নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো মানুষ। আর কি কোন পরিচয় থাকে নাকি?

নেফার সেটি

আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......

নেফার সেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১ vs ২০১৫এর ডুড কিশোর....

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৫

বাবর ছিল কিশোর। ঠিক আমাদের বয়সেরই। বাবরের বাবা ছিল সৈয়দপুর রেলওয়ের কর্মচারী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল ছেলেটা। ১৯৭১ এর পঁচিশে মার্চে বিহারীরা হত্যাযজ্ঞ চালায়। বয়লারে ছুড়ে পুড়িয়ে মারে বাবরের বাবাকে। মা হয়ে যায় পাগলিনী।

মামার বাড়ি আশ্রয় নেয় বাবর। একদিন দেখা পায় মুক্তিযোদ্ধাদের দলের। প্রতিশোধের নিভু নিভু আগুন দাবানলে পরিণত হয়। যোগ দেয় তাদের সাথে। ছোট মানুষ হিসেবে রেকি করতে সাহায্য করতো বাবর।

সপ্তাহে দুইদিন হাটে আসে পাকবাহিনীর গাড়িটা। গাড়িটাকে মাইন দিয়ে উড়াতে হবে, বললেন কমান্ডার। কিন্তু চাকার সামনে মাইনটা রাখবে কে???

বিড়ালের গলায় ঘন্টা পরালো বাবর। অসীম সাহসী কিশোরটা হাটের মধ্যেই গাড়ির সামনে রাখলো মাইনটা। তারপর...
বুউউম!!! ছয়জনসহ গাড়িটা শেষ।

বাবর আর তার সহযোদ্ধারা আশ্রয় নিয়েছিলো একবাড়িতে। কিন্তু বাড়িওয়ালা বেঈমানি করে। পালিয়ে যায় বাবররা। সকালে নৌকা নিয়ে বেড়িয়ে পরে বাবর। হঠাৎ পাঁচটা পাকি মিলিটারির দেখা। তারা বাবরকে পার করে দিতে বললো। বাবর তাদের পার করে দিলো। পাকিগুলো বাবরকে একঘন্টা অপেক্ষা করতে বললো।

পাকিরা মূলত যাচ্ছিলো বাবরের দল যেখান থেকে পালিয়েছিলো সেখানে। বেঈমান বাড়িওয়ালার কাছে খবর পেয়ে।

বাবর তাড়াতাড়ি এপারে এসে কমান্ডারকে সব বললো। বললো ফেরার সময় দলটাকে এমবুশ করতে। বাবর একটা গ্রেনেড নিলো দলের কাছ থেকে। আবার ফিরে গেলো পাকিদের জন্য ঐপারে। এপারে অবস্থান নিলো কমান্ডার ও সহযোদ্ধারা।

মুক্তির খোঁজ না পেয়ে দুইটা ছাগল ধরে পাকিগুলো নৌকায় উঠলো। বাবর ঘামছে। নৌকা চালানো শুরু করলো...

মাঝনদীতে নৌকা। বাবর ডানপকেটে হাত ঢুকাচ্ছে। গ্রেনেডটা পেল। পিনখুললো। নৌকায় রেখেই নদীতে ঝাপ!!! ওপার থেকে গর্জে উঠলো বাবরের সহযোদ্ধাদের রাইফেল....

পানিতে রক্ত.....শূয়োরের রক্ত.... পাকি রক্ত...
ওপারে পানির উপরে হাসছে কিশোর বাবর...বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে... দেশ থেকে কয়টা শূয়োর কমিয়েছে....

২০১৫....
আড্ডায় বাবরের বয়সী কিছু কিশোর...

১: দোস্ত দেখ মালডা কি খাসা!!!!

২: আরে রাখ তোর মাল। কাল আফ্রিদীর ব্যাটিং দেখছোস। অসাম...

৩: দোস্ত, ঐ দেখ সেই খ্যাত পোলাডা।

২: কোনডা?

৩: আরে আগেরদিন সিনেমা হলে পতাকা প্রদর্শনের সময় যে পোলা দাড়ায়ে ভাব লইতেছিলো।

১:ওতো একটা আবাল। দেশপ্রেম মারায়!!!

ইহাই ৪৪ বছরের পার্থক্য...

ডুড vs ১৯৭১!!!

তথ্য কৃতঙ্গতা: ("একাত্তরের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা"- মেজর হামিদুল হাসান তারেক বীর বিক্রম)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

টপ

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ডুড স্মার্ট প্রজন্মের চেয়ে গ্রাম্য কিশোর বীরযোদ্ধা বাবরের উত্তরসূরীরা অনেক দরকার এই দেশটার

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ডুড vs ১৯৭১!!!
এখনকার ডুড রা এসব বুঝবেনা ভাই। এখনকার এরা কিশোর না, এরা "ডুড"।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২০

কোলড বলেছেন: That was then..this is now and what matters is now. If you walk with past stuck in your ass......u will die of hemorrhoid. Germany was rebuilt after WWII by ex nazi and that was alright.

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯

নেফার সেটি বলেছেন: গাধার মত কমেন্ট নাা করলে ভালো হয়।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাবরের কাহিনীটা পড়ে বুকের ছাতি ফুলে উঠলো। বিনম্র শ্রদ্ধা এই বীরের প্রতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.