নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মতিলাল

আমি সাদা মনের মানুষ। ধর্ম বর্ণ আমার কাছে সমান

মতিলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

১২ কোটি ডলারের ৮ কোটিই প্রত্যাহার করছে বিশ্বব্যাংক:

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২০

বেসরকারি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতি

আলাউদ্দিন চৌধুরী

অদক্ষতার কারণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প থেকে টাকা প্রত্যাহার অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ বেসরকারি খাত উন্নয়নে সহায়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তে প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।



বেসরকারি খাতের উন্নয়নে 'প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট' (পিএসডিএসপি) ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি অনুমোদন লাভ করে। ২০১৬ সালের ৩০ জুন এটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত ঋণ ছিল ১২ কোটি মার্কিন ডলার। দুই বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ২০ লাখ ডলার। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে পুরো অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয় বিধায় ৮ কোটি ডলার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কসহ বিভিন্ন ইকোনোমিক জোনের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পিএসডিএসপি প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিলো।



চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট আট প্রকল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকলেও অর্থছাড়ের পরিমাণ খুবই হতাশাজনক। জনবল নিয়োগ, ক্রয় প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরিতে ত্রুটি রয়েছে বলে সরকারকে জানানো হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির ফলে অর্থ প্রত্যাহারের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্বব্যাংক বাধ্য হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।



তবে অর্থ প্রত্যাহার বা বাতিলের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। গত সরকারের সময়ে গৃহীত ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পে জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে অর্থায়ন বাতিল করা হয়। প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার ব্যয় করার পর দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৫ সালে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের সড়ক বিভাগে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করে সেসময় বন্ধ করে দেয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প একটি।



বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহযোগিতায় বর্তমানে দেশে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ৩৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। অর্থছাড়ের পরিমাণও আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ধীরগতির ফলে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ করা যাচ্ছে না। ধীরগতির কারণে অন্যান্য প্রকল্পের ভবিষ্যত্ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।



বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমস্যাগ্রস্ত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, অক্ষম শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া ডিজ্যাবিলিটি অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যাট রিস্ক প্রকল্পে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অর্থছাড় হয়েছিলো মাত্র ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এ প্রকল্পের জন্য মাত্র ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ কার্যকর হয় ২০০৯ সালে। অন্যদিকে আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টসহ বিভিন্ন কার্যকম অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রকল্পটিও সমস্যাগ্রস্ত বা ধীরগতির প্রকল্প। চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি দুই বছরে অর্থছাড় হয়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। এ প্রকল্পের এখনও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষ হয়নি। ক্লিন এয়ার এন্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে ২০০৯ সালের ১২ মে আর সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুত অর্থ ছিল ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার। ধীরগতির কারণে এ প্রকল্পেরও বাস্তবায়ন হার অনেক কম।



বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় বিকাশমান শিল্প ও সেবা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি করেছিলো। কিন্তু বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এ প্রকল্প থেকে অর্থ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.