নিবন্ধটি ছেপেছিল, তার শিরোনামই ছিল, ‘আউট অব দ্য বাস্কেট’। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশসহ ‘নেক্সট ইলেভেন’ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতি ইউরোপের ২৭ দেশের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা জেপি মর্গান বাংলাদেশকে ‘ফ্রন্টিয়ার ফাইভ’ বা অগ্রগামী পাঁচ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছে। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা বলে যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকও এখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শরিক থাকারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রশংসা করে আসছেন। প্রশংসা আসছে আরো অনেক দিক থেকেই।


এদের পচ্ছাদমুখী চেষ্টা করার সব প্রক্রিয়া যখন বিফলে যায় তখন তারা প্রসংশায় ভাসায় (অনেকটা বিফলে মূল্য ফেরত এর মত অবস্থা)। এটা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। বাংলাদেশে যেমন কিছু লোক আছে, যারা দেশ কে অস্থিতিশীল করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত আর তেমনি এই সমস্ত পশ্চিমা এন্জেসীরা রয়েছে সুযোগ সন্ধানীর আশায়, কখন দেশে অস্থিরতা সূষ্টি হবে, কখন তারা উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.