![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিরদিনই মূল স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটেছেন ফরহাদ মজহার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে যুক্ত হয়েছিলেন বাম রাজনীতির সাথে। আর সত্তুরের দশকের শুরুতে ভারতের নকশাল আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশের সর্বহারা বিপ্লবে। এরপর আমেরিকাতে প্রায় এক দশক স্বেচ্ছা-নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে এসে মাওবাদী দলগুলোকে এক করার উদ্দেশ্যে গঠন করেছিলেন 'ঐক্য প্রক্রিয়া'। কিন্তু বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রীদের ঐক্য স্বপ্নই থেকে গেছে। ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গের মতোই ফরহাদ মজহারের সমাজতান্ত্রিক আদর্শের মোহভঙ্গ ঘটেছে।
মূল স্রোতের যতই বাইরে সাঁতার কাটুন না কেন- ফরহাদ মজহার সবসময়ই ছিলেন উচ্চকিত, একরোখা আর নিজ যুক্তিতে অটল। ফরহাদ মজহার এখন দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তিনি বরাবরের মতোই রাজনীতির আঙ্গিনাতেই শয্যা পেতে আছেন। ১৯৯৪ সালে, বিএনপি শাসনামলে বাংলাদেশে আনসার বিদ্রোহের সমর্থনে তার নিজের পত্রিকা 'পাক্ষিক চিন্তা'য় একটি নিবন্ধ রচনা করে কারাবন্দী হন। তিনি আনসার বিদ্রোহে 'শ্রেণী সংগ্রাম'-এর মৌলিক উপাদানগুলো লক্ষ্য করেছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপে ফরহাদ মজহারকে দ্রুত মুক্তি দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ সরকার। ফরহাদ মজহার বিএনপি'র ডান ঘেঁষা রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন এককালে। আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতে ইসলামীর আঁতাতকে কচুকাঁটা করেছেন তাঁর কলামগুলোতে। ফরহাদ মজহার অনেক ঘাটের জল ঘোলা করে এখন ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর আজকের এই অবস্থান কি স্ববিরোধী, নাকি যেকোন উপায়ে সামাজিক পরিবর্তনকে দেখতে চাওয়ার আজন্ম স্বপ্ন?
সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন মুল্লুকে এক দশক পার করলেও ফরহাদ মজহারের মনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একটি চেতনা দিন দিন দানা বেঁধেছে। বাম রাজনীতির সুবাদে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতায় তাত্ত্বিক জ্ঞানের অভাব ঘটেনি তাঁর। ফরহাদ মজহারের এই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মানসিকতা এতোটাই প্রকট আকার ধারন করেছে যে, উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ কিংবা বাংলাদেশে বার্ড-ফ্লু'র বিস্তারকেও দাতাদেশগুলোর চক্রান্ত বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদের বিস্তাররোধে যে মূহুর্তে খুব জরুরী ভূমিকা গ্রহন করা উচিত- ফরহাদ মজহার তখন 'মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের' নিয়ে স্বপ্ন দেখেন মার্কিন আগ্রাসন প্রতিরোধ করার। আর এরই সূত্রধরে, যে ব্যক্তি নারী মুক্তির জন্য উবিনিগ, প্রবর্তনা, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা'র মতো প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছেন- তিনি সম্পদে নারীর সমঅধিকার দানকে উস্কানীমূলক বলে প্রচার করেন। বেশ কিছুদিন ধরে চালবাজ কাঠমোল্লাদের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের স্বপ্নও বুনছেন ফরহাদ মজহার। আর অবাক করা কাণ্ড, আমি নিশ্চিত যে ফরহাদ মজহার নিজেও বুঝতে পারছেন না তাঁর 'এবাদতনামা' তিনি নিজেই উল্টোদিক থেকে পাঠ শুরু করেছেন হঠাৎ।
ফরহাদ মজহার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতার নামে মৌলবাদকে ধারন করেছেন, মৌলবাদকে উৎসাহিত করছেন এবং মৌলবাদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন প্রচার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তিনি মনে করছেন যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী তারা বুশ-ব্রাউনের এজেণ্ট। ফরহাদ মজহারের ভাষায়, 'এদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলা আর গলায় সাপকে ফুলের মালা বলা একই কথা'। বাংলাদেশের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক চেহারা, আর্থ-সামাজিক আচার, আর ধর্মীয় চেতনা আর যাই হোক পাশ্চাত্য থেকে আমদানী হয়নি। ফরহাদ মজহার আজ যাদের সাপ বলে অভিহিত করতে চাইছেন, তারাই তাঁর এককালের ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ বিনির্মানের সহযোদ্ধা ছিলেন। ইউরোপের চার্চ থেকে পৃথক হওয়া রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে ফরহাদ মজহার ঐতিহাসিক বিবেচনায় সমর্থন করলেও- বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামী বিপ্লবের অনিবার্যতাকে তিনি এড়াতে পারেন না। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতাকে কিছুটা ঘুরিয়ে ফ্যাসিবাদ বলে ভাবেন এবং মনে করেন, বাংলাদেশে ইসলামের যুদ্ধটা এই ফ্যাসিবাদ আর পরাশক্তির সমর্থকদের সাথেই ঘটবে।
ফরহাদ মজহার একটি জনযুদ্ধের স্বপ্ন দেখছেন আজীবন। সব কিছু দেখে শুনে মনে হয়- তাঁর কাছে আজ যুদ্ধটিই একটি প্রধান বিষয়। তিনি ভুলে গেছেন, যে বাম মতাদর্শকে আজ তিনি পচনশীল মনে করছেন এবং কাল্পনিক প্রতিপক্ষ দাঁড় করে ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন সেটি তাঁর অসংখ্য চিন্তার বৈপরিত্যের নমুনামাত্র। একদিন তিনি জোর গলায় ঠিক এর উল্টোই প্রচার করেছেন। একথা সত্য যে, বাংলাদেশে মৌলবাদীদের মনোরঞ্জনে তিনি এখন অদ্বিতীয়; আর মৌলবাদের প্রথম শিকারটিও তিনিই হবেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
মৌলবাদীরা ফরহাদ মজহারের শাঁসটুকু শুষে নিচ্ছে। তাদের প্রয়োজন শেষ হলে ফরহাদ মজহারের ছোবড়া দিয়েই নরকের আগুন বানাবে। জামায়াতের চেয়ে বেশীমাত্রায় ইসলাম প্রেমী হওয়া ফরহাদ মজহারকেই মানায়; যদিও জামায়াত জানে ইসলামের প্রেমে তাদের ধারেকাছে কেউ নেই, ফরহাদ মজহার তো নয়ই!
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪
রাফা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন ।এরাই আমাদের মূল সমস্যা কোনকিছুরই সমাধান নেই এদের কাছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
একধরনের মনোবিকারে আক্রান্ত ফরহাদ মজহার। তিনি নিজেকে বদলাচ্ছেন বারবার। চরম বাম, প্রকট ডান- এমন করেই প্রায় চার দশক পার করলেন। বেঁচে থাকলে আরও নতুন কিছু হয়তো দেখতে পাব।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তিনি বিভ্রান্ত.....এই বয়সেও জানেন না তিনি কি করতে চান
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আপনার ইমোশন সিম্বলগুলো আমাকে বিভ্রান্ত করছে। আপনার লেখা আর সিম্বলের হাসিমুখ দেখে আমি বুঝতে পারছিনা আপনি কি বোঝাতে চাইছেন।
যাহোক, শুভ কামনা রইল।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৪
মাহবুব সুমন বলেছেন: উনার স্পস্টবচন ভালো লাগে
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
তিনি বচনে উচ্চকিত এবং সরাসরি মতামত জানাতে পছন্দ করেন। পরস্পর বিরোধী বচনেও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
মৃদুল মাহবুব বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ। ভালো লেগেছে
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দালাল। কিছু ক্ষেত্রে ঠিক। কারন আমেরিকাপন্থী বাম-ডান সবই আছে আমাদের। এখন যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে ইসলামী বিপ্লবের কথা ভাবেন তাদের দিকেও সন্দেহের চোখ যায়। এরাও সাম্রাজ্যবাদীদের ইসারায় জল ঘোলা করছে । এমনই মনে হয়। এরা হলো আমেরিকাপন্থী ইসলামী দল। এই জাতীয় বুদ্ধিজজীবিদের কথা মানতে ভয় হয়। এরা নিরপেক্ষতাবাদী বা ইসলামী যাই হোক এদের মদদ আছে বাইরে থেকে। কোন কোন ভাবে এরা সাম্রাজ্যবাদকেই অগ্রসর করার পায়তারা করে। ফলে এই ইসলামী বিপ্লবের আশাবাদের সাথে সাম্রাজ্যবাদের গোপন আতাত থাকা অসম্ভব কিছু নয় বোধ হয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহারের বিষয়টিকে আমার সাম্রাজ্যবাদের গোপন আঁতাত বলে মনে হয়না। তিনি তার ব্যক্তি বিশ্বাসের স্থান থেকেই হয়তো ইসলামী বিপ্লবের আশায় আছেন, যেমন এককালে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন। এটি স্ববিরোধীতা। বামদলগুলো ফরহাদ মজহারের কাছে থেকে কি নিতে পেরেছে জানিনা, কিন্তু ইসলামী সংগঠনগুলো জঙ্গীবাদ লালনের নৈতিক শক্তি লাভ করবে- তাতে সন্দেহ নেই।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ইমোটিকনে বিভ্রান্ত কেন?
মাহবুব সুমনের মন্তব্যের উত্তরে আপনি যা বলেছেন আমি তা ই বোঝাতে চেয়েছি...তিনি কন্ট্রাডিকটরি
আর আমার যে কোন মন্তব্যের পর একটি হাসিমুখ থাকে
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
তাই বলুন!
