নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূন্য - এক অদেখা ভুবন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট আবিস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শূন্য। ছোটবেলায় গনিত ক্লাসে এই কথা শোনার পর আমি বেশ কয়েকবার স্বেচ্ছায় শূন্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ফলাফল স্বরুপ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যখন মনে হতো আমার বাম কানটা ডান কানের চেয়ে বড় হয়ে গেছে, তখন আমার লজিক ছিলো, সবচেয়ে দামী একটা আবিষ্কার আমি পেয়েছি, এখানে খারাপের কি আছে?

যাইহোক, এরপর জীবনের কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। শূন্য নিয়ে মাথা ঘামাবার কোন সুযোগ পাই নি। আগে একটা সময় গনিত নিয়ে পড়তে মজা লাগত। গনিত একটা নেশা, গনিত একটা দর্শনও বটে। দার্শনিক পিথাগোরাস বিশ্বাস করতেন প্রকৃতির ভাষা হল গনিত। আমার কাছে মনে হয়, গনিত দিয়েই এই জগতকে বিশ্লেষন করা যায়, মানুষকে চিনতে পারা যায় এমনকি স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কেও ধারনা পাওয়া যায়।

আমি আগে অবসর সময়ে সংখ্যা দিয়ে কোন মানুষকে বুঝার চেষ্টা করতাম। এটা সম্পুর্ণই আমার ব্যক্তিগত একটি ধারনা বা হাইপোথিসিস। যার প্রয়োগ আমার কাছে বেশ যৌক্তিক ছিলো। যেমন আমি কারো সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাকে কথার মাঝে হঠাৎ থামিয়ে জিজ্ঞেস করতাম, আচ্ছা ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে আপনার ৫ টা পছন্দের সংখ্যা দ্রুত বলেন। দ্রুত বলতে বলতাম কারন এতে প্রকৃত পছন্দ জানা যায়। আর প্রকৃত পছন্দ জানা না গেলে আমার এই স্বভাব বুঝার পরীক্ষা শতভাগ বিফল হবে। যেমন ধরুন, আমাকে একজন তার পছন্দের সংখ্যা বলল - ১০০, ১০, ৫০, ১, ৭।

তার পছন্দের এই সংখ্যা থেকে আমি ধারনা করলাম, তিনি তিনি বেশ উচ্চভিলাষী, ভাগ্যে বিশ্বাসী, অগোছালো, অস্থির এবং কিছুটা আত্মবিশ্বাসহীন ও কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষ। চমকে উঠে নিশ্চয় ভাবছেন, আমি কোন বাবা টাবা হয়ে গেলাম নাকি? আসলে এই বিষয়টার পিছনে আছে সিম্পল অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি। এবার আসি কিছুটা বিশ্লেষনে। যারা বেশ উচ্চভিলাষী এবং যাদের জীবনে প্রথম হবার তীব্র বাসনা থাকে, তাদের ১ এবং ১০০ সংখ্যাটির উপর বেশ দুর্বলতা থাকে। পরীক্ষায় ১০০ মার্ক পেলে আপনি ১ম স্থান অধিকার করবেন। ফলে যারা যে কোন মুল্যে প্রথম হতে চান বা শীর্ষে থাকতে চান তাদের অবচেতন মনে এই দুটো সংখ্যার প্রভাব থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে কেউ যদি ১০০ আর ১ সংখ্যা দুইটিকে তার পছন্দের ৫টি সংখ্যার (কোন কিছু না ভেবে দ্রুত বলার যৌক্তিকতা) ভেতরে রাখেন, তাঁকে উচ্চভিলাষী ভাবাটা সাধারন লজিক বলেই আমার মনে হয়। তাছাড়া তার পছন্দ দেখে আরো মনে হয়, তিনি সেরা ১০ না হলে অন্তত সেরা ৫০ হলেও থাকতে চান। ১০ এবং ৫০ এর গুরুত্ব অবচেতনভাবেই আমাদের মনে আছে। ক্রিকেট খেলায় ৫০ স্কোর একটা অর্জন, কোন প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ এ থাকতে পারাও একটা অর্জন। সুতরাং তার উচ্চাভিলাষ নিয়ে আর তেমন সন্দেহ থাকে না। তারপর দেখুন তার সংখ্যার ক্রম ১০০ থেকে এক লাফে ১০, তারপর আবার ৫০, তারপর ১ এবং সব শেষে সাত। এখান থেকে বুঝা যায় তিনি কিছুটা অগোছালো, তিনি স্থির চিত্তের নন। আবার ৭কে বিবেচনা করা হয় শুভ সংখ্যা হিসেবে। ৭ নাম্বার অর্জন করলেই আপনি সফল হবেন, এমন কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। সাধারনত যারা শুভ অশুভ ব্যাপারকে মাথায় রাখেন, তারা অবশ্যই ভাগ্যে বিশ্বাসী এবং কিছুটা কুসংস্কারচ্ছন্ন মানসিকতার মানুষ। যাদের ভেতর এই দুটো গুনাবলী আছে, তারা নিঃসন্দেহে কিছুটা আত্মবিশ্বাসহীণ মানুষ। লজিক অন্তত তাই বলে।

