![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামের সার্থকতা রক্ষার চেষ্টায় আছি।
হিটলারের প্রিয় S.A বাহিনীর অপমৃত্যু ঘটে ১৯৩৪ সালের ৩০শে জুন। ১৯২০ সাল থেকে S.A বাহিনী ছিল নাৎসি পার্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কথা মোটেই অস্বীকার করা যাবে না যে, হিটলারের ক্ষমতায় আসার পিছনে S.Aএর অবদান ছিল অনেক বেশী। অথচ ১৪ বছর পর, হিটলার নিজ হাতে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করলেন। S.A এর সংগ্রামের এ কেমন প্রতিদান?
কিন্তু S.A কে ধ্বংস করা ছাড়া হিটলারের কোনো উপায় ছিল না। তিনি ছিলেন অতি সাবধানী। এ কারণে কোনো সুযোগই তিনি নিতে চাননি। ১৯৩৩ সালে চ্যান্সেলর হবার পর থেকেই, S.A বাহিনীর প্রধান এবং সেই সাথে হিটলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এর্ন্স্ট্ রোহ্ম, S.A কে জার্মান সেনাবাহিনীর স্থলাভিষিক্ত করার জন্যে হিটলারের কাছে জোড়াজুড়ি করতে থাকেন। ফরাসি বীর ন্যাপোলিয়ন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর তার নিজ বাহিনীকে মূল সেনাবাহিনীর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। রোহ্মেরও একই স্বপ্ন ছিল।
রোহ্মের প্রস্তাবটি অযৌক্তিক ছিল না। ১৯৩৩ সালে, S.Aএর সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ লাখ। পক্ষান্তরে সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল এক লাখ। ভার্সাই চুক্তির কোপানলে পড়ে তৎকালীন সময়ে জার্মান সেনাবাহিনী কার্যত পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রোহ্ম ভুলে গিয়েছিলেন যে, সেনাবাহিনী আকারে খর্বাকৃতির হলেও, মানুষের হৃদয়ে তাদের স্থান ছিল অনেক উঁচুতে। ১৯১৮ সালে, ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের সময়, সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে, পুরো জার্মানি পরাজয়ের দুঃখে কেঁদেছিল। সেনাবাহিনীকে স্থলাভিষিক্ত করতে গেলে যে একটি গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে, এই বাস্তবতাটিকে রোহ্ম খুব একটা আমলে নিতে চাননি।
কিন্তু অন্যদিকে, হিটলারেরও হাত বাঁধা ছিল। S.Aকে নিয়ে যখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ হিটলারকে তলব করেন। তিনি হিটলারকে সাফ জানিয়ে দেন যে, হিটলারের কারণে সেনাবাহিনীর কিছু হলে তিনি মার্শাল ল জারি করে দিবেন। এতে হিটলারের শাসনের অবসান ঘটবে।
এরকম পরিস্থিতিতে, রোহ্মের আচরণও সন্দেহজনক হয়ে উঠতে থাকে। ১৯৩৪ সালের শুরু থেকে হিটলারের প্রতি রোহ্মের আচরণে ব্যপক পরিবর্তন আসে। আগের সেই আনুগত্যমূলক ব্যবহারের লেশ মাত্রও নেই!!!(রোহ্মও বুঝতে পেরেছিলেন যে তার বাহিনী সকলের পথের কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এই কারণে নিজের অস্তিত্ব বাচিয়ে রাখার জন্যে তিনি এমনটি করছিলেন।)। ধীরে ধীরে হিটলারের কাছে খবর আসতে থাকে যে, রোহ্ম তার বাহিনী নিয়ে যে কোনো সময় বিদ্রোহ করতে পারেন।
হিটলারের জন্যে পরিস্থিতি এর চেয়ে বেশী খারাপ হতে পারে না।
****
হিটলার বুঝতে পারলেন যে তিনি উভয় সংকটে পড়ে গিয়েছেন। শীঘ্রই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে তাকে সব কিছু হারাতে হতে পারে। তার কাছে দুটি পথ খোলা আছে, হয় রোহ্মের পক্ষ নিয়ে তার বাহিনীকে সেনাবাহিনীর স্থলাভিষিক্ত করা(এতে গৃহযুদ্ধ অবধারিত। সেই সাথে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা একদম নিশ্চিত।), নতুবা রোহ্ম এবং তার S.A বাহিনীকে ধ্বংস করে ফেলা। শেষেরটি করলে সেনাবাহিনীর প্রশ্নাতীত আনুগত্য অবধারিতভাবে পাওয়া যাবে। হিটলার যদি কোনো যুদ্ধ বাঁধিয়ে ফেলেন(৫ বছর পরেই তিনি তা বাঁধাবেন) তবে সেনাবাহিনী হাসিমুখে তার জন্যে যুদ্ধ করবে।
আর তাছাড়া ১৯৩৪ সালে S.A বাহিনীর প্রয়োজন ফুড়িয়ে গিয়েছিল। জার্মানিতে নাৎসি পার্টি বাদে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বটুকুও ছিল না। এমতাবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় S.A বাহিনী কাদের সাথে লড়াই করবে?
