![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।
হেপাটো কোলেস্টাসিস বা Cholestasis In Pregnancy (ICP) যে নামেই ডাকা হোক না কেন যেমন গাল ভরা নাম তেমনি শরীর ভরা এক রোগ!
গর্ভাবস্থায় Bile Acid লেভেল বেড়ে গিয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় একেই বলে Cholestasis in Pregnancy।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের জীবন দূর্বিষহ করে ফেলে এই কোলেস্টাসিস। এক গবেষণায় দেখা গেছে Uk, সুইডেন বা হিস্পানিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের মাঝে প্রতি ১০০০ গর্ভবতীর মাঝে ১/২ জন ICP তে আক্রান্ত হয়, অন্যদিকে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান সাবক্টিনেন্টে প্রতি এক হাজারে ৫-৭ জনকে আক্রান্ত হতে দেখা যায় (তথ্য : ইন্টারনেট)
লক্ষণ:
গর্ভবতী মায়ের হাত এবং পায়ের তালুতে অস্বাভাবিক চুলকানী, শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। রাতে তুলনামূলক চুলকানী বেড়ে যায় ।
আমার পায়ের তালুতে এবং পাতায় এত বেশি চুলকাতো যে যেই আমি পায়ের তালুতে সুড়সুড়ির কারনে হাত দিতে পারতাম না সেই আমি আংগুল দিয়ে চুলকাতে চুলকাতে আংগুল অবশ হয়ে গেলে চিরুনী দিয়ে চুলকাতাম! হাত পায়ের মাংস পেশীতে মনে হতো কেউ সুঁচ দিয়ে খোঁচা দিচ্ছে। মাংস পেশী চাপ দিয়ে দিয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করতাম। সারারাত ভেজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে শুয়েছি এবং দিনে রাতে কম পক্ষে দুইবার বরফ ঘষেছি শরীরে কিংবা বরফ পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় গায়ে জড়িয়ে থেকেছি। এত ঠান্ডা পানিতে সবাই আমার এবং বাচ্চাদের সর্দির ভয়ে ছিল তথাপি ঐমুহুর্তে সাময়িক আরামটুকু জীবন রক্ষাকারী ছিল তাও সবাই বুঝেছিল।
আসুন একটু দেখি এই কোলেস্টাসিস কী ক্ষতি করতে পারে বাচ্চার:
Preterm birth: উচ্চ বাইল এসিডে (Bile Acid) সময়ের আগে ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
Meconium staining: শিশু পেটের ভেতর টয়লেট করে দিতে পারে, এতে জন্মের সময় নানান জটিলতা দেখা দেয়। (আমার দ্বিতীয় প্রেগনেন্সির সময় এই জটিলতা দেখা দেয় ফলে ৩৫ সপ্তাহ পূর্ণ হবার দিন ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে সি সেকশন হয়)।
Fetal distress: গর্ভের শিশুর অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।
Stillbirth: অতিরিক্ত বাইল এসিডের কারনে গর্ভেই শিশু মারা যেতে পারে।
প্রথম প্রেগনেন্সিতে যখন জানলাম preterm birth, Stillbirh এবং প্রথম প্রেগনেন্সি তার উপর টুইন সব মিলিয়ে খুব বড় এক রিস্কে আছি , তখন মনে হল আমাকে ঢাকা গিয়ে ডাক্তার খুঁজতে হবে। যাদের জন্যে সমাধান খুঁজতে এসেছিলাম তাদের নিয়ে ফিরতে পারিনি আর! অনেকেই বলেছিল আমার জার্নি করা ঠিক হয়নি, আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কিন্তু এক মুহুর্তের জন্যেও আমি এই সাড়ে চার বছরে সেটা মনে করিনি। আমি যেটা মনে করেছি সেটা হল I tried my best. আমার সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের দেশে এই সমস্যার তেমন সমাধান নেই, না মেডিসিন না কাউন্সেলিং। বাইরেও এর কার্যকরী মেডিসিন তেমন নেই। সামান্য মেডিসিন এবং ফলোআপ, কাউন্সেলিংএর মাধ্যমে নজরে রাখা হয়।
সাধারনত প্রেগনেন্সির শেষ ৩ মাস বা ২৮ সপ্তাহ থেকে এই চুলকানী দেখা দেয়। আমাদের দেশে একদমই শেষ মাসে অনেকের দেখা দেয় যা ডেলিভারির কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিনের মাঝেই কোন চিকিতসা ছাড়াই চলে যায়।