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: আপনার লেখা ভাল লেগেছে
আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ধন্যবাদ সামী ভাই।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: বাংলার ভাবান্দোলন নিয়ে ফহোদ মযহারের চিন্তা-ভাবনার পরিধি, তার পঠন-পাঠন বা দার্শনিক বিশিষ্টতা এবং অসাধারন বিশ্লেষন ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায় কারো নেই। বিশেষ করে শ্রীচৈতন্য, লালন এবং রাজনীতির মার্কসকে একটা ঐক্যে গড় করে পড়ার ট্রেডিশন তৈরী করতে পেরেছেন যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির জন্য জন্য একটি অভূতপুর্ব বিষয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহারের লেখার সাহিত্যমান নিয়ে আমি কোন বিতর্কের অবকাশ দেখিনা। আর বিভিন্ন স্টাডি সার্কেলের সাথে যুক্ত থাকায় তিনি সুপণ্ডিতও হয়ে উঠেছেন নানা বিষয়ে। বিতর্কটি সেখানেও নয়।
ফরহাদ মজহারের রাজনৈতিক দর্শনের ডান-বাম খুব স্বাভাবিক নয়।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: মৃদুল@ ইসলামের সাথে কি সাম্রাজ্যবাদের কোন বিবেধ আছে? আমার তো কোন কালেই তা মনে হয়নি। ইসলাম সাম্রাজ্যবাদ বিদ্ধেষী না
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
নেমেসিস বলেছেন:
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তিনি বিভ্রান্ত.....এই বয়সেও জানেন না তিনি কি করতে চান
>> একমত । আমার মতে বাংলাদেশের ষাটউর্দ্ধ মানুষগুলোর কথার দাম দেয়া বোকামি ।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
নেমেসিস, (আপনাকে কানে কানে বলছি), তোমারও বয়স হবে আশি।
ফরহাদ মজহার ষাটে পৌঁছানোর আগে থেকেই বিভ্রান্তি নামক মনোবিকারে আক্রান্ত।
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
আলফ্রেড খোকন বলেছেন: মোস্তাফিজ রিপন, ফরহাদ মজহারের চিন্তাযাপন এখন কমবেশি সবাই জানে। হয়তো মুখ খোলে না। তবে আপনি খুললেন। আর সামী বলেছেন, তিনি বিভ্রান্ত। পচনশীল চিন্তাবিদরা অবশ্য তা মনে করেন না। তিনি কি বিভ্রান্ত না এটাই তার জার্নি? আগে আমি তাকে কিছুটা বিভ্রান্ত মনে করতাম। এখন করি না। কারন তার খোলসটার ভেতরটাও অনেকটা তার জ্ঞাতে ও অজ্ঞাতে পরিষ্ফুটিত । অভিনন্দন!
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আলফ্রেড খোকন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩
মৃদুল মাহবুব বলেছেন: সামী মিয়াদাদ ভাই,
আমি তো সেই কথাই বলছি। ইসলামের নামে যারা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতার কথা বলে তারা আসলে ভেতরে ভেতরে সাম্রাজ্যবাদকেই লালন করে। আমাদের ইসলামী বিপ্লবীদের টাকা কোথা থেকে আসে? ফলে এরা যত কথাই বলুক যে তারা ইসলাম দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ রুখবে তা আমার বিশ্বাস হয় না। আসলে এরা চায় ক্ষমতার হাত বদল। কোন একটা তকমা দিয়ে নিজেদের আন্দোলনটাকে জায়েজ করতে চায়। জনগনকে কূটকৌশলে পক্ষে আনতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতা একটা নাম মাত্র এদের কাছে।
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: মৃদূলদা, এটাই। এখানে সবকিছু নামেমাত্র ব্যবহার হয়। ইসলামের ইতিহাস কিন্তু অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী
...তাই আমার এমন মনে হয়েছে।
খোকন ভাই, তাকে আমার বিভ্রান্ত মনে হয়। একসাথে অনেকগুলো ধারা নিজের মাঝে লালন করা সত্যিই কষ্টকর। আমার কাছে আদর্শিগত পরিবর্তন অনেকটা ভন্ডামী মনে হয়....আজ এই ধারাতো কাল ঐ ধারা। যখন যেখানে সুবিধা
।
১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:২৭
জিয়াউল ইসলাম শাহীন বলেছেন: মোস্তাফিজ রিপন সাহেবকে ধন্যবাদ স্রোতের বিপরীতে লেখবার জন্য। স্রোতের বিপরীতে এজন্য লিখলাম যে, ফরহাদ মজহার সাহেব গত কয়েকমাস যাবত যে প্রতিবাদধর্মী লিখা লিখছেন তার একটা বিরুদ্ধ টাইপের লেখা দেখলাম আপনার লেখনীতে। যারা পত্র পত্রিকাতে লেখালেখি করেন তাদের প্রত্যেকের ব্যাক্তি জীবনের ইতিহাস হয়তো আমাদের সন্তুষ্ট না্ও করতে পারে কিন্তু সেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার না দিয়ে আমরা মূলত লেখার দিকেই লক্ষ করি। এই সাধারণ কথাটাকে না মেনে জনাব মোস্তাফিজ রিপন যে ব্যাক্তি চরিত্র হননের চেস্টা করলেন তা নিশ্চয়ই খুশি হ্ওয়ার মতো কোন ব্যপার নয়। আজকে বাংলাদেশ যে রকম পরিস্থিতিতে চলছে সে ক্ষেত্রে মিডিয়াগুলোতে সত্যি কথা বলার মতো লোক খুবই কম পা্ওয়া যাচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন কারণে দুঃখ কস্টের মধ্যে দিয়ে থাকল্ওে তা প্রকাশ করতে পারছেননা জরুরী অবস্থার কারণে। ব্যাতিক্রম গুটি কয়েক ব্যাক্তি। এই গুটি কয়েক ব্যাক্তি সরকারের প্রকাশ্য সমালোচনা করছেন, সরকারের ভুল ত্রুটিগুলি ধরিয়ে দিচ্ছেন নির্মমভাবে। সমস্যাটা আসলে এখানেই শুরু।
আমার সন্দেহ যে, জনাব মোস্তাফিজ রিপন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফরহাদ মজহার এর পিছু লেগেছেন। এই কথা বলা কারণ হলো তিনি ফরহাদ মজহার এর অতীত ইতিহাস তুলে ধরে তাকে আঘাত করতে চেয়েছেন এবং তার লেখনীকে দূর্বল করতে চেয়েছেন নগ্নভাবে। যদি ফরহাদ মজহার এর কোন লেখার উপর রিপন সাহেবের ক্ষোভ থাকতো তাহলে তিনি লাইন বাই লাইন যু্ক্তি প্রদর্শন করতে পারতেন। তাতে রিপন সাহেবর বিচক্ষনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো। তা না করে যেভাবে তিনি ব্যাক্তি ফরহাদ মজহার এর বিভিন্ন কর্ম নিয়ে যেভাবে আক্রমনাত্বক লেখা লিখলেন তাতে মনে হ্ওয়া সাভাবিক যে, ফরহাদ মজহার এর প্রতি তার ব্যাক্তিগত ক্ষোভ আছে অথবা তিনি ফরহাদ মজহার এর বিরুদ্ধে লবিস্ট হিসাবে কাজ করছেন।
আর মজার ব্যপার হলো আমাদের কিছু ব্লগার আছেন যারা মৌলবাদি, জামাত, ইসলামী শাসন ইত্যাদি কথা কোন লেখার মধ্যে পেলেই দু কলম লিখে ফেলেন। তাদের কলম দিয়ে তখন আগুন বের হয়। একধরনের এলার্জিতে ভোগেন তারা। কিন্তু তাদের এই এলার্জির ব্যারাম তখন হয়না যখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থের কথা আসে। গঠনমূলক আলোচনা বা স্বপ্রণেদিত হয়ে কল্যাণকর কোন বিষয়ে তাদের কোন লেখা আমরা দেখিনা। দেখল্ওে সেটা এতো কম যে, চোখে পড়ার মতো না।
কারো ব্যাক্তিগত চরিত্র হনন, কাউকে নাস্তিক মোল্লা টাইপের ফতোয়া দেয়াটা নিশ্চয়ই কোন ভাল কাজ হতে পারেনা। অধ্যপক কবির খানকে যে, অনেকে নাস্তিক বলে এটাকি সবাই মেনে নিতে পারেন। এগুলি যারা দেয় তারা নিজেরা্ও কি জানেনা যে, এক মুসলমান আরেক মুসলমানে নাস্তিক বলতে পারেনা। জানার পর ্ও যারা এগুলি করে তারা নিজের সাথে নিজে কনট্রাডিক্ট করে। আজিব দুনিয়া, আজিব মানুষ আমরা সবাই।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:০৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
একথা সত্য যে, ফরহাদ মজহারের চিন্তার বৈপরিত্য আরও অনেকের মতো আমাকে হতাশ করে। কারো চিন্তা আর তার প্রকাশ ব্যক্তি চরিত্রের একটি প্রধান অংশ হিসেবে বিচার্য হলে- আমি ফরহাদ মজহারের চরিত্র হনন করেছি বলা যায়। লেখাটি পাঠ করেও বিষয়টি আপনি অবগত হয়েছেন। নাস্তিক মোল্লা কথাটি বেশ যুতসই মনে হয় ফরহাদ মজহারের জন্য। (যদিও আমি এর উদ্ভাবক নই)। আপনি খুব সমম্ভতঃ নাস্তিক মোল্লা কথাটির সাথে পূর্ব পরিচিত নন।
অনেক ব্লগারের জামায়াত এলার্জি আছে একথা ঠিক। আমিও তাদের বাইরে নই। এই এলার্জির একটি যৌক্তক কারনও আছে বৈকি! তবে ব্লগারদের ইসলাম বা ধর্ম বিষয়ক এলার্জি আছে- আমার তা মনে হয়নি। জামায়াত-'ফিলিয়াতে' আক্রান্ত ব্যক্তিরা ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার নজির অসংখ্য।
শুধু সরকারের ভুল ত্রুটির দিকে ফরহাদ মজহার দৃষ্টি দিলে বলার কিছুই ছিলনা। তিনি বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারা নিয়ে কটুক্তি করছেন- এটি একটি বিশাল সমালোচনাসাপেক্ষ বিষয়।
১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:৩০
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: ঐ সব কিছু না, প্রচারের আকাঙ্খা আর সেলিব্রেটি হওয়ার প্রয়াসে এই সব ভং। খুব সম্ভবত ঢাকায় নতুন ফ্লাটের টাকার জন্য নতুন ধান্দাবাজী।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:০৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আপনি খুব চালাক, আমার কারসাজি ধরে ফেলেছেন।
(আচ্ছা, টাকা আমাকে কে দেবে বলতে পারেন?)
১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: জিয়াউল ইসলাম শাহীন বলেছেন: "অধ্যপক কবির খানকে যে, অনেকে নাস্তিক বলে এটাকি সবাই মেনে নিতে পারেন?"
শাহীন ভাইতো সাংবাদিক মানুষ, যদ্দূর জানি। "অধ্যাপক কবির খান" নামে নিশ্চয়ই বিখ্যাত কেউ একজন আছেন, যদিও আমি কখোনো এরকম কোনো নাম শুনিনি; সাংবাদিক ভাই হয়তো শুনে থাকবেন!
