নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।
ছোটবেলা থেকেই আমার রান্না-বান্নার দিকে একটু ঝোক ছিল।মায়ের কাছ থেকে চাল-ডাল নিয়ে ছোট হাড়িতে করে খেচুরি রান্না করতাম।আর এমনি সময়ে মা কোন কারনে বাসায় না থাকলে মনে যেটা ভাল লাগত রান্না করে খেয়ে ফেলতাম। রান্নার প্রতি আমার আগ্রহের কারনে অনেকেই আমাকে মেয়েলী বলত।রান্ন-বান্না করেও যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এটা যদি ছোট থাকতে জানতাম তাহলে রান্নার উপরেই পড়ালেখা করতাম। কিন্তু কপালে না থাকলে কি আর হয়।
আজ এত বড় হয়েও রান্নার প্রতি ঝোকটা আমার গেল না। প্রত্রিকার কাগজে কোন রেসিপি দেওয়া থাকলে আগে সেটা পড়ি। নেটে কোন রান্নার রেসিপি থাকলে সেটাও আগে পড়ি। রেসিপি পড়া শেষে শুধু মনে হয় ইস এই রেসিপিটা যদি রান্না করে খেতে পারতাম।
কিন্তু রেসিপি গুলোয় এত পরিমান উপকরন দিতে বলে যে সেই সকল উপকরন সব গুলো আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না। তাই নতুন রেসিপি দেখলেও সেটাকে আলোর মুখ দেখিয়ে মানে রান্না করে আর খাওয়া হয় না। একবার খুব পছন্দ হল একটা রেসিপি প্রায় সকল উপকরন রেডি করে ফেলেছি কিন্তু একটা উপকরন বাদ। ভাবলাম এক রকম উপকরন না দিলে তেমন সমস্যা হবে না। সখ করে রান্নার পরে মুখে দিতেই কি অবস্থা একটুও মজা হয়নি। আপুকে ফোন দিয়ে দুঃখের কথা বলতেই বলল আরে গাধা উপকরন সব ঠিক ঠাক মত না দিলে কি আর রেসিপি মজা হয়।
রেসিপি পড়ে পড়ে আমার নিজেরই মনে হয় আমি ও রান্নার বই লিখলে ভালই করব। তাই ভাবছি সামনে একটা রান্নার বই লিখে ফেলব।অনেকক্ষন বক বক করলাম এবার আপনাদের জন্য একটি রেসিপি দেই, ট্রাই করে দেখবেন তবে ভাল না হলে বলব, উপকরন সব ঠিক মত দেননি।যেহেতু শীত কাল তাই শীতের রেসিপি দেই। শীতের সকালে গরম গরম সবজী খিচুড়ি খেতে কার না ভাল লাগে, আসুন জেনে নেই কি ভাবে মজাদার শীতের সবজী খেচুড়ি রাধবেন...
১/ সবজী খিচুড়ী।
উপকরন = পোলাউয়ের চাল আধা কেজি, ছোট কাপের এক কাপ মুসুরি ডাল, এক কাপ মুগ ডাল, ফুল কপি বড় কাপের এক কাপ,গাজর কুচি এক কাপ,আদা বাটা এক চা চামস, রসুন বাটা এক চা চামস, পেয়াজ কুচি এক টেবিল চামস, কাচা ঝাল ছয়টি,জিরা বাটা এক চা চামস, ধনে পাতা কুচি এক টেবিল চামস, এলাট দুই তিনচি।
প্রনালীঃ- চাল-ডাল ধুয়ে সব উপকরন একসাথে চালের সাথে মেখে রাইস কুকারে দিয়ে দশ কাপ পানি দিয়ে রান্না চড়িয়ে দিন আর হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার সবজি খেচুড়ি। ( আপনাদের কষ্ট দুর করতে রান্নার সহজ কৌশলটা দিয়ে দিলাম )
একটা রেসিপি দিতে গিয়েই আমি হাফিয়ে গেছি না জানি আপনারা রেসিপি বানাতে গিয়ে কত কষ্টে পড়বেন।সবাই কে শীত সকালের শুভেচ্ছা
লেখাটা রম্য হিসেবে নিলে খুশি হব।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমীন ।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
সুমন কর বলেছেন: রম্য হিসেবেই পড়লাম। হাহাহা
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
শাব্দিক হিমু বলেছেন: মাঝে মধ্যে রান্না করার স্বাদ জাগে বৈকি। তবে সেটা আবার মিলিয়ে যায়।
রেসিপি ভালো
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধন্যবাদ হিমু
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমীন ।