নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার দেশটার মত মহান হতে চাই facebook.com/khudro.khadem

ক্ষুদ্র খাদেম

ক্ষুদ্র খাদেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন একটু পেছন থেকে শুরু করা যাক!!! /:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯৫.৯% আমেরিকার বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে টেলিভিশন সেট আছে।
>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯৯.৮% আমেরিকার বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে রেফ্রিজারেটর আছে।
>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৮৫ % আমেরিকার বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে ব্যক্তিগত গাড়ি আছে।
>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯৫.১% জাপানিজ বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে রঙ্গিন টেলিভিশন সেট আছে।
>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯৯ % জাপানিজ বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে রেফ্রিজারেটর আছে।
>>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৮৫% জাপানিজ বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে ব্যক্তিগত গাড়ি আছে।


উপরে যা যা বললাম সবই আমেরিকান ঘরবাড়ির আজকের বা আজকের কাছাকাছি সময়ের পরিসংখ্যান। এগুলো দেখে আমাদের কী??

আসলেই তো, আমেরিকা ধনী দেশ, নাগরিকরা সচ্ছল আর শিক্ষিত, জ্ঞানে-গুনে আমাদের তুলনায় তারা অনেকগুণ এগিয়ে।

ওদের কথা বাদ দেই, আসেন তাকাই, জাপানের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের অবস্থা বলছি। সারাদেশে কোনও রকমের অবকাঠামো বলতে তেমন কিছু নেই, উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, জনগণের খাদ্যের জোগান দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে, দুনিয়াতে তাদের ইমেজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে! এমন অবস্থায় পড়লে আজকে আপনি আমি কী করতাম? নিশ্চয়ই আপনি বলবেন, কেন আমরা তো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে এরকম বা এর থেকেও বেশি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে এসেছি!!

আপনার কথা ১০০ ভাগ সত্যি, আমি বলব ১০০ ভাগের ও বেশি সত্যি!! (এবং এটাই সত্যি)।

আমরা চ্যালেঞ্জ জয় করেছি, কিন্তু এরপরে কি করেছি আর জাপান কি করেছে? সেটাই কয়েকটা কথায় জানাচ্ছি।

যখন জাপানের নেতারা দেখলেন যেহেতু এখন মানুষ জানে জাপানের উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, জনগণের আমাদের উপরে আস্থা আসতে সময় লাগবে। আমরা বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করব আবার আমাদের দেশেও তৈরি করব, তবে আমাদের তৈরি পণ্যের গায়েও লেখা থাকবে “মেইড ইন জার্মানি” বা “মেইড ইন ব্রিটেন”। এইভাবে কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পরে নেতারা সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন সময় হয়েছে, সবাইকে জানানোর। তারপরে তারা একযোগে ঘোষণা দিলেন, আগের সকল পণ্যের মধ্যে জাপানে তৈরিকৃত পণ্যও ছিল। এবং গুণে ও মানে তারা আর জার্মানি বা ব্রিটেন থেকে পিছিয়ে নেই। এবং এখন থেকে তাদের আর বাইরে থেকে পণ্য আমদানি দরকার হবে না, দেশের প্রয়োজন দেশেই মেটানোর সক্ষমতা তারা অর্জন করেছেন।

এই কথা শুধু জাপান নয়, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে।

এখন আমার একটা বিষয় জানার আছে... আমাদের দেশের কোনও নেতার মাঝে কি একবার ও মনে হয়নি যে, একটা দেশের মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্যে একটা না একটা জেনারশনকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়েছে। যেহেতু আজ পর্যন্ত কারো এই বিষয়টা মাথায় আসেনি (আমি ধরে নিচ্ছি, কারণ, নিজের চোখে তেমন কিছু দেখতে পাইনি তাই!!) তাই কে বা কারা হতে যাচ্ছে সেই জেনারেশন আমাদের দেশে?

আমার মাথায় এই চিন্তা এসেছে এইভাবে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে বা জাপানে যখন একটা শিশু জন্মায় সে দেখে তার ঘরে কিছু জিনিস আছে যেগুলো হচ্ছে কমন (যেমন টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়ি)।

আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী অধিকাংশ লোকের ঘরে এই জিনিস কোনও শিশুই প্রায় দেখে না (এখন টেলিভিশন সেটের সংখ্যা বেড়েছে,[ >>সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৪৬% বাংলাদেশি বাসগৃহে কমপক্ষে একটি করে টেলিভিশন সেট আছে। কিন্তু পরের দুইটার সঠিক কোনও তথ্য আমি পাইনি :( ]। তাদের জীবনের অর্ধেকের বেশি কেটে যায়, কিছু স্বপ্নের পেছনে, যে সকল বেসিক জিনিসগুলো নিয়েই তার জন্মানো উচিত ছিল। কিন্তু, স্বাধীনতার পরে এই প্রায় পঞ্চাশ বছরেও আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি!!