এ পর্যায়ে এসে হিটলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। নিজেকে এবং সেই সাথে নিজের স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, S.Aকে ধ্বংস করতে হবে।
****
১৯৩৪ সালের ৩০শে জুন সকাল বেলা, অপারেশন হামিংবার্ড আরম্ভ করবার মাধ্যমে S.A এর উপর হিটলার তার নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ চালান। S.A এর শীর্ষস্থানীয় সকল নেতাকে হত্যা করা হয়। টানা দুই দিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চলে। অবশেষে ২ জুলাই অপারেশন হামিংবার্ডের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। নাৎসিদের পক্ষ থেকে ৮২জন মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে আবার অনেকেই ছিলেন S.A এর সাথে যাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কেবলমাত্র হিটলারের সাথে শত্রুতার জোড়েই তাদের হত্যা করা হয়।(১৯৪৫ সালে যুদ্ধের পর ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে অনেক নাৎসি বিরোধী ব্যক্তিগণ এই সংখ্যাটি আরও বেশী হবে বলে দাবী করেন। কিন্তু প্রকৃত মৃতের সংখ্যা কোনোদিনও জানা যাবে না। কেননা নাৎসিরা অপারেশন হামিংবার্ড সম্পর্কিত সমস্ত নথি যুদ্ধের শেষ দিকে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।)
অপারেশন হামিংবার্ড S.A কে পুরোপুরি পঙ্গু করে দিয়েছিল। হাইনরিখ হিমলার কর্তৃক পরিচালিত S.S বাহিনীকে S.A থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। অপারেশনের আগে S.A এর সৈন্য সংখ্যা ছিল ২০ লাখ। অপারেশনের পর এই আকার অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা হয়। S.A সৈন্যদেরকে জার্মান সেনাবাহিনীর অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
অপারেশনের পর থেকে যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত S.A তার পূর্ববর্তী কার্যকলাপের ছায়া হয়ে বিরাজ করতে থাকে। যুদ্ধের শেষের দিকে উপায়ন্তর না দেখে S.A এর সৈন্যদেরকে নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে একটি প্যানযার ডিভিশন গঠন করা হয়। যুদ্ধ শেষে নাৎসিদের সাথে S.A এরও পতন ঘটে।
****
অপারেশন হামিংবার্ডের সাফল্যে হিটলার হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তার মানসিক অবস্থারও বেশ উন্নতি হয়। ভাগ্যও তাকে সাহায্য করা শুরু করে। উল্লেখ্য, ১৯৩৪ সালের প্রথম ছয় মাস বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটলেও, শেষ ছয় মাস ধরে ভাগ্য দেবী তাকে দু হাত ভরে সবকিছু দিতে থাকে।
****
অপারেশন হামিংবার্ডের এক মাস পর হিটলারের কাছে দুঃসংবাদের মোড়কে একটি সুসংবাদ আসে। অগাস্ট মাসের দুই তারিখ প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ মৃত্যুবরণ করেন। আপাত দৃষ্টিতে সকলের কাছে এটি দুঃসংবাদ হলেও হিটলারের কাছে এটিই ছিল সুসংবাদ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই মুহুর্তের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করার আগে এই বিষয়ে কিছু বলে নেওয়া জরুরি।
১৯৩৩ সালে হিটলারের জোড়াজুড়িতে "Enabling Act" আইনটি চালু করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে হিটলার অসামান্য ক্ষমতা লাভ করেন। কিন্তু এই আইনের আওতায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বলবত রাখা হয়। এটি একটি মারাত্মক ভুল ছিল। যেদিন প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ হিটলারকে তলব করে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দেন সেদিনই হিটলার প্রথম বুঝতে পারেন যে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বলবৎ রাখাটা কত বড় একটি ভুল ছিল। এই ঘটনার পর থেকেই হিটলার প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছিলেন। তার একটি মাত্রই উদ্দেশ্য ছিল, তা হল প্রেসিডেন্টের পদটি নিজের জন্যে করায়ত্ত করা(প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিজের করে নেওয়ার তীব্র ইচ্ছা থাকলেও হিটলার প্রেসিডেন্ট পদটি আর রাখতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন তার আনুষ্ঠানিক পদবী হোক "দ্য ফুয়েরার"। নাৎসিরা তাকে ফুয়েরার বলে ডাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদবী ছিল চ্যান্সেলর। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফুয়েরার পদবী ধারণ করেন।)
কিন্তু, অন্যদিকে হিটলারের মতবিরোধী লোকের সঙ্খ্যাও কম ছিল না। তাদের মধ্যে অনেকেই জার্মান রাজবংশের পুনঃজাগরনণে বিশ্বাস করতেন। হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পর রাজবংশেরই কোনো সদস্য প্রেসিডেন্টের পদটি অধিগ্রহণ করুক, এমনটা তারা চাইতেন। হিটলারের ভাইস চ্যান্সেলর ফ্রাঞ্জ ভন পাপেন ছিলেন এই দলেরই অন্তর্ভুক্ত। অপারেশন হামিংবার্ড আরম্ভ হবার কয়েকদিন আগে পাপেন প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গের সাথে দেখা করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতেন। তিনি হিটলারের ক্রমাগত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং এই কারণে তিনি পাপেনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্যে অনুরোধ করেন। পাপেন অবশ্য হিন্ডেনবার্গের অনুরোধ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বরং, নিজ জীবন বাঁচাতে অপারেশন হামিংবার্ডের দিন তাকে জার্মানি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।
****
১৯৩৪ সালের ২রা অগাস্ট, সকাল ৯টায়, প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার উইল তৈরি করে পাপেনের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। হিন্ডেনবার্গ উইলের মধ্যে রাজবংশের পুনরুত্থানের ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি। এটি পাপেনকে বেশ অবাক করেছিল। প্রেসিডেন্ট পাপেনকে একটি চিঠিও দেন। চিঠিটি হিটলারের জন্যে ছিল। তিনি পাপেনকে মৃত্যুর পর চিঠিটি হিটলারের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন। তিনি পাপেনকে এও বলেন যে চিঠিটিতে তিনি হিটলারকে তার মৃত্যুর পর রাজবংশের হাতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্যে অনুরোধ(কেবল অনুরোধ করেছেন, কোনো আদেশ দেননি) করেছেন।
****
১৯৩৪ সালের ২রা অগাস্ট, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে হিটলার তার "Enabling Act" আইনের ক্ষমতাবলে একটি নতুন আইন জারি করে বসেন।
The Reich Government has enacted the following law which is hereby promugated.
Section 1: The office of Reich President will be combined with that of Reich Chancellor. The existing authority of the Reich President will consequently be transferred to the Fuhrer and Reich Chancellor, Adolf Hitler. He will select his deputy.
Section 2: This law is effective as of the time of the death of Reich President von Hindenburg.
