![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভ করেছেন কোটাবিরোধী চাকরিপ্রার্থীরা।”
যুগান্তর পত্রিকায় ১৭ ফেব্রুয়ারি (২০১৮) তে এই লাইন দিয়েই শুরু হয়েছিল কোটা আন্দোলনের প্রথম সংবাদ প্রচার। শিরোনাম ছিল “কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ”। এর দুই মাস পর ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে গণপদযাত্রা, শাহবাগে অবস্থানের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই কোটা আন্দোলনের দাবিদাওয়ার কথা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম কি সত্যিই সময় মত সংবাদ প্রকাশ করেছিল? দেশের মানুষ এই দিন থেকে জানলেও শুরুটা ছিল অনেক দিন আগে থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এই কোটা আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ না করার চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে।
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে কি করতে পারে তার ধারনা ২০১৩ সালের গণ জাগরণ মঞ্চ প্রমাণ করে দিয়েছে। হাজার হাজার তরুণ তরুণীর সেই আন্দোলনের বীজ বপণ হয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। ফেসবুকে সাত আট জনের শাহবাগে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর দৃঢ়তা হাজার হাজার মানুষকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলতে পেরেছিল। কোটা আন্দোলন হুট করে তৈরি হয় নি। এই কোটা আন্দোলনের ক্ষেত্রে গণজাগরণ মঞ্চের মত একই ভাবে আন্দোলন দাঁনা বাঁধছিল ফেসবুকে। বিভিন্ন গ্রুপ , পেজ খোলা হয়েছিল এই কোটার বিপক্ষে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগে কোটার বিপক্ষে লেখা প্রকাশ করা হত। কখনও হাতে গোণা কয়েকজনকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে আন্দোলন করত। তখন গুটি কয়েক মানুষ কোটা নিয়ে অসামন্জস্যতার কথা তুলে ধরত সেই গ্রুপ গুলোতে। দিনের পর দিন পোষ্ট করা বিভিন্ন লেখায় ফুটে উঠত কোটা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আর সেই সংস্কার করতে কি করতে হবে। ধীরে ধীরে বিসিএস প্রত্যাশি শতশত তরুণ বুঝতে পারে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু মতামত প্রকাশ করলেই হবে না, এক খানে হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পথ বেঁছে নিতে হবে।
তারপরের দিকে উকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী “বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা প্রথা বাতিল করে সে ব্যবস্থা পুর্নমূল্যায়ন করতে হাইকোর্টে ৩১শে জানুয়ারি একটি রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ও দুইজন সাংবাদিক। ৫ই মার্চ ২০১৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনে ভুল রয়েছে এই মর্মে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।”
এরপর শুরু হয় ৫ দফা দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বাইরে এসে রাস্তায় আন্দোলন (১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। শুরু থেকেই সংবাদ মাধ্যম ও টেলিভিশন পুরোপুরি বিমাতা সুলভ আচরণ করে গেছে। সেই আচরণের কারণ যে সরকার পক্ষের চাপ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০১২ সালে সামহয়ার ইন ব্লগে সরব মৌনতা লেখেন-
“এতদিনে বুঝলাম, সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এত এত বিক্ষোভ-আন্দোলন হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে এত ঠান্ডা। কারন এখানে আছে সরকারের বিশেষ আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী "চাপাতি লীগ"
জাতির এ বেজন্মা সন্তানদের জন্য আজ কোটা পদ্বতি সংস্কারের দাবিতে অপারাজেয় বাংলার সামনে মানব-বন্ধন করা হল না।বরং তাদের উপর্যুপরি চাপ আর ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারনে ছত্রভংগ হল সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলন।প্রতিবাদী কয়েকজনকে মারধর খতে হল, ঐ কুত্তার বাচ্চা গুলা মেয়েদের গায়ে হাত তুলতেও কুন্ঠাবোধ করে না, লাঞ্ছিত হতে হল রোকেয়া হলের কয়েকজন ছাত্রীকেও।এ খবর হয়ত কোন মিডিয়াতেও প্রচার হবে না।”
এতেই বোঝা যায় কোটা আন্দোলন কখনই সরকার পক্ষের লোকদের দৃষ্টির অগোচরে ছিল না। পাঁচ ছয় বছর আগে থেকেই তারা এর বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তারা চায়নি এই সংবাদগুলো জন সম্মুখে আসুক। এরপর তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দেখানো, জামাত শিবির হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা, আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগদ্বারা অমানবিক অত্যাচার ইত্যাদি পদক্ষেপ বারবার প্রমাণ করেছে সরকারের পরিকল্পণা। সেই পরিকল্পণার একটা অংশ ছিল এই সংবাদ মাধ্যমকে নিজেদের মত করে ব্যবহার করা।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনা তাহলে এই??!!
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
রাকু হাসান বলেছেন: সংবাদ মাধ্যমের এমন ভূমিকা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে ।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: রাকু হাসান বলেছেন: সংবাদ মাধ্যমের এমন ভূমিকা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
ক্স বলেছেন: আহাম্মকদের পরিণতি কোটা আন্দোলনকারীদের মতই হয়।