তাই, আমার একটাই প্রশ্ন “আমরা কী হতে পারি সেই জেনারেশন, যারা তাদের চিন্তায়, শ্রমে আর নিষ্ঠায় পরবর্তীদের জন্যে খুব উন্নত কিছু না পারলেও কিছু বেসিক জিনিস রেখে যেতে পারব???

আজকে আর কোনও জোকস নয়, কারণ আগামীবছর আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি, আর আমাদের বর্তমান অবস্থা এইরকম, এটাই সবচেয়ে বড় জোকস!!

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জাতি মন থেকে স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখেনি এখনো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: স্বাধীনতার সম্মান তো অনেক পরের কথা, আমরা তো মনে হয় না নিজেকেই যথেষ্ট সম্মান দেই /:)

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আয়তন ও সম্পদের তুলনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আপনি বলবেন , তারা বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের কোন নিজস্ব পারিবারিক জীবন নেই। তারা শ্রমদাস হিসেবে অন্য দেশে কামলা দিচ্ছে মাত্র।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: এটা আরেকটা সত্যি কথা বটে, কিন্তু যারা ভালো অবস্থানে থেকে বাইরে চলে যায়, তাদের আমাদের প্রতি মনোভাব যেমন ভালো না, তেমনি নেতৃস্থানীয় যারা আছে তারা চায় না, ভালো কেউ এসে তাদের সাজানো সুখের চুরি-চামারির সংসারে আগুন লাগিয়ে দিক :(

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

বিজন রয় বলেছেন: আমরা কেন পারছি না তার উত্তরটা সহজ।
কিন্তু আমি বললে আপনার খুব রাগ হবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: প্লিজ আপনি লিখে ফেলুন, এখানে লিখতে না চাইলে আলাদা করে একটা পোস্ট লিখে দিন, তাও আমি আসলে পেছনে ফিরে হলেও কারণটা জানতে চাই, জানতে চাচ্ছি, কোথায় আমাদের সমস্যা, কী এমন সমস্যা, জা সমাধান করা যাবে না?? :((

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: জাপান আমেরিকা বাদ দেন।
নিজেদে রকি আছে কি নেই তা বলুন। জাপান আমেরিকা তাদের টা তারা করে নিয়েছে। আমাদের টাও আমাদের করে নিতে হবে। জাপান আমেরিকা এসে করে দিবে না।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
কিছু মানূষ রাস্তায় ঘুমায় তাতে কি? কিছু মানুষ বেকার- তাতে কি?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: জাপান আমেরিকা বাদ দেন।
নিজেদে রকি আছে কি নেই তা বলুন। জাপান আমেরিকা তাদের টা তারা করে নিয়েছে। আমাদের টাও আমাদের করে নিতে হবে। জাপান আমেরিকা এসে করে দিবে না।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
কিছু মানূষ রাস্তায় ঘুমায় তাতে কি? কিছু মানুষ বেকার- তাতে কি?


আসলেই উন্নয়নের মহাসড়কে ঘুমানো কী চাট্টিখানি কথা???

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

আমি রানা বলেছেন: আমার ধারনা জাতির জনককে হত্যার সাথে সাথে, আমরা আবার পরাজিত হয়েছি। তবে আশা রাখি কেউ একজন আবার হাল ধরবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: উঁহু, কেউ হাল ধরবে না, মরা মেরে কেউ খুনের দায় নিতে চায় না এই জগতে!! আমার আপনার মধ্য থেকে কাউকেই এগিয়ে আসতে হবে, নতুবা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে /:)

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোন বাঁচে কোন মরে তার ঠিক নাই। সবাই এখন মরার জন্য রেড়ি হই।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: এইটাই বাস্তবতা, আরেকটু যদি বলি, দেশের প্রান্তিক জনগণ যদি করোনায় মারা নাও যায়, দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে, এই অবস্থা চলতে থাকলে :| সেটার জন্যে কী আমাদের কোনও প্রস্তুতি আছে???

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। তবে...