১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪
তাকা বলেছেন: জিয়াউল ইসলাম শাহীনএর কমেন্টে উত্তম জাঝা
মাজুদার দুইদিন আগের জামাত ঠেঙ্গানী একটা লেখা যদি কেউ এখন পোস্টাইত, তাইলে শাহীন সাহেব কি কইত ঐডাই চিন্তাইতেছি (অট্টহাসি)
আসলে, একটা বিশেষ দেশের এজেন্ট কিছু তোতাপাখী সবদেশেই পুষে এবং সব মতবাদেরই যেমন ধরেন ডান, বাম এমনকি সুশীল। ফরহাদ সাহেবরেও ঐরকমই মনে হয়। কারণ উনারা না লিখলে মাসোহারাটা একাউন্টে ঠিকমত ট্রান্সফার হয় না
১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩১
জিয়াউল ইসলাম শাহীন বলেছেন: রিয়াজ শাহেদ ধন্যবাদ আপনাকে। নামটি লিখতে ভূল করেছি আমি, কবির চৌধুরী হবে। অফিসে একটু ব্যাস্ত ছিলাম তাই তাড়াহুরো করতে গিয়ে ভূল হয়েছে, আমি দুঃখিত।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৪২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
জিয়াউল ইসলাম শাহীন, আপনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত? জানানো যাবে আপনি কোন পত্রিকার সাথে কাজ করছেন?
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
কবির চৌধুরীকে জামায়াতীরা মুরতাদ ঘোষনা করেছিলো, তাই না শাহীন?
১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ঠিক আছে শাহীন ভাই, ধন্যবাদ।
২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
ফরহাদ মজহারের উপর সুবিচার করলেন বলে মনে হলো না।
আমি কোথাও পাই নি তিনি তথাকথিত 'ইসলামী বিপ্লবের' স্বপ্ন দেখছেন বলে।
নারী নীতি ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য, পাইকারীভাবে কাটমোল্লাদের পক্ষেও যায় নি। বরং তিনি তাদের বুঝিয়েছেন, ইরান তুরষ্কের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে। এবং সরকারের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
তাছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে ফরহাদ মজহার কথা বলেন বিশ্বের মানচিত্রকে সামনে রেখে। আর তাঁর কঠোর সমালোচনা যারা করেন, তারা পূর্ণ বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর নজর রাখেন কি না সন্দেহ হয়।
যে আমেরিকা সোভিয়েতকে মার দেয়ার জন্যে, কমিউনিষ্ট বিপ্লবকে ধ্বংস করার জন্যে , জেহাদী বানিয়েছিলো দিকে দিকে। সেই আমেরিকাই মৌলবাদের সূতিকাগার বলেই মনে হয়।
সমগ্র বিশ্ব এখন করপোরেট ম্যাগনেটদের কূটচালে দিশেহারা। ছোট ছোট জাতি-রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে। অর্থনৈতিকভাবে পর মুখাপেক্ষি করে রাখার সূদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ওরা।
ফরহাদ মজহারের বিপক্ষে আপনার উত্থাপিত অভিযোগগুলো খুবই হালকা উপরি উপরি কিসিম মনে হলো।
অভিযোগগুলো যথার্থ নয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:১৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহারের চিন্তার রৈখিক বিশ্লেষনটি সরল বা সহজবোধ্য নয়। তিনি যখন যে মতাদর্শে অথবা যে ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন- তার পক্ষে 'প্রবল' শ্রম ব্যয় করেছেন। ফরহাদ মজহারের 'প্রথম আলোর' দিনগুলো লক্ষ্য করুন, বা হালের 'নয়া দিগন্তের' দিকে তাকান উত্তর মিলবে। এ কথা সত্য যে, ফরহাদ মজহার ইস্যুভিত্তিক লেখনিতে বিশ্বের মানচিত্র খোলা রাখেন, কিন্তু সেগুলোর বিশ্লেষনে তাঁর নিজের চিন্তাটি কতখানি খোলামেলা তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। এর ছোট্ট একটি প্রমান- বাংলাদেশ আর ইউরোপের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর অভিমত।
আমার অভিযোগগুলো হালকা মনে হয়েছে আপনার; তবে ফরহাদ মজহারের বর্তমান অবস্থান থেকে মৌলবাদীচক্রই মোটাদাগে লাভবান হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:২৯
স্ট্যানলি কুবরিক বলেছেন: শেষ বয়সে মানুষ ধর্মকর্মে নিদান খুজে, ফ.মাও হয়তো তাই খুজতেছেন। তার এই বিভ্রান্তিরে লুফে নিছে জামাতিরা। মজার ব্যাপার জলিল থেকে শুরু করে ওসমানীরা সবাই শেষ কালে মধ্যপ্রাচ্যের ভোগে দেবপুজোর যে আমলনামায় অভ্যস্ত হইছিলেন তা আসলে আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা বুঝায় কিনা আমি তাতে বিভ্রান্ত। তবে ফরহাদ মাজহার একজন এটেনশন সিকার টাইপের মানুষ। স্রোতের বিপরীতে কণ্ঠ ছাড়ে মানুষের নজর কাড়তে, পরিনামে দুয়োই জুটে
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহার ধর্ম-কর্ম করছেন কিনা নিশ্চিত নই। তবে তিনি মৌলবাদীদের দ্বারা বিশেষ আদৃত হচ্ছেন- তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কাঠমোল্লাদের পছন্দের তালিকায় তিনি অগ্রাধিকার পাবেন, কারন ফরহাদ মজহারের গায়ে এখনও 'নাস্তিক' এবং 'বাম' শব্দদুটো জ্বলজ্বল করছে; কিন্তু তিনি কথা বলছেন এদেরই বিপরীতে। মজাটা এখানেই। লক্ষ্য করবেন, জামায়াতপন্থী ব্লগাররা ফরহাদ মজহারকে নাস্তিক-বাম ইত্যাদি 'বিশেষনে ভূষিত' করে তাঁর মৌলবাদের পক্ষে যায় এমন সব লেখার রেফারেন্স টানেন। তাদের ভাবখানা এই- ফরহাদ মজহারের মতো 'ভেটেরান' মানুষই একথা বলেছেন, এবার যাবে কোথায়!
২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪৬
স্ট্যানলি কুবরিক বলেছেন: সারওয়ার চৌধুরী একটা বলদ টাইপের লেখক। তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই
২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩১
এস্কিমো বলেছেন: রেন্টুর পর মৌলবাদীদের প্রপাগান্ডার বড় সহায়ক হবে ফরহাদ মযহার।
বিশ্বাস হয় না - বাজী ধরবেন?
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৫২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এখন আর বাজী ধরার কিছু নেই, ফরহাদ মজহার এর মধ্যেই জায়গাটি নিয়ে নিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন এককাজ চালিয়ে যাওয়ার মানুষ তিনি নন। ফরহাদ মজহারের নতুন চমক দেখার লোভ সামলাতে পারছিনা।
আচ্ছা, এই 'রেণ্টু' কে?
২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
নেমেসিস বলেছেন: হাহাহা ।
নারে ভাই । পরিচিত সবাই জানে ৫০ এর উপরে বাঁচতে চাই না আমি
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
বাঙ্গালীদের গড় আয়ু বেড়েছে জানেন তো? দীর্ঘজীবী হোন- গড় আয়ুর চেয়েও।
২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩১
মানস চৌধুরী বলেছেন: স্ট্যানলি কুবরিক সারওয়ার চৌধুরীকে 'বলদ টাইপের' বলাতে আমার রক্ত হিম হয়ে গেল। ফলে এখন 'ছাগল টাইপের' গালির সম্মুখিন থেকেই আমার লেখা হচ্ছে। কী করা! কপালে থাকলে...
মোস্তাফিজ রিপন, আমি সামান্য মানুষ। ফরহাদ মজহারের সঙ্গে বিরোধ/সংশ্লেষ দুয়ের জন্যই আমি ক্ষুদ্রকায়। তথাপি তাঁর সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ আছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে, লালন আখড়া আন্দোলন নিয়ে, তাঁর হরে দরে "ব্রাহ্মণ্যবাদ" চিহ্নিতকরণ প্রকল্পে "হিন্দুবিদ্বেষ" ছড়ানো নিয়ে। এর কিছু আমাদের আলাপের সুযোগ হয়েছিল; কিছু আমাদের দুজনের বিস্তর প্রাজ্ঞতার মতপ্রকাশ-ফোরাম পার্থক্যের কারণে কখনো সুযোগ হয়নি। কিন্তু তারপরও আমি মনে করি, এই নিবন্ধে ফরহাদ মজহারকে অনুধাবন তাঁর প্রতি অনেক যত্নশীল কিংবা প্রসঙ্গবিচারে যথার্থ হয়নি।
এখানে দুয়েকটা জিনিস খেয়াল রাখতে আমি বিনীত অনুরোধ করি। প্রথম বিষয় হলো, ইসলামকে একটা রাজনৈতিক প্রপঞ্চ হিসেবে অনুধাবন এবং "জামাত-শিবির" সমর্থন এক কথা নয়। হবার কোনো সুযোগও নেই। দ্বিতীয়ত, আমাদের মাথায় জামাত-শিবির এর যেরকম চিত্রই থাকুক না কেন। জামাত আর শিবির নিজেরা একটা অখণ্ড জায়গায় নেই। অন্ততঃ ৮০'র দশক পর্যন্ত যতোটা ছিল। একটা ইয়ং ব্রিগেড হিসেবে শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী এদের মুরুব্বিদের লাগাতার আমেরিকার পা বা পাছাচাটা ভূমিকা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তাঁদের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা হলো ইসলামী বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের মতো তাঁদের এজেন্ডার মুখ্য জায়গা নিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা। এসব কারণে বহু আগে থেকেই সৌদিপন্থী এবং ইরানপন্থী একটা বিভাজন ছিল। সেটা আগের কথা। সাম্প্রতিককালে আফগান হামলার পর জামাত নেতৃবৃন্দের মুখে-কুলুপ এঁটে ছ্যাঁচরামির ভূমিকা নেবার সময়ে বাস্তবে এই অংশের হতাশা ও ক্ষোভ বিপুল আকার ধারণ করে। এই তরুণ তুর্কীদের বাগে আনতে সেই কালে জামাতী ধুরন্ধর নেতাদের বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। উল্টোদিকে, জামাতী নেতাদের পক্ষে ঐতিহাসিকভাবেই মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলার উপায় নেই। এবং বড়জোর একটা সাজানো প্রতিবাদ তারা করতে পারে। সেটাও, সরকারে থাকার কারণে, তারা করতে চায় নাই। এসব কথা বলে আমি বলতে চাইছি যে ফরহাদ মজহারের কোনো বিশ্লেষণ বিশেষ কোনো ইসলামপন্থী অংশের মনোপূত হলে সেটা একটা অখণ্ড জামাতী হবার কোনোই সম্ভাবনা নেই।
