নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো মানুষ। আর কি কোন পরিচয় থাকে নাকি?

নেফার সেটি

আকাশের অসীম প্রান্তরে তাকিয়ে থাকো। কখনো নিরাশ হয়ে যেও না। হয়তো একটা বাজপাখিও উড়ে আসতে পারে......

নেফার সেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তনুরা শেষ হয়ে যাচ্ছে, শেষ হতে থাকবে। অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় স্পীকার....

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৩



আপনি কি মানুষ? শিরদাঁড়া সোজা আছে কি?

ধর্ষণ, ইভটিজিং যেন সিডরের গতিতে আমাদের সমাজে আঘাত হানছে। তবুও না দেখার ভান করে আমরা এগিয়ে চলেছি। আশেপাশে যেন কিছুই হয় নি এমনি একটা ভাব আমাদের। এর ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা নিয়ে কি একবারো ভাবেন নি?

ক্যান্টনমেন্টের মত স্থানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো এবার। রাস্তার ওপর পড়ে আছে জুতা, ছেড়া চুল, একটু দূরে মোবাইল ফোন আর একটু দূরে গলা কাটা লাশ, কান থেকে তখনো রক্ত ঝরে পড়ছে, ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে তনুকে। জ্বি, দেশের সবথেকে নিরাপদ স্থান বলা হয় ক্যান্টনমেন্টগুলোকে তেমনই একটা ক্যান্টনমেন্টে ধর্ষণ করে হত্যা করা হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে। সেদিন কিন্তু আর বেশি দূরে নয় যখন আপনার বাসার মধ্যে ঢুকে আপনার বাসার কাউকে ধর্ষণ করে যাবে ধর্ষকের দল।

আমরা তো আবার ধর্ষণে ধর্ষিতার দোষও খুঁজে পাই। ধর্ষিতার পোশাক কেমন ছিল, সে পর্দা করতো কিনা, সে রাতে বাইরে বের হয় কেন, খাবার আলগা থাকলে মাছি বসবেই। হয়তো আমাদের মধ্যে মানুষরূপী কিছু শূকরশাবক এরমধ্যেই তনুরও দোষ খুঁজে পেয়েছে। সে মেয়ে হয়ে রাতে বাইরে কেন টিউশনি করতে যেত, হিজাব পরে কিন্তু বোরকা পরে নাই কেন, বেগানা মেয়েটা নাট্যকর্মী ছিল!!!

এমন দোষ দিয়ে আর কতদিন চলবেন? সবাইকে কি আপনার মত শূয়োরশাবক ভেবেছেন?
এদেশে গরু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গরুরও কি পর্দার দরকার ছিল?
গুগুলে সার্চ দিয়ে দেখেন মসজিদে আরবী পড়তে যাওয়া দশ বছর বয়সী ছাত্রী মসজিদের ইমামের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
দশবছর বয়সী ছাত্রীর কি এমন খারাপ পোশাক ছিল?
আমি যে কলেজিয়েট স্কুলে পড়তাম সেখানে দ্বিতীয় শ্রেনীর বাচ্চাদের জন্য নতুন করে ইংলিশ মিডিয়াম+হেফজখানা খোলা হয়েছিল। ঐ বাচ্চাদের স্কুলের আবাসিকে থাকতে হতো। ঐ বাচ্চাদের মধ্যে চারটা বাচ্চাকে হেফজখানার দায়িত্বে থাকা মাওলানা রাতে ধর্ষণ করে।
তো কি বলবেন? ছেলে বাচ্চাদেরও পোশাক খারাপ ছিল?
বাঙালি সেটেলারদের দ্বারা প্রতিনিয়ত পাহাড়ে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে সেটা নিশ্চয় জানেন। তাদের দোষটা কোথায় বলবেন কি? অবশ্য পাহাড়ি ধর্ষিত হলে আমাদের কি!!!


আর একটা কথা মেয়েরা না খাবার নয়। তারা মানুষ। তাদের সাথে খাবার তুলনা কোনদিকেই যায় না। নিজের মা অথবা বোনকে কোনদিন খাবার ভেবেছেন?

ধর্ষণকে জায়েজ করার জন্য পোশাকের দোহায় বহুৎ দিয়েছেন। দয়া করে আর দিয়ে নিজেকে পশুশাবক হিসেবে পরিচয় দিয়েন না।

আজ আমি আমার মায়ের সাথে রাস্তায় বের হলে মায়ের পিছন পিছন হাঁটতে হয় যদি কেউ পিছন থেকে হাত দেয়। আজ আমার মা বাসে উঠলে তার শরীর হাতানো হয়। আজ আমার বোনটা পড়তে যাওয়ার সময় গলিতে কুরুচিপূর্ণ কথা শোনে। রাতে আমার বোনটা বাসায় এসে কাঁদে। আজ আপনার মেয়েটা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না। আজ আমাদের বাড়ির মেয়েরা বাইরের কোন অনুষ্ঠানে যেতে ভয় পায় যদি ভিড়ের মধ্যে একলা পড়ে যায়! টিএসসির কথা নিশ্চয় ভুলে গেছেন?

এগুলো দেখে আমি কিন্তু কাঁদি। ভাবি আমার বোনটা কত অসহায়। রাস্তায় হাঁটতে হয় ওকে কতটা কষ্ট নিয়ে। ধর্ষণের কথা শুনলেই ভাবি এটা যদি ওর সাথে হয়!
আমার বোনটার কাছে আমি আজ বড় অসহায়। আমার মায়ের সামনে আমি আজ অসহায়। আপনার মেয়ের সামনে আপনি একজন কিছু না করতে পারার দোষে অপরাধী বাবা।

কোন মেয়ে কি পোশাক পরলো, রাতে টিউশনি করে নাকি জব করে, হিজাব পরে নাকি বোরকা পরে, কোন রাজনৈতিক দলের লোক ধর্ষণ করলো, মেয়েটা তো আমার কেউ না.... এগুলো ভেবে আর কতদিন চোখ বন্ধ করে ভিক্টিমের পাশ দিয়ে হেঁটে নরম বিছানায় ঘুমাবেন? বিবেকের উপরে কি এতই ময়লা পড়ে গেছে?

আপনাদের পায়ে পড়ছি দয়াকরে আশেপাশের মেয়েকেগুলো বোন অথবা নিজের মা ভাবুন। মেয়ে দেখলে স্লেজিং করার সময় নিজের বোনটার কথা শুধু একবার মাথায় আনুন। ধর্ষিতা বোনটার পাশে দাড়ান। গ্রাম্য সালিশে ধর্ষিতাকে যখন অপদস্থ করা হয় প্রতিবাদ করুন। এটা মাথার ঢুকিয়ে নিন যে আপনার ধর্মের কোথাও লেখা নেই যে পোশাক দেখে ধর্ষণ করা জায়েজ। তনু বোনটার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য নিজ জায়গা থেকে দাবি তুলুন। নিজের এলাকার ছেলেদের নিয়ে ছোট ছোট সংঘ গড়ে তুলুন বোনদের রক্ষায়। অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ুন।

আর্মি ইন্টেলিজেন্সগুলো বেশ চৌকস। চেষ্টা করলে তারা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে তনুকে ধর্ষণ করে হত্যাকারীদের ঠিক খুঁজে বের করতে পারবে। তবে এরজন্য চাই একটু জোরালো দাবি। একসাথে নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করা। আজ যদি তনুর জন্য দাবি না তোলেন একদিন হয়তো আপনার আদরের ছোটবোন অথবা বড় বোনটার লাশ নিয়ে একা একা কাঁদতে হবে। আপনার ভবিষ্যৎ কন্যা সন্তানের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে।
আর কয়টা তনুদের হারিয়ে যেতে দেবেন? বোনদের কষ্ট কবে বুঝতে শিখবেন? কবে সাহস করে রাস্তায় স্লেজিং করা শূয়োরগুলোকে ধরে চপেটাঘাত করবেন বোনের ভাই হয়ে? যে মায়েদের জন্য পৃথিবীর আলো দেখলেন তাদের বিষয়ে আপনি এতটা চুপ থাকবেন? শরীরে কিসের চামড়া?

প্রতিদিনের নিউজপেপারগুলো চোখে পড়ে? ধর্ষণ কিংবা ইভটিজিং এর খবরগুলো দেখেন? পাহাড়ি মেয়েদের দুর্ভোগের কথা শুনেছেন? রাস্তায় হাঁটার সময় চোখ খোলা থাকে? একটা মেয়েকে যখন রাস্তায় বাজে কথা বলা হয় তখন না শোনার ভান করে পাশ কাঁটিয়ে চলে যান? সুযোগ পেলে নিজেও মেয়েদের যৌন হয়রানি করেন? কিংবা ধর্ষণের ইচ্ছা জাগে?

বাড়িতে নিশ্চয় মা আছে? আদরের ছোট বোন আছে? কিংবা ভবিষ্যতে কোন কন্যা সন্তানের পিতা হবেন? তাদের কথা মাথায় আছে নাকি চোখ কান বন্ধ রেখে অপেক্ষা করছেন কবে আপনার বোন, মা অথবা আদরের লক্ষী মেয়েটার অবস্থা তনুর মত হবে? প্রতিবাদ করবেন কবে যেদিন নিজের বাসায় ধর্ষণ ঘটবে? প্রতিরোধের সময় আসে নি? মেয়েদের বোন ভেবে ঝাপিয়ে পড়ার সময় কি এসেছে?
.
শূণ্য থেকে এক আসে। তারপরে ২,৩,৪........ শুরু হয়। আপনি উঠে আসুন। প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, দিনের শেষে দেখবেন লাইনটা অনেক বড় হয়ে গেছে...... আসুন তনুদের পথ থেকে কাঁটাগুলো ফেলে দিয়ে তাদের পথের আলো হয়ে দাড়িয়ে যাই.... আমি কিন্তু আমার বোনের কথা মাথায় রেখে চলাচল করি।

লাইনটা কি বড় করবেন? প্রকৃত ভাই কিংবা সন্তান হয়ে উঠতে পারবেন? বিবেকের ময়লাটা এবার ঝেড়ে ফেলবেন না? নপুংসক হয়ে আর কতদিন? প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় স্পীকার......

মন্তব্য ২৬৫ টি রেটিং +৬৮/-০

মন্তব্য (২৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

নেফার সেটি বলেছেন: চাই না ধর্ষণ নিয়ে আর লিখতে। তবুও বারবার লিখতে হয়।
ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

সবুজ সংকেত বলেছেন: আজ থেকে 12 বা 15 বছর আগে এত ধর্ষণ কি হতো? আর হুজুরদের ধর্ষণের ফিরিস্তি তো ভালোই দিলেন ৷ স্কুল কলেজের এক একটা ছাত্র যে 10 মেয়ের সাথে ফিজিক্যালি রিলেশন করে সেগুলো কি? তাদের সমস্যা কোথায়? তারা তো শিক্ষিত? গত চার বছরে 67 হাজার নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে এর মধ্যে হুজুরদের দ্বারা নির্যাতিত কয়জনের খবর পত্রিকায় পেয়েছেন?
প্রেমের আড়ালে ভালোবাসার আবরণে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলিয়ার মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয় তা জানতাম ৷ কিন্তু সেটার হার যে এত পরিমাণে তা এবিসি রেডিওতে প্রচারিত 2 জন ছেলের জীবনের গল্প না শুনলে বুঝতে পারতাম না ৷ একজন 15 থেকে 20 জনকে ধর্ষণ করেছে, শুদ্ধভাবে বলতে গেলে ফিজিক্যালি রিলেশন বা শ্লীলতাহানি করেছে ৷ আরেকজন তো কত মেয়ের সাথে শুয়েছে নিজেই জানে না৷ এ রকম আরো হাজারো যুবক রয়েছে যাদের অপকর্মের ইতিহাস কখনো আলোর পথ দেখবে না ৷ না জানি সে সংখ্যা কত বেশি!!

সুতরাং বিভিন্ন কারণে যারা ঠিক করে রেখেছেন স্কুল কলেজের মেয়ে বিবাহ করবেন তাদেরকে আরেকটু ভাবতে হবে ৷
তবে সবাই যে এমন সেটা আমি বলছি না ৷

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

নেফার সেটি বলেছেন: সেই আবার এক প্যানপ্যানানি। ধর্ষক হুজুর না আমজনতা, স্কুলের ছাত্র না মাদ্রাসার ছাত্র! যে শাবকের কথা বললাম তার মধ্যে কি তাহলে পড়ে যাচ্ছেন আপনিও? হুজুরদের কথা এজন্য টেনেছি যে আপনার মত পাব্লিক যারা ধর্ষণের সাথে পোশাক টেনে আনে তাদের চোখে এদের ধর্ষণটাও নিশ্চয় চোখে পড়ে? যাক পোস্টেই একজনকে পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের বিবেক ঘুমিয়ে পড়েছে । এখন আর খারাপ কিছু আমাদের চোঁখে পড়ে না

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে সামনে অপেক্ষা করছে মহাবিপদ। দোষী ব্যাক্তিদেরকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

নেফার সেটি বলেছেন: ধর্ষকের টাকা অথবা রাজনৈতিক মামা-খালু থাকলেই যে বিচার মঙ্গল গ্রহে চলে যায়। আর ধর্ষকের প্রতি সমাজের পুরুষের একটা অংশের আছে নীরব সম্মতি

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ময়লা পড়া বিবেক!

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আসলেই এই সমাজ পঁচা-গলা, এই সমাজকে ভাঙতে হবে...

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

নেফার সেটি বলেছেন: সবাই একটু মাথা উঁচু করে দাড়ালে পঁচা-গলা সমাজ থেকেই সুগন্ধ বের হবে।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

কালনী নদী বলেছেন: আইন নিজের হাতে তুলে না নিলে একদির সবাইকে এর হিসেব দিতে হবে। আমরা প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে সবকটি পাপের সাথে জড়িত। আমাদের নীরবতাই তাদের শক্তি। সময় থাকতে সবা্ জেগে ওঠ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

নেফার সেটি বলেছেন: যেদিন নিজের ঘরে হামলা হবে সেদিন বিলাপ করতে করতে জেগে উঠবে :(

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: কাপড়! পৈশাচিক মন কি পর্দা মানে এরা থাকে সুযোগ সন্ধানে। কোনদিন শুনবেন আধার রাতে ৪০ উদ্ধ কোন মা বোরখা পড়েই ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

নেফার সেটি বলেছেন: কয়টা ধর্ষণের খবরই বা প্রকাশ পায়! হয়তো এরইমধ্যে এমন কেউ ধর্ষণের শিকার হয়ে গিয়েছেন।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: এই নিউজটা কোন প্রথম সারির সংবাদপত্র অথবা নিউজ চ্যানেলে আসছে না কেন? ফিল্টারের নির্দেশটা আসছে কোত্থেকে এবং কি লুকাতে?

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

নেফার সেটি বলেছেন: ক্যান্টনমেন্ট আর সেনাবাহিনী জড়িয়ে পড়েছে। তাদেরও তো ক্ষমতা কম না। হয়তো এখানেই কোন ফিল্টার আছে।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্টিকি করা হোক।

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন কিছু প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর করবে কে? আজ দেশের সর্বস্তরে পৈশাচিকতার রাজত্ব চলছে, এই রাজত্বের মধ্যে থেকে আপনার করা প্রশ্ন গুলোর উত্তর মেলা ভার। তাছাড়া যারা এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর করবে তারাই যদি সেই ঘৃণ্য নিকৃষ্ট কাজে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আমাদের দেশটা যে ধীরে ধীরে রসাতলে যাবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই!

বিশেষ করে ৯ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে যে কথাটা উল্লেখ করলেন সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের দেশের হলুদ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত খুঁজতে আর বাইরে যাওয়া লাগবে না। দেশের সরকার প্রধানও যদি কোন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রত্যেকটা সাংবাদিকের উচিত কোন ধরনের ছাড় না দিয়ে প্রকৃত সত্যটা সামনে তুলে ধরা। অথচ এই যদি হয় সংবাদ পত্র গুলোর অবস্থা তাহলে প্রত্যেকটা অপরাধই তো ধামা চাপা পড়ে থাকবে আজীবন কালের জন্য!

আফসোস আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করি যেখানে কোন মা জানে না তার কন্যা সুস্থ ভাবে ফিরে আসবে কি না। কোন ভাই জানে না, তার বোন বাইরে ভাল আছে কিনা...... :(

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

তার আর পর নেই… বলেছেন: বড় ভাল লিখেছেন। কতজনের কান পর্যন্ত পৌঁছাবে সেটাই কথা।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: গতরাতে এটি পড়েছিলাম কিন্তু কথা বলা হয়নি।
ভাল পোস্ট।

সামুকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য।

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

মুহিব মোরসালিন বলেছেন: তনুরা শেষ হতেই থাকবে; বিচার নয় চাই স্থায়ী সমাধান

১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

ইমরান হক সজীব বলেছেন: 'সবুজ সংকে' ফিরিস্তি না দিয়ে উপাই কি? এরাই তো সেই বিকারগ্রস্ত সম্প্রদাই যারা দোষ পোশাক আর নারীর চাল চলন কে দিয়ে থাকে, আর নারীকে জিভে পানি আসা লোভনীয় খদ্যের সাথে তুলনা করে ।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন । আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য সফল হোক । কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয় ঐ সকল কালপ্রিটদের মাথার একটা সুইচ বাটন বন্ধ আছে , যার ফলে কোন কানেকশনই সেখানে পৌঁছায় না । এই সব ঘটনায় আমরা কয়েকদিন দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষান্ত হয়ে পরি । প্রতিবারই আসল কালপ্রিট পালিয়ে যায় আর নতুন করে আবার অপরাধ করে , আমারও প্রশ্ন - কিছুই কি আমাদের করার নেই ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রতিবাদী পোস্টের জন্য ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

আহলান বলেছেন: ষ্টিকি হওয়ার মতো পোষ্ট নয়, তবু যেহেতু হয়েছে ...কিছু বলার নাই। ধর্ষণ নামক অপরাধ সারা পৃথিবীতে সব যুগে ঘটে আসছে। সেদিন খবরে দেখলাম আফ্রিকার কোন দেশে ধর্ষণই সৈনিকদের বেতন হিসাবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে! আহ ! কি সভ্যতা!! আমরা জয়া আহসানের অর্ধনগ্ন বুক দেখানোকে শক্তিশালী/সাহসী অভিনয় শিল্প বলবো, আবার রাস্তায় মা বোন লাঞ্ছিত হলে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ছ্যা ছ্যা বলে ঘৃণা ছড়াবো। আমরা পারিও বটে। কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন একজন পুরুষ ধর্ষকামী হয়ে ওঠে? মাত্র দুটি কারণ । এক হচ্ছে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না থাকা। দুই হচ্ছে আধুনিকতার নামে সমাজে বেলেল্লাপনার বিচরন। খ্যামটা ড্যান্স দেখাবে মুন্নি গং, আর সেই ড্যান্সের সাফারার হবেন আমাদের নিরীহ মা বোনেরা। আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলবে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ..... উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তিই হয়তো হবে না ............ ফলে এই দূর্ঘটনা সারা সব সময়ই হয়তো ঘটতে থাকবে .....

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

নেফার সেটি বলেছেন: সেই একই প্যানপ্যানানি। কথার মধ্যে কিন্তু তবে, যদি আছেই। মেয়েরা শরীর দেখিয়েছে, বেলাল্লাপনা করেছে, অশ্লীলতা করেছে ব্লা, ব্লা, ব্লা।
আচ্ছা ভাই অশ্লীলতা, শালীনতা, বেলাল্লাপনা এগুলো মাপার মাপকাঠি কোথায় পাওয়া যায়? এটা কি আপনার মানসিকতা কিংবা শুধুমাত্র আপনার ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত হবে? আপনার ধর্মের ঠিক কোথায় লেখা আছে যে, " হে পুরুষ, মেয়েরা বেলাল্লাপনা করলে তোমার দন্ড খাড়া করে ফেল।" আপনাকে কি "পোশাক দেখা" শাবকের কাতারে ফেললে দোষ হয়ে যাবে?

১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

হাসান নাঈম বলেছেন: একটা প্রবাদ আছে - কচু গাছ কাটতে কাটতে মানুষ ডাকাত হয়।
দেশে যদি আইনের শাষণ থাকত, ছোটবড় সকল অপরাধের যদি সঠিক ও দ্রুত বিচার হত তাহলে এই অবস্থা হত না।
যে সমাজে শত শত লোকের সামনে প্রকাশ্যে খুন করলেও বিচার হয় না সেখানে মানুষ ক্রমে ক্রমে অধ:পতিত হবেই।

এখনও সময় আছে রুখে দাড়াবার - না হলে এ'সমাজ আর বাসযোগ্য থাকবে না।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

নেফার সেটি বলেছেন: বড় খারাপ সময় আসবে এখনই রুখে না দাড়ালে। অনেক তো হয়েছে। আর কতদিন আমরা চোখ বন্ধ করে সহ্য করে যাবো....

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

নেক্সাস বলেছেন: আজ যদি তনুর জন্য দাবি না তোলেন একদিন হয়তো আপনার আদরের ছোটবোন অথবা বড় বোনটার লাশ নিয়ে একা একা কাঁদতে হবে। আপনার ভবিষ্যৎ কন্যা সন্তানের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে


একটিবার জেগে উঠ বাংলাদেশ। শুধু একটিবার।

২০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

সামিয়া বলেছেন: আহারে আহারে তনু!! আমরা মেয়েরা আর কতকাল এভাবে নির্যাতিত হব!

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

নেফার সেটি বলেছেন: যতদিন তার পিতারা, ভাইয়েরা, সন্তানেরা চুপ করে থাকবে ততদিন তনুরা শেষ হতে থাকবে।

২১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

জুন বলেছেন: দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক, মৃতুর পরও তনুরা বিচার পাক এটাই চাওয়া থাকলো আমাদের।

২২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

নেক্সাস বলেছেন: আমাদের দেশে একশ্রেনীর মানুষের ( মতান্তরে পড়ুন আবালের) দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েদের পর্দা না করাই ক্রমবর্ধমান ধর্ষনের মূল ও একামত্র কারণ। আমি নিজেই ব্যাক্তিগত ভাবে কারো পর্দা করার বিরোধী নই। কিন্তু পর্দা না করার জন্য যে ধর্ষন সেটা মানতে নারাজ। তনু নামের মেয়েটির যতগুলো ছবি দেখলাম, সবগুলো শালীন এবং হিজাব পরা। তাহলে তনু কে কেন ধর্ষন করে মেরে ফেলা হল? আসলে মূল সমস্য আমাদের মানসীকতায়। জাতি হিসেবে আমরা এক ভয়ঙ্কর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।আমাদের জাতীয় চরিত্র বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, আইনের শাষনের স্থলন, প্রসাশনিক জবাবদিহিতার অভাব,পারিবারিক শিক্ষার অভাব ,নিজেদের সংস্কৃতির উপর ভীনদেশী সংস্কৃতির প্রলেপ পুরো জাতিকে ক্যান্সারের মত কাবু করে ফেলছে। গোটা সমাজ আজ ভয়ংকর হলুদ ব্যাধিতে আক্রান্ত। এই ব্যাধি থেকে দেশ কে বাঁচাতে হলে গোটা সিষ্টেম কে বদলে ফেলতে হবে। এর জন্য একটা জাগরণ চাই, তারুন্যের নির্লিপ্ত জাগরণ, মধ্যবিত্তের ঘুম ভাংগানী জাগরণ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নেফার সেটি বলেছেন: এলাকায় এলাকায় তরুণরা এতো ক্লাব তৈরি করে, স্ট্যান্ট গ্রুপ করে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে। ইচ্ছা করলে তরুণদের নিয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ছোট ছোট দলও তৈরি করা যায়। শুধু আমাদের জেগে উঠতে হবে।

২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

রায়হান শিকদার সজীব বলেছেন: লেখকের লেখায় প্রতিবাদের ভাষা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন হয়েছে। সাথে একটু বলি লেখক পোশাকের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন অনেকাংশে। হ্যা প্রতিটা নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক খুব জরুরী এবং সর্বপ্রথম যে বিষয়টা জরুরি সেটা হলো মানুষিকতার পরিবর্তন। সমাজের প্রতিটা মানুষের পরিবারে প্রথম নৈতিক শিক্ষার চর্চা করতে হবে এবং রাষ্ট্রেকে অবশ্যই প্রতিটা বিচার খুব দ্রুত করতে হবে। আশা করি পরিবর্তন খুব দ্রুত হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

নেফার সেটি বলেছেন: মেইন ফোকাস কিন্তু শালীন পোশাক না। "বোরকা পরা মেয়ে কি ধর্ষণের শিকার হয় নি?" আর শালীন পোশাক ঠিক কোনটাকে বলে? কোন মেয়ে তো পোশাক ছাড়া ঘুরে বেড়ায় না। আমার মানসিকতা অনুযায়ী কি শালীন পোশাক নির্ধারিত হবে? মানসিকতা পরিবর্তন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে কিংবা ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি বিচার বা সরাসরি একশন। শালীনতার দোহায় দেওয়ার কথা তখন আর মনে থাকবে না।

২৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: বিচারহীনতার দেশে বিচার চাইবেন কার কাছে!!! কোন উকিলের অত টাইম নেই পাপবলিক ডিমান্ডে টেকা ছাড়া মামাওলা চালাবে, আর আদালতে মামলা পড়ে থাকবে কয়েক বছর, যখন বেচে উঠবে অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাবে সাক্ষী না পাওয়াতে।

আর সব অপরাধ যদি পুলিশ আদালত দিয়ে সমাধা হতো তবে তো কথাই ছিলো না, আসল কারন বিবেকবোধের অভাব, পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় সেটা পাওয়া যায়!!! পুরুষ যতভাবে শেখে মেয়েরা ভোগের বস্তু সে তুলনায় কোথায় শেখানো হয়, মেয়েরাও মানুষ? কুশিক্ষা আর বিচারহীনতা আমাদের তলানীতে নিয়ে যাবে।

২৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: যতদিন মানুষের বিবেেক জাগ্রত না হবে যাত দিন মানুষ প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলোকিত না হবে তত দিন এসব বর্বরোচিত কর্ম চলতেই থাকবে। যাবতীয় কূকর্ম থেকে মানুষকে দুরে রাখতে পারে কেবল প্রকৃত শিক্ষাই। অবশ্যই গন্ডিবদ্ধ শিক্ষা নয়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

নেফার সেটি বলেছেন: এক্ষেত্রে পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষাটা অনেক বড় বিষয়।

২৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: লাইনটা কি বড় করবেন? প্রকৃত ভাই কিংবা সন্তান হয়ে উঠতে পারবেন?বিবেকের ময়লাটা এবার ঝেড়ে ফেলবেন না? নপুংসক হয়ে আর কতদিন? প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় স্পীকার......

আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।এভাবে আর কত নীরব দর্শক হয়ে থাকা!আর কত সহ্য করব আমরা এমন বীভৎস কর্মকাণ্ড?

২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শিরদাড়া সোজা নেই... তা হলে তনুদের সংখ্যা এভাবে বেড়ে চলতো না।

ঘৃণা জানাবার ভাষা নেই আর!

২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

বলেছেন: স্পিকারের মায় ঘুমায়.....

২৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
এই মুহুর্তে আমরা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কে বা কারা এই বর্বর ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা কি বাহিনীর ভেতরের না বাইরে এটাও বুঝা যাচ্ছে না। তবে যেহেতু ঘটনাটি সেনানিবাসের মত একটি নিরাপত্তাপূর্ন স্থানে ঘটেছে, সেহেতু এই ব্যাপারে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের একটি বক্তব্য আমরা সবাই আশা করেছিলাম।


মেইন স্ট্রীম মিডিয়াগুলোতে এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যাচ্ছে না, হতে পারে বাহিনীর ইমেইজের কথা বিবেচনা করে এই ধরনের সেন্সর করা হচ্ছে। কিন্তু এতে কি আসলেই ইমেজ রক্ষা পাচ্ছে? অহেতুক গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে। এমনকি দুর্ভাগা এক মৃত ভারতীয় তরুণীর রক্তাক্ত ছবিকে তনুর নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। যারা সুযোগ সন্ধানী আছেন, তারা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এই অবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি কোন প্রকাশ্য বক্তব্য না দেন, তাহলে বিভ্রান্তি ছড়াবে, ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই দেশের মানুষ সেনাবাহিনীকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। ফলে তাদের কথায় মানুষ আস্থা খুঁজে পাবে। এটাই সেনাবাহিনীর শক্তির মুল জায়গা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তাছাড়া এই মেয়েটা বেসামরিক। ফলে একটি বক্তব্য আমরা আশা করি।

আমাদের আর্মি ইন্টিলিজেন্স অনেক শক্তিশালী। তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগালে অবশ্যই অপরাধী ধরা পড়বে। অপরাধী যদি বাহিনীর কেউ হয়, তাহলে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বাহিনী তার ইমেইজ রক্ষা করতে পারে আর বেসামরিক কেউ হলে তাকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে পারে।

তাই এই অযাচিত লুকালুকি খেলা বন্ধ হোক। সত্য প্রকাশিত হোক। আমরা দ্রুত বিচার চাই।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

নেফার সেটি বলেছেন: ক্যান্টনমেন্টের নীরবতা বিষয়টাকে সিভিল আর আর্মিকে মুখোমুখি করে দিচ্ছে। আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি আর্মি ইন্টেলিজেন্স যদি চায় খুব দ্রুতই অপরাধীকে বের করতে পারবে। তাদের উচিত রাখঢাক না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সবকিছু প্রকাশ করা।

আমি আমার বোন তনু হত্যার বিচার চাই.....

৩০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

নাভিলা বলেছেন: ধর্ষনের অনেক গুলো কারনের মধ্যে পোশাকের বিষয়টি কোথা থেকে এসেছে?
টিএসটি বা অন্যান্য স্থানে ঘটা কিছু ঘটনা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়।
তবে পোষাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষনকে বৈধ করার কোন বিধান আমার জানা নেই।
অপরাধ অপরাধই, আপরাধী অপরাধীই।
হোক সে হুজুর কিংবা দিন মজুর। কিন্তু আপনি শুরুতেই হুজুরদেরকে টানলেন কেন?
গতমাসে সারাদেশে যতগুলো খুন/ধর্ষনের ঘনটা ঘটেছে সেখানে কত পার্সেন্ট হুজুর নামদারী লোকে করেছে?
এক পার্সেন্ট হবে কিনা সন্দেহ!! মাইনরিটি এক্সামপল হিসেবে নেওয়া যায়না।
অনেক ধন্যবাদ, আমার লেখাটাও পড়বেন আশা করি।
http://www.somewhereinblog.net/blog/navila/30119758

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

নেফার সেটি বলেছেন: পোস্টটি কি ঠিকভাবে পড়েছেন? :)

পোশাকের দোষ টিএসসির ঘটনার আগে থেকেই দেওয়া হয়। আপনি খুব সম্ভব তখন জেগে জেগে ঘুমাতেন।

হুজুরদের কথা কেন এনেছি সেটা পোস্ট পড়ে বোঝেন নি?
যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে পোশাক দেখিয়ে ধর্ষিতাকে দোষ দেয় তাদেরকে উদাহরণ দেখানোর জন্য যে দেখো শালীন পোশাকে মসজিদের ইমামের কাছেও ধর্ষণের শিকার হয়। শিশু এমনকি ছেলে হলেও রক্ষা নাই। তাহলে এখানে পোশাক কাজে আসলো না কেন!
আর আপনার চোখে শুধু হুজুরদের কথাটুকুই পড়লো! গরু ধর্ষণ, পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষণের কথাটুকু চোখে পড়লো না? যার যেখানে জ্বলুনি তার চোখ সেখানেই পড়ে।

৩১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) বলেছেন: আগে আচরণ ভালো করুন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

নেফার সেটি বলেছেন: পশু মনোবৃত্তি বাদ দিয়ে আগে মানুষ হন। মা বোনকে খাবার না মানুষ হিসেবে দেখা শিখেন।

৩২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: হে আমার জন্মভূমি মা আজ আমি কাদতে আসিনি,
এসেছি আমার বোন হত্যার বিচার নিয়ে।

৩৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আমার বোন হত্যার বিচার চাই...

৩৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

আরব বেদুঈন বলেছেন: এই ধরণের উম্মাদ শ্রেণির মানুষ গুলোর প্রধান সমস্যা হুজুর মওলানা। বেছে বেছে হুজুরের উদাহরণ গুলো বেশ ভাল ভাবেই দিয়েছে কিন্তু পোশাকের দোশ কি শুধু হুজুর দেই আর কেউ দেই না? পোশাকে সাথে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিরও সমস্যা আছে কিন্তু আপনারদের মত উম্মাদ কে বোঝাবে কে? কিছু হুজুরেরে সমস্যা অবশ্যই আছে তাই বলে সেই একই দড়িতে সাবাই কে বাধবেন এই কোন ধরনের ভদ্রতা?
আর ব্যাপারটা এমন ভাবে বলেছেন আপনি যে হুজুররা শুধু মাত্র পোশাকের দোষ দিয়েই আসামি কে মাফ করে দেয়? তারাও চাই এই অন্যায়ের বিচার হোক কিন্তু পোশাকে দোষ থাকলে সেটা কি বলবে না?আর সবচেয়ে বড় কথা বিচার কি এখন হুজুরা করে না আপনাদের কামাল আতাতুর্ক প্রবর্তিত মন্ত্রী মিনিস্টার করে? গ্রাম্য শালিসে সাধারণত মোড়াল হুজুরা বিচার করে কিন্ত আর যাই হোক পোশাকের দোষ দিক আর না দিক বিচার কিন্তু হই। আপনাদের আধুনা আদালতে স্বাধিনতার পর থেকে কইটা ধর্ষনের বিচার হইছে এত তো গলা ফাড়ছেন।যদি লিখিতেই হয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে লিখুন কারণ ধর্ষনের বিচার প্রশাসন করে হুজুর না।
যাই হোক উনি হুজুরের কথা বলবেনই সে যেভাবেই হোক।বলা হয়েছে গরুর রচনা লিখ উনি গরু দিয়ে তালগাছের রচনা শুরু করেছেন।আর ব্লগে এইটাকেই হাইলাইট করা হয়েছে।হুজুর বিরোধী পোস্ট বলে কথা!

৩৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

আরব বেদুঈন বলেছেন: এতই যখন মানবতাবাদী হয়েছেন প্রশ্ন আমার একটায় আজ আপনি কইটা গলি তে গিয়ে মানুষ কে সচেতন করেছেন?খবদার কমেন্ট ডিলিট করবেন না!হুজুর কে নিয়ে সমস্যা না এই হুজুরের মাধ্যমেই আল্লাহ ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যু দন্ড দিয়েছিল মনে আছে তো?
আপনাদের মত সেন্টিমেন্টাল উম্মাদ কে আমার খুব ভাল ভাবেই চেনা আছে এখন তনু তনু করে চিতকার করছেন কইদিন পর এমন ভাবে ঝিম মেরে যাবেন যেন তনু নামের কাউকে আপনি চেনেন না!ধর্ষন এটাই প্রথম না কইটা পোস্ট দিয়েছেন ধর্ষণ নিয়ে?খুব তো বলছেন মানুষ কে সচেতন কর ওলি তে গলিতে ছড়িয়ে যাও ধর্ষণ এটাই প্রথম না আপনি কি করেছেন কইবার ওলিতে গলিতে ছড়িয়েছেন এর প্রতিবাদে? বসে বসে ব্লগের পাতা গরম করতে আমিও পারি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

নেফার সেটি বলেছেন: আপনার মন্তব্য ডিলিট করতেছি না।
আরব বেদুইন ভাই এবার বলুন তো পোস্টের ঠিক কোনখানে হুজুরদের দোষ দেওয়া হয়েছে? শুধু ধর্ম এনে পোশাক দিয়ে ধর্ষণকে জাস্টিফাই করার যে নিয়ম চলে আসছে তার জন্য দুইটা উদাহরণ দিয়েছে। আপনার চোখে নিশ্চয় গরু আর পাহাড়ী মেয়ে ধর্ষণের কথা পড়ে নি? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে সত্যি উদাহরণটা দিয়ে আমি পাপ করে ফেলেছি।

আর হুজুরদের দোষ দেওয়ার যদি সত্যিই ইচ্ছা থাকতো তবে আমাদের দেশের শফি হুজুরের মেয়েদের তেতুল সম্বোধন করার কথাটা নিশ্চয় বলতাম।

আর আমি ব্লগের পাতা গরম করি না। আমি একবারো বলিনি মানুষকে গিয়ে গিয়ে সচেতন করো। শুধু বলেছি আপনি উঠে আসুন, মানসিকতা পরিবর্তন করুন। দিনশেষে লাইনটা বড় হয়ে যাবে।

আমি মেয়েদের সম্পর্কে কি করি সেটা জানতে তো আপনাকে আমার সাথে মিশতে হবে। আজ পর্যন্ত কোনদিন কখনো কোন মেয়েকে দেখে বাজে সাউন্ড করি নি। কখনো ভিড়ের মধ্যে কোন মেয়ের শরীর হাতানোর সুযোগ নেই নি। আমার সাথের কোন ফ্রেন্ড যদি স্লেজিং করে সাথে সাথে তাকে গালাগালি শুরু করে দিই, চড় মারি। আসার সময় তাকে বলে আসি "তোর বোনটাও কিন্তু প্রতিদিন রাস্তায় বের হয়।"

৩৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমাদের সরকার এবং বিচারিক ব্যবস্থার চেয়ে বেশি শক্তিশালী একজন ধর্ষকের।
তাই তনু হত্যার বিচার হবে না।যেমন হয়নি টিএসসি তে ঘটে যাওয়া শ্লীলতাহানী এবং এই মুহুর্তে মনে না পড়া অনেক ধর্ষনের।
আমাদের দেশের সররকার প্রধান এবং আইন ররক্ষাকারী বাহিনী প্রধান
আপনারা একজন একজন করে আসুন-
আমার বোনটি অনেক ছোট!!

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

নেফার সেটি বলেছেন: আমার বোনটিও ছোট। কেবল মাধ্যমিকে পড়ে

৩৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

নতুন বলেছেন: ধষ`নের সাজা নিস্চিত করতে পারলে সমাজে এটা বন্ধহবেনা।

বাইরের দেশে গিয়ে বাংলাদেশীরা কোন ধষ`ন কম করে?? ঐখানেতো অনেক বেশি অস্বালীন পোষাকে নারী দেখে

কারন ঐখানে সে আইনে হাতে রক্ষা পাবেনা সেটা সে জানে। ঐখানে মামা চাচা নেই। ঐখানে তার চেতনা খাড়া হইলেও হাত বাড়ানোর সাহস পায় না।

আমাদের দেশেও ধষ`ক গ্রেরেপ্তার হবার পরে গোটা ২০-৩০টা কে ক্রসফায়ারে দেওয়া হউক...

৯০% ধষ`ন কমে আসবে.... কারন চেতনা খাড়া হইলে দুইবার ভাববে....

আমাদের সমাজেই ধষ`কদের স্হান করে দিচ্ছে.... ছেলে ধষ`ন করলে তার জন্য বাবা, চাচা, মামা সবাই মিলে তাকে রক্ষার জন্য সবোচ্চ চেস্টা করে যাচ্ছে....পুলিশ/ উকিল/গ্রামের মাতু্ব্বর বসে থাকে এমন কেস কখন আসবে... ভাল ধান্দা হবে সেই ভেবে। :(

সমাজ নস্ট হয়ে যাচ্ছে.. মানবিকতা শেখানো শুরু করা দরকার প্রাইমারি স্কুল থেকে নতুবা নতুন প্রযন্ম যখন আসবে তখন আরো খারাপ অবস্থা হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নেফার সেটি বলেছেন: এক্ষেত্রে পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষাটা বড় ভূমিকা পালন করবে।

৩৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: এই ব্লগের মন্তব্য পড়ে যেটা বুঝলাম তা হল " মূল বিষয়বস্তুতে কথা বলা বাদ দিয়ে অযথা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলে ব্লগের পরিবেশটা নষ্ট করা "....! এখানে তনু হত্যার বিচারের ব্যাপারে কথা হচ্ছে....ব্যক্তিগত আক্রমণাত্নক কথাবার্তা বলার জন্য নয় ! @লেখককে ধন্যবাদ প্রতিবাদের সুর তোলার জন্য !

৩৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
যে কোন ব্লগ পোস্টে সহ ব্লগারদের মন্তব্যের জবাব দেয়া একটি সাধারন ব্লগীয় রীতি। যেহেতু ব্লগ একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার স্থান এবং এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই ব্লগিং এর প্রাণ সেহেতু সকল মন্তব্যের জবাব দেয়া খুব প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার। তাছাড়া এই পোস্টটি স্টিকি করা হয়েছে। সেহেতু, এই পোস্টে সুষ্ঠ আলোচনাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এই বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

পাশাপাশি, এই পোস্টে আমরা সুষ্ঠ আলোচনা চাই, বিভিন্ন অযাচিত, ভিন্ন মত কিংবা নেতিবাচক মন্তব্যের জবাবের ক্ষেত্রে পোস্টদাতার সহনশীলতা বিশেষ ভাবে কাম্য।

বিশেষ করে যারা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন, আমরা তাদের কাছ থেকে গঠনমুলক মন্তব্য আশা করছি। যেকোন ধরণের মন্তব্য, যার মর্মার্থ আমাদের কাছে গঠনমূলক না হয়ে সংঘাতপ্রয়াসী / উস্কানীমূলক অথবা সমালোচনামূলক না হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হলে তা নীতিমালা অনুযায়ী সরিয়ে দেয়া হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

নেফার সেটি বলেছেন: আচ্ছা সহনশীল থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

মোফিয বলেছেন: এই খোচা আমাদের মত গন্ডারের চামড়া ভেদ করতে করতে আরো অনেক ঘটনা ঘটে যাবে ............

আমরা অতিশয় আত্মকেদ্রিক হয়ে গেছি, সবাই মিলে আমরা হই ভুলে গেছি .....

দেশে ১০ মাত্রার ভুমিকম্প ২ মিনিট হতে হবে ......

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

নেফার সেটি বলেছেন: গণ্ডারের চামড়াটা আবার যেদিন মানুষের চামড়াতে পরিণত হবে সেদিন তনুরা পথে আলো ফিরে পাবে।

৪১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

এখনো যদি ঘুমিয়ে থাকি তবে যেদিন ঘুম ভাঙবে চারিদিকে শুধু লাশ পড়ে থাকবে।
সার্বিক প্রতিবাদ প্রয়োজন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নেফার সেটি বলেছেন: আপনি নিজে উঠে আসুন। দিনশেষে অনেকগুলো হাত পেয়ে যাবেন, বিশ্বাস করুন।

৪২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অামরা একটি অসভ্য সমাজে বসবাস করি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

নেফার সেটি বলেছেন: সভ্য হতে আর কত দেরি?

৪৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

আহমদ মেহেদী বলেছেন: ধীরে ধীরে আমরা আবারও জাহেলিয়াত-যুগে প্রবেশ করছি ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নেফার সেটি বলেছেন: বরং সেটাই ভালো হবে। আমার বোনেরা আর ধর্ষণের শিকার হবে না। জন্মের সাথে সাথে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবো। আফসোস.....

৪৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

গ্রিন জোন বলেছেন: একটা মেয়ে হিজাব পরতো, কষ্ট করে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করত। প্রাইভেট পড়িয়ে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করার পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। লাশ পাওয়া গেছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। বিষয়টা নিয়ে নারীবাদীরা চুপ, প্রধান মিডিয়াগুলো চুপ, মানবাধিকার সংস্থ্যাগুলো চুপ, বিদেশি মিডিয়া নিশ্চুপ। আহারে! মেয়েটা কেন এথেইস্ট ব্লগার বা সংখ্যালঘু হইলো না? তাইলেই তো আর কেউ চুপ থাকত না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নেফার সেটি বলেছেন: সে হিজাব পরতো এটা তার পরিচয় না। তার পরিচয় সে একজন নারী, একজন মানুষ। সে আমার বোন। কে চাইলো সে হিসাব না করে আসুন নিজে বিচার চাই। আপনি উঠলে আপনাকে দেখে আরেকজন উঠে আসবে।

৪৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ৈতয়ব খান বলেছেন: বিবেক যেখানে মরে যায়-
কবি হয়ে সেখানে বলো আর কি করা যায়!
বড়ো বড়ো কথা বলা বড়ো বেশি সোজা
ভেতর খোঁজে না কেউ; দেহে কালো মোজা।
কালোরাই রং মেখে হচ্ছে সাদা
সাদা যারা বাকি ছিলো তারা আজ গাধা।

৪৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাশেদ রাহাত বলেছেন: একটা বিষয় মাথায় ফিট করতে পারছি না। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীনদের বেশ কয়েকজন নারী। বিরোধী দলেন বা নিজ দলীয় ইসুতে উনারা পড়নের কাপড়ে গোটলা বাইন্দা ক্যামেরার সামনে জড় সৃষ্টি করেন। কিন্তু যখন দেশে এই জগন্য কর্ম সংগঠিত হচ্ছে। তখন উনারা চুপ থাকেন কেমনে...?

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২

নেফার সেটি বলেছেন: তনুদের দিকে তাদের নজর নেই।

৪৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ching বলেছেন: চিৎকার করে বলি ধর্ষকের বিচার চাই, কিন্তু আমাদের সে বলা কথা শোনার কেউ নেই, চিৎকারের আওয়াজ সীমাবদ্ধ থেকে যায় ঐ পাহাড়ের গণ্ডিতেই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

নেফার সেটি বলেছেন: গলা না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চিৎকার করুন। একসময় আওয়াজ জায়গামত ঠিক পৌছে যাবে। ক্লান্ত হয়ে গেলে চলবে না।

৪৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: শিরদাড়া সোজা হলে এভাবে তনুদের মরতে হতো না। এরকম প্রত্যেকটা মৃত্যুর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

৪৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী 'অন্ধ হলেই তো আর প‌্রলয় বন্ধ হয়না'।

সেনা গোয়েন্দা প্রলয় ডিজিএফআই দিয়ে আবারও বিজ্ঞাপন বন্ধে হুমকি দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার খবরটা লুকাতে পারবেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। তবে বাজারে প্রচলিত গল্প "সেনাবাহিনীর লোকদের ঘিলু মাথায় না হাঁটুতে থাকে" সেই কথাটাই বিশ্বাস করতে হবে জনগণকে।

এখন ২০১৬ সাল চলছে, সম্রাট আকবরের ১৬২০ সাল না যে এক স্থান থেকে তথ্য অন্য স্থানে পাঠানো হয় কবুতরের মাধ্যমে। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু কে কত নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর কল্যাণে পৃথিবীর সকল প্রান্তে অবস্থান করা বাংলাদেশি মানুষরা জানতে পেরেছে, নির্যাতনের বিভৎস ছবিও দেখেছে।

আপনাদের জন্য বিশ্বের পরাক্রমশালী আমেরিকান সেনাবাহিনীর একটা উদাহরণ দেই। মাত্র ২ সপ্তাহ পূর্বে আমেরিকার সেনাবাহিনীর একজন চার তরকা জেনারেলকে চাকুরিচুত্য হতে হয়েছে। কারণটা হলো নিজের অফিসে বসে সেই কর্মকর্তা পর্ণ ছবি দেখেছেন। ঐ কর্মকর্তার বিচার করে চাকুরিচুত্য করায় আমেরিকান সেনাবাহিনীর সম্মানহানী হয় নাই বরং এই ম্যাসেজ জনগনের কাছে গিয়েছে যে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে না।

গ্রাম বাংলায় একটা প্রচলিত চর্চা হলও "ভাসুরের নাম মুখে আনতে নেই!"। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু হত্যার সুস্থ বিচার হবে কি না সেটা বোধকরি ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন প্রায় সকল মিডিয়ার বিয়ষটা নিয়ে একদম চুপ থাকা নিয়ে। ৩ মাস পূর্বে উট পাখি বিশেষজ্ঞ দুই সম্পাদককে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই যে ডলা দিয়েছে এর পরে তনুর সংবাদ ছাপে কিভাবে? তবে নারী বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নিতি নিয়ে আমি মাঝে মধ্যে সন্দিহান হয়ে যাই। কারণ ভিকরারুন্ন নিসা স্কুলে সংঘটিত পরিমল ক্যালেংকারি ও ১লা বৈশাখের দিনে টিএসসিতে সংগঠিত যৌন নির্যাতনের ঘটনা তারা প্রথম ৩/৪ দিন পুরোই চেপে গিয়েছি। এর পর যখন বুঝতে পেরেছে এখনও খবরটা না ছাপালে তাদের অবস্থা হবে দৈনিক জনকণ্ঠের মতো ঠিক তখনই ছাপিয়ে উপরোক্ত ২ টা ঘটনাই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষকে বলছি, যদি এই নির্মম হত্যা কাণ্ডের বিচার করেন তবে জনগণ বিশ্বাস করবে বাজারে প্রচলিত প্রবাদ বাক্যটি মিথ্যা; আর যদি ঘটনা ধামাচাপা দেন তবে আবারও প্রমাণিত হবে ঘিলু আপনাদের হাঁটুতেই নেমে এসেছে লেফট-রাইট করতে করতে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নেফার সেটি বলেছেন: দেখা যাক ক্যান্টনমেন্টবাসীরা আমাদের তনু হত্যার বিচারের জন্য কতটুকু সাহায্য বা কতক্ষণ রাখঢাক করে।

৫০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫০

সোহানী বলেছেন: অলি-গলি, শহর-গ্রাম, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি.... ধর্ষনের মহোৎসব চলছে। কয়েকটি ঘটনার পর কিছুদিন আমরা হাল্লা-চিল্লা করি তারপর অদৃশ্য আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে চুপ মেরে যাই পরবর্তী ঘটনা পর্যন্ত। আর মহান নেতা-নেত্রীরা, সকল আইন-আদালত কানে তুলা গুজে, নাকে খাটিঁ সরিষার তেল মেখে ঘুমুচ্ছেন। এমন একটি ঘটনা কেউ দেখাতে পারবে যে রাস্ট্র উদ্যোগী হয়ে এমন অবিচারের বিচার করেছে????????

তো আজ তনু, কাল সাজিয়া, পরশু ইয়াসমীন...... বাহ্ ধর্ষনের মহোৎসব চলছে..... মানিকরা কই তোমরা, রাস্ট্র তোমাকে স্বয়ং বেকআপ দিচ্ছে... চালাও ধর্ষনের মহোৎসব...............

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

নেফার সেটি বলেছেন: তনুরা অসহায়।

৫১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: উপরের মন্তব্যের সথে আর একটু যোগ করতে চাই।

বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের বিচারের ক্ষমতা নাই; আপনাদের কাছে আমাদের যেটা চাওয়া সেটা হলো আপনরা পুলিশকে এই ঘটনার সত্য উৎঘাটনের সাহায্য করে নিরপেক্ষ ভাবে, কোন রকম আবেগ, অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে। এতে করে আপনাদের সম্মান হানী হবে না বরং সম্মানিত হবেন জনগণের বন্ধু হিসাবে।

বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের বিচারের ক্ষমতা নাই; আপনাদের কাছে আমাদের যেটা চাওয়া সেটা হলো আপনরা পুলিশকে এই ঘটনার সত্য উৎঘাটনের সাহায্য করে নিরপেক্ষ ভাবে, কোন রকম আবেগ, অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে। এতে করে আপনাদের সম্মান হানী হবে না বরং সম্মানিত হবেন জনগণের বন্ধু হিসাবে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

নেফার সেটি বলেছেন: আমরাও সেটুকুই চাই। তারা বিচারের জন্য সাহায্য করুক কোন প্রকার রাখঢাক না করে।

৫২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৭

শেষ খেয়া বলেছেন: কুকুর টাকে মারা হচ্ছে না কেন আমি যদি ওকে পেতাম জীবনের একটু মায়া ও করতাম না ওকে খুন করতাম
ভাই দুচোখে জল ছাড়া আর কিছু আসে না

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নেফার সেটি বলেছেন: বোনদের জন্য জল ছাড়া কি আর কিছুই দেবার নেই। বোনের চলার পথে আলো নেই। একটা আলো হয়ে পথে দাড়িয়ে যান।

৫৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

এ,রহিম বলেছেন: বাবু বলতে পার কি ? ধর্ষণের সেন্সুরী করে মিষ্টি বিতরন কারী ছেলেটা কোন মাদরাসার হুজুর বা ছাত্র ছিল ? বলতে তোমার লজ্জা লাগবে তাই না, আর এখন তুমি মৌলবাদের গন্ধ খুজার চেষ্টা করবা। তবে এই কথা সত্যি যদি তখন ধর্ষণের সেন্সুরী করে মিষ্টি বিতরন কারী ঐই নর পিচাষ কে বিচারের আওতায় এনে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী ( পাথর নিক্ষেপে অথবা কতল করে ) শাস্তি দেওয়া হত আর পত্রিকা ও মিড়িয়া গুলো যদি সঠিকভাবে প্রচার করত ( আল্লাহর কসম করে বলছি )..... তাহলে আজ তনুদের এই অবস্হা হতনা। আরব বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন সেখানে বছরে কয়টা ধর্ষণ আর হত্যা হয় ? বাংলাদেশে ১ দিনে যতগুলা হত্যা আর ধর্ষণ হয় পুরা আরব বিশ্বে ১ বছরে ও ততগুলা ধর্ষণ আর হত্যা হয় না। এটার নাম শরীয়া , এটার নাম ইসলাম ... যা মানুষের বানানো আইন দিয়ে হয় না । কোরআনুল কারীম এর আইন দিয়ে হয়... যা সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য সমান।
তবে এতটুকু শুনুন হত্যা আর ধর্ষণ পাপের দিক থেকে অনেক বড় পাপ..... তনু হয়তো চলে গল.... কিন্তু যারা এই ধর্ষণ আর নির্মম হত্যা কান্ড ঘটালো তাদের কি হবে বাবু ? যেদিন আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেদিন তো কোন নেতা নেত্রির সুপারিশ চলবে না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

নেফার সেটি বলেছেন: কোন মেয়ে কি পোশাক পরলো, রাতে টিউশনি করে নাকি জব করে, হিজাব পরে নাকি বোরকা পরে, কোন রাজনৈতিক দলের লোক ধর্ষণ করলো, মেয়েটা তো আমার কেউ না.... এগুলো ভেবে আর কতদিন চোখ বন্ধ করে ভিক্টিমের পাশ দিয়ে হেঁটে নরম বিছানায় ঘুমাবেন? বিবেকের উপরে কি এতই ময়লা পড়ে গেছে?

এইটুকু পড়েছেন। এইটুকু পড়ে কি বোঝেন নি ধর্ষককে আমি ধর্ষকই বলেছি। সে হুজুর, না আওয়ামীলীগের না বিএনপির লোক সেটা আমার দেখার বিষয় না। পূর্ণিমাকে কারা ধর্ষণ করেছিলো? প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের ছায়ায় শূকর শাবক থাকতে পারে। সেটা ধর্ষকের পরিচয় না। ধর্ষক ধর্ষকই।

আর এখানে না হুজুরদের একচেটিয়া কোন দোষ দেওয়া হয় নি। শুধু যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে কথা বলতে আসে তাদেরকে উদাহরণ দেখানো হয়েছে। বাহ হুজুর হয়ে ধর্ষণ করলে দোষ নাই, উদাহরণ হিসেবে সেটা এসে গেলেই যত দোষ।

আর সৌদি আরবের উদাহরণ দিতে আসবেন না। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ঐ বর্বরদের সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই জানা যায়। কেন আমাদের দেশ থেকে যে মহিলারা ওখানে পরিচারিকার কাজ করতে যায় তাদের মধ্যে অনেকেই যে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এবং হচ্ছে এটা নিশ্চয় আপনি জানেন না? আর ইসলামিক নিয়ম! যতদূর জানি ইসলামিক নিয়মে ধর্ষককে দোষী প্রমাণ করার জন্য তিনজন না চারজন স্বাক্ষী প্রয়োজন। জানি না ধর্ষণের সময় কেউ স্বাক্ষী রেখে ধর্ষণ করে কিনা.... আর নীরবে যে সৌদিআরবের মত দেশগুলোতে ঘরের মধ্যে অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয় যেগুলো প্রকাশ্যে উঠে আসে না সেটা কিন্তু অনেকের লেখালেখি থেকেই দেখা যায়।

সবশেষে একটা কথায় বলবো রাজনৈতিক দল, পোশাক, ধর্ম টানা এগুলো বাদ দিয়ে মানুষ হন এবং মেয়েদের বাঁচতে দিন। দয়াকরে ওদের বাঁচতে দিন।

৫৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
আমার বাচ্চাটা এখনও টিন এজের হয়নি তারপরও ওকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে আমাকে আতঙ্কে থাকতে হয় কোন ধারালো নখড় যেনো আমার কন্যাকে আঁচড়ে না দেয়।
আমাদের জীবনের কোনই নিরাপত্তা নেই...
তনুর ঘটনাতো ঘটেই চলছে...
উদাহরণ হয়ে থাকার মতো শাস্তিই পারে পশু মনোভাবের মানুষকে নিবৃত্ত করতে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

নেফার সেটি বলেছেন: "আমার বাচ্চাটা এখনও টিন এজের হয়নি তারপরও ওকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে আমাকে আতঙ্কে থাকতে হয় কোন ধারালো নখড় যেনো আমার কন্যাকে আঁচড়ে না দেয়।

৫৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

কালনী নদী বলেছেন: লাগা আগুণ, জ্বালিয়ে দে তর সব পাপ. . . .
জ্বালা, জ্বালা আগুনরে আগুনে জ্বালা
দোযখের অণুতাপে আর লেলিহান অগ্নি শিখায়
জ্বালা আগুন জ্বাল , আগুন পুড়িয়ে মনের খায়েস পুড়া.....

৫৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: যৌনতাকে উম্মুক্ত করে দেয়া হোক তাহলে অবশ্যই ধর্ষন বন্ধ হবে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে। যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা, একে চাপিয়ে রাখতে গেলে বিস্ফোরন হওয়াই স্বাভাবিক। পশ্চিমা দেশের চেয়ে আমাদের দেশে ধর্ষন বেশি। এর কারন না আমরা নারীদের পুরোপুরি চার দেয়ালে বন্দি রাখি আর না পুরোপুরি পোশাকহীন ছেড়ে দেয়। এ মাঝামাঝির কারনেই ধর্ষন, ইভটিজিং বেশি হয়।হয় নারীদের পুরোপুরি চার দেয়ালে বন্দি রাখতে হবে না হয় পাশ্চাত্য দেশের মত খোলামেলা হতে দিতে হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নেফার সেটি বলেছেন: যৌনতাকে উন্মুক্ত করা না করা সেটা সমাজের বিষয়। পুরুষ নিজের চেতনাদন্ডকে সামলাতে পারলে এই সমাজেও ধর্ষণ হবে না। নারীকে শুধু মাংস বা ভোগের বিষয় হিসেবে যদি না দেখা হয় তবে এ সমাজেও ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু মানসিকতার পরিবর্তন চাই, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি চাই।

৫৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪২

রোদেলা বলেছেন: মন্তব্যের মধ্যে নারীর কাপড়কে(শরীয়ত) আংশিক ভাবে দায়ী করা হয়েছে লেখক।তবে আমি ধর্ষিতার মোক্ষম দোষ খুঁজে পেয়েছি,সে ইতিহাসের ছাত্রী।তাই পশুরা তাকে দিয়েই ইতিহাস রচনা করে গেল যদিও আজ অব্দি ধর্ষকের নাম জানা যায় নি,সবার মুখেই তনু তনু-ভিক্টোরিয়া কলেজ।এতো মেনশনের দরকারটা কি??

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

নেফার সেটি বলেছেন: আমি কোন আংশিকভাবে মেয়েদের পোশাকের দেয় নি। একটা মেয়ে বোরকা পড়লো বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়লো বা কতটুকু সাইজের কাপড় পড়লো সেটা আমার দেখার বিষয় না। মেয়েটি যে পোশাকই পড়ুক সে একজন মেয়ে। সে একজন মানুষ। সে আমার মা, বোন অথবা ভবিষ্যৎ কন্যা সন্তানের মতই একজন মেয়ে। তার সম্মান কাপড়ের জন্য আমার কাছে একটু কমবে না

৫৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনি কি মানুষ? শিরদাঁড়া সোজা আছে কি? সাথে শুধু বলবো এখানে ছাড়া বাস্তবে খুব কম লোককেই পাবেন ঘটনাস্থলে প্রতিবাদী হতে।। কেন তা বুঝতেই পারছেন।।
তবে এখানের প্রতিবাদের সুফলও আছে, সরকার সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষিত হওয়া।।
তবে সেনানিবাসের অহরহ নিরাপত্তার মাঝে জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটলো, এটাই অবাক হবার।।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

নেফার সেটি বলেছেন: আসলেই অবাক করার বিষয়। তবে কি আমার বোনেরা কোথাও নিরাপদ থাকবে না!

৫৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

ফেলুদার তোপসে বলেছেন:
তনুরা শেষ হয়ে যাচ্ছে, শেষ হতে থাকবে।কারন তুমি বাংলাদেশি………

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

নেফার সেটি বলেছেন: দিনশেষে আফসোসটুকু পড়ে থাকবে এবং আমার আরেকটা তনু বোন যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে.....

৬০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩০

নিরল হৃদয় বলেছেন: আমাদের সমস্যাটা সেখানেই যখন তনুর মত কোন বোনকে হারাই শুধু তখনই চিৎকার করি। একদিন দুদিন। তারপর আবারও সব ভুলে যাই। সত্যিকার অর্থেই যদি আমরা লাইনটা বড় এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে না পারি তবে একদিন আমাদেরও একা একা ঘরের কোণায় বসে কাঁদা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না । ভয়াবহ হলেও কথাটা সত্য।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

নেফার সেটি বলেছেন: আমরা ইস্যু পেলে এবিষয়গুলো ভুলে যায়। এজন্যই হয়তো দুদিন পরে তনুদের কথা মনে থাকে না।

৬১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৩

নিরল হৃদয় বলেছেন: আমাদের সমস্যাটা সেখানেই যখন তনুর মত কোন বোনকে হারাই শুধু তখনই চিৎকার করি। একদিন দুদিন। তারপর আবারও সব ভুলে যাই। সত্যিকার অর্থেই যদি আমরা লাইনটা বড় এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে না পারি তবে একদিন আমাদেরও একা একা ঘরের কোণায় বসে কাঁদা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না । ভয়াবহ হলেও কথাটা সত্য।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নেফার সেটি বলেছেন: আমরা তো ইস্যুপ্রিয়। এজন্য একটা নতুন ইস্যু আসলে আরেকটা ভুলে যায়। আমাদের চিৎকারটা দুইদিনের জন্য করলে হবে না। চিৎকারটা ততদিন করে যেতে হবে যতদিন আমার একটা বোনও অনিরাপদ থাকবে।

৬২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

সাগর মাঝি বলেছেন:
আপনাদের পায়ে পড়ছি দয়াকরে আশেপাশের মেয়েকেগুলো বোন অথবা নিজের মা ভাবুন। মেয়ে দেখলে স্লেজিং করার সময় নিজের বোনটার কথা শুধু একবার মাথায় আনুন। ধর্ষিতা বোনটার পাশে দাড়ান। গ্রাম্য সালিশে ধর্ষিতাকে যখন অপদস্থ করা হয় প্রতিবাদ করুন। এটা মাথার ঢুকিয়ে নিন যে আপনার ধর্মের কোথাও লেখা নেই যে পোশাক দেখে ধর্ষণ করা জায়েজ। তনু বোনটার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য নিজ জায়গা থেকে দাবি তুলুন। নিজের এলাকার ছেলেদের নিয়ে ছোট ছোট সংঘ গড়ে তুলুন বোনদের রক্ষায়। অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ুন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

নেফার সেটি বলেছেন: দয়া করে করুন। আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আরেকটা মেয়ের ভাই হয়ে। আমার বোনটা তনু বোনের মত অবস্থায় পড়ুক সেটা চাই না কখনো।

৬৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা তো আবার ধর্ষণে ধর্ষিতার দোষও খুঁজে পাই। ধর্ষিতার পোশাক কেমন ছিল, সে পর্দা করতো কিনা, সে রাতে বাইরে বের হয় কেন, খাবার আলগা থাকলে মাছি বসবেই। হয়তো আমাদের মধ্যে মানুষরূপী কিছু শূকরশাবক এরমধ্যেই তনুরও দোষ খুঁজে পেয়েছে। সে মেয়ে হয়ে রাতে বাইরে কেন টিউশনি করতে যেত, হিজাব পরে কিন্তু বোরকা পরে নাই কেন, বেগানা মেয়েটা নাট্যকর্মী ছিল!!!

............নারীকে যারা তেতুল ভাবেন এই পোষ্টেও দেখছি তেমন ক'জন জেগে উঠেছেন, এজন্যই বলে যার হয়না ৯এ তার হবেনা ৯০এ, ওরা ব্রেন ওয়াস করা পাবলিক। কোথায় প্রতিবাদী হবে, না ওনারা প্রতিবাদের প্রতিরোধী হওয়ার চেষ্টা করছে।

আসুন আমরা সবাই এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২

নেফার সেটি বলেছেন: তারা তাদের তেতুল তত্ব থেকে খুব সহজে সরে আসতে পারে না।

৬৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: খুবই জোরালো ভাবে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কিছু অপ্রয়োজনীয় কথা চলে এসেছে।
সকল ধর্ষকের পরিচয় হলো সে ধর্ষক। তাকে মানুষের কাতারে ফেলার কোন মানে হয় না।

সর্বোপরি আমরা বিচার চাই! এই গর্হিত অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই! যেন এমন কর্ম আর কখনো না হয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

নেফার সেটি বলেছেন: বিষয়ের সাথে সম্পর্ক থাকলে কথা আসবেই। পোস্টের শিরোনামেই লেখা আছে "অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে গেলাম।" আমি জানি এখানে কোন অপ্রাসঙ্গিক কথা নাই। থাকলে সেগুলো কোট করে বললে একটু সুবিধা হতো।

৬৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

কবর পথের যাত্রি বলেছেন: খবরের পাতা খুললে দেখাযায় প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় কোন এক তনু ধর্ষন হচ্ছে তার পরিসংখান থাকলেও হয়ত ঘটনা তারচেয়ে বেশিই ঘটে ।কোনটির বিচার হয় কোনটির হয়না। এর সমাধান কিন্তু একটাই।যাদের বিচার হলনা তারা কে..? তাদের পরিচয় কি..? কেনইবা তাদের বিচার হয়না...? একজন মানুষকে ধর্ষন করে হত্যা করতে যে বল বা শক্তির প্রয়োজন হয় সে শক্তি তারা কোথেকে পায়..? এর উত্তর হয়ত খুজে পাওয়া সব সচেতন বুদ্ধিমানের জন্য খুব সহজ হবে তবে এর সমাধান কখন হবে সেটাই দেখার বিষয়....।।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

নেফার সেটি বলেছেন: তারা শক্তিটা আমাদের মতই কিছু মানুষ নামক পশুর সমর্থনে পেয়ে যায়। আমাদের সমাজের কিছু পশুই দায়ী।

৬৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

যমুনার চোরাবালি বলেছেন:




ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অনেক সময় সাধারণরা ঢুকে যায়, মিথ্যা এর ওর পরিচিত বলে। এমন হয়ে থাকলে এই কেসের সুরাহা করা খুবই মুশকিল। যদি সেই জোনে কোন সিসি ক্যামেরা থেকে থাকে তো আলাদা কথা। আর এই ঘটনার সাথে সত্যই যদি আর্মি বা আর্মিদের পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তাহলেও সুবিচার আশা করা...

আপনি আসল ঘটনা থেকে দূরে সরে গেছেন। একটা সমস্যার সমাধান আগে করতে হবে তারপর না পূরোটার ব্যাপার আসবে। পোশাক আশাক এইসব বিষয় নিয়ে লিখে মূল বিষয়টাকে আপনি অন্যদিকে মোড় নিতে সাহায্য করছেন। যানেনইতো চিলে কান নিয়ে যায়।

আলোচনার বিষয় ধর্ষণ, হত্যা, ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া, প্রশাসন। আর বাদবাকি সব ফালতু আলাপ।

আমার মৃতবোন সুবিচার পাক। তার নিরাপত্তাহীনতা, অপমান ও হত্যার।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

নেফার সেটি বলেছেন: নিচে দেওয়া ছবিটা দেখুন। তারপরে বলুন ফালতু আলাপ কোনটা।

৬৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: তনু হত্যার বিচার চাই । তনুর পোশাক কিন্তু যথেষ্ট শালীন ছিলো তারপরও সে নির্মমতার শিকার হয়েছে । সমস্যাটা আমাদের নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের । উগ্র পোশাক বা খোলামেলা চলাফেরা ধর্ষন বা ইভটিজিং এর জন্য খুবই সামান্য প্রভাব রাখে । মূল সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের পশুত্বে ।
আইনের প্রয়োগ হোক যথাযতভাবে হোক , নৈতিক শিক্ষার প্রসার হোক । তনু হত্যার বিচার চাই । তনু হত্যার বিচার চাই ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

নেফার সেটি বলেছেন: পোশাকের দোষ ধরাটা হলো নিতান্তই ধর্ষক শ্রেণির নিজেদের দোষ ঢাকার অপচেষ্টা।

৬৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: দূঃখজনক হলেও যেহেতু ধর্মে-সমাজে, রাষ্ট্রে-আইনে যৌনতা নিষিদ্ধ নয়, তাই আদিকাল থেকে এটা ছিলো, আছে এবং থাকবেও। ধর্ষণের ঘটনার পেছনে মনোসামাজিক কারণ রয়েছে। আইনের শিথিলতা, পারিবারিক ও সামাজিক প্রথা ও সংস্কার ধূলিসাৎ, সামাজিক ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয়, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার বিশেষ করে ল্যাপটপ-কম্পিউটার-মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও জবাবদিহিতাবিহীন ব্যবহারের সুযোগ, পর্নগ্রাফির অবাধ বিস্তার, বিশ্ব সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকের আগ্রাসনই ধর্ষণের ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্বল পারিবারিক বন্ধন, দুর্বল সামাজিক কাঠামো, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, দারিদ্র্য, বিচারহীনতা। আরও রয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় সংস্কৃতি চর্চার অভাব, সুষ্ঠু ও সুস্থ ধারার বিনোদনের অনুপস্থিতি, কিশোর-কিশোরীদের ক্রীড়া-কর্মকাণ্ডের অভাব ইত্যাদি। একটা নারীর বেশভূষা, ধর্ম, চালচলন পেশা যাই হোক না কেন তা তার ধর্ষণের কারণ হতে পারে না। আমাদের ধর্ম আর আইন তাই বলে। কোনভাবে কোন যুক্তিতেই ধর্ষনের মত ঘৃণ্য অপরাধ সমর্থন যোগ্য নয়।
ক্ষুধা নিবৃতির উপকরণ খাদ্য। ক্ষুধায় সকল জীব খাদ্যের জন্য নৈতিক-অনৈতিক অনেক কার্য সম্পাদন করে থাকে। তবে মানুষ আর পুরুষের ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের পদ্ধতি আলদা। খাবারকে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে তা উপভোগ্য হয়, তৃপ্তি লাভ করা যায়। কুকুরের খাবার গ্রহণের সাথে মানুষের খাবার গ্রহণের শৈল্পিক ব্যবধান বিস্তর। তাই মানুষ নামের কুকুরের কাছে শৈল্পিকতা নান্দনিকতা আশা করা বাতুলতা। ‘সেক্স’ বা ‘যৌনতা’ নিষিদ্ধ কিছু নয়। ধর্ম, বিজ্ঞান, সমাজ- কোথাও এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এ যৌন আচরণই যখন অন্যায়, অবৈধ, বলপূর্বক এবং প্রলুব্ধ করে ঘটানো হয়, তখনই সেটা হয়ে দাঁড়ায় অপ্রতাশিত ও বেআইনি। একেই বলা হয় ‘ধর্ষণ’। এ ঘটনা বিকৃত রুচির পরিচায়ক। এটা ফৌজদারি অপরাধ, পাপ এবং বড় ধরনের অনৈতিকতা।
সমাজ থেকে এই অনৈতিক ধর্ষণ তথা যৌন নির্যাতন হ্রাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে সমাজ এবং পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সামাজিক এই অপরাধের বিস্তার রোধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করা এবং ধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কারণ শুধুমাত্র আইন করে কোনদিনও ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না, তাতে যত কঠোর শাস্তিরই বিধান থাক না কেন। পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার চেতনাবোধ জাগ্রত করা গেলে এই অপরাধ প্রবণতা অনেকখানি কমে আসবে। আমাদের বুঝতে হবে যে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই সামাজিক সচেতনতা, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মূল্যবোধের চর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই এই অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে। সমাজকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই অপরাধ প্রবণতাকে রোধ করার বিকল্প নেই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

নেফার সেটি বলেছেন: "তাই সামাজিক সচেতনতা, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মূল্যবোধের চর্চা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই এই অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।"

৬৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

নেফার সেটি বলেছেন:

"যমুনার চোরাবালি: আপনি আসল ঘটনা থেকে দূরে সরে গেছেন। একটা সমস্যার সমাধান আগে করতে হবে তারপর না পূরোটার ব্যাপার আসবে। পোশাক আশাক এইসব বিষয় নিয়ে লিখে মূল বিষয়টাকে আপনি অন্যদিকে মোড় নিতে সাহায্য করছেন।"

এই স্ক্রীণশটটা দেখার পরেও কি মনে হয় আমি মূল বিষয় থেকে দূরে সরে গিয়েছি? অনলাইনে তনু শালীন না অশালীন ছিল তাই নিয়ে ত্যানা প্যাচা প্যাচি এখনো চলছে।

৭০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে । এতে আমি একমত। তবে পরবর্তী জেনারেসের জন্য সচেতন হওয়া দরকার।।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নেফার সেটি বলেছেন: সেটাই আমিও বলছি পরবর্তীতে যাতে আর কোন বোন তনু না হয়ে যায় তার জন্য আমাদেরকে উঠে দাড়াতে হবে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।

৭১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

জহির উদদীন বলেছেন: সোস্যাল মিডিয়াতে সবাই এখন "তনু" ধর্ষন ও হত্যার বিচার চায়...
আরে বিচার কি এতো সস্তা.....?
আছে তনু'র ধর্ষন ও হত্যা'র কোন ভিডিও ফুটেজ, নাই...,
আর তাই হয়তো অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না...
যেমন এইতো সেইদিন জুনায়েদ নামের একটি ছেলে মেয়ে ঘটিতো কারণে তার বন্ধু নুরুল্লাহ নামের একটি ছেলেকে সেই রকম স্ট্যান্টবাজি করে চরম মাইর দিলো এবং মাইর দেওয়ার ভিডিও ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়া ভাইরাল হলো, প্রশাসন তৎপর হলো, মামলা হলো এবং ফলাফল আজ জুনায়েদ জেলে। যারা সচেতন ভাবে কাজটা করেছে তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না তনু কোন মিডিয়া ব্যক্তিত্বও ছিল না,
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী'র শাইন করা মডেল ছিল না,
কোন উপরওয়ালাদের আত্নীয়ও ছিল না,
কোন সাংবাদিকও ছিল না...
কোন নারী অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষের ব্যক্তি ছিল না,
তাহলে....
এমন হাজারো তনু'র জন্য আমাদের কান্না, দূঃখ, কষ্ট থাকতে পারে এর বেশী কি আশা করা ঠিক....?
আমার কথা বিশ্বাস নাহলে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন, দেখবেন সব ভুলে যাবেন যখন আরেকটা তনু'র ঘটনা জন্ম হবে..,
এভাবেই আমাদের প্রতিবাদ চলবে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রেখে.....

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

নেফার সেটি বলেছেন: নিরাপদ দূরত্বে গা বাঁচিয়ো থাকার দিন শেষ। কারণ এরপরে হয়তো আমার ঘরের মেয়ের উপরে অত্যাচার হবে। এই হাজার তনুর জন্য আমাদের বিচার আদায় করে নিতে হবে। দরকার হলে হোক না আরো কোন বড় আন্দোলন। আমরাই তো সেই জাতি যারা পাকিদের তাড়িয়েছিলাম।

৭২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: মন খুব খারাপ :( জীবন আর ভাল লাগেনা :(

৭৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

নাজনীন পলি বলেছেন: মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

নেফার সেটি বলেছেন: মনুষ্যত্ব জাগলে তো মেয়েগুলো বেঁচে যেত। জানি না আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে।

৭৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

পোকা চিমটি বলেছেন: ব্লগেতো সবাই গরম গরম মন্তব্য করে কিন্তু বাস্তবে কি কেউ কোনদিন ইভ-টিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছেন?????? রাস্তার মোড়ে মোড়ে বখাটে ছেলেরা সিগারেট ফুকাতে ফুকাতে যখন টিন এজ মেয়েকে অশ্লিল মন্তব্য করে তখন কয়জন মানুষ এর প্রতিবাদ করে??? আগে আমাদেরকে এই জায়গা থেকে শুরু করতে হবে।
আর অনেকেই মেয়ের পোশাক-আশাক, শালীনতা, নাট্যকর্মী নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে যা কিনা একটি মানুষের স্বাধীনতার উপর হস্তেক্ষেপ। কোন মেয়ে যদি নাট্যকর্মী হয়, তার পোশাক যদি শালীন না হয় তাহলে কি তাকে ধর্ষন করতে হবে?????? একটি মেয়ে যদি অশালীন ভাবে চলে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর তার অশালীন পোশাক দেখে যদি কোন পুরুষের লিঙ্গ উত্থিত হয় এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সেটা সেই পুরুষের ব্যার্থতা, তার সমস্যা যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর জন্যতো কোন মেয়ে বা ঐ অশালীন পোশাক পরা মেয়েটি কেন দায়ী হবে ??????????????????????????

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

নেফার সেটি বলেছেন: একটি মেয়ের পরিচয় হোক সে মেয়ে। সে মানুষ। ধর্ষিতা বোনের পরিচয় হোক সে একজন মানুষ, সে একজন ভিক্টিম।

৭৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিবেক বলতে কিছু যাদের আছে তাদের ঐখানে এই লেখাটি ধারালো আঘাত করার যোগ্যতা রাখে। আপনার লেখনি'র প্রশংসা করতেই হয়।
এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী'র মতো একটি সুশৃংখল প্রতিষ্টানের ভেতরে এইরকম একটা ঘটনা ঘটে গেল অথচ সেনাবাহিনী কিছুই বলছে না ব্যাপারটা আমাদের হতাশ করছে।
সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা আছে এবং এটা বহাল রাখার দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়। এমনও তো বলা হচ্ছে পাক মিলিটারি থেকে আমাদের মিলিটারি কম না। এর প্রতিবাদ আমরা করছি যারা যারা দায়িত্বশীল নাগরিক।
এমনিতেই অনেকে মুখিয়ে থাকেন কোন ফল্ট পেলে আর্মির ভাবমুর্তির বারোটা বাজাতে। এটা যে কারণেই হোক, সেটায় সতর্ক থাকা উচিত আমাদের গৌরবের এই বাহিনীকে।
আমি পাহাড়ি/গ্রামের/সংখ্যালঘু মেয়ের রেপ সবগুলাই রেপ হিসেবেই দেখি। এই যে ঘটনা ঘটে গেল, মনে করুন ভিক্টিম মেয়েটি হিন্দু যদি হতো তাহলে অবস্থাটা কোন পর্যায়ে যেত চিন্তা করেছেন?
যাহোক, আমি সেদিকে যাচ্ছি না। সেনাবাহিনী'র একটা স্টেটমেন্ট দাবি করছি যেখানে ন্যায়বিচারের আস্থা আমরা পাবো। ধর্ষক যে/যারাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।


২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

নেফার সেটি বলেছেন: আসলে আমাদের সেনাবাহিনীকে নিয়ে অনেকে কথার বলার সুযোগ খোঁজে। আর ক্যান্টেমেন্টেই যখন ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় তখন তো তারা সুযোগটা ভালোভাবে পেয়ে যায়। এজন্য সেনাবাহিনীর উচিত বিষয়টা নিয়ে নীরব না থাকা। এতে অনেকে সুযোগ খুজবে।

বিষয়টা যখন ক্যান্টনমেন্টের মত স্থানে হয়েছে তখন আর্মি ইন্টেলিজেন্স চাইলেই বের করতে পারবে বিষয়টা কে করেছে(আমার বিশ্বাস)। সে সিভিলিয়ান হোক বা আর্মি তার শাস্তি যেন নিশ্চিত হয়।

তিতো হলেও সত্যি যে সবসময়ই শোনা যায় বাঙালি সেটেলার কর্তৃক পাহাড়ি ধর্ষণে সেনাবাহিনীর ইন্ধন থাকে। এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে বলতে হবে পাকবাহিনী থেকে তাদেরকে আলাদা করে দেখাটা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাড়াবে।

শেষে বলবো ধর্ষকের পরিচয়টা ধর্ষকই হোক এবং ধর্ষিতা বোনের পরিচয়টাও হোক মানুষ। সে পাহাড়ি না হেজাবী না হিন্দু না মুসলিম ইত্যাদি বিষয়ের দিকে না তাকিয়ে প্রত্যেকটা ধর্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।

৭৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দয়া করে যথাসম্ভব রেসপন্স করুন। কারণ কেবল লিখলেই আপনার কাজ শেষ না। বরং দায়িত্ব বেড়েই যায় আলোচনার।

৭৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

বাংলার নেতা বলেছেন: (তুই আমাদেরকে মাফ করেদিশ বোন! তোর হত্যার বিচার হবে না, আমরা সরি)

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নেফার সেটি বলেছেন: এরকম মাফ চেয়ে আর কতদিন পালিয়ে থাকবে জানতে পারি কি?

৭৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

এস. এম. কামরুল আহসান বলেছেন: ভাবতে খুব লজ্জা হয়। আমাদের অধপতন আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! বিকৃত মন মানুষিকতার মানুষগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই। তবে এ কাজের বৈঠাটা কে ধরবে? এমন লোকের খুবই অভাব। তনুদের কাছে 'সরি' বলেই কি মাফ পাওয়া যবে!!!

৭৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

টোকাই রাজা বলেছেন: আসলেই কি তাই? চারপাশে যত ধর্ষণের ঘটনা আমরা দেখতে পাই তার মধ্যে কয়টি "অশালীন পোশাক" এর কারনে হয় এটা একটা চিন্তার ব্যাপার বটে। সংক্ষেপে কিছু প্রশ্ন করব, ভেবে দেখবেন।
১। যখন ৫ বছর বয়সের একটা মেয়ে ধর্ষিত হয় তখন তাকে আপনারা কি বলবেন যে ঐ মেয়েটির যৌবন অকালেই এতটাই পেকে গেছে যে তাকে ধর্ষক ধর্ষণ না করে পারেনি?
২। যখন ৫০ বছর বা তারও উপরের বয়সের মহিলা কে ধর্ষণ করা হয় তখন আপনি কি বলবেন যে এই বুড়ি যৌবন রস এই বয়সেও কমেনি যার আকর্ষণে ধর্ষক তাকে ধর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছে?
৩। মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। শুধু এদেশে কেন, সব দেশেই যুদ্ধের পরপর বা পাশাপাশি পরাজিত বা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের মেয়েদের ধর্ষিত হওয়া একপ্রকার সাধারণ একটা ঘটনা। ঐ মেয়েরা বোরকা পরে চলুক বা না চলুক। এটাকে কি বলবেন? ঐ মেয়েদের রুপ যুদ্ধকালিন সময়ে এতই বেড়ে গিয়েছিল যে সৈনিকরা নিজেদের সংবরণ করতে পারেননি, এই তো?
৪। শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরাও কিন্তু ধর্ষিত হয়। "ঘেঁটু পুত্র কমলা" চলচ্চিত্রটি এদেশেরই আবহমান কাল থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আপনারা কি বলবেন? ঐ ছেলেটির মধ্যে মেয়েলি ভাব এতই তীব্র যে ধর্ষকের আর তর সয়নি?
আরও উদাহরণ দেয়া যায় চাইলে। উপরের ঘটনাগুলোতে কোথাও কিন্তু পোশাক আশাকের কারনে ধর্ষণ হয়নি। হয়েছে ধর্ষকের অসুস্থ মানসিকতার জন্য, প্রতিহিংসাপরায়নতার জন্য, বিকৃত মনোবৈকল্যের জন্য। আর যেসব মেয়েরা ধর্ষিত হয় তাদের কয়জন আসলেই অশালীন পোশাক পরে আগে খোঁজ নিয়ে দেখুন। চোখ কান বন্ধ করে একটি মাত্র খোঁড়া যুক্তি প্রলাপের মত আওড়াতে থাকবেন না।কীভাবে কিছু মানুষ ধর্ষিতা একটা মেয়ের দোষ খুঁজে বেড়ায় আমি বুঝিনা। এরা কি আসলেই মানুষ? এদের নিজেদের মা, বোন, বন্ধু, প্রেমিকা বা কাছের কেউ যদি এমন হত তখন সে কী বলত? মাঝে মাঝে এই অসুস্থ ইচ্ছাটিও আমার হয়।
ধর্ষণকে যেকোন ভাবে যারা সমর্থন করার জন্য যারা যুক্তি দেখায় বা দেখানোর চেষ্টা করে তারা ধর্ষকের চাইতে কম অসুস্থ নয়। কোন ধর্ষণই যৌন উত্তেজনা নিবৃত করার জন্য করা হয় না, এটা অন্য একটা মানুষকে যন্ত্রনা দিয়ে, কষ্ট দিয়ে পাশবিক এক আনন্দ পাবার জন্য করা হয়। এটা এক প্রকার অসুস্থতা। যৌনতা এখানে কোন কারন না। পাশবিক বলা ভুল হল কারন কোন পশু আরেক পশুকে ধর্ষণ করে না যেভাবে মানুষ মানুষকে করে।
একটা মেয়ের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে সে কী পড়বে কীভাবে পড়বে। তাকে অশালীন কিছু পড়তে দেখলেই তাকে উপুড় করে সাথে সাথেই এফোঁড় ওফোঁড় করতে হবে এই অধিকার কিন্তু কোন মানুষের নেই। একটা নগ্ন দেহের সুন্দরী মেয়েকে দেখে যদি কোন ছেলের উত্তেজনা হয়, তাতে সমস্যা নেই, সমস্যা হল উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে সেই মেয়েকে যদি কেউ ধর্ষণ করতে চায় বা করে সেখানে। সমস্যা সেই ছেলের যে তার দুই পায়ের মাঝের অঙ্গের উত্তেজনা সংবরণ করতে না পেরে দিগ্বিদিক জ্ঞ্যান হারিয়ে মস্তিষ্ক বিলুপ্ত প্রাণীর ন্যায় মেয়েটাকে ধর্ষণ করার চিন্তা করে বা ইচ্ছা পোষণ করে। এখানে মেয়েটার কোন দোষ নেই। মেয়েটার যদি দোষ থাকেও যে কাপড় কম পরেছে তা এত বড় নয় যে তাকে ধর্ষণ করতে হবে। এই যুক্তি যারা দেয় তারাও ধর্ষকের মতই অসুস্থ বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী। আর তনু বোন মাফ করে দিছ তুই আমাদের।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

নেফার সেটি বলেছেন: আমারও একই কথা। দোষটা সম্পূর্ণ ধর্ষকের।

৮০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

রিফাত হোসেন বলেছেন: সালাম,
অনেকে বলছেন স্টিকি হবার দরকার নাই, তবে আমি ভিন্নমত পোষণ করছি। স্টিকি হয়েছে ভাল হয়েছে। এই ব্যাধিকে নির্মূল করতে না পারলেও কমানোর চেষ্টা করা উচিত। শয়তান মানুষের আগে পিছে লেগে থাকে হোক প্রেসিডেন্ট,ইমাম বা গির্জার ফাদার।
তবে লেখক এর সাথে কিছু ব্যাপারে আমার মতের মিল নেই।

তবে মূল বিষয় এক, ধর্ষন এর বিরুদ্ধে অবস্থান, যেভাবে সম্ভব প্রতিবাদ করা।

বাংগালীরা যদি উপজাতিদের সাথে খারাপ আচরন করে তাহলে শাস্তি পেতে হবে, আর উপজাতিরা যদি সশস্ত্র হয়ে বাংগালীদের নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীদের মত তাহলে সেটার ও প্রতিবাদ করা উচিত। আমার বন্ধু পাহাড়ী এলাকা ব্যবসা করতে গিয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। কারন শহরে আমরা উপজাতিদের ঘাটাই না, ব্যবসা করতে এলাকা ভিত্তিক চাঁদা চাই না বা পাস কার্ড দেই না ব্যবসা করার!!!

আর কাপড়ের কথা বললেন, উপর নিচ কোন মতে ঢাকলেই পর্দা হয় না যেমন, তেমনি তুর্কিদের মত মাথায় স্কার্ফ পরলেই হিজাব হয় না। আর তেমনি এগুলি পরেই ছবি তুললে পর্দানশীন, সুশীল নারী হয় না।
কেউ করে ঢং এ কেউ সংস্কৃতি মোতাবেক আর কেউ সত্যি ই নিজের আব্রুকে রক্ষা করে চলে!

অশালীন অবস্থায় শয়তান সুযোগ পায় অন্যকেও প্রলুব্ধ করে।
এক্ষেতে নৈতিকতা শিক্ষা আর নিজের ঈমানকে শক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এইটা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।

বোরকেই পড়তে হবে কথা নাই,শালীন হয়ে চলার জন্য বোরকা পড়া সহজ তুলনায়।

বোরকা পড়েও শয়তানের রোষানলে পড়তে পারে মানুষ।

এই ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা যায় যেভাবে:
শালীন থাকা, ইসলামী বা ধর্মীয় মোতাবেক চলা বা চলার চেষ্টা করা, বিয়ের বয়স বা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে করে ফেলা (এর জন্য শত বছরের প্রস্তুতি লাগে না আমাদের সমাজের বেশি বয়সের বিয়ের রীতি বাতিল করা উচিত), ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করা বা কমিয়ে ফেলা, নিজের ঈমান দৃঢ় করা ( নারী পুরুষ সবার জন্য)।


উপরের কথা গুলো বললাম ব্যাখ্যা হিসেবে।


আশা করি বিডি আর্মি এই ব্যাপারে সহযোগীতা করবে। এই ধর্ষকগুলোকে নপুংসক করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি।





২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নেফার সেটি বলেছেন: "এই ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা যায় যেভাবে:
শালীন থাকা, ইসলামী বা ধর্মীয় মোতাবেক চলা বা চলার চেষ্টা করা, বিয়ের বয়স বা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে করে ফেলা (এর জন্য শত বছরের প্রস্তুতি লাগে না আমাদের সমাজের বেশি বয়সের বিয়ের রীতি বাতিল করা উচিত), ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করা বা কমিয়ে ফেলা, নিজের ঈমান দৃঢ় করা ( নারী পুরুষ সবার জন্য)। "


নিজের ইমান দৃঢ় করার বিষয়টি ছাড়া আর সব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলাম।
প্রথম কথা হলো দেশে সবাই মুসলিম না যে সবাই মুসলিম রীতি অনুযায়ী চলবে। আর ইসলামী আইনে চলা দেশেও অহরহ ধর্ষণ হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত আপনি মনে হয় বাল্যবিবাহ করানোর কথা বলছেন।
তৃতীয়ত আপনার মনেও এই বিষয়টা বিদ্যমান পোশাকের তথাকথিত শালীনতা ধর্ষণের জন্য একটু হলেও দায়ী।

৮১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

এরশাদ বাদশা দ্যা ওয়ারিয়র বলেছেন: সবচেয়ে যন্ত্রণার বিষয় হলো- ধর্ষন এবং ধর্ষনের পর হত্যা, এই জঘন্য অপরাধ ঘটে যাওয়ার পর বিচার ব্যবস্থার টনক নড়ানোর জন্য আমজনতাকে প্রতিবাদ জানাতে হয়। আমার প্রশ্ন হলো কেন???? মানুষকে এই পাশবিকতার বিচার কেনো চাইতে হবে??
অপরাধ ঘটে যাবার পর ত্বরিৎ গতিতে যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, অপরাধীকে প্রশাসন নিজ উদ্যোগেই যদি বিচারের মুখোমুখি করায়, তাহলে কি বারবার এইসব ধর্ষন কিংবা অপরাধগুলো ঘটে??

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

নেফার সেটি বলেছেন: বিচারের মুখোমুখি করলেও তো ধর্ষকরা শাস্তি পায় না। একেকটা মামলা পাঁচ-দশ বছর ধরে চলে।
এখন আর শুধু প্রশাসনের উপর নির্ভর করলে হবে না। নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ধর্ষকের বিচার চেয়ে নিজেই আবার ইভটিজিং করলে হবে না। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন লাগবে। উঠে আসার সময় হয়েছে। দেরি করলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

৮২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

ইয়েলো বলেছেন: বেশ কয়জন লেবাসধারির দেখি গায়ে লাগছে।প্রতিবাদ চলুক।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নেফার সেটি বলেছেন: লেবাসধারিরা সব জায়গায় বিদ্যমান।

৮৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: সবাই বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধুন আগে। বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ। পোশাকও জরুরী, সেই সাথে পুরুষের মনের মধ্যে পাশবিকতা নিয়ন্ত্রণের জন্য তার লাগামও জরুরী। সেটা অবশ্যই নৈতিক শিক্ষা/ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া অন্য কিছু নয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে তার ছাত্রীও ধর্ষিত হয়, তেলাপোকা মারার মলমের প্যাকেটেও সুন্দরী নারীর দেহকে ফোকাস করা হয়, ক্লাস থ্রি পড়ুয়া ছাত্রটিও নির্দ্বিধায় গভীর রাতে পর্নোগ্রাফিতে অবাধে ডুবে যেতে পারে - সেখানে নীতিকথা না বলে, গোল টেবিল বৈঠক না করে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা আগে বাঁধুন। কেন জানি আজ 'থিংস্‌ ফল আপার্ট' উপন্যাসটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে!

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২১

নেফার সেটি বলেছেন: আজ পর্যন্ত কোন নারীকে দেখিনি পোশাক ছাড়া রাস্তায় চলতে সেখানে আপনি যদি বলেন পোশাকও জরুরি তাহলে তো হাসি পাবেই। কেন আপনার হঠাৎ মনে হলো পোশাক জরুরি, পোশাক তো কেউ ত্যাগ করেনি!

৮৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৩

ইউসুফ জাহিদ বলেছেন: ফেরদৌস প্রামানিক ভাই যথার্থই বলেছেন ।

৮৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৪

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে তার ছাত্রীও ধর্ষিত হয়, তেলাপোকা মারার মলমের প্যাকেটেও সুন্দরী নারীর দেহকে ফোকাস করা হয়, ক্লাস থ্রি পড়ুয়া ছাত্রটিও নির্দ্বিধায় গভীর রাতে পর্নোগ্রাফিতে অবাধে ডুবে যেতে পারে - সেখানে নীতিকথা না বলে, গোল টেবিল বৈঠক না করে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা আগে বাঁধুন। কেন জানি আজ 'থিংস্‌ ফল আপার্ট' উপন্যাসটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে! - এই কথাগুলো লেখকের চোখেই পড়ল না ! আফসোস !

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৯

নেফার সেটি বলেছেন: ওগুলো চোখে পড়েছে এবং ঠিক আছে এজন্য কিছু বলি নি। কিন্তু বারবার পোশাকটা আসে কেন? মেয়েরা কি পোশাক ছাড়া ঘুরে?

৮৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩২

কাজী আসিফ বলেছেন: িচার চাই। বিচার চাই। বিচার চাই

৮৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

কাজী আসিফ বলেছেন: িচার চাই। বিচার চাই। বিচার চাই

৮৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: যখন একটা সমাজে অনিয়মই নিয়ম হয়ে যায় সকলক্ষেত্রে, তখন মানুষ এই রকম ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক কাজকেও না দেখার, না শোনার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। অার এটাই ঘটছে আজকের সমাজে। অার এ জন্যই 'সত্যের পথে নির্ভিক' পত্রিকাও উটপাখির মতো মুখ গুঁজে রেখেছে মাটিতে, এক অজানা আতংকে।

এই ব্লগে যতই চিল্লা-ফাল্লা করা হোক না কেন, তা কোন কাজেই অাসবে না, যদি না অামরা সকল অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখি।

আপনি হ্য়ত বলবেন, এখানে ধর্ষন নিয়ে গুরুগম্ভীর অালোচনা হচ্ছে। এটাই চলুক না ভাই। কেন পটলের ভিতর অালু-বেগুন ঢুকাচ্ছেন। আর এটাই অামাদের প্রধান সমস্যা।

যখন আমরা সব সমস্যাকে সমস্যা বলে মনে করব, তখনই কেবল মানবিকতার জয় হবে। তা নাহলে কি-বোর্ডে ঝড় উঠবে, অনেকে এখানে লুংগির কাছা তুলে ফাল পাড়বে--ধর্ষককে পেলে এখনই কাঁচায় চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। কিন্তু বাস্তবতায় সেইজনও সুযোগ পেলে কাছা খুলে নব উদ্যমে সেই একই অপকর্ম করবে না সে নিশ্চয়তাটুকু অামাদের সমাজ ব্যবস্থা থেকে উঠে যাচ্ছে।

দয়া করে বললেন না ধর্ষন বাদে কি কি অন্যায় হচ্ছে। পত্রিকাগুলো পড়ুন। দেখুন, অন্যায়, কুকাজ কত প্রকার হতে পারে।

আপনি যদি মনে করেন ঘুষ নেওয়া তেমন অন্যায় নয়, তার চেয়ে ধর্ষন অনেক বড় অন্যায়। তাই ঘুষ নেওয়াটাকে ধর্ষনের মতো অতটা গুরুত্ব না দিলেও চলবে। মানলাম। কিন্তু আমি যদি বলি এই ঘুষের কারণেই ধর্ষনের সংখ্যা বাড়ছে। আপনি বলবেন, 'কিভাবে'?

একটা ঘুষখোরের ছেলে জানে তার বাবা অন্যায় করে কামাই করছে। নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে শুরুতেই সে একটা কুলাংগার হওয়ার সহজ রাস্তা পেয়ে যাচ্ছে। পরিবার থেকে সে ভালো কিছু পাচ্ছে না। একটা ছোট অন্যায় (ধর্ষনের তুলনায় ঘুষটাকে ছোট বলা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে) আরেকটা বৃহৎ অন্যায়ের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে।

এখন কথা হচ্ছে এই ব্লগের কয়জন অামরা ঘুষটাকে অন্যায় মনে করি। এই জায়গাটাতেই প্রথম উন্নতি দরকার। এভাবে হাজারও ছোট ছোট অন্যায় অহরহ ঘটছে, যাকে আমাদের কুকাজ বলতে দ্বিধা হচ্ছে। আর এটাই আমাদেরকে আজকে এই ধবংসোন্মূখ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।

সকলেই আমরা একটা দম-বন্ধ সিস্টেমের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। নিজে আগে শুদ্ধ হই। বাবা-মা অন্যায় করলে নিষেধ করি। সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা দেই। এভাবেই একটি সু্স্থ বিবেকবান জাতির উদ্ভব ঘটবে। অার তাহলেই নিস্পাপ তনুদের আর দানবের থাবায় পিষ্ট হতে হবে না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৭

নেফার সেটি বলেছেন: "ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।"

৮৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

অরূপ সরকার বলেছেন:
শূণ্য থেকে এক আসে। তারপরে ২,৩,৪........ শুরু হয়। আপনি উঠে আসুন। প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, দিনের শেষে দেখবেন লাইনটা অনেক বড় হয়ে গেছে......

