![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......
অনেক দীর্ঘশ্বাস, অনেক অভুক্ত শিশুর কান্না, অসহায় মায়েদের নীরব চাহনি, একটু আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি, একটু পরে পরে লাশের খাতায় নতুন সংখ্যা এসবই ছিল শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর দৃশ্য।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে শরণার্থী শব্দটা অনেক ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। নিজেদের স্থায়ী আবাস ছেড়ে কত কষ্ট করেছে মানুষগুলো ভাবলেও এখন কান্না এসে যায়।
একটু খাবার, একটু আশ্রয়, একটু নিরাপত্তার জন্য মানুষগুলোকে ১৩০ মাইল কিংবা তার বেশিও হাটতে হয়েছে। কেউ পৌছাতে পেরেছিলো ক্যাম্পগুলোতে আবার কেউ পথিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিলো হানাদারদের থাবায়।
চুকনগরের ঘটনাটা তো এমনই ছিল। কত জায়গা থেকে লোক জড়ো হয়েছিলো ভারতে পাড়ি দেবে বলে। কিন্তু কয়েক ঘন্টায় পাকিস্তানিদের হিংস্রতায় কমে গিয়েছিলো শরণার্থীদের লাইনে মানুষের সংখ্যা।
৩০ই এপ্রিল,১৯৭১ অমৃতবাজার পত্রিকায় এরকমই একটা ঘটনার খবর প্রকাশ করা হয়।
শিরোনাম ছিলঃ "ভারত যাবার পথে ৯০০ শরণার্থী নিহত"
বাংলাদেশের ডোমার পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে মানুষগুলো পাড়ি দিয়েছিলো। প্রায় আটহাজার মানুষ। পথে বাধা পায় পাকিদের। ব্রাশ ফায়ার করে। ৯০০ মানুষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। যাওয়া হয় না নিরাপদ আশ্রয়ে!
কোথাও হয়তো নদী পাড়ি দিয়ে একটু যেতে পারলেই সীমান্ত। কিন্তু নৌকায় আর ওঠা হয় না। তার আগেই পাকিদের থাবার তলে পড়ে যেতে হতো।
সেসময়ের পত্রিকাগুলোর প্রতিবেদন, মানুষের সাক্ষাৎকার দেখলে বোঝা যায় কত অমানুষিক কষ্ট করতে হয়েছে শরণার্থীদের।
পথে পাড়ি দেওয়া এই মানুষগুলো পাকিদের সাথে ছাড়াও লড়াই করেছে প্রকৃতি ও রোগের সাথে। বর্ষা ছিল, ছিল কলেরা।
New York times এ প্রকাশিত Sydney Schanberg এর একটা প্রতিবেদন ৯ই জুন ১৯৭১ Palm beach Post পত্রিকায় পুনরায় প্রকাশ করা হয়। টাইমস ম্যাগাজিনে "The Bengali Refugees: A surfeit of woe" শিরোনামে ১৯শে জুন ১৯৭১ এ আরেকটা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। দুই জায়গাতেই কলেরার কথা বলা হয়। বলা হয় প্রথম ধাক্কাতেই কলেরার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ। মানুষগুলো হয়তো পাড়ি দিচ্ছে সীমান্তের ওপারে যাবে বলে কিন্তু পথের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েছে। হিন্দু হলে হয়তো মুখে একটু আগুন দিয়েছে। পুরো শবদাহ হয় নি। বাকিটা কুকুর শকুনের পেটে চলে গিয়েছে।
করিমপুর রিফিউজি ক্যাম্পে পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক ২৪ ঘন্টায় তিনশত'র মত লাশ দাফন করে যারা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, নদী পাড়ি দিয়ে, খালি পায়ে, বাচ্চা কাঁধে নিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়েছিলো লোকগুলো।
একবার সীমান্তের কাছে ৫০ জনের একটা শরণার্থী দল ছিল। ওরা খবর পায় পাকিস্তানিরা আসছে। তখন তারা পাট ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু এক মহিলার কাছে বাচ্চা ছিল। বাচ্চা কেঁদে উঠলে সবাই মারা পড়বে। মা সবাইকে বাঁচানোর জন্য সন্তানের মুখ চেপে ধরে। বাচ্চা মারা যায়।¹
Dr.Mathis Bromberger নামক একজন জার্মান ফিজিশিয়ান বর্ণনা করেন বর্ষার মধ্যে কিভাবে দিন কাটিয়েছে শরণার্থীরা। অনেক শরণার্থী শিবির ছিল নিচু এলাকায়। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যেত। মানুষগুলো সারারাত দাড়িয়ে থাকতো। পানির মধ্যে তো আর শুয়ে পড়া যায় না। সকালে দেখা যেত অনেকে নিউমনিয়া বাধিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তখন আবার ডাক্তারের অভাব।
আরেকজন ডাক্তার বলেছিলো, "লোকগুলো এখন আর কাঁদেও না!"¹
ক্যাম্পগুলোতে খাবার পানির অভাব ছিল। পানিশূন্যতায় ভুগেছে অনেকে।
শিশুদের কষ্ট ছিল বর্ণনাতীত। শিশুদের পাজরের সবকয়টা হাড় বাইরে থেকে গণনা করা যেত। খাদ্যের অভাব ছিল। ছিল না পর্যাপ্ত দুধ। অপুষ্টিতে কয়েক লক্ষ শিশু চলে গিয়েছিলো পরপারে। মৃত মায়ের স্তনে মুখ দিয়ে বাচ্চার দুধ পান করার চেষ্টার দৃশ্যটা ঠিক কতটা অমানবিক!
