নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিং টাইগার

When i was five years old my mother always told me that happiness was the key to life. When I went to school, they asked me what I wanted to be when i grew up. I wrote down happy. They told me I didn't understand the assignment, I told them they didn't u

উৎকৃষ্টতম বন্ধু

নামের সার্থকতা রক্ষার চেষ্টায় আছি।

উৎকৃষ্টতম বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(অষ্টম পর্ব) "যে সমাজে বই পুড়িয়ে ফেলা হয়, সে সমাজের মানুষগুলোর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়তি নির্ধারিত।"

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭



***

সিংহাসন দখল করাটা নিঃসন্দেহে একটা কঠিন কাজ। কিন্তু তা টিকিয়ে রাখাটা আরও কঠিন। এই বাক্য দুটির সত্যতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। ইতিহাস ঘাটলে এ সম্পর্কে ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যাবে বৈকি। ১৯৩৩ সালে, হিটলার যখন জার্মানির সিংহাসনে আসীন হন, তিনি ভালো করে জানতেন, এই সিংহাসনটি আঁকড়ে ধরে রাখাটা হবে একটি দুঃসাধ্য কাজ। তবে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা ছিল। হিটলার এবং তাকে ঘিরে থাকা তার অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু দুর্জন অমাত্যগণেরা ভালো করেই জানতেন কি করে এই পরম আরাধ্য ক্ষমতাকে এবং সেই সাথে নাৎসি আদর্শবাদকে টিকিয়ে রাখতে হয়।



পোস্টের এই পর্যায়ে এসে পাঠকদের কাছে একটি প্রশ্ন করতে চাই। তা হল, আপনাকে যদি হিটলারের মত, একটি রাষ্ট্রের একনায়ক বানানো হয়, তবে আপনি কি করে আপনার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখবেন? অনেকে বলবেন যে জনগণের মন জয় করার মাধ্যমে ক্ষমতা নিঃসন্দেহে টিকিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু, আপনার মনে যদি আগে থেকে কোনো ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা থেকে থাকে, এবং আপনি যদি আপনার রাষ্ট্রের জনগণকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে কাজ এ লাগাতে চান, তখন আপনি কি করবেন?



****



এবার চলুন তবে দেখে আসি, হিটলার এক্ষেত্রে কি করেছিলেন। হিটলার যা করেছিলেন, সোজা কথায় তাকে মগজ ধোলাই বলা যাবে। জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্যে প্রয়োজন ছিল জনগণের শত্রুর। হিটলার এতই চালাক ছিলেন যে, তিনি জনগণের একাংশকেই(ইহুদী, কমিউনিস্ট, সমকামী, জিপসি) শত্রু দাবি করে বসলেন।সহস্রাব্দ পুরোনো ইহুদী-খ্রিষ্টান বৈরিতা তো ছিলই, সেই সাথে ইহুদীদেরকে দোষারোপ করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরাজয়ের জন্যে। কমিউনিস্টদের সাথে রেষারেষি এবং শত্রুতা জার্মানদের আগে থেকেই ছিল। হিটলার সেই আগুনে ঘি ঢেলে দেন মাত্র।



এরপর হিটলার সৃষ্টি করলেন জাতিগত বৈষম্য। জার্মানরাই হল প্রকৃত আর্য। বাকি সবাই অনার্য। এভাবে তিনি সাধারণ জার্মান জনগণের ইগোকে নিয়ে গেলেন আরেকটি ধাপে। হিটলারের ব্রেন ওয়াশের শিকার জার্মানরা ভাবতে শুরু করল যে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জাতি।



হিটলারের পরবর্তী মাস্টার প্ল্যান ছিল আরও পরিষ্কার। ঘোরের মধ্যে থাকা জার্মানদের মস্তিষ্ক থেকে চিরতরে হিটলারের শত্রুদের স্মৃতি মুছে দেওয়া। এটাই ছিল তার মাস্টার প্ল্যানের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা শত্রুর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলে জনগণ কোনো একদিন শত্রু শিবির কর্তৃক আকৃষ্ট হতে পারে। এই কারণে পৃথিবীর বুক থেকে শত্রুর চিহ্নটুকুও মুছে দেওয়া প্রয়োজন। মুছে দেওয়া প্রয়োজন তাদের আদর্শকে। যাতে বিভ্রান্ত মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে যে নাৎসিবাদই হল এক ও অদ্বিতীয় আদর্শ। এছাড়া আর কোনো আদর্শ কখনো ছিল না।।



হিটলারের সৌভাগ্য, সেই সময় তিনি কয়েকজন অত্যন্ত মেধাবী অমাত্যের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তারাই হিটলারের স্বপ্নের থার্ড রাইখ সৃষ্টির পথটিকে মসৃণ করে তুলেছিলেন।