এখন আমি যেভাবে সংখ্যাতত্ব বা সংখ্যা ক্রম নিয়ে মানুষের স্বভাবকে খোঁজার চেষ্টা করছি, তার কি কোন দালিলিক ভিত্তি আছে? উত্তর না, নেই, এটা শুধু মাত্র একটি ব্যক্তিগত পরীক্ষিত ধারনা। আপনি যদি যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষন করেন, তাহলে অনেক কিছুই আমাদের আচরন থেকে বুঝা সম্ভব- আর এটাই আমার ধারনার মুল ভিত্তি।

আগে একটা সময় শূন্য নিয়ে অনেক ভাবতাম। আপনাদের সাথে আমার এই ছেলেমানুষী চিন্তাগুলো শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না, পাশাপাশি এই বিষয়ে যারা গনিত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাদের পর্যবেক্ষন বা মতামতও জানতে চাই শেখার লোভে। যদিও গনিত আমার বিষয় নয়, গনিত নিয়ে আমার সকল আগ্রহ দর্শনের প্রেক্ষাপট থেকে।

আমরা অনেকেই জানি শূন্য মানে খালি বা ফাঁকা। এই খালি স্থানের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল বা অংশ নেই, এটা অসীম। তারমানে শূন্যর যদি কোন মান না থাকে, তাহলে তাকে অসীমও বলা যেতে পারে। যদি শূন্য মানে অসীম হয়, তাহলে কিছু প্রশ্ন থাকে। যেমন, অসীম মানে যার কোন সীমা নেই। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, অসীম বলে কিছু নেই, মানুষ যার সীমা আবিষ্কার করতে পারে নি, সেটাকেই অসীম বলে চালিয়ে দিয়েছে বা যার শেষ সীমা পর্যন্ত না গিয়ে কিছু আনুমানিক ধারনাকে মাধ্যম ধরে, বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে, তাকেই অসীম বলে, - এটা কি ভুল হবে? যদি ভুল হয় তাহলে আরো একটা প্রশ্ন সামনে আসে, তা হলো, এখন পর্যন্ত মানুষ যে জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি, জ্ঞানের সেই অপ্রকাশিত অংশকে বিজ্ঞান কি সমর্থন করে না কি সমর্থন করে না? যদি বিজ্ঞান মানুষের অপ্রকাশিত জ্ঞানের উপর আস্থা রাখে বা বিশ্বাস করে, তাহলে 'ঈশ্বর' ধারনাটিকে কি বিজ্ঞান উড়িয়ে দিতে পারে?

(এই বিষয়ে আরো এক পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে, জানি না কবে তা প্রকাশ করতে পারব)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

আমিম এহসান বলেছেন: বাহ! দারুন তো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমার কিন্তু মনে হয় শূণ্য এবং অসীম একজিনিস না। শূণ্য মানে হল যার অস্তিত্ব নেই, বা শূন্যের ঠিক পর পর কোন কিছুর অস্তিত্ব শুরু হয়। আর অসীম মানে হল কোন জিনিসের অস্তিত্বের শেষ নেই, মানে যা আজীবন আছে এবং এর শেষ নেই।

কোন কিছুর শুরু ঠিক শূন্যের পরপর এবং সেই জিনিসটির যদি শেষ থাকে তবে তা অসীমের আগে।

কোন সংখ্যাকে কিন্তু শূণ্য দিয়ে ভাগ করা যায়না। ধরুন একটি আপেলকে শূণ্যটি ভাগে ভাগ করতে বললে সেটি কিন্তু একটি আস্ত আপেলই থাকে।
আবার শূণ্যকে কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায়না। কারণ যার অস্তিত্ব নেই সেটাকে ভাগ করবেন কিভাবে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আপনি যা বলেছেন, সেটাই বর্তমান ধারনা অনুযায়ী বাস্তব। এর সাথে পুরো দ্বিমত করা সম্ভব না। তবে শূন্য দিয়ে কোন কিছু ভাগ করলে তা অসীম হবে- শুধু এই ধারনার কারনেই বিষয়টি নির্ধারিত হয় নি, বিষয়টিতে আরো কিছুটা জটিলতা আছে। কারন শূন্য একটা নাম্বার কিন্তু অসীম কোন নাম্বার নয়। এটা শুধু একটা ধারনা মাত্র। ফলে আমরা বলতে পারি না, ১/০ = অসীম।

তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, শূন্য এবং অসীমের সংজ্ঞার সাথে এক পরাবাস্তব অস্তিত্বের আভাস আছে। যেমন ধরুন, ঈশ্বর সম্পর্কে বলা হয়, তিনি তাঁর কোন আকার নেই, তিনি নিরাকার। তিনি অনন্ত এবং অসীম। যদি ঈশ্বরের সংঙ্গাতে এই দুটো টার্ম থাকে, তাহলে আমার আগ্রহের বিষয় এই দার্শনিকতাটাই।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

মার্কো পোলো বলেছেন:
দারুণ। নতুন কিছু জানা হলো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

সামিয়া বলেছেন: ধরুন আমাকে ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে আমার ৫ টা পছন্দের সংখ্যা দ্রুত বলতে বললেন, আমি বললাম ১৪,১৬,২৯,৩০,৩১ =p~ এর ব্যাখ্যা কি? =p~ my curious mind want to know you can explain all number or not......................