একজন মন্তব্যকার যা বলেছেন তাতে বাংলাদেশে জামাতী আরও সংহত হলে ফ.ম. পয়লাদিকের টার্গেট হবেন। এ বিষয়ে আমারও সন্দেহ কম। ইরানের বিপ্লবে কম্যুনিস্ট এবং খোমেনীপন্থী ইসলামবাদীরা এক কাতারে লড়েছেন। ক্ষমতায় এসে খোমেনী প্রথমেই বিপ্লবের সহযোদ্ধাদের খতম করা শুরু করলেন। কথিত যে ৪০০০০ কম্যুনিস্ট খুন হন। এদের সন্তান সন্ততিরা এখনো রাষ্ট্রীয় পাহারাদারিত্বের মধ্যে আছেন। এটা একটা বাস্তবতা।
সাম্রাজ্যবাদ মোকাবিলা প্রশ্নে মার্ক্সবাদী ও ইসলামপন্থী বিপ্লবীদের ঐক্য হঠাৎ করে ঘটেনি। একটা লম্বা সময় ধরে হিজবুল্লাহতে তুরস্কের মার্ক্সবাদীদের একাংশ কাজ করেছে। সাম্প্রতিককালে ব্রিটেনে মার্ক্মবাদী ও ইসলামপন্থীরা একত্রে ব্লেয়ারের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। বিষয় হলো, ফরহাদ মজহারের কার্যপদ্ধতি, হাওয়াভবনের সঙ্গে দহরম মহরম কিংবা একটা উচ্চকিত (যেটা মোস্তাফিজ রিপন বললেন) প্রকাশভঙ্গি, কখনো কখনো তাঁর অসহিষ্ণু জবান -- এগুলো আমাদের পছন্দের না হতে পারে। দুর্বোধ্য মনে হতে পারে কিংবা কারো কারো হঠকারীও মনে হতে পারে। তার মানেই এই নয় যে তিনি জামাতীদের জন্য কাজ করছেন। এটা তাঁর রাজনীতি বুঝতে সাহায্য তো করবেই না, একটা বিশ্বব্যাপী মিলিটারি-কর্পোরেট শাসন পরিমণ্ডলের মধ্যে আমাদেরও নানান ধরনের মিত্র সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করবে।
একান্ত
-মানস
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
মানস, আপনার সযত্নে লিখিত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
আমি লেখাটিতে বলেছি- ফরহাদ মজহার এখন রাজনীতির সাথে জড়িত না হলেও রাজনীতির আঙ্গিনাতেই শয্যা পেতেছেন। এটি তার আজন্ম লালিত দিন বদলের চেতনা দিয়ে মোড়া। কিন্তু কি প্রসঙ্গে, কাদের মাধ্যমে বা সমর্থনে দিন বদলের কথা বলা হচ্ছে তা কিন্তু উপেক্ষা করা যায়না।
ফরহাদ মজহারকে এখন লুফে নিচ্ছেন মৌলবাদীচক্র; যেমন এক সময়ে লুফে নিয়েছিলেন বাম তাত্ত্বিকেরা। ফরহাদ মজহারকে নিয়ে এই প্রথম দলটির আগ্রহ বিপদজ্জনক। কারন, এরা মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাসী নন। যেহেতু এই চক্রটি কোন অখণ্ড স্থানে দাঁড়িয়ে নেই- সমস্যাটিও তাই আরও প্রকট হয়ে উঠছে প্রতিদিন।
ফরহাদ মজহারের রাজনীতি বোঝাটা সত্যিই দুরূহ হয়ে উঠেছে। তিনি নিজেকে এতবার এতভাবে ভেঙ্গেছেন যে- তাঁর বিশ্বাসের সন্তরণে দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি নিজেই। আর যাই হোক, আপাতভাবে জামায়াতীরাই ফায়দা লুটবে ফরহাদ মজহারের নতুন 'এবাদতনামা'য় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:০৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন
* মানস চৌধুরী
* অবকাশ
___________________________________________
পাঁচ নম্বর মাইনাসটা দিলেন কে?
২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:২০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ফরহাদ মজহারের মতো পণ্ডিত লোক আমি একালে বাংলাদেশে তেমন দেখিনা। আমি তার লেখা থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।
আর কেবল পত্রিকার কলাম দেখেই অনেকে তাকে মূল্যায়ন করেন, তাই তার মূল্যায়নটা যথার্থ হয়না। আপনি তেমনভাবে করেছেন তেমন বলছি না। বরং তিনি এবাদতনামার উল্টোপাঠ করছেন, আপনার এই মন্তব্যটি পছন্দ হলো। তিনি এক আলোচনায় যেভাবে মার্কস ও মাওলানা বা জিহাদ ও শ্রেণীসংগ্রামকে আনেন, উভয় গোষ্ঠীর জন্যই তাতে ম্যালা শিক্ষণীয় থাকে।
তবে এধরনের পণ্ডিতদের অনুসরণ করা বিপজ্জনক।
তার জ্ঞানভাণ্ডার থেকে কিছু সেঁচে নেবার কাজটিও করতে হয় সতর্কতার সাথে, সেজন্য ব্যক্তির নিজস্ব বুদ্ধি ও দর্শন থাকা চাই।
বস্তুবাদ ও ভাববাদের সম্মিলনের জন্য তার দার্শনিক চর্চা পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু তিনি যেভাবে মোল্লাতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছেন, তা তাকে পতনের দিকেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে। হিজবুত তাহরীরের পাঠচক্রপ্রয়াসী ছেলেদের প্রতি বেশ দরদ ছিল, এখন তিনি শিবিরের ছেলেদের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন কিনা জানিনা। ইদানীং তার লেখা তেমন পড়া হয়না। নয়া দিগন্ত পড়া হয়না একেবারেই।
বিডিনিউজের আর্টসে সম্প্রতি তার পুরনো একটা লেখা পড়লাম, বেদের মেয়ে জোসনা নিয়ে, সাংঘাতিক ভালো লেখা।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
বেদের মেয়ে জোসনা নিয়ে লেখাটি আমি পুনর্বার পাঠ করলাম বিডি নিউজে। আমার ভালো লাগেনি ফরহাদ মজহারের বিশ্লেষন প্রক্রিয়াটি। সত্য কথা বলতে কি, চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনও এমন করেই বাংলা চলচিত্র বিষয়ক আলোচনা করেন। এতে কোনো পক্ষ উপকৃত হয়না; শুধু বিরুদ্ধবাদীদের ওপর ঝাল মেটানো যায় এ প্রক্রিয়ায়।
ফরহাদ মজহারের বিষয়ে আমার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। এটি নানা কারনেই তৈরী হয়েছে আমার মধ্যে। তিনি সুলেখক, ভালো সংগঠক, শিক্ষা অনুরাগী- তাঁর এসব গুণাবলীর সাথে আমি বাল্যকাল থেকেই পরিচিত। তাঁর প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছিল, যখন আমি জেনে ছিলাম- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যে বিষয়টিতে অধ্যয়ন করেছিলাম ফরহাদ মজহারও সে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। যাহোক, ফরহাদ মজহারকে সেঁচে নেবার কাজটি আমি মনযোগী পাঠকের মতোই করেছি। আমি জানি, আমার ক্ষুদ্রতা ফরহাদ মজহারকে পুরোপুরি ধারন করতে দেয়নি।
এগুলো অন্যকথা; তার সাহিত্য বা শিল্পমান বিচারে আমি নিতান্তই অকিঞ্চিতকর।
ব্যক্তি ফরহাদ মজহার মোল্লাতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে উঠলে কোন সমস্যা নেই; কিন্তু এতে তিনি উৎসাহিত করে তুলছেন অনেকই- যা বিপজ্জনক।
২৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:১২
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ধুর মিয়া মহান মতিউর রহমান রেন্টুর নাম শুনেন্নাই? উনার একটা বিখ্যাত বই আছে "আমার ফাঁসি চাই"।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আসলেই শুনি নাই। এই রেণ্টু সাহেবের আর কোন পরিচয় আছে? তবে বই-এর নামটা কিন্তু জোশ- 'আমার ফাঁসি চাই'। (এরশাদ সিকদার, আর জয়নাল হাজারীর মতো হইছে।)
২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:২৩
মুকুল বলেছেন: হু ম ম
৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:২৯
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
আমার মতে এ সপ্তাহের সেরা লেখা এটা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
লেখাটি প্রসঙ্গে আমি জানিনা, তবে অসাধারন অনেক মন্তব্য এসেছে।
৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
চিরদিনের মতই ফ.ম. সাহেবের যুদ্ধের (ইসলামী) আশংকা মিথ্যে প্রমাণিত হবে, বলাই বাহুল্য - প্রচন্ড সম্ভনাময় অথচ আগাগোড়া ব্য্ররথ একজন মানুষ ফরহাদ মজহার।
৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৩
মানস চৌধুরী বলেছেন: রিপন, একটা অনুরোধ করি। এই মাইনাস-প্লাস গুণতে থাকলে কোনো আলাপই আগাবে না। প্রসঙ্গত, আমি কাউকেই মাইনাস বা প্লাস দিই না। কিছু বলার থাকলে, সময় ও বুদ্ধিতে কুলালে লেখার চেষ্টা করি। মাইনাস-প্লাস প্রীতি-ভীতি থেকে বেরিয়ে আসুন সম্ভব হলে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
মাইনাস-প্লাস প্রীতি-ভীতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না, এটি মজ্জায় ঢুকে গেছে। ভাল না লাগলে কেউ মাইনাস দিতেই পারেন। তবে, কেন ভাল লাগেনি তা জানলে আমিই উপকৃত হই সবচেয়ে বেশী। নিজেকে আবার যাচাই করার একটা সুযোগ তৈরী হয় এতে।
৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
নেমেসিস বলেছেন: এই রেণ্টু সাহেবের আর কোন পরিচয় আছে?
>>> শেখ হাসিনার এক্স বডিগার্ড । বইটার হার্ড কপি আছে আমার কাছে । পড়ে কি করবেন ? অতি গল্প কাহিনী সব । পাঁচ পৃষ্ঠা পড়লেই বোঝা যায় লেখকের মুল উদ্দেশ্য ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
দুনিয়াতে কত কিছুই না ঘটে!
৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৬
নেমেসিস বলেছেন:
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
আমার মতে এ সপ্তাহের সেরা লেখা এটা।
>>> একমত । তবে মন্তব্যের ঝুড়ি সহ ।
৩৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
নাজিম উদদীন বলেছেন: মরণকালে মানুষের বুদ্ধিনাশ হয়।
"ফরহাদ মজহারের মতো 'ভেটেরান' মানুষই একথা বলেছেন, এবার যাবে কোথায়!"
আপনার সাথে একমত। ফরহাদ সাহেব একজন 'ইন্টেলেকচুয়াল ডেরেলিক্ট'।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৪৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
জামায়াত এমন মওকা ছাড়বে কেন বলুন? ইদানিং ব্লগে ফরহাদ মজহারকে কারা রেফারেন্স হিসেবে আনছেন লক্ষ্য করেছেন?
৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:০০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: বেদের মেয়ে জোসনা তো আর্ট ফিল্ম নয়, একটা পপুলার ফিল্ম। পপুলার কালচার বা জনসংষ্কৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনাটি মূল্যবান। এত মানুষ কেন ছবিটা দেখলো, সেটা যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক করে, তবে তার উত্তর লেখাটিতে আছে। আর যদি মনে করেন একটি সাধারণ মানের ছবি কিছু সাধারণ মানুষ দেখেছে, এতে আশ্চর্য হবার কিছু নাই, তাহলে লেখাটি ভালো লাগবে না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:১১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এত মানুষ কেন ছবিটা দেখলো- এটির 'ডেক্স-মেইড' উত্তরটি আমার ভালো লাগেনি। একটি ছোট পরিসংখ্যান নিলেই সব সমস্যা চুকেবুকে যেত। তথ্যহীন দীর্ঘ পর্যালোচনা আমার অর্থহীন মনে হয়।
৩৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:০০
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
মানস চৌধুরী বলেছেন: স্ট্যানলি কুবরিক সারওয়ার চৌধুরীকে 'বলদ টাইপের' বলাতে আমার রক্ত হিম হয়ে গেল। ফলে এখন 'ছাগল টাইপের' গালির সম্মুখিন থেকেই আমার লেখা হচ্ছে। কী করা! কপালে থাকলে...
....................
হা হা হা মানস চৌধুরী হাসাইলেন। আমার ব্লগীয় বন্ধুরা আমাকে গত আট মাসে প্রায় সব ধরণের তীর্যক মন্তব্য ও গালি আমার উপর ঢেলে দিয়েছেন!
এ প্রসঙ্গে আরো কিছু বলি-
তিনি তথাকথিত 'ইসলামী বিপ্লবের' পক্ষে বলছেন না। গতকালের 'নয়া দিগন্তে' প্রকাশিত তাঁর 'চিটিংবাজি' শীর্ষক কলামটি আগাগোড়া মনোযোগ দিয়ে পড়লেই তা পরিস্কার দেখতে পাবেন। এর আগে লিটল ম্যাগ 'ভূমিজ' প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, গোলাম আজম কর্তৃক তাঁর কথাকে ব্যবহার করে কোনো লাভ নেই।
আমার মনে হয় ফরহাদ ভাই যা বলতে চান তা হলো, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর বর্তমান বিশ্বে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ মোকাবেলার জন্যে ইসলামিক স্পিরিট খুব জরুরী। আমেরিকাও সেটা বুঝতে পারছে যে, তার এখন একমাত্র ভয়ংকর শত্রু ইসলাম বা মুসলিম। তাই সে সুকৌশলে ইসলামী জেহাদী স্পিরিটকে তার পক্ষে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের এই চাতুরীকে খুলেমেলে দেখান ফরহাদ মজহার। দেশে দেশে তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক হয়ে যাচ্ছে, তাও তিনি দেখান। তাঁর এই প্রচেষ্টা মানুষের মুক্তির জন্যেই বলে মনে হয়।
আর মোস্তাফিজ রিপন ভাই, একটা কথাই বলবো, কে বা কারা ফরহাদ মজহারের কথাকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করছে বা করবে, তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি যা বলছেন তা সত্য কি না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:২৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহার কথিত 'ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা' মার্কিন সম্রাজ্যবাদের চক্রান্তে বাংলাদেশকে ইরাক বা আফগানিস্তানে পরিনত করার অভিপ্রায়ে কাজ করে যাচ্ছেন আমি মেনে নিতে পারিনা। এটি বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর তিন দশক পুরনো জুজু আতংকের নতুন প্রতিধ্বনি মাত্র।
ফরহাদ মজহারের কথাকে বা যে কোন কথাকে কে কিভাবে ব্যবহার করবে তাও কিন্তু ফেলে দেওয়ার বিষয় নয়।
৩৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:০৩
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: দয়া করে সবাই প্রথম মন্তব্যটা পড়ে দেখুন স্বয়ং শিবির নেতা কী সার্টিফিকেট দিচ্ছে ফরহাদ মজহারকে; এরপর আমাদের আর কী বলার থাকে?
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৩৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এ আর নতুন কি! শিবির নেতা তো ফরহাদ মজহারকে ব্যবহার করবেনই, তাইনা? ফরহাদ মজহারের চিন্তার নতুন পোলারাইজেশনের সমস্যা এখানেই।
৩৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৩
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, আমরা দেখবো, বিশ্ববাসী দেখবে, আফগানিস্তানের তালেবানদের মতোই বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট তা পরিস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু ফরহাদ মজহার কলুষমুক্ত থাকবেন।
আরেকটা ব্যাপার দেখুন, পশ্চিমের 'অক্সিডেন্টালিজম' আর পূবের 'ওরিয়েন্টালিজম'র দ্বন্দ কি জিনিস যিনি খোলাসা করেছিলেন, তার নাম এ্যাডওয়ার্ড সাঈদ তাঁর 'ওরিয়েন্টালিজম' গ্রন্থে, জানেন নিশ্চয়।
এই সাঈদ নিজ মাতৃভূমি ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত হয়ে আমৃত্যু আমেরিকায় অধ্যাপনা করে জীবন যাপন করেছিলেন। কিন্তু পৃথিবীর বাঘা বাঘা পত্রিকায় কলাম লিখে এবং আরো নানান প্রয়াসে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী নীতির কঠোর সমালোচনা করে গেছেন।
কথাটা এই কারণে বললাম কেউ যে প্লাটফরমেই থাকুন না কেন তিনি যদি হালের মানবতার শত্রু আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাকে অগ্রহনযোগ্য বলার কোনো কারণ দেখি না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এডওয়ার্ড সাঈদ আমার পড়া নেই।
আপনি যে আশা বা আশংকা করছেন, খোদা না করুক- তার পরিনতি হবে ভয়াবহ। ফরহাদ মজহারকে কে বাঁচাবে? আমেরিকা? -না। আর মৌলবাদীরা বেহেস্তে যাওয়ার সওয়াবের আশায় তাঁকে খুন করবে শুরুতেই।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে লেখা মানে কিন্তু বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনকে আমেরিকার দালালি বলে প্রচার করা নয়।
৪০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪২
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: মজহার মোসাদের এজেন্ট।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
এইটা ফাটাফাটি হইছে।
বাংলাদেশে 'মোসাদ', 'র' -এই শব্দগুলো কারা ব্যবহার করে জানেন তো?
৪১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৪৫
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: সালুয়ার কি ঐ বইটা পড়ছেন?
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৪৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আপনার রাজাকার মুক্ত ব্লগ আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়ল কেন?
৪২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৪
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: মজহার মোসাদের এজেন্ট।
লেখক বলেছেন:
এইটা ফাটাফাটি হইছে।
এইবার আমি মাফ চাইয়া অফ গেলাম।
ভালো থাকুন সবাই।
৪৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:১৯
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: যে প্লাটফরমেই থাকুন না কেন তিনি যদি হালের মানবতার শত্রু আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাকে অগ্রহনযোগ্য বলার কোনো কারণ দেখি না।
বিপজ্জনক মন্তব্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৪৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
সাম্রাজ্যবাদ নামের জুজুর ভয় দেখিয়ে পারভেজ মোশাররফ টিকে রইলেন পাকিস্তানে। আবার মৌলবাদের পুতুল নাচ দেখিয়ে হোয়াইট হাউজের মনোরঞ্জনও করেছেন। বড় বিচিত্র রাজনীতি!
ফরহাদ মজহারকে ব্যবহারের সুযোগ কে হাত ছাড়া করতে চাইবে?
৪৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৫৪
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: ভাই মোস্তাফিজ রিপন,
বাংলাদেশে 'র,মোসাদ শব্দগুলা সবচাইতে বেশী ব্যবহার করে তাগো নিজেগো লোকেরা যেমন জামাতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, হরকাতুল জিহাদ, হিতজবুত তাহরীরসহ আরো যত বালচাল আছে। সুযোগ মতো মুসলীম লীগের মেটামরফোসিস আওয়ামী লীগ বা বিএনপিও করে। তবে প্রথম ধারাটাই মুখ্য।
মজহার সাহেব যা করতাছে তাতে যে হুজুররা পুরা হালার হইবো না এইটা মজহার নিজের বুদ্ধিতেই বুঝে। তবে এতে কইরা তারা আরো কিছুটা জায়গা পাইবো। এই জায়গাটা তারা ব্যবহার করবো মোসাদের স্বার্থে রিভার্স অ্যাকশানে। মজহারের তাতে বালের মাথাও পুড়বো না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:২৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ব্যক্তি ফরহাদ মজহার ক্ষতিগ্রস্থ হলে রাষ্ট্রের কিছু এসে যায় না। কিন্তু প্রবর্তনার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোথায় লুকাবেন ফরহাদ মজহার?
যাহোক, খুব রেগে গেছেন বোধ হয়। শুভেচ্ছা রইল।
৪৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৫৫
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: বালচাল=বালছাল
হালার= হালাল
৪৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:১৭
পুতুল বলেছেন: ফরাসী এক পর্বতারোহীর কথা মনে পড়ে গেল। হিমালয়ের শীর্ষে দাড়িয়ে মনে হল এর পর জয় করার মত আর কী আছে?
খুঁজে পেলেন পৃথিবীর তাবৎ গগন চুম্বি অট্টালিকার সারি। এ যাবৎ তৈরী সব সর্ববৃহৎ ইমারতে আরোহন করেছেন, দালানের বাইরে দিয়ে, দেয়াল বেয়ে, কোন প্রকার দড়ি দড়া দিয়ে আপদ কালের বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ রুদ্ধ করে। পা পিছলে (গেলে) একেবারে আলুর দম।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেনঃ এ ধরনের মানুষ সব সময় সব কিছুর উর্ধ্বে থাকতে চায়।
আলোচ্য ব্যাক্তি তেমন একজন মানুষ। কিছু লেখা মুখস্ত করে পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করার পর: কবিতা লিখেও অনেক খ্যতি পেয়ে গেলেন।
বাম খেলা তো অনেক হল! এবার অন্যপ্রান্তটা দেখে আসি।
কিন্ত কোন একটা বিষয়ে অন্যের অনেক মতের সাথে পরিচয় থাকলে, একটা নতুন পথ পাওয়া হয়তো সহজ। অন্ততঃ নতুন পথটা "নতুন" এ ব্যাপারটা নিশ্চিৎ হওয়া যায়।
ভাল কবি হলে কবিতায় শোষনের বিরোধিতা করা যায়। তিনি করেছেনও।
তাই বলে নতুন একটা রাজনৈতিক মতবাদ দেয়া। আর সেটা যদি হয় পোষ্টে উল্লেখ করা বিষয়কে (এখানে শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতার কথাটা ভাবছি) নিয়ে।
নতুন কোন কবিতার সাথে তার মৌলিক পার্থক্য এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি না।
তা হলে বলব সাবধান! এমন একটা বিপ্লবের সাথে অনেক মানুষের "জীবন" জড়িত। অনেকে মনে করেন যার যেভাবে খুশী, সে সেভাবে ফরহাদ মজহারের বক্তব্য কাজে লাগাক। তাতে ফরহাদ মজহারের কি? আমি তার সাথে মোটেও একমত নই। আমার কথা রাজাকাররা কোড করে আমাকে আক্রমণ করলে ক্ষতি নেই, কিন্তু প্রশংসা করলে ক্ষতি আছে। মহাশূন্যে কত নক্ষত্রের পতন ঘটে!
