![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিউ ইয়র্ক: বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ন্যায়বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে আইন সংশোধন করে ভূতাপেক্ষভাবে সেই আইনে তার বিচার করাকে ‘বর্বর অনুশীলন’ বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ হওয়ার পর আইন সংশোধন সেই আইন ভূতাপেক্ষভাবে প্রয়োগ করে কাদের মোল্লার বিচার করা হয়েছে। এতে বিচারের আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করা হয়েছে। বাংলাদেশও এই আইনের একটি পক্ষ (স্বাক্ষরকারী দেশ)।
বিবৃতিতে সংস্থার এশিয়া বিভাগের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘১৯৭১ সালের নির্মমতার বিচার দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। কিন্তু এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হতে হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বিচার শেষ হওয়ার পর আইন সংশোধন করে ভূতাপেক্ষভাবে সেই আইন প্রয়োগ করে বিচার করা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ন্যায়বিচারের মৌলিক ধারণার লঙ্ঘন।’
এতে বলা হয়, স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের অপরাধের বিচারে সমর্থন করে এইচআরডব্লিউ। তবে সেই বিচারে ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। এইচআরডব্লিউ এ বিচারের কারো পক্ষ নেয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। তাদের দাবি অনুযায়ি আইন পরিবর্তন করে সরকার আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিনে নামিয়ে আনে এবং যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে কোনো রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার সুযোগ রাখা হয়।
আগে শুধু কোনো অভিযুক্তকে খালাস দিলে সরকারপক্ষ আপিল করতে পারত। পরে সংশোধিত আইনেই কাদের মোল্লার ফাঁসির আবেদন জানিয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন সুপ্রিমকোর্ট। এই প্রথম বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট সরাসরি কাউকে ফাঁসির আদেশ দিলো। ফলে সর্বোচ্চ এই সাজার বিরুদ্ধে কাদের মোল্লার আর আপিল করার সুযোগ নেই।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ‘আইনের এই ভূতাপেক্ষ প্রয়োগ ইন্টারন্যাশনাল কভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশও এই আইনের একটি পক্ষ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান অভিযুক্তকে আইনের ভূতাপেক্ষ প্রয়োগ থেকে সুরক্ষা দিলেও সংশোধনীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্তদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় সংশোধনীটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে এইচআরডব্লিউ।
ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘আইনের অপপ্রয়োগের হাত থেকে প্রত্যেকের সুরক্ষায় ভূতাপেক্ষ প্রয়োগের বিষয়টি সার্বজনীনভাবে নিষিদ্ধ। এই সুরক্ষা না থাকলে কোনো রায় পছন্দ না হলেই সরকার আইনের সংশোধন করবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড অলঙ্ঘনীয়, নির্মম ও অবমাননাকর শাস্তি হওয়ায় যে কোনো পরিস্থিতিতে এই সাজার বিরুদ্ধে এইচআরডব্লিউ।
জাতিসংঘ বলেছেন, কারো সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেক্ষেত্রে ন্যায়বিচার বিশেষভাবে গুরুত্বপুর্ণ।
ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের মানদণ্ড রক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনমতের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে সরকারের উচিৎ এই বর্বর অনুশীলন বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক ধারার সঙ্গে যোগ দেয়া।’
অ্যামনেস্টির উদ্বেগ
এদিকে, কাদের মোল্লার সাজা অবিলম্বে কমিয়ে তাকে লঘুদণ্ড দেয়ার দাবি জানিয়েছে প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার এক বিবৃতিতে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ বলেন, ‘কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এবং সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আমরা উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাদের মোল্লার সাজা কমানো ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিতের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানায় অ্যামনেস্টি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আপিলের সুযোগ না রেখে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
গবেষক আব্বাস ফায়েজ বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রতিকার করতে গিয়ে অন্য কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে পারে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে এটাই প্রথম সরাসরি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার ঘটনা। এছাড়া এই প্রথম কোনো মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত, যেখানে আসামি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে না। এটা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তারও লঙ্ঘন।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব মানবাধিকার শুধু খুনিদের পক্ষেই ??
যে খুনিটা হাজার হাজার মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করলো, ধর্ষন করলো। ধর্ষিতার মা বাবা ভাই বোন কে হত্যা করলো।
ধর্ষিতা নিজেই শাক্ষি!
এদের কি মানবধিকার নেই?
কুখ্যাত হিউমেনরাইট ওয়াচ ও আদিলুরদের কিছু কথা
Click This Link
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
তারিন রহমান বলেছেন: ধর্ষিতা নিজেই সাক্ষী!
এদের কি মানবধিকার নেই?
আশা করি হিউম্যান রাইটস টালবাহানা না করে এর জবাবটি দেবেন।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
মতামত চাই বলেছেন: তারিন রহমান বলেছেন: ধর্ষিতা নিজেই সাক্ষী!
এদের কি মানবধিকার নেই?
আশা করি হিউম্যান রাইটস টালবাহানা না করে এর জবাবটি দেবেন।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: কিসের মানবাধিকার কিসের বিচার ওদের যে আমরা ওদের মত লাইনে দাড়া করিয়ে ওপেন ফায়ার করি নাই এটাই তো অনেক বেশি দিয়ে ফেলছি।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
মিজান আফতাব বলেছেন: জামাত লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল শুনেছিলাম। ভাল টাকাই বিনিয়োগ করেছে দেখা যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
২য় জীবনানন্দ বলেছেন: সবার অনেক মতামত। সব মতামত ধরলে চলে?