নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিং টাইগার

When i was five years old my mother always told me that happiness was the key to life. When I went to school, they asked me what I wanted to be when i grew up. I wrote down happy. They told me I didn't understand the assignment, I told them they didn't u

উৎকৃষ্টতম বন্ধু

নামের সার্থকতা রক্ষার চেষ্টায় আছি।

উৎকৃষ্টতম বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(ষষ্ঠ পর্ব) The Triumph of the Will(ছবি+মুভি ব্লগ)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯





আজ থেকে ৭৯ বছর আগে, লেনি রিফেনস্টাল নামক একজন জার্মান অভিনেত্রী কাম পরিচালক একটি মাস্টারপীস তৈরি করেছিলেন। মাস্টারপীসটি নাম হল "The Triumph of the Will"। নিজের সমস্ত মেধা, শ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে লেনি এটি সৃষ্টি করেছিলেন। এ কারণে, লেনির সাধনা বৃথা যায়নি। তার অবদানের পুরস্কারস্বরূপ, বর্তমানে "The Triumph of the Will"কে অনেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রোপাগান্ডা সিনেমা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।



"The Triumph of the Will", সহজ বাংলায় এর অনুবাদ করলে যা দাঁড়াবে তা হল, "ইচ্ছাশক্তির জয়"। হিটলারের অন্যতম প্রিয় একটি বাক্য হল "The Triumph of the Will"। হিটলার জার্মান লেখক কার্ল মে এর অন্ধভক্ত ছিলেন। লেখক কার্ল মে দক্ষিণ আমেরিকার একজন বীর যোদ্ধাকে নিয়ে অনেক বই লিখেছিলেন। এই বীর যোদ্ধার নাম হল ওল্ড শ্যাটারহ্যান্ড। বীর শ্যাটারহ্যান্ড রেড ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রতিটি যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সাহস আর ইচ্ছাশক্তিই ছিল শ্যাটারহ্যান্ডের বিজয়ের মূলমন্ত্র। বীর শ্যাটারহ্যান্ড ছিল হিটলারের ছোটবেলার নায়ক। সেই থেকে তিনি বিশ্বাস করতেন যে, একমাত্র তীব্র ইচ্ছাশক্তির জোড়েই অনেক অসাধ্যকে জয় করা সম্ভব।



বাস্তবজীবনে "The Triumph of the Will" বা "ইচ্ছাশক্তির জয়" যে মানুষের পক্ষে খুব সম্ভব, হিটলারই ছিলেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ১৯৩৪ সালে পুরো জার্মানি ছিল হিটলারের পদতলে। তিনি হয়ে পড়েছিলেন জার্মানদের একচ্ছত্র অধিপতি। ক্ষমতার আসন পাকাপোক্ত করার পর যে কাজটি হিটলারকে অবশ্যই করতে হত, তা হল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার জার্মানির শৌর্য বীর্য তুলে ধরা। জার্মানরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অন্যায় শোষণকে পদদলিত করে পুনরায় মাথা তুলে দাড়াতে চায়। এই বার্তাটি বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দেওয়াটা একান্ত জরুরি ছিল। হিটলার তা জানতেন। তিনি তার এ কর্তব্য শতবাগ পালন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে এই কালজয়ী প্রোপাগান্ডা ফিল্মের সৃষ্টি।







****



প্রতিটি আদর্শের বা ধর্মের একটি তীর্থস্থান থাকে। মুসলমানদের জন্যে যেমন মক্কা, রোমানদের জন্যে যেমন রোম, কমিউনিস্টদের জন্যে যেমন লেলিনগ্রাদ, ঠিক তেমনি, নাৎসি আদর্শবাদের তীর্থস্থান বলা যেতে পারে জার্মানির ন্যুরেমবার্গকে। নাৎসি পার্টির পথচলার একদম শুরু থেকে, প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, এখানে নাৎসি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হত। ন্যুরেমবার্গ একটি ঐতিহাসিক শহর। হিটলার বিশ্বাস করতেন যে, জার্মানির সমৃদ্ধ অতীতের সাথে ভবিষ্যতের ভাবি নাৎসি শাসনতন্ত্রের মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকা জরুরি। আর অতীতের সাথে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্যে ন্যুরেমবার্গ যে একটি উপযুক্ত স্থান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।