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৩৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
মহাশূন্যে কত নক্ষত্রের পতন ঘটে!
৪৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৩২
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: এই ব্যাপারটাই বুঝাইতে পারতেছি না। ব্যক্তি মজহার ব্যবসায়ী। তার কিছুই হইবো না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৪০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফরহাদ মজহারকে আমার ধুরন্ধর মনে হয়না। 'ছিটগ্রস্ত' মনে হয়।
৪৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৪২
পুতুল বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ফরহাদ মজহারকে আমার ধুরন্ধর মনে হয়না। 'ছিটগ্রস্ত' মনে হয়।
সত্যিই একরকমের মানুষিক বিকারগ্রস্ত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:৫২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
তাঁর ভালো কাজের সংখ্যাও কিন্তু অনেক। ২০০৬ সালের নববর্ষের বিশেষ সংখ্যায় 'নিউ এজ' পত্রিকা তাঁকে নিয়ে 'নিউ এজ হিরো' শিরনামে বিশাল এক রিপোর্ট করেছিল।
৪৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩০
আলফ্রেড খোকন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে আমার অনেকখানি সহমত আছে বলেই মন্তব্য করলাম। এর আগে ফারুক ওয়াসিফকে সলিমুল্লাহ প্রসঙ্গে বলেছিলাম। মানুষে বয়স হয় রে ভাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!১
৫০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৫:১৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
অথচ, কী সহজেই না বনস্পতির ছায়া মেলতে পারতেন!
৫১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:৪৬
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: ফরহাদ মযহার একজন বিভ্রান্ত মানুষ!
তাঁর এবাদতনামা নির্বোধের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত; এটিও যথেষ্ঠ বিভ্রান্তীকর...
তাঁরই সাথে স্মরণযোগ্য আরেক কবি আল মাহমুদ; দু'জনই স্খলিত...
৫২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:৪৮
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: বাংলার ভাবান্দোলন নিয়ে ফহোদ মযহারের চিন্তা-ভাবনার পরিধি, তার পঠন-পাঠন বা দার্শনিক বিশিষ্টতা এবং অসাধারন বিশ্লেষন ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায় কারো নেই। বিশেষ করে শ্রীচৈতন্য, লালন এবং রাজনীতির মার্কসকে একটা ঐক্যে গড় করে পড়ার ট্রেডিশন তৈরী করতে পেরেছেন যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির জন্য জন্য একটি অভূতপুর্ব বিষয়।
এটাইতো বিভ্রান্তী... যা সুকৌশলে তিনি করতে পারেন নির্বাধের জন্য;
২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:১৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
তিনি কক্ষচ্যূত হয়েছেন বারবার- তাঁর সৃজনশীলতা তাই বিভ্রান্তি তৈরী করেছে। ব্যক্তি মানুষতো আর শিল্পীমানুষ থেকে আলাদা নন!
৫৩| ০৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
মুসতাইন জহির বলেছেন: Rbve wicb,
Avcb GKUv Ôg~j †mªvZÕ Av‡Q eySv hv‡”Q| †Zv GB GB g~j †mªvZUv wK AvIqvgx-wmwcwe aviv? Ô¯^vaxbZvi ¯^c‡i kw³Õ? AvIqvgx-wmwcwei bvbvb †Lvjm e`‡ji welqI Av‡Q wKš‘? Gymvwe`v msweav‡b ag©wbi‡cZv I mgvRZš¿ †jLK AvIqvgx jxM, †kL gywR‡ei evKkvj, wRqvi UvB‡g AvIqvgx evKkvj, Rvgv‡Zi j‡M kvwgj nBqv ‡Kqvi‡UKvi Av‡›`vj‡b nvwmbvi AvIqvgx jxM, evBk eQi c‡i mv‡ai ‡cwU ey‡R©vqv mgvRZš¿ dvjvqv wek¦e¨vs‡¼i evRvi A_©bxwZi meK wbqv gZvq hvIqv AvIqvgx jxM, Av‡gwiKvi mš¿v‡mi wei“‡× hy‡×i hy‡M Bmjvg †`L‡jB RvgvwZ ivRbxwZi †j‡ej gvBiv ( cyivbv Kvq`v) ey‡ki Kz‡mW hy× bxwZi Kv‡Q wewµ Kivi AvIqvgx ÷vBj mI`vMwi? †KvbUv fvBRvb? Bnv‡ZB wK Avcbvi wbiwew”Qbœ Ôg~j †mªvZÕ KjKj engvb?
1971 m‡b cvwK¯—v‡bi mnvq mg_©K wQj Av‡gwiKv, Avgv‡`i ¯^vaxbZvi we‡ivax| GLb †`wL ZvivB hy×vcivaxivRbxwZi g¯—eo †cvlK, ivRbxwZUv wK Avcbv‡`i wicb mv‡ne? GB Bm¨y‡Z Avgv‡`i evgcš’x‡`i Ae¯’vb Avi Av‡gwiKvb ˆe‡`wkK bxwZ GLb GK KvZv‡i RvgvZe›`x! Rvm`I wK gPrKvi, ms¯‹vi Pvq †mbv-mykxj-civkw³i dg©yjv gvwdK Qvov, mg‡q GB `j AvIqvgx jx‡Mi PvB‡Z †ewk hy×vciva we‡ivax| †Zv, GBme †L‡ji g‡a¨ Avcbv‡`i hy×vciva we‡ivax ivRbxwZ bv _vK‡j Avi _v‡K wK| Ges cÖMwZkxj gvwK©b gywL Ôg~j †mªvZÕ|
¯^vaxbZv hy‡×i ci ci GKUv Av‡eM I AvKv•v‡K aviY Ki‡Zv eyR‡Z cvwi| wKš‘ MYZvwš¿K ivóª MV‡bi w`K †_‡K bv †`‡L Ôag©wbi‡cZÍvÕi bv‡g mvs¯‹…wZK d¨vwmev‡`i PP©vUvB wQj cÖavb| hv cyiv `¯‘i mv¤cÖ`vwqK Ges †Nvi Bmjvg we‡Ølx| hv µ‡g µ‡g Av‡gwiKvb µz‡m‡Wi Kv‡j G‡m n‡q `uvwo‡q‡Q evsjv‡`‡k hv wKQzB Bmjv‡gi m‡½ hy³ †mm‡ei wei“‡× ag©wi‡cZvi bv‡g Svwc‡q cov, Av‡gwiKvi †Kv‡j D‡V Av`i-‡mvnvM wewbgq| Avjer, †ek my‡Li wewbgq m¤úK©| †Zv, GLb huviv GB Ôg~j †mªv‡Zi evB‡i muvZviÕ KvU‡Z PvB‡e Zuv‡`i wb‡q wbðq Avcbv‡`i †Mv¯^v n‡e, †µva PvwM‡q DV‡e; iv¯—vq wc‡U‡q †g‡i †dj‡ZB nvZ wbkwck Ki‡e| Avcbv‡`i KzrwmZ Avµgb Avi wLw¯—‡LDo †Zv †m K_vB e‡j|
২২ শে মে, ২০০৮ ভোর ৪:০৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
মন্তব্যটি কি আবার পোষ্ট করা যায়?
৫৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪২
মুসতাইন জহির বলেছেন: এবার মনে হয় পড়া যাবে।
জনাব রিপন,
আপন একটা 'মূল স্রোত' আছে বুঝা যাচ্ছে। তো এই এই মূল স্রোতটা কি আওয়ামী-সিপিবি ধারা? 'স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি'? আওয়ামী-সিপিবির নানান খোলস বদলের বিষয়ও আছে কিন্তু?
মুসাবিদা সংবিধানে ধর্মনিরপেতা ও সমাজতন্ত্র লেখক আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবের বাকশাল, জিয়ার টাইমে আওয়ামী বাকশাল, জামাতের লগে শামিল হইয়া কেয়ারটেকার আন্দোলনে হাসিনার আওয়ামী লীগ, বাইশ বছর পরে সাধের পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র ফালায়া বিশ্বব্যাংঙ্কের বাজার অর্থনীতির সবক নিয়া ক্ষমতায় যাওয়া আওয়ামী লীগ, আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের যুগে ইসলাম দেখলেই জামাতি রাজনীতির লেবেল মাইরা ( পুরানা কায়দা) বুশের কুসেড যুদ্ধ নীতির কাছে বিক্রি করার আওয়ামী স্টাইল সওদাগরি? কোনটা ভাইজান?
ইহাতেই কি আপনার নিরবিচ্ছিন্ন 'মূল স্রোত' কলকল বহমান?
১৯৭১ সনে পাকিস্তানের সহায় সমর্থক ছিল আমেরিকা, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধী। এখন দেখি তারাই যুদ্ধাপরাধী রাজনীতির মস্তবড় পোষক, রাজনীতিটা কি আপনাদের রিপন সাহেব? এই ইস্যুতে আমাদের বামপন্থীদের অবস্থান আর আমেরিকান বৈদেশিক নীতি এখন এক কাতারে জামাতবন্দী! জাসদও কি মচৎকার, সংস্কার চায় সেনা-সুশীল-পরাশক্তির ফর্মুলা মাফিক, সময়ে এই দল আওয়ামী লীগের চাইতে বেশি যুদ্ধাপরাধ বিরোধী। তো, এইসব খেলের মধ্যে আপনাদের যুদ্ধাপরাধ বিরোধী রাজনীতি না থাকলে আর থাকে কি। এবং প্রগতিশীল মার্কিন মুখি 'মূল স্রোত'।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর একটা আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতো বুজতে পারি। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের দিক থেকে না দেখে 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের চর্চাটাই ছিল প্রধান। যা পুরা দস্তুর সাম্প্রদায়িক এবং ঘোর ইসলাম বিদ্বেষী। যা ক্রমে ক্রমে আমেরিকান ক্রুসেডের কালে এসে হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে যা কিছুই ইসলামের সঙ্গে যুক্ত সেসবের বিরুদ্ধে ধর্মরিপেক্ষতার নামে ঝাপিয়ে পড়া, আমেরিকার কোলে উঠে আদর-সোহাগ বিনিময়।
আলবৎ, বেশ সুখের বিনিময় সম্পর্ক। তো, এখন যাঁরা এই ''মূল স্রোতের বাইরে সাঁতার'' কাটতে চাইবে তাঁদের নিয়ে নিশ্চয় আপনাদের গোস্বা হবে, ক্রোধ চাগিয়ে উঠবে; রাস্তায় পিটেয়ে মেরে ফেলতেই হাত নিশপিশ করবে। আপনাদের কুৎসিত আক্রমন আর খিস্তিখেউড় তো সে কথাই বলে। নাকি?