এই আইনের প্রথম অংশে, প্রেসিডেন্টের সকল ক্ষমতা চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের কাছে হস্তগত করার কথা বলা হয়। সেই সাথে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং চ্যান্সেলরের কার্যালয়কে একীভূত করার কথাও এখানে বলা হয়।
দ্বিতীয় অংশটিতে বলা হয় যে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর সময়কাল থেকে এই আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।
****
হিটলার যে আইনটি প্রণয়ন করেছিলেন তা কিন্তু এক দিক দিয়ে বেআইনি ছিল। "Enabling Act" আইনানুযায়ী, হিটলার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর চতুর হিটলার ঠিকই প্রেসিডেন্টের কার্যালয়কে তার কার্যালয়ের সাথে একীভূত করে ফেলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, কেউ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেনি। সবাই যেন মেনে নিয়েছে যে, হিটলারের কথাই আইন।
****
হিটলারের কেরামতি কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। একই দিনে তিনি আরেক অবিশ্বাস্য কান্ড করে বসেন। হিটলারের আদেশে জার্মান সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে, জেনারেল ফিল্ড মার্শাল থেকে শুরু করে সাধারণ সৈনিক পর্যন্ত, একটি আনুগত্যের শপথ নিতে হয়।
"শক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে সাক্ষী রেখে আমি শপথ করছি যে, জার্মান রাইখের এবং জনগণের ফুয়েরার, সেনাবাহিনীর সুপ্রীম কমান্ডার, অ্যাডলফ হিটলারের প্রতি, আমি আমার শর্তহীন আনুগত্য প্রকাশ করব। একজন নির্ভীক সৈনিক হিসেবে, এই শপথ রক্ষা করার জন্যে, নিজের জীবন বিপন্ন করতে, আমি দ্বিধাবোধ করব না।"
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, এই শপথবাক্য পাঠ করা হয়েছে অ্যাডলফ হিটলারকে উদ্দেশ্য করে, জার্মানিকে নয়(পূর্বের সকল প্রকারের সামরিক শপথ মাতৃভূমি এবং জার্মান সংবিধানকে উদ্দেশ্য করা নেওয়া হত।)
এই শপথ নেওয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক হিটলারের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে পড়েন। এরপর থেকে হিটলারের প্রতি শর্থহীন আনুগত্য প্রদান করা প্রতিটি জার্মান সৈনিকের জন্যে একটি পবিত্র দায়িত্ব হয়ে পড়ে। হিটলার অপারেশন হামিংবার্ড সংঘটিত করে সেনাবাহিনীকে ভাবী বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন। শর্থহীন আনুগত্য প্রকাশ করা ছিল সেনাবাহিনীর তরফ থেকে হিটলারের জন্যে একটি বিশেষ উপহার।
****
১৯৩৪ সালের ৭ অগাস্ট, প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সেখানে ডিফেন্স মিনিস্টার জেনারেল ফিল্ড মার্শাল ভার্নার ভন ব্লমবার্গ হিটলারকে "মাইন ফুয়েরার(আমার নেতা)" বলে সম্বোধন করেন। তিনি এও প্রস্তাব করেন যে আজ থেকে "হাইল হিটলার"এর পরিবর্তে হিটলারকে "মাইন ফুয়েরার" বলে সম্বোধন করা হোক। পরবর্তীতে এটিই হিটলারকে সম্বোধন করার আনুষ্ঠানিক রীতিতে পরিণত হয়।
হিন্ডেনবার্গের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান।
****
প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের পর, নাৎসি সরকার হিটলারের নতুন ক্ষমতাকে একটি বৈধতা প্রদানের জন্যে পুরো জার্মানি জুড়ে একটি গণভোটের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এরই মাঝে হিটলার পাপেনের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের উইল, টেস্টামেন্ট এবং চিঠি পান। চিঠিটি পড়ে হিটলার বিপাকে পড়ে যান। চিঠিটিতে রাজবংশ থেকে প্রেসিডেন্ট বাছাই করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হিটলার এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদটিকে বাতিল করে তার কার্যালয়কে নিজের সাথে একীভূত করে ফেলেছেন। এই চিঠির কথা প্রকাশ পেলে বিপদ হতে পারে এই ভেবে হিটলার ততখানত চিঠিটি পুড়িয়ে ফেলেন।
কিন্তু হিটলার ঠিকই প্রেসিডেন্টের উইল এবং টেস্টামেন্ট প্রকাশ করেন। তাও গণভোটে বেশী ভোট পাওয়ার জন্যে, কাটঝাট করে এটি প্রকাশ করা হয়।
যুদ্ধের পর ন্যুরেম্বার্গ ট্রায়ালে, পাপেনের কাছ থেকে প্রথমবারের মত হিন্ডেনবার্গের চিঠির কথা জানতে পারে বাহিরের বিশ্ব।