দি এইজ- এ Max Beattie এর একটা প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ১৯৭১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরে। এখান থেকে জানা যায় ৮.৯ মিলিয়ন শরণার্থীর মধ্যে ১.৫ মিলিয়নই শিশু। নিয়মিতই শিশু মারা যাচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে জানা নেই যুদ্ধ শেষ হতে হতে কতজন শিশু বেঁচে থাকবে।
মাদার তেরেসার সাক্ষাৎকার থেকেও শিশুদের অবস্থার কথা জানা যায়। ঠিক কতটা খাদ্যের অভাব হলে ছয়মাসের বাচ্চাকেও প্রোটিন বিস্কুট খাওয়ানো হয় ভাবতে পারেন?²
বাচ্চাগুলো জন্মগ্রহণও করেছে কত নির্মমভাবে। কেউ গাছতলায়, কেউ নদীর ধারে, কেউ নৌকায়, কেউ শরণার্থী শিবিরে।
কোন এক মা পাকিস্তানিদের তাড়া খেয়ে বৃষ্টির মধ্যে সন্তানকে কোলে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসেছে শিবিরে। কিন্তু এসে দেখে বাচ্চাটি মৃত। বাচ্চার কোন রোগ ছিল না, ছিল একটুখানি দুধের অভাব। বিপদের মধ্যে মায়েরও খেয়াল ছিল না বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা। এক মায়ের ছয় সন্তান ছিল। কিন্তু সে যখন ক্যাম্পে পৌছায় তখন তার কোলের সন্তান ছাড়া আর কেউ জীবিত ছিল না!²
সল্ট লেক শরণার্থী শিবিরের নার্স Miss Bridge Battey এর সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় ক্ষুধার জন্য কোন কোন বাবা-মা বাচ্চাদেরও পরিত্যাগ করে দিয়েছে। তিনি একটি বাচ্চাকে পেয়েছিলেন ড্রেনে পরে সেই বাচ্চাকে আরেক সন্তানহারা মা গ্রহণ করে।²
কি এক ভাগ্যের পরিহাস চলেছিলো মানুষগুলোর মধ্যে। কেউ খাদ্যের জন্য কাঁদছে, কেউ সন্তানের জন্য, কেউ স্বামীর জন্য, কেউ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে।
৩ইএপ্রিল ১৯৭১ এ যুগান্তর পত্রিকায় দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের "এখান থেকে এরা কোন ভবিষ্যতে পাড়ি দেবে?" শিরোনামে একটা প্র্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তার একটা অংশ নিচে দেওয়া হলোঃ
"আমরা সবে হাসনাবাদে নেমেছি, দেখি তীর থেকে বোঝা–মাথায় মানুষের সারি এগিয়ে আসছে। ওরা শুনেছে বারাসতে নাকি নতুন রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। সেখানে যাবে।
–হাঁটবে অতদূর?
–আর কী করা বাবু? নৌকোয় আর কদ্দিন কাটে? ছিলো সের পাঁচেক চাল। তাই এক বেলা করে খেয়ে পাঁচ সাত দিন চলছে। শুনছি ক্যাম্পে নাকি চাল–ডাল দিতে আছে।
–ঠিক জানো তো যে বারাসতে গেলে জায়গা পাবে?
–তা ঠিক জানি না। যাই, দেখি ঘুরে গদি না পাই তবে না খেয়েই মরবো। মরণ যদি কপালে থাকে এ পাড়েই মরবো।"
মরা কত সহজ ছিল মানুষগুলোর কাছে। যেখানে জীবনে আগামী দিনটা কেমন যাবে জানা ছিল না সেখানে বোধহয় মরাটা খুব শান্তির!
কত মানুষ খাবারের জন্য নিজেদের নৌকা, থালা-বাসন বেঁচে দিতো। যদি অন্তত কিছু টাকা পাওয়া যায়। খাবার তো কিনতে পারবে.....
মানুষগুলো শরণার্থী শিবিরে আসছিলো কষ্টের বোঝা বহন করে। ভয়ংকর সব ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছিলো একেকজন। কেউ হয়তো বন্দুকের নলের সামনে থেকে বেঁচে ফিরে এসেছে, কেউ ধর্ষণের শিকার হয়ে, কেউ শরীরে গুলি নিয়ে।
কত ধর্ষিতা ঘুমের মধ্যে পাগলের মত চিৎকার করে উঠতো। কেউ আবার সারাক্ষণ প্রলাপ বকতো। কত ধর্ষিতা মুক্তিযোদ্ধাদের দেকা পেয়ে বলতো আমাকে বুলেট দিয়ে শেষ করে দাও।
কোন ধর্ষিতা আবার গর্ভবতী হওয়ার কারণে সমাজে লজ্জার জন্য অবিবাহিত হওয়ার পরেও শরনার্থী শিবিরে গিয়ে মাথায় সিঁদুর দিয়ে থাকতো। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়েছিলো মানুষগুলো।
ভাল থাকার জায়গা ছিল না ক্যাম্পগুলোতে। গাদাগাদি করে থাকতে হতো সবাইকে। শরণার্থীদের একটা বড় সমস্যা ছিল এই আশ্রয়।
১৯৭১ সালের ২০শে মে The New York times-এ Homer A Jack এর একটা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। শিরোনাম ছিল "Death in Golden Bangla Desh"
সেখান থেকে এই লাইনটার উপর দৃষ্টি দিলেই বোঝা যায় কত অভাব ছিল একটু আশ্রয়ের...
" In Calcutta and especially at the border, one sees thousands of recent refugees- only one-quarter in camps."
ক্যাম্পগুলো শরণার্থীদের বাসস্থান তিন ধরনের ছিল।
১. ছোট কুটিরের ছাউনি
২. ছোট তাবু
৩. সিমেন্টের শীট বা ড্রেইনের পাপ
একসময় ভারতে তাবু তৈরির সরঞ্জামেরও ঘাটতি দেখা দেয়।³
শরণার্থীরা জানতো না তারা আবার কবে দেশে ফিরবে। ইয়াহিয়া খান এদিকে সবাইকে আবার ফিরে আসার আহ্বান জানায়। ১৯৭১ সালের ২০শে জুলাই The New York times এ "Pakistan will try leader soon" শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এখানে ইয়াহিয়া খানের বরাত দিয়ে শরনার্থীদের দেশে ফিরে আসার কথা বলা হয়।
কিন্তু আবার ২৭শে জুলাই The New York times-এ "Vs-India Relations: A new law" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যেখানে একটা ছবি ছাপা হয়। এবং তাতে দেখা যায় যে কয়েকজন বাঙালী পাকিস্তানি মেজরকে তাদের গ্রামে ফেরত যেতে দেওয়ার অনুমতি দিতে অনুরোধ করছে। কেউ আবার পায়েও ধরেছে। কারণ ইয়াহিয়া সবাইকে ফেরত আসতে বলেছে। কিন্তু তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবার ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১ এ The New York times এ ইয়াহিয়া খানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। সেখানে সে শরনার্থীদের না ফিরে আসার জন্য ভারতকে দায়ী করে। সে দোষ দেয় যে ভারতীয় সৈন্য আর তাদের হামলার কারণে শরণার্থীরা আসতে পারছে না।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে ইয়াহিয়া শরণার্থীদের নিয়েও খেলা করেছে। তার কথায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছে শরণার্থীরা।
শিবিরেও মৃত্যু, ফিরলেও মৃত্যু এমন একটা অবস্থা ছিল তাদের। শিবিরেও মৃত্যুটা ছিল একটা স্বাভাবিক বিষয়। প্রথম থেকেই শরণার্থী শিবিরে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিলো।
২২শে জুন,১৯৭১ এ ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজে James Foster এর একটা রিপোর্ট প্রকাশ হয়। রিপোর্টটির শিরোনামই ছিল "600,000 of 5 million Refugees Have died."