****



একটি আদর্শকে হত্যা করার জন্যে যা প্রয়োজন তা হল, সেই আদর্শের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সকল সৃষ্টিশীল কর্মকে ধ্বংস করে ফেলা। এতে সমসাময়িক জনগণের মন থেকে ওগুলোর স্মৃতি ধীরে ধীরে মুছে যাবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো এগুলো সম্পর্কে জানতেই পারবে না।



***



১০ই মে, ১৯৩৩ সাল।



রাত।



বার্লিনের উইলহেম হামবোল্ট ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। সকলে মূল ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কান্ড কারখানা দেখছে। তাদের সামনে দিয়ে কয়েক হাজার ছাত্র এবং S.A সৈন্য দুহাত ভরে বই নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে এবং বিপুল বিক্রমে বইগুলো একটি বিশাল অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করছে। বইগুলো মূলত সংগ্রহ করা হয়েছে ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী থেকে। এছাড়া অনেকে তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বইগুলো নিয়ে এসেছেন। বইগুলো তাদের কাছে বিষের নামান্তর। এগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না।



ধীরে ধীরে বই পোড়াতে আসা ছাত্রের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়ে যায়। এরা সকলেই নাৎসি পার্টির স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের সদস্য। তারা এক মহৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডটি সম্পাদন করছে। তা হল জার্মানির বুক থেকে চিরতরে শত্রুর আদর্শকে মুছে দেওয়া। তারা জানত, একটি আদর্শকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার উত্তম মাধ্যম হল বই। এই কারণে আপাত মুল্যহীন অমূল্য বইগুলো নিক্ষিপ্ত হচ্ছে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে।















এরই মাঝে ঘটনাস্থলে উদয় হন, সরকারি প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার যোসেফ গোয়েবলস। তার আগমনের কথা ভেবে আগে থেকেই বক্তৃতা প্রদানের জন্যে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। গোয়েবলস সেদিন মঞ্চে উঠে বললেন চরম সাম্প্রদায়িক কিছু কথা।



"আজ রাতে উগ্র ইহুদীবাদী চিন্তাধারার যুগের অবসান ঘটল। ভবিষ্যতের জার্মান জনগণ শুধুমাত্র একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হবেন না, তিনি হবেন একজন চরিত্রবান ব্যক্তি। এই যুগের পরিসমাপ্তির মাধ্যমে, আমরা আপনাদের শিক্ষা দিতে চাই। শিক্ষা দিতে চাই তারুণ্যের। শিক্ষা দিতে চাই, এক বুক সাহস নিয়ে মৃত্যুভয়কে জয়ে করার। যাতে আপনারা মৃত্যুকে শ্রদ্ধা করতে শেখেন। এই শিক্ষা গ্রহণ করে তা লালন করার কাজ তরুণ সমাজের। আজ যারা এই ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, তাদের জন্যে রয়েছে আমার প্রশংসা। প্রশংসা, কারণ, আজ এই রাতে, আপনারা অতীতের ভয়ানক প্রেতাত্মাগুলোকে ভস্মীভূত করছেন। এই মহান কর্মকান্ডের মাধ্যমে আজ সমস্ত পৃথিবীকে জানিয়ে দেওয়া গেল যে, আজ নভেম্বর রিপাবলিক(ওয়াইমার রিপাবলিক সরকারকে নভেম্বর রিপাবলিক বলা হত। কেননা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা আত্মসমর্পণ করেছিল নভেম্বরে। সেই সময় ওয়াইমার রিপাবলিক সরকার ক্ষমতায় বসেছিল।) সরকার কর্তৃক সৃষ্ট আদর্শের যবনিকাপাত ঘটেছে। আজ এই অগ্নিকান্ডের ভস্ম থেকে ফিনিক্স পাখির মত এক নতুন আদর্শের সূচনা ঘটল..."



গোয়েবলস।



****



সেই রাতে, প্রায় ২০০০০ ভলিউম বই পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটাতো শুধুমাত্র বার্লিনের হিসাব। জার্মানির অন্যান্য অঞ্চলের ইউনিভার্সিটির নাৎসি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের ছাত্ররা S.A এর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে কত ভলিউম বই পুড়িয়ে ফেলেছিল, তার ইয়ত্তা নেই। ছাত্রদের প্রকাশ্য উসকানিতে অনেক সাধারণ ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ এই জঘন্য কাজে যোগ দেয়। বইগুলোর দোষ হল, তারা ইহুদী লেখক দ্বারা রচিত। তাদের দোষ হল, তারা অনার্য কর্তৃক রচিত। বইগুলো দোষী, কারণ তারা নাৎসিবাদ ব্যতীত অন্যান্য আদর্শের উপর ভিত্তির উপর রচিত। তারা দোষী, কারণ তারা মানবতার কথা বলে। তারা প্রচার করে শান্তির বাণী, তারা প্রচার করে "যুদ্ধ নয়, শান্তি।"



