নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।
ছোট বেলায় শীতের অপেক্ষায় থাকতাম।শীতকাল মানেই বিশাল আনন্দের ব্যাপার স্যাপার।শীতকাল জুড়ে গ্রামের বাড়ি গুলোতে উৎসবের আমেজ লেগে থাকত।শীতের শুরুতেই মা আলো চাল করতেন।সেই চাল কুটে আটা বানাতেন।তারপর রোদে শুকিয়ে বড় মাটির ভাড়ে ভরে রাখতেন।সেই আটা দিয়ে মা কত রকমের পিঠা বানাতেন।
আমাদের তখন অনেক খেজুর গাছ ছিল।প্রতি সপ্তাহে আট-দশ ভাড় রস হত।সেই রস জালিয়ে মা গুড় বানাতেন। কখনও পাটালি আবার কখনও ঝোলাগুড় বানিয়ে মাটির ভাড়ে করে রেখে দিতেন।শীতের সময় মা ভাপা পিঠা, পাকান পিঠা,চিতই পিঠা, ছিটা রুটি, রসের পিঠা,রসের ক্ষির বানাতেন।সেই সব পিঠার স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। আমার বেশি পছন্দের ছিল ভাপা পিঠা আর রসের ক্ষীর।
যেদিন আমাদের রস হত সকালে চাল ভেজে সেই ভাজা শিলে বেটে গুড়ো করে রসের সাথে খেতাম,এটা খেতে অনেক মজার ছিল।
ছোট বেলায় চাল ভাজার গুড়ো দিয়ে মায়ের বানানো সেই মোয়ার কথা আজও মনে পড়লে জিভে জল এসে যায়। মোয়া বানিয়ে মা কাচের বয়াম ভরে রেখে দিতেন।মায়ের অনুমতি ছাড়াই সেই মোয়া সুযোগ পেলেই খেতাম।
শীত এলে মা মুড়ি আর খৈ ভাজতেন।খৈ ভাজা দেখতে আমার খুব ভাল লাগত।উত্তপ্ত বালুতে ধান দিলে যখন চটপট করে ফুটে উঠত তখন অনেক আনন্দ পেতাম। খৈয়ের মোয়া খেতেও অনেক মজার।শীত এলে মা কুমড়ার বড়ি দিতেন।
আমার শৈশবের শীত স্মৃতি গুলো মনে হলে অনেক ভাল লাগে। আবার একই সাথে কিছুটা খারাপ ও লাগে।কারন এখনকার শীতকাল গুলো বড় রংচঙহীন হয়ে আমার জীবনে আসে।
ছবি-আমার মোবাইলে তোলা।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সত্যি এখনকার মায়েরা পিঠা বানাতে পারেন না।পারলেও করতে চাননা।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
রস দিয়ে চাউলভাজী খাওয়া? আমার শুনতেও ভালো লাগছে না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: চাল ভেজে গ্রামের মানুষরা খায়।মোয়া বানায়।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৪
চারাগাছ বলেছেন:
শীতে রস আর পিঠার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো। ভাইরাস টাইরসের ভয়ে রস খাইনা।
ব্লগে স্মৃতিচারণ মূলক লেখা পড়তে চাই। কোন ব্লগারগণ ইহা লিখে থাকেন?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্মৃতিচারন লেখা পড়তে আমারও ভাল লাগে।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৫
চারাগাছ বলেছেন:
আপনার মা আর পিঠা বানান না?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখনকার মায়েরা কেন জানি পিঠা বানাতে চাননা।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: খেজুরের রস খেতে কিন্তু ভাল নয়। তবু মানুষ এর গুণগান করে। তবে খেজুরের গুড় অসাধারন জিনিস।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমারও খেজুরের রসের চেয়ে গুড় খেতেই ভাল লাগে ।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার স্মৃতি রোমন্থন ভালো লাগলো। এখন অনেক অঞ্চলের গ্রামে খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। ফলে রসের দাম বেড়ে গেছে। গ্রামে এক হাড়ির দাম চায় ৬০০ টাকা। লোকজন শহরমুখী হওয়ার কারণে এই ধরণের লোকের সংখ্যা কমে গেছে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খেজুরের গাছ থাকলেও কাটার লোক সত্যি খুজে পাওয়া যায় না।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শৈশবের সেই শীতের আমেজ এখন আর পাওয়া যায় না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হুম একদম ঠিক।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারও খেজুরের রসের চেয়ে গুড় খেতেই ভাল লাগে ।
যারা গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে, তাদের গাছি বলা হয়। বাংলা সাহিত্যে কি গাছিদের নিয়ে কোনো উপন্যাস আছে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গাছিদের নিয়ে কোন লেখা আছে কিনা আমার জানা নেই ভাই।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৯
িসজার বলেছেন: শীতের দেশে থেকেও গ্রাম বাংলার শীতকাল কে খুব মনে পড়ে! আমার স্ত্রী এই প্রবাসেও অনেক পিঠা বানিয়েছেন স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে, যেগুলো স্মৃতিকাতর করে তোলে বাংলাদেশের সেই দিনগুলির কথা ভেবে!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে আস্তে আস্তে শীতের ঐতিহ্য উঠে যাচ্চে।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর স্মৃতিচারণ করেছেন। যেসব স্মৃতির কথা উল্লেখ করেছেন, সেসব আমার স্মৃতিতেও উজ্জ্বল।
পোস্টে প্লাস। + +
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সময় করে লেখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
পরিবেশ দুষণের ফলে, সব ঋতুই তার সৌন্দয্য হারায়েছে; একই সাথে নতুন মায়েরা পিঠামিঠা বানাতে জানে না; ফলে, উনাদের ছেলেরা কফি খাওয়ার গল্প লেখেন ব্লগে।