নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটবাসীর কাছে সাতকরা একটি অতি পরিচিত ও টকজাতীয় ফল। সাতকরার ঘ্রাণই সাতকরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অনেকটা কমলালেবুর মতো গোলাকার এই সাতকরা সিলেট অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আগে সিলেট ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও এই সাতকরা দেখা না গেলেও বর্তমানে সিলেট অঞ্চল ছাড়িয়ে দেশ বিদেশের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। প্রবাসে বসবাসকারী সিলেটবাসীর কাছে এর চাহিদা ব্যাপক।
আর একটি কথা না বললেই নয়, এটি ভারতের আসামের পাহাড়ি এলাকার আদি ফল। সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইন ঘাট, জাফলং ছাড়াও এখানকার পাহাড়ি টিলায় সাতকরার চাষ হয়। লেবু গাছের মতো সাতকরা কাটা ভরা গাছ যার উচ্চতা প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত দেখা গেছে। ফাগুন মাসে ফুল আসে ও জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়ে ফল হয়। সিলেটে এর প্রচুর চাহিদার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকেও আমদানি হয়। সাতকরা একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে। এমন কি ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য যে সাতকরার আচার সিলেটের মনিপুরী বাসীদের হাতে বানানো বিখ্যাত আচার।
গরুর মাংসের সাথে সাতকরা একটি বিশেষ মজাদার ও জনপ্রিয় মুখরোচক খাবার। এই সাতকরা গরুর মাংসের সাথে রান্নায় মাংসের স্বাদ দ্বিগুণ ও অতুলনীয়। আমার ধারণা যে একবার এই সাতকরা সহ গরুর মাংসের স্বাদ পাবেন তিনি বারবার খেতে চাইবেন। স্বাভাবিক নিয়মে আমরা যেভাবে গরুর মাংস রান্না করি, সেখানে শুধু এক কেজি গরুর মাংসে অর্ধেকটা সাতকরা (লেবুর মাঝের অংশটুকু যেভাবে কেটে বাদ দিয়ে থাকি) এবং গরম মসলার পরিবর্তে এক চা চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো দিতে হবে। প্রেসার কুকারে রান্না করলে মাংসের সাথে একেবারে দিয়ে দিতে হবে আর সাধারণ চুলায় রান্না করলে মাংসটা যখন অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন সাতকরা দিয়ে দিলেই হবে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রথম কমেন্টে আলাদা ভালোলাগা
জানাচ্ছি। সেই সাথে সিলেটের কাউকে পেয়ে আরো ভালো লাগলো। সাতকরা গাছ সবার বাড়িতে থাকেনা , আপনাদের বাড়িতে আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানবেন ।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: এই ফলটা সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম । অনেক ধন্যবাদ মুক্তানীল আপুকে।
শুভসকাল
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
মুক্তা নীল বলেছেন: ইসিয়াক ভাই ,
সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস একবার খেয়েই দেখুন না, মন্দ লাগবে না ।
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট বোন,
প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য ব্লগে পোস্ট দেওয়ার সময় হচ্ছে না। তবে সময় পেলে একবার চোখ বুলিয়ে নিই। সাতকরা সম্পর্কিত বোনের পোস্ট থেকে মাংসের সঙ্গে অতুলনীয় টেস্টের কথা জানতে পারলাম। ফলটির দেখার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। তবে বিফ নয়, আমার পছন্দ মটন। সাতকরা পেলে আমি বরং মটন দিয়েই খাবো।
অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
অনেকদিন পর দাদাকে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। সাতকরার সাথে গরুর মাংসের অতুলনীয় স্বাদ,
তা অবশ্য অন্য মাংসের সাথে আসে না।তবে বড় রুই মাছের সাথেও চলে। আপনার নতুন পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম, তাছাড়া খুব মিস করি মরীচিকাকে।
অনেক শুভকামনাও ধন্যবাদ জানবেন ।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার মায়ের একটি বিশেষ রান্না ছিল গরুর পায়ের সাথে সাতকরা, যার নাম সিলেটি ভাষায় পঞ্চাখাট্টা | এর কথা মনে পড়লে এখনো জিভে পানি চলে আসে |