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে, কিছু দিন আগে বিয়ে করে ফেলেছি। :#) অবিবাহিত অবস্থায় মেয়েদের কাছে এই ধরনের দর্শনতত্ব ব্যাখ্যা করার ব্যাপারে আমি সিদ্ধহস্ত ছিলাম। :``>> এখন শুধু শুধু সময়ের অপচয়। :-B ;) =p~

(যা বলতে চেয়েছি, তার সবই তো ব্যক্তিগত প্রোফাইলে লিখে রেখেছেন। এখন আর চিটিং করে লাভ কি বলুন?? যাইহোক, অস্থিরতা কমানোই ভালো। ;) )

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সামিয়া বলেছেন: বিবাহ নামক প্রথা মেয়ে জাতিকে বিখ্যাত astrologer's থেকে বঞ্চিত করেছে অনুধাবন করে ব্যাথিত বোধ করছি। :P
সবারই অস্থিরতা কমানোই ভালো :P :D !:#P (এইটা হল চোরের উপর বাটপারি) :P :P

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা হা। শুভেচ্ছা জানবেন!

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

শরমি বলেছেন: আপনার সংখ্যা এর ব্যাখ্যাগুলো বেশ মজার তো...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। :)

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: শূন্য অথবা জিরো নিয়ে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য :

শূণ্য শব্দটি এসেছে সংস্কৃত शून्य (Śūnya) থেকে --এটির ধারণা এসেছে সংস্কৃত শূণ্যতা ( śūnyatā) মানে "নাথিংনেস " থেকে।
জিরো (ZERO ) শব্দটি এসেছে ইটালিয়ান Zefiro এবং পরে আরবী শব্দ Safira অথবা Sifr থেকে যার ইংরাজি empty .
ইংরাজি শব্দ zero ( symbol "O" নয় ) প্রথম ব্যবহার হয় ১৫৯৮ সালে।
সুতরাং শূন্যের অথবা নাথিংনেস এর ধারণা প্রাচীন পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতায় ছিল -ভারত , ব্যাবিলন ,রোম ,মিশর অঞ্চলে।
রোমানরা সংখ্যাগুলো যে ভাবে লিখতো : I মানে ১ ,X মানে ১০, C মানে ১০০ ,এবং M অর্থে ১০০০,MM মানে ২০০০। কিন্তু এতে সমস্যা ছিল সংখ্যা বাড়লে অক্ষর অনেক বেড়ে যেত। যেমন ১ মিলিয়ন বা ১০,০০,০০০ লিখতে গেলে ১০০০ বার M লিখতে হতো।

ধারণা শূন্য কে ডেসিম্যাল -বেসড প্লেস -ভ্যালু নোটেশন হিসাবে প্রথম ব্যবহার প্রাচীন ভারতের অবদান। খৃ: পূ : দ্বিতীয় শতকে ভারতীয় স্কলার পিঙ্গল (Pingala ) শূন্য কে বর্ণনা করেন Chandah -Sutra গ্রন্থে।
৪৯৮ সালে ভারতীয় গণিতবিদ এবং জোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্ট তাঁর Aryabhatiya গ্রন্থে শূণ্যের বর্ণনা করেন এই ভাবে : "sthānāt sthānaṁ daśaguṇaṁ syāt" অর্থাৎ "from place to place each is ten times the preceding" । আধুনিক গণিতের ডেসিম্যাল -বেসড প্লেস -ভ্যালু নোটেশন এর সূত্রপাত এখান থেকে।

৬২৮ সালে ব্রহ্মগুপ্ত রচনা করেন Brahmasputha Siddhanta (The Opening of the Universe). এখানে তিনি শূণ্য ব্যবহারের বিভিন্ন নিয়ম এর প্রবর্তন করেন :
..
The sum of two positive quantities is positive
The sum of two negative quantities is negative
The sum of zero and a negative number is negative
The sum of zero and a positive number is positive
The sum of zero and zero is zero
The sum of a positive and a negative is their difference; or, if they are equal, zero
In subtraction, the less is to be taken from the greater, positive from positive
In subtraction, the less is to be taken from the greater, negative from negative
When the greater however, is subtracted from the less, the difference is reversed
......
..................................................................
প্রাচীন কালে চীনে শূণ্য লিখতে কোন নোটেশন ব্যবহার হতনা। উদাহরণ ,৬০৩৯০ সংখ্যাটি এই ভাবে লেখা হতো :

আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ,অসংখ্য সাধারণ পোস্টের ভিড়ে এটা অন্যরকম তাই এতো কিছু কমেন্টে লিখলাম।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও চমৎকার। এই পোস্টের সৌন্দর্য বাড়ালো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো, তবে গনিতে আমার খুব একটা আগ্রহ নাই......শুভেচ্ছা জানবেন ভাই, কেমন আছেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। পৃথিবীতে কত কিছু জানার আছে, শেখার আছে। কিন্তু কি শিখতে হবে তা বুঝতে না বুঝতেই জীবনের প্রায় অর্ধেকটা পার করে ফেললাম। প্রাপ্তির খাতা শূন্য। মাঝে মাঝে অবশ্য শূন্যকে অর্জন বলেও মনে হয়। কেননা শূন্য একটি জটিল সংখ্যা, অজানা এক ভুবনের দ্বারপ্রান্ত। শূন্য থেকেই অনেক কিছু শেখার আছে।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সারা জীবন যোগ,বিয়োগ,গুন,ভাগ করতে করতে নিজে কখন যে শূন্য হয়ে গেছি বুঝতে পারিনি।আপনার শূন্য তত্ত্ব পড়ে আবারও শূন্য হয়ে গেলাম।কিন্তু আজও মানুষ চিনলাম পাড়লাম না....

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শূন্য এক জটিল সংখ্যা ভাই। শূন্য থেকেই অনেক কিছু জানার আছে।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



গণিত আসলে মানুষের ভাবনাকে লজিকয়ালী প্রতিস্ঠিত করার জ্ঞান; মানুষের ভাবনার মাঝে ভুল থাকলে তাকে ফিলটার করার জন্য গণিতকেই ব্যবহার করা হয়; ভালো বিষয়

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, গনিত ছাড়া কোন কিছুই ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। গনিত যা ব্যাখ্যা করতে পারে না, সেটা অস্থিত্ব এখনও আমরা পাইনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক আগে গণিত প্রিয় বিষয় ছিলো। এখন আমার কাছে আতংকের বিষয়।

৯ বাদে সকল বিজোড় সংখ্যা আমার অপ্রিয়। সকল জোড় সংখ্যা প্রিয়।
১৩ আমার কাছে সবচেয়ে অপ্রিয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি!! খুব ইন্টারেস্টিং তো!! আচ্ছা আপনি কি কোন কিছু প্ল্যান করার সময় সব কিছু ইতিবাচক ভেবে প্ল্যান করেন কি?

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

কালীদাস বলেছেন: কেমন আছেন কাল্পনিক ভালবাসা?
এটা আমার ফিল্ড না, কিন্তু আমি এনজয় করি এই টপিকে ফার্দার রিডিং :) লেখাটা সুখপাঠ্য ছিল। হুমায়ুনের শূণ্য উপন্যাসটা পড়েছিলেন নাকি?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম কালীদাস ভাই। আমার নিজেও এই সম্পর্কে খুব অল্প ধারনা। এই বিষয় নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম, এটা অনেক গভীর আর জটিল একটা বিষয়। অনেকটা নেশা ধরানোর মত। আপনাকে চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য অনেক অনেক পড়তে হবে। তাই ধৈর্যের ব্যাপার।

শূন্য উপন্যাসটা খুব সম্ভবত পড়েছি, তবে এই মুহুর্তে কাহিনীটা মনে করতে পারছি না।

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাহ্ !
সংখ্যা নিয়েও কত ভাবনা ।
আবার এ সংখ্যার জন্যই মরলো কত মানুষ ।

বাই দ্যা ওয়ে , আমার কোন সংখ্যা প্রীতি নাই ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সংখ্যা প্রীতি নেই!!! ইন্টারেস্টিং, বেশ ইন্টারেস্টিং

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

সোহানী বলেছেন: আরে দারুনতো সংখ্যা দিয়ে ভাগ্য গণনা :-B

অংক আমি খুব ভালোবাসি তাই জীবনভর অংক নিয়েই পড়াশুনা এবং চাকরী.... সবই

+++++++++++++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা না আপু, ভাগ্যগননা নয়। বলতে পারেন মানুষের চারিত্রিক বিশ্লেষন।

আপনি তো প্রকৃতির ভাষা নিয়েই পড়ছেন। আপনি ভাগ্যবতী।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