০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১০:১১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আপনার প্রশ্নের জবাবে মাহবুব মোর্শেদের ব্লগ থেকে একটা গল্প কাট-পেষ্ট করলাম। আমি তেমন কিছু না বলতেই আমাকে বেশ 'পড়ে ফেলেছেন' জেনে এই গল্পটার কথা মনে পড়ল।
মিস্টার এক্স বাজারে গেছেন। হঠাৎ এক অপরিচিত ব্যক্তি তারে দেইখা আগায়া আসলো। বললো, এক্সকিউজ মি, ভাই একটা প্রশ্ন আছিল। মিস্টার এক্স বললেন, বলুন। ধরা যাক অপরিচিত ব্যক্তির নাম ওয়াই। ওয়াই বললেন, ভাই আপনি কি জাপানি? এক্স উত্তর দিলেন, না ভাই আমি জাপানি না।
মি.এক্স বাজার করতে করতে তরকারি হাঁটিতে পৌঁছাইলেন। হঠাৎ দেখেন সামনে ওয়াই। ওয়াই তাকে দেখে আবার আগ্রহ নিয়া আগায়া আসলো। বললো, এক্সকিউজ মি, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। এক্স একটু চোখ কুচকে বললেন, বলুন? ওয়াই জিগাইলেন ভাই, আপনি কি জাপানি? এক্স বললেন, আপনাকে তো বললামই ভাই, আমি জাপানি না।
যাই হোক এক্স বাজার করে রিকশা ঠিক করলেন। রিকশায় উঠেছেন এমন সময় ওয়াই দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়া হাজির। বললো, ভাই থামেন। ভাই থামেন। এক্স থামলেন। বললেন, বলুন। ওয়াই বললো, ভাই আপনি কি জাপানি? প্রশ্ন শুনে এক্স রেগে গিয়ে ওয়াইকে ধাক্কা দিয়া রিকশাঅলাকে যাইতে কইলেন। কিন্তু ধাক্কা খেয়ে ওয়াই রাস্তায় পইড়া গেছে। তার পড়া দেইখা, লোকজন এক্স, ওয়াই ও রিকশাকে ঘিরে ধরলো। পাবলিক অতি উৎসাহী। কইলো, ভাই কী হইছে? ওনারে ধাক্কা দিলেন ক্যা? ওয়াই ধাক্কা খাওয়া অবস্থায় শুয়া শুয়া প্রশ্ন বললো, ভাই ওনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে। পাবলিক বলে, প্রশ্ন আছে, আপনি উত্তর দিয়া যান। ধাক্কা মারেন ক্যা? করেন ভাই করেন, আপনার প্রশ্ন করেন। পাবলিকের উৎসাহে এক্স অনিচ্ছা সত্ত্বেও কয়, হ প্রশ্ন করেন। ওয়াই বলে ভাই, আপনি কি জাপানি?এক্স বলে, হ ব্যাটা, আমি জাপানি। ওয়াই শুয়া শুয়া বিস্ময়ের সুরে কয়, হায় হায়রে! আপনারে একদম জাপানির মতো লাগে না।
৫৫| ১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:০২
সত্যান্বেষী বলেছেন: 'আর মৌলবাদের প্রথম শিকারটিও তিনিই হবেন।'
তথাস্তু।
১৬ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:০৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এটি আমার আশঙ্কা। 'তথাস্তু' না হোক।
এতকাল আগের, তা-ও আবার আমার লেখা... খুঁজে পাঠ করেছেন জেনে খুব আহ্লাদ হলো...
৫৬| ১৭ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৫
সাইফ সামির বলেছেন: সবটাই কথাবাজি!
৫৭| ১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
...যেন কথা দিয়ে রুখে দেয়া যায়... (সুমনের গানের কথা মনে পড়ল)
৫৮| ১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
গৌতম রায় বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলামের সাথে কমিউনিজমকে এতো চমৎকারভাবে (পড়ুন ধুরন্ধরভাবে) ফরহাদ মজহারের মতো আর কেউ মেশাতে পারেন নি। দুটো ভিন্ন ধারার ও ভিন্ন চিন্তাচেতনার আদর্শকে এক কাতারে মেশানোর জন্য জন্য যে পরিমাণ কৌশল ও জ্ঞান থাকতে হয়, তার সবই আছে ফরহাদ মজহারের। ফলে তাঁর কল্কে পাওয়া ভার।
আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম কিছু দুর্ধর্ষ কবিতার জন্য, আর জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য, যেগুলো আমাদের জীবনে সত্যিকার অর্থেই কাজে লাগবে।
শ্রদ্ধাটা তখন থেকেই হাওয়া হতে শুরু করলো যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের এক প্রোগ্রামে তিনি জানালেন, একজন ছাড়া তিনি পৃথিবীর সমস্ত মেয়েকে মা বলে ভাবেন, ভাবতে পারেন। খুবই দুরূহ ব্যাপার সন্দেহ নেই- মহামানবদের পক্ষে হয়তো এমনটা ভাবা সম্ভব। কিন্তু ফরহাদ মজহার তো তা নন! এমনতর চটকদার বক্তব্য যিনি দিতে পারেন, তাঁকে শ্রদ্ধা করাটা কষ্টকর বৈকি।
১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৮:৫৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সমাজতন্ত্র আর ইসলামী মৌলবাদের ফিউশন ফরহাদ মজহারের আগে এতো ব্যাপক পরিসরে কেউ ঘটিয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। আমি এককালের কয়েকজন পাড় কমিউনিষ্টদের কথা জানি, যারা লোভে পড়ে গোঁড়া মৌলবাদী হয়েছেন। কিন্তু ফরহাদ মজহারের 'বিষয়টা' তাদের তুলনায় কয়েক কাঠি ওপরে। ব্যক্তিগত জীবনে ফরহাদ মাজহার ধর্মের ধার ধারেন না, কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীদের মনোরঞ্জনে বানর নাচেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন লোকের অভাব কোনো কালেই ছিলনা। যেহেতু ফরহাদ মজহার শুধু বলেনই না, গতরেও খাটেন- তাই আতর ব্যাপারীদের কাছে তার কদর অনেক বেশী। তার তত্ত্বাবধানে জামায়াতের তাত্ত্বিক উইনিংস গত কয়েক বছরে নতুন এক চেহারা নিয়েছে। ওরা মানুষ জবাই করার পেছনে এখন ইসলামী আন্দোলনের দোহাই-ই শুধু দেয়না, বৈশ্বিক রাজনীতি, কর্পোরেট আগ্রাসন, জাতিয়তাবাদ-- সবকিছুকে বেশ চৌকষভাবে সামনে আনতে পারে।
৫৯| ১৮ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫
গৌতম রায় বলেছেন: রাজনীতিতে এমন লোকের অভাব ছিলো না সত্যি, কিন্তু ফরহাদ মজহারের মতো এমন নিপাটভাবে আর কেউ ইসলাম ও কমিউনিজমকে মেশাতে পারেন নি। দুঃখজনক হলো তাঁর সাথে যুক্ত সলিমুল্লাহ খান, এবাদুর রহমানের মতো মানুষজন যুক্ত হয়েছে। অথচ এই মানুষগুলোর কাছ থেকে কতো কিছুই না পেতে পারতাম, যদি তারা ধর্মটাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেন!
২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কথা সত্য। বাংলাদেশে ধর্ম হচ্ছে টেক্কা, রাজনীতির সবচেয়ে শক্তশালী পূঁজি।
মজার ব্যাপার হলো, পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দল প্রকট মৌলবাদী হলেও- সেখানে ইসলাম রক্ষার নামে রাজনীতি চলে। এই দলের চেয়ে ওই দল এককাঠি বেশী ধার্মিক আরকি! বাংলাদেশেও একই অবস্থা। পাকিস্থানের এককালের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবিরাও কার চেয়ে কে বেশী মৌলবাদী সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে এখন। বাংলাদেশে সেই হাওয়া লেগেছে।
৬০| ২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: @ গৌতম রায় ও লেখক:
সলিমুল্লাহ খান কি করে ফরহাদ মজহারের লগে যুক্ত য়েকটু ব্যখ্যা করেনতো...আমার জানামতে তারা য়েক দুনিয়ার দুই রীতির বাসিন্দা।
আপনেরা কেমনে য়েক বাক্যে য়েক করে দিলেন?!!!
৬১| ২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সলিমুল্লাহ খান আর ফরহাদ মজহারের 'যুক্ত' হওয়ার বিষয়টি, আমার কাছে, তাদের এককালের বৃহৎ গণমুখী আচরনের সাথে সংশ্লিষ্টতা বলে মনে হয়েছে। দুই রীতির বাসিন্দা হতে দোষ নেই। রীতিতে অমিল থাকুক, থাকেও।
৬২| ২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আদর্শিক বৈপরিত্ব থাকলেই কি তা দোষনীয়?