৯০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মোবাইল থেকে লগিন করলাম। একটু আগে ফেসবুকে আমার ওয়ালে লেখা কথা গুলোই তুলে দিচ্ছি। সব কথা হয়ত গুছিয়ে বলা হলো না।

" তনু মারা যায়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে এটাই সত্য এবং বাস্তব। কারা মেরেছে,কারা ধর্ষণ করেছে সেটা জানার অপেক্ষায় আমরা আর তাদের শাস্তি কি হবে সে অপেক্ষাতেও।

শুধু একটা শাস্তিই যথেষ্ট না। এরকম যাতে আর কারো সাথে না হয় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আইন করেই সব অপরাধের নির্মূল সম্ভব না, নিজের পশুত্বকেও জয় করতে হবে। সুযোগের অভাবে যে এখনো তথাকথিত " ভালো পুরুষ" "যে এখনো ধর্ষনের স্বাদ পান নি কিন্তু যে ধর্ষণ করতে চান এবং তা ভেবে অর্গ্যাজম সুখ পান " তাদেরকেও বলছি শুধুমাত্র আইনের শাসন আপনাদের সঠিক পথে আনতে পারবে না যদি না আপনার নিয়ত সাফ না হয়।

তনু নাট্যকর্মী তাই তনু খারাপ। হিজাবের নীচে আকাম করতো নিশ্চয়ই নাহলে ও ধর্ষিত হবে কেন? রাত করে বাইরে যায় কি এমনি এমনি? দিনে দিনে কাজ শেষ করতে পারে না? ও ফ্যাশন করতে হিজাব করত ---- এই সব কথা কিছু কুলাঙ্গারদের।

আরেক দল কুলাঙ্গাররা হিজাব আর বেপর্দা নিয়ে গলা ফাটাইতেছে। মূল কথা রেখে আব্লামি শুরু করেছে।

আমিও বাইরে যাই; দিনেও রাতেও। নিরাপদে ফিরতে পারবো কিনা ঘরে এই গ্যারান্টি নাই। তবুও বের হই। মাইয়া মানুষ যতই তেতুল(!!!!!) হোক, পর্দানশীল, বেপর্দা,পাগল হোক বের তো হতেই হবে ঘরের কাজে,প্রয়োজনে বা যে কোনো ইস্যুতে।

তনু হত্যাকারীদের প্রকৃত অপরাধীদের নাম আমাদের সামনে আসুক,তনুর হত্যা নিয়ে রিউমর বন্ধ হোক, হত্যা ক্যান্টনমেন্ট এর বাইরে হইছে না ভিতরে হইছে,হিজাবি মেয়ের হইছে না বেপর্দা মেয়ের হইছে এইসব ত্যানা প্যাঁচাইয়েন না দয়া করে। আমি রাস্তায় নাইমা স্ট্যাটাস দেই না এসি রুমে বইসা জ্ঞানি স্ট্যাটাস দেই এই কথাও জিগায়েন না। ন্যায় বিচার হোক। "

ত্যানা প্যাঁচাবার লোক সব জায়গাতে,সব ইস্যুতেই পাবেন। সেসব ইগ্নোর করে যান। সময়টা কারোই ভালো থাকবার মত না তবুও চাই সবাই নিরাপদে থাকুক, অন্যায় কারী আর কুচক্রীকারীরা বাদে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৪

নেফার সেটি বলেছেন: আমরা ত্যানা প্যাচাইতে একটু বেশিই পারদর্শী। একটা বিষয় বোঝানোর জন্য উদাহরণ দিলে একজন বলে হুজুর টানেন কেন, আরেকজন বলে ধর্মবিদ্বেষী, আরেকজন বলে ব্লগের পাতা গরম করতে আসছেন.... আর কতকিছু.....

৯১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

আহমদ ফয়েজ বলেছেন: ৭১ সালের গণধর্ষনের যদি বিচার হয়,
তাহলে বর্তমান সময়ে যত ধর্ষন হচ্ছে,
এই গুলার বিচার করা হচ্ছে না কেন?????
নাকি সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী,
এই ঘটনার সাথে জরিত।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪১

নেফার সেটি বলেছেন: একাত্তরের নির্যাতনকারী কাদের মোল্লার জন্য কান্নাকাঁটি করা ব্যক্তির কমেন্টের রিপ্লে দেওয়াটাই এই পোস্টের অপমান। ধর্ষণে সাহায্যকারী কসাই কাদেরের সম্মানিত সমর্থক যখন ধর্ষণের বিচার চাই তখন সেটা হিপ্রোক্রেসির চরম লেভেলও অতিক্রম করে ফেলে। আপনার মত কিছু ব্যক্তি আসলে বিচার না এইধরনের ইন্সিডেন্টগুলো থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের উপজাত খোজে।"

৯২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সবাই প্রতিবাদ করা চাই। সমাজ থেকে পশুরুপি মানুষদের উৎক্ষাত চাই। তুনুদের ভাগ্য যেন আর কোন বোনদের না হয় ।

৯৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৩

মুহাম্মাদ রাসলে উদ্দীন বলেছেন: স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই ধর্ষণের মত জঘণ্য অপরাধকে বন্ধ করার নীতিমালা দিয়েছেন! আতএব আমাদের মনগড়া আইন দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন....১। নারীরা যেন উড়না দ্বারা তাদের মুখমন্ডল ও বক্ষদেশ ডেকে রাখে, ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। ২। (হে নারীরা) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে, মূর্খতা যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করবে না। ৩। তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে কথা বলবে না, অন্যথায় সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করবে, যার আন্তরে ব্যাধী রয়েছে। ৪। মুমিন পুরুষগণ যেন তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।

এককথায়, শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, মেয়েদের বেপর্দা, অবাধ ও একাকী চলাফেরা বন্ধ করা, ইসলামী বিধানানুযায়ী ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব। ১০০% গ্যারান্টি!!

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩২

নেফার সেটি বলেছেন: পোস্ট না পড়েই কি মন্তব্য করলেন? আমি খুব সম্ভবত আরেকজনকে পাইলাম।

"১। নারীরা যেন উড়না দ্বারা তাদের মুখমন্ডল ও বক্ষদেশ ডেকে রাখে, ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না।"

সিরিয়াসলি? মুখ আর বুক ঢেকে রাখলে আমাদের চেতনাদন্ড উঠে দাড়াবে না? আর কোন মেয়ে ধর্ষণের শিকার হবে না? ঘুরে ফিরে সেই পোশাকতত্ব।

"২। (হে নারীরা) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে, মূর্খতা যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করবে না।

ধর্মীয় কুসংস্কারে ভোগা ধর্মান্ধদের মত ফতোয়া দিলেন নাকি? নারীরা ঘরের মধ্যে বসে বসে শুধু ফারসি আর উর্দু পড়বে?

ইসলামী বিধানানুযায়ী ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব। ১০০% গ্যারান্টি!!

সিরিয়াসলি সম্ভব? তো ইসলামী নিয়মানুসারে ধর্ষক দোষী প্রমাণ করার জন্য শুনেছি তিনজন না চারজন স্বাক্ষী দরকার হয়। প্রমাণ না করতে পারলে উল্টো মেয়েকে দোষী করা হয়। এইভাবেই কি ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে।

সবসময় ধর্ম সবকিছুর সমাধান নয়।

৯৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: লাইনটা বড় করতে চাই.!! আমি আছি পাশে.!! আমরা প্রতিবাদ করবই।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

নেফার সেটি বলেছেন: দিনের শেষ নয় সকালের শুরুতেই তাহলে একজন যোগ হয়ে গেল.....

৯৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:৫০

গুলামে আজীজ বলেছেন: তনু যেমন খুব সহযেই হারিয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে তেমনি হারিয়ে যাবে তনুর সম্ভ্রমহানি ও হত্যার বিচার, আর কেনই বা হারাবেনা বলুন, তনু তো প্রশাসনের কারো রিলেটিভ না। কোন ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরও বোন বা মেয়ে না। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির তনুরা এদেশে বাঁচার অধিকার নিয়ে জন্মায় না। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির তনুরা জন্মায় কেবল এদেশের শূয়োরসাবক কিছু ধর্ষকদের কাছে ধর্ষিত হতে আর নরপিশাচদের হাতে হত্যা হতে। ভাইয়া আপনার আমাদের আওয়াজ প্রশাসনের কানের ধারে কাছেও পৌঁছবেনা। আর পৌঁছালেও এর কোন বিহিত হবেনা। তনুদের বিচারের আন্দোলন কেবলই ব্লগে, ফেসবুকের ফিডে, প্রোফাইল পিকচারে অথবা টাইমলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিছুদিন পরে আবার সবাই সবার মত করে ব্যস্ত হয়ে পরবে যার যার কাজে। কার এত অঢেল সময় বলুন যে তনুর বিচার চাইবে। যদিও অনেক কষ্ট হয় এসব দেখতে বা শুনতে তবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। মাঝে মাঝে মনে চায় এসব নরপিশাচদের ছিঁড়ে খাই তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনা কারণ ক্ষমতা, প্রশাসন সব এখন তাদের।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

নেফার সেটি বলেছেন: সময় এসেছে স্রোত থেকে তনুদের তুলে আনার। প্রশাসনের সামনে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে।

৯৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২০

মৌলবাদী দেশপ্রেমিক বলেছেন: শুয়োরশাবক বলতে পেরে আপনি মনে হয় গর্বিত। কিন্তু একটু ভেবেছেন কী আপনারা আমরা যাদেরকে আধুনিক বলি, তারাই তো আমাদেরকে মানুষ থেকে পশুর স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। যাদের কাছে পশুর আচরণকে আধুনিকতা মনে হয় তাদের জন্য সব মহিলাই হোক মা কিংবা বোন , জৈবিক চাহিদা মেটানোর বস্তু। আধুনিকতা কেমনে পাশবিকতা হয় জানতে চাইলে বলব।
মানুষ মানুষের প্রভু হলে মানবিকতা চলে গিয়ে পাশবিকতা জয় হয়।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

নেফার সেটি বলেছেন: আপনাকেও মানুষ থেকে পশুর স্তরে নামিয়ে ফেলেছে! আপনারও কি ধর্ষক হতে মন চায়? বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলে বুঝতে সুবিধা হয়।

৯৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

আহমদ ফয়েজ বলেছেন: কাদের মোল্লা যে ধর্ষন করেছে তার কি কোনো প্রমান আছে?????
না নেই এই সব হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতি হিংসা,
কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর পেলাম না????
আজ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে হারে ধর্ষন বারছে,
সব সোনার ছেলেদের কারনে হচ্ছে।
কই সোনার ছেলেরা দিনে দুপুরে ধর্ষন করে মিষ্টি বিতরন করে,
তাদের বিচার হচ্ছে না কেন???
নাকি এটাই মুজিবের স্বপ্ন ছিল।
আর শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

নেফার সেটি বলেছেন: ফাসিটা কি উড়ে উড়ে হলো? ওহ দুঃখিত আপনাদের তত্ব অনুযায়ী তো আবার এই কাদের মোল্লা সেই কাদের মোল্লা নয় :)

আপনাদের ত্যানা প্যাচানোর জন্যই মূল বিষয় থেকে বারবার সরে যাচ্ছি। আপনারাও এটাই চান

সোনার ছেলেরা ধর্ষণ করলে সেটা যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পর্যন্ত চলে যায় তবে কোন মুসলিম বা মসজিদের ইমাম যদি ধর্ষণ করে সেটাকে কি সৃষ্টিকর্তা বা কোন প্রফেটের স্বপ্ন বলা যাবে?

কোন কিছু বলার আগে খেয়াল করে বইলেন।

৯৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টা জটিল স্তরে চলে গেছে।
এর জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যেমন দায়ী, রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা কম দায়ী নয়। যে দেশে মন্ত্রী নারী নির্যাতনকে (১লা বৈশাখ) এটা কিছূ নয় বলতে পারে সেই দেশে ধর্ষন যে অশংকাজনক বাড়বে তা বিশেষজ্ঞ না হয়েও বলা যায়!
নারীবাদীদের পক্ষ দেখে আন্দোলন আর পক্ষ দেখে নিরব থাকাও একটা বাজে উপসর্গ।

সবই দূর হওয়া দরকার। সবই বদল হওয়া দরকার। দরকার নারীদের জন্য নিরাপদ একটা দেশ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

নেফার সেটি বলেছেন: ছোট ছোট অনেকগুলো বিষয় মিশে এটাকে বড় স্তরে নিয়ে চলে গেছে। এই ছোট ছোট সব বিষয়ের পরিবর্তন করতে হবে।

৯৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: শুধু শিরদাঁড়া নয় বিশেষ অঙ্গও খাঁড়া আছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

নেফার সেটি বলেছেন: ওটা খাড়া না থাকলে তো পুরুষত্বের পরিচয় প্রকাশ পাবে না।

১০০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মারা গেলে বোন আর বেঁচে থাকলে মাল। নারী মা , নির্যাতনে জর্জিত মা সন্তানের ভবিষ্যত আশংকায় হত্যা করছে। যদি সমাজ টিকিয়ে রাখতে হয় তবে অবশ্যই এই দৃষ্টি ভঙ্গি বদলাতে হবে। নারী যদি হন্তারক হয় তবে কিন্তু অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সাধু সাবধান নারীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

নেফার সেটি বলেছেন: "নারী যদি হন্তারক হয় তবে কিন্তু অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সাধু সাবধান নারীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে।"

এই ভয়টা অনেক আগে থেকেই পাই। হয়তো একদিন তারা আর ধর্ষক জন্ম দিতে চাইবে না।

১০১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

মুহাম্মাদ রাসলে উদ্দীন বলেছেন: "ধর্ষককে দোষী প্রমাণ করার জন্য শুনেছি তিনজন না চারজন স্বাক্ষী দরকার হয়"- কথাটি সম্পুর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট। ধর্ষণের এমন বিধান ইসলামে নেই। বরং প্রচলিত সাক্ষ্য, প্রমাণের ভিত্তিতে ইসলামের বিধান কার্যকর করা যাবে।

আপনার আমার সৃষ্টিকর্তার বিধানকে অস্বীকার করবেন না!! যিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই ভাল জানেন কোন বিধানের দ্বারা মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। এমনটি ভেবেন না যে, আপনার থেকে সৃষ্টিকর্তা কম বুঝেন। মনে রাখবেন, আপনাকেও তিনিই সৃষ্টি করেছেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

নেফার সেটি বলেছেন: দই দুধ থেকেই হয় মাখন থেকে নয়। প্রচলিত আইন দিয়ে শরিয়া আইন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে?

১০২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সাইফ হাসনাত বলেছেন: তনুর আগে যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাদের বিচার কে চাইবে? আগামীকাল আরো এক তনু বের হবে। আমরা আবার হাহাকার শুরু করবো।

তনু হত্যার বিচার হোক বিচারহীনতার বিরুদ্ধে আমাদের গণআন্দোলন। আগের কোনো ধর্ষণের ঘটনায় যদি ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হতো। জনসম্মুখে বিচার হতো, তাহলে তনুর মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে আমাদের কাঁদতে হতো না। কাম টু দ্য পয়েন্ট। বিচারহীনতার বিচার চাই। যাদের কারণে এই পরিস্থিতিতি, তাদের বিচার চাই চলুন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

নেফার সেটি বলেছেন: একজন মাথা ব্যাথার ঐষধ খেলে একজনের মাথাব্যাথা ঠিক হয়ে যায় সবার নয়। আমিও চাই বিচারটা হোক। সব কয়জন তনুর জন্য বিচার চাই। কিন্তু বিচার হলে শাস্তি পেলেই যে সমস্ত ধর্ষক ঠিক হয়ে যাবে এটা তো ভুল ধারণা। তবে তো বহুৎ দেশেই জেলখানা পুলিশ উঠে যেত।

প্রত্যেকটা ধর্ষণের বিচার চাওয়ার সাথে সাথে আমাদের নিজেদেরকেও পরিবর্তন করতে হবে। আপনি কি জানেন তনু হত্যার বিচার চাওয়াদের মধ্যেও ভবিষ্যৎ ধর্ষক আছে। আমাদের প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। খুব প্রয়োজন।

১০৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: vai cantonment nirapod elakay.....ghotonata ghotse CCA te NOt CC a.Cantonment area and cantonment is a vinno jinish.....

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

নেফার সেটি বলেছেন: ভিন্ন জিনিসটার মধ্যে কি খুব পার্থক্য? ক্যান্টনমেন্টের বাইরে অনেক দূর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর দখলে থাকে। তাদের চেকপোস্ট থাকে, গার্ড থাকে, টহল গাড়ী থাকে, সিসি ক্যামেরা থাকে। পার্থক্য খুব বেশি থাকে না।

১০৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

Enigmatic jihad বলেছেন: আমার ইচ্ছা করছে , এখনই ওই হায়েনাদের ক্রস ফায়ার করে মেরে ফেলি, টুঁটি ছিড়ে ফেলি ওদের, রাস্তার কুকুরকে দিয়ে খাওয়াই ওদের অপবিত্র মাংস। কিন্তু, আমিও অসহায়, আমিও বাঙ্গালী। আমরা ভীতু, কাপুরুষ। বাংলার যেই বীর সন্তানদের আমরা চিনি, যারা রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করে গিয়েছিলো, স্বাধীন করেছিলো আমাদের স্বাধীনতার জন্য, আমাদের মা, বোনদের নিরাপত্তার জন্যে, সেই বাংলার বীর সন্তানেরা মারা গেছে। মারা গেছে বাঙ্গালীর বীরত্ব। এখন বাঙ্গালী কাপুরুষ। বিবেকহীন আমরা, আসলেই আমাদের মানবিকতায় ধুলো জমে গেছে। আর পোষাকের বা নারীর দোষ ধরে নিজেকে আর কাপুরুষ প্রমাণ করবেন না। যদি পারেন, প্রতিবাদ করেন, নয়ত হাতে চুরি পরে ঘরে বসে থাকুন। অনেক সহ্য করেছি আর না। আসুন, রাজপথে দেখা হবে আপনার সাথে। এই সস্তা লেখালেখি ছাড়াও আমরা আরো অনেক কিছু করতে পারি, আসুন দেখিয়ে দেই। দেখিয়ে দেই বিশ্বকে বাঙ্গালী কাপুরুষ ন।।।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০

নেফার সেটি বলেছেন: জানি এটা সস্তা লেখালেখি। কারণ আমি কোন সেলিব্রেটি নই। আমি সময়মত রাজপথে চলে যায়।

১০৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

খালিদ হোসাইন বলেছেন: মেয়েটার ছবি দেখলেই খুব খারাপ লাগছে :(

১০৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১০

ছাসা ডোনার বলেছেন: ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বাইরে থেকে এসে কেউ এই কাজ করে নাই, তাই প্রকৃত ধর্ষক খুনী ওখানে খুঁজলেই পাওয়া যাবে।আমাদের দেশে এই সব ধর্ষক ইফটেজারদের ধরে প্রকাশ্যে গুলি করা হোক।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

নেফার সেটি বলেছেন: ওদের ধরে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।

১০৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১২

কাজী! বলেছেন: যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলেছেন।
তবে এখন পেচাপেচি বন্ধ করে...
আমাদের উচিত যারা এই মুহুর্তে ব্লগে ধর্মীয় যুক্তি,বিচার বিরোধী যুক্তি দেখায়,দোষ-গুনের অংক কষছেন তাদের আগে শায়েস্তা করা।
কোন মহান নারীর গর্ভে তাদের জন্ম দেখে নেওয়া উচিৎ।মনে দুই একজন তনু ধর্ষক এই এখানেও পাওয়া যাবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

নেফার সেটি বলেছেন: সেটা আমিও জানি। এই কমেন্টবক্সেও দুই একজন ধর্ষক আছে। যারাও সুযোগ পেলে কোন তনুর উপর ঝাপিয়ে পড়বে।

১০৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: vai andaje kotha bolbenna....ami savar thaki savar cantonment areay parayoi jai......savar cantonment areay amn je ata road er pashe obosthito.....orthat highway er pash theke cantonment area suru hoy.....apnak ratre jodi keu mere feleo dey keu ter pabena cause alakata khub nistobdo...manusher oposthiti khub kom...ami kono somy savar cantonment area visit korle bujhten....andaje armyre dosharop na kore wait koren...todonto cholche....bdr tragidy er kta janen....todonte k doshi beriye esheche.....ata o ber hobe....shotto hidden thake na

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

নেফার সেটি বলেছেন: আর্মিরে দোষারোপ করা হয় নি। তনুকে যেখানে পাওয়া গেছে তার পাশেই চেকপোস্ট ছিল। ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় সংঘটিত অপরাধে অবশ্যই আর্মি আসবে। সিভিলিয়ানরা ওখানে গিয়ে অপরাধ করতে পারে। তো সেই অপরাধীকে খুঁজতে অবশ্যই আর্মিকে সাহায্য করতে হবে। আর সব ক্যান্টনমেন্ট আপনার সাভারের ক্যান্টেনমেন্ট এরিয়ার অনুরূপ নয়। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে যশোর ক্যান্টনমেন্ট হেটে যেতে এক মিনিট লাগে। এবং প্রতিদিন একবার করে হলেও ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় যায়। তো আমাকে ক্যান্টেনমেন্ট এরিয়া সম্পর্কে জ্ঞান না দিলেও চলবে।

১০৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

জনৈক শ্রেয়াস বলেছেন: পাসন্ডদের ধরে গুলি করে মারা হোক

১১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

মাকছুদুল অালম খন্দকার েখারেশদ বলেছেন: তনু মরেনি,মরেছে বিবেক
--মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ

তনু মরেনি,মরেছে বিবেক
মরেছে লোক লজ্জা
নীতি হীনতা খুবলে খাচ্ছে
রক্ত অস্থি মজ্জা।

মেধাবী ছিল সোহাগী তনু
হৃদয় ছিল সাচ্চা
খুবলে খেল সন্তান আমার
কোন শুয়োরের বাচ্চা?

ধর্ষক ছিল পাক হানাদার
এখন করে কারা?
তারাই এখন পাকি দানব
ক্ষমতায় আছে যারা।

ধর্ষণ এখন ডাল ভাত
বিচারহীন দেশ
ধর্ষকরা সব সোনার ছেলে
আছেন ভাল বেশ!

কোথায় বাচবে সন্তান আমার
চারদিকে ধর্ষকের ঘাটি
দেশে এখন আর নিরাপদ নাই
এক ইন্চি মাটি।

রক্ষা করবে জান মাল
কথা ছিল যাদের
তারাই নাকি ধর্ষণ করে
কন্যা জায়া মা’দের।
--------------------------------
নারায়নগন্জ্ঞ,২৫/০৩/২০১৬ইং।

গত ২০শে মার্চ ২০১৬ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্সের ছাত্রী ও কুমিল্লা সেনানিবাসের চতুর্থ শ্রেনীর সিভিলিয়ান কর্মচারীর কন্যা সোহাগী জাহান তনু সন্ধ্যায় সেনানিবাস এলাকায় প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে নিখোজ হন।নিখোজের তিন ঘন্টা পরে তনুর বিব¯্র ও রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায় সেনানিবাস এলাকায় কালর্ভাটের নীচে।প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে দেশবাসী জানতে পারে।

১১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

বিদগ্ধ বলেছেন: ঘৃণা জানাই।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১

নেফার সেটি বলেছেন: অন্তর থেকে ঘৃণা জানাই।

১১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: idea dicchina just bolci

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০

নেফার সেটি বলেছেন: ঠিক আছে।

১১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: এতদিন পেরিয়ে যাবার পর আজ নিউজ চ্যানেল সংবাদে বলেছে। সংবাদপত্রেও এসেছে। এ কয়দিন কারা সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চাইল জানতে চাই। অপরাধীদের পরিচয় অজানা থেকে গেলে সেটা খুব বাজে হবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৭

নেফার সেটি বলেছেন: মন থেকে চাই তনু হত্যার আসামীরা যেন পদ্দার আড়ালে না থেকে যায়।

১১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা বলেছেন: এই খানে পক পক না কইরে স্কুল কলেজ গুলাতে গিয়ে ক্যাম্পেইন করলেই তো পারেন।আপনার কি মনে হয় সামুর লোকজন এইসব রেপের সাথে জড়িত? <_< আজাইরা কোথাকার

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

নেফার সেটি বলেছেন: সামু কি শুধু আপনার কবিতা লেখার জায়গা নাকি? জানতাম না আপনি সামু ইজারা নিয়ে ফেলেছেন। তো আপনিও তো কমেন্টে পকপক না করে পোস্টটা পড়ে একটা স্কুল কলেজে ক্যাম্পেইন করতে যাইতে পারতেন। ও দুঃখিত আপনি চলে গেলে সামুতে লিখতে বসবে কে!

১১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: তনু হত্যার সাথে যারা জড়িত, সেই হত্যাকা্রীদের হত্যা করতে হবে। আমি আর আইনের উপরে ভরসা কোনোভাবেই করতে পারি না। এই সব বিষাক্ত ক্যান্সারের একটাই ঔষধ , স্পেশাল ফোর্স দিয়ে এদেরকে মেরে ফেলতে হবে মারার আগে একবার এদেরকে জাতির সামনে দেখানো হোক। X( X(

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৫

নেফার সেটি বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

১১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

গুপ্তচর দুরবিন বলেছেন: আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে।
মেয়েরা কি মানুষ নাকি ভোগ্যপণ্য....???
বর্তমানে বাংলাদেশ এ তারা যেরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে , যেভাবে নীরবে ধর্ষিত হয়ে যাচ্ছে, যেভাবে নরপশুদের লালসার স্বীকার হয়ে যাচ্ছে তাতে করে তো তাদের কে ভোগ্যপন্যই মনে হচ্ছে.?

