![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুনকির নাঈম। শৈশব থেকেই সাহিত্য ও জ্ঞানোর্জনে আসক্তি। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর বিশেষায়িত হওয়ার চেয়ে অনেক কিছুর উপরই সাম্যক ধারণা লাভে গুরুত্বারোপ করি। ভিন্ন নিকে সামুতে ব্লগিং করছি ২০১০ থেকে। প্রকৃত পরিচয়ে আপনাদের সামনে আবির্ভূত হয়েছি নিজের একান্ত অনুভূতিগুলো তুলে ধরার জন্য। পড়াশোনা করেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এর উপর। ভালবাসি ভ্রমণ,আড্ডা, সংগীত, কলা ,প্রযুক্তি, স্বেচ্ছাসেবাদান এবং সর্বোপরি জীবনকে উপভোগ করা। ঘৃণা করি ভণ্ডামি এবং ভণ্ডদের। আমি খুব প্রাণবন্ত উচ্ছল একজন মানুষ যে কিনা বিষণ্ণতার চাদরে সর্বদা নিজেতে অবগুণ্ঠিত থাকে। ধন্যবাদ এবং আপনাদের জন্য শুভকামনা।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা সী বীচে বেড়াতে গিয়েছিলাম । ওয়েস্ট ব্যাংকে সানসেট পয়েন্টে যাওয়ার পথে একটা ফিশারীজ পট্টি আছে যেখানে আপনি তাজা মাছ ইন্সট্যান্ট ফ্রাই করে খেতে পারবেন । তো আমরা ফেরার পথে বাইক থামিয়ে পট্টিতে ঢুঁ মারলাম । হরেক পদের মাছ - কিছু জ্যান্ত,কিছু ফ্রোজেন । বেশ কয়েক রকম সামুদ্রিক মাছ খেলাম । তন্মধ্যে এই পোস্টে কাঁকড়ার খাওয়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি । (কেন বিচিত্র তা পুরো পোস্ট পড়ার পরই বুঝতে পারবেন )
একটা কর্কশীটের বাক্সে জ্যান্ত কাঁকড়া বন্দী করে রাখা হয়েছে । নিজ চোখে দেখে সাইজ অনুযায়ী অর্ডার করা যায় । সাইজ অনুযায়ী দাম । জ্যান্ত কাঁকড়ার কিলবিল করা দেখে আমার প্রায় বমি চলে আসছিল । আমরা তিনটা কাঁকড়া অর্ডার করে অপেক্ষায় রত হলাম ।
আধঘন্টার মধ্যে আমাদের কাঁকড়া প্লেটে এসে হাজির । সঙ্গে মিনারেল ওয়াটার বোটল , প্যাকেট সস্ আর প্যাকেট টিস্যু আমি তো অবাক - বাহ্, দারুণ তো ! এক্কেরে iso 9001:2000 স্ট্যান্ডার্ডে খেদমত
আমার সফরসঙ্গীর সন্দেহ হওয়ায় সে জিজ্ঞেস করল এই সার্ভিস ফ্রী কি না । তখন জানতে পারলাম , শুধু মিনারেল ওয়াটার না , আপনাকে সস্ আর টিস্যু পর্যন্ত কিনে ইউজ করতে হবে । ফিল্টার পানি কিংবা ভাজা-পোড়া খাওয়ার জন্য ফ্রি বাংলা সস্ নাই ,এমনকি হাত মোছার জন্য কোন কাগজও রাখে না যাতে আপনি এগুলো ব্যবহার করতে বাধ্য হন । কি দারুণ খাতির , তাই না ?
