নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো মানুষ। আর কি কোন পরিচয় থাকে নাকি?

নেফার সেটি

আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......

নেফার সেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ভীনদেশী মুক্তিযোদ্ধা

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩



"Having escaped from the POW(Prisioner of War) camp after a short internment, I joined the Dutch Underground Resistance Movement. As a I spoke fluent German and several Dutch dislects, I befriened the German High Command and was thus able to help the Dutch Underground Movement as well as the Allied Forces with vital information. So, when the events of March 1971 started with tanks of the Pakistani forces rolling into Dhaka. I was reliving my experience of my younger days in Europe. I could fully apperciate and understand the predicament of the Bengali people and this motivated me to spring into action on their behalf."



জন্ম তার হল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামে। সাধারণ পরিবারের ছেলে। জন্ম ৬ই ডিসেম্বর ১৯১৭।

প্রচলিত শিক্ষা তেমন ছিল না। সতেরো বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন কাজ করতে হতো জীবিকার জন্যে। বাটা সু কোম্পানিতে কাজ পেয়েছিলেন।
এরপরে ১৯৩৬ সালে যোগ দেন ডাচ ন্যাশনাল সার্ভিসে। ১৯৪০ সালে বন্দি হন হিটলারের জার্মান বাহিনীর হাতে। বন্দি শিবির থেকে পালিয়ে যায় মানুষটি।

১৯৭১ সালের প্রথমদিকে সে ছিল ঢাকায়। টংগীর বাটা সু কোম্পানির ব্যবস্হাপনা পরিচালক ছিলেন। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা তাকে নাড়া দেয়। ৫৪ বছরের লোকটা সিদ্ধান্ত নেয় কিছু করার। হয়ে ওঠে তরুণ।
প্রথমে অস্ত্র হিসেবে তুলে নেন ক্যামেরা আর লেন্স। লুকিয়ে গণহত্যার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতেন বাইরে।

এরপরে সিদ্ধান্ত নেন এদেশের হয়ে গেরিলা যুদ্ধ করবেন। বাটা কোম্পানির পরিচালক হিসেবে তার একটু অন্য ধরনের ক্ষমতা ছিলো। ছিলো পাকিস্তানি মহলে অবাধ যাতায়াত। জেনারেলদের সাথে মেলামেশা। নিয়াজীর ইস্টার্ন কমান্ড হেড কোয়ার্টার তাকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে সম্মানিত করে। এই সুযোগ তিনি কাজে লাগান। জোগাড় করে ফেলেন বিভিন্ন ধরনের অবাধ যাতায়াতের পাশ। সংগ্রহ করতেন পাকিদের গোপন খবর। পাঠিয়ে দিতেন ২নং সেক্টরের মেজর এটিএম হায়দার আর জেড ফোর্সের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে।

বাটা সু ফ্যাক্টরিটাই হয়ে ওঠে গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অংশ নেয় বহু সম্মুখ সমরে। উড়িয়ে দেয় রেলপথ, কালভার্ট, ব্রীজ।

লোকটিকে বীরপ্রতীক উপাধির সনদপত্র দেওয়া হয় ১৯৯৮ সালে। বীরপ্রতীক পদকের দশহাজার টাকা দান করে দেয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লোকটা বীরপ্রতীক লিখতো নিজের নামের পাশে। পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর ছিল ৩১৭। ১৯৭৮ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যান। এজন্য ১৯৯৮ সালের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হতে পারেন নি।

কি???? নামটা ভাবছেন??? তাহলে বলেই দেই....
ডব্লিউ এ এস ঔডারল্যান্ড বীরপ্রতীক। ২০০১ সালের ১৮ইমে তার মৃত্যুদিবস।

আমরা ভুলেই গেছি অথচ আমাদের প্রতি তার ছিল অনেক ভালবাসা। এজন্য তার চিঠিতে তিনি লেখেন,
" Deeply touched and moved by the almost unbearable sufferings and atrocities I witnessed of the cruel and oppressive force. I secretly, began a guerrilla movement with the brave Bangalis at Bata Tongi and all around sectors 1 and 2. In addition and as expatriate CEO of an international Company, I had the company of occupying Pakistani High Command. This enabled me to help the Bengali freedom fighters. I trained and worked with in relation to their guerrilla activities. All thease actions were taken as a result of my deep love and affection I felt for the Bengali people."

আমি জন্ম, মৃত্যুর তারিখ মনে রাখতে বলছি না শুধু তার নামটা। আবারও বলি,
উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড বীরপ্রতীক

তথ্য কৃতজ্ঞতা : [জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা- মেজর কামরুল হাসান ভূইয়া]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২২

নিজাম বলেছেন: সশ্রদ্ধ অভিবাদন উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড বীরপ্রতীক ।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। জেনে ভালো লাগল।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

সুমন কর বলেছেন: জানা ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। বইয়ের লিঙ্কটা দিয়ে দিলে সবাই পড়তে পারতো।

জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

নেফার সেটি বলেছেন: জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.