নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুুুৃসা বিন শমশের

মুুুৃসা বিন শমশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. মূসা বিন শমশের জনশক্তি রপ্তানির জনক, শ্রেষ্ঠ রূপকার ও প্রবাদ পুরুষ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৪৮

যিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ভাগ্য প্রবর্তক ও কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণকারী বিস্ময়কর এক স্বপ্নদ্রষ্টা ও সফল পথ-প্রদর্শক যার ঋনের বোঝা বইতে হবে এই জাতিকে অনন্তকাল।





মুহম্মদ সিরাজউদ্দিন-



রেমিট্যান্স- প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের উপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে দেশের অর্থনীতি। আর যার অবিস্মরনীয় মেধা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও একক ভাবে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের জন্য এই শ্রমবাজার সৃষ্টি করেছেন, যার হাত ধরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী অভূতপূর্ব বলিষ্ঠ উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে দেশে আজ বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড পরিমান রিজার্ভ, তিনি আর কেউ নন- বিশ্ব বরেণ্য ধনকূবের ড. মূসা বিন শমশের। রাজকীয় জৌলুসপূর্ণ জীবনধারার জন্য যিনি পৃথিবীজুড়ে প্রিন্স মূসা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের নন্দিত ও আলোকিত গুণীজনদের প্রত্যাশিত জাতীয় স্বীকৃতির অপেক্ষায় বিশ্ব জাতিপুঞ্জে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি যেন থমকে আছে। সম্প্রতি দেশের বনেদী সাপ্তাহিক দ্যা হলিডে এসব বিরল বঙ্গ সন্তানদের জাতীয় স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। সাপ্তাহিকটি যথার্থই বলেছে, এসব বিরল ও গুণীজনের ব্যক্তি বিশেষের প্রয়াণে জাতি প্রকৃত অর্থে শোক প্রকাশ করেনি। এহেন বরেণ্য অনেকেই জীবদ্দশায় জাতীয় স্বীকৃতির আশায় আজও অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। ‘ ঞযব ঁহংঁহম যবৎড়বং রহ ইধহমষধফবংয’ শিরোনামে সূচনা পর্বেই লেখকের কিছু ব্যক্তিগত উক্তি রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও রাষ্ট্র-নায়ক প্রেসিডেন্ট জিয়ার মর্মান্তিক জীবন-অবসানে জাতির ঐক্যবদ্ধ শোক প্রকাশের ব্যর্থতায় এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রাসংঙ্গিকভাবে তিনি কালের বিবর্তনে বিশ্ব বরেণ্য বিরল বঙ্গ-সন্তান প্রিন্স মূসা বিন শমশেরকে অতি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছেন। যার ঋণের ভার এ জাতিকে বইতে হবে অনন্তকাল। কারণ ইহা স্বীকৃত সত্য আধুনিক এই সভ্যতার যুগেও আমরা অর্থাৎ সাধারণ জনগণ বুঝতে চাইনা, খোঁজও রাখি না বা বুঝতে চেষ্টাও করি না যে, একটা দুর্দশাগ্রস্থ সম্প্রদায়, দেশ ও জাতি সমস্ত প্রতিকূল অবস্থাকে পরাজিত করে কিভাবে মাত্র গুটি কয়েক অবিশ্বাস্য এবং অভূতপূর্ব মেধাবী বীরোচিত মানুষের ত্যাগ ও তিতীক্ষার অবদানে বীরদর্পে এগিয়ে যায় আর অর্জিত হয় অমূল্য সম্পদের ভান্ডার। অথচ নীরবে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে স্বার্থপরের মত সেই অমূল্য সম্পদের ভান্ডার ভোগ করে গোটা জাতি অনন্তকাল। আর এই স্বার্থপরতাই একটি সংক্রামক ব্যাধি যা আমাদের জাতীয় জীবনে কলঙ্ক। সম্ভবত আমাদের দীর্ঘদিনের এই কলঙ্ক মোচনের জন্যই দেশের ঐ বনেদী সাপ্তাহিটির এই ঐতিহাসিক আয়োজন।





ইতিহাস স্বাক্ষ্য, ড. মূসা বিন শমশের বাংলাদেশ স্বাধীনতা-যুদ্ধের বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণনাশে ধ্বসেপড়া জাতীয় অর্থনীতি সর্বজন বিদিতভাবে পুনরুদ্ধারে বিস্ময়কর এক অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন যাহা কমবেশী সকলেরই জানা। স্বাধীনতা ইতিহাসে সে এক বিরল অধ্যায়। সে দিনের মাতৃমন্ত্রে দিক্ষিত, এক দূরদর্শী ও অমিত সাহসী তরুণ আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী যদি স্বীয় দীর্ঘ দিন-লালিত স্বদেশের জনশক্তি বৈদেশীকরণে এক বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হতেন, হয়তো আজও বিশ্ব অবাক করা প্রাণবন্ত বাংলাদেশ যুযুসম আরেক সোমালিয়ার ভাগ্য বরণ করতো।



সূত্র- দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট এবং বিটিভি সহ দেশের সমস্ত বেসরকারী বিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ।

লেখক প্রবীন সাংবাদিক ও সম্পাদক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.