![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশাদার ও নেশাদার লেখক, মাঝে মাঝে কবি
মুক্তি : ১৯৯৭
(লা ভিটা আ বেল্লা)
দৈর্ঘ : ১১৬ মিনিটLife is beautiful
রঙ : রঙিন
দেশ : ইতালি
ভাষা : ইতালীয়, জার্মান, স্প্যানিশ ও ইংরেজি
পরিচালনা : রবার্তো বেনিনি
প্রযোজনা : জিয়ানলুইজি ব্রাসচি
চিত্রনাট্য : রবার্তো বেনিনি, ভিসেঞ্জো সেরামি
অভিনয় : রবার্তো বেনিনি, নিকোলেটা ব্রাশচি, জিয়োর্জিও কান্টারিনি, গুইস্টিনো দুরানো, সার্জিও বুসট্রিক
সঙ্গীত : নিকোলা পিওভানি
চিত্রগ্রহণ : টনিনো দেল্লি কল্লি
সম্পাদনা : সিমোনা পা¹ি
কাহিনী সংক্ষেপ : ১৯৩৯ সালে ইতালিতে এক ইহুদি হিসাব রক্ষক গুইদো সুন্দরী স্কুলশিক্ষিকা ডোরাকে ভালবেসে বিয়ে করে। রূপকথার মতোই তাদের সাজানো জীবনে পুত্র গিওসো আসে। সুখে শান্তি তারা বসবাস করতে থাকে। গুইসোর পঞ্চম জš§দিনের সময়ই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আচ এসে পড়ে ইতালিতে। ইহুদি গুইদো তার পুত্র সহ জার্মান কনসেট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী হয়। ডোরাকে রাখা হয় মেয়েদের ক্যাম্পে। কিন্তু ছেলের মনোবল অটুট রাখতে গুইদো তাকে বোঝায় যে এটি একটি খেলা এবং এই খেলার পুরস্কার হিসাবে ট্যাঙ্ক পাওয়া যাবে। তাদের কাজ হবে নিয়মিত সফলভাবে খেলার সবগুলো স্তর পার করা এবং প্রচুর পয়েন্ট অর্জন করা। নির্দিষ্ট কিছু কাজ করলে তারা পয়েন্ট পাবে, আবার কিছু কাজ করলে তারা পয়েন্ট হারাবে; এইভাবেই যুদ্ধের ভয়াবহতা ভিন্নভাবে ছেলের কাছে তুলে ধরে গুইদো।
বিশেষত্ব : প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হাসতে শেখায় এ ছবি। জীবনে যতো জটিলতা আর যন্ত্রণাই আসুক জীবনকে জয় করতে হবে খেলার ছলেই Ñ এই শিক্ষাই দেয় এ ছবি। খুবই হাল্কা চালে জীবনের গভীরতম দর্শন ফুটে উঠেছে এ ছবিতে। ৭১তম অস্কারে এ ছবি সেরা বিদেশী চলচ্চিত্র’র পুরস্কার পায় আর বেনিনি সেরা অভিনেতা ও সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার পান। ১৯৯৮ সালে কান ফিল্ম ফ্যাস্টিভালে জুরিদের দেয়া গ্র্যান্ড প্রাইজ পায় এ ছবি। ইউরোপিয়ান ফিল্ম এওয়ার্ডেও সেরা ছবির পুরস্কার পায় লাইফ ইজ বিউটিফুল। এ ছবি বাণিজ্যিক এবং শৈল্পিকভাবেও সফল।
বিশেষ তথ্য :
১. গুইদো চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্তো বেনিনি আর তার স্ত্রী ডোরা চরিত্রে অভিনয় করেছে নিকোলেটা ব্রাশচি; বাস্তবেও তারা স্বামী-স্ত্রী।
২. ছবিতে বেনিনির কয়েদি নাম্বার এবং দ্য গ্রেট ডিক্টেটর ছবিতে চ্যাপলিনের কয়েদি নাম্বারও একই ছিলো।
৩. রবার্তো বেনিনি জানিয়েছেন, এ ছবির টাইটেল লিওন ট্রটোস্কির শেষোক্তি থেকে নেয়া হয়েছে। ম্যাক্সিকোতে নির্বাসনে থাকার সময় স্টালিনের পাঠানো গুপ্তঘাতক যখন তার দরজায় তখন তিনি বাগানে নিজের স্ত্রীকে দেখে বলেন, ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল।’
৪. লরেন্স অলিভিয়ারের হ্যামলেট (১৯৪৮) -এর পর এটিই একমাত্র অস্কার পাওয়া ছবি যেখানে সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেতার পুরস্কার একজনই পান।
৩. সোফিয়া লোরেনের পর রবার্তো বেনিনি-ই একমাত্র অভিনেতা যিনি সম্পূর্ণ ইতালিয় একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্যে সেরা অভিনেতার অস্কার জিতে নেন।
৪. গুইদো আর ফেরুচ্চিও ঘুমুতে যাবার আগে জার্মান দার্শনিক শোপেনহায়ারকে নিয়ে হাসি-তামাশা করতেন। উল্লেখ্য, শোপেনহায়ার ছিলেন হিটলারের প্রিয় লেখক।
৫. হর্স্ট বুচালজ একমাত্র অভিনেতা যিনি জার্মান ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই নিজের চরিত্রে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ছবিটা দেখেছিলাম ৯৮ সালে, এখনো মুগ্ধতা ছুঁয়ে আছে ।
চমৎকার রিভিউ লিখেছিস দোস্ত
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: অসাধারণ ছবি। বাবার কথামতো গেম (যুদ্ধ) শেষ হবার পর বাচ্চাটা যখন দেখে সত্যি সত্যি তার সামনে বিশাল একটা ট্যাঙ্ক, তখন আবেগ ধরে রাখা কষ্টকর। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার মুভি।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার গল্প ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
মুহাম্মদ তাইফ বলেছেন: সুযোগ পেলে ছবিটি দেখব ।