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন: পঞ্চাখাট্টা অথবা পঞ্চাগুছ এই বিশেষ রান্না পাকা রাঁধুনি দের হাতে অনেক মজা হয়। আমারও খুব প্রিয় এবং জিভে জল চলে আসে । অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশের পছন্দের জেলা যদি আমার কাছে কেউ জানতে চান আমার নিজের জেলার পর যেই জেলাগুলোর নাম বলি তার প্রথম নামটি সিলেট। আর সিলেটের সাথে কর্মজীবন পারিবারিক জীবন সহ ভ্রমণ জীবন নিয়েও আমি জড়িত। বিচিত্র কারণে আমি যেখানেই যাই স্থানীয় খাবার আমার খাওয়া হয়, আমি এখন মাংস খেতে পারিনা তবে এক সময় সাতকরা দিয়ে মাংসের তরকারি আমার খুবই প্রিয় ছিলো। সাতকরা দিয়ে মাংস রান্নার গুণাগুণ সহ স্বাদ তা মনে রাখার মতো।
আমার পরিচিত সিলেটি বাড়ীতে প্রবেশদ্বারেই বুঝতে পারতাম যেই ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে তা নির্ঘাত সাতকরা দিয়ে রান্না করা মাংস!!! ধন্যবাদ আপনার সুন্দর উপস্থাপণা। ধন্যবাদ অনেকদিন আগের খাবারের কথা মনে করিয়ে দিলেন।
আরেকটি কথা না বলে পারছি না, ডায়নিং টেবিল ভর্তি খাবারের ছবি না দিয়ে শুধু মাত্র আলোচ্য সাতকরা দিয়ে রান্না করা মাংসের তরকারির ছবি দিয়ে প্রমাণ করেছেন আপনি একজন বড় মনের মানুষ। - এখন পর্যন্ত আপনার পোষ্টের সবচেয়ে বেষ্ট পোষ্ট এটি। - নাও দ্যাটস হোয়াট আই কল এ গুড ব্লগ। গুড জব।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
মুক্তা নীল বলেছেন: সিলেট জেলা আপনার পছন্দ ও স্মৃতিবিজড়িত জেনে আনন্দিত হলাম। সিলেটের অনেক বিশেষায়িত
খাবারের মধ্যে সাতকরার সাদ অমৃত তা আপনি জানেন দেখে ভালো লাগছে। বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন
খাবারের হোটেল গুলোতে সাতকরা দিয়ে গরুর মাংসের একটি তরকারি থাকে ভোজন প্রিয় দের জন্য।
সাতকরা দিয়ে মাংস রান্নার গুনাগুন সহ সাদ তা মনে রাখার মত--- সহমত।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। ভালো থাকুন ও ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সাতকরা অনেকে চিনেই না। আবার অনেকে খায় না।
তবে এটা বেশ চাহিদা আছে বিদেশে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
মুক্তা নীল বলেছেন: রাজিব ভাই ,
যারা সাতকরা চিনে এবং সঠিক রান্নার প্রসেস জানে তারা একবার খেলে অবশ্যই আবার সাদ পেতে চাইবে। অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: আগে কখনো এই ফলের নাম শুনিনি। দেখতে কিছুটা পেয়ারার মত লাগছে! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। সিলেট গেলে অবশ্যই এই ফলটি আনবো
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন: সাতকরা আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ এবং সিলেটের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। সাতকরার প্রতি আগ্রহের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইলো।
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইসিয়াক ভাই ,
সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস একবার খেয়েই দেখুন না, মন্দ লাগবে না ।
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একদিন নিশ্চয় খেয়ে দেখবো । অনেক ধন্যবাদ ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
মুক্তা নীল বলেছেন: আবার পুনরায় ফিরে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সাতকরার প্রতি আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: সাতকরার তৈরি আরো কিছু পদ .....।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় মুক্তাআপু,
সাতকড়া সম্পর্কে আজকেই জানলাম। সিলেটে কোন পরিচিত নেই তাই হয়তো জানিনা। তবে যদি সম্ভব হয় গরুর মাংস দিয়েই খাবো।
অফটপিক, আজকেই কি সেই বিশেষ দিন আপু?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০২
মুক্তা নীল বলেছেন:
আরোগ্য ,
সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস সত্যি ভীষণ লোভনীয় একটি খাবার। আমার প্রিয় ছোট ভাইটার জন্য অগ্রিম নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলাম।
যদি খাওয়াতে পারি এটা আমার সৌভাগ্য ।আমার ধারণা একবার খেলে এর সাদ কখনো ভুলে যাবেন না।
অ,টা: "অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা" এই গল্পটি যেদিন দেয়া হয়েছিল , সেই দুই-তিনদিনের মধ্যেই সেই বিশেষ দিনটি চলে গিয়েছে। মনে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একরাশ ভালোলাগা রইলো ।
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সাতকরা বা সাতকড়া চমৎকার একটা জিনিস। সাতকরার আচার আমি খেয়েছি। দারুণ লেগেছিল।
মাংসটা খাওয়া হয়নি। দেশে এলে হবে !
পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
যাক , সাতকরা দেখেছেন শুনে ভালো লাগছে । আর সাতকরার আচার দিয়েও গরুর মাংস দিব্যি চলে । দেশে এলে হবে -- তারমানে খাওয়া-দাওয়া ভালই হবে।
অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো ।
১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: সাতকড়ার আচার খেয়েছি। খুব মজা। তবে গরুর মাংশের সাথে খাওয়া হয়নি। সাতকড়া ও চুই ডাল দিয়ে গরুর মাংশ শুনেছি খুব মজা। ঢাকার কোন রেস্তোরায় পাওয়া যায় কি?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই ,
সাতকরার আচার খেয়ে যেহেতু বলছেন খুব মজা ,তাই আশা করি গরুর মাংসের সাথে খেলে আরো অমৃত মজা পাবেন। ঢাকায় কোন রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় কিনা আমি জানিনা তবে সিলেটে পাবেন এটা নিশ্চিত। ভালো থাকুন ধন্যবাদ সহ
১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গরুর মাংসের সাথে সাতকরা খুব মানানসই। ঘ্রাণও খুব সুন্দর। সিলেটে সাতকরার সাথে গরুর মাংসের ভূনা খুব জনপ্রিয়। সাতকরার আঁচারও খুব সুসাধু। সবাইকে সাতকরা খাওয়ার দাওয়াত রইলো।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
কাওসার ভাই ,
গরুর মাংসের সাথে সাতকরা নামে যেমন ঐতিহ্যবাহী , ঠিক তেমনি স্বাদেও আভিজাত্য। আপনাকে হাতকরা সম্পর্কে আর বলার কিছু নাই। আমার পোষ্টের মাধ্যমে ,সবাইকে সাতকরার দাওয়াত দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আগামী বই মেলায় না জানি আপনার আবার সিলেট থেকে সাতকরা আনতে হয় কি -না আমাদের সবার জন্য। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন।
১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: আমাদের দক্ষিণবঙ্গে সাতকরার গাছ বা সতেজ সাতকরা আমি কখনো দেখিনি । শুকনা সাতকরা দেখেছি। সাতকরা যে গরুর মাংস দিয়ে খাওয়া যায় এটাও জানতাম না। জেনে ভালো লাগলো। তবে সাতকরা, হরীতকী, বহেড়া এগুলো দিয়ে পাচন তৈরি করে । এই পাচন বেশ প্রসিদ্ধ । শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ধন্যবাদ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
দক্ষিণাঞ্চলে সাতকরা গাছের চাষ এখনো হয় নাই। শুকনো সাতকরা অথবা ফ্রোজেন করে রাখা সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস রান্না করা যায়।সাতকরা, হরীতকী, বহেড়া এগুলো দিয়ে পাচন তৈরি শরীরের জন্যও উপকারী শুনে আমার ভালো লাগলো । ভালো থাকুন ও ধন্যবাদ।
১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
সাতকরার সাতকাহন না হলেও সাত-সতেরো হয়েছে।
কাওসার চৌধুরী আবার সবাইকে সাতকরা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে ফেলেছেন। আপনার দেয়া ছবি দেখে মনে হলো, সাতকরা দিয়ে রাধা মাংশ নিঃসন্দেহে লোভনীয় আর জিভে জল আনার মতোই হবে। দেখা যাক কে সত্য সত্যিই খাওয়ায়.............
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
কাওসার ভাইয়ের দাওয়াত আমরা সবাই সাদরে গ্রহণ করলাম । আর আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য স্পেশাল নিমন্ত্রণ রইলো , যদি কখনো আপনাকে খাওয়াতে পারি সেটা হবে আমার সৌভাগ্য । কারো কাছ থেকে খেতেও ভয় পাইনা, খাওয়াতেও ভয় পাইনা -- একদম সত্যি কথা। এমন আন্তরিক মন্তব্যে দারুণ ভাললাগা ও অনুপ্রেরণা পেলাম।
১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬
ল বলেছেন: সাতকড়ায় এলারজি.................
