নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নবাজ, শুধু স্বপ্ন দেখি...

মতিউর রহমান মিঠু

স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি তাই আমি স্বপ্নবাজ

মতিউর রহমান মিঠু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একচন মিয়ার পত্র. . . . ইউনুস সাবের কিছু কর্ম ও আমার জিজ্ঞাসা বা রাম ছাগলের ম্যাৎকার...

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩

লেখক জহিরুল হক বাপি, বাপি না বলে পাপি বলা যায়। ইদানিং ইনি "গেদু চাচার খোলা চিঠির" আদলে "একচন মিয়ার পত্র" নামক আঁতলামী ম্যাৎকার প্রসব করছেন নিয়মিত।

মূলত তিনি একটা দলের মুখপাত্র। দলের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই মি.পাপি'র (জ্ঞানপাপী) শরীরে জ্বালাতন শুরু হয়। দারুন জ্ঞাণী মানুষ বলেই জানতাম এই বাপি সাহেবকে। ইদানিং তিনি কেনো জ্ঞাণ ব্যবহার বন্ধকরে বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের মুরীদ হলেন তা বুঝতে পারছিনা। তবে কি তিনি পেইড ব্লগার!!!

কবি,নাট্যকার,গিতিকার,গল্পকার আমাদের বাপি সব জ্ঞাণচর্চা বন্ধকরে কেন দালাল লেখক হলেন বুঝলাম না।

লেখুক যা ইচ্ছা কোন সমস্যা নেই। তবে লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচনে কিছুটা জ্ঞাণ ব্যবহার আমরা আশা করতেই পারি। কি নিয়ে লিখবো সে বিষয়ে কিছুটা ভেবে নির্বাচন করা উচিত।

বাপি সাহেব জ্ঞাণী সন্দেহ নেই, তবে জগতের সব বিষয়ে তিনি পারদর্শী এটা ভাবা নিশ্চই জ্ঞাণীদের কম্ম নয়।

আজকের ম্যৎকার ড.ইউনুছ নিয়ে, তিনি কি ড.ইউনুছ এর সমকক্ষ মনে করে নিজেকে? সর্বনাশ এতো এতো জ্ঞাণের ভারে ব্যাচারা বাপি সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছেন!!



বাপি সাহেব একচন মিয়াকে দিয়ে প্রশ্ন করছেন "চিকিস্যা বিজ্ঞানে অনেকে নোবেল প্রাইজ পাইছেন । তাদেরকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া যেত ড. ইউনুস সাবের মত । কারণ রোগ শোক দূরে গেলে দুনিয়াতে শান্তি আসবে । এরকম একটা কারণে ড. ইউনুস সাবরে নোবেল দেওয়া হইছে শান্তিতে । ইচ নট দ্যাট ? তাকে অর্থনিতীতে নোবেল দেওয়া হলো না কেন? কারো জানা থাকলে আওয়াজ দেন ।"

অর্থনিতীবিদকে শান্তিতে নোবেল দেয়া যাবেনা এরকম কোন নিয়ম নিশ্চই নোবেল ফাউন্ডেশনের গঠন প্রনালীতে নেই। তারপরও যদি প্রশ্ন করতেই চান তবে নোবেল প্রদান কমিটির কাছে পত্র দিয়ে কারনটা দয়াকরে জেনে নিন কে বারন করেছে আপনাকে!! একটা শোকজ নটিস পাঠাতে পারেন নইলে নোবেল কমিটির নামে মামলা করে দিতে পারেন। আম ব্লগারের কাছে উত্তর আশা করেন কিভাবে জনাব।



একচন বাপির আরো প্রশ্ন "গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা কারা । সুবিধা বঞ্চিত পশ্চাদ পদ অঞ্চলের মহিলারা, গ্রামের মহিলারা । গ্রামীণ ব্যাংক তাদের কাছ থেকে সুদ নেয় কত ভাগ? ঘোষিত অঘোষিত বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে ঋণ গ্রহীতাদের সুদ দিতে হতো ৪৪% (কিছু কম বেশি হতে পারে ।) । এ ৪৪% আবার ঘোষিত নয় । ঘোষিত আরও অনেক কম । বিভিন্ন চার্য টার্য এবং নিয়মের চার্য দিতে গিয়ে দাড়ায় ৪৪% । যা ঋণ গ্রহীতারা জানেনও না । সুদ আর চার্য তো এক নয়, তাই না? সরলপ্রাণা মহিলারা এই ফাকেই পড়েন । আর ঘোষিত সুদও অন্যান্য ব্যাংকের ডবলেরও বেশি ।"