১৪ই সেপ্টেম্বর,১৯৭১-এ Max Beattie এর আরেকটা রিপোর্ট প্রকাশ হয়। যার হেডলাইন ছিল "Death reaps a Young hervest"
যেখানে মৃত্যুই শেষ কথা ছিল, যেখানে জুনেই পঞ্চাশ লাখ শরণার্থীর মধ্যে ছয় লাখ শেষ হয়ে যায় সেখানে ত্রিশ লাখের হিসাব খোজাটা বড় নিম্ন মানসিকতার পরিচয়।
এ অবস্থার মধ্যে শেষ পর্যন্ত এক কোটি শরনার্থীর মধ্যে যে আসলে কত মানুষ বেঁচেছিলো সেটা সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
১৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭১এ The New York Times এ "East Pakistan: In Brief" শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওখানেও শরনার্থীদের শেষ পর্যন্ত কতজন বেঁচে থাকবে সেটা নিয়ে আশংকা করা হয়।
"The number of refugees who fled to India has been estimated at 10 million and it is not known how many of these survive or how many will choose to return."
শরণার্থীদের ভারতগমন:
মে মাসে সবথেকে বেশি মানুষ শিবিরে গেছে।
The New York Times বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী শরণার্থীদের শিবিরে যাওয়ার সংখ্যাঃ
মে মাসের ১তারিখের মধ্যে ৬৫০০০।
জুনের ৩ তারিখে ৪.৮ মিলিয়ন
জুনের ১৫ তারিখে ৫.৮ মিলিয়ন
জুলাইয়ের শেষদিকে ৭ মিলিয়ন
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে ৮ মিলিয়ন
ডিসেম্বরে যুদ্ধ শেষ হতে হতে ১০ মিলিয়ন।
টাইমস ম্যাগাজিনেঃ
আগস্টের প্রথমেই ৭.৫ মিলিয়নের কথা বল হয়েছিলো।
অক্টোবরের শেষেরদিকে ৯ মিলিয়ন।
দি এইজ এ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ৮.৯ মিলিয়নের কথা বলা হয়েছিল।
ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজে জুনের শেষের দিকে ৫মিলিয়নের কথা বলা আছে।
“বাংলাদেশ ডকুমেন্টস”, বহির্বিশ্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভারত কর্তৃক প্রকাশিত, ১৯৭২
২৫শে মার্চ থেকে ১৫ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত³ শরণার্থীদের আগমনঃ
পশ্চিমবঙ্গঃ ৭৪,৯৩,৪৭৪ জন
ত্রিপুরাঃ১৪,১৬,৪৯১ জন
মেঘালয়ঃ ৬,৬৭,৯৮৬জন
আসামঃ৩,১২,৭১৩ জন
বিহারঃ৮,৬৪১ জন
মোটঃ৯৮,৯৯,৩০৫ জন
শরণার্থীদের জন্য সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক কিছু করেছিলো।
তার মধ্যে দুইটা আশ্চর্য ঘটনা হলোঃ
১৯৭১ সালের ৩ই ডিসেম্বর প্যারিসের অর্লি বিমানবন্দরে পাকিস্তানি বোয়িং ৭২০ বিমান জিম্মি করে "জ্যঁ ইউজিন পল ক্যুয়ে"। তার দাবি ছিল বাংলাদেশে ঔষধ পাঠানো। যদিও পরে তিনি ধরা পড়ে যান এবং পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।
২০ নভেম্বর ১৯৭১ সালে একটা গ্রুপ মেলবোর্ন থেকে ৪০০ মাইল ট্রেকিং করে। তারা অস্ট্রেলিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশকে সাহায্যের জন্য। ৭ই ডিসেম্বর তারা ট্রেকিং শেষ করে। যদিও সবাই শেষ পর্যন্ত যেতে পারে নি সাতজন ছাড়া। বেশিরভাগই অসুস্থ হয়ে যায়। এই গ্রুপটার নেতৃত্ব দেয় Dr. David Ellis
এভাবেই শত শত জানা অজানা গল্প মিলে তৈরি হয়েছিলো শরনার্থীদের জীবন। যেখানে মৃত্যু ছিল মুক্তি, বেঁচে থাকা ছিল মিরাকল।
তথ্যসূত্রঃ ¹[Pakistan: The Ravaging of Golden Bengal– Times Magazine]
² [How Pakistan Violated Human Rights In Bangladesh- Indian Councils of world affairs, New dilhi]
³ [শরণার্থী ও শরণার্থী শিবির সম্পর্কিত কিছু তথ্য,৫৫৯পৃষ্টা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধঃ দলিলপত্র অষ্টম খণ্ড]
কৃতজ্ঞতা:
১. Liberation of Bangladesh in Time Magazine
২. A story of anguish and action- UNHCR Report
৩. The New York Times Archive
8.বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি
৫.মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০
লেখোয়াড়. বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ লেখক।
পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
রাফা বলেছেন: লেখোয়াড় বলেছেন পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
দেখি মডারেটররা কি ঘুমিয়ে আছে নাকি।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
বিদ্যুৎ বলেছেন: একটু বড় লেখা দেখলে সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। আসলে সম্পাদক বা সম্পাদকমণ্ডলী আছেন কিনা এটাই তো নিশ্চিত না। অনেক সময় সারমর্ম হীন পরিচিত কিছু ব্লগের লেখা স্টিকি করা হয়। ভাল লেখার জন্য সময় লাগে কিন্তু এখানে অনেকটা এরকম যে লেখার মান যাই হোক প্রতিদিন বেশি বেশি লিখলে সংখ্যার বিচারে মঝে মাঝে স্টিকি করা হয়। মনে হয় বড় লেখা দেখে সম্পাদক ভয়ে আর পড়েননি।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
শায়মা বলেছেন: কি কষ্টকর!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭
নেফার সেটি বলেছেন: অনেক কষ্টের টুকরো টুকরো গল্প মিলেমিশে তৈরি হয়েছিলো শরণার্থীদের বিভীষিকাপূর্ণ জীবন।
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার জন্য অন্য কোন জাতিকে এত কস্ট, মৃত্যু ও ত্যাগের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
