![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অকৃতী অধম জেনেও তো তুমি কম করে কিছু দাওনি....
আপনি কি জানেন যে, সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে উসমান রাঃ'র নিজস্ব এ্যাকাউন্ট আছে !!
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, উসমান রাঃ'র অর্থায়নে মসজিদে নববীর পাশে একটি পাঁচতারকা হোটেল নির্মিত হচ্ছে ৷
,
রাসূলের নির্দেশে যখন মুসলমানরা একে একে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করছিলো, তখন মদীনায় মুসলমানদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে লাগলো ৷ ফলে নিত্য মানুষের চাহিদাও বাড়তে লাগলো ৷ মদীনায় মাত্র তিনটি কূপ ছিলো ৷ সবচেয়ে বড় কূপের নাম ছিলো 'রুমা'৷ রূপটির মালিক ছিলো এক কৃপণ ইয়াহুদী ৷ সে পানির প্রতিটি ফোটার চড়া মূল্য নিত ৷ ফলে হিজরত করে আসা দরিদ্র মুসলমানদের জন্য পানি ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়ে ৷
,
উসমান রাঃ মুসলমানদের দূর্বিসহ জীবন দেখে ইয়াহুদীর নিকট কূপটি ক্রয়ের প্রস্তাব করেন ৷ ইয়াহুদী একবাক্যে নাকচ করে দেয় ৷ তিঁনি পুণরায় ইয়াহুদীর নিকট কূপের অর্ধেক ক্রয়ের প্রস্তাব করলেন ৷
ইয়াহুদীর জানা ছিলো যে উসমান রাঃ একজন শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী ৷ ব্যবসায়ীক কলাকৌশল তাঁর ভালো জানা আছে ৷ ইয়াহুদী মনে করলো, উসমান রাঃ কূপের অর্ধেক ক্রয় করে পানির মূল্য দ্বিগুণ করবেন ৷ ফলে ইয়াহুদীর জন্যও পানির মূল্য তিন গুণ করার সুযোগ হবে ৷ তাই ইয়াহুদী কূপের অর্ধেক বিক্রিতে সম্মত হলো ৷
,
একদিনে কূপের যা আয় হবে তা ইয়াহুদী নিবে, দ্বিতীয় দিনে যা আয় হবে তা উসমান রাঃ নিবেন, এই শর্তে উভয়ের মাঝে চুক্তি শাক্ষর হলো ৷
এদিকে উসমান রাঃ যেদিন তাঁর পালা সেদিন কূপ জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেন ৷ মানুষ প্রয়োজনের দ্বিগুণ পানি মজুদ করে রাখে ৷ ফলে যেদিন ইয়াহুদীর পালা সেদিন কেউ কূপে যায় না ৷ এভাবে কিছুদিন পর ইয়াহুদী বাধ্য হয়ে উসমান রাঃ'র নিকট কূপের বাকি অংশ বিক্রির প্রস্তাব করে ৷ উসমান রাঃ বিশ হাজার দিরহাম দিয়ে বাকি অংশও ক্রয় করেন ৷ মদীনাবাসীর জন্য পুরো কূপ ওয়াকফ করে দেন ৷
,
এভাবে শতবর্ষ পর্যন্ত মুসলমানগণ 'রুমা' কূপ থেকে পানি পান করেছিলো ৷ একসময় কূপটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ৷ কূপের চারপাশে খেজুর চাড়া অঙ্কুরিত হতে থাকে ৷ উসমানী খলিফাগণের পরিচর্যায় কূপটিকে কেন্দ্র করে বিশাল খেজুর বাগান তৈরি হয় ৷ বাগানে প্রায় একহাজার পাঁচশত পঞ্চাশটি খেজুর বৃক্ষ আছে ৷ উসমানী আমলে বাগানটি ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ে অধিনে পরিচালিত হতো ৷ প্রতি বছর খেজুর বিক্রি করে অর্ধেক মূল্য এতিম, দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হত ৷ বাকি অংশ ব্যাংকে "উসমান বিন আফ্ফান" নামের এ্যাকাউন্টে জমা করা হতো ৷ সেই জমানো টাকা দিয়ে মসজিদে নববীর পাশে একখণ্ড জমি কিনে সেখানে "উসমান বিন আফ্ফান" নামে একটি পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে ৷ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোটেল থেকে প্রতি বছর পঞ্চাশ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল আয় করা যাবে ৷ যার অর্ধেক এতিম, মিসকীনদের জন্য ব্যয় করা হবে ৷ অর্ধেক জমা করা হবে "উসমান বিন আফ্ফান" এ্যাকাউন্টে ৷
,
সুবহানাল্লাহ,
এই হচ্ছে আল্লাহর সাথে শেয়ার ব্যবসা ৷ যা চোদ্দশত বছরের পুরনো প্রজেক্ট ৷ এই ব্যবসায় কারো কোনদিন লস হয়নি ৷ আল্লাহ আমাদেরকে, হোটেল উসমানে থেকে মসজিদে নববী জিয়ারত করার তাওফিক দান করুক ৷
রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক নবীর একজন করে ঘনিষ্ট সঙ্গী থাকে ৷ আমার ঘনিষ্ট সঙ্গী হলো উসমান ৷
Collected
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যর জন্য আপনাকেউ ধনিয়াবাদ চন্দ্রভুক ভাই....
২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫১
কালনী নদী বলেছেন: রাসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক নবীর একজন করে ঘনিষ্ট সঙ্গী থাকে ৷ আমার ঘনিষ্ট সঙ্গী হলো উসমান ৷
সুন্দর ও তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ জানিবেন কালনী নদী ভাই।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সুন্দর ও তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন নিরন্তর, শুভ কামনা
১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: কষ্ট করে আমাকে খুজেবের করে পোষ্টটা টোড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিবেন....কবি হাফেজ ভাই।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: প্রতি উত্তরের জন্য আপনাকেও অনে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: এবং আপনাকেউ ধন্যবাদ &সাধুবাদ....
৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: শুভকামনা
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৬
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: যাজাকাল্লাহ
খাইরান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১
চন্দ্রভুক বলেছেন: সুন্দর ও তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।