নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যাথিত হৃদয় বিষে ভরা আজ স্বপ্ন ভাঙ্গা এক ফসল বুনা জমিন চষে

মাহমুদুর রহমান সুজন

ব্যাথিত হৃদয় বীষে ভরা আজ স্বপ্ন ট্রুটির এক ফসল বুনা জমিন চাষে...

মাহমুদুর রহমান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প নয় জীবন কথা বলে

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬

জীবনটা এত ছোট্ট কেন?
বুঝে ওঠার কোন বুদ্ধি-সুদ্ধি তেমন অমিতের নেই, অমিত জানে জন্মেছে যখন মরতেই হবে।মাঝ বয়সের এই যুবক দূরান্ত সবসময় স্বপ্ন দেখত একটা স্বপ্নলি জীবনের।এখন এই বয়সে এসে জীবনটাকে কোন মিটার দিয়ে মেপে বুঝেতে পারছেনা জীবনটা কেমন, স্বপ্নের কি রং হয় তাও সে জানে না। হয়তো লাল, নীল, কাল , সাদা সোনালী কিংবা রোপালী হবে কোন একটা। আনুমানিক জীবন নিয়ে এই সমিকরণ আনুপাতিক হিসাবের টালি গোচাচ্ছে।

আনুমানিক ২৩/২৪ বছর আগের একটা গল্প নয় যেন জীবনের ই কথা। তখন যে স্বপ্ন দেখেছিল অমিত তার কথা বলব; অমিত দেখেছিল ছোট্ট একটি জীবনের সূচনা, একদিন প্রাইভেট পড়তে গিয়ে পতুলের সাথে অমিতের দেখা হয়, তা থেকেই তার ভাল লাগা। ভাল লাগা টা একা অমিতের ছিলনা ছিল পতুলের ও পড়ে দুজন যখন তাদের কাছে থেকে দুজনের মনের কথা সিয়ার করার সুযোগ মিলেছিল বুঝতে সক্ষম হয়েছিল ভাল লাগা আর ভাল বাসার তফাৎ । ভাল লাগতে পারে যে কাউকে ভাল বাসতে হলে দুজনের ই ভাল লাগার সমিকরণ মিলতে হয়। এমন করে দুইজনেই একজন আরেকজনকে মনের অজান্তেই ভাল বেসে ফেলেছিল। প্রতিদনি স্কুলে যাওয়ার পথে পতুল অপেক্ষা করত অমিত দুই কিলোমিটার সাইকেলিং করে পতুলের পথে এসে প্রতিদিনই মিলত। এই মিলা যেন ছিল মোহনাতে দুটি নদির মিলন দারার মিলন, অমিতের মনে হতো দুনিয়ার সমস্থ সুখ গিরে আছে অমিতকে, এ যেন চীরস্থায়ী সুখ হয় এমন কামনাই দুই জনে গল্প করত যেন স্বর্গের দু'টি পাখির জুটি।এভাবে দিন যাচ্ছে মাস যাচ্ছে ওদের সামনে পরিক্ষা আসছে , পরিক্ষার চাপে কিছুদিন ওরা সাক্ষাতে ব্যার্থ হলেও একজন আরেকজনকে ভুলেনি মুহুর্তের জন্য। নবম শ্রেনি থেকে দশম শ্রেনিতে এখন ওরা, একজন আরেকজনকে ভাল করে পড়াশুনা করার উপদেশ দিত , দু'জনেই পড়ে যাচ্ছে । অমিতের সবসময় চাওয়া ছিল পতুল যেন ভাল রেজাল্ট করে, তাই অমিত পুতুলকে নানান বিষয়ে সাহা্য্য করত। দেখতে দেখতে ওদের এস এস সি ফাইনাল পরিক্ষা চলে এল। পরিক্ষা দিতে থাকল ওরা পরিক্ষার হল এক সাথে থাকার কারনে প্রতিদিন ই দেখা হতো ওদের । দেখা হতো কিন্তু কথা হতো না কারণ পরিক্ষার হলে পতুলকে তার ভাই , না হয় তার মা নিয়ে যেত। দুর থেকে দু'টি আখিযুগুলো মিলনেই যেন যুগ জনমের কথা সেরে যেত।এই ছিল ওদের দু'ই বছরের প্রেম।