****



পূর্বে ন্যুরেমবার্গ র‍্যালীগুলো হত ছোট পরিসরে। কিন্তু ১৯৩৪ সালের র‍্যালী বিশ্ববাসীর চোখ ধাধিয়ে দেয়। এই র‍্যালী জার্মানদের পুনঃজাগরণের প্রতীক হিসেবে যুগে যুগে টিকে থাকুক, হিটলার এমনটাই চেয়েছিলেন।



****



১৯৩৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ হিটলার ন্যুরেম্বার্গে পৌছেন। সেদিন বিকেলবেলা, দশ হাজার জার্মান হিটলারের হোটেলের সামনে জমায়েত হন। তারা চিৎকার করে শ্লোগান দিতে থাকে "We want our fuehrer" "we want our fuehrer"। হিটলার যখন ব্যালকনিতে আসেন তখন জার্মানদের উচ্ছ্বাস যেন আর বাধ মানে না।("The Triumph of the Will", দশম মিনিট।)



হিটলারের আগমনে জার্মান নারীদের উচ্ছ্বাস(The Triumph of the Will" থেকে)



সেদিন সেই দশ হাজার জার্মানদের ভীড়ের মধ্যে বিখ্যাত আমেরিকান সাংবাদিক উইলিয়াম শাইরারও ছিলেন। সেই রাতে তিনি তার ডায়েরীতে লিখেন, "হিটলার ব্যালকনিতে আসার পর জার্মানদের উচ্ছ্বাস দেখে আমি পুরোপুরি বিমোহিত হয়ে পড়ি। তারা এমনভাবে হিটলারের দিকে তাকাচ্ছিল, যেন সে পৃথিবীতে নেমে আসা ভগবানের অবতার।"



পরের দিন, শাইরার র‍্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে লিখেন, "আজ সকালের অনুষ্ঠানটি ছিল, অসাধারণের চেয়ে বেশী কিছু। পুরো হলরুম নাৎসি লাল পতাকায় ভরে গিয়েছিল। যেন রক্তের সাগর। আর হিটলারের আগমনে নাটকীয়তা ছিল বৈকি। তার আসার এক মুহুর্ত আগে ব্যান্ড বন্ধ হয়ে যায়। হলে উপস্থিত অগণিত লোকের মাঝে একটি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এরপর ব্যান্ডের বাদ্যের তালের সাথে পুরোপুরি তাল মিলিয়ে হিটলার হলে উপস্থিত হন। তার পিছনে তার অনুগত বন্ধুরা। হিটলার ধীরে ধীরে মঞ্চে উঠতে থাকেন আর সেই সময় হলে উপস্থিত হাজার হাজার অনুগামী হাত উঁচিয়ে তাকে নাৎসি স্যালুট দিয়ে সম্মানিত করে।"







এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিটলার এক সময় বলেন, "আজ এখানে আগামী হাজার বছরের জন্যে জার্মান সভ্যতার ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।"



*****









সাত দিনের এই বিশাল র‍্যালীকে সেলুলয়েডের পাতায় ধারণ করার কাজ প্রদান করা হয় লেনী রিফেনস্টেল নামক একজন অভিনেত্রী কাম পরিচালককে। হিটলারের ব্যক্তিগত অনুরোধে লেনি এই কাজটি করতে রাজি হয়েছিলেন। ১২০ জন টেকনিশিয়ানের একটি দল নিয়ে, লেনি ৩০টি ফিল্ম ক্যামেরার সাহায্যে, পুরো র‍্যালীর চিত্রধারণে সক্ষম হন। তার মেধাকে তিনি শতভাগ কাজে লাগাতে পেরেছিলেন। ফিল্মটিতে এমন কিছু ক্যামেরা আঙ্গেল থেকে চিত্রধারণ করা হয়েছিল যা ততকালীন সময়ে এর আগে কেউ কখনো করে নি।