****



সেদিন রাতে পুড়িয়ে ফেলা হয় পৃথিবী বিখ্যাত অগণিত লেখকের অগণিত বই। হেনরি বারবুসে, ফ্রানয বোয়াস, জন ডস পাসস, আলবার্ট আইনস্টাইন, লায়ন ফিউখট-ওয়াঙ্গার, ফ্রেদ্রিখ ফর্স্টার, সিগমুন্ড ফ্রুয়েড, জন গ্যালস্‌ওয়ার্থি, ম্যাক্সিম গোর্কি, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, হেলেন কেলার, আন্দ্রে গিদে, ভেরনার হিগেম্যান, এরিখ ক্যাস্টনার, আলফ্রেড কের, জ্যাক লন্ডন, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, লিও তলস্তয়, ওয়ালথার রাথনেউ, কার্ল মার্ক্স, এইচ.জি.ওয়েলস প্রমুখ বিখ্যাত লেখকের বই সেদিন ভস্মীভূত হয়।



****



বাইরের পৃথিবীতে এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দেশে নিন্দার ঝড় উঠে। প্রায় সকলেই এই ঘটনার জন্যে নাৎসি প্রোপাগান্ডা মন্ত্রনালয়কে দায়ী করে।



বিখ্যাত আমেরিকান লেখিকা হেলেন কেলার(তার বইগুলোও এই ভয়াবহতার শিকার) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান, তিনি লেখেন, "যদি তোমরা ভাব যে, মানুষের চিন্তাভাবনার উপর তোমরা রাস টেনে ধরতে পারবে তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তোমরা ইতিহাস থেকে কিছুই শিখতে পারোনি। শোষণকারীরা পূর্বেও মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা পেরে উঠেনি। কাল থেকে কালান্তরে ঠিকই মানুষের মধ্যে থেকে নতুন চিন্তাধারা এবং আদর্শের সৃষ্টি হয়েছে।"



তিনি আরও লেখেন, "তোমরা আমার বইগুলো এবং সেই সাথে ইউরোপের অগণিত মেধাবী লেখকের বইগুলো পুড়িয়ে ফেলতে পার। কেউ তোমাদের বাঁধা দিবে না। কিন্তু যে আদর্শ এই বইগুলো এতদিন বহন করেছে, সেগুলো কখনো ধ্বংস হবার নয়। আমার সবচেয়ে দুঃখ লাগে এই ভেবে যে, এই জীবনে বই লিখে যত পয়সা আমি উপার্জন করেছি, সবগুলোই আমি দান করে দিয়েছি জার্মানির উদ্দেশ্যে। বিশ্বযুদ্ধ(১ম) পরবর্তী তাদের কষ্টের কথা ভেবে। তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে তোমরা কি রেখে যাচ্ছ, তা ভেবে আমার দুঃখবোধ হচ্ছে।"



****



হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণেরও প্রায় একশত বছর পূর্বে, হাইনরিখ হাইন নামক একজন জার্মান ইহুদী কবি নিতান্ত দুঃখের সাথে বলেছিলেন, "যে সমাজে বই পুড়িয়ে ফেলা হয়, সে সমাজের মানুষগুলোর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়তি নির্ধারিত।"



****



১৯৪৫ সাল, ১ মে।



রাত ৮টা ১৫ মিনিট।



ফুয়েরার বাঙ্কারের বাগানে নিজেকে কিছুটা আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছেন S.S Hauptsturmführer গুনথার শোয়েগারম্যান। কিছুক্ষণ পর তিনি দুটি গুলির শব্দ শুনতে পেলেন(এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে, ফুয়েরার বাঙ্কার থেকে কয়েক বিল্ডিং দূরে সোভিয়েতরা অবস্থান করছিল। সেখানে প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল। এই বিষয়ে, ভবিষ্যতে অন্য কোনো পোস্টে আলোচনা হবে হয়ত।)। তিনি তাড়াতাড়ি আড়াল থেকে বের হয়ে আসেন এবং মাটিতে দুটো লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। একটি প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার যোসেফ গোয়েবলসের এবং অপরটি তার স্ত্রী মাগডা গোয়েবলসের। শোয়েগারম্যান তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার দলকে ইঙ্গিত করলেন লাশ দুটোকে তুলে নেবার।