বাংলাদেশ তো স্বাধীন হয়েছে.....
তা কি শুধু ছেলেদের জন্যেই???
মেয়েরা কি প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা পেয়েছে??
যদি পেয়েই থাকতো তাহলে তারা কেন আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে?
কেন বাবা - মা গুলো তাদের মেয়ে সন্তানগুলো কে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি তে পাঠিয়ে একটু ও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না?
কেন সারাটি ক্ষন তাদের সন্তানের ব্যাপারে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়???
স্বাধীন দেশে কেন আজ তনু আপুর মতো মেয়েরা বাসা থেকে জীবিত বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরে?
এমন স্বাধীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম যেখানে মানুষ গড়ার কারিগর ( শিক্ষক) কতৃক প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হয় তার সন্তানতুল্য ছাত্রী।?????



জানি হয়তো সারাক্ষণ প্রশ্নই করে যেতে পারবো কিন্তু উত্তর পাবো না. ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৯

নেফার সেটি বলেছেন: আপনিও তো আমার মত প্রশ্নই রেখে গেলেন। কিন্তু ধর্ষকরা কই! তাদের যে উত্তর দিতে হবে।

১১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: তনু হত্যাকারী সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে কঠোর সাজা দেয়া হোক। এদের পরিচয় জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক। দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই যেন ভবিষ্যতের অপরাধীরা পরিনতি দেখে আতকে উঠে। X( X(

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩২

নেফার সেটি বলেছেন: ধর্ষণের কথা যেন মনে উঠলেও শাস্তির কথা ভেবে শিউরে ওঠে।

১১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

লীলা চক্রব্ত্তী বলেছেন: আজ আমরা কত অসহায়, দিনের পর দিন মেয়েদের ওপর শুধু অত্যাচার হয়েই চলেছে। জানিনা এর শেষ কোথায়? সকালে পেপার খুলতে ভয় করে, কিজানি আরো কত কঠিন খবর পড়তে হবে...। গুরুদেব দয়া কর। তুমি ভিন্ন গতি নাই।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

নেফার সেটি বলেছেন: গুরুদেব আর কত দয়া করবে! নিজেদের যে এবার একটু নড়েচড়ে বসতে হবে।

১১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

মরুবিজয় বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক

১২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২০

মাসূদ রানা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টা জটিল স্তরে চলে গেছে।
এর জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যেমন দায়ী, রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা কম দায়ী নয়। যে দেশে মন্ত্রী নারী নির্যাতনকে (১লা বৈশাখ) এটা কিছূ নয় বলতে পারে সেই দেশে ধর্ষন যে অশংকাজনক বাড়বে তা বিশেষজ্ঞ না হয়েও বলা যায়!
নারীবাদীদের পক্ষ দেখে আন্দোলন আর পক্ষ দেখে নিরব থাকাও একটা বাজে উপসর্গ।

সবই দূর হওয়া দরকার। সবই বদল হওয়া দরকার। দরকার নারীদের জন্য নিরাপদ একটা দেশ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নেফার সেটি বলেছেন: সবই দূর হওয়া দরকার। সবই বদল হওয়া দরকার। দরকার নারীদের জন্য নিরাপদ একটা দেশ।

১২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

এস বি সুমন বলেছেন: তনু হত্যার ,হত্যাকারিকে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তি দাবি করছি

১২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

আমি কি মানুষ বলেছেন: আজকে একজন বলল তন হত্যার বিচার নাকি হবে না। কেন জিজ্ঞেস করলে ? সে বলে, সে নাকি জামাত শিবির মর্তাদর্শে বিশ্বাসী, সে মহিলা শিবির। সে খানে তনুর লাশ পাওয়া যায় সে খানে একটি সিসি ক্যামেরা ছিল কিন্তু সিসি সেই দিনের কোন ভিডিও সিসি ক্যামেরাই নাই। হায় ! হায়! .............................হায়! আমার বোন, ভাগ্নী, ভাতীজী তাদের জীবন কি নিরাপদ!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

নেফার সেটি বলেছেন: উদ্ভট যুক্তি মানুষকে বিভ্রান্ত করে। উদ্ভট যুক্তি দিবেন না।

১২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

পুলক ঢালী বলেছেন: গতকাল লেখাটা পড়েছি কিছু মন্তব্যও দেখেছি ভাবছিলাম কিছু লিখবো কিনা। গতকালই পত্রিকায় দেখলাম চট্টগামে একজন নারী ডাক্তারকে একজন অটোচালক অন্য উদ্দেশ্যে অন্য পথে নিয়ে যাচ্ছিলো। ব্লগে অনেক গুনীজনরা আছেন আপনারা এর ব্যাখ্যা দিন। আমি খুবই নগন্য মানুষ, এখানে মন্তব্য করতে ভয় পাচ্ছি, তারপরও সাহস সঞ্চয় করে কয়েকটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে। আমাদের বোধ বুদ্ধি জ্ঞান কোথায় নামলে একজন অটোওয়ালা (তার Social status কোন পর্যায়ে?) একজন ডাক্তারকে ধর্ষন করার কথা ভাবে (এখানে চিকিৎসক নয় নারীই প্রধান বিবেচ্য বিষয়)? ঢাকার দক্ষিনখানে কেন একজন ওয়ার্ডবয় একজন মহিলা চিকিৎসক কে আক্রমন করেছিলো? আমাদের মেধা জ্ঞানবুদ্ধি কোন পর্যায়ে নেমেছে যে আমরা সমাজকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারছিনা? এজন্য একজন রিক্সাওয়ালা একটি ভার্সিটির মেয়েকে টিজ করার সাহস দেখায়,তাকে শিক্ষিত মানুষের প্রতি সম্মান দেখানোর সামাজিক প্রথা শেখানো হয়নি, আমরা সাধারন মানুষ বিবাদ এড়াতে পাশ কাটাতে কাটাতে এখন এসব ঘাড়ের উপর এসে পড়ছে।তাহলে পেশাজীবি গার্মেন্টসের মেয়েদের কি দুরোবস্থা ভেবে দেখুন। আসল সমস্যা মেয়েদের সম্মান দিয়ে মানুষ ভাবতে না পারা। পোষাক আষাকের প্রসঙ্গ তোলা বাতুলতা মাত্র।
একজন পাঠক বলেছেন সেক্স ওপেন করে দিতে, আমি একমত, কিন্তু আমাদের সামাজিক রীতি ও সংস্কৃতির সাথে এটা সামন্জস্যপূর্ন নয়। তাহলে উপায় কি? মানুষ বাদ দিন, প্রানী জগৎের দিকে তাকালে দেখি ব্রীডিং সিজনে, মেয়ে প্রানীর দখল নিতে পুরুষ প্রানীদের মধ্যে প্রচন্ড প্রতিযোগীতা, যেটা মাঝে মাঝে মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায় । এখন ভাবুন এর কারন কি? আসলে ঐ সময় যৌন হরমোন ওদেরকে পাগল করে দেয়, আমরা মানুষ কি এর বাহিরে? অবশ্যই না। মনোবিদরা ভাল বলতে পারবেন অবদমিত যৌনাকাংখা মানুষের মনোবৈকল্য ঘটাতে পারে কিনা, মানুষের মানবিক গুন বা বিবেকের তাড়নাকেও অতিক্রম করে মানুষকে পিশাচ বা খুনীতে রূপান্তরিত করতে পারে কিনা ? মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আহার, নিদ্রা, তৃষ্ণা মেটানোর মত প্রাপ্ত বয়ষ্কে যৌনাকাংখা পূরন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে কি তা সম্ভব? অনেক ফ্যাক্টরের কারনেই তা সম্ভব নয়। সব ব্যাধিরই চিকিৎসা প্রয়োজন, পূর্বে সামাজিক প্রয়োজনেই পতিতালয় ছিলো। ওগুলো উচ্ছেদ করে সামাজিক সমস্যা তৈরী করা হলো কিনা ভেবে দেখা দরকার। ওগুলো উচ্ছেদ হলেও পতিতাবৃত্তি কিন্তু এখন বন্ধ নেই। পরিবারে মেয়ে এবং ছেলের অবস্থান সমান করতে হবে, ছেলে, বংশ রক্ষা করবে এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,উত্তরাধীকার আইনে ছেলে এবং মেয়ের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলে হয়তো একটি ছেলের প্রত্যাশায় সাতটি মেয়ে জন্ম দেবার প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। ছেলে এবং মেয়ের সহশিক্ষা প্রয়োজন সেই একেবারে বাল্যকাল থেকে সব পর্যায়ে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১

নেফার সেটি বলেছেন: পরিবারে মেয়ে এবং ছেলের অবস্থান সমান করতে হবে, ছেলে, বংশ রক্ষা করবে এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,উত্তরাধীকার আইনে ছেলে এবং মেয়ের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলে হয়তো একটি ছেলের প্রত্যাশায় সাতটি মেয়ে জন্ম দেবার প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। ছেলে এবং মেয়ের সহশিক্ষা প্রয়োজন সেই একেবারে বাল্যকাল থেকে সব পর্যায়ে।

১২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

মেহবুবা বলেছেন: আজ ছাব্বিশে মার্চ।আমাদের অতি প্রিয় এই দিনে এমন বিষয়ে মন্তব্য করতে হচ্ছে বড় অসহায়, করুণা জাগছে নিজের জন্য।
নরপিশাচদের ধরে উম্মুক্ত স্থানে কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে । পরবর্তীতে কেউ এমনটা করতে চাইলে যেন শাস্তির ভয় মনে আসে ।
এইসব নরপশুদের প্রশয় দেয় যে পরিবার, যে প্রতিষ্ঠান, যে সমাজ ধিক্কার তাদের; তাদের ক্ষতি কেউ রুখতে পারবে না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

নেফার সেটি বলেছেন: একদিন আলো আসবেই। কিন্তু দেরি হলে ক্ষতি হয়ে যাবে।

১২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

তাসজিদ বলেছেন: চারিদিকে অন্ধকার।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

নেফার সেটি বলেছেন: আলো চাই। অনেক আলো।

১২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১

আবু মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন: কিছুই বলার নেই!আমাদের অন্ধকার গ্রাস করে ফেলতেছে॥এর থেকে বেড়িয়ে আসতা হবে!তার জন্য অবশ্যই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদের ঝর তুলতে হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

নেফার সেটি বলেছেন: আসুন প্রতিবাদ করি।

১২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: তনু হত্যাকান্ড, নেপথ্যে কি সেনাবাহিনী? কিছু সংশয় এবং প্রশ্ন-
'

অনেকের মতো প্রথমে আমারও ধারনা হয়েছিলো তনুকে ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ডের সাথে সেনাবাহিনীই জড়িত।
এইরকম ধারনা জন্মাবার পেছনে কয়েকটি কারন অবশ্য আছে।
১) তনুর লাশ যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো, এলাকাটি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পভুক্ত।এরকম একটি 'নিশ্চিদ্র' এবং 'মোষ্ট সিকিউরড' এলাকায় সাধারন জনগনের অবাধ যাতায়াতের কথা না।সেখানে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে, তাকে যথাযথ কারন, নাম,ঠিকানা,পেশা এবং পরিচিত কোন আর্মি অফিসারের বরাত দিয়েই প্রবেশ করতে হবে।সেখানে যখন এরকম একটি ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো, সন্দেহের তীর সেনাবাহিনীর দিকে যাওয়াই স্বাভাবিক।
'
২) তনুর ভাই তার খালাতো বোনের বরাত দিয়ে বলেছে, 'কোন এক আর্মি অফিসার তনুকে বিরক্ত করতো।'
এখান থেকে কিছুটা সন্দেহ আসছে যে, এই ঘটনার পেছনে সেই সেনা কর্মকর্তা জড়িত নয় তো?
'
৩) তনুর হত্যাকান্ডটি ঘটেছে সেনানিবাসস্থ এলাকায়।কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।তাদের নীরবতা তাহলে কি প্রমান করে?
'
৪) তনুকে ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ড নিয়ে দেশের মেইনষ্ট্রিম প্রিন্ট মিডিয়া নীরব কেন? তারা কাদের অপরাধ ঢাকতে চায়?
'
উপরোক্ত সন্দেহগুলো থেকে এই ধর্ষণ এবং হত্যাকান্ডটি নিয়ে সেনাবাহিনীর দিকে আঙুল উঠা স্বাভাবিক।
তবে,সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করার আগে আমি মনে করি আমাদের আরেকটু ভাবার যথেষ্ট দরকার আছে।
দরকার আছে, কারন-
১) দেশের অন্যান্য সেনানিবাস আর কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে একটি বেসিক পার্থক্য আছে।
পার্থক্যটি হোলো, - দেশের অন্যান্য সেনানিবাসগুলোতে প্রাইভেসি যতোটা জোরালো, কুমিল্লা সেনানিবাসে তারচেয়ে কিছুটা দূর্বল। কারন, এটির ভৌগলিক অবস্থানের কারনেই এটা সম্ভব না।কুমিল্লা সেনানিবাসের গা ঘেঁষেই অনেক পাবলিক স্থাপনা, দোকান-পাট, বাজার ইত্যাদি রয়েছে।
এমনকি, কুমিল্লা সেনানিবাসের বুক ছিড়েই চলে গেছে 'ঢাকা-চিটাগং' এবং 'সিলেট-চিটাগং' মহাসড়ক।
স্বাভাবিক কারনেই, দেশের অন্যান্য সেনানিবাসের চেয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে সাধারন জনগনের অবাধ যাতায়াত কিছুটা নয়, বরং অন্যগুলোর তুলনায় অনেক পরিমানেই বেশি।
এখন, যে সেনানিবাসে এরকম সাধারন জনগনের অবাধ যাতায়াতের বাঁধাদানে কিছুটা শীথিলতা অবলম্বন করা হয়, সেখানে একটি ধর্ষণ এবং হত্যার দায় আমরা একচেটিয়াভাবে সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়ে দিতে পারিনা।
'
২) তনুর খালাতো বোন বলেছে, এক সেনা কর্মকর্তা তনুকে বিরক্ত করতো।
তনুর খালাতো বোনের এরকম জবানবন্দি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়।
কারন, তনুর বাবা নিজেও সেনানিবাসের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি।তারা থাকেও সেনানিবাসের মধ্যে একটি টিন-শেড ঘরে।এমতাবস্থায়, কোন সেনা কর্মকর্তা যদি কখনো তনুকে বিরক্ত করতো,তাহলে ব্যাপারটি তনু নিশ্চয় কোন না কোন সময় তার বাবাকে জানাতো।আর তার বাবাও নিশ্চয় ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমপ্লেইন করতো এবং এর রেকর্ডও থাকতো।কিন্তু এসবের কিছুই জানা যাচ্ছেনা। তাই, এই সময়ে বসে তার খালাতো বোন কি বলছে, তা কোনমতেই কাউকে দোষী বলার জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, তার বাবা হয়তো চাকরি যাবার ভয়ে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশ করার সাহস পায়নি।
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, সেনাবাহিনীতে নিয়োজিত কোন চাকরিজীবীর (সে যে শ্রেণীরই হোক না কেন) চাকরি কোন সাধারন সেনা কর্মকর্তার মর্জি,ইচ্ছা,ভালো লাগা মন্দ লাগার উপর মোটেই নির্ভর করেনা। আর এই ব্যাপারটি তনুর বয়স্ক,অভিজ্ঞ পিতারও জানার কথা।
'
৩) তনুর ধর্ষণ এবং তদপরবর্তী ঘটনা নিয়ে এখনো কেনো সেনাবাহিনী নিশ্চুপ, সে ব্যাপারে অনেকেই সন্দেহ করছে।
যারা এই সন্দেহ করছে তারা হয়তো জানেনা যে, সামাজিক/গন যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আমাদের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি অন্যদের তুলনায় অনেক কম।
তারা এরকম কোন ঘটনার পর অফিসিয়াল বিবৃতি, শোক/দুঃখ প্রকাশ এসব করেনা।
আর, ঘটনা তদন্তের দায়ভার পুলিশ কাঁধে নিয়েছে।এমতাবস্থায় প্রমান ছাড়া আমরা কাউকেই গড়পড়তা হারে দোষী বলে চালিয়ে দিতে পারিনা।
যারা বলছে, 'সন্দেহের তীর যেহেতু তাদের দিকে',
আরে ভাঈ, সন্দেহের তীর তাদের দিকে এটি আমি আর আপনি ভাবছি।আমাদের ভাবনা কি ১০০ ভাগ সত্য? আর, আমরা যে সেনাবাহিনীর দিকে আঙুল তুলছি তা হয়তো তারা জানেও না।জানবেও না যতক্ষন পর্যন্ত মূলধারার মিডিয়া ঘটনাটা তাদের কাছে ওইভাবে না পৌঁছাবে।
এখন মিডিয়া তো আপনার বা আমার মতো আবেগপ্রবণ হয়ে সেনাবাহিনীকে দোষী বলে দিতে পারেনা। এরজন্য যথেষ্ট প্রমান চাই।
'
এবার একটু অন্যভাবে ভাবা যাকঃ

আচ্ছা, যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নিই যে, এই ঘটনায় সেনাবাহিনী জড়িত,
তাহলে, আপনি কি মনে করেন এরকম কিছু করার পর সেনাবাহিনী তনুর লাশটিকে এরকম ওপেন প্লেসে ফেলে রেখে যাবে?
এইটুকু কমনসেন্স কি সেনাবাহিনীতে কর্মরত এরকম উচ্চপদের সৈনিকদের নেই?
তনুর লাশ যে স্থানে পাওয়া যায়, তার একটু দূরেই তার কিছু ছেঁড়া চুল পাওয়া গেছে।
এখান থেকে বোঝা যায় যে, তাকে খুব নির্যাতন করেই ধর্ষণ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনীর মতো এরকম চৌকস সেনারা কি কোনভাবেই কোন এভিডেন্স আশ-পাশে রেখে যাবে? এত কাঁচা কাজ তারা করবে?
'
আচ্ছা, এখানে একটি 'পলিটিক্যাল গেইম' চলছে না তো?
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা লোপাটের ঘটনায় সরকার এমনিতেই বেকায়দায়।
গভর্নর বরখাস্ত হয়েছেন। সরকার বেশকিছু ইস্যু সামনে এনে এই ব্যাংক লোপাটের ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে।এরমধ্যে, বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস সনাক্ত ইস্যু, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রায়, কয়েকটি কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ ইস্যু অন্যতম।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ এবং আরাফাত সানীকে ICC কর্তৃক হঠাৎ ব্যান ইস্যুও এর মধ্যে ধরা যায়।
কিন্তু কোন ইস্যুই ব্যাংক ডাকাতির ইস্যুটাকে ধামাচাপা দিতে পারেনি।তাই সরকারের দরকার ছিল এমন কোন রগরগা ইস্যু, যা সহজেই ব্যাংক ডাকাতির ইস্যু থেকে জনগনের চোখ সরিয়ে আনতে পারবে।
তাহলে কি তনুকে রাজনৈতিকভাবে বলি হতে হোলো? ভাবুন।
'
আরেকভাবেও ঘটনাটির একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়ঃ

কয়েকদিন আগে একটি গুঞ্জন উঠলো যে,
'দেশের সেনানিবাসগুলোকে সরকারি আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব উঠেছে মন্ত্রীসভায়।'
এটি হোলো আমাদের সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি দলীয়করন করার পাঁয়তারা।
সেনানিবাসগুলোকে যদি সরকার তাদের আওতায় নিয়ে পরিচালনা করতে পারে, তাহলে কি ঘটবে ভাবতে পারছেন?
কিন্তু এই ব্যাপারে অন্য তিন বাহিনীর মতামত ভিন্ন ভিন্ন বলে ব্যাপারটি আপাতত ধামাচাপায় পড়ে গেছে।
এমতাবস্থায় সরকার যেকোন মূল্যে সেনাবাহিনীর ভিতর এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়ে কি বোঝাতে চাইলো- 'সেনাবাহিনীর মধ্যে নৈতিক এবং মানবিক মূল্যবোধের ঘাটতি হয়েছে।নিজেদের সুরক্ষা এবং রিজার্ভড এলাকায় জনগনের সুরক্ষার ব্যাপারেও তারা উদাসীন।তাই এই মুহূর্তে সেনানিবাসগুলো সরকারি আইনের আওতায় আনাটা জরুরি।'
'
সরকার কি সেনাবাহিনী কে তাদের কব্জায় নিয়ে নিতে এই গেইম খেলছে না?
আরেকটি ব্যাপার, এই ঘটনা আমাদের মেইনষ্ট্রিম প্রিন্ট মিডিয়া চেপে যাচ্ছে।
তারা কি আসলেই চেপে যাচ্ছে না তাদের চেপে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে, যাতে করে সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারন নাগরিকের এই সন্দেহ সংশয় চরমে উঠে ক্ষোভ এবং একটি অঘটন ঘটানো যায়, এজন্যে?
'
আমরা আরো খেয়াল করেছি, শাহবাগ এই ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে।বিগত কয়েকটি বছরে শাহবাগ এবং এর হর্তা-কর্তাদের চিনতে আমাদের কি আর কিছু বাকি আছে?
আমরা তো জানি তারা কার ইশারায় চলে। নির্দিষ্ট মহলের ইশারা না পেলে যে তাদের চেতনা বিস্ফোরিত হয়না, এটা তো সর্বজনবিদিত।
তা নাহলে, এর আগের এরকম অনেক ইস্যুতে তারা আন্দোলনে এলোনা কেনো?
বিশ্বজিত ইস্যু, পুলিশ কর্তৃক সাধারন জনগনকে ভোগান্তির ইস্যু, পুলিশ কর্তৃক চা দোকানিকে পুঁড়িয়ে মারার ইস্যু, মন্ত্রী কর্তৃক মদ খেয়ে শিশুর পায়ে গুলি করা, ছাত্রলীগ-যুবলীগ দ্বারা হিন্দু গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথি দিয়ে পেটের সন্তান খুন,ব্যাংক লোপাট, সুন্দরবন ইস্যু সহ অনেক
ইস্যুতে তারা টুঁ শব্দও করেনি।
এমনকি, শাহবাগি মহিলা কর্মী কৃষ্ণকলির বাসায় ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে কাজের মেয়ের ক্ষত-বিক্ষত লাশ।পুলিশ বলছে মেয়েটিকে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে।কিন্তু এটা নিয়ে শাহবাগিদের কোন সাড়াশব্দ নেই। কিছু বুঝছেন?
যেখানেই দেখবেন শাহবাগিরা কোন ইস্যু নিয়ে লাফাচ্ছে, তখনই বুঝে নিবেন- সামথিং হ্যাজ।
'
পরিশেষে তনু হত্যার সঠিক তদন্ত চাই।আসল অপরাধীদের কঠোরতম বিচার চাই।তনু যদি রাজনৈতিকভাবে বলির পাঁঠা হয়ে থাকে, এমন কুৎসিত রাজনীতির বিরুদ্ধে সকলের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান চাই।
(আরিফ আজাদ ভাইয়ের কাছ থেকে সংগৃহীত)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নেফার সেটি বলেছেন: আসলে প্রত্যেকটা বিষয়ের মধ্যে ষড়যন্ত্রতত্ব খোঁজা, কাঁদা ছোড়াছুড়ি করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একদল দোষ দিচ্ছে শাহবাগিদের, একদল দোষ দিচ্ছে আওয়ামীলীগ সরকারের যে তারা সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটা সাজিয়েছে, আরেকদল দোষ দিচ্ছে বিএনপিকে যে তারা সেনাবিদ্বেষ ছড়িয়ে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। তো এখন কোন পক্ষের হয়ে কথা বলবো?

১২৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যারা যারা তনুর ধর্ষণ নিয়ে দুঃখ করছেন, তাদের একটা বিষয় ধরিয়ে দিতে চাই। এই ধর্ষণের সাথে তনুর পোশাক সম্পর্কিত নয়। নগ্নতা, পর্দা, পুরুষ, নারী, নারী অধিকার, এমনকি যৌনতা কোন কিছুই সম্পর্কিত নয়।

Sadism এর ভালো বাংলা জানি না তবে এর অর্থ হচ্ছে 'অন্যকে কষ্ট দিয়ে চরম আনন্দ লাভ করা'। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার করে আনন্দ নেয়া। তনুর দেহ পাওয়া যদি মূল উদ্দেশ্য হতো, কাম চরিতার্থ করাই যদি মূল উদ্দেশ্য হতো, তবে তাকে এভাবে হত্যা করা হতো না, শুধু ধর্ষণই করা হতো। যৌন আনন্দ এখানে মুখ্য ছিলো না। অন্যকে কষ্ট দিয়ে কারা আনন্দ পায় জানেন তো? যারা নিজেরা অকল্পনীয় কষ্টে বড় হয়, মানসিক সুস্থতা যাদের মধ্যে এক বিন্দুও অবশিষ্ট থাকে না। অন্যের কষ্টে যাদের এক ফোঁটাও কষ্ট হয় না। খুব সহজ না ব্যাপারটা। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক বিকৃতির ফল এটা।

আগে হয় শুধু ধর্ষণ হতো, নাহলে হত্যা হতো, কদাচিৎ একসাথে দুটো হতো। এখন ধর্ষণ করে হত্যা না করলে পূর্ণ তৃপ্তি মেলে না এই sadist শ্রেণির। আর আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগ নিয়ে কথা না-ই বলি। দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তি এই পর্যন্ত পেতে দেখি নি এই ধরনের কোন অপরাধের জন্য। ফলে সাহস তো বাড়বেই।

যাকগে, এসব কথা কেন বলছি জানি না, কারণ আসলে কোন লাভ নেই। কালকে আরেকজন ধর্ষিত হবে। এরপরদিন আরো একজন। এভাবেই চলবে এবং খুব দূরে সেদিন নয় যেদিন পুরুষদের ধর্ষণ করে এভাবে খালে ঝিলে ফেলে রাখা হবে, পুরুষ দ্বারাই। ইতিমধ্যে পুরুষদের ধর্ষণ করার ঘটনা বেশ কয়েকটা ঘটেছে। কাজেই আমার এই ধারণা একেবারেই অমূলক নয়।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

নেফার সেটি বলেছেন: এইসব স্যাডিস্টদের যদি ধরে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারতো রাষ্ট্র! জানি না কাল কার বোনের কপাল পুঁড়বে....

১২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

মেহেদী সোহেল বলেছেন: মানবতার বানী এখন আর নিভৃতেও কাদে না। মানুষের বিবেক ভোতা হয়ে গ্যাছে। সকল মানুষের মধ্যে পশুবৃত্তি থাকবে তা স্বাভাবিক কিন্তু তা নিবারন করার সামাজিক চর্চাগুলো এখন আর পালন হয়না। মানুষ সভ্যতার নামে আত্মকেন্দ্রিক ও প্রতিযোগীতামূলক হয়ে পড়ছে যার কারনে সবাই সহমর্মিতা বোধ হারিয়ে ফেলছে। আর তা মাঝে মাঝে ধর্মীয় উগ্রতায় রুপ নিচ্ছে। যা আমাদের কাম্য ছিল না। আর এই সামাজিক বিপর্যয়ের কারনে প্রতিদিন চোখের সামনে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রান।

১৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

উপপাদ্য বলেছেন: বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে আপনি যেভাবে মন্তব্যকারীদের আক্রমন ও ট্যাগিং করার চেস্টা করেছেন তাতে করে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন আপনি একজন ইসলামোফোব।

...... সোনার ছেলেরা ধর্ষণ করলে সেটা যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পর্যন্ত চলে যায় তবে কোন মুসলিম বা মসজিদের ইমাম যদি ধর্ষণ করে সেটাকে কি সৃষ্টিকর্তা বা কোন প্রফেটের স্বপ্ন বলা যাবে?

এই মন্তব্যে আপনার ধর্ম বিদ্বেষ বিশেষ করে ইসলামোফোবিয়া বেশ প্রখর ভাবেই উঠে এসেছে। আর এই রকম নিম্ন শ্রেনীর মন্তব্য করার জন্য শেখ মুজিবের মতো একজন জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নেতার আশ্রয় নিচ্ছেন।

স্টিকি পোস্টের উদ্দেশ্য সম্ভবত এরকম নয়। ষ্টিকি পোস্ট করা হয় সাধারনত লেখার মান ও বিষয়ের গুরুত্বকে বিবেচনায় নিয়ে। সে হিসেবে স্টিকি পো্স্টের লেখকের দ্বায়িত্বও বেড়ে যায়, হতে হয় সংযমী, মন্তব্যের উত্তর দিতে হয় ধৈর্য, সহনশীলতা ও চিন্তাশীলতার সাথে। আপনি যে কোন দল মতের অনুসারী হতে পারেন কিন্তু পোস্ট স্টিকি হয়ে গেলে তখন আমাদের পুরো ব্লগ প্লাটফর্মকেই রিপ্রেজেন্ট করছেন। আশাকরি বিষয়গুলো একটু ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

নেফার সেটি বলেছেন: আসলে সমস্যাটা হলো এই পোস্টটা স্টিকি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না এবং পোস্টের লেখকও প্রতিমন্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এখানে পোশাকের বিষয়টা উহ্য রাখা উচিত ছিল, পোশাকের উদাহরণ দিতে গিয়ে হুজুরের ধর্ষণের ঘটনা চেপে যাওয়া উচিত ছিল, এখানে সোনার ছেলে বলতে তো ছাত্রলীগ বোঝানো হয়েছে তো পোস্টে শুধু ছাত্রলীগের কর্মী কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টা তুলে ধরা উচিত ছিল, সরকারের বিরুদ্ধে কয়েকটা কড়া কথা বলা উচিত ছিল, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতই কমেন্টে খারাপ কথা বলা হোক প্রতিমন্তব্যটা আমার সীম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারের মত স্যার স্যার দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো লেখক বড় যোগ্যতা রাখতো।

সোনার ছেলেরা ধর্ষণ করলে সেটা যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পর্যন্ত চলে যায় তবে কোন মুসলিম বা মসজিদের ইমাম যদি ধর্ষণ করে সেটাকে কি সৃষ্টিকর্তা বা কোন প্রফেটের স্বপ্ন বলা যাবে?
যুক্তির পিঠে এই যুক্তি দিতে গিয়ে একটা মুসলিম ঘরের ইন্টার পড়ুয়া সন্তান কেমনে ইসলামবিদ্বেষী হয় জানা ছিল না। মূল কথা তারা বঙ্গবন্ধুকে তুলতে পারবে, ধর্ম এনে ধর্ষণ জায়েজ করবে, কিন্তু আমি যুক্তি দিতে গিয়ে ধর্ম আনলে বিদ্বেষী হয়ে যাবো। কারণ ধর্ম পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা সব জায়গায় রাজনৈতিক দল খুজবে এবং সরকারের বিপক্ষে ঢোল বাজাতে বলবে আর আমি প্রতিমন্তব্য করলে সেটা হয়ে যাবে আক্রমণ।
এমনকি আমি নাকি সেনাবিদ্বেষ ছড়িয়েছি! একজন তো এটা বলে বেশ বড় বড় দুই তিনটা কমেন্ট করে গেল। কমেন্টগুলো ডিলিট করে দিয়েছি। কারণ প্রতিমন্তব্য করলে আপনাদের কাছে আবার আক্রমণাত্মক লাগতো। আমি নিজেই এখনো বুঝলাম না সেনাবাহিনীর উপরে আমার রাগটা কখন হলো আর আমি কখন সেনাবিদ্বেষ ছড়ালাম।

সামুতে আমি প্রথম যে পোস্টটা লিখেছিলাম সেটা নির্বাচিত হয়েছিলো। কিন্তু তাতে একটা বানান ভুল হয়ে গিয়েছিলো। এতে একজন ব্লগে পরিচিত ব্লগারই বানান ভুলের জন্য অপমান করেছিলো প্রথম কমেন্টেই এবং বলেছিলো, "লেখার যোগ্যতা না থাকলে লেখার দরকার নেই"। শুধু একটা বানান ভুলের জন্য। সেদিনই বুঝেছিলাম সামু জ্ঞানীদের জায়গা, আমার মত মূর্খ কলেজ পড়ুয়ার জায়গা সামু না।

আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। ইসলামীবিদ্বেষী হলাম তাতে কি অন্তত ভদ্রভাবে তো কমেন্ট করেছেন। সেটাই বা কয়জন করে।

১৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তনু হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলন চলুক। প্রশাসন ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের অবহেলা এবং আইন প্রয়োগে স্লথ গতি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের জন্য সম্ভবত এখন প্রয়োজন ইস্যু ভিত্তিক জনগণের ঐক্যবদ্ধ দাবী।

তবে বিচার চাইতে গিয়ে "তুই চোখ ঠিক কর, তুমি কাপড় ঠিক কর" ইত্যাদি জাতীয় টিপিক্যাল বিতর্কগুলো যাতে ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে না দেয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরী। আশাকরি ব্লগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ পোষ্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব দিকও বিবেচনায় রাখবেন।

১৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

উপপাদ্য বলেছেন: ভাইরে যে বড় মন্তব্য করেছেন, কি আর লিখবো। খোঁচাইতে খোঁচাইতে ঘা করে দেয়ার চেস্টা কম করেন নি। ইন্টার পড়ুয়া কথাটা পড়ার পরেই বুঝতে পারলাম আপনার মন্তব্যে কেনো এতো ঝাঁঝ। আপনার এই চাঞ্চল্য কেন তাও বুঝলাম।

কথার পিঠে কথা বসালেই যুক্তি হয়না।

আর আমি উপদেশ দেই নাই ভাই। আমি পরামর্শ দিয়েছি। আমার আমার পরামর্শ যে আপনি আদতে আমলেই নেন নাই সেটাও বুঝতে পারছি। তা না হলে নীচের মন্তব্যটা অন্তত করতেন না।

ইসলামীবিদ্বেষী হলাম তাতে কি অন্তত ভদ্রভাবে তো কমেন্ট করেছেন। সেটাই বা কয়জন করে।

যাই হোক অনেক ধন্যবাদ। শুব ব্লগিং।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

নেফার সেটি বলেছেন: একজনকে ইসলামোফোব বলাটা কি ট্যাগ দেওয়া নয়।

মন্তব্য করলেই খোঁচা। আমি আসলে বুঝতে পারছি না সহনশীল মন্তব্যে ঠিক কি কি শব্দ ব্যবহার করতে হয়। দয়াকরে তেমন কয়েকটা শব্দ লিখে উপকৃত হতাম। লিখে দেবেন আমার উপকারের জন্য?

হ্যা বলতে পারেন বয়সের দোষে চাঞ্চল্য বেশি। আগের মন্তব্যে কিন্তু একটা উদাহরণ দিয়েছি। একটা বানান ভুলের জন্য যোগ্যতা নিয়ে আক্রমণ করাটা কিসের দোষ ছিল?

আর কমেন্টটা তো অনেক বড় করলাম। ওখানে তো আরো অনেকগুলো কথা ছিল। সেগুলো সম্পর্কে একবাক্যেই সার্টিফিকেট দিলেন "খোঁচা"।

১৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

উপপাদ্য বলেছেন: একজনকে ইসলামোফোব বলাটা কি ট্যাগ দেওয়া নয়।

এটা অবশ্যই ট্যাগ, আপনার সাথে একমত। আপনি যদি মনে করেন আপনি ইসলামোফোব নোন তাহলে আমি আপনাকে বলা ইসলামোফোব শব্দটি তুলে নিচ্ছি।

কিন্তু ভাই যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে একজন এসে আপনাকে জ্বালাতন করলেই আপনাকে ঠিক তার ভাষায় উত্তর দিতে হবে এমনটি নয়। স্টিকি পোস্টে এমনটি কাম্য নয়। ব্লগে ঝগড়া করে ফায়দা হয়না, ফায়দা হয় কনস্ট্রাকটিভ আলোচনাতে। আর বয়সের দোষে যে চাঞ্চল্য সেটা থাকুক, বরং আরো প্রখর হোক। বাংলাদেশে এই জিনিসটা কম, নির্জিব হয়ে পরছে দেশটা। তবে দ্বায়িত্বশীলতার জায়গাতেও একটু খেয়াল দেয়া দরকার।

আ্যানিওয়ে অনেক কথা হলো। আপনাকে ইসলামোফব বলটা যেন আমার ভুলই হয় সেটা কামনা করছি। বাংলাদেশে যেনো ইসলাম বিদ্বেষ না ছড়ায়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নেফার সেটি বলেছেন: আসলে যে বিষয়গুলো পোস্টের অন্তর্ভূক্ত নয় সেই বিষয়গুলো যখন বারবার আনা হয় তখন কন্ট্রোলটা একটু হারিয়েই যায়। আর কে কোন দল নিয়ে কি বললো সেটা আমার বিষয় নয়। তবে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে নিয়ে আপোসটা আমি করতে পারি না।

অনেকের কমেন্টেই রিপ্লে দিয়েছি। হয়তো কয়েকটা রিপ্লেতে এমন হয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ। আপনার কথাগুলো মাথায় থাকবে।

১৩৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫১

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: বিচারের বিষয়ে কথা না বলে অনেকে অন্যদিকে লেখাটাকে টেনে নেবার চেষ্টা করছে কেন বুঝতে পারছি না। অতি দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে এটাই চাই।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৯

নেফার সেটি বলেছেন: আমি জানি না, কি এমন লিখেছি যে লেখার মধ্যে থেকেও অনেকে অনেক বিদ্বেষ খুঁজে পাচ্ছে।

১৩৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২

জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: এতদিন হয়ে যাচ্ছে অপরাধিদের ব্যাপারে কিছু জানা গেল না।
কোন দেশে আছি আমরা?

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩০

নেফার সেটি বলেছেন: দেখা যাক কি হয়। তবে তনুকে নিয়ে প্রতিবাদটা অনেক বেশি হচ্ছে। আশাকরি দোষীরা ধরা পড়বে।

১৩৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ুষিদের খুঁজে ব্বর করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাজা চাই ।

১৩৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

খাটাস বলেছেন: লেখিকার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রইল। তার দাবির সাথেও সহমত। পোস্টের প্রায় প্রতিটি কথার সাথেই সহমত।

তবে সামু এই ধরণের পোস্ট স্টিকি করবে, তা ধারণাতে ছিল না। এইটা স্টিকি হওয়ায় ব্যক্তিগত প্রতিবাদ জানাইয়া গেলাম।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩২

নেফার সেটি বলেছেন: লেখিকা নয় লেখক।

আশাকরি সামু কর্তৃপক্ষ আপনার ব্যক্তিগত প্রতিবাদের দিকে চোখ দিবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষদের প্রতিই অন্তত এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক মনোভাব মূল ইস্যুকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তথাকথিত প্রগতিশীল আর মৌলবাদী ধর্মান্ধদের কলহে পরিণত হোক অভাগি তনু- তা মেনে নিতে পারছি না।

@খাটাসের পোষ্টের এই বক্তব্যের সাথে সহমত। তনু হত্যার ইস্যুটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হওয়ার আগেই এই পোষ্ট যত দ্রুত সম্ভব আনস্টিকি করা হোক।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

নেফার সেটি বলেছেন: তথাকথিত প্রগতিশীল ট্যাগটা কি আমাকে দিলেন?

সামু কর্তৃপক্ষ আপনার কমেন্টের দিকে আশাকরি নজর দিবে। তারা একজন তথাকথিত প্রগতিশীলের এই বাজে পোস্টকে হয়তো আনস্টিকিও করবে। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।

১৩৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নাহ লেখক, আপনাকে কোন ট্যাগই দেয়া হয়নি। এমনকি আপনার পোষ্টে ভুল কিছু আছে এমনটাও হয়তো বলা যাবে না। তবে তথাকথিত প্রগতিশীল এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের দ্বারা মূল ইস্যু ঘুরে যাওয়ার রসদ এই পোষ্টে রয়েছে। তনু হত্যার বিচার চাওয়ার ইস্যু অন্য কিছুর দিকে ঘুরে যাক সেটা কারো কাম্য নয়। এইগুলো নিয়েও অবসরে কথা বলা যাবে, এখন তনু হত্যার বিচারের দাবি সেই পথেই প্রবাহিত হোক। এবং বিশ্বাস করি আপনি নিজেও সেটাই চান, এমনকি সবাই সেটাই চায়। কিন্তু হয়তো অনিচ্ছায় বা অজ্ঞাতে হলেও আপনার পোষ্টে এমন কিছু বিষয় ঢুকে গেছে যা ইস্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পারে। তাই এই ইস্যুতে ব্লগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের আরো সচেতনতা কাম্য ছিলো।

যাইহোক এসব নিয়ে আর কথা না বলি, কারণ যেমনটা সন্দেহ পোষণ করছিলাম মন্তব্যগুলো সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। তাই এসব নিয়ে তার্কে না গিয়ে আমরা বরং মূল ইস্যুকে ফোকাস করি।

তনু হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই

১৪০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

খাটাস বলেছেন: দুঃখিত লেখক নেফারসিটি।
আর ব্লগার কুনোব্যাঙ যে কমেন্টের উধৃতি দিয়েছেন, তা স্টিকি পোস্টের বিপরীতে লেখা আমার পোস্ট থেকে। তথাকথিত প্রগতিশীল আর ধর্মান্ধ টার্ম টা আমার ব্যবহার করা। ধর্মের নামে কারো উগ্র মনোভাবকে ধর্মান্ধ বলা গেলে, প্রগতিশীলতার নামে উগ্র মনোভাবকেও তথাকথিত সুশীল বলায় দোষের কিছু দেখি না। আপনি নিজে থেকে নিজের দিকে টেনে নেবেন না আশা করি। তবুও যদি সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান, তবে আমার পোস্টের দিকে করতে অনুরোধ করবেন।
ভাল থাকুন সব সময়।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৪

নেফার সেটি বলেছেন: আমার বুঝতে ভুল হয়েছিলো। আপনার পোস্টটি পড়ে আসলাম। এবার বুঝতে পেরেছি। দুঃখিত।

১৪১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৬

সবুজ সংকেত বলেছেন: রগরগে হিন্দি সিনেমায় ভিলেন কর্তৃক স্বল্পবসনা নায়িকার ধর্ষিতা হওয়ার দৃশ্য মনে গেঁথে বাড়ি ফিরে যুবক ৷ অশ্লীল আর যৌন সুড়সুড়ি তে ভরা সেই চিন্তা বীজ হিসেবে সুপ্ত থাকে তার হৃদয় গহীনে ৷
মাথা পাগল করে দেয়া সুন্দরী অভিনেত্রীর কমনীয় অঙ্কগুলোর হাই ডেফিনেশন ক্লোজ শট যুবকের সেই বীজে পানি বর্ষণ করে ৷ কলুষিত চিন্তা নিয়েই যুবকে চলতে থাকে ৷ কামনার থিকথিকে আগুন ধিকিধিকি জ্বলতে থাকে ৷
যুবক রাস্তায় বের হয় ৷ চোখে পড়ে আল্ট্রা মডার্ণ নাদুস-নুদুস ষোড়শী ৷উত্তেজনা জাগানিয়া স্কিন টাইট পায়জামা পরিহিতা ৷ যুবক চক্ষু ফিরিয়ে নিতে পারে না ৷ হালের নব্য ডিজাইনের অর্ধাবরণ যুবতীর সেই কমণীয়তাকে বাড়িয়ে দেয় হাজারগুণ ৷

যুবকের মানসিকতা পরিবর্তনের ঢেউ লাগে হতে শুরু করে ৷ মা বোনের চির সম্মান আর শ্রদ্ধার স্থানে তৈরী হতে থাকে কামনা আর লালসার তীব্র অনল ৷ সে ভাবতে পারে না এ তার বোন, এ৷ তার মা ৷
যুবক পত্রিকায় পড়ে শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস 5 এর ছাত্রী ধর্ষণের খবর ৷ যুবকের মনমুকুরে তৈরী হয় এক নরপিশাচ ৷ অজান্তে তার হৃদয়ে দোলা দিয়ে এক চরম নাপাক অনুভূতি ৷
যুবক মিউজিক ভিডিওর আদলে দেখে শিখেছে নৈতিকতার শেকল ভাঙার পাঠ ৷
নাটক ছবি দেখে শিখেছে কলুষিত চিন্তাকে বাস্তব রূপ দেয়ার হাজোরো কৌশল ৷
যুবক স্কুলে যায়, কলেজে যায় ৷ দেখে পেছনের টেবিলের কয়েকজন একসাথে কী যেন দেখে ৷ বাথরুমের সামনে, গাছের আড়ালে ওরা কী যেন দেখে ৷ রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে সে ও পায় অনৈতিক সুখ নেয়ার চরম মজা ৷
প্রচণ্ড মাথাব্যথা নিয়ে বাড়ি ফেরে যুবক ৷ রাতের আড্ডায় ফেন্সিডিল ইয়াবা আর গঞ্জিকা সেবনে মাথাব্যথা দূর হয় ৷
কিন্তু হৃদয়ের কোথায় যেন অসম্পূর্ণতা! কারণ, সে তো এখন শরীরবৃত্তীয় চাহিদার শেকলে বন্দি যে করেই হোক সেই চাহিদা চরিতার্থ করতে হবে ৷
হিন্দি সিনেমা থেকে জন্ম নেয়া সে বীজ আজ পরিণত হয়েছে বিশাল এক লালসার বটগাছে ৷ যার শেকল ছড়িয়ে পড়েছে যুবকের শিরা উপশিরায় ৷
সেই কলুষিত চিন্তাকে বাস্তবায়নে যুবকের দল একত্রিত হয় ৷ পরিকল্পনা করে ৷
যাদেরকে দেখে যুবকের মনে লেগেছে মাতাল হাওয়া তারা তার ধরা ছোঁযার বাইরে ৷ এলাকার সবচেয়ে সুন্দরী প্রায় বস্ত্রহীনা সুমি নেতার মেয়ে ৷ তার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারে না ৷ তারা বেছে নেয় দিনমজুর রফিকের ক্লাস নাইন পড়ুয়া মেয়ে কিংবা কোন প্রতিবন্ধী কে অথবা চতুর্থ শ্রেণীর কোন কর্মকর্তার মেয়েকে ৷
পরিণামে, মেয়ের বাবা হয়তো খুঁজে পায় তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করতে থাকা গোঙানিরত মেয়েকে ৷ কিংবা পায় ক্ষতবিক্ষত দেহ ৷ খণ্ড বিখণ্ড বস্ত্র, নগ্ন লাশ আর ছেঁড়া জুতা ৷

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৯

নেফার সেটি বলেছেন: আপনি বলতে চেয়েছেন বিদেশী সংস্কৃতির সাথে আমাদের সংস্কৃতির সংঘর্ষ এবং এর ফলে যে নৈতিক অধঃপতন ঘটেছে আমাদের সমাজে। হ্যা, এটাও একটা কারণ। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। ধর্ষণের পিছনে এমন অনেকগুলো কারণ আছে। উপরে মন্তব্য করা "খাটাস" নিকের ভাইয়াও কাল ক্রিমিনোলজি দিয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওটাও পড়তে পারেন। বেশকিছু জানতে পারবেন।

আরো একটা কথা। আপনি আমাদের সংস্কৃতি হিসেবে কোনটিকে ধরেছেন? ইসলামী সংস্কৃতি না বাঙ্গালি সংস্কৃতি? জানালে একটু ভালো হত।

১৪২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

সাম্প্রদায়িক বলেছেন: পূর্ববর্তী তনু দের বিচার হয়নি তাই পরবর্তীতে আরো লান্চিত হবে তনুরা ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০২

নেফার সেটি বলেছেন: জানি ধর্ষণ একেবারে কখনো বন্ধ করা সম্ভব না। কিন্তু কোন উপায় কি নেই এটার পরিমাণ কমানোর?

১৪৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

আসলে, অবাধভাবে কুশিক্ষার প্রচলন আর অপসংষ্কৃতির প্রসারের ফলে দেশে দূর্বৃত্তায়নের বিস্তার ঘটছে, . . . . !!

" . . . রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়।
__________
সহীহ আল-বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ী।"

হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং সব নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফীক দান করুন। আমীন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৬

নেফার সেটি বলেছেন: আসলে, অবাধভাবে কুশিক্ষার প্রচলন আর অপসংষ্কৃতির প্রসারের ফলে দেশে দূর্বৃত্তায়নের বিস্তার ঘটছে।

জ্বি, অপরাধের বিস্তার ঘটছে অর্থাৎ অপরাধটা আগেও ঘটেছে কিন্তু এখনকার থেকে তুলনামূক কম। তো সেই সময়ের অপরাধের পিছনের ব্যাখ্যাটাও তো দরকার।

১৪৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সবুজ সংকেত বলেছেন: রগরগে হিন্দি সিনেমায় ভিলেন কর্তৃক স্বল্পবসনা নায়িকার ধর্ষিতা হওয়ার দৃশ্য মনে গেঁথে বাড়ি ফিরে যুবক ৷ অশ্লীল আর যৌন সুড়সুড়ি তে ভরা সেই চিন্তা বীজ হিসেবে সুপ্ত থাকে তার হৃদয় গহীনে ৷
মাথা পাগল করে দেয়া সুন্দরী অভিনেত্রীর কমনীয় অঙ্কগুলোর হাই ডেফিনেশন ক্লোজ শট যুবকের সেই বীজে পানি বর্ষণ করে ৷ কলুষিত চিন্তা নিয়েই যুবকে চলতে থাকে ৷ কামনার থিকথিকে আগুন ধিকিধিকি জ্বলতে থাকে ৷
যুবক রাস্তায় বের হয় ৷ চোখে পড়ে আল্ট্রা মডার্ণ নাদুস-নুদুস ষোড়শী ৷উত্তেজনা জাগানিয়া স্কিন টাইট পায়জামা পরিহিতা ৷ যুবক চক্ষু ফিরিয়ে নিতে পারে না ৷ হালের নব্য ডিজাইনের অর্ধাবরণ যুবতীর সেই কমণীয়তাকে বাড়িয়ে দেয় হাজারগুণ ৷

যুবকের মানসিকতা পরিবর্তনের ঢেউ লাগে হতে শুরু করে ৷ মা বোনের চির সম্মান আর শ্রদ্ধার স্থানে তৈরী হতে থাকে কামনা আর লালসার তীব্র অনল ৷ সে ভাবতে পারে না এ তার বোন, এ৷ তার মা ৷
যুবক পত্রিকায় পড়ে শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস 5 এর ছাত্রী ধর্ষণের খবর ৷ যুবকের মনমুকুরে তৈরী হয় এক নরপিশাচ ৷ অজান্তে তার হৃদয়ে দোলা দিয়ে এক চরম নাপাক অনুভূতি ৷
যুবক মিউজিক ভিডিওর আদলে দেখে শিখেছে নৈতিকতার শেকল ভাঙার পাঠ ৷
নাটক ছবি দেখে শিখেছে কলুষিত চিন্তাকে বাস্তব রূপ দেয়ার হাজোরো কৌশল ৷
যুবক স্কুলে যায়, কলেজে যায় ৷ দেখে পেছনের টেবিলের কয়েকজন একসাথে কী যেন দেখে ৷ বাথরুমের সামনে, গাছের আড়ালে ওরা কী যেন দেখে ৷ রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে সে ও পায় অনৈতিক সুখ নেয়ার চরম মজা ৷
প্রচণ্ড মাথাব্যথা নিয়ে বাড়ি ফেরে যুবক ৷ রাতের আড্ডায় ফেন্সিডিল ইয়াবা আর গঞ্জিকা সেবনে মাথাব্যথা দূর হয় ৷
কিন্তু হৃদয়ের কোথায় যেন অসম্পূর্ণতা! কারণ, সে তো এখন শরীরবৃত্তীয় চাহিদার শেকলে বন্দি যে করেই হোক সেই চাহিদা চরিতার্থ করতে হবে ৷
হিন্দি সিনেমা থেকে জন্ম নেয়া সে বীজ আজ পরিণত হয়েছে বিশাল এক লালসার বটগাছে ৷ যার শেকল ছড়িয়ে পড়েছে যুবকের শিরা উপশিরায় ৷
সেই কলুষিত চিন্তাকে বাস্তবায়নে যুবকের দল একত্রিত হয় ৷ পরিকল্পনা করে ৷
যাদেরকে দেখে যুবকের মনে লেগেছে মাতাল হাওয়া তারা তার ধরা ছোঁযার বাইরে ৷ এলাকার সবচেয়ে সুন্দরী প্রায় বস্ত্রহীনা সুমি নেতার মেয়ে ৷ তার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারে না ৷ তারা বেছে নেয় দিনমজুর রফিকের ক্লাস নাইন পড়ুয়া মেয়ে কিংবা কোন প্রতিবন্ধী কে অথবা চতুর্থ শ্রেণীর কোন কর্মকর্তার মেয়েকে ৷
পরিণামে, মেয়ের বাবা হয়তো খুঁজে পায় তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করতে থাকা গোঙানিরত মেয়েকে ৷ কিংবা পায় ক্ষতবিক্ষত দেহ ৷ খণ্ড বিখণ্ড বস্ত্র, নগ্ন লাশ আর ছেঁড়া জুতা ৷


সবুজ সংকেত সমস্যার কারণ বলে দিয়েছেন খুব সুন্দরভাবে, বাকীরা সমাধানটা বোঝার চেষ্টা করুন। গাছের গোড়া কেটে আগামী হাজার বছর ধরেও আগায় পানি দিলে তনু ধর্ষণ-হত্যা থামবে না।

১৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

জুবেল আহমদ বলেছেন: আমি অতি ক্ষুদ্র একজন মানুষ ।বেশি বুঝিনা,আর বুঝতে চাইও না ! তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি তা হলঃ"ধর্ষক নামে যে শেয়াল,কুকু্‌র,শকুণদের সম্বোধন করা হয় প্রকৃতপক্ষে তাদের কোন জাত,ধর্ম,দেশ কিছুই নেই!এদের একটাই পরিচয় এরা নর্দমার পোকা!এদের কাছে মুসলিম না অন্য ধর্মের,হিজাবী না হিজাবহীন,বয়স ১৮ বছরের ভিতরে নাকি বাইরে এসব কোন ব্যাপার নয়!কারন,ওরা পশু!ওদের শিকার পেলেই হল ,তা যেকোনো ভাবেই হক,যে কেউ ই হোক"। আমাকে খুজুন.................................।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৮

নেফার সেটি বলেছেন: এদের আসলে কোন উপাধিতেই ডাকা যাবে না। নর্দমার পোকারাও অপমানিত হবে।

১৪৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: "শূণ্য থেকে এক আসে। তারপরে ২,৩,৪........ শুরু হয়। আপনি উঠে আসুন। প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, দিনের শেষে দেখবেন লাইনটা অনেক বড় হয়ে গেছে...... আসুন তনুদের পথ থেকে কাঁটাগুলো ফেলে দিয়ে তাদের পথের আলো হয়ে দাড়িয়ে যাই.... আমি কিন্তু আমার বোনের কথা মাথায় রেখে চলাচল করি। "--- দারুণভাবে সহমত পোষণ করছি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১০

নেফার সেটি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাইবার সোহেল বলেছেন: আগেই সন্দেহ হচ্ছিল যে টাকা হ্যাকের আলোচনা অনেকদিন হয়ে গেল তাই এবার নতুন টপিক পাওয়া গেল.. X(( কারন সাত খুন প্রায় মাফ হল বলে আর এতো মাত্র ১ টা... তাও আবার...... X(( X((

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১২

নেফার সেটি বলেছেন: কোন প্রতিমন্তব্য নাই।

১৪৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

মুফতী মাহবুবুল হাসান বলেছেন: আপনি সুন্দর লেখেছেন।

তবে আপনার পোষ্টে আপত্তিকর অনেক বিষয়ের অবতারণা আপনি করেছেন। যারা পর্দা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদেরকে আপনি ‘শুয়োরশাবক’ বলেছেন। কী ভয়ংকর কথা!!!! :(

আচ্ছা, পর্দা নিয়ে কথা বলা কি অন্যায়? পর্দা নিয়ে কথা বলার অর্থ কি ধর্ষনের প্রতিবাদ না করে তার পক্ষ নেয়া? বুঝতে পারছি- আপনার পর্দা নিয়ে এলার্জি আছে। তো আপনার কাছে আমার একটি প্রশ্ন- আপনি আপনার এই জীবনে প্রকৃত পর্দানশীন কয়জন নারীকে ধর্ষিত হতে দেখেছেন বা শুনেছেন???

আমি জানি- আপনি এর কোন ইতিবাচক জবাব দিতে পারবেন না। ইসলাম পোশাককে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। পোশাকের মাধ্যমেই ব্যক্তির রুচিবোধ ফুটে উঠে। ফুটে উঠে তার চিন্তার গতিপথ। নারীর অনেকগুলো নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে। তন্মধ্যে অন্যতম হল- তার পোশাক।

আপনি মাওলানার ধর্ষনের প্রসঙ্গ টেনে সেখানে পোশাকীয় সমস্যা খুঁজতে চেয়েছেন। এটা আপনার বিকৃত চিন্তার ফসল। আপনি এই একজন দিয়ে সামগ্রিকতাকে বিচার করে ফেললেন?? এমন আর কয়জন মাওলানার খবর আপনি জানেন? অন্য আর দশজনের মত সেও মানুষ। কিন্তু ব্যক্তিগত নৈতিকতার অনুপস্থিতির ফলে সে এই অন্যায়ে লিপ্ত হয়েছে। অথচ সে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।নৈতিকতা শিক্ষার কেন্দ্রে থেকেও তা এ কাজে লিপ্ত হওয়া তার ব্যক্তিগত স্খলনের চিত্র। তাকে অন্য কোন আষেমের ভালো বা যৌক্তিক কোন কথার বিপরীতে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করাটা উচিত নয়।
কিন্তু আপনি ধর্ষক সমাজেরই যে একজন সদস্য সেই উপলব্দি আপনার আছে কই? স্কুল -কলেজ- ভার্সিটিগুলোতে দৈনিক কী হচ্ছে তার খবর নিশ্চয়ই আপনার আছে! বোধ করি আপনি সেই দলের সদস্য না হলেও আপনার বন্ধুমহলকে কিংবা সহপাঠিদেরকে ক্যান্টিনের কোণে কিংবা কলেজের গেটে সহপাঠি নারী বন্ধুদেরকে উত্তক্ত করার দৃশ্য দেখে থাকবেন। সেগুলো কীসের আলামত??

আপনি সমস্যার প্রকৃত সমাধান নিয়ে কোন কথাই বলেননি। আপনার কি মনে হয় প্রতিবাদ গড়ে তুললে কিংবা ধর্ষককে শাস্তি দিলেই ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে?

কোনদিন না। যদি শুধু ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত হয় তাহলে সমাজে এর একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটবে। যা আরও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে আমাদের মা-বোনদের জন্য। তার অর্থ এই নয় যে প্রতিবাদ করতে হবে না। এই যে আদালতগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার অপরাধীর শাস্তি হচ্ছে তাতে কি অপরাধ কমছে নাকে সমাজে তা বেড়েই চলছে? একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে।

আমি কাদা ছোড়াছুড়িতে বিশ্বাসী নই। সকল পক্ষের শুভ মতামতকে শ্রদ্ধা করি। সমাজে যেভাবে ধর্ষণ বেড়ে চলছে তার প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। তা হল- আমাদের প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। নীতি-নৈতিকতা মানুষের বিবেকবোধকে পরিশুদ্ধ করে। হৃদয়কে নির্মল ও স্বচ্ছ করে। মানুষের মাঝে সৃষ্টি করে মনুষ্যত্ববোধ। যার ফলে তার থেকে পশুসুলভ আচরণ দূর হয়ে তার মাঝে ফুটে উঠে মানবসুলভ চরিত্র।

আমি মনে করি এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের দায়িত্ব আছে। শুধু প্রতিবাদ আর শাস্তিতে লক্ষ্য অর্জিত হবে না। পুরুষকে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে। অন্য নারীদেরকে নিজের মা-বোনের ন্যায় ভাবতে হবে। ধর্মভীরু হতে হবে। মুসলমান হলে, আল্লাহকে বিশ্বাস করলে আখেরাতের কথা ভাবতে হবে। পরকালের কঠিনতর শাস্তির কথা চিন্তা করতে হবে। নারীকেও হতে হবে সংযমী। নিজ প্রয়োজনে তার চাকরী করা বা ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকার অবশ্যই তার আছে। কিন্তু তার পোশাক শালীন হতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। নৈতিক শিক্ষার প্রধান জায়গাই হল- ধর্ম।

ধর্ষণ সমস্যার এই সমাধানের জন্য আপনাকে অবশ্যই ধর্মের কাছে আসতে হবে। ইসলাম ধর্মই এর সবচেয়ে সুন্দর ও স্থায়ী সমাধান দিয়েছে।

শুধু তনু নয়, সকল ধর্ষকেরই বিচার হোক, সুষ্ঠু বিচার। যাতে কোন মানিক মিয়ারা ছাড় না পায়। সেই সাথে সমাজে চর্চিত হোক নৈতিক শিক্ষার পাঠ। পরিশুদ্ধতায় ভরে উঠুক সকলের হৃদয়।


২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২০

নেফার সেটি বলেছেন: তবে আপনার পোষ্টে আপত্তিকর অনেক বিষয়ের অবতারণা আপনি করেছেন। যারা পর্দা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদেরকে আপনি ‘শুয়োরশাবক’ বলেছেন। কী ভয়ংকর কথা!!!!

পর্দা নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা বা কথা বলা বা জ্ঞান দেওয়া আর ধর্ষণের পরে ধর্ষিতার পোশাক নিয়ে কথা বলা দুইটা দুই মেরুর বিষয়।
যখন কোন শিশু গাছ থেকে পড়ে মারা যায় তখন নিশ্চয় আপনি শিশুর বাড়িতে তার লাশের পাশে গিয়ে বলেন না, "ঠিক হয়েছে মরেছে। বেয়াদবি করতে গাছে উঠেছিলো কেন। ওর দোষেই মরেছে।"

আশাকরি উত্তর পেয়েছেন। ধর্ষণে পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রত্যেককে আমি শূকরশাবকই বলবো।

১৪৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ইয়াসমিনের সাথে কি তোমার দেখা হয়েছে তনু ?
দিনাজপুরের ইয়াসমিন।

সেই কুড়িটি বছর আগে
রাষ্ট্রের পোশাকধারী রক্ষকদের পৈশাচিক উন্মাদনায়
নির্মম মৃত্যু, বারুদের মত ছড়িয়ে যায় গোটা দেশ ।
রক্তে বীর্যে ভেজা ”স্যালোয়ার”
ফিরে আসে জাগ্রত নারীর প্রতিকী পতাকা হয়ে।
জনতার চেতনার আকাশে উদিত হয়
মানবতার সূর্য্য ” ইয়াসমিন।”
প্রচন্ড আলোড়নে খসে যায়,
বিবেকহীনতার আবরণে ঢাকা
তামিলপালনকারী কর্তাব্যক্তিদের
”অপ-শাসন।”

সেই কুড়িটি বছর আগে, তোমারই মত যন্ত্রণা নিয়ে তনু,
চলে যায় অবুঝ ইয়াসমিন, না ফেরার দেশ

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২১

নেফার সেটি বলেছেন: :(

১৫০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

দ্যা লায়ন বলেছেন: এসব একেবারে বন্ধ না হলেও খুব দ্রুত কমে আসবে।

বিচারের দাবির সাথে পাশাপাশি জরুরী হলো এমন ঘটনা গুলো সংখ্যা কমে যাওয়া।

১৫১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২

মোঃ অলিদেওয়ান বলেছেন: যারা এ কাজ করে তারা মানুষ না জানুয়ার। তনু হত্যাকারীদের ফাসি দেওয়া হোক

১৫২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

শিশির আহমেদ শিশির বলেছেন: আমরা মানুষ থেকে পশু হয়ে গেছি। আমাদের কোন বিবেক আছে বলে মনে হয় না।আমরা শুধু আর্ত্ন চিৎকার করতে পারি কোন সমাধান দিতে জানি না।আমরা এমন জাতি । দু চার লেখালেখি তার পর মনের অজান্তেই ভূলে যাব "তনু,মনু, রনু" নামে কোন বোন আমার ছিল।

১৫৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

সাহরাব বলেছেন: যৌনতা মানুষের আদিম প্রবৃত্তি। সেই আদিকাল থেকে "ধর্ষণ" চলে আসছে এবং আগামীতেও চলবে। ডায়াবেটিক রোগের মতো "ধর্ষন" চিরতরে কেউ থামাতে পারবেনা কিন্তু এটার নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই সম্ভব।

অন্য দেশগুলোর কথা বাদ দিয়ে এদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বা সংস্কৃতি যদি একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে প্রধান দুটি ধর্ষণের অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা যায় (১) মেয়েদের আবেদনময়ী চলাফেরা (২) ছেলেদের কামুক চিন্তাধারা। এ দুটো যদি নিয়ন্ত্রিত না হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা বেষ্টনী, সবচেয়ে কঠোর সাজা বা সবচেয়ে কঠোর আইন কোনো কিছুই "ধর্ষন" থামাতে পারবেনা।

সবার আগে মানুষের বিবেকের ভিতর শুদ্ধতা আসতে হবে তারপর আইন। তা না হলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি ছাড়া কিছুই হবেনা।

ছেলে-মেয়ে সবাই মানুষ আর মানুষ-ও কিন্তু পশু শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত তাই মানুষের মধ্যে সেই পশুত্ব জেগে উঠাটাই স্বাভাবিক, যতক্ষণনা পর্যন্ত কেউ নিজের জান্তে বা অজান্তেই অন্যের পশুত্ব-কে জাগানোর চেষ্টা করছে ।

১৫৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

একজন নশ্বর বলেছেন: সব কিছুর পর, তনু হত্যায় একটা প্রশ্নই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, "রক্ষক ই কি ভক্ষক হয়ে গেল "
যেখানে হাটতে গেলেও বুক ধরফর করে, সেখানে এমন ক্সজ করার সাহস পায় কে, বা কারা?????

১৫৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

মোঃ সাকিব বলেছেন: আমাদের মেয়ে, আমাদেরই বোন হাজারও তনু প্রতিদিন নিঃশেষ হচ্ছে। সরকার প্রতিপক্ষরা তো হিমাগারে রয়েছেন তাহলে কারা নিঃশেষ করছে? আমি ব্যক্তিগত ভাবে আগামীতে একটি ভয়াবহ দিন দেখছি। অনেকে আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন তবে একবার গুরুত্ব দিয়ে ভাবার অনুরোধ করছি। বর্তমান সরকার শুরু থেকে পুলিশ এবং তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে আজ পর্যন্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কত হাজার প্রতিপক্ষ যুবকের জীবন কেড়ে নিয়েছে? কত লক্ষ যুবককে চিরতরে পূঁঙ্গ করে দিয়েছে? এই যুবকেরা দেশের সম্পদ নয় কি? তারা যদি ভূল পথে থাকে তাহলে তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং দেশের কল্যাণে ব্যবহার করা শাসকের দায়ীত্ব নয় কি? কিন্তু এই সরকার তাহা না করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জাতীর ভবিষ্যৎ কে নিঃশেষ করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। হানাদারেরা আমাদের বুদ্ধিজিবী নিঃশেষ করেছিল যাতে জাতী দাঁড়াইতে না পারে আর এই সরকার জাতীর ভবিষ্যৎ যুবক সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, সরকার দলীয় বুদ্ধিজিবীরা একবারও ভেবে দেখেছেন কি? প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেলে জাতী কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? ধরা যাক, কোনো বাবার ৫ সন্তান, তাদের ৩ জনকে হত্যা করা হলে এবং ১ জন পূঁঙ্গ হলে বাকি ১ জনকে নিয়ে ঐ বাবা মায়ের অবস্থান কি হবে? বিষয়টি যদি উল্টো ভাবে দেখা হয় যেমন সরকার যদি ক্ষমতাহীন হয়, সূস্থ এক সন্তার যদি প্রতিশোধী হয় এবং সে যদি কিছু সাঁঙ্গ পাঁঙ্গের সহায়তা পায় তখন আজকের সন্ত্রসীরা রেহায় পাইবে কি? তাহলে ফলাফল কি দাঁড়াইল? আজকে একদল অকাতরে মরছে আগামীতে আরেক দল অকাতরে মরবে তাহলে অবশিষ্ট কি রইল???????????????????????????????????

১৫৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: "এই ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা যায় যেভাবে:
শালীন থাকা, ইসলামী বা ধর্মীয় মোতাবেক চলা বা চলার চেষ্টা করা, বিয়ের বয়স বা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে করে ফেলা (এর জন্য শত বছরের প্রস্তুতি লাগে না আমাদের সমাজের বেশি বয়সের বিয়ের রীতি বাতিল করা উচিত), ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করা বা কমিয়ে ফেলা, নিজের ঈমান দৃঢ় করা ( নারী পুরুষ সবার জন্য)।
"

নিজের ইমান দৃঢ় করার বিষয়টি ছাড়া আর সব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলাম।
প্রথম কথা হলো দেশে সবাই মুসলিম না যে সবাই মুসলিম রীতি অনুযায়ী চলবে। আর ইসলামী আইনে চলা দেশেও অহরহ ধর্ষণ হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত আপনি মনে হয় বাল্যবিবাহ করানোর কথা বলছেন।
তৃতীয়ত আপনার মনেও এই বিষয়টা বিদ্যমান পোশাকের তথাকথিত শালীনতা ধর্ষণের জন্য একটু হলেও দায়ী
।-----------------

জনাব একটু ব্যস্ত ছিলাম পুরনো মন্তব্যগুলি নিয়ে আলোচনার সময় হয় নি ।
যাই হোক খন্ডন করলাম এইভাবে...
আমি মুসলিম হিসেবে বলি নাই শুধু আপনি কোটেড করে দিয়েছেন যাতে পরিষ্কার আছে ইসলাম বা ধর্মীয় মোতাবেক । শুধু মুসলিম ধর্মই পর্দার কথা বলেনা , গতানুগতিক সব ধর্মেই এই শালীনতার কথা বলা আছে । এই জন্যই ধর্মীয় মোতাবেকও বলেছিলাম । N.B.
আমি মোটেও বাল্য বিবাহকে টার্গেট করছি না । প্রেম অহরহ হচ্ছে আর ছাড়াছাড়িও হচ্ছে আর প্রেম সম্পর্ক কতদূর যেতে পারে তা ট্যাকেল দিতে হলে যদি বিবাহ দুইটি জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্য দেয় তাতে সমস্যা কি? আর সাথে সাথেই সংসার, বাচ্চা নিতেই হবে এই রকম ফরজ কোথাও নেই, উপযোগী সময়ে সংসার বাচ্চা নিতে আপত্তি দেখছি না । এতে চোখ সংযত থাকে, মন শান্ত থাকে ইত্যাদি। নিদির্ষ্ট সময়ে একজন মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক । তা সঠিক পথে সংযত করতেই বিয়ে,রোজা ইত্যাদি । N.B.

সৌদি আরব ছাড়া ইসলামী শাসন পূর্ন রূপে এমন দেশ কোটেড করে দিলে ভাল হত । রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ট্যাগ দিলেই ইসলামিক চিন্তা ধারার দেশ হয় না । আর সৌদি আরব নিজেও সম্পূর্ণ ১০০% পন্থা আরোপ করে না । তবে সবার মধ্যে বেস্ট ইসলামি ব্যবস্থা বিদ্যমান সেখানে, তবে সম্পূর্ণ নয়, কেন নয়?! যেহেতু এই পোষ্ট এই বিষয়ে নয় তাই মতামত শেয়ার করলাম না ।
আমার পরিচিত মানে ব্যক্তিগত নয় কাজের মাধ্যমে .... তার কথা সুন্দরী মেয়ে হলেই মাশাল্লাহ, অশ্লীল ইঙ্গিত ইত্যাদি কিন্তু শুকর এর কথাটা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে না । :) এরকম সিরিয়া, আরব, মিশর ভুরি ভুরি আছে । তবে ভাল চিন্তা ধারার মানুষও আছে যারা অবলীলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ আর সত্য-মিথ্যা বোঝার ক্ষমতা রাখে ।
তাই মুসলিম ট্যাগ নিলেই পূত-পবিত্র ধরা ঠিক নয় ।N.B. মিশরের ড্যান্স বারের কথা বললে বলবেন এইটা কি মুসলিম অফিসিয়াল ডিক্লেয়ার্ড দেশ কিনা !!! :)

আর জ্বী ভাই পোশাক একটু হলেও দায়ী। বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সামাজিক কারনে বেপোরোয়া নয় । কিন্তু বিদেশে অবশ্যই আর তারা ধর্ষিত হলে তেমন বেশী উচ্চ বাচ্চ করে না !!! যতক্ষণ না শারীরিকভাবে অসম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে !!!!! ব্যাপারটা অনেকটা ডাল ভাত তাদের কাছে ।

ধরুন একটা মেয়ে নাইট ক্লাব এ গেল বন্ধুর সাথে ! কিন্তু পথিমধ্যে ট্যাক্সিড্রাইভার ফেরার পথে বন্ধুকে নামিয়ে , সবার শেষে মেয়েকে নামাতে গিয়ে ভিন্ন পথে পার্কিং করে ধর্ষন করল । মেয়েটি যেহেতু মাতাল ধর্ষনে বাধা দিতে সক্ষম হল না আর ড্রাইভার বুঝে নিয়ে এগুলো যে ১৮ বছরের উপরে বা নীচের বয়সী হবে তাই শারীরিক জখম ব্যতী রেখেই সারতে হবে!!!
আর পরের দিন মেয়েটি কষ্ট পেলেও নতুন স্টার্ট করে জীবনের , নতুন করে ... এই হল তাদের লাইফ স্টাইল !!!!!!

এইটাও একটা জীবন । তবে সব বিদেশী এক নয়, সবাই পানশালায় গিয়েই বাংলা সিনেমার মত টাল মাতাল হয়ে পরে থাকে না । কিন্তু এদের সমাজের সাথে মানায় । বন্ধু বান্ধবীর বাসায় রাত কাটাচ্ছে বাবা - মা জেনেও জানল না, অনেকে হালকা চেচামেচি করল, অনেকে বাঙালীদের মত করেই বোঝাল । কিন্তু কাজটা তারা তখন বাহিরেই সেরে আসে ! এক সময় ব্রেক আপ হয় । আর তাদের ব্রেক আপ অতি মাত্রায় হয় । ............ এরা নিজেই খৃষ্টান ধর্ম বা যে ধর্ম পালন করার কথা সেটাও করে না । করার প্রয়োজন বোধ করে না ।

----------------


এতগুলো কথা এই জন্য বললাম যে ইসলাম খারাপ কিছু বলে না, বোঝায় না । সঠিক ইসলামী নিয়মে থাকলে খারাপ বা বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ।
একটা কথা বলে শেষ করি, আমার একটি পুলিশি কাগজ দরকার ছিল। যা সঠিক পথে পাওয়ার কথা ছিল, কারণ আমি অন্যায় করি নাই । কিন্তু বিডি পুলিশ ব্যাপারটা তখনই দফারফা করল যখন আমি তাদের টাকাটা দিলাম । খুব খারাপ লেগেছিল, টাকার জন্য নয় , তাদের ঈমানের জন্য । :) তারা নাকি মুসলিম দেশের মুসলিম পুলিশ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.