লেনির এই মাস্টারপীসে অসংখ্য চোখ ধাঁধানো মুহুর্তের চিত্র ধারণ করা হয়। তবে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয় এটাই। ছবিতে হিটলার, হিমলার এবং S.A এর নতুন নেতা ভিকটর লুট্‌য্‌কে ন্যুরেম্বার্গ স্টেডিয়ামের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনেই ১,৬০,০০০ জন নাৎসিদের নিয়ে তৈরি বিশাল সব সুশৃঙ্খল মানব কলাম।















***



সপ্তাহব্যাপী এই র‍্যালীতে বিভিন্ন সময় হিটলার সহ অনেক নাৎসি নেতা বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেন।



তন্মধ্যে, অনুষ্ঠানটি আয়োজন সম্পর্কিত ডক্টর যোসেফ গোয়েবলসের(প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার, পুরো র‍্যালীর মূল পরিকল্পনাকারী) বক্তৃতাটির কথা না বললেই নয়।



ডক্টর যোসেফ গোয়েবলস, triumph of the will, ৩২মিনিট ৪৭সেকেন্ড।



"আমি আশা রাখি, আমাদের উৎসাহ উদ্দীপনার এই তীব্র শিখা কখনো বিনষ্ট হবে না। কেননা একে উপজীব্য করে আধুনিক রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার সৃজনশীল শক্তি টিকে আছে। জনগণই এ শিখার মূল উৎস, এবং জনগণের মাঝ থেকেই তাকে তার শক্তি খুজে ফিরে নিতে হবে সবসময়। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা কখনো কখনো ভালো হতে পারে, কিন্তু জয়ী হয়ে জনগণের হৃদয়ের জায়গা করে নেওয়াটাই হল সর্বোত্তম পন্থা।"




এছাড়া সপ্তাহব্যাপী এই র‍্যালীতে হিটলার বেশ কয়েকবার বক্তৃতা প্রদান করেন। ফিল্মটিতে সবগুলো বক্তৃতাই কভার করা হয়েছে।





লেনির একটি ইউনিক ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল। হিটলার জার্মানদের তুলনায় খাটো ছিলেন(৫ ফুট ৮ ইঞ্চি)। কিন্তু লেনির কারণে তাকে বেশ লম্বা লাগছে।





সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ, র‍্যালীর সমাপনী অনুষ্ঠানে হিটলারের বক্তৃতাও ফিল্মে কভার করা হয়। এই বক্তৃতায় হিটলার বলেন, "১৯৩৪ সালের ন্যরেম্বার্গ র‍্যালী হল রাজনৈতিক শক্তির অবিস্মরণীয় নিদর্শন।"



****



১৯৩৪ সালের এই ন্যুরেম্বার্গ র‍্যালী জার্মানদের মনে তীব্র আবেগের সৃষ্টি করে। এই র‍্যালী হিটলারের প্রতি তাদের আনুগত্যকে আরেক ধাপ উপরে নিয়ে যায়।



****



১৯৩৪ সালে ধারণ করা হলেও, "The Triumph of the Will" প্রেক্ষাগৃহে মিক্তি পায় ১৯৩৬ সালে। মুক্তির পরপরই সিনামটি অভাবনীয় সাফল্য পায়। গোটা জার্মানি জুড়ে লোকজন দলে দলে তা দেখতে ভিড় জমায়। লেনি রাইফেনস্টালকে "cultural achievement award" প্রদান করা হয়। সিনেমাটি ১৯৩৭ সালে প্যারিসে "World Exhibition" এ স্বর্ণপদক জয় করে।