****
১৯৩৪ সালের ১৯শে অগাস্ট, গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। হিটলার যে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হবেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। ৩ কোটি ৮০ লাখ জার্মান(মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ) "হ্যা" ভোট প্রদানের মাধ্যমে হিটলারের প্রেসিডেন্ট পদ অধিগ্রহণের পক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। তারা মেনে নেয় যে, প্রেসিডেন্ট এবং চ্যান্সেলর, উভয়েরই ক্ষমতা এক হিটলারের উপরে বর্তাবে। তিনি হবেন জার্মানির ফুয়েরার।
২০শে অগাস্ট, জার্মানির সকল সরকারী বেসরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক শপথ নিতে হয়।
"আমি শপথ করছি যে, আমি জার্মানির ফুয়েরার,অ্যাডলফ হিটলারের প্রতি আনুগত থাকবো এবং তাকে মান্য করব। আমি জার্মান সংবিধান অনুযায়ী সকল আইন মান্য করব এবং সুনাগরিক হিসেবে নিজের কর্তব্যগুলো যথাযথভাবে পালন করব। খোদা আমার সহায় হন।"
****
অবশেষে, চৌদ্দ বছর সংগ্রামের পর হিটলার তার স্বপ্নের 'টোটাল পাওয়ার" কায়েম করতে সক্ষম হন।
---------------------------------------------------------------------------------
এই সিরিজের অন্য পর্বগুলো
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাই আপনি চাইলে
the bridge over the river kwai
downfall
the great escape
the guns of navarone
the counterfeiters
এসব দেখতে পারেন। এগুলো সবই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
রাতুলবিডি২ বলেছেন: আর তাছাড়া ১৯৩৪ সালে S.A বাহিনীর প্রয়োজন ফুড়িয়ে গিয়েছিল। জার্মানিতে নাৎসি পার্টি বাদে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বটুকুও ছিল না। এমতাবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় S.A বাহিনী কাদের সাথে লড়াই করবে?
বেটা জিনিষ ছিল !
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম তা তো বটেই
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
গেমার বয় বলেছেন: আপনার সাজেস্ট করা মুভিগুলোর মাঝে ৫নং বাদে আর সবগুলো দেখা, আর কোন ভাল মুভি আছে ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ?!?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: where eagles dare দেখতে পারেন। ক্লিন্ট ইস্টউডের বিখ্যাত মুভি।
letters from iwo jima আর flags of our fathers এই দুইটা দেখতে পারেন।
fortress of war খুব ভাল।
the band of brothers(টিভি সিরিজ) চরম। কিন্তু আমেরিকানদের গুণগান একটু বেশীই গেয়ে ফেলসে।
the thin red line মারাত্মক চিত্রধারণ।
cross of iron অসাম।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হিটলার সমচার
ইতিহাসের এক কাল অধ্যায়
শুভ কামনা
ভাল থাকবেন সব সময়
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার দেখা আরও তিনটি অসাধারন ছবি
Judgment at Nuremberg
Sophie's Choice
City of Life and Death
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: শেষেরটি দেখেছি। বাকিগুলো দেখব ইনশাআল্লাহ
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: @ পরিবেশ :
আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে হিটলারের অবদাই প্রধান! শুধু ভারতবর্ষ নয় সারাবিশ্বের উপনিবেশিক শাসন ব্যাবস্হার পরিবর্তন হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর। আর এটা কোন কাকতলীয় ঘটনা নয়, পরিষকার চুক্তির মাদ্যমে তা হয়েছে! হিটলারের প্রচন্ড আক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্স বৃটেন যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশগুলো বিদ্রোহ - বিরোধিতা করলে উপনিবেশিক শক্তি গুলো মাঠে মারা যেতো। জান বাচানোর জন্য তখন এরা অধিকৃত দেশগুলোর সাথে চুক্তি করে, বিশ্বযুদ্ধে এদের সাহায্য করলে যুদ্ধ জয়ের পর স্বাধীনতা দিয়ে দিবে। যার ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের পর চুক্তি মত এরা কলোনীগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হ্য়!
