নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল রং এর চিন্তা ভাবনা

ছেলে ভাল ..

পলাশের লাল রঙ

ছেলে ভাল ....

পলাশের লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

(ছোটদের জন্য উপদেশ। বড়দের তিতা লাগতে পারে। কিন্তু সত্য সত্যই, সেটা অস্বীকার করলেও সত্য)

১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

আমি ক্লাশের মাঝে ম্যান্দা মারা কিন্তু পরীক্ষার হলে "#ফিলিং_বসসসসস" হয়ে যাই। কারণ ক্লাশে করার কিছু থাকে না সব স্যার ম্যাডাম করে। কিন্তু পরীক্ষার হলে সব থাকে আমার হাতে। যেমন ইচ্ছা তেমন করে মনের চূড়ান্ত মাধুরী মিশিয়ে লেখা যায়। ফলাফল হত কোনমতে পাশ।

কিন্তু যারা যারা এর উল্টোটা করত মানে ক্লাসে স্যারের সাথে গলা মিলিয়ে বস সাজতো আর পরীক্ষার হলে ম্যান্দা মেরে নাকমুখ গুজে লিখতো তারাই এখন গোল্ডেনসহ জিপিএ ফাইভের অধিকারী। এখন ভাল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা চান্স পেয়েছে।

তাই ছোটদের প্রতি আমার উপদেশ, জীবনে আর যাই করো পরীক্ষার হলে বস হবার দরকার নাই। সেখানকার তিন ঘন্টার জন্য যেভাবে হোক অস্থির রকম প্রস্তুতি নাও। দরকার হরে চোট্টামি কর। অন্যের লেখা মেরে দাও।ফাঁস প্রশ্ন হাতে পাবার জন্য হাজার টাকা খরচ কর। তবু যেন ভাল রেজাল্ট হয়। আর একবার ভাল রেজাল্ট করে নাক উচু হলেই স্যারেরা তোমাকে এক্সট্রা খাতির দিবে, আরো দশটা ভাল রেজাল্ট করা ছেলে তোমার বন্ধু হবে এবং তোমাকে দেখে নাকসিটকানো মেয়েরা তোমার খোজ নেয়া শুরু করবে । তাদের দলে একবার ভিড়ে যেতে পারলে তাদের দেখেই তোমার কোন প্রাইভেট মিস দিতে ইচ্ছে করবে না, নিয়ম করে পড়তে বসবে, তাদের সাথে সবার সামনের চেয়ারে তুমিও বসতে চাইবে। তোমার মাঝে চেন্জ আসবে। যদি চেন্জ এসেছে কিনা এ বিষয়ে কনফিউজস্ড থাকো তাহলে শিয়র হতে তোমার আগের ফ্রেন্ড সার্কেলের দিকে তাকাও। তাদের দেখে যদি মনে হয় তারা বাজে কাজে সময় নষ্ট করছে তাহলে তুমি চেন্জ হয়ে গেছো। সে চেন্জকে ধরে রাখতে নিয়মিত ভাবে অন্যদের পড়া কতদূর গেল, বই কততাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, কোন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়লে আগের রাতে প্রশ্ন দাগায় দিবে এসবের পিছনে দৌড়াও। একটু এদিক সেদিক মন চলে গেলে নিজেকে বলতে হবে আড্ডা, খেলাধুলা এসবের অনেকসময় পাওয়া যাবে কিন্তু পড়াটা জীবনের সবচেয়ে জরুরী একটা কাজ। এটা যারা পারে তারাই আতেল, তারাই ভাল রেজাল্ট করে, তারাই পরে দেশ বিদেশ ঘুরে নাসা, গুগল, মাইক্রোসফটে চাকরি করে বেড়ায়।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কৌশল।

ধর ঈদের ছুটি দিল। সবাই রইরই করে ঈদ করছে। ঠিক এসময় তুমি রইরই না করে দুই তিন অধ্যায় এগিয়ে নিলে।

অনেকে তোমাকে বলবে জীবনে একটু মজারও দরকার আছে।কিন্তু মজা মানেই নেশা। সেটা ক্রিকেট খেলাও হতে পারে, আউট বই পড়াও হতে পারে। একবার মজার নেশা পেয়ে গেলে সে মজা আবার পেতে ইচ্ছে করবে। অনেকে জাফর ইকবাল স্যারের বই বা হুমায়ূন আহমেদের "হিমু" পড়তে বলবে তোমাকে। তুমি পড়ে একবার যদি মজা পেয়ে যাও তবে তাদের বই দেখলেই তোমার পড়তে ইচ্ছে করবে। আর এর সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হল আমাদের পাঠ্যবই এত প্রান্জল না, স্যারেরাও এত মজা করে আমাদের কিছু শেখান না তাই যখন এই হিমু, কিশোর উপন্যাস বা সাইন্স ফিকশন পড়ে পাঠ্যবই হাতে নেবে সেটার লেখাগুলোকে নর্দমার জন্জাল মনে হবে। অথচ এই নর্দমার জন্জালই তোমাকে ভাল একটা ক্যারিয়ারের দিকে নিয়ে যাবে। তাই নর্দমার জন্জালকে সঙ্গী বানাও হিমু, মিসির আলিকে না।
পৃথিবীর সব মজার উপকরণ তুমি পাবে। ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে হিমু মিসির আলি, ফেসবুক, ইউটিউব, হাই স্পিড আনলিমিটেড নেট , সিনেমা, গেমস, এডভেন্চার, ট্রাভেলিং সহ তোমার কল্পণায় আসা সব। শুধু তুমি যদি সময়ের কাজ সময়ে করে ঐ পরীক্ষার হলে নাক মুখ গুজে সব কিছু লিখতে পারার ক্ষমতা অর্জন করতে পারো তবেই। ট্রাস্ট মি।

আর যদি বুঝতে পারো যে তোমাকে দিয়ে এসব হবে না তবে "আয় পাগলা বুকে আয় "। তোকেই খুজছিলামরে পাগলা।
আসার সময় একটা কঞ্চি ভাইঙ্গা আনিস। মাইরের উপর কুন অষুধ নাই। তোর বাপমা তোরে মানুষ করতে পারে নাই কিন্তু এই একটা কঞ্চি তোরে মানুষ বানায় ফেলতে পারে । ট্রাস্ট মি টুও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন: অসাধারণ আপনার লেখা..... ভাল লাগল...

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০১

পলাশের লাল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.