দরবেশমুসাফির বলেছেন: গানিতিক দর্শনের একাডেমীক আলোচনাতেও শুন্যের ধারনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গনিতের প্রত্যেকটি সংখ্যার একটি অন্তর্নিহিত আকার রয়েছে। যেমন ১। ১ সংখ্যাটি বেশিরভাগ সময় "একটি" বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও এর অন্তর্নিহিত আকার কিন্তু সমগ্রতাকে প্রকাশ করে। ১ এর অন্তর্নিহিত অর্থ মানে কিন্তু অখণ্ড, অদ্বিতীয়,সমগ্র। তাই দৈনন্দিন জীবনে আমরা ১ টি পেন্সিল, ১ টি বই যখন বলি তখন ঐ ১ এর অন্তর্নিহিত আকারকেই সীমাবদ্ধভাবে প্রয়োগ করি। কিন্তু এই অন্তর্নিহিত আকারকেই যদি পুরোপুরিভাবে প্রয়োগ করি তাহলে এই ১ সংখ্যার ভেতরে মহাবিশ্বের সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ( অখণ্ড,অদ্বিতীয়,সমগ্র)।

তেমনিভাবে ০ এর অন্তর্নিহিত আকারের সীমাবদ্ধ ও পুরোপুরি প্রয়োগ আছে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা শুন্যের অন্তর্নিহিত আকারের সীমাবদ্ধ প্রয়োগ করি। যেমন ১০। এখানে ০ বলতে ০ টি ১ বোঝাচ্ছে। কিন্তু শুন্যের অন্তর্নিহিত আকার বিবেচনা করলে ০ টি ১ বলতে কিছুই থাকার কথা নয়।

আপনি ০ এর অন্তর্নিহিত আকার নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। এটা মোটেই ছেলেমানুষি চিন্তা নয়। গনিতের দর্শন নিয়ে চিন্তা করতে যথেষ্ট গভীরতার প্রয়োজন হয়। আপনার আগ্রহ দেখে আনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম।

বাই দা ওয়ে, বারট্রান্ড রাসেলের "দি প্রিন্সিপল অব ম্যাথম্যাটিকস" বইটা পড়ে দেখতে পারেন। মজা পাবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। এই বইটি আমার পড়ার তালিকায় আছে। সংখ্যা তত্ব একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। অনেকেই প্রশ্ন রাখেন যে ১০ লিখতে কেনো ১ এবং ০ প্রয়োজন। ০ আবিষ্কারের আগে দশকের কি কোন অস্তিত্ব ছিলো না?

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'শূন্য'ময় পোস্ট ও মন্তব্যগুলি পড়লাম । মন্তব্যের ঘরটা শূন্য রাখলাম না =p~

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। ধন্যবাদ। আমিও রিপ্লাইয়ের ঘর শূন্য রাখি নি।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ৭,১৩,২২,২১,৩৫।

ইন্টারেস্টিং টপিক। শূন্য আর অসীমের মাঝে যোগসূত্রটা বড়ই রহস্যময়।

আচ্ছা যিরোর সাথে ইনফিনিটি যোগ করলে কী হবে?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাসান ভাই, আপনাকে তো আমি চিনি। এখন এই সম্পর্কে বলতে গেলে চিট হয়ে যাবে। হাহা
ভাইয়া ইনফিনিটি একটা ধারনা মাত্র, কোন সংখ্যা নয়। ফলে এটা একই থাকবে।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

জুন বলেছেন: সংখ্যার দিক দিয়ে পছন্দ তিন পাচ সাত। আপনার বিশ্লেষন অনুযায়ী এক ,পন্চাশ আর একশ ভালোলাগাইতে হবে কাল্পনিক B-)
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
+

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। তাহলে কি আপনি ব্যতিক্রম আপা??

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শূন্য দিয়ে মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণের ব্যাপারটা দারুণ লাগল :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

জুন বলেছেন: এখন পর্যন্ত মানুষ যে জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি, জ্ঞানের সেই অপ্রকাশিত অংশকে বিজ্ঞান কি সমর্থন করে না কি সমর্থন করে না? যদি বিজ্ঞান মানুষের অপ্রকাশিত জ্ঞানের উপর আস্থা রাখে বা বিশ্বাস করে, তাহলে 'ঈশ্বর' ধারনাটিকে কি বিজ্ঞান উড়িয়ে দিতে পারে?
এটা আমারও প্রশ্ন কাল্পনিক
+

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু আপু বিজ্ঞান আর ঈশ্বরকে আলাদা মনে হয় না। ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করতে বিজ্ঞান প্রয়োজন।

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পোস্ট কাভা ভাই ।

১, ৩, ৫, ৭, ১০ ....।

আপনার শেষের অংশটা নিয়ে কিছু বলার আছে তার আগে "দরবেশমুসাফির" ভাইয়ের অতি চমৎকার মন্তব্যের সাথে সংস্কৃত পুরাণ থেকে আরেকটু যুক্ত করি । পুরাণ অনুযায়ী বিশ্বব্রহ্মান্ডের সময় চারটা ভাগে বিভক্ত। এই চার যুগের নাম- সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ এবং কলি যুগ । মজার ব্যাপার হলো সত্য মানে এক, দ্বাপর মানে দুই, ত্রেতা মানে তিন, কলি চার বা বহু । তো দ্বাপরের (দুই) আগে কি করে ত্রেতা (তিন) যুগ এলো সে পুরাণের আরেক গল্প ।