বিশ্বব্যাপী কলোনীমুক্ত শত শত স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের অবদানের জন্য হিটলার মানব সভ্যতার জন্যে একটি আশীর্বাদ।
তবে বেটা বটপার ছিল, সেটা আরেক বিষয়।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: রাতুল ভাইএর ঐতিহাসিক কমেন্ট যা না দেখলে পোষ্টগুলা খালি খালি লাগে।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: রাতুল ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত।বাংলাদেশও ন্যাশনালইজমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।আর তাছাড়া আমার হিটলারকে ভাল লাগার আরও একটি কারন হল তার কনিউনিজম বিরোধিতা
@পোস্ট লেখক ভাই।আপনারে নিয়া আর কি কমু।আপনার এই সাবলিল লেখার জন্য আপনি একদিন নিশ্চিত বিখ্যাত হবেন।আমাদের সামু ব্লগের প্রায়াত ইমন জুবায়ের এর স্থান যদি কেউ দখল করতে পারে তবে সেটা আপনি।এ ধরনের লেখা চালিয়ে যান।কিপ ইট আপ
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: মুহাম্মাদ আলী ভাই, কেমন আছেন আপনি? আপনার কথায় অনুপ্রাণিত হলাম।
ইমন যুবায়ের বাংলা ব্লগের লিজেন্ড। ইমন জুবায়ের ভাই এর পথ অনুসরণ করলে সত্যই বাংলা ব্লগে আরও অনেক কিংবদন্তী জন্মাবে।(আমি নিজের কথা বলছি না)। কেননা তিনি আমাদের জন্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছেন। একজন ভালো ব্লগার হবার গাইডলাইন।
অনেকেই আছে যারা ভালো পোষ্ট করলেও, রিসপন্সের অভাবে হতাশ হয়ে পড়ে। তারা ইমন জুবায়ের থেকে শিক্ষা নিতে পারে। মরেও তিনি অমর হলেন।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০
গেমার বয় বলেছেন: ১ম আড়াইটা দেখসি, পরের গুলাও সময় করে দেখপো খন !!!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওকে ভাই। দেখে জানাবেন কেমন লাগলো।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১ নং কমেন্টের রিপ্লাইয়ে দেয়া মুভি গুলোর সবগুলোই দেখছি , এর মধ্যে শুধু ডাউনফল ছাড়া সবগুলো অতিরঞ্জিত মুভি
বরাবরের মত সুন্দর পোস্ট
৮ম ভালো লাগা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: তা আর বলতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ম্যাক্সিমাম মুভিতেই অতিরঞ্জনের ব্যাপারটা আছে, মারাত্মক ভাবে।
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩
মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: আল্লাহ্র রহমতে সুস্থ আছি ভাই।সামনে পরিক্ষা এই নিয়ে একটু ব্যাস্ত আছি এই আর কি।ইঙ্গানিং ব্লগে এই জন্য খুব একটা আসতে পারি না।আপনার কিছু পোস্ট সম্ভবত মিস করছি এই জন্য।
তা আপনি কেমন আছেন?
