নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী

সাধারণত গল্প লেখি, কবিতা আর তেমন মনে আসে না। এক কথায় গল্প নিয়ে আমার বসবাস। নিজের মত জোরালোভাবে প্রকাশের চেষ্টা করি। দেশকে ভালোবাসি, প্রেমকে শ্রদ্ধা করি।

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ শিয়াল পণ্ডিতের নব্য পাঠশালা

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

সারা বনে রটে গেল, শিয়াল পণ্ডিত চাঁদে গেছে। শিয়াল পণ্ডিতও সুযোগটা নিল। কিছুদিন এদিক-ওদিক পালিয়ে থাকল। তারপর হঠাৎ একদিন বড় একটা ব্লাক বোর্ড নিয়ে বনের মাঝখানে আবার পাঠশালা খুলে বসল। বানর থেকে শুরু করে সবাই তাদের বাচ্চাদের শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালায় ভর্তি করে দিল।



আর সারা বনে ছড়িয়ে পড়ল, শিয়াল পণ্ডিত চাঁদ থেকে বস্তা ভর্তি করে শিক্ষা-দিক্ষা নিয়ে এসেছে।



শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালার খবর বাঘ মামার কাছে যেতেও দেরি হল না। বাঘ মামাতো এ খবর পেয়ে রেগে মেগে অস্থির। তারপর একদিন শিয়াল পণ্ডিতকে শায়েস্তা করতে শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালার দিকে রওনা হল। শিয়াল পণ্ডিত দূর থেকে বাঘ মামাকে আসতে দেখে তার ছাত্রদের পড়াতে লাগল, ‘বাঘ মামা সবার মামা! বাঘ মামাকে ভয় নয়! বাঘ মামা মহান মামা!’



নিজের এত সুনাম শুনে বাঘ মামারতো রাগ গেল উড়ে।



তারপর একটু থেমে শিয়াল পণ্ডিত আবার পড়াতে শুরু করে, ‘চাঁদ খুব খারাপ জায়গা! চাঁদে থাকে রাক্ষস-খোক্ষস! চাঁদে যেতে সবার মানা!’



বাঘ মামাতো এ কথা শুনে ভাবল, যাক বাবা! বড্ড বেঁচে গেছি চাঁদে না গিয়ে।



বাঘ মামা কাছে আসতে না আসতেই সবাই একসাথে সালাম ঠুকল। শিয়াল পণ্ডিত বলে, ‘মামা এসো, আমার পাঠশালা দেখে যাও।’



বাঘ মামাতো এমন সালাম কোনদিন কারো কাছ থেকে পায় নি। তাই তার বুকটা আনন্দে ভরে উঠলো। শিয়াল পণ্ডিত ক’দিন আগেই তাকে যে নাকানি-চুবানি দিয়েছে সে কথা বাঘ মামার একবারের জন্যও মনে আসল না। তাই সেদিন ভাগ্নের পাঠশালা দেখে খুশী মনে বাড়ি ফিরলো।



ওদিকে কুমীরতো চিন্তায় অস্থির। সবার বাচ্চারা চাঁদের বস্তা ভর্তি শিক্ষা নিচ্ছে আর তার বাচ্চাগুলোকে পাঠাতে পারছে না। ভয় একটাই পাছে শিয়াল খেয়ে না ফেলে! তাই বাঘের কাছে গেল কুমির।



বাঘ মামা সাথে চারটা কুমিরছানা নিয়ে আবার একদিন হাজির শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালায়। শিয়াল পণ্ডিত বলে, ‘মামা কি মনে করে?’