এখন বিজ্ঞান এবং ঈশ্বর বিষয়ে আমার ধারণা হলো, বিজ্ঞানের জ্ঞান পর্যবেক্ষন নির্ভর, পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত । বিজ্ঞানের জ্ঞান সবসময়ই বস্তুনির্ভর, অবজেক্টিভ, সাবজেক্টিভ নয়। ধরা যাক একটা বিশেষ গোলাপ ফুল সম্পর্কে বিজ্ঞানের জ্ঞান এর দল, রেণু, প্রজাতি অথবা অনু পরমানু নির্ভর । এর সৌন্দর্য নিয়ে বিজ্ঞানের মাথাব্যাথা নেই । এর সৌন্দর্য নিয়ে মাথাব্যাথা সৌন্দর্য প্রেমিকের বা কবি সম্প্রদায়ের যেটা আসলে সাবজেক্টিভ বা ব্যক্তির নিজস্ব । তাই বলে Beauty is in the eye of the beholder । সৌন্দর্যের পরেও গোলাপের আছে আরও এক রহস্যময়তা, আরও এক বিস্ময়- কেন এটাকে এমন সুন্দর করে সৃষ্টি করা হলো, কে করলো এই কাজটা? সেই সত্ত্বা কি নির্জীব নাকি সব সজীবতার আধার - এখান থেকে , সেই বিস্ময় নিয়ে যায় ধর্ম ভাবনার দিকে দিও তা সৌন্দর্য ভাবনার মতই ব্যক্তির নিজস্ব ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাইয়া। অনেকদিন পর মনে হয় আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আপনিও চমৎকার একটা মন্তব্য করলেন। আফসোসের ব্যাপার কি জানেন, আমাদের আসলে কি পড়া উচিত, কোন বিষয় নিয়ে জানা উচিত তা নির্ধারন করতে করতেই জীবন শেষ করে যায়। ফলে মানুষ হিসেবে আমাদের মৃত্যু হয় প্রবল পিপাসা নিয়ে, জ্ঞান আহরোনের তীব্র পিপাসা। এর থেকে মুক্তি নাই।

আমার কাছে মনে হয়, বিজ্ঞান একটি বিষ্ময়কর দর্শনের গানিতিক রুপ। ঈশ্বরকে বুঝতে ধর্ম লাগে না, বিজ্ঞানই যথেষ্ঠ।

২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,



খুব চমৎকার একটি বিষয়কে টেনে এনেছেন । এর বিশ্লেষণে যেমন গনিত আনা যায়, তেমনি আনা যায় ফিলোসফি । আনা যায় পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান । ঈশ্বরবাদ বা নিরীশ্বরবাদ ও টেনে আনা যায় । অনেক সুধি মন্তব্যকারীরা তেমনটিই করেছেন । আপনার এনে দেয়া শূণ্য থেকে উৎপন্ন করেছেন অনেক বিষয় । শূণ্যের কোষ্ঠীও দেখানো হয়েছে এখানে ।
আমার জন্যে বলার কিছু থাকলোনা মনে হয় !
তবে অদেখা ভুবনের অধরা একটা কথা যা এখনও বলেনি কেউ, তা বলে যাই -
শূন্যতাই যদি না থাকবে
তবে তো থাকো নাকো তুমি,
তুমি আছো বলেই তো আছে
চিরকাল -
ভরে দেয়ার পালা; শূন্যতার ভুমি ।

এ ভুবনে সবার মনেই শূণ্যতার এই অনুরণন লেগে আছেই বলেই তো পৃখিবীটা এতো সুন্দর .............

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ ভাই। আপনার মন্তব্য যে কোন পোস্টকে একটা ভিন্নধর্মী পূর্ণতা দান করে।

২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,



লেগে আছেই বলেই ..এর বদলে পড়তে হবে লেগে আছে বলেই ...

( ছয়বার 502 Bad Gateway / 504 Gateway Time-out হলো উপরের মন্তব্য করতে গিয়ে । সেই সন্ধ্যে থেকে মাত্র ৩ টি মন্তব্য করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি । ব্লগ তো কচ্ছপের দৌড় শেখাচ্ছে আমাদের ! কচ্ছপের নাকের সামনে একটা মূলো ঝুলানো যায় না ? :( )

২৬ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখিত ভাইয়া!! :( এত বছর পর দুঃখ প্রকাশ করার জন্য আবার বকা দিয়েন না।

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

আলোরিকা বলেছেন: গত তিন দিন ধরে কি এক টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে লগ ইন করতে পারছিলাম না ---তাই বিলম্ব মন্তব্য :(

স্কুল - কলেজে অংক ভীষণ ভীতিকর ছিল । এখন মনে হয় একটু একটু বুঝি । আপনার পোস্ট পড়ে সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে বেশ আগ্রহ জেগেছে । সিরিজটি মনে হচ্ছে ভালই কৌতূহলদ্দীপক হবে । ভাল থাকুন । শুভ কামনা :)

২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: কাজ করার সময় ইতিবাচক থাকি।
এমনকি প্রস্তুতি না থাকলেও ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।

কেন বলুন তো?