আলোচনায় শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। ১২শ খ্রিস্টাব্দের আগে থেকেই জাপানিদের ইতিহাস এ পর্যন্ত, এককভাবে ও বিচ্ছিন্নভাবে তাদের নিজেদের রক্ত নিজেরাই শাসন করে এসেছেন। তারা আগেও জ্ঞান বুদ্ধিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিন। তা না হলে ১ম বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করত না। চীনা,মংগল,ব্রিটিশ,রাশিয়ানের সাথে যুদ্ধের কথা নাই বললাম। তাই তারা ঘুরে দাড়াতে পেরেছে। আগেও তাদের অভ্যাস ছিল এবং এখনো আছে৷

আর বাংগালী জাতির ইতিহাস এত পুরোনো ও একক মানচিত্রের নয়। যতই মধ্যযুগ টানাহোক না কেন। শেষের দিকে যারাই শাসন করেছেন তারাও বাংগালী ছিলেন না। সুংতাং বড়কিছু আশা করা যায় না। আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা ধরা যায় ১৯৭১। তাই বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের জাতির বয়স বেশি নয়৷ তাই জাপানীদের সাথে তুলনা করা করা যায় না।
কিন্তু জাপানিদের বারংবার পুনরুত্থানকে উধাহরণ হিসেবে নিলে ভাল হয়।

বাংলাদেশের মানুষ আগে অনেক অসচেতন ছিল, এখনও আছে তবে আগে থেকে কিছুটা কমেছে৷ আমি উদাহরণ দিয়ে মন্তব্য বড় করতে চাচ্ছি না৷ কিন্তু দেশ ও জাতি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তবে একলাফে রাতের ভোট দিয়ে উন্নতি হবে না।

ভালকে গ্রহন করুন, খারাপকে বর্জন করুন৷ কেউ চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেনা হোক দূর্নীতিবাজ বা পরিবারতন্ত্র, ইতিহাস তাই বলে।
আশা করি মতামতকে অগ্রাহ্য করবেন না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যের আর আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, আপনি নিজেও ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার দিকে আমি যে তাকাতে বলেছি সেটা এড়িয়ে গেছেন। তবে, আপনার কথা ঠিক, কারণ, জাপান সম্পর্কে একটা জোকস আছে এরকম যে 'একটা রাস্তা সোজা করে তৈরি করতে গেলে একটা গাছ যদি মাঝে পড়ে, এবং একশো জন জাপানিকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে গাছ থাকবে না রাস্তা হবে, সেখানে ৯৯ জন বলবে গাছ কাটো, রাস্তা বানাও আর বাকী একজন পরিবেশবিদ'।

ওদের সবাইকে দেখবেন একই রকমের ফ্যাশনে আগ্রহী আর আমাদের দেশে আমরা চাই ইউনিক হতে। এটা স্বাভাবিক আর থাকবেই। আমি যেটা সহজে বোঝাতে চেয়েছি, সেটা হচ্ছে আপনি চাইলেই একা কিছু করতে পারবেন না হয়ত, কিন্তু একটা জেনারেশনের পরিবর্তন একটা হাজার বছরের নতুন সভ্যতার পত্তন ঘটাতে পারে!

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কিংবা আপনার পরিবার কি স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন? মিলটারী দেশের ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: যদিও পোস্টের সাথে যায়না, তবুও আপনি যেহেতু প্রশ্ন করেই ফেলেছেন "না, আমরা সারটিফিকেটধারী কেউ নই" দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে আরেকটা পাল্টা প্রশ্ন করি, "আপনি যেখানে আছেন, সেখানে কী এই ভয়টা কখনও আপনার মনে আসে? এসে থাকলে আপনার কী অভিমত? আর যদি না এসে থাকে তাহলে কেন আসেনি??"

আর আমার উত্তর হচ্ছে আমি মনে করি না এখনকার দিনে মিলিটারি আর এই দেশের ভার ঘাড়ে নিতে চাইবে, কারণ, মরা মেরে কেউই খুনের দায় নিতে চাইবে না। আর তারপরেও যদি তারা ক্ষমতার দখল নেয়, তাহলে "Jokes on them"।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের সিঙ্গাপুরের চেয়ে বেশি এসেট এবং অনেক বেশি জনবল আছে। আমাদের যেটি অনেক বেশি দরকার তা সততা দেশপ্রেম এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা।
দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের অনেক উন্নতি করার সুযোগ আছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: সবই আছে, কিন্তু সবাইকে এক সুতায় গাঁথবে কে?? এখানে যে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার মতো একটা বিষয় থেকে যাচ্ছে!!