বাঘ মামা বলে, ‘দেখ তো ভাগ্নে এই কুমিরছানা চারটাকে শিক্ষা-দিক্ষা দিতে পারিস কিনা। সাবধান, আগের বারের মত খেয়ে ফেললে কিন্তু তোর ঘাড় মটকে দেব। শিক্ষা শেষ হলে, আমি এসে নিয়ে যাব।’



শিয়াল পণ্ডিত বলে, ‘ও তুমি চিন্তা করো না মামা।’



শিয়াল পণ্ডিত কুমিরছানা চারটাকে আলাদা করে রাখে। আর রাত হলে আলাদা করে পড়ায়। বাঘ মামাও মাঝে মাঝে এসে দেখে যায় চারটি কুমিরছানা আছে কিনা।



শিয়াল পণ্ডিত তো কুমিরছানাদের দেখে জীভের জল ধরে রাখতে পারে না। আবার বাঘ মামার ভয়ে কুমিরছানাদের খেতেও পারে না। শেষ পর্যন্ত শিয়াল পণ্ডিত ঠিক করল, কুমিরছানা না খেতে পারে পারুক কিন্তু বাঘকে একটা উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে।



শিয়াল পণ্ডিত কুমিরছানাদের শিক্ষা দিতে লাগল,



‘বাঘ-কুমির দা-কুমড়া



জলের ধারে তোল চামড়া!’



কুমির ছানারা শিখতে লাগল, বাঘকে জলের ধারে পেলেই তাকে ঘায়েল করতে হবে।



শিয়াল পণ্ডিত ভালোমত কুমির ছানাদের বাঘ-কুমির দা-কুমড়া শিক্ষা দিয়ে দিল। এই এক শিক্ষা বারবার দিতে দিতেই কুমির ছানারা বেশ বড় হয়ে গেল। যখন শিয়াল পণ্ডিত বুঝল কুমির ছানাদের বাঘকে ঘায়েল করার মত শক্তি হয়েছে, তখন শিয়াল পণ্ডিত বাঘ মামার কাছে খবর পাঠালো কুমিরছানাদের নিয়ে যেতে। বাঘ মামাতো চারটা মুরগী নিয়ে শিয়ালের কাছে হাজির। শিয়াল পণ্ডিতও বাঘ মামার হাতে মুরগী দেখে বেজায় খুশী।



বাঘ মামা বলে, ‘নে ভাগ্নে তোর বকশীস।’



শিয়াল পণ্ডিত খুশী মনে মুরগী চারটা নিয়ে বলে, ‘মামা, কুমিরছানাদের যে শিক্ষা দিয়েছি তা ওরা কোনদিন ভুলবে না।’



বাঘ মামা কুমির ছানাদের নিয়ে নদীর দিকে কুমিরের কাছে তার বাচ্চাদের ফিরিয়ে দিতে চলল। যেই না বাঘ মামা কুমিরছানাদের নিয়ে নদীর ধারে আসল, কুমির ছানারা চিৎকার করে বলতে লাগল,



বাঘ-কুমির দা-কুমড়া!



জলের ধারে তোল চামড়া!



বোকা বাঘ মামা কিছু বোঝার আগেই কুমিরছানা চারটি বাঘের চারটা পা ধরে টানতে টানতে নদীর জলে নিয়ে গেল।



শিয়াল পণ্ডিত দূর থেকে বাঘের করুণ অবস্থা দেখে খিল খিল করে হাসতে লাগল।



---সমাপ্ত---

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আপনার চিন্তা ও অনুভুতি সকলকে ছুয়ে যাক এই কামনাই রেখে গেলাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

সাদেক বলেছেন: Valo laglo

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: thanks bro..

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল লাগল।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: Apnake dhonnobad amar blogbarite vromoner jonno

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

নাহিদ হাকিম বলেছেন: গল্প পছন্দ হয়েছে। আমার পত্রিকায় প্রকাশ করতে পারি। সাপ্তাহিক দ্বীপশিখা
০১৮৪০৬৭৫৪২৭

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

িনয়ামুল কারীম মানসুর বলেছেন: ভালো লাগলো

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: Thanks bro

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০০

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: দারুন লিখেছেন । শিশুদের জন্য আরো নতুন কিছু করুন ,পুরান গল্পে তারা আর আনন্দ পায় না ।ভাল থাকুন সব সময় ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: thanks apnake...

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তেমন জমলো না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: hoito...

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। কেবল কাহিনী নয়, একই সঙ্গে বর্ণনা শৈলি। আপনাকে তো আমি আমার ব্লগের রিপ্লাই-এ ইমেইল এড্রেস দিয়েছিলাম। আপনি তো বেশ ভালো লিখেন.... আবার দিলাম : [email protected]

মেইল কইরেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: Ekta golpo pathiyesi... Check it on mail...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.