২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

মুসাফির নামা বলেছেন: গণিত মানুষের জ্ঞানের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভূল , ইনফিনির ধারণা বুঝিয়ে দেয় আমাদের সীমাবদ্ধতা।তবে গণিত দিয়ে স্রষ্টার অস্ত্বিত্ব খোঁজা মনে হয় নির্বুদ্ধিতা।তবে বিজ্ঞান দিয়ে নাস্তিকতাকে অপনোদন করা যায়,দর্শন দিয়েও আর সেখান থেকে শুরু করতে হবে স্রষ্টার অস্তিত্বের বিশ্বাস, আর সেটাকে রাখতে হবে সম্পূর্ণ শিরক মুক্ত অর্থাৎ সকল ধান্ধাবাজীদের কবল মুক্ত।

২৬ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি এখন তো আর ব্লগে আসেন না, নইলে এই নিয়ে আরো বিতর্ক করা যেতো। গনিত দিয়ে স্রষ্টাকে খোঁজা কোন প্রতিষ্ঠিত ধারনা না, সামগ্রিক ব্যাপারটাই একটা দর্শন এবং হাইপোথিসিস।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

জেন রসি বলেছেন: আমি স্বেচ্ছায় নয়, না পাওয়ার চেষ্টা করেও বহুবার শূন্য পেয়েছি। :P

এখন পর্যন্ত মানুষ যে জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি, জ্ঞানের সেই অপ্রকাশিত অংশকে বিজ্ঞান কি সমর্থন করে না কি সমর্থন করে না? যদি বিজ্ঞান মানুষের অপ্রকাশিত জ্ঞানের উপর আস্থা রাখে বা বিশ্বাস করে, তাহলে 'ঈশ্বর' ধারনাটিকে কি বিজ্ঞান উড়িয়ে দিতে পারে?

মানুষ যে জ্ঞান এখন পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি সে জ্ঞানের কোন অস্তিত্ব মানুষের কাছে নেই। বিজ্ঞানের কাছেও নেই। বিজ্ঞান চেষ্টা করছে। প্রমানিত হলেই সে জ্ঞানে বিশ্বাস করা যাবে। তার আগেনা। বিজ্ঞানের কাজ প্রমান করা। বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস সেটার সাথেই সম্পর্কিত।

আর যদি দর্শন এবং সমাজবিজ্ঞানের দিক থেকে ভাবা হয় তবে বলতে হবে, সেসবের সমন্বয়ে ধর্মের মাধ্যমে যে ঈশ্বরের ধারনার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে অপ্রকাশিত কিছু নেই। অর্থাৎ সেখানে ঈশ্বরকে পরম সত্য হিসাবে ডিফাইন করা হয়েছে। এমনকি বলেও দেয়া হয়েছে সে ঈশ্বর কি চায়! শুধু মাত্র গৌতম বুদ্ধ বলেছেন আমরা শুন্য থেকে এসেছি, শুন্যে মিলিয়ে যাব। তিনি বলেছেন তার আগে বা পরে কি আছে তিনি জানেন না।

২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

জেন রসি বলেছেন: তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, শূন্য এবং অসীমের সংজ্ঞার সাথে এক পরাবাস্তব অস্তিত্বের আভাস আছে। যেমন ধরুন, ঈশ্বর সম্পর্কে বলা হয়, তিনি তাঁর কোন আকার নেই, তিনি নিরাকার। তিনি অনন্ত এবং অসীম। যদি ঈশ্বরের সংঙ্গাতে এই দুটো টার্ম থাকে, তাহলে আমার আগ্রহের বিষয় এই দার্শনিকতাটাই।