দক্ষ জনসম্পদ যে এই দেশে নেই বা ছিল না তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, একটু খেয়াল করলে দেখবেন, যে যুবক তার গ্রামের বাড়িতে বসে থেকে, বন্ধুর মোটরবাইক চালিয়ে হাওয়ায় উড়ে বেরিয়েছে, সেই একই যুবক মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে হারভাঙ্গা পরিশ্রম করতেও পিছপা হয়না। আমাদের দেশে ভালো কিছু করার সুযোগ না পেয়ে যে মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীটি বিদেশে গিয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করছে, তার ফলাফল ঐ দেশই ভোগ করছে, আমরা চাচ্ছি না তারা দেশে এসে ভালো কিছু করুক এবং আমরা তাদেরকে সেই সুযোগটাও দিচ্ছি না :(

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
ভালো থাকুন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন :)

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শাসকগোষ্ঠীর টেনডেনসির তুলনা না করে - জাপান আর বাংলাদেশের জনগণের খাসলতে খাসলতে তুলনা করুন , শেষে যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, তার উত্তর খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। শাসকেরা তো ভুইফোঁড় কেউ নয়, আমাদের মধ্য থেকেই তো উঠে আসে। জনগণ যেমন হবে, শাসকতো তেমনই হবে। শুভকামনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনাকে বরং আরেকটা প্রশ্ন করি আমি। আজকে ধরুন বর্তমান মন্ত্রিসভায় যারা আছেন তাদের বদলে "সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট" যারা আছেন, তাদেরকে যদি বসিয়ে দেয়া হয় আপনার কী ধারণা, পলিসি পরিবর্তন হতে কতদিন লাগবে? একটু চিন্তা করে দেখুন, আমাদের সরকার যাদেরকে সচিব হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে, তারা কেউই রিসার্চর নন, সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট তো দুরের কথা, তাদের কাছ থেকে আপনি কী আশা করতে পারেন?

বেশিদূর যেতে হবে না, পাকিস্তান আমলেও বাংলাদেশে প্লানিং কমিশনে লোক নেয়া হত ইউনিভার্সিটি থেকে কারণ শিক্ষক আর গবেষকরাই কেবল আপনাকে এই বিষয়ে সঠিক সমাধান দিতে পারবেন আরও ভালো করে বললে, শুধুমাত্র গবেষকরা। যাকগে, আপনি হয়ত মনে করেন রাস্তা ঘাটে পেটোয়া রাজনীতি করে বেড়ানো লোকজন দেশকে স্বর্গে নিয়ে যাবে আর দোষ জনগণের তাহলে আপনার সাথে আমার মতের অমিল থাকতেই পারে :)

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুন বলেছেন: এই সব বিশাল উন্নয়নের সাথে সাথে তারা যুদ্ধ পরবর্তী জেনারেশনের মন থেকে মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছে একটি বিশাল জিনিস তা হলো নৃশংসতা । দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপানীরা যে নৃশংসতা আর বীভৎসতা দেখিয়েছিল সারা বিশ্বে তা বর্তমান জাপানীরা কল্পনায় আনতে পারে না । তারা আজ তারা প্রতিটা কথার আগে পিছে মাথা ঝুকিয়ে আরিগাতো ( ধন্যবাদ ) না বলে কারো সাথে কথা বলার চিন্তাই করতে পারে না ক্ষুদ্র খাদেম । আমরা কি আমাদের দেশের জনগনকে এমন কোন শিক্ষা দিয়েছি !

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপু সমস্যাটা এখানেই, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়! আমাদের দেশে শিক্ষকরা সবচেয়ে নিগৃহীত, আর সবচেয়ে প্রতিভাবান যারা আছেন, তারা এই নিগ্রহের কারণে, এই পেশায় আগ্রহী না, আর যারা এই পেশায় আসছে (তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি), তারা আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণীর প্রতিভাবান নন। ইনপুট ভালো না দিলে ভালো আউটপুট আমরা আশা করতে পারিনা। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা যা করতে পারতাম তা ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া করে দেখিয়ে দিয়েছে। আমার দুঃখটা ঠিক এখানেই :(

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। তবুও যার যার পক্ষ থেকে যতটুকু পারা যায় ভালকিছু শুরু করা যাক।++++++

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমাদের মধ্যে আপনি আমি আমরা কী সেই দায়িত্বটা নিতে পারি? অবশ্যই পারি, আমরা সফলও হতে পারি, কিন্তু আসলে ওপরের লোকজন কেউই চায়না যে একটা পরিবর্তন আসুক আর মানুষ ভালো থাকুক! :(

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

<<সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৯৯.৮% আমেরিকান মানবিক নন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: /:) B:-) :((

বাঙ্গালিও কম যায় না, পারিবারিক বন্ধন খুব দৃঢ় আমাদের, শুধু প্রয়োজনের পরে বাবা-মা বৃদ্ধাশ্রমে আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে শাল-গজারির বনে। বাঙালি মানবিক কিন্তু অমানুষ। কারণ, আমরা বিদেশি দেখলে বিনয়ে বিগলিত, কিন্তু রাস্তার টোকাই দেখলে "দূর দূর করতে ছাড়ি না"।

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।
এবং সবার মন্তব্যের উত্তর সুন্দর ভাবে দিয়ে গেছেন। গ্রেট।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ধন্যবাদ আবার ফিরে এসে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্যে :)

হ্যা, আমার মনে হয় পোস্টের পরে, মন্তব্যে এসে অন্যদের অভিমত পড়তে গিয়ে নিজের ও আরও কিছু বিষয় মনে পড়ে, তাই এইরকম উত্তর পেয়ে যান :D

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা বললেন, তার অন্তরীণ দ্বৈততা/ ফ্যালাসিটুকু কী ধরতে পারছেন?

যাক আপনার জন্যে আপাতত দুটো চিন্তার ক্লু (পরামর্শ বলতে চাইছিলাম। আঁতে ঘা লাগতে পারে বলে) ছেড়ে যাচ্ছি।

১। সাবজেক্ট ভার্ব - অ্যাগ্রিমেন্টের নিয়মগুলো আর একবার ঝালাই করে নিন। গুগল করলেই পাবেন।

২। মানুষের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও বেশ কয়েকবার ভাবুন। আর পাবলিক প্ল্যাটফর্মে সেই সিদ্ধান্ত শেয়ার করবার আগে আরও দশবার ভাবুন।

শুভকামনা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমার যদিও বা আঁতে ঘা লাগতে পারে, কিন্তু আমি আপনাদের মতামত ই চাচ্ছি। এতে আমার জন্যেও চিন্তার দুয়ার খুলবে ার আপনারাও আমার চিন্তাকে আপনাদের কেমন লাগছে টা জানাতে পারলেন :)

এবার আসি আপনার প্রশ্নে-
১- আমি ব্যাকরণে দুর্বল, সাবজেক্ট ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট আমাকে দিয়ে হবে না।
২- যদি বলেন আপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর বিষয়ে, তাহলে বলব আমি দরকার হলে আরও ১০০ বার কেন আরও বেশিবার ভেবে দেখব। কিন্তু যদি বলেন যে রাজনীতিবিদদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা এবং তা প্রকাশের কথা, আমি শুধু দেখব ওর জন্ম কোথায়, আর কিছুই দেখব না মতামত প্রদানের বিষয়ে, এবং আমার মতামত আমি দিতেই চাইব (কোনও প্রকারের বাছ-বিচার ছাড়াই)।

আবারো ধন্যবাদ, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশকে পিছিয়ে নিয়েছে আমাদের সামরিক লোকজনের ক্ষমতা দখল ও উদ্ভট শিক্ষা ব্যবস্থা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪০

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: যদি শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক থাকত, তাহলে সামরিক বেসামরিক কেউই দেশকে এই অবস্থায় নিতে পারত না :(

আমার তো বিশ্বাস, শিক্ষা ব্যবস্থা এরকম থাকা আর এর পরিবর্তন না হওয়ার পেছনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বড় রকমের হাত আছে। কারণ, তারা জানে শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক হয়ে গেলেই মানুষ এই শুভঙ্করের ফাঁকি টা ধরে ফেলবে।

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: কেন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনিঃ
১) অধিক জনসংখ্যা।
২) শিক্ষার অভাব, ধর্মীয় গোঁড়ামী।
৩) জাতি সম্পূর্ণ ভাবে মূল দুই ধারায় বিভক্ত।
৪) নেতৃত্বের ব্যর্থতা।
৫) বিভিন্ন সময়ে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ।

তবে আশার কথা হচ্ছে ইদানিং বাংলাদেশের ব্রান্ডিং হয়েছে । আজ নিজের জাতীয় পতাকা কে সম্মান করে অনেক তরুণ, তরুণী নিজেদের লাল সবুজে সাজাতে গর্ববোধ করে। অনেক পণ্যের গায়ে গর্বের সাথে লেখা থাকে "Made in Bangladesh".
এই বোধটাকে যদি পরিচর্যা করা যায় তবে দেশ আগাবে বলে আমি আশাবাদী।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে এনেছেন :)