ভাল থাকবেন সব সময় এবং আপনার লেখা চালিয়ে যাবেন।শুভকামনা থাকলো আপনার প্রতি
ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওহ হো আপনার পরীক্ষা। তা প্রস্তুতি কেমন? আমি আছি ভালো, আল্লাহর রহমতে।
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
রমিত বলেছেন: ভালো লিখেছেন। প্রিয়তে রাখলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: লেখাটার শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল এই পর্বটার মতো কিছু কি পড়েছি!? মনে হয় পূর্বের (ঠিক এর আগের পর্বের) শেষ অংশটা কিছু এখানে এসেছে।
বেশি কিছু বলার নেই। যথারীতি চমৎকার। আমি অপেক্ষায় থাকি এর পরের পর্বে কি হচ্ছে এটা জানার জন্য।
ভালো থাকবেন বন্ধু।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা
১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩
কিংবদন্তী হাসিব বলেছেন: চালিয়ে যান। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
এম এম ইসলাম বলেছেন: মঝে মাঝে ভাবি হিটলারের মেধা যদি শুভ কাজে, মানব কল্যানে ব্যবহার হতো তবে নিশ্চয় মানব জাতি আজ আরো কিছুদুর এগিয়ে যেত।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনি সঠিক কথা বলেছেন ভাই। তিনি শুধু জার্মান জাতির শ্রেষ্ঠতা চেয়েছিলেন। তা না চেয়ে যদি বৈশ্বিক কল্যাণের জন্যে কাজ করতেন তা হলে তো কথাই ছিল না।
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
আমি মুখতার বলেছেন: আমি ভাই মুভি দেখায় নতুন। তাই এখন খালি schindler's list আর saving private ryan দেখসি।
আইজকার পর্বটা as usual অসাম হইসে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনি যে সব মুভির নাম নিয়েছেন, মানুষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে মুভি দেখা শুরু করলে প্রথমে এগুলো দিয়েই শুরু করে।
আমার লেখা মুভি বিষয়ক একটি পোস্ট আছে। অই মুভিটি দেখতে পারেন।
এছাড়া ফ্ল্যাগ্স অফ আওার ফাদার্স আর লেটার্স ফ্রম আয়ো জিমা। এই দুইটা একই মুদ্রার এপিঠ অপিঠ নিয়ে মুভি। চরম।
দ্য গ্রেট রেইড দেখতে পারেন।
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২
অঞ্জলি বলেছেন: আগের মত এবারের পর্বও ভালো লাগলো।ইতিহাসবিদ ভাইয়া।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারি....।তাই ৭০+১২টা প্লাস দিলুম।++++
আশীর্বাদ করি আমি অঞ্জলি রায়
আপনি ভালো থাকুন সবসময়!!!
শুভ রজনী!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হাহাহা, ববরারের মতই অবাক হচ্ছি এই রসকষহীন বিষয় আপনার ভালো লাগছে দেখে।
কি কারণে ৮২টা প্লাস দিলেন জানি না, কিন্তু মৃতের সংখ্যার সাথে এটি মিলে যায়। সো শ্রদ্ধাঞ্জলিও হতে পারে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: সেই চিরাচরিত নিয়মে ভাল লাগা। ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভাল লাগার মানুষটাকে তথা ফুয়েরারকে নিয়ে লেখার জন্য।
পোষ্টে +++++++++++++
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
একাকী বালক বলেছেন: the bridge over the river kwai দেখছি। চরম মুভি। বাকিগুলাও দেখব দেখি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওকে ভাই।
১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু মনে হচ্ছে আগের পর্বটা পড়ি নাই। তাই মিলাতে পারছিনা। আগের টা পড়ে আসি।
অনেক ভালো লাগা নিয়ে গেলাম।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
নীলপথিক বলেছেন: বরাবরের মতোই ভালো লাগলো। নতুন করে বলবার কিছু নেই। পরে কি আরো পর্ব আছে? নাকি এটাই শেষ?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: জী ভাই, পরের পর্ব আসছে। আসলে এটা বড় সিরিজই হবে।
২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১
সপ্নীল বলেছেন: কেমন আছেন আপনি? আশা আর দোয়া করছি ভালো আছেন।
আপনরা পোষ্ট পড়েছি যেদিন দিয়েছেন সেদিনই তবে মোবাইল থেকে তাই মন্তব্য করতে পারিনি। তাই আজ মন্তব্য করতে ঢুকলাম। বরাবরের মত ভাললাগা রইল। পরে পর্ব কবে পাচ্ছি আমরা?
ভাল থাকুন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ সপ্নীল ভাই।
আমি ভালো আছি, আপনি ভালো আছেন তো?
হ্যা পরের পর্ব অবশ্যই আসছে ইনশাআল্লাহ।
শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
ভিয়েনাস বলেছেন: হিটলার তো হিটলারী। অনেকের কাছে হিটলার ভাল হলেও বেশিরভাগ জার্মানরা হিটলার কে পছন্দ করে না।
পড়তে ভালো লাগছিলো। চালিয়ে যান
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস। ভালো থাকবেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হাহা এখন এমন বলছেন। পরের পোস্টেই দেখবেন, কিভাবে হিটলার সকলের মন জয় করে।
২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আরে ভাইয়া আপনার এই নতুন সিরিজটা চোখেই পড়েনি। সরি ব্রো ফর দ্যাট
।
আপনার লেখা দিন দিন আরো পরিণত হচ্ছে। ইমন ভাইয়ের জায়গাটা যে আপনি নিবেন আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি। যুদ্ধের কাহিনী ছাড়া আসলে আমি বলতে গেলে বকলমই। তবে এর মধ্যে যদি কোন জায়গায় বেধে যাই তাহলে প্রশ্ন করে জেনে নিব। এরপর আর মিস হবেনা ইনশাআল্লাহ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওবায়েদুল ভাই, আর বেশী দিন নাই, যুদ্ধের কাহিনী এই সিরিজের পরেই শুরু হবে। আশা করি আপনাকে তখন বেশী বেশী করে পাওয়া যাবে।
২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: দ্বাদশ ভাল লাগা।পরের পর্বের অপেক্ষায়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর। আপনার পোষ্টে সাদাকালো যুগে চলে যাচ্ছি। কল্পনায় ভাসছে।
অনেক অনেক ভাল লাগা রইল।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার সাথে অনেক দিন কমেন্ট চালাচালি করে ভালো লাগলো।
২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৪
অর্ণব আর্ক বলেছেন: অসাধারণ।
নতুন কিছু পাইনাই তবু্ও বলবো অসাধারণ।
আমি আজ তিন বছর ধরে হিটলার সম্পর্কে মনোযোগ দিয়ে পড়ছি।
এটা আমার গবেষণার বিষয়ের সাথেও যায়। তাই বুঝতে পেরেছি কি অমাণুষিক পরিশ্রম আপনি করেছন। আপনার এই কাজে সাধুবাদ দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আশা করি ভবিষ্যতে আপনি আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের উপকৃত করবেন।
২৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২২
joos বলেছেন: শুরু করেছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে পড়ার আশায়। এর আগেই যে কাহিনীতে এত টুইস্ট কে জানত???!!!
ধন্যবাদ অনেককিছু নতুন করে জানানোর জন্য।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম কাহিনীতে অনেক টুইস্ট ছিল বৈকি।
২৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
ঠিক একই ভাব নেপোলিয়ন গণভোটের মাধ্যমে তার আধীনে রাজ তন্ত্র কায়েম করেছিলো। হিটলারের সাথে এতো মিল জানাছিলো না,
আশানুরুপ ভাবে নেপোলিয়নের নামটা বার বারই পাচ্ছি আপনার লেখাতে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম নেপোলিয়নের সাথে অ্যাডলফ হিটলারের অনেকাংশে মিল আছে। এই নিয়ে ব্লগার সাইফুল ইসলাম সজীবের একটি অত্যন্ত সুন্দর সিরিজ আছে। চাইলে তার ব্লগে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
একাকী বালক বলেছেন: বোর হচ্ছিলাম বাসায় বসে। ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে।