নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মানব

যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি...) [email protected]

মুক্ত মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ দেশের বুকে আবার একাত্তর আসুক নেমে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া নৃ-জাতিগোষ্ঠী যেমন সাঁওতাল, চাকমা, মগ, খাসিয়া যাঁদেরকে আমরা উপজাতি হিসেবে চিনি, তাঁদের জন্য কোটা থাকা উচিত একটা সময় পর্যন্ত, সেটা মানি। বাংলাদেশের মতো কৃষি প্রধান সমাজ ব্যবস্থায় আত্নীয়তা এবং আন্চলিকতা পরস্পর গভীরভাবে যুক্ত, তাই অন্চলভিত্তিক-তথা আন্চলিক জনসংখ্যা ভিত্তিক কোটাও থাকতে পারে নগরায়ণের একটা পর্যায় পর্যন্ত। কিন্তু ষোলো কোটি লোকের দেশে যেখানে বেশীরভাগ মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক (যেমনটি একাত্তর সালেও দেশের বেশীরভাগ মানুষ স্বাধীনতার পুর্বসুরী ছয়দফার পক্ষেে ভোট দিয়েছিলো), সেখানে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কোটা রাখাটা অযৌক্তিক, কতিপয়ের কোটারী-স্বার্থ রক্ষা ছাড়া এ কোটা গরিষ্টের কোন কাজে লাগবে না। তাই কোটা সংষ্কার আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। এ দেশের বুকে আবার একাত্তর আসুক নেমে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সনেও একটা "কোটা" ছিল: প্রতি ৬২৫ জন বাংগালীর থেকে ১ জন গেছেন যুদ্ধে (সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে ১ লাখ ২০ হাজার
যুদ্ধ করেছেন)।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

ক্স বলেছেন: ভাবা যায়, ১০ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের আমলেই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেয়া সুবিধার প্রতিবাদে তরুণ সমাজ রুখে দাঁড়িয়েছে। যে যে রকম যুক্তিই দেখাক, কাহিনী কিন্তু একটাই।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং সেনা প্রধান পদে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কোটা নাই কেন !
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এমন অপমান করার কোন অধিকার কি আমাদের আছে?
দেশ স্বাধীন করে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বংশ কি সারাজীবন সরকারী চাকরী করে জনগনের গোলামী করবে? মুক্তিযোদ্ধাদের কি দেশ চালানোর অধিকার নেই?
এসব ঠিক না- এ বড়ই অন্যায় !
ছি ছি ছি ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.