দুই নম্বরের প্রথম অংশ, তিন এবং চারের সাথে একান্তভাবে সহমত আর বাকিগুলো হচ্ছে এই মূল কারণগুলোর পরবর্তী ফলাফল :(

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভিয়েতনামের যুদ্ধবাজ ইতিহাস খুবই পুরনো। আর সিঙ্গাপুর এর অধিকাংশই মালয় বা কিঞ্চিত চীনা বা বিভিন্ন জাতির মিশ্রতা আছে। সেখানকার স্থানীয় জাতি নেই বললেই চলে। আমি অন্তত জানি না। সুতরাং সিঙ্গাপুরকে মালয় রক্ত বলা যায়। আর মালয়শিয়ানরদের ইতিহাস বলে তারাও কম যায় না। তাদের পররাষ্ট্রনীতি অতীতেই ভাল ছিল। বিভিন্ন সময়ে সময়ে সময়ের সাথে তালে তালে চলেছে। তবে তারা আগ্রাসী ছিল না বলে ভিয়াতনামের যুদ্ধবাজদের থেকে বাচঁতে চীনাদের অধিনস্ত হয়েছিল। তাদের থেকে জাপানীদের ইতিহাসে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বযুদ্ধের কারনে।
তাদের সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলবে না। কিন্তু উদাহরণ চলে।
তাই বাড়তি কথা বলা বলে তখন মতামত বড় করতে চাচ্ছিলাম না।

মূল কথা, আপনিও দেশের ও জাতির উন্নতি চান। আর আমিও দেশের ও জাতির উন্নতির সোপনে তাকিয়ে আছি। আল্লাহ যদি তৌফিক দেয় দেখে যেতে পারব কিছুটা। উন্নতির তো শেষ নাই। যতটুকু আগায় ততটুকুই লাভ। :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ, বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে :)
জি, আপনার মতো আমারও সেই একই আশা। তবে শুধু আশা করে থাকলে তো চলবে না, আমি চাচ্ছি, আমরা আমাদের কাজের পদ্ধতিটা একটু পরিবর্তন করে, যে সহজ উপায়ে সারা দুনিয়া উন্নতি করেছে, সেই উপায়েই একবার চেষ্টা করে দেখি।

উন্নতির তো শেষ নাই। যতটুকু আগায় ততটুকুই লাভ।

একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডে এলেই আমি খুশি :)

২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কি বস্তুগত জিনিস রেখে গেলাম সেটা বড় কথা না। আমরা সত্যিকারের একটা দেশপ্রেমিক, পরিশ্রমী ও মেধাবী প্রজন্ম গড়তে পারব কি না এইটাই বড় কথা। টিভি, ফ্রিজ উন্নয়নের শর্ত না। আমেরিকাতে কিছু মানুষ গাড়িতে থাকে কারণ তাদের বাড়ি নাই। আবার অনেক বস্তি সদৃশ গৃহে টিভি, ফ্রিজ আছে (আমাদের অনেক বস্তিতেও আছে)। তাই এসব ভোগ্য বস্তু বড় কথা না। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা রাখে এরকম তরুন সমাজ তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে এরকম মেধাবী, পরিশ্রমী, দেশপ্রেমিক তরুন অনেক আছে। কিন্তু এদেরকে সংগঠিত করতে হবে। সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে আগাতে হবে কারণ রাষ্ট্রের চালকরা অদক্ষ ও অসৎ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমি আপনার সাথে আসলে ১০০ ভাগ একমত। আমার এই পোস্টের একটা উদ্দেশ্য ছিল, বৈষয়িক দিক তুলে ধরা। সেটা তেমন কিছু নয় আমিও মানি। কিন্তু এই সাথে শিক্ষা আর সামাজিকতা, আর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা একটা বড় ভুমিকা রাখবে। অর্থনৈতিক ভাবে আপনি আমি যদি স্টেবল না হই বাকি সবকিছু এমনিতেই হারিয়ে যাবে। যদি ধরেন আমরা ৯০ ভাগ লোক ঠিক হয়ে যেতে পারি তখন গাড়িতে বসবাসকারী বাকি ১০ ভাগ বা বস্তির টিভি-ফ্রিজওয়ালা গরীবদের দেখাশুনা করতেই পারব আশা করি :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.