জনাব একজন ভূক্তভোগি মহিলাকে এনে ইউনুছের বিরুদ্ধে দাড় করান। ইউনুছের গোমড় ফাঁস করে দেন মানুষের কাছে কোন সমস্যা নেই। শুধু শুধু রামছাগলের মতো এখানে সেখানে ম্যাৎকার করে লাভ নাই জনাব।



একচন রুপি বাপি বললেন "যাই হোক ড. ইউনুস সাব বিদেশীদের শিখিয়ে দিলেন কি ভাবে সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদেরকে ঋণ দিয়ে কাবুলিওয়ালার মত অমানবিক, অনৈতিক হারে সুদ নিয়মের প্যাচে ফেলে আদায় করা যায় । খালি টাকাই আর টাকা । আবার ঋণ নেওয়ার নিয়মও খুব সোজা । তাই মানুষ সহজেই ঋণ নিতে আগ্রহী হয় । ঋণ শোধ না করতে পারলে ঘটি বাটি ঘর কলসিতো আছেই । অভদ্র কেউ থাকলে সে আবার গ্রামীণ ব্যাংকের ভয়ে আত্নহত্যা করে বসে । বিদেশীদেরও পুরা সিস্টেম শিখিয়ে দিয়েছেন ড. ইউনুস। বিদেশীরা কি এমন সোনার “ব্যাবসা জ্ঞানী”কে পালবেন পুষবেন না আরও এমন শোষনের নিয়ম বা তত্ব বের করার জন্য ?"

যখন ইউনুছ বোঝাচ্ছিলেন তখন কি বাপি স্যার তার পাসের চেয়ারটায় বসে ছিলেন? যদি না থাকেন তবে এতকিছু জানলেন কেমনে? নাকি সব কিছুই আপনার "স্বপ্ন দোষের ফসল"??



ঠিক আছে ড.ইউনুছ খারাপ,সুদখোর, ভন্ড, তো আপনি নিজে একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করান না কেন? আমরাও আপনার জ্ঞানের সুমুদ্রটা অবলোকন করি!!



বাপি সাহেব বললেন "আমার জ্ঞান সিমীত বলে অর্থনিতী মেলা কিছু বুঝি না"

সিমীত জ্ঞান নিয়ে এ বিষয় নিয়ে চিৎকার বা ম্যাতকার কেন করছেন মি.পাপি? সিমীত জ্ঞাণ নিয়ে অজ্ঞান হবার সাহস দেখানো বুদ্ধিমানের কাজ নিশ্চই নয় নাকি??



বলেছেন "আমি একচন মিয়া মনে করি ধনী রাষ্ট্রগুলা , ধনী ব্যাবসায়ীরা, ব্যাবসায়ীরা সঙ্গত কারণেই ড. ইউনুস সাবরে নিয়া নাচবে । ব্যাংক ঋণ-এর সুদের হার কত সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে? ১২/১৩/১৪/১৫ % ইচ নট দ্যাট?"

সব দেশের মানুষকে আপনার মতো সস্তা মনে করার কারনটা কি একটু বলবেন? ধনী দেশের মানুষ আপনার মতো পেইড দালাল ব্লগারের কাতারে ফেলা দৃষ্টিকটু লাগে। ওনাদের নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর সময় খুব একটা নেই বলেই জানি।



"একচন মিয়া কি ভুল কিছু বলল?"


না ভূল বলে নাই, একচন মিয়া ডাহা মিথ্যা বলে গেল এবং নগ্ন দালাালী করে গেল।



"ড. ইউনুস সাব কখনও শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেছেন এমন কোন তথ্য, ছবি (ফটোশপ ছবি না । ছাগুরা আবার এমন ছবি বানাইয়া সবাইকে বিভ্রান্ত করতে পারে । সাধু সাবধান ।)কারো কাছে কি আছে ।"

আবাল প্রশ্ন, আপনি কোথায় কোথায় নগ্ন হয়ে বা নগ্ন পায়ে কি ছিড়েছেন সেই ছবিগুলো এখানে পোষ্ট করা উচিৎ ছিলোনা জনাব!! আপনি নিশ্চই আপনার দলের নেতা-নেত্রীর মতোই ড.ইউনুস কে রাজাকার পদবী দিলেন নাকি আমি ভুল বললাম?? আপনাদের বঙ্গবীর এখন আপনাদের কাছেই রাজাকার!!আপনাদের ড.কামালকে নিজেরাই বলেন রাজাকার তো ড.ইউনুছকে রাজাকার বলা খুবই স্বাভাবিক......আপনাদের কাছে রাজাকার বেয়াই জায়েজ আর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি সহ অনেকেই হয়ে গেছে নাজায়েজ রাজাকার!! এটা বড় বিষয় না, আপনাদের এমন চরিত্র এখন পাবলিক ধরে ফেলছে। সুতরং রাম ছাগলের মতো ম্যাতকার যতো ইচ্ছে করেন সমস্যা নাই। আফছোস হলো এতো জ্ঞানের অধীকারী মি.বাপি "দালাল" রূপে চিন্হিত হয় রইলো।



