![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। কিন্তু তা কখনো সম্ভব হয় না। অতীতেও হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ কিন্তু আছে। একইভাবে বিএনপিও আছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় মাইনাস-টু ফর্মুলা শুরু হয়েছিল। উল্টো ওয়ান-ইলেভেনের লোকগুলোই মাইনাস হয়ে গেছে। তাই আমার কোনো বিরোধী দল থাকবে না, তাকে আমি স্পেস দেব না- এই দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলাতে হবে। রবিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান এসব কথা বলেন। তুষার আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সিপিবি নেতা বলেন, রাজনীতি আর পলিটিঙ্রে মধ্যে নেই। পলিটিকিং হচ্ছে। এখানে চালাকির খেলা চলছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আজ আমার রবীন্দ্রনাথের সেই গানটির কথা মনে হয়- 'অনেক কথা যাও যে বলি, কোনো কথা না বলি, তোমার ভাষা বোঝার আশা, দিয়েছি জলাঞ্জলি।' তিনি বলেন, সংলাপ, আলোচনা, আলটিমেটাম- কথাগুলো বহুদিন ধরে হচ্ছে। সবাই বলছে আলোচনাটা শুরু করা দরকার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে? আসলে ঘণ্টা বাঁধার ইচ্ছা আছে কি না তা-ই প্রশ্ন। সংবিধানের অমুক ধারা, তমুক ধারা দেখানো হচ্ছে। ধারা কোনো সমস্যা নয়। আমরা যদি আন্তরিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই তাহলেই সমস্যা কেটে যাবে। সিলেটে সিপিবি-বাসদের জনসভায় ছাত্রলীগের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলো কালো টাকা আর সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সিলেটে আমাদের জনসভায় ছাত্রলীগের ছেলেরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের পার্টির নেতারা আহত হয়েছেন। এটা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।
মনজুরুল আহসান খান বলেন, আমাদের এখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি। অতীতেও যখন নির্বাচন হয়েছে কেউ বলেছেন কারচুপি, কেউ বলেছেন সূক্ষ্ম কারচুপি। আমরা তো পরাজয় স্বীকার করতেই প্রস্তুত নই। সব বিজয় কিন্তু বিজয় নয়। অনেক বিজয়ের মধ্যে ব্যর্থতার গ্লানি থাকে। খন্দকার মোশতাক সাহেব বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রপতি হলেন। ওই বিজয়টা কিন্তু বিজয় ছিল না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে বলেছিলেন- আমি এত কাজ করলাম, এত উন্নয়ন করলাম এর পরও যদি মানুষ আমাকে ভোট না দেয় আমি থাকব না। এটাই আচরণ হওয়া উচিত। খালেদা জিয়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলেছেন। এটা আহামরি কোনো দাবি নয়। কিন্তু এ ধরনের দাবি যখন আওয়ামী লীগ থেকে করা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে তা মানতে চাননি। এখন শেখ হাসিনাও মানতে চাচ্ছেন না। আন্তরিক হলে দেশের স্বার্থে বিষয়টা নিয়ে সরকারের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে বিদেশিদের একটা বড় চাপ আছে। দেশের মধ্য থেকেও একটা চাপ আছে। দায়িত্ব সরকারের, যেহেতু তারা ক্ষমতায়।
এত কথার তো দরকার নেই। আলোচনাটা সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে হতে পারে। সর্বোচ্চ পর্যায়েও হতে পারে। আর আন্তরিক হলে সংবিধান অক্ষুণ্ন রেখেই সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের একটা ধারণা আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়ে গেলেই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। এটা ঠিক নয়। এখানে অনেক বিধি আছে। সেগুলো কি আমরা মানি? একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর খরচের একটা সীমা আছে। কেউ তা মানে? এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই পক্ষই ধর্মকে ব্যবহার করেছে। অর্থ এবং পেশিশক্তির ব্যবহার হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? নির্বাচনের এখনো অনেক বাকি। এরই মধ্যে প্রচারণায় যে পরিমাণ খরচ হয়ে গেছে তার হিসাব কি কেউ রাখছে? নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা প্রসঙ্গে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন নিজেই তাদের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। পরে অবশ্য ব্যাক করেছে। এটা কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত সমস্যা নয়। সমস্যাটা ইনটেনশনাল।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
তিক্তভাষী বলেছেন: "বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া হয়েছিল" কথাটি টেকনিক্যালি ইনকারেক্ট। বঙ্গবন্ধু নিজেই আওয়ামী লীগ বিলোপ করেছিলেন। শুনতে খারাপ লাগলেও একথা সত্যি যে তাঁর মৃত্যুর পরই শুধু আওয়ামী লীগই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সকল লীগ-দল-পার্টির পুনর্জীবন লাভের সুযোগ তৈরী হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
বাংলিক বলেছেন: খুব ভালো খবর!!!!