আমার প্রথমবারে ডেলিভারির পরপর হসপিটালে থাকাকালীন ই টের পেয়েছিল কমে গেছে। বাচ্চাদের জীবন সাথে করে নিয়েই চলে গেছে সে! তবে পরের বার কিছুটা সময় লেগেছে, যদিও খাবারে এলার্জিজনিত সমস্যায় এরপর থেকে ভুগছি। কখনই কোন খাবারে এলার্জি ছিল না আমার অথচ দ্বিতীয় প্রেগনেন্সির পর থেকে তা দেখা দিয়েছে।
আমি যে গাইনী ডাক্তারের আন্ডারে ছিলাম তিনি কোন কূলকিনারা না করতে পেরে এক লিভারের রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই সমস্যার একটাই ঔষধ। এটি নিরাময় যোগ্য নয় বরং Bile Acid এর লেভেল কিছুটা কম রাখতে সাহায্য করবে এটি। তবে প্রতি প্রেগনেন্সিতেই এটি ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। পরবর্তীতে অন্য এক গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নিলে বলেন, প্রতি প্রেগনেন্সিতেই ফেরত আসবে এমন কথা নেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মিলিয়ে দেখেছিলাম প্রথমবারের তুলনায় তীব্রতা পরের বার কম ছিল সে হিসেবে প্রেগনেন্সি পরবর্তীসময়ের গাইনী ডাক্তারের কথা নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছিল।
আমি ফেসবুকে প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত এক গ্রুপ ফলো করতাম। সেখানে নানান জনের নানান সমস্যা এবং তাদের জন্যে দেওয়া সমাধান মনযোগ দিয়ে দেখতাম। এমনি একদিন একজন লিখেছিলেন তিনি এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তবে ৩২ সপ্তাহের পর থেকে শুরু হয়েছে। উনার রেগুলার ডাক্তারকে বলে আসছিলেন এটা লিভারের কোন ফাংশনে সমস্যা কিন্তু ডাক্তার গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না এবং যখন Alkaline phosphet লেভেল ৮০০+ আসে রেজাল্টে তখন সেই ডাক্তারের টনক নড়ে এবং বলেন তিনি এটা ম্যানেজ করতে পারবেন না। পিজি হসপিটালে চলে যেতে। সেই মা পিজি হসপিটালে সারাদিন ঘুরে কোন কূল কিনারা করতে না পেরে হতাশ হয়ে গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন। সরকারী হসপিটালে এক দিনেই কূলকিনারা পাওয়া সম্ভব নয় এবং ৩২ সপ্তাহের এমন সিরিয়াস প্রেগনেন্ট এর তো আরো হবার কথা নয়। উনি জানতে চেয়েছিলেন কেউ এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন কিনা । উনার পোস্ট চোখে পড়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলাম, যে গাইনীর আন্ডারে ছিলাম তিনিও পিজি হসপিটালের ডাক্তার। নিজে আগ্রহ নিয়ে ঠিকানা চাইলে দিলাম। ৩৫ সপ্তাহ পূর্ণ হলে সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে এক কন্যা সন্তান হয় তার। দু'জনেই সুস্থ আছেন। সম্প্রতি সেই আপু ২৪ সপ্তাহের প্রেগনেন্ট এবং আমাকে নক করে জানালেন, সাথে জানালেন আমার দেওয়া তথ্যের কারনেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন, সহজ হয়েছিল সব। তিনি যে এত দিনেও মনে রেখেছেন আমার কথা এতেই অবাক হয়েছিলাম।
অনেক দিন ভেবেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতার এসব কথা লিখবো। একজনেরও যদি উপকার হয়, একটা পরিবারও যদি বোঝেন যে হবু মা এবং অনাগত সন্তানের জন্যে এই সময় কী পরিমান সহযোগীতা, সহমর্তিতা, ধৈর্য, যত্নের প্রয়োজন তার ভয়ানক অবস্থার মাঝে তাহলেই আমার এসব বলা সার্থক।
গতকাল সেই আপুর মেসেজ পেয়ে মনে হল আসলেই সেদিনের বলা কথা সার্থক হয়েছিল।
