নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নই সাধারন তবু নই অসাধারন!!জীবনকে ভালোবাসি ,মানুষকে ভালোবাসি তবে কোন মানুষ নামের পশুকে ভালোবাসিনি!! মানুষ হিসেবে একদমই সাদামাটা আমি,কেউ চাইলেই আমার সরলতাকে খুন করে রক্তাক্ত করতে পারে!!কিন্তু ক্ষত হলেও ক্ষতি করতে পারবেনা!!

জাহান জারা মুন

দেহের কোথাও অন্তরালে মনের ভেতরইতো মানুষের বসবাস; সুতরাং মৃত্যুটা তো ছোট গল্প বেঁচে থাকাটাই উপন্যাস।তবুও আমরা ছুটছি জীবনের পিছু.।

জাহান জারা মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন কথা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১০

জীবনকে বহু বার মৃত্যুর মুখামুখি হয়ে মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে আসতে দেখেছি এই আমি! অদ্ভুতভাবে বেঁচেও আছি একমাত্র আল্লাহর রহমত ও দয়াতে এই আমি!

দেড় মাস বয়সের শিশুটিকে যখন ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় শিয়াল মুখে নিয়ে পালাচ্ছিলো তখন মায়ের চিৎকারে বা মানুষের ধাবরানিতে যে ফেলে দিয়ে গিয়েছিলো তা নয় আল্লাহর রহমতেই ছিন্নভিন্ন হইনি হয়তো৷ প্রায়ই মা বলে কথায় কথায় ওরে তো ছোটবেলাই শিয়াল খেয়ে ফেলতো ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে৷
যখন একটু বড় হই শৈশব শুরু হয় ,সারাক্ষন খেলাধুলা ,পুকুরে ঝাপাঝাপি,গাছেগাছে চড়া সবকিছুতেই প্রথমে ছিলাম ৷ তেমনিও আট বছরের আমিকে বিষধর সাপে করেছিলো দংশন ৷ তিন এলাকাতে রটে গিয়েছিলো আমি নাকি বাঁচবোনা৷ বিষাক্ত হয়ে বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুল থেকে তিনটি ছিদ্র হয়ে পুরোটা হাত নীলা হয়ে টগবগ করেছিলো বিষক্রিয়া ৷ সেদিন দেখেছিলাম আমাকে হারানোর ভয়ে মা,ভাই ,বোন ,পাড়ার সহপাঠীরা কতটা কাঁন্নাকাটি করেছিলো ৷ তবে আমি একটুও কাঁন্না করিনি শুধু চেয়ে থেকেছি সবার প্রাণে৷ সেদিনও আমি বেঁচে গিয়েছিলাম উদ্ভুত রহস্যে আল্লাহর রহমতে৷