এরপর একদিন অমিতের রিজাল্ট দিল অমিত পাস করেছে ৬ টি বিষয়ে লেটার নিয়ে ষ্টার পেয়েছে । এই খবরটি অমিতের মাকে জানানোর জন্য স্কুল থেকে বাড়িতে দৌড়ায়ে আসে মাকে বলতেই মা অনেক খুশি। অমিতের আত্নিয় স্বজন সবাই অমিতের রেজাল্টে খুশি, অমিত ও খুশি কিন্তু অমিতের মন বলছে পুতুলকে যদি জানানো যেত খুশিটা আরো দ্বিগুন হতো। পুতুলকে আর জানাতে পারেনি কেননা এদিকে পুতুল পরিক্ষা দিয়ে লাপাত্তা -বোনো বাসায় বেড়াতে গেছে ।পুতুল ও প্রথম শ্রেনিতে পাস করেছে খবরটি অমিত জেনেছে পুতুলের এক কাজিনের কাছে।কিন্তু ওরা আর কেহ কারোর সাথে যোগা যোগ রাখতে পারছেনা দুরত্তবিবেদ এর কারণ।
ওদের ইচ্ছা ছিল একসাথে কলেজে পড়ার তাই অমিত অপেক্ষা করছে পুতুলের জন্য কিন্তু পুতুলের কোন খনর নেই একদিন অমিত শুনে পতুল মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে গেছে। পুতুল তার কথা রাখেনি অমিত বুঝতে পারে তাই অমিতও একটা কলেজে ভর্তি হয়ে যায় । আর এই করে শুরু হয় ওদের অভিমানের সুচনা। এথেকে একজন আরেকজনকে যতটুকু চাচ্ছে তার চেয়ে দুরত্ব শুধু বাড়ছে। ইচ্ছা থাকলেও এখন আগের মতো দেখা করা যায়না। অমিত শুধু খবরা খবর নিতে পারে তার বান্ধবীদের কাছ থেকে কেননা অমিতের বেসমেট কয়েকটা বান্ধুবিও পুতুলের সাথে পড়ছে মাঝে মধ্যে বান্ধুবিদের বান্ধুবিদের মাধ্যমে চিছি আদান- প্রদান হয় এই করে কেটে যায় ওদর কলেজের একটি বছর।
তারপর পুতুল এখন একজন নারী , আবেগ তার কাছে তুচ্ছ, প্রেম -ভাল বাসা দরকার সাথে জীবন সমীকরণ ও মিলানোর দরকার, হয়তো পুতুল বুঝেগেছিল জীবন এত সহজ সমিকরণে মিলে না। অর্থ-বিত্ত আর প্রবাভশালীতা এগুলো অনেক দরকার জীবন শুরু করার আর তার জন্যেই অমিতকে ঢেকে নিল কাছে বলল -
> অমিত একটা কথা বলার জন্য তোমাকে ঢেকেছি
>> বল, কি বলবে?
> এই যে আমরা একটা প্রেম ভাল বাসা নিয়ে এত মাতা মাতি করি শেষ পর্যন্ত আমরা কি তার মর্যাদা দিতে পারি?
>> কেন , যার ভাল ভাসে তারা ভাল বাসার মানুষকে জীবন দিয়ে হলেও মর্যাদা দেয়। যেমন আমি তোমাকে ভাল বাসি তোমাকেত হেয় করি না।
> আমি তা বলছি না, বলছিলাম তোমার আর আমার বয়সের তেমন তফাত নেই, যদিও বয়সটা কোন ফেক্ট না । আমরা একজন আরেকজনকে ভাল বাসি। আমি তোমাকে যেমন তুমিও তেমন ই ভাল বাস। কিন্তু আমার চিন্তা আর তোমার চিন্তার কিছুটা পার্থক্য আছে আমি এখন ঘর -সংসার নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে কেননা আমার পিতা মাতা এখন ই নানান সম্পর্ক নিয়ে আসছে আমার জন্য। কিন্তু এই অবস্থাতে তোমার কথা আমার ফ্যামিলীতে বলতওে পারবনা।
>> হুম।
> কথা বলছনা কেন?
>> কি বলব!
> এই আমি যে যুক্তিটি আনলাম তোমার কি মনপুত হয়নি, চুপ করে আছ যে!
>> মনপুত আর কি হবে বল তোমার কথা তেমন বুছে ওঠিনি, কি বলব জবাবে তাও জানি না।
> এই বিষয় টা বলব বলেই তোমাকে ঢেকে এনেছি।তুমি আমাকে ভুল বুঝনা , আমি তোমাকেই ভাল বেসেছিলাম , তোমাকেই ভাল বাসি।কিন্তু বাস্তবতা যে কত নির্মম তা কি সামনে এগুতে দিবে।আমরা গ্রামে বাস করি, আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাত তোমার জানা।