"The Triumph of the Will" ছিল নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের সাফল্য। এটি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তা পাঠায় যে, "নাৎসি জার্মানি একটি অতি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র। তার শত্রুরা তাকে ঘৃণা করতে পারে ঠিক, কিন্তু তাকে শ্রদ্ধা না করে থাকা যাবে না।"





ডাউনলোড করুন



The Triumph of the Will(torrent with subtitles)



The Triumph of the Will(youtube)



----------------------------------------------------------------------------------



এই সিরিজের অন্য পর্বগুলো



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৫ম পর্ব) "হিটলার, জার্মানির ফুয়েরার"।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: চলচিত্র কত বড় শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে , এই চলচিত্রটি ছিলো তার জ্বলন্ত প্রমান । পারলে মুভিটার লিঙ্ক যুক্ত করে দেন ।
১ম ভালো লাগা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: যুক্ত করেছি। দেখুন ভাই। লেখার শেষে, অন্য পর্বের লিঙ্কের আগে।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন দিয়ে পড়বো , তাই বুকমার্কে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কল্পবিলাসী স্বপ্ন ভাই একদম ঠিক বলেছেন। পারলে এর মুভি লিঙ্কটি দিয়ে দিন।

আচ্ছা আমি লিঙ্কটা দিয়ে দিচ্ছি। আপনি মূল লেখায় সংযুক্ত করে দিয়েন।

The Triumph of the Will

যারপর নাই ভালো লাগা। অসাধারণ!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই সবাই আমি লিঙ্কটা আগেই দিয়েছি। লেখার ভিড়ে দেখা যাচ্ছে না, হাহাহা।

অবশ্য এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। আমারটা টরেন্ট লিঙ্ক আর আপনারটা ইউটিউব।

ভালো থাকবেন।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: হিটলার তো হিটলারই , অস্ট্রিয়ান হইয়া জার্মানদের নেতৃত্ব দিল !

ভারতীয় কোন বাঙ্গালী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে গেলে খবর আছে ;)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হাহাহাহাহা।

আসলে এককালে তো জার্মানি আর অষ্ট্রিয়া সবই এক ছিল।

তবে মূল ব্যাপারটা হইল ভাষা আর সংস্কৃতির মিল।

আর ১ম বিশ্বযুদ্ধের গ্লানিটাও এখানে অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর। হিটলার তাদের ত্রাতা ছিল।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগলো। ইচ্ছা শক্তির জয়।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম। ইচ্ছাশক্তির জয়।

ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: মুসলমানদের জন্যে যেমন মক্কা, রোমানদের জন্যে যেমন রোম, কমিউনিস্টদের জন্যে যেমন লেলিনগ্রাদ, ঠিক তেমনি, নাৎসি আদর্শবাদের তীর্থস্থান বলা যেতে পারে জার্মানির ন্যুরেমবার্গকে।

ন্যুরেমবার্গকে গুগলে সার্চ দিলাম।
হিটলারের ইচ্ছাশক্তি আসলে প্রবল ছিল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম মারাত্মক প্রবল ছিল।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টে +++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অফ্লাইনে পড়েছিলাম।তাই তখন কমেন্ট করা হয় নি। প্লাস।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:

ভালো লাগে আপনার প্রতিটি কথা
তাই সর্বদা পড়ি আপনার লেখা।
চালিয়ে যান প্রিয়তম মিতা..
পাশে আছি:সর্বদা হবে দেখা।

খুব ভালো লাগল+++++


ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আরে বাঁধনহারা ভাই, লং টাইম নো সি!!!!!