এই লেখা যারা পড়বেন আশা করবো পরিবার, আপনজনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। আমি দোয়া করি আমার শত্রুও যেন এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে না যান। নগন্য মানুষ আমি, আমার দোয়া হয়ত সবার জন্যে কাজে নাও লাগতে পারে তাই এমন কোন পরিস্থিতি হলে অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে পাশে থাকবেন আপনজনের।
প্রতিটি গর্ভকাল হোক সুস্থ, নিরাপদ ও উপভোগ্য।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমার কন্যাদ্বয়ের একজন বেশ কিছু জটিলতা নিয়ে জন্মেছিল, কোন এক সমস্যা সন্দেহ করলে শিশু হসপিটালে নিলে তেমন ভালো করে না দেখেই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন সার্জারীর জন্যে অথচ কোন প্রকার সার্জারী লাগবেই না। আমার সুযোগ ছিল দ্বিতীয় মত নেবার কত মানুষর তো থাকে না । ভাবুন অকারনে একটা সার্জারী হতো!
আপনার বন্ধুর ভাতিজার কথা শুনে খারাপ লাগছে। নিজে সন্তানের মা হিসেবে বুঝতে পারছি তার মা-বাবার অবস্থা। আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য দিন তাদের।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৬
নতুন বলেছেন: আমাদের প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রের চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে গিয়েই ডাক্তারীর অনেক বিষয়েই পড়েছি, জেনেছি।
আসলেই জানার কোন শেষ নাই। কোন কিছু জানা থাকলে জিবনে কোন না কোন সময়ে ঠিকই কাজে লাগে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: সত্যিই, আমি অনেক জানার চেষ্টা করি এই কারনে। আমার চিন্তায় থাকে ভুল যা হবার আগে হয়েছে আমার সন্তানদের উপর যাতে এক্সপেরিমেন্ট না হয়। নিজে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাই। আল্লাহ ভালো রাখুন সকল শিশুকে।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: কি ভীষন অবস্থা। অনেকেই জানে না তবে সকল নারীর জানা উচিৎ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: এজন্যেই আমি লিখেছি আপু। দুই চারজনও যদি সচেতন হয়। কোন চিকিতসা, ঔষধ ঐসময়ে কাজে দেয় না ওসব কেবলি শান্তনা। আমার পরিবারের সবাই এবং আমার কন্যাদের বাবা যে অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন তা অবর্ণনীয়।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এইসব রোগ কি আগেও ছিলো? মানে একশ' দুইশ' বছর আগে?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: তা তো জানি না! আপনি জানতে পারলে জানাবেন কাইন্ডলি। তবে গর্ভাবস্থার একদম শেষ দিকে এমনটা হতো যেটা নানী-দাদীরা বলেন।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: স্বাস্থ্য বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারণা না থাকলে অনেক সময় ভিষন বিপদে পরতে হয়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমার মনে হয় সচেতন হিসেবে উচিত একটু ঘাটাঘাটি করে দেখা এতে যে জ্ঞান টুকু অর্জন হবে তা ফেলনা নয়।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কেন ১০০/২০০ বছর আগে ছিল কিনা জানতে চেয়েছেন। আপনি বিজ্ঞানের যুক্তি মানা মানুষ। যদি সত্যিই এর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন history of hepatic cholestasis লিখে সার্চ করে জেনে নেবেন। ধন্যবাদ আপনাকেও আমার লেখা পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্যে।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তথাপি ঐ মুহূর্তে সাময়িক আরামটুকু জীবন রক্ষাকারী ছিল তাও সবাই বুঝেছিল" - ইস, কি কঠিন একটা অবস্থা!
