![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কখনই খাঁচায় পাখি পোষার শখ ছিলনা।ব্যাপারটা কেমন যেন অমানবিক।আমার যেমন স্বাধীন থাকতে ইচ্ছে করে তেমন তো ওদেরও করে।তবে পাখি খুব ভালো লাগে ।বাসা থেকে যখন চোখ গেল পাখির 'চোখ গেল চোখ গেল' গান শুনি তখন নিজের অজান্তেই আবৃত্তি করি 'চোখ গেল চোখ গেল ,চোখ গেল পাখি,আমার মত তোরও কি চোখ উঠেছে নাকি,মাকে বল নুন জল দিতে ফোঁটা ফোঁটা ,আমি জানি কতখানি উপকারী ওটা।'
পাখি পোষার ব্যাপারে একটা আইডিয়া পেয়েছিলাম তিন গোয়েন্দার একটা গল্প থেকে।
এক পাখি বিশেষজ্ঞ তার বিশাল বাগানকে এক অদ্ভুত উপায়ে বার্ড গার্ডেনে পরিণত করেন।তিনি প্রথমে পাখি কিনে নিয়ে এসে কিছুদিন খাঁচায় রেখে পোষেন তারপর ছেড়ে দেন।পাখিগুলো গাছপালা সমৃদ্ধ বাগান পেয়ে আর কোথাও যেতনা।এভাবে হাজার হাজার পাখির কলকাকলিতে তার বাগান মুখরিত হয়ে ওঠে।
তখন থেকেই এভাবে পাখি পোষার একটা স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করছি।যদিও জানি সে আশায় আসলে গুড়ে বালি।
এতো ভুমিকা আসলে একটি পাখির জন্য।আমার ভাগি্নর ময়না পাখি 'নেতেরতুয়া'।হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের 'মনিং স্টার' এর প্রধান নারী চরিত্র 'নেতেরতুয়া' থেকে তার নামকরণ।আমরা ছোট করে বলি 'তুয়া'।
তুয়া খুব সুন্দর করে কথা বলা শিখেছিল।সালাম দেয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কথা সে নিজের মনে বলতেই থাকতো।দিনের বেলা গলা ছেড়ে গান গাইতো।আর রাতের বেলা হয়ে যেত ধ্যান-গম্ভির সাধক।রাতের বেলা তার খাঁচা মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হত।রাত বলে কথা,আলোর অত্যাচার কি সহ্য করা যায়?
কিন্তু হঠাৎ একদিন ভয়ানক অসুখে পরলো তুয়া।সমস্ত কথা,গান অফ হয়ে গেল।নিজর্ীব হতে হতে একসময় দেখা গেল চুপচাপ চোখ বন্ধ করে পরে থাকাই তার কাজ।এভাবে ছিল দুই থেকে তিন সপ্তাহ।এখন তুয়া সুস্থ তবে আগের সব কথা ভুলে গেছে। নতুন করে আবার শিখছে।
আমি জানিনা 'তুয়া'দের আমার কেন এতো ভালো লাগে।শুধু রংবেরঙের তুয়া দেখে চোখের সাধ মেটাতে ইচ্ছে করে।ওদের গান শুনে কানকে শান্তি দিতে ইচ্ছে করে।কিন্তু ওরা যে থাকে সবুজের আড়ালে।তারপরও ওরা সবসময় ভালো থাকুক এই কামনা করি।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অতিথি বলেছেন: কেয়া হুয়া??
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
অতিথি বলেছেন: আমি তো খুবই লাইক করি... কিন্তু আম্মু দেয় না... সব সময় না করে...
কত্ত বড় লেখা....(আম্মাআআ)
10 টা আইসক্রিম খাওয়াতে হবে...না হলে আর বড় লেখা পড়বো না
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
অতিথি বলেছেন: আপনার আম্মুকে ধন্যবাদ
এইটা বড় লেখা???
আজকে আস্তমেয়ের লেখা আমি বড়'র ভয়ে পড়ি নাই ।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
অতিথি বলেছেন: তো কি?
আবার আমার আম্মু পক্ষে যাওয়া হচ্ছে...
আমি কিন্তু সাপ খুব লাইক করি...
আইসক্রিম খাওয়াবেন না ঐটা বলেন... (আম্মাআআ)
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৯
শাওন বলেছেন: চড়ুইয়ের বাচ্চা । মানে চড়ুই পাখি ।
আমাদের একটা টিয়া ছিলো । মারা গেছে ।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৫৫
অতিথি বলেছেন: যতদিন গ্রামে জঙ্গল ছিল, ততদিন পাখির বাসার খোঁজ-খবর রাখতাম। তারপর বন কেটে জমি করা হলো, পাখিরা কোথায় কোথায় বাসা বুনতো আর জানা হলো না। এরি মধ্যে বড় হয়ে গেলাম.....