কেমন আছেন। ব্লগে ফিরে এসেছেন দেখে খুশি হলাম।

আপনারা কবি মানুষ, আপনাদের কি হয় বুঝি না আমি। খালি যাওয়া আর আসার মধ্যে আছেন দেখি।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ছবিটা দেখলাম। আসলে ছবিটা না দেখলে বোঝা যাবে না, হিটলার কী ম্যাসেজ দিতে চেয়েছিলো। লেনী রিফেনস্টেল যে কতখানি মেধাবী ছিলেন, এই চলচিত্রটা না দেখলে বোঝা যাবেনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে হিটলারকে দেখানো হয়েছে সবার চেয়ে উঁচুতে। নম্র, শান্ত একজন অবিসংবাদী নেতা হিসাবে। আর এতো সুশৃঙ্খল একটা র‌্যালী বা অনুষ্ঠান পালন করাও কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। যে কারণেই জার্মানী অলেম্পিক অনুষ্ঠিত করতে পেরেছিলো ১৯৩৬ সালে নিজেদের দেশে। হিটলারে মনে হয়েছিলো, সকল পুরস্কার জার্মানরা পাবে। কেননা তারা সকল দেশের সেরা, আর আর্য। কিন্তু যখন কালোরা পুরস্কার নিয়ে যাচ্ছিল তা তাকে বেশ পীড়াই দিয়েছিলো।

Marty Glickman (আমেরিকান ইহুদী এথল্যাট) এর কথা থেকে জানা যায়, তখন জার্মানীতে হোটল গুলোতে পর্যন্ত লেখা থাকতো "Restricted clientele" এর মানে হলো, ইহুদী আর কালোদের জন্য নয়।

সে যাই হোক ছবিটা কিন্তু বেশ লাগলো। অনেক প্রতিভাবতী ছিলেন লেনী রিফেনস্টেল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: লেনির অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকও কভার করার সুযোগ দেওয়া হয়।

আসলে হিটলার ছিলেন দুমুখো।

যখন যাকে দরকার তাকে দিয়েই কার্যসিদ্ধি করতেন।

ইহুদীদের পাশাপাশি যাযাবররাও হিটলারের টার্গেট ছিল। আর কালোদের তিনি জাত্যভিমানের কারণে পছন্দ করতেন না। কিন্তু রোমেল যখন আফ্রিকা অভিযানে যান তখন তিনি ব্রিটিশদের হারাতে মরুর যাযাবরের সাহায্য নিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে হিটলার কোনো বাঁধা দেননি।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

নীলপথিক বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ। মুভিটা অবশ্য আগে দেখা হয়নি। সর্বশেষ ওয়র মুভি দেখেছি "ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস" যদিও তেমন ভালো লাগেনি। এর চেয়ে বরং "ভ্যালকিরে" ভালো লেগেছে। ভালোলাগা রইলো।

শতবাগ=শতভাগ (৩য় প্যারা)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস একটা ওভার রেটেড মুভি। মোটামুটি কম ওভার রেটেডের মধ্যে আছে, ফ্ল্যাগস্‌ অফ আওআর ফাদার্স এবং লেটার্স অফ আয়ো জিমা।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সিনেমাতে এ বান্দা একেবারেই আনাড়ি, তবে আপনার বর্ণনা প্রান্জল, সু্দর, ভাল লাগল। হিটলার আমার প্রিয় তাই তাকে নিয়ে সব কিছু ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম +

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

আরজু পনি বলেছেন:

হিটলার বরাবরই আগ্রহ জাগানিয়া ছিল।

পোস্টটির জন্যে ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ইতিহাস, সিনেমা আর প্রপাগান্ডা - অসাধারন কম্বিনেশন করেছেন এই লেখায়।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর কমপ্লিমেন্টের জন্যে।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার পোস্ট। গুড জব ||

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।

এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link

দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হা হা হা হা হা। ভাই, প্রথমে বলি যে পোস্ট বিষয়ে মতামত লিখলে বেশী খুশি হতাম।

যাই হোক আজ আমার ব্লগে আপনার প্রথম কমেন্ট, এ কারণে আপনাকে স্বাগতম জানাই।

তবুও আপনি যেহেতু একটা লিঙ্ক দিয়েছেন, সেটা আমি পড়ে দেখব।

আর ভাই আমার আসলে অন্যের প্রেম ভালোবাসা, আর সেই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে অন্যের কান্নাকাটির ব্যাপারে তেমন কোনো আগ্রহ নাই। এই কারণেই বোধহয়, ২০০ এর উপরে কমেন্ট পড়া এমন একটা পোস্ট এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকি পোস্টগুলো আমার আগে চোখেই পড়ে নাই।

আর অফ টপিকঃ ব্লগার শায়মা সামু ব্লগের একজন মহীরুহ। যদিও বা তার কোনো লেখা আমার আগে কখনো পড়া হয়ে উঠে নাই(কখনো আলসেমি কখনো সময়ের অভাবের কারণে) এবং তার সাথে আমার কোনো ব্লগীয় সম্পর্কও গড়ে উঠে নাই(আমার দুর্ভাগ্য নাকি জানি না)কিন্তু আমি জানি ব্লগার শায়মার স্থান সামু ব্লগস্ফিয়ারে অনেক উপরে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মাশামামা কি শায়মার সমালোচক না ক্যানভাসার বুঝলাম না, এমন ভাবে প্রচার চালালেন যে শায়মার পোষ্ট টা পড়তে আগ্রহী হলাম ।

এরকম ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ব্যাক্তি বিষয়ক পোষ্ট - এ হাজার হাজার হিট আর শতে শতে কমেন্ট ! আর সেই পোষ্টের আবার একনিষ্ঠ ক্যানভাসার!

রাতুলবিডির একটা পোষ্ট মনে পড়ল :

সামু কি বিটিভির মত আত্মপ্রচার যন্ত্র বা " সাহেব - বিবি - গোলাম" বাক্স হতে চলেছ? Click This Link

পোষ্টের প্রাসংগিক না এরুপ মন্তব্য করার জনয ক্ষমা প্রার্থী । যাই হোক একটা প্রসংগিক মন্তব্য করে যাই , রাতুলবিডি বলেছেন :

আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে হিটলারের অবদাই প্রধান! শুধু ভারতবর্ষ নয় সারাবিশ্বের উপনিবেশিক শাসন ব্যাবস্হার পরিবর্তন হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর। আর এটা কোন কাকতলীয় ঘটনা নয়, পরিষকার চুক্তির মাদ্যমে তা হয়েছে! হিটলারের প্রচন্ড আক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্স বৃটেন যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশগুলো বিদ্রোহ - বিরোধিতা করলে উপনিবেশিক শক্তি গুলো মাঠে মারা যেতো। জান বাচানোর জন্য তখন এরা অধিকৃত দেশগুলোর সাথে চুক্তি করে, বিশ্বযুদ্ধে এদের সাহায্য করলে যুদ্ধ জয়ের পর স্বাধীনতা দিয়ে দিবে। যার ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের পর চুক্তি মত এরা কলোনীগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হ্য়!

বিশ্বব্যাপী কলোনীমুক্ত শত শত স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের অবদানের জন্য হিটলার মানব সভ্যতার জন্যে একটি আশীর্বাদ।

তবে বেটা বটপার ছিল, সেটা আরেক বিষয়।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হা হা হা হা হা। কেমন আছেন?

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: লেখক সাহেব, ৪০ দিনের চিল্লা পার হয়ে গেল, পরের লেখা কৈ?
২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর ১ম বিশ্ব যুদ্ধের উপর একটা / কয়েকটা লেখা চাই -ই চাই ।

আর এ দোয়াও করি ৩য় বিশ্বের ইতিহাসের উপর কোন লেখা যেন করো পড়তে না হয়।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আরে ভাই, মাঝখানে শাহবাগ নিয়ে যে ঝড় উঠলো ব্লগে, সে সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কোনো পোস্ট দেওয়াটাকে কেন জানি সমীচীন মনে হচ্ছিল না। শুরুতে এমনটাই চেয়েছিলাম যে ব্লগ জুড়ে শুধুই থাকুক শাহবাগ আর শাহবাগ। তবে মাঝখানে বিরক্তি ধরে গিয়েছিল। এটাই স্বাভাবিক।

তবে পর্দার আড়ালে পোস্ট রেডি হচ্ছে একটার পর একটা।

১ম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে। তবে জ্ঞানের অভাবটাই এখানে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে। মোটামুটি চালিয়ে যাওয়ার মত প্রাথমিক জ্ঞান আছে মাত্র।

ভাই এই সিরিজ কবে শেষ হবে জানি না। এই বছরে ৬০টা পোস্ট দিতে পারলে(মাসে ৫টা) ১৯৪২ সালের মধ্যভাগের যুদ্ধের ইতিহাস পর্যন্ত কভার দেওয়া যাবে বলে মনে করি। এই যুদ্ধের ইতিহাস পুরো শেষ হবার পরে ইসলামের জন্যে শত শত বছর ধরে মুসলমানদের লড়াই ও সংগ্রাম নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে।

২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

সারেমল বলেছেন: ++

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধইন্যা।

২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: অসাধারন সিরিজ। সবগুলো পড়ে শেষ করলাম। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো সাজিয়ে পোস্ট করবার জন্য। কতদিন লেগেছে তৈরী করতে সেটা আর নাই জানতে চাইলাম।

++++++

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: এখনো সিরিজ কিন্তু শেষ হয়নি জনাব। আশা করি সাথে থাকবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: ট্রায়াম্ফ অফ উইল সিনেমাটি পুরোটা যে দেখবে সেই স্বীকার করতে বাধ্য লেনি রিফেনস্টাল কত বড় মাপের ডিরেক্টর ছিলেন (বিশেষত সেদিনের দুনিয়ায় যখন টকি ছবি মানেই আজকের ৪০৯৬পি আলট্রা এইচ কিউ-এর মত কাটিং এজ ছিল)।

এর সঙ্গে হিটলারকে সমর্থন বিরোধিতার কোন ব্যাপার নেই। ব্যাপারটা অনেকটা সাঈদীর মত, যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে নিয়ে আমার কিছু বলার অবকাশ নেই, কিন্তু বক্তা সাঈদী (আই মিন স্টাইল, বিষয়বস্তু নয়) আমার দেখা অন্যতম সেরা।


তবে ট্রায়াম্ফের মত সিনেমা তো আর একদিনে গড়ে ওঠে না; আপনাকে অনুরোধ করছি যেন আপনি এটার আগের পার্টি র‌্যালিটা নিয়ে তোলা রিফেনস্টালের "সিগ ডেস গ্লাউবেনস (বিশ্বাসের জয়)" দেখেন। এটা যখন তোলা তখনও র‌্যোম হিটলারের প্রিয়পাত্র এবং মুভিতে দুজনকে পাশাপাশি-ই দেখা গিয়েছিলো। কিন্ত তারপর র‌্যোমকে খুন করা হয় এবং তার সঙ্গে হিটলারের বন্ধুত্বের স্মৃতি মুছে দিতে সিনেমাটিকে লোপাট করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর আগে একটা প্রিন্ট পাওয়া গিয়েছিল, যেটা আপনি ইউটিউবে দেখতে পারেন।

এখন কথা হচ্ছে কেন আপনি গ্লাউবেন দেখবেন ? আমার মতে একটাই কারণ-

১৯৩৩ এর গ্লাউবেনসে (যখন নাৎসিরা সবে গদিতে বসেছে) নাৎসি ডিসিপ্লিন ততটা লৌহকঠিন বা মিলিটারি টাইপের নয়, তাতে সিভিলিয়ান ছোঁয়াও আছে; কিন্ত মাত্র এক বছর পরে তোলা ১৯৩৪ এর ট্রায়াম্ফে মুড পুরো আলাদা; হিটলারজুগেন্ড বাচ্চাদের ড্রাম পেটানো থেকে মজুরদের কোদাল চালানো সবকিছুকেই একটা মিলিটারি ধাঁচ দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ মাত্র এক বছরেই জার্মান রাজনৈতিক ও সামাজিক আবহাওয়ার বদল কতটা হয়েছে সেটা বোঝা যায়।

