![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিক দেশ রাষ্ট্র জনগণের কথা বলেন। সাংবাদিক রাষ্ট্রের স্তম্ভ হিসেবে পাঠক দর্শক শ্রোতাদের বিবেক জাগ্রত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। একজন সাংবাদিক তার এই কর্ম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খুনের মামলার আসামি হওয়া বা নিজেই খুনের শিকার হওয়া আমরা এর আগে এত প্রবল হতে দেখিনি। সোসাইটির প্রতিচ্ছবি লেখা ছবি ভিডিও তুলে ধরে আয়নার সামনে তুলে ধরা অন্যায়ের হতে পারে না তবু আমরা সাংবাদিক সমাজের উপর দায় চাপিয়ে দোষারোপ করেই যাচ্ছি। সাংবাদিক ঘটনার প্রতিচ্ছবি সেখানে সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন হত্যা , মনগড়া কিংবা প্রতিপক্ষ কিংবা কন্ঠস্বর রূদ্ধ করে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে অথবা অন্যের দোষ সাংবাদিকদের কাঁধে চাপিয়ে কারাগারে রাখা রীতিমতো পেশাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক সাংবাদিক হত্যা, ধোবাউড়ায় জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু গ্রেফতার ঘটনা ময়মনসিংহের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে নিজের প্রতি এক যন্ত্রণা জন্ম দিয়েছে যা মন থেকে মুছে ফেলাও কষ্টকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশকে উন্নয়নের উন্নতির চাকা সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এই চাকাকে কমিউনিটির মানুষের সামনে তুলে ধরা কিংবা সংবাদ পরিবেশন করা যা সাংবাদিকের কাজের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোটেও দোষের নয় বরং পেশার সাথে সংগতিপূর্ণ এবং জাতিকে উদ্দীপ্ত রাখার অংশ যা পূর্ববর্তী সরকারের আমলেও প্রতিচ্ছবি হয়ে সাংবাদিকরাই দেখিয়েছে শুনিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে দেশে মব জাস্টিস কর্মকান্ড দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ চিত্র দেখে ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া আফ্রিকা তথা এশিয়া অঞ্চলের মানুষ হতবাক না হয়ে পারে না। সুষ্ঠু সাংবাদিকতায় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দায়িত্ব প্রশাসন পুলিশ থেকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব থাকা সকল বাহিনীর। সাংবাদিকদের মতো তারাও এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করায় পৃথিবীর মানুষ প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে এসমাজে অন্ধ মানুষ অর্থাৎ দর্শক শ্রোতাও হয়তো আছে। নৈতিক দ্বিধা দ্বন্দ্ব, দর্শকের আচার আচরণ এনালগ যুগের মত ডিজিটাল যুগে যা কারো প্রত্যাশা নয় বরং হতাশার। হয়ে প্রশ্নকে সাংবাদিকরা তাদের পেশায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, যার মধ্যে রয়েছে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, নৈতিক দ্বিধা এবং দর্শকদের আচরণের পরিবর্তন। ডিজিটাল যুগের কারণে এই চ্যালেঞ্জগুলি আরও তীব্রতর হচ্ছে । এমনও নয় যে সহসা ভুল তথ্য কখনও কখনও সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইনে প্রকাশ প্রচার হয় যা নাগরিক হিসেবে একজন ইউজার নিজের জ্ঞান দিয়ে সংশোধন করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। কাজ করতে ভুল ত্রুটি হয় না পৃথিবীতে এমন পেশা আছে জানা নেই। তারপরও শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নে সাংবাদিকরাই এগিয়ে । সহিংসতার কবলে পড়ে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি মৃত্যু ঝুঁকি একজন সাংবাদিকের পরিবারকে ভাবিয়ে তুলে যে ভাবনায় সমাজের বিবেকবান সন্ত্রাসী প্রভাবশালীর ভয়ে কিংবা সহিংসতার কবলে পড়ার আশঙ্কায় কিংবা সাইবার বুলিং ডক্সিং যে কেউ ভীতিকর পরিবেশ বলবেন । এক্ষেত্রে একজন নারী সাংবাদিক আরো বেশি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেন যা এক মানষিক আঘাত যা কাজের গতিকে কমিয়ে দেয়। সোস্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়িয়ে আছে যার দায় সাংবাদিকের নয় অথচ এর দায়ও সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। একশ্রেণীর ইউজার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় না রেখে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়ায় যেমনি কমিউনিটিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করে তেমনি আবার এই ভুয়া খবরকে গুজব হিসেবে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে গিয়ে গুজবকারীদের রোষানলে পড়তে হয় এমন উদাহরণ কম নেই সোসাইটিতে। সাংবাদিকরা উপরোক্ত চ্যালেঞ্জ থাকার পরও নির্ভুলভাবে সময়ের গতির সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকের চাহিদা পূরণ ও সামাজিক ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় এবং মিথ্যাকে পরাভূত করতে যারপরনাই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনকারী অন্যান্য পেশার লোকদের সাথে যা মোটেও কম পাওয়া নয় পাঠকদের। যদিও একশ্রেণীর আছেন যারা সাংবাদিকদের নানান চাপে রেখে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পুরো দায় সাংবাদিক সমাজের উপর চাপিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বিশেষ পটু যারা কখোনোই কমিউনিটির মঙ্গল কামনা করে না। কমিউনিটির মানুষকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার দায়িত্বও একজন সাংবাদিকের তা মাথায় নিয়েই একজন সাংবাদিক তার দৃঢ়তা সততা বজায় রাখেন।
ডিজিটাল যুগে একজন সাংবাদিক নিরাপত্তাহীন হওয়া মানেই দেশের অগ্রগতি প্রশ্নে থমকে যাওয়া যতক্ষণ পাঠক মহলে এই উপলব্ধি আসবে না ততক্ষণ সাংবাদিক সমাজও তার কাজকে বিকশিত করার এক বোঝা হিসেবে থেমে যাওয়ার মতই এক সংকট নিয়ে চলার অভিপ্রায় বৈকি কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.