“I tried my best” - সেটাই ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা না করলেও চূড়ান্ত ফল সম্ভবতঃ একই হতো।
আপনার এ পোস্ট পড়ে আরও অনেকে উপকৃত হোন, এটাই কামনা করি। ধন্যবাদ, এমন একটা উপকারী পোস্ট নিজের অভিজ্ঞতার কথাসহ সবিস্তারে পোস্ট করার জন্য।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ সময় নিয়ে বরাবর ই সবার লেখা পড়েন।
আমি সব সময় দোয়া করি মা হবার জার্নিটা সব মা'এর জন্যে যেন খুব সুন্দর হয়। আমি অনেক সুন্দর মূহর্ত হারিয়ে ফেলেছি কঠিন শারিরীক ও মানসিক অবস্থার ভেতরদিয়ে যাওয়ার কারনে।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯
নাজনীন১ বলেছেন: আপু, আপনার নিরন্তর ব্লগিং আমার অনেক ভালই লাগে! ভাবি আমার এতো প্রিয় ব্লগে আমি কেন নিয়মিত থাকতে পারি না!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমিও আগের মত আসতে পারি না, সময় সুযোগ মেলাতে পারি না। কিন্তু ভালো লাগার জায়গা বলেই হয়ত মাঝে মাঝে আসতে পারি এখনো। ভালো থাকবেন আপু, মাঝে মাঝে আসবেন।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫
নাজনীন১ বলেছেন: আমার সমস্যা হচ্ছিল, হাঁটুর নিচে পিছনের দিকে মাংসপেশি টান খাওয়া। এটা আমার মায়েরও হয়েছে। প্রেগন্যান্সির টাইমে। অনেকে বলে এটা বাতের সমস্যা। একা হ্যান্ডেল করা বেশ ভয়ের তখন। গভীর রাতে হয়। ভাগ্য ভাল আমার হাজবেন্ড ছিল পাশে, পা টেনে ধরে, ম্যাসেজ করতে হয় অনেকক্ষণ!
ভয় লাগে এটা ধনুষ্টংকারের কোন পূর্বলক্ষণ কিনা! যদিও খিচুনি আসে না। কিন্তু জানি না। সেটাও অন্য সময়ে সেরকম হয় না। আগাম সাবধান থাকতে হয়।
আপু আপনার এই সমস্যায়, স্বাভাবিক এলার্জির যে লোশনগুলো বাজারে পাওয়া যায়, অবশ্যই প্রেসক্রাইবড, তাতে কি কমে না। ব্যবহার করে দেখেছিলেন কি? ইএসআর কমানো যে বডি লোশনগুলো পাওয়া যায়! সাদা রং-এর।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার আম্মার আগে রাতে এমনি হতো পায়ের পেছনের মাংস পেশীতে টান, আস্তে আস্তে বেড়ে এখন হাড়ে টান লাগে এবং বেঁকে যায়! দুইজন ধরেও সোজা রাখতে পারি না এমন ভয়াবহ অবস্থা! কিছু লবনের ঘাটিতে হয় বলে ডাক্তার টেস্ট করালো কিন্তু ঘাটতি নেই। ধারনা করা হয় পানি কম খাওয়া হলে এমন হয় এবং দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস এর কারনে।
আমার এই সমস্যায় এলার্জির লোশন সাজেস্ট করেছিল ডাক্তার (ক্যালামিন লোশন)। এই লোশন এমনিতে খুব কার্যকরী হলেও চুলকানীর তীব্রতা এত বেশি ছিল যে সামান্য কমলেও সেটা তেমন টের পেতাম না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নতুন বলেছেন: স্বাস্থ বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরী।
গতকাল রাতে আমার বন্ধুর ভাতিজা ( ১৫ বছর) এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) এ আক্রান্ত হয়ে পরে Ruptured Appendix এর মারা গেছে।