নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল রং এর চিন্তা ভাবনা

ছেলে ভাল ..

পলাশের লাল রঙ

ছেলে ভাল ....

পলাশের লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি রুপকথার গল্প

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

অনেক অনেক দিন আগে এক দেশ ছিল।



দেশটার ছাত্ররা পরীক্ষার আগে স্যারদের কাছ থেকে প্রশ্ন দাগিয়ে নিত। নোট বিক্রি হত। নোটে লেখা থাকত ১০০% কমন। আশ্চর্য জনক ভাবে নোটে যেগুলো থাকত,স্যারেরা বইয়ের যে প্রশ্নগুলো দাগিয়ে দিত সেগুলোর বেশির ভাগই পরীক্ষায় চলে আসত। একদিন এক বোকা ছাত্র একবার না বুঝে বলে বসল স্যার আমরা তো পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছি!? স্যার বেত মেরে ছাত্রটাকে আগে শায়েস্তা করল, তারপর রাগ থামলে বলল বদমাইস পুলা, তুমি পড়াশোনার কি জানো? এইটাই পড়ার নিয়ম।



সেদিন সেই ছাত্রটি চুপ মেরে গেল। আর কিছু বলে নি। সেও সবার মত কয়েকটা দাগানো প্রশ্ন মুখস্ত করে পরীক্ষা দিয়ে ফাস্ট ডিভিসন পেয়ে গেল।



সেই ছেলেটি একসময় বড় হল এবং ভাল চাকরি পেয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করে দিল। তার ছেলে বড় হল । কিন্তু ততদিনে সেই দাগানো প্রশ্নের দিন শেষ, এসেছে সৃজনশীল প্রশ্নের যুগ।



কিন্তু তিনি অবাক হয়ে দেখলেন, তার সময়ের মত এখনও বই দাগিয়ে দিচ্ছে স্যারেরা। তার ছেলেকে প্রতিটা বিষয়ে আলাদা আলাদা করে মোটা মোটা নোট কিনে দিতে হচ্ছে, তারপর আলাদা করে নৈবিত্তিক প্রশ্নের নোটও কিনে দিতে হচ্ছে! তারউপর কলেজ শেষে কোচিং,কোচিং শেষে প্রাইভেট, প্রাইভেট শেষে গ্রুপ স্টাডিজ কত কি!



অবশেষে তার ছেলের পরীক্ষা ঘনিয়ে এল। ছেলেকে কখনই তিনি পড়তে বসতে দেখেননি। যখনই খোজ নেন জানতে পারেন যে ছেলে কোচিং এ নাহয় প্রাইভেটে আছে।



পরীক্ষা শুরু দুই দিন আগে ছেলে কে ঘরে দেন। প্রথমেই তিনি জানালা দিয়ে সূর্যের দিকে তাকান, নাহ সূর্য পূর্ব দিকেই উঠছে পশ্চিম দিকে ওঠার কোন সম্ভাবনা নাই, তারপর নিজেন গায়ে একটা চিমটি কাটেন, নাহ এইটা স্বপ্ন না তিনি তার ছেলেকে ঠিকই বাসায় দেখছেন।



তিনি তার ছেলের কাছে যান। ছেলের মুখের সামনে বই। নাহ, এক হাতে বই, এক হাতে ফোন। চোখ ফোনের দিকে। থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পড়ে বিছানায় শুয়ে পা দোলাচ্ছে। তবে প্যান্টটা ঢিলা হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ ভাবে নিচে নেমেছে।



প্রথমেই একটা ধমক দিলেন ফোনের জন্য,দ্বিতীয় ধমক প্যান্টের জন্য। তারপর বকাবকি করলেন কিছুক্ষণ। তারপর ফোন নিয়ে নিলেন হাত থেকে।



ফোন হাতে নিয়ে নিয়ে চলে যাবেন এমন সময় তার স্ত্রী বলল দোষ করছে ঠিক আছে কিন্তু ফোনটা দিয়ে দাও।



তিনি বললেন কেন?



তার স্ত্রী বললেন তুমি বুঝবা না, তুমি পড়াশোনার কি জানো?



তাইতো এই কথা তো ছোট বেলায় তার স্যারও বলেছিলেন। তিনি কিছু না বলে ফোনটা রেখে চলে এলেন নিজের ঘরে।



ছেলের রেজাল্টের দিন অনেক টেনশন নিয়ে আছেন, যে ছেলেকে কোনদিন বাসায় পড়তে দেখেননি তার রেজাল্ট নিয়ে টেনশন হবারই কথা। তার ফোন বেজে উঠল। তারছেলে ফোন করে বলল বাবা আমি A+ পেয়েছি।



তিনি সেদিন রাতে স্বপ্নে আবার তার স্যারকে দেখলেন স্যার লাঠি হাতে সেদিনের মত তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আর বলছেন বদমাইস পুলা,এইটাই পড়ার নিয়ম।



তিনি ঘুমের মাঝে বলে উঠলেন "ঠিক, ঠিক। "

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৭

সাদা আকাশ বলেছেন: গল্পটা ঠিক কোনদিকে ঘুরে এসে কোনদিকে থামল সেটা বুঝতে পারলাম না। তবে প্রথমাংশের প্রশ্ন প্রাপ্তির ব্যাপারটা ভালো লেগেছে..

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৫

পলাশের লাল রঙ বলেছেন: আপনার বুঝতে না পারা আমার লেখার ব্যর্থতা । প্রশ্ন পাবার চক্র যে চলে আসছে আগে থেকেই তা বোঝাতে চেয়েছি । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.