ও হো আপনি বা আপনারা তো সমালোচনা সহ্য করতে পারেননা। মতের আমিল মন্তব্য হলে মন্তব্যকারীকে আপনারা ব্লক করে দেন............আজব দালাল আপনারা, মন্তব্য সহ্য হবে না আবার লিখে জ্ঞান জাহির করতে চান।



শুশীল সমাজে নাম লেখানোর এমন নগ্ণ প্রয়াস সামুতে ইতিহাস হয়েই থাকবে।

কথায় কথায় ৭১ আর মুক্তিযুদ্ধ টাননে টানতে এখন এমন লম্বা করে ফেলছেন যে হেলাফেলার বস্তুতে পরিনত করে ফেলছেন যা বোঝার মতো জ্ঞান ঈশ্বর আপনাদের দেন নাই।

একটা কথা মনে রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা কেবল কারো বাবার একার সম্পত্তি নয়, সে সম্পত্তিতে আমার বাবার রক্ত কম ঝড়েনি বরং বেশিই ঝড়েছে।



যে দেশ গুনীর কদর জানেনা, সে দেশে গুনীর জন্ম হয়না কথাটা পুরোনো হলেও মিথ্যে নয়। আমরা গুনীর কদর করতে জানিনা কথাটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। রাজনিতী করেন কোন সমস্যা নেই, তবে রাজনিতী করতে গিয়ে কোন গুনীজনকে হেয় করে আপনি বড় হতে পারবেন না। এসব গুণীজনের মাধ্যমেই পুরো বিশ্ব এই সোনার বাংলাকে জানছে এবং চিনছে, এরা আমাদের সম্পদ। দেশকে বর্হিবিশ্বের কাছে আর হেয় করবেননা বা হাস্যকর করবেন না জনাব.....



তাই দয়াকরে আর চেতনা চেতনা করে "চেতনাকে অচেতন" করবেন না। নিজেদের চেতনাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করুন তাতে আপনার নিজের লাভ কিছু কম হলেও দেশ ও জনগণের লাভ হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাইজান আপনি যাই বলেন মাইক্রো ক্রেডিটের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। খোদ জোবরা গ্রামে, ড. আইনুন নাহার একটা গবেষনা কর্মে দেখান কিভাবে মহিলারা একটা ঋন চক্রের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে। পড়ে দেখতে পারেন 'বাজি গেছি'।
মাইক্রো ক্রেডিটের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে BRAC এখন ফিন্যান্সিয়াল ইডুকেশন চালু করেছে।
মাইক্রো ক্রেডিট আসলে গরীবের অসহায়ত্ব নিয়ে ব্যবসা। একজন ক্ষুধার্তের সামনে খাবার রেখে ব্যবসা আর কি? হ্যাঁ আপনি হয়তো বলবেন যার ভাল লাগবেনা, সে ঋন নিবে না। এই কথা বললে সব শেষ হয়ে যায় কিন্তু কাউকে আর শান্তির মসিহা বলা যায় না। আর এই ক্ষূদ্র ঋন এমনই একটা লাভ জনক ব্যবসা যে রাতারাতি দেশে হাজার হাজার এন জি ও, সমিতি তৈরি হয়ে যায় মানুষের শান্তি আনার জন্য।
শোনেন মিয়া শান্তিতে নোবেল টোটালি পলিটিক্যাল। ইউনুসের আন্তর্জাতিক লবিং আমার ভাল লাগে কিন্তু যখন ভাবি দেশের দরিদ্র মানুষের মসিহা বলা হচ্ছে তখন মেজাজ টা খিচড়ায়া উঠে।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: মাইক্রো ক্রেডিট যদি অনেককে নিঃস্ব করে তবে অনেককেই পূর্ণও করেছে। ব্যাপারটা নির্ভর করে আমি টাকাটা কোন পথে কাজে লাগাবো। আমি ক্ষুদ্রঋন নিয়ে যদি ছোট খাটো ব্যবসা করি সেটা ঠিক পথ, আর টাকা ঋন নিয়ে ঘরের টিন কিনলে তাকি সঠিক বলা চলে বলেন?

সব কিছুর দুটো দিক আছে, "ভাল আর খারাপ" এখন কোন দিকে যাবো তা নির্ভর করছে আমার উপরে।
ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.