![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতার নেশায় ছুটছি অবিরত। প্রতিটি সভ্যতার মৃত্তিকায় পায়ের আওয়াজ বাজাবোই আমৃত্যু।
বন্যশিশুর হাঁটুর কাছে গড়াগড়ি খায় বৃত্তাকার অরেন্জ। হঠাৎ অরেন্জ ;হয়ে যায় ইয়োলো। নিকটেই ইউফেরাস মেডিটেডে মগ্ন। মগ্ন ইকারাস ও নিত্য দিনের লেখায়। সব থেকে ভাল জ্ঞাত যে ,প্রমিথিউসে, সে ই ইকারাস। দিব্যস্বপ্নে পিকাসোর সাথে সাক্ষাত ঘটে আমাদের গুণদা'র। অন্তত:আমি দেখি তার কবিতায় উপবিষ্ট আরো একজন পেইন্টার যিনি যামিনী রায়। সে আসে অন্ধকারে প্রতিদিন,কথা বলে আমার আত্মার সাথে। একদিন সে আসত নির্মলেন্দুর কাছে,এবং বলত কি সব এলোমেলো। সবথেকে প্রিয় যে প্রিয়া, তার প্রতি তার আকন্ঠ বিতৃষ্ণা ।এইসব গালগপ্প আমি শুনেছি নেপচুনের কাছে । ও তখনও ট্রপিজিয়ামে আবদ্ধ। ওর চশমার কাচে মরিচা ধরেছে। ও তখনও নাকি মরিচীকা সমন্ধে অজ্ঞাত। আমার বিশ্বাস হত না খিস্ট্রিয় কবরের ওইসব আত্মাদের এইসব বানানো গল্প। তবু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কতবার গিয়েছি ,ক্রুশবিদ্ধ তার চৌকানো জীর্ন কবরটি দেখতে। সেখানেই বন্যশিশুর মুখে তার সদ্য ইয়োলো হওয়া অরেন্জ অর্ধেক গিলে খেয়েছে। ইউফেরাসের ধ্যান ভেঙ্গেছে। মুক্তির আনন্দে জয়ের উল্লাসে প্রমিথিউস মেতে আছে ইকারাসের কালিতে। পোড়া কফিতে তখন গন্ধকের গন্ধ আসে। গুনদা'র দিব্যস্বপ্ন ভাঙন ধরে ছবি হয়ে যায় পিকাসো। যামিনী রায় আর আসে না, সমস্ত সংযোগ বন্ধ ঘোষনা করেছে আত্মার বিরুদ্ধে। টুইটারে তার অতুক্তি। এত সব ক্ষোভ একশ চল্লিশ শব্দে প্রকাশ করা দুস্কর। সে একটা ফেইসবুক আ্যাকাউন্ট খুলবে বলে ঠিক করেছে।
পুনশ্চ: দৃশ্যকল্পটি আমার মেডিটেডে ঘটা কৃষ্ণপক্ষ রাত্রির ঘটনা অবলম্বনে রচিত।
©somewhere in net ltd.