পূর্ব পরিকল্পনা মত লাশ দুটোকে একই সাথে একটি কবরে ফেলা হল। শোয়েগারম্যান হাত কাঁপছিল। তার চেহারাটা ছিল বিষণ্ণ। তার সৈন্যরা তার পাশে দাঁড়িয়ে কয়েক ব্যারেল গ্যাসোলিন ঢেলে দিল লাশের উপর।

তেলের মজুদ শেষ হয়ে এসেছিল, যার কারণে দুটো দেহ সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলার মত তেল তাদের কাছে ছিল না। তেল ঢালা শেষ হলে সৈন্যগুলো পিছনে এসে দাড়ালো। শোয়েগারম্যান এরপর তার পকেট থেকে একটি ম্যাচ বের করে তাতে আগুন ধরালেন এবং তা নিক্ষেপ করলেন লাশগুলোর উপর।



আগুনের তেজ সইতে না পেরে তিনি পিছিয়ে আসলেন। আর ওদিকে কবরে দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো গোয়েবলস দম্পতি।



প্রায় ১০০ বছর আগে করা ইহুদী কবি হাইনরিখ হাইনের দুঃখগাথা বাস্তবরূপ পেল।



****

স্মৃতিসৌধ। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে।



ভস্মীভূত গোয়েবলস।



****

এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(সপ্তম পর্ব) গেস্টাপো(GeStaPo)



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(ষষ্ঠ পর্ব) The Triumph of the Will(ছবি+মুভি ব্লগ)



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৫ম পর্ব) "হিটলার, জার্মানির ফুয়েরার"।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)



****



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাড়াতাড়ি পড়লাম, বেশ তাড়াতাড়ি । কিন্তু

১৯৪৫ সাল, ১ মে।

রাত ৮টা ১৫ মিনিট।
- এখানে চোখ আটকায় নি। তাই ঘটনাটা ধরতে পারছিলাম না , কি ব্যপার এত বিশাল ক্ষমতায় বই পোড়ানোর সাথে সাথেই কে তাকে মেরে ফেলল? কেন? ঘটনা কি ?

পরে দেখলাম সময়ের ব্যবধান ! বিশ্ব যুদ্ধের আগের ও পরের ঘটনা! বুঝলাম।

এই জায়গায় একটা ব্রেক দিলে আমার মত পাঠকরা ধাক্কা কেতো না! ব্লগের বেশীর ভাগ পাঠকই দ্রুততাবাদী, প্রায়ই সন্দেহ হয় লেখা আদৌ কেউ পড়ে কি না! নাকি খালি ক্লিক - কমেন্ট - লাইক দিয়ে যায় ?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম, বিশ্বযুদ্ধ শেষের দ্বারপ্রান্তে এসে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মহত্যা হত্যা করেন। তার শরীরটা ঠিক মতো ভস্মীভুত হতে পারেনি, গ্যাসোলিন খুব কম ছিল। আর সেই সাথে সোভিয়েত বাহিনী ছিল মাত্র কয়েক বিল্ডিং দূরে। তার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে হিটলারের দেহও পোড়ানো হয়। অনেক দূর থেকে লাশ পোড়ানোড় গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সোভিয়েতরা বুঝে ফেলে কি ঘটছিল। হিটলারের মৃত্যুর পরও কিন্তু এস.এস রা যুদ্ধ করে গিয়েছিল। সর্বশেষ ভয়াবহ যুদ্ধ হয় রাখস্টাগ বিল্ডিং এ। জাপানেও কিন্তু তখনো যুদ্ধ চলছিল। ব্যাটল অফ ওকিনাওয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্যে। না খটকা লাগলে বুঝা যেত যে আপনি ঠিকমতো পড়েননি।

ভাই, জ্ঞানগর্ভ পোস্ট তো, মানুষ এগুলা সহজে পড়তে চায় না।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যথারীতি আমার ভাল লাগার বিষয়গুলো নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: কান্ডারী অর্থব ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে। অবশ্য ভালো লাগার বিষয় বলছেন যেহেতু, কষ্ট অনুভব করার কথা না।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

বোকামন বলেছেন: একটি আদর্শকে হত্যা করার জন্যে যা প্রয়োজন তা হল, সেই আদর্শের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সকল সৃষ্টিশীল কর্মকে ধ্বংস করে ফেলা


সম্মানিত ব্লগার,
লাইনটি আপনার লেখার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন অংশ ....

পোস্টে কৃতজ্ঞতা ..

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, বোকামন। পাশে থাকবেন আশা করছি।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:








যাঁরা করে ইতিহাস বন্দনা
তাঁরা আমার চিরচেনা,
আমি খুঁজি তাঁদের মোহনা
ইতিহাস আমাকে করে আনমনা।
মনে বড় আশা ছিল:
ইতিহাস নিয়ে করব গবেষণা
লেখাপড়া বেশি জানি না!
তাই সে আশা পূরণ হলো না!!!
......................................


ভালো লাগল।অনেক তথ্য জানা হল।
সেজন্য জানাই কৃতজ্ঞতা
চালিয়ে যান প্রিয় মিতা।

+++++++++++++++


আপনার ফেবু আইডি যদি থাকে,দয়া করে জানাবেন।



ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই বাঁধনহারা, আমার তো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই রে ভাই। যদি আবার কোনোদিন খুলি আমি অবশ্যই আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠাবো। আপনার অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক একবার আপনি দিয়েছিলেন আমাকে।

অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: একটি আদর্শকে হত্যা করার জন্যে যা প্রয়োজন তা হল, সেই আদর্শের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সকল সৃষ্টিশীল কর্মকে ধ্বংস করে ফেলা .......একই ভাবে একটা জাতিকে পঙ্গু করে দেবার জন্য যা প্রয়োজন সেটা হলো সকল বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক মোটকথা সকল প্রগতিশীল লোকজনদের মেরে ফেলা, যে কাজটা পাকিরা করেছিল বাংলাদেশে এবং এর ফল কিন্তু আমরা এখনও ভোগ করছি।

খুব চমৎকার পোস্ট....

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আসলেই আপু, যারা বাঙ্গালী জাতিটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত তারা আজ নাই। রাও ফরমান আলী আর রাজাকাররা আমাদের বিশাল বড় ক্ষতি করে দিল।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

saamok বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ভ নিয়ে প্রচন্ড কৌতুহল আছে বিশেষত সে সময়ে পরিচালিত কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বিষয়ে। ভয়ংকর ১০ নম্বর বিল্ডিং এবং সেই সব অমানবিক কর্ম-জজ্ঞ। হিটলারের ক্ষমতায় আরোহন এবং প্রস্থানের মাঝে এই সব কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলিতে যে নির্মম অমানবিক নির্যাতনের ইতিহাস রচিত হেয়েছে তা মানব সভ্যতায় আর কখনও কাম্য নয়।

সুন্দর ভাবে ভয়ংকর কুৎসিত বিষয়গুলিকে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ সামক। পুরো ইতিহাস লেখারই ইচ্ছা আছে। আশা করি পাশে থাকবেন।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট সুন্দর

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

আহমেদ রিজভী বলেছেন: জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্যে প্রয়োজন ছিল জনগণের শত্রুর। হিটলার এতই চালাক ছিলেন যে, তিনি জনগণের একাংশকেই শত্রু দাবি করে বসলেন । সহস্রাব্দ পুরোনো ইহুদী-খ্রিষ্টান বৈরিতা তো ছিলই, সেই সাথে ইহুদীদেরকে দোষারোপ করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরাজয়ের জন্যে । যেমন আজ বাংলাদেশে হচ্ছে । যাই হোক আপনার এই ধারাবাহিক পোষ্টগুলো গত পর্বে এক নিঃশ্বাসে পড়েছি । খুব ভাল লেগেছে । পোষ্টে++++

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা, ভাল লাগল।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার লেখাগুলি সময় নিয়ে পড়তে হবে। অনেক লেখা মিস করেছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ওককে

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: এরপর হিটলার সৃষ্টি করলেন জাতিগত বৈষম্য। জার্মানরাই হল প্রকৃত আর্য। বাকি সবাই অনার্য। এভাবে তিনি সাধারণ জার্মান জনগণের ইগোকে নিয়ে গেলেন আরেকটি ধাপে। হিটলারের ব্রেন ওয়াশের শিকার জার্মানরা ভাবতে শুরু করল যে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জাতি।[/sb

এইটা কিন্তু একটু ওভার সিম্পলিফিকেশন হয়ে গেল। শ্রেষ্ঠ জাতির কনসেপ্ট হিটলারের একার তৈরি নয়, কাইজারী আমলেই এটা খুব চালু ধারণা ছিল। একবার চীনে একজন ইউরোপিয়ানকে খুন করা হয়েছিল, সেজন্য চীনাদের সাজা দিতে কাইজার প্রচুর সৈন্য পাঠিয়েছিলেন এবং তাদের প্রতি বিদায়বেলায় যে বক্তৃতাটি রেখেছিলেন হিটলারও বোধহয় তার প্রকাশ্য বর্বরতায় লজ্জা পেতেন। ( Kaiser Wilhelm II Hunenrede লিখে গুগল করুন)।
জানলে অবাক হবেন, প্রথম এক্সটারমিনেশন ক্যাম্প হিটলার বানাননি, বানিয়েছিলেন কাইজার; নামিবিয়ায় ; কালো চামড়ার মানুষদের বিদ্রোহ দমন করতে।

আপনি কাইজারী জার্মানির অন্যতম পরিচিত দার্শনিক নীৎশের লেখায় এরকম রেসিজম ও নিজেদের প্রভু মনে করার মানসিকতার প্রচুর খোরাক পাবেন । সুরকার ভাগনারও তার বিকল্প নন।


আপনার কথাটা পাঠকদের মধ্যে ইতিহাসের খণ্ডদর্শনের জন্ম দিতে পারে। এটা বোঝা আমার মতে খুবই জরুরি, যে হিটলার কোন একটা আইসোলেটেড ঘটনা নয়, বরং জার্মান তথা ইউরোপীয় রেসিজমের অনিবার্য পরিণতি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: দাদা, আমি এটা বলতে একদম কুণ্ঠিত হচ্ছি না যে, আমার জ্ঞানের পরিধি অনেক কম। আমি যা জ্ঞান অর্জন করেছি, সবগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে। এর আগে অথবা এর পরের কাহিনী এখনো আমার অজানা।

আসলে মাইন কাম্ফ পড়ে আমার মনে হল যে, হিটলার জার্মান জনগণের উপর তার জাতিগত বৈষম্যের কনসেপ্টটা চাপিয়ে দিতে চান। এই কারণেই অমনটা বললাম।

আপনি একটি সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন। আমি সেটা মেনে নিলাম। লেখায় কিছু সংশোধন করে নিব তাহলে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার ভাইয়া। অনেক ভালো লাগা থাকল।

অন্যায় করে কেউ কখনও পার পায়নি ভবিষ্যতেও পাবেনা নিশ্চয়- এই আশায় সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অন্যায় করে কেউ কখনও পার পায়নি ভবিষ্যতেও পাবেনা নিশ্চয়- এই আশায় সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।

আমিও। আশা করি ভালো আছেন।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

পোসেইডন বলেছেন: আমার মতে বিশ্বের কোঁথাও যেন কোনখানেই কোন আদর্শীক বুদ্ধিজীবি/লেখক/বই ধবংশ করা/হত্যা করা নিষীদ্ধ করতে হবে। সমসাময়িক ঘটনা যখন ঘটে তখন হুজুগের মাথায় অনেকেই অন্যায়কে সমর্থন করে যায় কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এর জন্যে পুরো বিশ্বকেই অনেক ভার বহন করতে হয়।

আশা করি বুঝছেন কি বলতে চাইছি

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: জি ভাই, বুঝতে পেরেছি। আসলে প্রত্যেক মানুষ তার কুপ্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখতে পারলেই তবে পৃথিবীতে কোনো অশান্তি হবে না।

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গোয়েবলস এর মতো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো হিটলার আর এভা ব্রাউন এর দেহ। সূত্রঃ হিটলার- সৈয়দ মুজতবা আলী।

বন্ধুদের সম্পর্কে হিটলারের মন্তব্যঃ God made relatives. Thank
God I can choose my friends. যোগ্য নেতার যোগ্য বন্ধু ছিলো। কি বলেন?

একটু দেরী হলো আসতে, পড়তে তবু আগের মতোই সাবলীল। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম, বন্ধু।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হাহ হাহ হাহ, ভাই, এইটা তো সার্বজনীন কথা যে তাদের পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর জন্যে লিঙ্ক দিতে হয় নাকি।

অনেক দিন পর আজ ব্লগে আসতে পারলাম। এতদিন ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত ছিলাম। শুধু হাঁসফাঁস করেছি। মনে হচ্ছিল যে আমার অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনো অংগহানি হয়েছে।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১০

সক্রিয় বলেছেন: যদি তোমরা ভাব যে, মানুষের চিন্তাভাবনার
উপর তোমরা রাস
টেনে ধরতে পারবে তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি,
তোমরা ইতিহাস থেকে কিছুই শিখতে পারোনি।....vai next part koba deban.

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: কয়েকদিনের মধ্যেই দিব ভাই। এতদিন নেট ছিল না।

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৪

গেস্টাপো বলেছেন: বর্তমান সরকারের সাথে মিল আছে বৈকি :)

জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্যে প্রয়োজন ছিল জনগণের শত্রুর। হিটলার এতই চালাক ছিলেন যে, তিনি জনগণের একাংশকেই শত্রু দাবি করে বসলেন । সহস্রাব্দ পুরোনো ইহুদী-খ্রিষ্টান বৈরিতা তো ছিলই, সেই সাথে ইহুদীদেরকে দোষারোপ করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরাজয়ের জন্যে

বিয়াপক জ্ঞানি লেখা।পুলকিত হইলাম :)

শুধু হি এর স্থানে হা
ট এর স্থানে সি
ল এর স্থানে না লাগিয়ে দিলেই হল :D :D

যাক পোস্ট এ ভাল লাগা দিয়ে গেলাম
জয় বাংলা =p~

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আরে ভাই, বর্তমান সরকার নিয়ে আর কি বলব। কাদের মোল্লাকে তারা ফাসি দিয়ে দিলেই পারত। সাঈদীর চেয়েও তার অপরাধ গুরুতর। কিন্তু নির্বাচনে জিতার জন্যে, জনগণের সমর্থনের পাল্লাটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যে তারা যা করল। পরবর্তী নির্বাচনে তারা জিতলে আমি বলব, ওয়েল প্লেইড, হাম্বালীগ।

হাসিনান্টি আসলেই ট্যালেন্টেড, তার অমাত্যরা আসলেই অনেক ধূর্ত।

বাংলাদেশের রাজনীতির উপর আমি চরম বিরক্ত। বিএনপিও ধোয়া তুলসিপাতা পাতা নয়।। ক্ষমতায় উঠার পর সোনার ছেলে তারেক কোকো অ্যান্ড গং রা যে তান্ডব চালায়, তা আর কি বলব।

আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা কর।

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: হিটলার আর তাঁর পরিচালিত নাজিবাহিনীর নীতির সাথে জামাত-শিবিরের নীতিআদর্শ আর লক্ষের মাঝে তফাৎ সামান্য বরং অনেক ক্ষেত্রেই তা একই।বিএনপিতেও এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই, বাংলাদেশের রাজনীতির উপর আমি চরম বিরক্ত। আপনি আওয়ামীপন্থী হলে হজম করতে কষ্ট হবে কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের জন্যে ঘৃণা ছাড়া আমার মনে আর কিছুই নেই।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আজব। এইভাবে এতগুলা বই পুড়িয়ে ফেলল?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: জী ভাই। পাগলামি করল আর কি।

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুন! দারুন! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাকেও খুব টানে, বই পোড়ানর এই ঘটনাটা একেবারেই জানা ছিল না। আপনার লেখার ভঙ্গিও দুর্দান্ত!

অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম!

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০

সপ্নীল বলেছেন: কেমন আছেন আপনি? আশা করি ভাল আছেন।

অনেকদিন পর লগইন করলাম। ইদানিং আপনার লেখা চোখে পড়েনি তাই ভাবলাম ব্যাস্ত হয়ত, আজকে একটু খুজেঁ দেখি নতুন পর্ব। বরাবরের মত অসাধারন আর অজানা সব তথ্য, অন্তত আমার জন্য অজানা!! আপনার লেখা পড়া শুরু করলেই মনে হয় শেষ হয়ে গেল!! বুঝতে পারছি এমন তথ্যবহুল লেখা লিখতে আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হয়, তার পরেও আরেকটু টেনে বড় করবেন লেখা। শুরু করলেই কেন শেষ হয় বলুন!!

ভাল থাকুন আরো লিখুন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে আমি একটু ব্যস্ত। আমার নিজেরই খারাপ লাগছে যে আমি পোস্ট দিতে পারছি না। অন্তত এই সিরিজটা শেষ করা উচিত। পরের পর্বের ছক অবশ্য তৈরি করে রেখেছি। ইনশাআল্লাহ সেগুলোর আকার আপনাকে নিরাশ করবে না।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

হতভম্ব মানুষ বলেছেন: পোস্ট বরাবরের মত এবারো ভাল ।

আর একটু বড় পোস্ট আশা করছিলাম।সিরিজটা আর কত টুকু হবে জানালে ভাল হত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

পরবর্তী পোস্টগুলো বড় হবে ইনশাআল্লাহ। সিরিজের পরবর্তী পোষ্টে জার্মানির সমরাস্ত্রীকরণের বিষয়টি উঠে আসবে। সিরিজ শেষ হবে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্যে দিয়ে। ব্যস্ততার কারণে পোস্ট দিতে পারছি না এই কারণে ক্ষমাপ্রার্থী।

২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৩

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়েছিলাম , আজ লগিন করে শুধু ভালোলাগা টুকু জানিয়ে গেলাম

১৩ তম +

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটা সিরিজ লেখার জন্য।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যানিবল লেক্টর। :P :P

২৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার পোষ্টগুলো দেখলাম। দারুন তথ্যবহুল অন্যদিন এসে সবগুলো পড়ে মন্তব্য করব। একটাও মিস করতে চাই না। তাই অনুসারিত করে নিলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আমার লেখাগুলো পড়ে আপনি নিরাশ হবেন না।

২৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বাংলার হাসান বলেছেন: সিংহাসন দখল করাটা নিঃসন্দেহে একটা কঠিন কাজ। কিন্তু তা টিকিয়ে রাখাটা আরও কঠিন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: জী ভাই, এই পৃথিবীতে সবসময় তাই হয়ে আসছে

২৬| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: অনুসরন করলাম :)

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: নতুন পোষ্ট কই?