নেফার সেটি বলেছেন: অনেক দাম দিতে হয়েছে।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা পোস্ট।তথ্যে ভরপুর।ধন্যবাদ লেখকে,বুঝাই যাচ্ছে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে।সরাসরি প্রিয়তে।
সামুর মডারেটরদের কাছে আবেদন করছি,পোষ্টটা ইস্টিকি করা হোক।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
টোকাই রাজা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। স্টিকি করা হলে ভাল হত। প্রিয়তে নিলাম।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯
জনম দাসী বলেছেন: মানুষের রক্তের যে কোন দাম নাই তা তো রাফা সহ আমরা সবাই বুঝি, রাফাকে ধন্যবাদ জানাই , এই পোষ্টটি আমি আগেই পড়েছি কিন্তু স্টিকি না দেখায় অবাক বনে ছিলাম।
সামুকে সবিনয় বিনয় ভাবে আবেদন রেখে গেলাম পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাদের আবেদন রেখেছে সামু। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩
রাফা বলেছেন: লেখাটি শেয়ার করুন
১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: স্বাধীনতার জন্য অন্য কোন জাতিকে এত কস্ট, মৃত্যু ও ত্যাগের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি
"সামুকে সবিনয় ভাবে আবেদন রেখে গেলাম পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।"
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাদের আবেদন সামু কর্তৃপক্ষ রেখেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্বাধীনতার পথ যে কতটা বন্ধুর, কতটা কষ্টের, কতটা সমস্যা, কতটা রক্তের সেটা জানি আমরা...... বাংলার মানুষেরা......
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪
নেফার সেটি বলেছেন: আমরা জানি কিন্তু অনেকেই সেটা অনুভব করতে পারি না
১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
-দীপু বলেছেন: ওনাদের ত্যাগের ঋণ শোধ করার নয়
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩
নেফার সেটি বলেছেন: কখনো যে শোধ হবে না!
১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় পৃথিবীর বৃহত্তম সিমান্ত পাড়ি। নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট।
এ বিষয়টি নিয়ে একটি কবিতা/গান রচনা করেছিল এক মার্কিনি। গানটির নাম "যশোর রোড" পরে বাংলা করা হলে করুণ সুরে গানটি জনপ্রীয় হয়েছিল, খুবই শ্রুতিমধুর। গানটি আমার কাছে ছিল, খুজে দেখবো।
মডুদের চিনি, এইসব জিনিস স্টিকি করবে না, নিশ্চিতই।
এরা আইএস সমর্থিত পোষ্ট নির্বাচিত পাতায়, "চন্দ্রবিজয় মিথ্যা" এই বিষয়ে ছাগুদের রেডিও তেহরানের একটি কপিপেষ্ট ২ বার আলোচিত পাতায় স্থান দিয়েছিল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। কবিতাটি হলো "সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড'
১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লাইক ১২ , প্রিয়তে ৮ ।
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
রাফা বলেছেন: নেফার সেটি ,অনুগ্রহ করে আপনি পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিন।পাঠকের সাথে আপনার সংযোগের প্রয়োজন আছে।এটাই মনে হয় ব্লগের সাধারণ নিয়ম।অবান্তর মন্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন না থাকলেও কথা বলা যায়।
ধন্যবাদ।
১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা আপনাকে। শেষ পর্যন্ত আপনার নেওয়া উদ্যোগ আর আমাদের সবার সহযোগিতায় সম্পাদক/ অ্যাডমিন মহদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা গেছে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে। সবাই ভাল থাকবেন সব সময় শুভ কামনা রইল।
১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০
রাফা বলেছেন: হা হা হা..আপু না ভাইয়া।কেটে আবার লিখুন।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭
নেফার সেটি বলেছেন: দুঃখিত আমি খেয়াল করি নাই। রাফা নাম দেখেই ভেবেছি আপু। রাফা নামের একটা মেয়ে কাজিন আছে তাই
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি না থাকলে পোস্টের ভিউয়ারস হয়তো আজ ১০০ও হতো না। বড় পোস্ট দেখে ইগনোর করতো সবাই।
১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ঘটনাই আমার মা বাবার মুখে শুনেছি।
কি ভয়ংকর ছিল তখন। ভাবলেই কষ্ট লাগে। তখন আর এখন বলে কোন কথা কি আছে। যুদ্ধ মানেই তো এমন কষ্টকর অবস্থা। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্থান কোথাও কি কেউ ভাল আছে। আমরা তো তাও ৯ মাসে যুদ্ধ শেষ করে ফেলেছি, আর তাদের তো চলছেই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২
নেফার সেটি বলেছেন: আসলে যুদ্ধবিদ্ধস্ত কোন দেশের মানুষই ভাল থাকে না। কিন্তু আমাদের বিষয়টা ছিল হঠাৎ করে। যে জন্য কষ্টটা ছিল চরম। ভারতের অর্থনীতিও তখন তেমন ভালো ছিল না। তারপরে প্রায় ১০ মিলিয়ন শরণার্থীর হঠাৎ চাপ কোন দেশের পক্ষেই মোকাবেলা করা সম্ভব না। যেজন্য শরণার্থী শিবিরে আমাদের কয়েক লক্ষ শিশু মারা গিয়েছিলো।
২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
মশিকুর বলেছেন:
দুর্দান্ত পোস্ট! পোস্টটি স্টিকি করায় মডুদের ধন্যবাদ। তা না হলে এমন একটি পোস্ট আড়ালে থেকে যেত
এটাই ছিল আসল চিত্র। লেখা, লিংক আর রেফারেন্স সহ একটি দুর্দান্ত পোস্ট হয়েছে। প্রায় ১ কোটি শরণার্থী!!! চরম অত্যাচারী পাকি সরকার দ্বারা ৩০ লক্ষ শহীদ বেশি কিছু না। ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমেন্ট শেষ করছি
+
ধন্যবাদ
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
২১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: আসলে পৃথিবীতে যুদ্ধ কোন সমাধান নয় । যুদ্ধ হল ধ্বংস । যারা এই যুদ্ধ শুরু করে এত মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলছে তারা অনেকেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে । অর্থ্যাৎ জালেম-মজলুম উভয়ে গিয়েছে আসল বিচারালয়ে সকলের পাওনা সেখানে কড়ায়-গন্ডায় দিতে হবে । আমি এক পাকিস্থানিকে বলেছি তোরা এভাবে আমাদের দেশের নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছিস । সে বলে আমি তো এত কিছু জানিনা । আসলে পাকিস্থানের সাধারণ জনগন তেমন কিছুই জানতো না । পাকিস্থানের পেশাওয়ারের তৎকালীন প্রভাবশালী রাজনীতিবিধ মাওলানা ফজলুর রহমান ছিলেন এই যুদ্ধের তীব্র বিরোধি , শেখ মুজিবকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সব চেষ্টা করেছে তাকে ও পড়তে হয়েছে সেনাদের রোষানলে । এত কিছুর পরে আমরা পেয়েছি একটা স্বাধীন দেশ । তবে ক্ষমতাসীনদের দূর্নীতির কারণে সাধারণ জনগন স্বাধীনতার সুফল তেমন ভোগ করেনি । তবে একটা কথা আমরা পিন্ডি থেকে স্বাধীন হয়েছি যেন আবার দিল্লির গোলাম হয়ে না যাই ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৭
নেফার সেটি বলেছেন: আমি আপনাকে কিছু বলছি না। শুধু একটা বিষয় সবসময়ই হাস্যকর লাগে যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যখনই একটুখানি কিছু বলা হয় সেখানে ভারতকে কোন না কোনভাবে টেনে নিয়ে আসা হয় এবং ইঙ্গিতে বলা হয় দেশ যেন তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া না হয়।
এটা শরণার্থীদের নিয়ে একটা পোস্ট। যেখানে ভারত তাদের বাঁচাতে সাহায্য করেছিলো। সেখানে এধরণের কথা মানিয়ে ওঠে না।
আর চুয়াল্লিশ বছর ধরে শুনছি দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হলো বলে। কিন্তু এখনো তো হয় নি। এটা যে একধরণের ফালতু প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় সেটা তো বোঝা যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪০
আবু শাকিল বলেছেন: কতগুলা সক্রিয় শুয়োর -এখনো প্রশ্ন করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়েছিল কেন!
সেই সব আবাল দের ঘাড়টেনে আপনার পোষ্ট টি পড়ে যাবার অনুরোধ করছি।
অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।লেখকের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
পোষ্ট স্টিকি করায় মডুদের ধন্যবাদ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৫
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই পোষ্ট সেই দুপুরেই পড়ছিলাম। সার্ভার জটিলতায় তখন প্লাস-মন্তব্য=প্রিয়তে রাখা - কিছুই হয় নি। এখন ঢুকে স্টিকি পোষ্টে এইটা দেখে শান্তি পেলাম।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৫
নেফার সেটি বলেছেন:
২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
কলাবাগান১ বলেছেন: "আর চুয়াল্লিশ বছর ধরে শুনছি দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হলো বলে। কিন্তু এখনো তো হয় নি। এটা যে একধরণের ফালতু প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় সেটা তো বোঝা যায়।"
২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২২
তার আর পর নেই… বলেছেন: শরনার্থী শিবিরের টুকরো টুকরো অংশ পড়েছিলাম, কিন্তু এখানে বিস্তারিত পড়ে ভাল লাগলো।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
নেফার সেটি বলেছেন:
২৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, নদী পাড়ি দিয়ে, খালি পায়ে, বাচ্চা কাঁধে নিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়েছিলো লোকগুলো।
একবার সীমান্তের কাছে ৫০ জনের একটা শরণার্থী দল ছিল। ওরা খবর পায় পাকিস্তানিরা আসছে। তখন তারা পাট ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু এক মহিলার কাছে বাচ্চা ছিল। বাচ্চা কেঁদে উঠলে সবাই মারা পড়বে। মা সবাইকে বাঁচানোর জন্য সন্তানের মুখ চেপে ধরে। বাচ্চা মারা যায়।" "যুদ্ধ শিশু" নামে একটা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবিতে এই ঘটনাটা সম্ভবত দেখানো হয়েছে ।
কী অসহনীয় দুর্ভোগের ভেতর দিয়েই না যেতে হয়েছে অামাদের শরনার্থীদের! ভাবলে কষ্টে শিউরে উঠতে হয় । যাদের কারণে হঠাৎ চেপে বসা এই দুর্ভোগ, সেই জাতি (পাকিস্তানি) তাদের পাপের ফল ভোগ করছে, তারাও অাজ সুখে নেই ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের ভারতের দালাল বলা হতো । বলা হতো, পাকিস্তান ভাঙলে এদেশ ভারতের অংশ হয়ে যাবে, হয়নি । এখনো বলা হয় । একটা স্বাধীন দেশ কী করে অন্য দেশের অংশ হয়?
