নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মগজ

মুয়াজ

আমি যে কি তা আমি নিজেও জানিনা

মুয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে রাখুন নারী পুরুষ এর একে ওপর কে ভাল লাগা নিয়ে কিছু কথা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

আপনি কখনো কি ভেবে দেখেছেন যখন একটি ছেলে একটী মেয়েকে দেখে কিংবা

একটি মেয়ে একটি ছেলেকে দেখে তখন কেন ভালো লাগা বোধের জন্ম হয়? মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে যেমন অসংখ্য চারিত্রিক বৈচিত্র্য রয়েছে তেমনি তাঁদের ভালো লাগার মধ্যেও রয়েছে অনেক পার্থক্য। যেমন ছেলেদের একটী মেয়েকে ভালো লাগার

বিষয়টা অনেকটাই দৃষ্টিনির্ভর। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অনেকটা স্মৃতি নির্ভর। এবার ব্যাপারটা ব্যাখা করা যাক,

একটি মেয়ের মায়াবী মুখ

বলতে আমরা কী বুঝি?

তার মুখে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ বা ক্ষত নেই এবং তার মুখমণ্ডল প্রতিসম বা সোনালী অনুপাত মেনে চলে, যা মেয়েটির দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। মেয়েটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে তার দেহে জন্ম নেয়া শিশুটিও সুস্থ – সাবলীল হবে। আর আমরা জানি প্রজাতি টিকে থাকার জন্য সেই বইশিষ্ট্যটাই চেছে নেয় যা তার অস্তিত্ব অক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং এজন্যই ছেলেটির কাছে মেয়েটির মুখমণ্ডল মায়াবী লাগছে। এবার যদি প্রশ্ন করি একটি মেয়ের কঙ্কাল ও ছেলের কঙ্কাল দেখে বোঝার উপায় কী,কোনটি কার। উত্তরটি পেল্পভিস বা মাজার হাড়। সাধারণত মেয়েদের পেলভিস ছেলেদের তুলনায় চওড়া হয়। আর সেই মেয়েটিকে দেখলে ছেলেদের বেশি ভালো লাগে যেই মেয়েটির পেলভিস অন্যদের তুলনায় আকারে বড়। এর

ব্যাখা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, যে মেয়ের পেলভিস বড় তার জন্য বাচ্চা প্রসব করা ঝুকিহীন ও বাচ্চার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। আর তাই ছেলেদের চোখে সে মেয়ের

আবেদন বেশি। মানুষের মত স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তা আমদের সবারই জানা। তাই এটাই বাস্তবিক যে মেয়েটির

স্তনের আকৃতি অন্যদের তুলনায় একটু বেশি বড় সেই মেয়েটিকেই ছেলেদের ভালো লাগবে। এর সবই প্রাকৃতিক

নির্বানের ফসল।

পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহার

করেনি এমন খুব কম মানুষই আছে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা কেন পারফিউম ব্যবহার করি। আমাদের দেহ থেকে প্রতিনিয়ত যে ঘাম বের হয় তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ

ক্ষমতা সহ জীনতাত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলোর বাহক। ধরে নিই ‘ক’

রোগের প্রতি প্রতিরোধক যা তার

ঘামের গন্ধ থেকে একটি মেয়ে বুঝতে পারে। আবার ধরি মেয়েটি ‘খ’ রোগের প্রতি প্রতিরোধক যা ছেলেটিও

একইভাবে বুঝতে পারে। এদের

থেকে যে সন্তান জন্মাবে সে ‘ক’ ও ‘খ’

দুই রোগেরই প্রতিরোধক হবে। এ

জন্যই মেয়েটি ছেলের প্রতি বা ছেলেটি মেয়ের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে। তাই যে মেয়ে বা ছেলে তার বিপরীত লিঙ্গের

গায়ের ঘ্রাণ শুকে বেশি বৈচিত্র্য

পাবে সে তত বেশি তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে। এবার আসা যাক একটি মেয়ে কখন

একটি ছেলের প্রতি আকর্ষণ করবে। প্রথমেই বলেছি এই আকর্ষণ বোধটা অনেকটা স্মৃতিচারণ মূলক। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েরা তার প্রিয়জনের প্রতি আশা করে যেন

তারা তাদের বিয়ের দিন-ক্ষণ

বা জন্মদিনের তারিখ বা জন্মদিনের বিশেষ উপহার

মনে রাখে এবং তা বারবার

আলোচনা করে। কারণ এটি প্রকাশ করে ছেলেটি তার

প্রতি কতটা দায়ীত্বশীল।

এটা বিবর্তন দিয়ে ব্যাখা করা যাক। আমরা ত্রিশ লাখ বছর

আগে যদি ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাবো একটি মেয়ে গহীন

জঙ্গলে অরক্ষিত অবস্থায় সন্তান প্রসব করছে এবং এ সময় সে অনেক দুর্বল। আদিম এই দুর্গম পরিবেশে তার বাচ্চাটিকে রক্ষার দায়ীত্ব ছেলেটির উপরেই পড়ে। এ জন্যই

যে ছেলে বেশি দায়ীত্বশীল এবং নম্র স্বভাবের সেই মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।

আর আমাদের দেহে কী পরিমাণ

ইস্ট্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন হরমোন আছে তা সময়ে সময়ে দেহের কিছু চিহ্নিত বৈশিষ্ট্যই প্রকাশ করে যা দেখে আমরা নির্ধারণ করে নিই আমাদের ভবিষ্যৎ সঙ্গি বা সঙ্গিনী কে হবে।

তাহলে দেখা গেল মনের ভাষায়

আমরা যাকে সুন্দর বলছি তা আসলে আমাদের ক্রোমোজমে অবস্থিত ভারবাহী কিছু জিনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের ধারাবাহিক ফসল মাত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

[curtisy: মইনুল ইসলাম শীতল "জিরো টু ইনফিনিটি", মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকী]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭

মুয়াজ বলেছেন: মত দ্বিমত জানান। জরিপ হয়ে যাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.