#প্লেস : কুয়াকাটা ফিশারীজ পট্টি ।
#পরিবেশ : ৪/১০ . ফালতু । ত্যড়াব্যাকা করে কাঠ মাঠ দিয়া হোটেল চেয়ার টেবিল -আল্লাহই জানে কোইত্থেকা যোগাড় করে আনসে । সন্ধ্যার পর খাইতে বসলে সোলারের লাইটে সামনের জনের চেহারা দেখা যায় না । মোবাইলের ফ্ল্যাশ অন করে খেতে হয়
#দাম :৭/১০ . সাইজ অনুযায়ী ৬০ - ১৫০ টাকা ।
#পরিমাণ : ৬/১০. সাইজ অনুযায়ী খাবারটার দাম বেশী লাগে । আর কাঁকড়ায় চিংড়ির তুলনায় ওয়েস্টেজ বেশি হয় । মাংস কম, চিংড়ির সব চিবানো গেলেও কাঁকড়ার খোসা চিবিয়ে মজা নাই । দাঁড়া তো চিবানোই যায় না , লবস্টার চিংড়ির দাঁড়ার মত শক্ত দাঁড়া ।
#স্বাদ : ৭.৫/১০ . কাঁকড়ার স্বাদ চিংড়ির মাংসর মতই । তবে আমার কাছে চিংড়ির চেয়ে কম টেস্টি লেগেছে । আর চিংড়ির মাংসে যতটা ডেন্সিটি , কাঁকড়ারটা সেই তুলনায় বেশ ফ্লাফি । দাঁড়ার ভেতরটা ছাড়া বাকী অংশে কোন হাঙ্ক ফ্লেশ নেই ।
#কুইজিন : ০/১০ . তাদের কুইজিন ছিল জঘন্য । আমার কাছে মনে হইসিল আমি গুড়া হলুদ ভাজা খাচ্ছি । মেসের বুয়াদের মত দুনিয়ার হলুদ দিয়ে পাকাইসে । একবার যে খাবে আশা করি সে সেই স্পেশাল স্বাদ মরার আগ পর্যন্ত ভুলবে না ।
#ব্যবহার : ১০/১০ . অতি ভদ্র এবং বিনয়ী ( ফেইক ) । স্যার স্যার করে তেল মেরে ডাকে । ক্ষেত্রবিশেষে কাউকে ভাইয়া বলে সম্বোধন করে । যত কিছুই করুক, বিহ্যাভ কিংবা এটিচ্যুডে মনে কষ্ট পাবার জো নেই ।
#সার্ভিস : ০/১০. কোন সার্ভিস নাই । যা আছে তা হল জোচ্চুরি সার্ভিস । টিস্যু পেপার, মিনারেল ওয়াটার, সস্ সব কিছুর দাম গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশী রাখসে ।
এখন বুঝলেন তো কেন এত্ত বিচিত্র ! ! অন্ধকারে হারিকেনের মত মৃদু সোলার লাইটের আলোয় খেতে খেতে দেখবেন আপনার হাতে হারিকেন ধরায়া দিসে
.
-- ফেসবুকে আমি : মুনকির নাঈম সানি
-------------------------------------------------
আরও ফুড রিভিউ দেখতে ক্লিক করুন > L̶i̶k̶e̶ Love to eat
লেখনী ও লেখনীর স্বত্বাধিকার : মুনকির নাঈম সানি
সৃজিত হয়েছে : ০৫ জানুয়ারি ২০১৭
*লেখকের অনুমতি ব্যতীত লেখার কোন প্রকার অংশ গ্রহণ এবং প্রকাশ করা যাবে না ।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------
লেখকের অন্যান্য পোস্ট :
#দু মুহূর্তের অনুভূতি (ছোট গল্প )
#মানুষ কেন ভালবাসে? /প্রেমাখ্যান (নিবন্ধ)
#কর্তৃত্ববাদীর স্বরূপ : জানুন, চিনুন, নিজেকে রক্ষা করুন (নিবন্ধ)
#জীবন কড়চা (নিবন্ধ)
#ভালবাসায় ঠগবাজি এবং প্রাচ্য ভাবনা (নিবন্ধ)
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: নিজে করে খেয়েছিলাম, গন্ধ মাশাল্লাহ! সহ্য করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
রক বেনন বলেছেন:
৪| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
মানবী বলেছেন: খেতে হলুদ ভাজি মনে হলেও ছবিরা কাঁকড়া দেখতে খুব লোভনীয়!!
"কাঁকড়ার স্বাদ চিংড়ির মাংসর মতই । তবে আমার কাছে চিংড়ির চেয়ে কম টেস্টি লেগেছে"
- পশ্চিমারা আর চাইনিজ/এশিয়ানরা এই কাঁকড়া এতো পছন্দ করে যে জেলেরা সাপ্লাই করে কুলিয়ে উঠতে পারেনা তাই ময়দা আর হাবিজাবি দিয়ে কমার্শিয়ালি "আর্টিফিশিয়াল ক্র্যাব মিট" প্রস্তুত করা হয়। সাধারন রেস্টুরেন্টে কাঁকড়ার আস্তো পা বা আস্তো কাঁকড়া ছাড়া বিভিন্ন রান্না্য় যে ক্র্যাবমিট ব্যবহৃত হয় তার অধিকাংশও আর্টিফিশিয়াল।
খাবার দাবার, রান্না বান্নার পোস্ট আমার পছন্দের ব্লগের অন্যতম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশেষ অণ্চলের এক রেয়ার কুজিন সম্পর্কে জানা হলো, আন্তরিক ধন্যবাদ মুনকির নাঈম সানি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সার্ভিসে মোটামুটি ফাঁকি? জাতীয় অভ্যাস