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক দিন পর আমার ব্লগের মন্তব্য ঘরে দেখলাম(সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন এই ঘরে আপনাকে কখনো পাওয়া যায় না, হা হা হা)।

সত্যি বলি, এই কয়েক মাসে পড়াশুনার চাপে ব্লগে লেখাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবে এই মাস থেকে আবার লেখালেখি শুরু করব এই আশাই করি।

আপনাকে এখানে দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা।

২৮| ০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

এম এম ইসলাম বলেছেন: কি ব্যপার? কোথায় ডুব মারলেন?

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই আপনি কেমন আছেন?

ডুব মারি নাই। পড়ার চাপে মাথা নষ্ট ছিল। তবে ইনশাআল্লাহ কয়েক দিনের মধ্যে আবার লেখা শুরু করব।

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১

আশাফ আনিস বলেছেন: pilach and osthir!!!

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আশাফ আনিস।

৩০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৬

গাধা মানব বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। :)

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হুম চেষ্টা করেছি। তবে আরও অনেক তথ্য সংযোজন করা যেত বোধহয়।

৩১| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

চন্দ্রমিতা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ত্ত শ্রদ্ধা জানাই । আপনার প্রতিটি পোষ্ট পড়েছি, অসাধারন !!!!!! অনেক কিছু জানলাম ।

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চন্দ্রমিতা। ভবিষ্যতে যদি ইনশাআল্লাহ লেখালেখি চালিয়ে যাতে পারি তবে আশা করছি আপনাকে পাঠক হিসেবে পাওয়া যাবে।

৩২| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

নতুন বলেছেন: "যে সমাজে বই পুড়িয়ে ফেলা হয়, সে সমাজের মানুষগুলোর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়তি নির্ধারিত।"

কিছুদিন আগে আমাদের দেশেও কোরান পোড়ানো হলো... ( আওয়ামীলীগ বা হেফাজত যেই করুক)

দেশে এমন মানুষও এখন আছে যারা এই রকমের কাজ করতে পারে.. :(

কিন্তু এখনতো ২০১৩ সাল... মনে করতাম মানুষের মনের উন্নতি হয়... কিন্তু কই?????????????????????

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আমি বিরক্ত। এরা কখনো মানুষের কথা ভেবে কিছু করে না। সবসময় নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চিন্তা।

৩৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

নতুন বলেছেন: নিজের দেশ তো তাই চিন্তা চইলা আসে... :( কি করবো বলেন?

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই আমাদের হাত পা বাঁধা। দুই দলের মধ্যে যেই ক্ষমতায় বসে বসুক না কেন, সেই দলই এরপর দূর্নীতি প্রবাহে গা ভাসায় দিবে।

৩৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

joos বলেছেন: এই সিরিজের আগের লেখাগুলোর তুলনায় এতাই সম্ভবত সবচেয়ে কম ক্লাইম্যাক্স আর কম সাসপেন্স। তারপরও গোয়েবলসের মৃত্যুর ঘটনাটা হাইঞ্জের কবিতার সাথে মিলিয়ে বেশ ভাল একটা নাটকীয় আবহ এনেছেন দেখে ভাল লাগল।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। লেখাটি যখন লিখছিলাম, তখনই বুঝতে পারছিলাম যে এতে আগের মতন সাসপেন্স নেই। কিঞ্চিত সাসপেন্স আনার জন্যে হাইনের শরনাপন্ন হতে হল।

৩৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩১

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: পরের ১০ম পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

"হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণেরও প্রায় একশত বছর পূর্বে, হাইনরিখ হাইন নামক একজন জার্মান ইহুদী কবি নিতান্ত দুঃখের সাথে বলেছিলেন, "যে সমাজে বই পুড়িয়ে ফেলা হয়, সে সমাজের মানুষগুলোর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়তি নির্ধারিত।"

কি ঘটে ছিলো হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণেরও প্রায় একশত বছর পূর্বে?

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: হা হা হা ভাই, সেই সময় কি ঘটেছিল তা সম্পর্কে আমার ধারণা নাই। আপনার আগে ব্লগার জুসের কমেন্টটা পড়লেই বুঝতে পারবেন কেন আমি হাইন আর গোয়েবলসকে একসূত্রে গাঁথতে চেয়েছিলাম।

তবে হ্যা হাইন কিন্তু কবি হিসেবে জার্মান সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। উনি অবশ্য ইহুদী হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.