চমৎকার পোস্ট!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
২৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল এবং উপযুক্ত পোস্ট। এ সময়ের তরুন সমাজ একটা চিত্র আকে মনের মধ্যে আর তাই নিয়ে ঘুরপাক খায়। বাস্তব ভিন্ন। আমি হিন্দুদের দেশত্যাগ করতে দেখেছি , নৌকায় করে, বিশাল সব নৌকা। অনেকেই যাননি । পক্ষাঘাতগ্রস্থ মাকে ফেলে গেছেন । আমরা ক' কিশোর সেই মায়ের মৃতদেহ দাফন করেছি। ১৯৭১এর ২০ ডিসেম্বর ৬ জন স্কাউট মিলে শরণার্থী আগমনী পোস্ট স্থাপন করলাম রেডক্রসের নির্দেশে। শরণার্থীদের সবার শরীর চর্মরোগে আক্রান্ত। ভীষণ ব্যাস্ততার মধ্যে দুএক জনের কাছ থেকে শরণার্থী ক্যাম্পের বিবরন নিতাম কারন আমরা নিজেরাও ক্যাম্পের একটা সম্ভ্যাব্য চিত্র আকতাম মনে মনে। কি কষ্ট আর দুঃখে বৌদিদের মাথার সিদুর উড়ে সবুজ পতাকায় সূর্য হয়ে সেটে রইল । ৭১ এর বড় দুর্ভোগ হিন্দুদের পোহাতে হয়েছে ,এখনও হচ্ছে ভিন্ন রুপে। রিফিউজি ম্যানেজমেন্ট পরবর্তী জীবনে কাজে দিয়েছে। ছাতু খাবার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ শিক্ষক, কাদতে কাদতে , টাকা দিয়েও চাল পাওয়া যায়না। বাবুর্চিরা বিশাল ডেগে খিচুড়ি রেধে প্রতিদিন ১০০০০ হাজার ভারত ফেরত শরণার্থীকে খাওয়াচ্ছিল। একদিনের ট্রানজিট , পরদিন লঞ্চে করে গ্রামে এবং আরও ১০০০০ জনের আগমন। আই সি আর সি'র ব্যাবস্থাপনা কি নিখুত হতে পারে তা কদিন বাদে গ্রামে পুনর্বাসনে গিয়ে উপলব্ধি করলাম। আপনার লেখা পড়ে সেই কষ্ঠটা ফিরে এলো ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
নেফার সেটি বলেছেন: আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
২৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
রুবন্স বলেছেন: আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তবে সেই দিনগুলো কল্পনা করি, সেই আমরা নতুন প্রজন্ম অনেক ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে আপনাদের এতো সুন্দর লেখা পড়তে পড়তে। আরো জানতে চাই আর ধন্যবাদ জানাই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১
নেফার সেটি বলেছেন:
২৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
প্রকাশক পপি চৌধুরী বলেছেন: এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের সেই স্বাধীনতার মর্যাদা আমরা সত্যিকার অর্থ কতটুকু রাখতে পারছি!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৩০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্বাধীনতার যুদ্ধ এমন স্পর্শকাতর ব্যাপার সেখানে অনেকদিন ধরেই নির্দিষ্ট বিষয়ে আঙুল তোলা হতে হতে অনেক বিভক্তি চলে এসেছে। যুদ্ধটা তো ছিল সারাদেশের যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের আগমন বা হেল্পিং হ্যান্ড এসেছিল কিন্তু তার মানে তো এই না দেশ বিক্রি হয়ে গেছে। তবুও ঘুরে ফিরে যখন এই শহীদদের সংখ্যার হিসেবটাই বড় হয়ে ওঠে সেটা দুঃখজনক। ত্রিশ লাখ না হয়ে তিন লাখ হলে যুদ্ধের সময়কার বা তার পরবর্তী ইফেক্ট বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক থাকতো না?
পোস্টটির জন্য শুভকামনা।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
আলোরিকা বলেছেন: স্বাধীন দেশে বসে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ করে মাতম করা কত সহজ তাই না ?
কি ভয়ংকর , বিভৎস্য , দুঃসহ অভিজ্ঞতা !
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
নেফার সেটি বলেছেন: তারা কি পরিমাণ কষ্ট করেছে সেটা কি আর আমরা কল্পনা করে ফিল করতে পারবো? পারবো না।
৩২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
পিয়েটা বলেছেন: অ্যালেন গিনসবার্গের সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড শুনে প্রথমবার কেঁদেছিলাম খুব। আজকে আপনার লেখাটি পড়েও আবার মনে পড়লো.সময় নিয়ে গুছিয়ে চমৎকার একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আর সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
আহলান বলেছেন: চরম সত্য ইতিহাস .... !!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
নেফার সেটি বলেছেন: হ্যা
৩৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: নির্মম ইতিহাস খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন । আসলেই যেখানে জুন মাসে ৬ লাখ মারা যায় সেখানে ৩০ লক্ষের হিসেব খোঁজা বোকামি ।
অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ পোস্টটা স্টিকি করার জন্য| চাই যেন সারা মাস এটা স্টিকি থাকে|
কত দাম, কত ত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ের এই স্বাধীনতা| অথচ জারজেরা এই স্বাধীনতায়ও বিশ্বাসী না| তাদের জন্য থুথু
অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: কি এক ভাগ্যের পরিহাস চলেছিলো মানুষগুলোর মধ্যে। কেউ খাদ্যের জন্য কাঁদছে, কেউ সন্তানের জন্য, কেউ স্বামীর জন্য, কেউ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে।
অথচ কতো অবলিলায় আমরা সেই নির্মম বেদনাকে ভুলে গেছি, ভুলে গেছি সেদিনের ত্যাগের মহিমা। সামুকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটা স্টিকি করার জন্য। সে নির্মম ইতিহাসকে চমৎকারভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আর স্যালুট জানাই প্রিয় নেফার সেটি ...
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
নেফার সেটি বলেছেন:
৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যুগের নিষ্ঠুর কন্টক বেয়ে মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবনা। ভুলবনা ভুলবনা
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা!!!
....
মরা কত সহজ ছিল মানুষগুলোর কাছে। যেখানে জীবনে আগামী দিনটা কেমন যাবে জানা ছিল না সেখানে বোধহয় মরাটা খুব শান্তির!