আমার তা মনে হয় না।
ফরহাদ মাজহারের লেখা কলামগুলো আমি নিয়মিত পড়ি।
এদেশের স্বাধাণ মানুষ এবং শ্রেনী চেতনার ব্যাপারে তাকে সবসময়ই আন্তরিক মনে হয়।
হতে পারে একসময় তিনি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে গনমানুষের মুক্তির পথ মনে করতেন আর আজকে মনে করছেন ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমেই আসবে সেই মুক্তি। এখানে তার চাওয়াটাকে আমার কাছে মুখ্য বিষয় মনে হয়। সেই গনমানুষের মুক্তি সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে এলো না ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে সেটা মুখ্য বিষয় নয়।
আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি এ'ব্যাপারে নিশ্চিত যে ফরহাদ মাজহার যে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে গনমানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন তা তার মতিভ্রমের বা বিভ্রান্তির ফল। আপনার এই মনোভাব এই লেখাটাকে একপেশে করে ফেলেছে। আপনার মতই যদি কেউ মনে করে সমাজতন্ত্রই ছিল ভুল পথ তাহলে সে বলবে ফরহাদ মাজহার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এটাই শিখেছেন যে গনমানুষের মুক্তি একমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই সম্ভব।
২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আদর্শিক বৈপরিত্যে আমি দোষ দেখিনা।
আপনি বলেছেন, আমি মনে করছি- ফরহাদ মাজহার যে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে গণমানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন তা তার মতিভ্রমের বা বিভ্রান্তির ফল।
আমি আসলে ফরহাদ মজহারের বিভিন্ন অসংলগ্ন এবং দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছি। তাকে 'গণমানুষের মুক্তির' স্বপ্নদাতা হিসেবে দেখিনি এবং আদৌ তাকে এত বড় স্বপ্নদ্রষ্টা মনে করিনা।
ফরহাদ মজহার জামায়াতে ইসলামী এবং প্রকটভাবে সুবিধাবাদী ডানপন্থী একটি রাজনৈতিক চক্রের সাথে কাজ করছেন। যাদের আক্ষরিক অর্থেই কোনো ধর্ম নেই; ওরা ধর্মের বাকল পরে শকুনের মতো রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘাড়ে বসে আছে।
ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গে আমার সমস্যাটি এখানেই।
৬৩| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:১৯
গৌতম রায় বলেছেন: বায়োলজি বলে আমি নাকি ছেলে!!!, নিশ্চয়ই উত্তর পেয়েছেন।
কাঙ্গাল মুরশিদ, গণমানুষের মুক্তি কখনোই কোনো ধর্মের মাধ্যমে আসা সম্ভব না। ধর্ম সেটাকে অনুমোদনও করে না। কেউ সত্যিকারের মুক্তি চাইলে ধর্মটাকে এর বাইরে রেখেই চাইতে হবে। আমরা স্বীকার করি বা না করি, ধর্ম সবসময়ই গণমানুষের বিপক্ষেই অবস্থান নেয়। পিতৃতান্ত্রিক রীতির সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতাকারী হিসেবে প্রতিটি ধর্মই তার ডমিনেটিং ক্যারেক্টারগুলো দুর্বলের ওপর চেপে বসে। না হলে সেটা আর ধর্ম থাকে না।
২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রাজনীতিতে ধর্মীয় সংগঠন, আর পৌরসভার নিবন্ধনহীন কসাইখানা-- কোনো তফাৎ নেই।
৬৪| ২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩
শয়তান বলেছেন: এত মাইনাস কেন ?
২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
আদর করে দিল সবাই...
৬৫| ২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪০
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: @গৌতম রায় ও লেখক:
আপানাদের মনে হলো বলেই কোন ধরনের বিচার বিশ্লেষন ছাড়াই ফরহাদ ও সেলিমকে য়েক কইরা দিলেন?!!
সলিমুল্লা খানও যদি ফরহাদের লগে যোগ দিয়া থাকে তাইলে ব্যাখ্যা করে দেখান...যেমনটা ফরহাদরে করে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
য়েককালের আচরন দেখে আপনাদের মনে হলো আর অমনি ফরহাদের লগে সেলিমরেও মৌলবাদি সার্টিফিকিট দিয়া দিলেন?!!
পারলে সলিমুল্লা খানের কর্মকান্ড বিচার কইরা দেখান..সে কি করে মৌলবাদি/ফরহাদের মত নাস্তিক মোল্লা...আর নাইলে য়েভাবে মনে হওয়া থেকে সার্টিফিকিট দেওয়া বন্ধ করেন।
আমি আশা করছি আপনারা বিশ্লেষন করবেন।
আর গৌতম রায় আপনি কি করে ফরহাদ আর সেলিমের মত ২ জন চিন্তকের সাথে ফরাসি চাগলা বাদুড় য়েবাদুর রহমানরে য়েক কইরা দিলেন?!!!
৬৬| ২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
শয়তান বলেছেন: বায়লোজি ক্ষেপসে
৬৭| ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: বড় দেরিতে পড়লাম। একমত।
৬৮| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:২৯
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
প্রায় দেড় বছর পর লেখাটি চোখে পড়লো । পড়লাম ।
জানা হলো ।
৬৯| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
মাইদেশ বলেছেন: ফরহাদ মজহার বিষয়ে লেখাটি সময়পোযোগী। ধন্যবাদ বিষয়টা সামনে নিয়ে আসার জন্যে। ফম বেশ কয়েক বছর মৌলাবাদের ছায়াতলে আছেন সম্ভবত রিটায়ের্ড লাইফের সুযোগরে জন্যে কিছু কামানোর ধান্ধায় ব্যস্ত।
৭০| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১৩
রঙধনু বলেছেন: লেখক ফরহাদ মঝার বিষয়ে ভূল সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছেন।
৭১| ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫২
রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: বাংলার ভাবান্দোলন নিয়ে ফহোদ মযহারের চিন্তা-ভাবনার পরিধি, তার পঠন-পাঠন বা দার্শনিক বিশিষ্টতা এবং অসাধারন বিশ্লেষন ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায় কারো নেই। বিশেষ করে শ্রীচৈতন্য, লালন এবং রাজনীতির মার্কসকে একটা ঐক্যে গড় করে পড়ার ট্রেডিশন তৈরী করতে পেরেছেন যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির জন্য জন্য একটি অভূতপুর্ব বিষয়।
অন্যদের মত বিশ্লেষণ করছেন ভাল বলতে পারছি না। আপনার অভিযোগগুলো কিছু অংশ আমরা অন্যরকম মনে হল নিচে দিলাম। আশা করি সময় পেলে স্পষ্ট করবেন।
১. ফরহাদ মজহারের এই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মানসিকতা এতোটাই প্রকট আকার ধারন করেছে যে, উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ কিংবা বাংলাদেশে বার্ড-ফ্লু'র বিস্তারকেও দাতাদেশগুলোর চক্রান্ত বলে মনে করেন তিনি।
হ্যাঁ এতে আপনার মতামত কী?আপনি কী দাতাপন্থী?
2. চিরদিনই মূল স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটেছেন ফরহাদ মজহার।
আপনি কী স্রোতের পক্ষে সাঁতার কাটছেন? ফ.ম বিপরীত সাতাঁর কাটার যুক্তি আমরা সবাই দেখছি এবং তা স্পষ্ট।
3. ১৯৯৪ সালে, বিএনপি শাসনামলে বাংলাদেশে আনসার বিদ্রোহের সমর্থনে তার নিজের পত্রিকা 'পাক্ষিক চিন্তা'য় একটি নিবন্ধ রচনা করে কারাবন্দী হন।
হ্যাঁ উনি ভাল কাজ করেছেন।আপনি কী এর বিরোধীতা করনে? আমার ধারণা উনি দেশের সবচেয়ে সাহসী কাজটি করেছিলেন। আমরা অনেকেই বিষয়টি নিয়ে গোপনে বিরোধীতা করেছি বলার সাহস পাইনি তার বিরোধীতা অযৌক্তিক মনে হয় কিনা তা স্পষ্ট করেন।
৪. 'মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের' নিয়ে স্বপ্ন দেখেন মার্কিন আগ্রাসন প্রতিরোধ করার।
হ্যাঁ তাতে খারাপ কী? আমরা সবাই যখন কোট-টাই পড়ে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছি মার্কিন সাম্রাজবাদের কাছে তখন ওদের দিয়ে তো প্রতিরোধ কার্যকর হবে।
আপনার কী মনে হয় করপোরেট দালালদের দিয়ে বিপ্লব হবে?
অনেক দেরিতে পড়লাম। জানি না আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যাবে কিনা?
ফ.ম সাথে আমাদের অনেকেরই কিছু অংশে বিরোধ হয়ছে। তার অর্থ আপনি যা তুলে ধরলেন তা না।
৭২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২০
কার্ল মার্কস বলেছেন: অনেক দেরীতে পাইলাম।
মানুষ মারা গেলে পঁচে যায় আর বেচে থাকলে বদলায়।
এবাদত নামা আপনার পড়া আছে ধরে নিচ্ছি। তবে উপরোক্ত বেশীর ভাগ কথাই চায়ের টিবিলের আলোচনা টাইপের।
তারচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ফরহাদের তত্ত্বীয় বিষয়ে একাডেমিক আলোচনা করে দেখান কোথায় কি সমস্যা।
ইন্টালেকচুয়েল প্রেশার সবাই সইতে পারে না। ফরহাদ কে জামাতিরা মিস রিডিং দিচ্ছে। প্রেশার ওভার কাম কইরা আলোচনা হইলে উপরের বহুত ব্লগার কাইত মারবো। তবে আলোচনা জরূরী।
মানস ভাইরে ধন্যবাদ।
৭৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৩
সিনসিয়ার বলেছেন: পাক্কা দুই বছর পরে চোখে পড়লো আলোচনাখানা....ফরহাদ মাজহারকে নিয়ে আলোচনা আসলেই জরুরী (উবিনিগ/প্রবর্তনার জন্মদাতা বলে তার প্রতি আমার পক্ষপাত আছে)....
সত্যিই মানুষ মরে গেলেও তার পাপগুলো (লেখাগুলো) থেকে যায় মানুষের স্মৃতিতে....
৭৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৪
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: তিনি বিভ্রান্ত.....এই বয়সেও জানেন না তিনি কি করতে চান
৭৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০২
সুবিদ্ বলেছেন: তবে এধরনের পণ্ডিতদের অনুসরণ করা বিপজ্জনক।
তার জ্ঞানভাণ্ডার থেকে কিছু সেঁচে নেবার কাজটিও করতে হয় সতর্কতার সাথে, সেজন্য ব্যক্তির নিজস্ব বুদ্ধি ও দর্শন থাকা চাই। ----একমত ফাহমিদুল হকের সাথে...
৭৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:১৯
জামিনদার বলেছেন: আপনার সবগুলো পোস্ট প্রিয়তে রাখার মত।
এত সুন্দর আলোচনা, শ্রদ্ধা সব মিলিয়ে অন্যরকম।
এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশে যে কোনা ধরণের বিপ্লবে এখান থেকে বড়ধরণের একটা সহযোগিতা পাওয়া যেত।
৭৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪০
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: নাস্তিক যদি আস্তিক হয়,তবে তা ভয়াবহ...!
আসলে, মজহার, কবি আল মাহমুদের মত হতে চায়, সুবিধা চায়......... এবং পাচ্ছেও।
৭৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১
কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: পাঁচ বছর আগে আমারই দেয়া কমেন্ট দেখে হাসি পেয়ে গেল। লোকটা এতো দ্রুত পচে যাবে ভাবতে পারিনি। সে এখন পুরাপুরি বুদ্ধিবেশ্যায় পরিণত হইছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৫১
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন রিপন ভাই।
একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম- ইদানিং ছাত্রশিবিরের কাছে ফরহাদ মজহার বেশ আদরণীয় হয়ে উঠেছেন। এমনকি এক শিবির নেতা আমাকে এও বলেছে যে, ফরহাদ মজহারই জামাতের বাইরে শিবিরের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী, তার বই পড়ে শিবির অনেক কিছু শিখছে।