এটা হচ্ছে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। হোক সেটা পরীক্ষায় শুন্য পাওয়া কিংবা অসীমকে ডিফাইন করতে না পারা! :P অতীতে এই জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থেকেই ধর্ম এবং ঈশ্বরের কনসেপ্ট এসেছে। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করবেন যে যুগের অর্জিত জ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়েই মানুষ কল্পনা করেছে।এই কল্পনারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা এখন যা কল্পনা করতে পারি আজ থেকে ১০০০ বছর আগে মানুষ তা পারত্ না। আমরা যদি এখন ঈশ্বরকে কল্পনা করি তবে সেটা হবে আধুনিক সময়ের অর্জিত জ্ঞানের আলোকেই। সেটাও আবার একেক জায়গায় একেক রকম হবে। অর্জিত জ্ঞান এবং চর্চার ভিন্নতার কারনেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ঈশ্বরের কনসেপ্ট পাওয়া যায়! কারন জ্ঞানের সাথে কল্পনা সম্পর্কিত।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । খুবই গুরুত্বপুর্ণ ও উপকারী একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । পৃথিবীর সাকিছুই গনিত নির্ভর । আপনার এ পোস্ট প্রসঙ্গে অনেক দিন আগের একটি কথা মনে পড়ে গেল । এক ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলাম । একজন আসলেন ইন্টারভিউ দিতে । তাকে যে প্রশ্নই করা হোক না কেন তিনি সব প্রশ্রের উত্তর অংকের সংখ্যা মিলিয়ে দেন । তাকে জিজ্ঞাসা করা হল আপনি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর অংকে দিচ্ছেন কেন । তিনি উত্তরে বললেন তার উত্তর অংক ও সংখা দিয়াই হবে । তিনি আরো বললেন অংক দিয়া তো মাত্র শুরু । তিনি আমাদেরকে তাকে যা জিজ্ঞেস করার তা করতে বললেন , তবে উত্তর তিনি শেষ পর্যন্ত সংখ্যাতে্‌ই দিবেন বলে জানালেন । বললাম তা বেশ, এটাই আপনার জন্য শেষ প্রশ্ন , এবার উত্তরটা অংকের সংখাতেই দিন । তিনি বললেন উত্তর হলো শুন্য ( ০)। বললাম আপনার ইন্টারভিউ শেষ , এবার অফ টি টপিক ব্যখা দিন, এই শুন্য দিয়ে কি বুঝাইলেন , তিনি বললেন ব্যখ্যাটা সহজ, এই চাকুরীটা আমার হবেনা , এটাই ধ্রুব সত্য । আসলে হলোও তাই , পুর্ব নির্ধারিত পা্ত্রকেও চাকুরীর জন্য মনোনীত করতে হয়েছিল বিবিধ কারণে ।
তবে এখন এটা প্রমানীত যে শুন্যই ( ০) অন্যতম বড় আবিস্কার । তবে আরেকটি বিষয় হলো সংখা দিয়ে নিখুত পরিমাপ বা প্রকাশের জন্য দশমিক বিন্দু (.) খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করছে এবং এটাই নাকি বর্তমান বিশ্বের সেরা আবিস্কার। এই (.) বিন্দু তথা ডট ছাড়া এই ডিজিটাল যুগ নাকি অচল । যাহোক আপনার পরবর্তী মুল্যবান পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটা নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে! কিন্তু আপনার অংশগ্রহণের আশংকায় ম্যাচ স্থগিত করা হইলো! :D

৩১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

মেহেরুন বলেছেন: শূন্য নিয়ে অনেক কিছু জানলাম যা আগে জানতাম না। ভালো লাগলো ভাইয়া। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১৮

সাসুম বলেছেন: প্রথমত যিরো এবং ইনফিনিটি দুইটি কোনভাবেই এক জিনিষ নয়, অন্তত ম্যাথেমেটিকাল সেগ্মেন্ট এ।

যিরো হচ্ছে আমাদের বর্তমান লিনিয়ার ম্যাথেমেটিকস এর সর্বনিন্ম পজিটিভ ইন্টিজার আর ইনফিনিটি ত ইনফিনিটি। দুইটাকে কোন ভাবেই এক ভাবা টা বোকামি। আপনি যে শূন্যের মানে জানেন ফাকা বা অসীম, সেই শুণ্য হল ফিলোসফিকাল শূন্য আমাদের ম্যাথেমেটিকাল শূন্য নয়। আমাদের ম্যাথেমেটিকাল শূণ্য আর আর আপনার ফিলোসফিকাল শূণ্য এক করলে তো হবেনা :)

এইবার, আপনার লাস্ট প্রশ্নের উত্তরঃ বিজ্ঞান মানুষের অপ্রকাশিত জ্ঞানের উপর আস্থা রাখতে পারলে ( এই যায়গায় ধাক্কা খেতে হয় কারন বিজ্ঞান এক্টা লজিক দাড় করায় এরপর সেই লজিক কে প্রমান করার ব্যবস্থা রাখে, এখন যদি অসিম নাম্বারের লজিক ও দাড় করায় তাহলে সেই লজিক ও পূরনের ল আছে) আমাদের কি কোন এক মহাজ্ঞানীর উপর আস্থা রাখার দরকার কিনা??

না , আমাদের কোন এক মহাজ্ঞানীর উপর আস্থা রাখা না ট্রাস্ট রাখা না রাখাতে কোন কিছু আসে যায়না, কারন এর কোন লজিক নেই। একজন ইন্ডীভিজুয়াল পুরা দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন- আর উপরে বসে বসে তামাশা দেখছেন- এটা কোন লজিকের আওতায় পড়ে না।

গণিতের ইনফিনিটির অসীমতা কিংবা মানব দেহের ভেতর দিয়ে সেকেন্ডে বিলিয়ন বিলিয়ন নিউট্রিনো নামক ন্যানো পার্টিকেল ছুটে যাওয়াতে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রকাশ হয়না কিংবা এ ধরনের কেউ আছে কিনা সেটা প্রমান হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.