নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মে জা জ খা রা প আ ছে !

মে জা জ খা রা প আ ছে !

আহমেদ মোস্তাক

আকাশ বলে কিছু নেই... যা আছে তা ধরে নেয়া অনুমান... মন বলে কিছু নেই... যা আছে তা মেনে নেয়া বিভ্রম ...

আহমেদ মোস্তাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশি ভাষা শিক্ষা, আমাদের পাঠ্য-পুস্তক ও শ্রেণী কক্ষ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

ইংরেজিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার ইতিহাস নূতন নয় । কিন্তু সে অনুযায়ী তেমন কোন পদক্ষেপ নেই। ব্রিটিশরা এ দেশ শাসন করেছে প্রায় দু’শত বছর। ব্রিটিশদের অন্যান্য ঔপনিবেশিক অঞ্চলে ইংরেজি শিক্ষার অগ্রগতি হলেও আমাদের সেক্ষেত্রে হতাশ হতে হয়। ইংরেজি বলা ও লিখায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বাংলাদেশে বিদেশী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আজকাল বিশ্বায়নের যুগে একাধিক ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে আমরা এখনও ঘুমিয়ে আছি বলে মনে হয়। বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা, আমরা বলি “আ মরি বাংলাভাষা” । এর জন্য আমরা আন্দোলন করেছি এবং জীবন দিয়েছি। এজন্য সবার আগে মাতৃভাষা আমরা ভালভাবে অবশ্যই রপ্ত করব। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক বা একাধিক বিদেশি ভাষা শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা কোন পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে পারছি না। বিদেশি ভাষা শিক্ষাকে আমরা হালকাভাবেই গ্রহণ করেছি। পরীক্ষায় পাসের জন্য ও কোন একরকম শিখার জন্যই আমরা শিখছি । বাস্তব জীবনে এর তেমন কোন যোগসূত্র বা প্রয়োগ নেই বল্লেই চলে । বিদেশি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাজমান এ জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।





প্রধানত দু’টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিদেশি ভাষা শিক্ষার জাগরণ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। প্রথমত বিশ্বসভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভান্ডার হতে সহায়তা লাভ। দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বিদেশি ভাষার সদ্ব্যবহার। যেহেতু বর্তমানে বিশ্বঅর্থনীতি ক্রমেই এশিয়ামুখি হচ্ছে, সর্বত্র মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো ডলারের প্রভাব বাড়ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভাল করছে, তাই ইংরেজির পাশাপাশি আরবি, চীনা, হিন্দি, জাপানি, কোরিয়ান ইত্যাদি ভাষা শিক্ষার দিকেও এখন মনোযোগ বাড়াতে হবে। ধর্মীয় কারণে আরবি শিক্ষা একান্ত দরকার। তাই স্কুল-কলেজে একাধিক ভাষা আবশ্যিক বা অপশনাল সাবজেক্ট হিসেবে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ উৎসাহ প্রদান জরুরি হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে আমাদের যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হবে, ততই মঙ্গল।





বর্তমান যুগে দ্রুত উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ভাষা শিক্ষা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। সেক্ষেত্রে প্রথমেই এসে যায় আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি। কিন্তু, এ ভাষা শিক্ষার জন্য যে টেক্সট বুক গুলো বোর্ড কর্তৃক ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে তার সাথে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ফারাক টুকুও খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে বৈকি!





বিদেশি ভাষা শিক্ষার জন্য স্বীকৃত কৌশলগুলো হলঃ-১.লিসেনিং, ২.স্পিকিং, ৩.রিডিং, ৪.রাইটিং । আর শ্রেণীকক্ষে এ কৌশলগুলো চর্চা করার সুযোগ এবং সে পরিবেশ নিশ্চিত করাটা অনেক বেশী প্রয়োজন। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, ভাষা শিক্ষার জন্য যে ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব একটি অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার তা অনেক স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ই জানেনা । এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবগত হলেও যথাযত পরিবেশ, সুযোগ এবং কিছুটা উদাসীনতার(?) জন্য হয়তো তারা যথেষ্ট প্র্যাকটিকাল নন। তার পরেও বোর্ড এর টেক্সট বইয়ে বলা আছে যে,The English For Today textbooks have been developed to help students attain competency in all four language skills, i.e. Listening, speaking, reading and writing. অথচ এর সঠিক প্রয়োগ নেই। স্কুল পাসের পর একজন ছাত্র/ছাত্রি কি সঠিক ভাবে ইংরেজি শুনে বুঝতে পারে? বলতে পারে? পড়তে কিংবা লিখতে পারে? আমরা জানি এ প্রশ্নের উত্তরঃ-না । A+ নিয়ে পাস করার চেয়ে কি এগুলোর প্রয়োজন বেশী নয়?New curriculum 2013 অনুযায়ী প্রথমে Listening ও speaking এর উপর নম্বর রাখা হলেও পরে মান- বণ্টনের নতুন সংশোধনীতে তা আর রাখা হয়নি ।মোদ্দা কথা হল, আমরা শুধু পরীক্ষায় পাস করছি, ভাষা শিক্ষা হচ্ছে না । সরকার প্রতি বছর সময় ও অর্থ ব্যয় করে নতুন পাঠ্য-পুস্তক প্রনয়ন করলেও শ্রেণীকক্ষের সাথে তার বাস্তব সম্মত সামঞ্জস্যতা ও প্রায়োগিকতার নিদারুন অভাব রয়েছে ।এ অবস্থায়, এত্ত এত্ত বই ও নতুন শিক্ষানীতির দিকে বারংবার পরিবর্তনের দৃষ্টিতে না তাকিয়ে ভাষা শিক্ষার দিকে তাকানো অত্যন্ত জরুরী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.