ভাল লাগলো পোষ্ট মুক্তধারা।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:১৬
অতিথি বলেছেন: আমি এক বন্ধু আমাকে দুইটা তুয়া দিছিলো অনেক দিন যত্ন করে রেখেছিলাম কিন্তু একদিন সকালে উঠে দেখি একটা মরে গেছে...মনটা খুবই খারাপ হলো তাই আরেকটাকে খোলা আকাশে ছেড়ে দিয়েছি....
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:১৭
অতিথি বলেছেন: আমি=আমার হবে..
আছেন কেমন???আইসক্রিম কি হবে নাকি??
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:২৫
অতিথি বলেছেন: শাওন আমারও ধারনা ছিল চড়ুই,কিন্তু আরেকজন বলে চড়ুই না।আসলে কোনটা কে জানে...
ফজলে এলাহি ভাইয়া
আপনি দেখি আমার আম্মুর মত।ছোটবেলায় আম্মুর কাজই ছিল পাখির বাসা নিয়ে গবেষনা করা।
আবু সালেহ ভাই
ঠিক কাজ করেছেন।
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:২৮
অতিথি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি?
আইসক্রিম?এই দিনের বেলা?
হুমম.....রোযা কোথায় গেল?
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৫২
অতিথি বলেছেন:
ছবিটা সুন্দর।
খাঁচার ভিতর বন্দী পাখি আমারও চরম অপছন্দ। যদিও একটা পাখি নিজের খাঁচার ভিতর লালন করি। হাসন রাজা আর লালনের গান দুখানা শুনলে সে পাখির কথা বড্ড মনে পড়ে।
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে... কান্দে... মন....
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়.. তারে ধরতে পারলে.... মন....
অনেকদিনপর আপনার লেখা পেলাম। ভালো লাগলো।
১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৩৭
অতিথি বলেছেন: মুক্তধারা
লিখল বন্দি পাখির কথা.আমাদের এইখানে বাসার পাশেই পাহাড়ে আগে অনেক পাখি থাকত.....কিন্তুমানুষের কারণে তাদের আর থাকা হয় নি.
ছবি টা ভাল লাগল.
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১২:২৯
শাহানা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, আপনার তুয়া আবার ঠিক হয়ে গেছে শুনে। আমার ভাগনে এখন তোতা পাখি পুষছে, নাম দিয়েছে মোয়া। ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু পাখিটা উড়তে পারেনা।
১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১০:১১
অতিথি বলেছেন: মৃন্ময় ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার একান্ত নিজস্ব একটা অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
সাবি্বর ভাইয়া
কথাটা শুনে খারাপ লাগল।আমরা এমন কেন??
১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১০:১৪
অতিথি বলেছেন: শাহানা আপু
তুয়া কিন্তু আমার না, আমার ভাগি্নর।
সুন্দর নাম মোয়া
আশা করি মোয়া খুব সুন্দর সুন্দর কথা শিখবে।
১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১০:৫৪
অতিথি বলেছেন: আমি কখনও পশু পাখি কিছুই পোষার জন্য রাখতে পারি নি। বাবা মা দেয় নি। ওদের কষ্ট হবে বলে। ছোট বেলা খুব ইচ্ছা করত। এখন ওদের স্বাভাবিক সুন্দর হিসেবে প্রকৃতিতে দেখতেই খুব ভাল লাগে!
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: ুু আমারও পাখি প্রকৃতিতেই দেখতে ভালো লাগে।তবে পশুদের মধ্যে বিড়াল,খরগোশ,হরিণ এসবের প্রতি সীমাহীন আগ্রহ।
ধন্যবাদ
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:২০
অতিথি বলেছেন: (দীর্ঘশ্বাস)
শেষ পযনর্্ত মুক্তধারার ঘুম ভাঙ্গলো...
আমি না হলে নক নক করতাম...
ভাবতেছিলাম একটা পোস্টো মারুম...
বাহ !!! তার আগেই ...
উঠে পড়ুন.... সকাল হয়েছে
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৫
অতিথি বলেছেন: [link|muktadhara.net|gy
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৬
অতিথি বলেছেন: পোস্টো মারতেন???
ঘুম ভাঙ্গা উচিত হয়নাই
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৭
অতিথি বলেছেন: http://muktadhara.net
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩
অতিথি বলেছেন: