![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন দুপুর দেড়টা কি পৌনে দুটো বাজে বাসার সবাই প্রাত্তাহিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হঠাৎ সদর দরজায় টোকা পড়লো একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা সাহায্য চাইতে এসেছেন, তাঁর দুর্ভাগ্য কিংবা আমার সৌভাগ্য বশত দরজাটা আমিই খুলেছিলাম যতটা সম্ভব মুখ শক্ত করে বললাম আপনি চলে যান, আমি সাহায্য করতে পারছি না! এরকম তো প্রায়শই বলি অথবা বলে থাকি কিন্তু আজ দরজাটা বন্ধ করার পরমুহূর্তেই কেমন যেন একটা অপরাধ বোধ নিজের বিবেক কে দগ্ধ করতে লাগল আচ্ছা আজ যদি আমি সেই মহিলার জায়গায় থাকতাম তখন!
এখন ঈদের সময় তাই এমন অনেক মানুষের আনাগোনা কিন্তু আমাদের নৈতিকতার স্খলনের যুগে যারা সত্যিই অসহায় এবং যাদের পারত পক্ষেই সাহায্যের প্রয়োজন আমরা তাদের এড়িয়ে চলছি!
এমনকি ব্যক্তিগত সম্পর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষগুলো প্রতিনিয়ত নিজের কাছেই নিজেরা প্রশ্নবিদ্ধ আমি যতটুকু পরিশুদ্ধ আমার পাশের জনও কি তেমন? কিংবা আমি যতটা ফাঁপা অপরিশুদ্ধ আমার পাশের জনও কি তেমন?
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আমাদের মাঝ থেকে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে, আমরা আমাদের ব্যক্তিগত গণ্ডিতে আবদ্ধ হচ্ছি প্রতিনিয়ত আমি, আমার, আমিত্ব এই শব্দ সমষ্টি যেন আজকের বাস্তবতায় অনেক বেশি কার্যকর! নীতি, নৈতিকতা, বিশ্বাস আজ শূন্যর কোঠায়!
সত্য যুগে লক্ষণ সীতাকে লক্ষণ রেখায় বাঁধতে পারেননি দুষ্টু রাবণের ষড়যন্ত্রে সীতা সেই রেখা পার হয়েছিলেন কিন্তু কলিযুগে আজ আমরা এই লক্ষণ রেখা নীতি পালন করছি মানবিকতাকে পাশ কাটিয়ে এক নিলজ্জ স্বার্থপরতায় আমাদের চারপাশ একীভূত! সীতা হয়তো লক্ষণ রেখা ভেদ করে ভালই করেছিলেন কারণ রামায়ণের পরবর্তী অধ্যায় তাহলে অসমাপ্ত থাকতো!
কিন্তু আমাদের সমাজের,জাতির মানবিকতার অধ্যায় কি তবে এভাবেই অসম্পূর্ণ আর ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে???
©somewhere in net ltd.