একটা মাত্র বাক্যে কত কষ্টকর ছিল সে সময় তা অনুভব করলেও শিউরে উঠতে হয়।
তবে এই বিষয়ে আমাদের মুভি, মিডিয়া কাজ অনেক কম! যে পরিমানে হলে মানুষের হৃদয়ে না চাইলেও গেথে যেত- ততটুকু হয় নি। আশা করি নতুন নির্মাতারা এই বিষয়ে বেশী দৃষ্টি দেবেন।
দারুন শেকড় ধরে নাড়া দেয়া পোষ্টে অনেক ধন্যবাদ। ++++++++++++++++++++++++++++
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০১
নেফার সেটি বলেছেন: হ্যা, এসব বিষয় নিয়ে আমাদের মিডিয়ায় কাজ খুব কম। তবে নতুন নির্মাতা এসব বিষয় নিয়ে এখন ভাবে। হয়তো তারা কাজ করবে এগুলো নিয়ে একদিন। ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০
বিদেশ পাগলা বলেছেন: বিশাল তথ্যভান্ডার সম্বলিত সমৃদ্ধ পোস্ট । এখন এ পোস্টের মাধ্যমে আমরা যুদ্ধ কবলিত দেশ বিশেষ করে----- ফিলিস্থিন,আফগানিস্তান,ইরাক,লিবিয়া,মায়ানমার এবং সর্বশেষ সিরিয়ার ব্যাপার টা কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারছি । মুক্ত হউক বিশ্বের সব মজলুম স্বাধীনতা কামী জাতি কাশ্মির,চেচনিয়া,উইঘুর,মরো,সিংহলী,আলবেনীয়,এ্যাংগোলান,কঙ্গোন এবং
নাইজারের অধিবাসী । ধন্যবাদ লেখক কে ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৩৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০
মহা সমন্বয় বলেছেন: এভাবেই শত শত জানা অজানা গল্প মিলে তৈরি হয়েছিলো শরনার্থীদের জীবন। যেখানে মৃত্যু ছিল মুক্তি, বেঁচে থাকা ছিল মিরাকল।
অথচ কতো অবলিলায় আমরা সেই নির্মম বেদনাকে ভুলে গেছি, ভুলে গেছি সেদিনের ত্যাগের মহিমা।
অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম, এক কথায় অসাধারণ,অসাধারণ।
মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার, আমার শক্তি।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
নেফার সেটি বলেছেন:
৪০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
অগ্নি সারথি বলেছেন: তথ্যবহুল ইতিহাস বেশ নিপুনতার সাথে তুলে ধরেছেন। ভাললাগা।
৪১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: এমন অনেক ছোট ছোট গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মহাউপাখ্যান।
ধন্যবাদ লেখক।
নিরন্তর শুভ কামনা জানবেন।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
৪২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ এমন একটা পোষ্টের জন্য। আমার একটা পরিকল্পনা শেয়ার করি, যদি কেউ কিছু মনে না করেন। এই যেসব লোক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে হে হে হি হি করেন বা তুচ্ছ তাছছিল্ল করেন তাদের কে এক সাথে এক জায়গায় জড়ো করে ঠিক সেই সময়ের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। এর পর এদের বউ বাচ্চা মা আত্মীয় স্বজন সহকারে ঠিক সেই সময়কার মত আত্যাচার করতে হবে , দেখি ক্যামন লাগে। চারিদিকে আর্মি গুলি করতেছে, রাজাকার খুজে খুজে মানুষ মারতেছে দেখা যাক ভাইজানেরা করেন টা কি ? বড়ই ইচ্ছা যাগে দেখতে । ও হা কিছু পাকিস্থানি আইনা ওদের কিছু মা বোন দের ধর্ষণ করাইতে হবে, কিছু হে হে হি হি মার্কা লোক কে ধইরা মারতে হবে ঠিক ৭১ স্টাইলে। দেখি হে হে হি হি মার্কা লোক জন করেটা কি ।
৪৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
গ্রিন জোন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তা অস্বীকার করতে পারে একমাত্র তারাই, যারা এদেশকে স্বাধীন দেখতে চায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা বার বার পাকিস্তানিদের পক্ষে কথা বলতে চায়- তাদের মনের কোনে একটু হলেও দেশদ্রোহী মনোভাব রয়েছে। তাদের সঙ্গে জামায়াতের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে কোনো না কোনো ভাবেই। সুতরাং যারা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা বিতর্ক করে যাচ্ছে এরা- একজন নয়, একটা বড় চক্র। দুঃখজনকভাবে সত্য যে, এ চক্রের সঙ্গে এদেশের নতুন প্রজন্মের একটা বড় অংশ (শিবির) জড়িত। প্রচ্ছন্ন ভাবে এরা মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপারে জামায়াতের মতোই কথা বলে। অথচ নতুন প্রজন্মকে নিয়ে এরা স্বাধীনভাবে সংগঠন করতে পারতো। কিন্তু ১৯৭৭ সালে এ ছাত্র সংগঠনটি গঠিত হওয়ার পর থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। খোঁজখবরে জানতে পেরেছি- ১৯৮২ সালে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামায়াতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তখন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমদ আবদুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক (নামটা মনে নেই) ৭১ এর ভুমিকা নিয়ে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জামায়াত তাদেরকে আউট করে দিয়ে নিজেদের মন মতো করে কেন্দ্রীয় নেতা ঠিক করে দেয়। শিবির থেকে বেরিয়ে যারা জামায়াত না করে যুব শিবির গঠন করল তাদেরকে জামায়াত সারাদেশে মুরতাদ হিসেবে ঘোষণা করে দিল। তখন থেকেই নতুন প্রজন্ম আর জামায়াতের ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারল না। অথচ শিবিরের মধ্যে দেশপ্রেমিক প্রতিভাবান অনেক নেতৃত্ব ছিল এবং আছে।
৪৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: শুধু লেখা পড়ে এই কষ্ট অনুধাবন করা প্রায় অসম্ভব!
দূর্ভাগ্য, আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে আজও মূল্যায়ন করতে শিখিনি!!