>> আমি এতসব বুঝতে চাই না আমি তোমাকে ভাল বাসি এ টুকু জানি তার পর আর কিছু না।
> তুমি কি এখন আমাকে নিয়ে কোন চিন্তা করতে পারবে?
>> কেমন চিন্তা?
> ঘর বাধার ।
>> এইটা কেমন করে সম্ভব বল!
> যদি সম্ভবই না হবে তা হলে মিছে মরিচিকার পিছু ছোটতে কেন আমাকে বল, বা তুমিই কেন ছোটবে?
>> ভাল বাসা কি অপরাধ ?
> না আমি ভাল বাসা অপরাধ বলছি না বলছি বেশি আবেগ থাকা অপরাধ, যে ভাল বাসা শুধু স্বপ্ন দেখায় তা অপরাধ .............
চোখের জল লোকাতে আর পারছিল না পুতুল।
অমিত পুতুলকে এই অবস্থা দেখে আরো ইমুশনাল হয়ে গেল , কিছু একটা বলতে চাচ্ছে কিন্তু পুতুলকে হয়তো বলে আজ শান্তনা দিয়ে দিতে পারে আর কয়দিন সময় দা্ও চিন্তা করে তোমাকে জানা্ব। তাই বলে দিল কয়টা দিন সময়ত চাই একটা ডিসিশনে পোছাতে তা কি সম্ভব?
পুতুল বলছে, তোমার খুশি।
তার অনেকদিন পর একদিন পুতুলের সাথে আমিতের দেখা হয় । কিন্তু পুতুল জানতে চা্য় জবাব ,সেদিনের পর আর কোন জবাব দিলে না যে।
অমিত বলে জবাবত তোমার কাছেই
ত অইটা কি বল আমাকে
তা হল শুন: ভাল বাসা একটা সমুদ্র সফেন মাত্র । যার মুল্যায়ন করলে ও পার না করলে খরকুটু ধরতে পার । ধর তুমি আমাকে ভাল বাস , অামিও এটাই সত্য চির সত্যটাকে গলাটিপে মারতে যাব কেন। ভাল বাসলে ঘর করতে হয়না , ভাল বাসা মরেও না । তুমি তোমার ফ্যামিলীর মতামতকে সবসময় প্রাধান্য দিও। আর আমাদের ভাল বাসাকে চির অম্লান করতে বন্ধুত্বের সংজ্ঞাই মান দিও।
এর পর অমিতের সাথে আর কোন দিন পুতুলের দেখা হয়নি । পুতুলকে দেখতে অমিতের অনেক মন চায়।






মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখাটা ভালোই হয়েছে , এত কম পঠিত কেন বুঝে আসছে না ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমার লিখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। লিখা কেমন হয়েছে তার মানদন্ড দিবেন পাঠকমাত্র, যদি কারুর ইচ্ছা হয় পড়বে । আমি ক্ষুদে লেখক এটুকু চেষ্টা মাত্র।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

দর্পণ বলেছেন: হুম। এমনি হয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাইয়া, লিখাটায় প্রচুর বানান ভুল ছিল।
ভাল লেগেছে কিন্তু একদমই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ভাই, বানান ভুল আর বানানে আঞ্চলিকতার টানে তো ভাইসা যাইতেছিলাম। যত্ন নিয়ে লিখেন, লিখেই দিয়ে দিয়েন না। দেখে দিয়েন।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: গল্পটা সুন্দর হয়েছে:D:D

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

জনম দাসী বলেছেন: love can never die...

গল্প টা আগে পড়েছি, কি লিখবো ভেবে ......;;

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তাই বুঝি। চেষ্টা করি কিছু একটা লিখতে কিন্তু তেমন হয়ে ওঠেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.