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আশা করি মুভিটা দেখব।

হিটলার যদি ক্ষমতায় বসার পরপরই পুরো জার্মানিকে নাতসিঃকরণ না করতেন তাহলে তিনি টিকতে পারতেন না। এই কারণেই এত দ্রুত জার্মানির রাজনৈতিক ও সামাজিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে।

২৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার সিরিজ কি শেষ? নতুন পোস্ট কবে পাব?

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: না রে ভাই। আরো মিনিমাম ৭-৮টা পোস্ট হতে পারে। রেডি হইতেসে, সবুর করেন। আপনার কি অবস্থা? আপনে তো মনে হয় সামুর শ্রেষ্ঠ রিসার্চার।

২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৪

সক্রিয় বলেছেন: khub sundor liksen.......+++

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: +++++++++++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ

২৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

joos বলেছেন: আগের লেখাগুলো থেকে এটা কিছুটা ভিন্নধর্মী দেখে ভাল লাগছে। যারা পুরো সিরিজ ফলো করবে, তাদের কেউই লেখাগুলো পড়ে একঘেঁয়ে বোধ করার কথা না (যার জন্য আপনার লেখার বিশেষ প্রশংসা করতেই হয়)। তারপরও যদি কেউ কিছুটা একঘেয়ে বোধ করে, তাদের জন্য এই লেখাটা বেশ কাজে দিবে।

ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস ওভাররেটেড বললেন কিভাবে?!?!? ট্রায়াম্ফ অব উইলের মত বাস্তব প্রামাণ্যচিত্র কিংবা ডাউনফলের মত সম্পূর্ণ সত্য ঘটনাকে উপজীব্য করে না লেখা হতে পারে। কিন্তু ইতিহাসের ছায়া অবলম্বনে সেমি-ফিকশন হিসাবে তো বাস্টার্ডোস বেস্ট অফ দা ক্লাস! প্রত্যেকটা অভিনেতার অভিনয়ই অসাধারণ।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, প্রায় প্রতিটা পোস্টে মন্তব্য করবার জন্যে।
ইনগ্লরিয়াস কোয়েনটিন টেরেন্টিনোর একটি অনবদ্য ছবি। কিন্তু আমার কেন জানি ভালো লাগেনি। হয়তবা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এরূপ সেমি ফিকশন ছবি আমার পছন্দ নয়। ওভাররেটেড সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত।

২৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: এই পর্বটাকে "The Triumph of the Will" এর রিভিউ বল্লেই বেশি মানাবে। তবে পড়তে ভালো লেগেছে।

ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস অভিনয় শৈলীর জন্যই বোধহয় বেশি ভালো লেগেছে।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম, এই পর্বটাকে ট্রায়াম্ফের রিভিউ বললেই ভালো বলা হবে।

আসলেই, ইনগ্লোরিয়াসের একটা ভালো দিক হল তার কাস্ট এর অনবদ্য অভিনয়। বিশেষ করে ক্রিস্টফ ওয়ালট্‌জ তো দুর্দান্ত ছিল।

২৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

joos বলেছেন: আপনার পোস্টগুলোতে মন্তব্য না করাটাই একরকমের অপরাধ হয়ে যায়। আফসোস হচ্ছে ইতিহাস জানার ব্যপক আগ্রহ থাকলেও জানি খুবই কম। কিছু জানা থাকলেও অনেক ইনফো শেয়ার করতে পারতাম। যেহেতু জানি না, তাই শুধু মন্তব্য করেই উৎসাহ যোগানোর চেষ্টা করছি।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.