৪৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ পোস্টটা স্টিকি করার জন্য| চাই যেন সারা মাস এটা স্টিকি থাকে|
মুক্তিযুদ্ধে পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে আমরা হম্ভীতম্ভী করি। কিন্তু এর পেছনের কষ্টগুলো আমাদের ছুঁয়ে যায় না।আমাদের সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের উপরর পাঠ্যবই থাকা উচিত।
৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
াহো বলেছেন: ধন্যবাদ
৪৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
কাবিল বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে
৪৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
তাল পাখা বলেছেন: খুবই বেদনার।
৫০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: চমৎকার, পরিশ্রমী এবং সুন্দর প্রতিবেদন। ধন্যবাদ। অনেক কিছুর ভিড়ে একাত্তরের শরণার্থীদের কষ্ট, মৃত্যু এবং দুঃখ গুলি হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার এ প্রতিবেদন পড়ার সময় আমার চোখের সামনে আবারও ভেসে উঠলো সে সব দিন গুলির ভয়ঙ্কর চিত্র। শুধু বাংলাদেশের শরণার্থীরা কষ্ট করেছেন তাই নয়। সে সময়ে ভারতের জনগণ সকল কষ্ট ভুলে যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাও মনে রাখার মত।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
নেফার সেটি বলেছেন: হ্যা, ভারতের অর্থনীতিও তখন তেমন ভালো ছিল না। আমাদের ১০ মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে তাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য যেটুকু করেছিলেন তার ঋণ শোধ হবার নয়।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দুঃস্বপ্নের সময়। বাঙালির ট্রয় ট্রাজিডি... কিন্তু আমরা বিজয় পেয়েছি সেটিই সান্ত্বনা।
শরণার্থী মা-শিশুর অমানুষিক যন্ত্রণার দিনগুলোকে বিভিন্ন লেখায়, ডকুমেন্টারিতে আলাদাভাবে দেখেছি।
এবার একসাথে পেলাম।
স্বাধীনতাকে যারা 'গণ্ডগোলের পরিণতি' মনে করে, তাদেরকে এই লেখা পড়তে দেওয়া উচিত।
যারা এখনও পরাজিত শকুনের ছায়াতলে থাকতে চায়, তাদের উচিত এই লেখায় একবার দৃষ্টি দেওয়া।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৫
নেফার সেটি বলেছেন: এ যে গণ্ডগোলের পরিণতি ছিল না। অত্যাচার, বৈষম্যের হাত থেকে একটা জাতির মুক্তির তীব্র ইচ্ছার পরণতি ছিল।
৫২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার । প্লাস হবে
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত বেদনা, এত ত্যাগ, এত মৃত্যু, কান্না, ঘাম, কষ্ট, অনাহার, নিরাশ্রয়তা, এসবব কি ভোলা সম্ভব? শ্রদ্ধা জানাই সেসব বিদেশীদের যারা আমাদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা লেখা থাকবে কারা শত্রু কারা মিত্র। আমরা কখনও ভুলবো না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০
নেফার সেটি বলেছেন: কখনোই ভুলবো না
৫৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা জানবেন।
শুভকামনা। অনিঃশেষ।
জয় আমাদের হবেই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
নেফার সেটি বলেছেন:
৫৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০১
ডি মুন বলেছেন:
এই পোস্ট পড়তে পড়তে মুখের মধ্যে থুতু জমে উঠেছে যুদ্ধবাজ পাকিস্তানি পিশাচদের জন্যে।
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৫
নেফার সেটি বলেছেন:
৫৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩
অগ্নিপাখি বলেছেন: "যেখানে মৃত্যুই শেষ কথা ছিল, যেখানে জুনেই পঞ্চাশ লাখ শরণার্থীর মধ্যে ছয় লাখ শেষ হয়ে যায় সেখানে ত্রিশ লাখের হিসাব খোজাটা বড় নিম্ন মানসিকতার পরিচয়।"/ সহমত আপনার সাথে। যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এক শ্রেণীর গোঁয়ার অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করছে সেই প্রেক্ষাপটে এই ধরনের পোস্ট খুবই দরকার ছিল। পোস্টে ভালো লাগা এবং প্রিয়তে। ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবেও ব্যাবহার করা যাবে পোস্টের তথ্যগুলো। পোস্টটি স্টিকি করবার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৬
নেফার সেটি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।
৫৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: দারুণ পোষ্ট!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এই পোষ্টের জন্য।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৫৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
তথ্য ভিত্তিক মুক্তি যুদ্ধের সময় শরানর্থীদের দুর্দশা নিয়ে অসাধারণ পোষ্ট। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে বলেই মনে করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২০
নেফার সেটি বলেছেন: হ্যা, পত্রিকার রিপোর্টগুলো থেকে রিফিউজিদের নিয়ে তিন চার লাইনের তথ্যগুলো খুঁজতে একটু কষ্ট হয়েছে
৫৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ত্যাগ আর কষ্টের বিনিময়ে হয়েছে এই বাংলাদেশ । পোস্টটি স্টিকি করায় আপানর লেখাটি পড়তে পারলাম , নাহলে হয়তো অনেক পোস্টের ভিড়ে আপনার এই মূল্যবান পোস্টটিও হারিয়ে যেত ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
নেফার সেটি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৬০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
সরদার হারুন বলেছেন: পুরানো কথা মনে করলে মনে বড় কষ্ট হয় ।
৬১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
আগুনে পাখি বলেছেন: যখন লেখাটা পড়ছিলাম, তখন আমার চোখের সামনে যেন পুরো ঘটনাটা ঘটে যাচ্ছে এমন মনে হচ্ছিল ........
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
নেফার সেটি বলেছেন:
৬২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯
গেদা (Geda) বলেছেন: বিশেষ করে শিশু ও মহিলারা যে যুদ্ধ কবলিত দেশে কতো নিদারুন ,অসহায় ও করুন অবস্থায় পড়ে তার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার লিখায় । তাই খুব বেশী অনুভব করছি যুদ্ধ কবলিত দেশ বিশেষ করে সিরিয়া ও ফিলিস্থিনী শিশু ও মা দের কথা মনে করে । আয়নাল তার একটি প্রতীক মাত্র ! খুবই কষ্ট লাগছে জানি না কেঁদে ফেলবো কিনা ? ধন্যবাদ
৬৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দিনে দিনে দেনা বাড়িয়াছে বহু!
শোধিতে হইবে ঋণ।
৬৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
প্রামানিক বলেছেন: দেশ স্বাধীনের পর দেশে যখন ভারত থেকে শরণার্থীরা বাংলাদেশে ফেরত আসে তাদের হাড্ডিসার চেহারা আর অসুখ বিসুখে কাহিল চেহারা আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি। কাজেই পোষ্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
৬৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩
পার্থ তালুকদার বলেছেন: বেদনার পোস্ট। শুধু মৃত মানুষের হিসাব-তথ্য।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
রাফা বলেছেন: আমাদের দেশের কিছু পশু মনোবৃত্তির লোক যখন বলে ভারতে গিয়েছিলো আনন্দ ফুর্তি করার জন্য তখন এদের সুস্থতা নিয়ে আমরা কেনো যে কোন প্রশ্ন করিনা সেটাতেই নিজে অবাক হই।
পাকিস্তানিদের মত আবার ৩০ লক্ষ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করি।হায়রে বাংলাদেশ হায়রে বাঙ্গালী।
অসাধারন ভাবে সাজানোর জন্য ধন্যবাদ।সংগ্রহে নিলাম।