আবারো যখন সময় চলে গেলো কিছুদিন পর চতুর্থ শ্রেণীতে আমার পদাপন্ন ৷ তখন নতুন বইয়ের নতুন কবিতার ছন্দে সব কাজেই আমার বাণী থাকতো"পারিবনা এ কথাটি বলিও না আর,কেন পারিবে না তুমি ভাবো শতবার,একবার না পারিলে দেখো শতবার" ঠিক এ লাইনগুলোই আমার মস্তিস্কে বিরাজ করতো পারবো না বলতে কিছু নেই সবই পারবো৷ কিন্তু সব কিছু পারার মাঝে যে ভয়াবহ পরিনতি আসতে পারে তেমন চিন্তাধারা তখনও ছিলোনা আজও হলো না৷ সেদিন এ কবিতার অনুপ্রেরনায় পাড়ার মস্ত বড় ডুমুর গাছের মগডালে উঠে সবাই যখন সবথেকে নিচু ডাল থেকে জাম্প দিয়েছিলো ৷ আমি তখন বড়াই করে বলেছিলাম অসাধ্য বলতে কিছু নেই আমি গাছের উঁচু ডাল থেকে লাফ দিবো৷ প্রথমে সবাই মজা ভেবেছে ক্ষেপাচ্ছিলো পারবিনা বলে,যখন দেখলো উঠে বসে পা দোলাচ্ছি আর বলছি ,পারবোনা কে কে বলছিস তারা দেখ পারিবনা বলতে কিছু নাই! তাৎক্ষনিক সবাই নিচ থেকে না বলতে শুরু করলো লাফ দিছ না,কিন্তু এক বান্ধবী সে বলতে শুরু করলো লাফ দিতে পারলে আমার নামে তোরা সবাই যে ব্যাঙ্গাত্মক নাম দিবি সেটাই রাখবো ৷
মাথায় দিলো আরেক ফন্ধি এটে কারন ও ছিলো কুটনি যাকে বলে চোছল খোর সবার কথা সবাইকে বলে ঝগড়া বাধিঁয়ে দিতো৷ তাই মনে মনে এবার প্রতিশোধ নেওয়ার ফন্ধি আটলাম যাক নামটা চুচলি রাখা যাবে৷
লাফ দিবো দিবো সবাই না করতে শুরু করলো এমনকি,যে আমাকে কসম দিলো সেও বলল না দিছ না মরে যাবি! সবাইকে গাছে থেকেই আস্বস্ত করলাম কিছু হবেনা আমি পারবো৷ যখন নিচের দিকে তাকাই মনে হচ্ছিলো আমি অনেকটা উপরে পরলে বাঁচবোনা৷ কিন্তু সবাইকে বলে ফেলছি নামলেও মানসম্মান থাকবেনা কথা আমার রক্ষা করতেই হবে বাঁচি আর মরি৷ দুই বার সাহস করে দিতে গিয়েও ভেবেছি ফের তিনবারের সময় যখন লাফ দিয়েই বসি সে মূহুর্তেও আমি বুঝেছিলাম মৃত্যু নিশ্চিত ৷ কিন্তু না আমার ঝাপ দেওয়া দেখে ওরা সব চিৎকার মেরেছিলো সেটা দেখে ভয় পেয়েছিলাম তাই চোখ অফ করে ফেলছিলাম বলে একটা পায়ের ভারসাম্য দেহের নিচে পরেছিলো বিধায় পায়ের পাতা থেকে পায়ের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছিলাম ! যেভাবে পরেছি সেভাবেই বসে জ্ঞান হারিয়ে ছিলাম৷ তখনও আমার বড় ধরনের কিছুই হয়নি পনের দিন শুধু বিছানায় ছিলাম পা ফুলে কলাগাছ হয়েছিলো তবে ভাঙ্গেনি৷ তবে হ্যা! মৃত্যু হতে পারতো বেঁচে গিয়েছি আল্লাহর রহমত৷ এরপর থেকে খেলার সহপাঠীরা কখনই আমার কথার সাথে তর্কে যেতো না ওদের প্রত্যেকের ধারনা ছিলো আমি বলব যা ,করবো তাই৷ প্রতিটা ঘটনা বলে শেষ করতে পারবোনা আর স্মৃতিকে ভুলতেও পারবোনা ৷বাকি ঘটনা গুলো পরে আরেকদিন বলবো দশ বছর বয়স পর্যন্তই আটকে গেলাম৷ আজ এ পর্যন্তই স্মৃতিতে থাক৷
সব শেষ কথা —যখন মনে পরে এতকিছুর পরও আমি বেঁচে আছি! আর বিধাতার ক্ষমতাকে নিজের সাথে ভাবতে থাকি! তখন আল্লাহকে খুব গভীর থেকে অনুভব করি আর বহুবার বলি ভালোবাসি আমি তোমায় আমার জীবনদাতা!!

———————শুভ্রতা

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনি তো দেখছি মৃত্যুঞ্জয়ী! বাপ্রে, তিনবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন! আলহামদুলিল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.