নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।
আগের পর্ব গুলি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিকাল থেকে আজাদ স্যারের শরীরটা বেশি ভাল না।ভাল করে কথাও বলতে পারছেন না।ডাক্তার এসে দেখে গেছেন।অবস্থা বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে নিতে হবে।আগামীকাল সকালে জেরিন এখানে এসে পৌছাবে।সজীব ভাই এয়ারপোর্টে গেছেন জেরিনকে নিয়ে আসতে।আমি সব সময় বসে আছি স্যারের কাছে।আজাদ স্যার ঘুরেফিরে একটা কথাই বলছেন জেরিন কখন আসবে।তিনি শেষ পর্যন্ত জেরিনকে দেখতে পারবেন তো।
আমি স্যারকে বলি,জেরিনকে আপনি অবশ্যই দেখতে পারবেন।
আপনি বেশি উত্তেজিত হবেন না।ডাক্তার আপনাকে উত্তেজিত ও কথা বেশি বলতে নিষেধ করেছেন।তবুও স্যার নিজের মনে বিড় বিড় করে কত কথা বলে যান।সন্ধ্যার দিকে স্যারের বুকের ব্যাথাটা আরও বাড়ল।আমি হাসপাতালে ফোন করলাম এ্যাম্বুলেন্সের জন্য।
স্যারকে এখন জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়েছে।ডাক্তার এসে বললেন হার্ট অ্যাটাক।স্যারকে এখন অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।আমি বার বার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি বাবা ও মেয়ের মিলনটা যেন হয়।ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন আমি রোগীর কি হই।
আমি বললাম প্রাইভেট এ্যাসিসটেন্ট।
ডাক্তার স্যারের নিকট আত্বীয়দের খবর দিতে বললেন।
আমি বললাম উনার একমাত্র মেয়ে আসছেন আমেরিকা থেকে।সাকালের মধ্যে উনি এসে পৌছাবেন।সারারাত জেগে আছি এর মধ্যে স্যারের একবারও জ্ঞান ফেরেনি।একটু আগে ফজরের আযান দিয়েছে।ডাক্তার এসে আমাকে বললেন , স্যরি মিঃ নীল আপনার স্যারকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না।
আজাদ স্যার আর বেঁচে নেই!!
তিনার শেষ ইচ্ছা একমাত্র মেয়ে জেরিনকে তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
জেরিন এসে দেখবে তার বাবা আর পৃথিবীতে নেই।
এটাই যেন নিয়তির নির্মম পরিহাস।
সৃষ্টি কর্তা হয়তো চাননি বাবা আর মেয়ের মধ্যে শেষ দেখা হোক । আমি লাশের পাশে গেলাম।সাদা কাপড়ে আবৃত আজাদ স্যারের মৃত দেহ।স্যারের মৃত মূখটা দেখলাম।মনে হচ্ছে বড় নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন তিনি।আসলেই কি তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন?
একমাত্র মেয়েকে একটিবার না দেখার যন্ত্রনা কি তিনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে না।
জেরিন এসে গেছে।এখন জেরিনকে কি ভাবে বলব তার বাবা আর বেঁচে নেই।তবুও এই চরম সত্যটা তো তাকে বলতেই হবে।জেরিনকে নিয়ে সোজা লাশের কাছে চলে গেলাম।ঘটনার আকষ্মিকতায় জেরিন হতভম্ব হয়ে পড়েছে।
মানুষের চোঁখের দিকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকালে নাকি সেই চোঁখে আকাশ দেখতে পাওয়া যায়।
আমি জেরিনের চোঁখের দিকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকালাম।
জেরিনের চোঁখের আকাশে এখন শ্রাবনের মেঘের ঘনঘটা।
সেই আকাশ থেকে যে কোন মূহুর্তে বৃষ্টি নামবে।
ঝুম বৃষ্টি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জেরিনকে অতৃপ্ত রেখে দিলেন। আজাদ স্যারও।
ভালই লাগলো, গল্প এমনই হয়।
আপনা বই লেখা সম্পর্কে কিছু হইল না!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বই লেখা সম্পর্কে কি হবে ভাই বুঝলাম না?
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শামীম সরদার নিশু বলেছেন:
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার গল্পে গালি জোগার করে বই প্রকাশের সখ ছিল। সেটাই বলেছিলাম।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ।"এ সব মজার মজার গালির উপর আমি একটা বই লেখার ও চিন্তা ভাবনা করে ফেলেছি।ইতি মধ্যে বেশ কিছু মজার গালিও সংগ্রহ করেছি।যে বই বের করার চিন্তা করেছি তার নামও ঠিক করে ফেলেছি।বইটার নাম দেব বাংলার যত মজার গালি।আশা আছে বইটা বের করার পরপরই পত্রিকায় খবর প্রকাশ করব যে,বইটি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।তখন এর বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।আমি রাতারাতি হয়ে যাব বিখ্যাত লেখক।বাঙালিদের আবার নিষিদ্ধের প্রতি টান বেশি তো তাই।" পর্ব-৩ থেকে এনে দিলাম। পরে কি গালির উপর বই প্রকাশের চিন্তা ভাবানা বাদ দিলেন কিনা, সেটাই জানতে চেয়েছিলাম মজা করে।
আপনার গল্পের পর্বগুলো মজা করেই পড়েছি। রসিকতায় পাঠক ধরে রাখার বিশেষ গুণ আছে আপনার লেখায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প পড়ে ভালো লাগলো +