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
সাতকরার শুধু এলার্জি কেন , গেঁটেবাত বিষব্যথা হয়না ? বয়স্কদের এতো গরুর মাংস বেশি বেশি খেতে হয় না অনেক সমস্যা হয়
১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাতকরার সুঘ্রাণযুক্ত বীফ ভূনা, বীফ কারি খাওয়ার বেশ কয়েকবার সুযোগ হয়েছে কলীগদের বাড়ীতে ডিনারের নিমন্ত্রণে। প্রত্যেকবারই এ উপাদেয় খাবারটি খেয়ে তৃপ্ত হয়েছি, আনন্দের সাথে রসনা নিবৃত্ত করেছি। আপনার এ লেখাটা পড়ে আবার জিভে জল এলো!
ছবি দুটো সুন্দর দিয়েছেন। পোস্টে প্লাস +
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
আপনি সাতকরার সাথে পরিচিত এবং গরুর মাংস ভুনা পরিতৃপ্তির সহকারে গ্রহণ করেছেন একথা শুনে আমার খুব খুব ভালো লাগলো।
প্রত্যেকবারই এ উপাদেয় খাবারটি খেয়ে তৃপ্ত হয়েছি, আনন্দের সাথে রসনা নিবৃত্ত করেছি --- মনে হচ্ছে আমার লেখা সার্থক হয়েছে।
আমার লেখাটা পড়ে জিভে জল এসেছে , আমারতো মনে হচ্ছে এখনই আপনাকে কিছু সাতকরা পার্সেল করি।
এমন অনুপ্রেরণা ও আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞ থাকবো ।
১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু,
মাহমুদ ভাই বলেছেন, আরেকটি কথা না বলে পারছি না, ডায়নিং টেবিল ভর্তি খাবারের ছবি না দিয়ে শুধু মাত্র আলোচ্য সাতকরা দিয়ে রান্না করা মাংসের তরকারির ছবি দিয়ে প্রমাণ করেছেন আপনি একজন বড় মনের মানুষ। - এখন পর্যন্ত আপনার পোষ্টের সবচেয়ে বেষ্ট পোষ্ট এটি। - নাও দ্যাটস হোয়াট আই কল এ গুড ব্লগ। গুড জব। - একমত। এটাকেই বলেই গুড প্রেজেন্টেশন। ছবি একডম স্পেছিফিক হওয়া লেখকের গুন। এটা সব সময় মেনে চলবেন।
আমার বাড়ী সুদূর উত্তরবঙ্গে। সাতকরা বা এর কোন তরকারী আমার পরিচিত নয়। কখনো খেয়েও দেখি নি। তবে আমি এটার নাম শুনেছি। পোস্টটা বাসার হোম মিনিস্ট্রির কাছে পাঠিয়ে দেব। দেখি উনি এর কিছু করতে পারেন কিনা! উনি আবার রান্নার মহা এক্সপার্ট। একবার ট্রাই করে দেখাই যায়। তবে সাতকরা আগে যোগার করতে হবে।
নিয়মিত লেখা দেবার চেস্টা করুন। ঘন ঘন লেখা দিলে হাত চালু থাকে।
শুভ কামনা রইল।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
প্রথমে আমি খুব দুঃখিত ও লজ্জিত কারণ অসুস্থ ছিলাম । ভাইরাস জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর আবারো ঠান্ডা লেগেছে । ভাই দেরিতে প্রতি মন্তব্য দেওয়ার বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভাই আমারতো মনে হচ্ছে সাতকরা ম্যানেজ করে এখনই আপনাকে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিই। এর সাদ অতুলনীয় একবার খেলে ভুলবেন না । এরমধ্যে আবার ভাবির রান্নার হাত চমৎকার। ভাবিকে আমার সালাম দিবেন। আপনি আমার আফসোস বাড়িয়ে দিলেন। দেখা যাক কি করা যায় ।
ভাই ,আমার পোস্ট সংক্রান্ত যে কোন পরামর্শ অবশ্যই আশা করবো আপনার কাছ থেকে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপি সাতকরা আমার খুবই প্রিয় ছিলো
কিন্তু ময়মনসিংগারা খায় না
তাই আমার খাওয়াও হয় না
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
অনেক অসুস্থ ছিলাম তাই প্রতিমন্তব্য দেরীতে দেওয়ার জন্য
দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
সাতকরা এখন খাওয়া হয়না ঠিকই আছে, এভাবে দুলাভাইকে ময়মনসিংগারা উনি খাবেন কেন?
আমি আমার দুলাভাই এর পক্ষে।
ভালো থাকুন আপু ধন্যবাদ সহ।
২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বোন একসময় সিলেট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিল। ওই এই বস্তুটা প্রথম বাসায় আমদানী করে। সে অনেক অনেককাল আগের কথা। আমি যেহেতু রেডমিট একেবারেই খাই না, তাই গরুর এই পদ খাওয়া হয়নি....যদিও বাসায় এটা অনেকবারই রান্না হয়েছে।
আচারও আমি খুবই কম খাই। পাতলা খিচুরীর সাথে সাতকরার আচার দু'একবার খেয়েছি। মোটামুটি।
তবে, আপনার গরুর মাংসের ছবিটা লোভনীয়! গুড পোষ্ট!!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
মুক্তা নীল বলেছেন:
মফিজ ভাই
অনেকদিন পরে পোস্টে আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। সাতকরাসম্পর্কে আপনার ধারণা আছে এবং
আপা এমন একটি লোভনীয় খাবার সিলেট থেকে নিয়ে গিয়েছেন সেজন্য আরো ভালো লাগলো ।
সাতকরার আচারের চেয়ে তরকারীটাই বেস্ট। গরুর মাংসের ছবিটা লোভনীয় --
আপনার মুখের এ কথা শুনে বড়ই কৃতার্থ হইলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
শেহজাদী১৯ বলেছেন: সাতকড়ার আচার। তিতা লেগেছিলো আমার ভীষন। জানিনা কিভাবে রাঁধতে হয়। কোনোদিন খাইনি। কেউ খাওয়ায়নি। আপনার বর্ণনাতেই জিভে জল এলো।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
সাতকড়ার আচারের রেসিপি সম্পর্কে যেটা জানি সেটা হলো এটা সঠিক পদ্ধতিতে করতে না পারলে অনেকটা তিতাই লাগে। এছাড়া কিছু কিছু শতকরা আবার তিতা থাকে। বর্ণনাতে যদি জিভে জল আসে ,তাহলে তো একদিন আপনাকে খাওয়াতেই হয় ।
শুভেচ্ছা রইলো।
২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
শেহজাদী১৯ বলেছেন: দাওয়াৎ দেন একদিন। খেয়ে আসি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাওয়াত অবশ্যই যেকোনো দিন যেকোনো সময়। এমন আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।
২৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
জুন বলেছেন: প্রথম বার ভালোলাগেনি কিন্ত পরিনত বয়সে যখন খেলাম তখন সত্যি অসাধারন লেগেছিল সাতকরাকে ।
খুব ভালোলাগলো আপনার রেসিপি পোষ্ট মুক্তানীল।
+
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
আপনি সাতকরার সম্পর্কে যা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে আমার লেখা পুরোপুরি সার্থক।
আপনার মতো গুণী মানুষের এমন মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। খুব ভালো লাগলো
আপনাকে পেয়ে ।আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মুক্তা নীল, আপনাকে ব্লগ মুক্তির শুভেচ্ছা। মুক্ত আকাশে আপনি আরো সুন্দর লেখা উপহার দেবেন এই প্রত্যাশা করে দোয়া করছি আপনি আপনার পরিবার পরিজন সহ ভালো থাকুন - সুস্থ থাকুন - ব্যস্ত থাকুন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫২
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুরদা ,
ব্লক মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত এবং সে সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
আপনি আমাকে স্মরণ করার জন্য। আপনাদের ছবিটি মনমুগ্ধকর , যা
নিক নামের সাথে মানানসই ,সুন্দর হয়েছে ।
আপনি ও আপনার পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন।
শুভকামনা ও শ্রদ্ধা ।
২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমার এত প্রিয় একটি খাদ্য উপকরণ নিযে দেয়া আপনার এই পোষ্টটি কেন এতদিন দেখা হয়নি
তা ভেবে এখন নীজের উপরই রাগ হচ্ছে ।
এটা সবসমই আমার ঘরে দু একটা মজুদ থাকেই । সব সময় পাওয়া যায়না তবে পেলে এক সাথে
বেশ কটি সংগ্রহ করে রাখি । আপনি ঠিকই বলেছেন এটা এখন সিলেটের গন্ডি পেরিয়ে পারি দিয়েছে
বহির্বিশ্বে। সাতকরার পিকল বা আচার আমার কাছে আরো ভাল লাগে , এটা মাংস জাতীয় সকল
খাবারের সাথেই খাওয়া যায় ।
আমার পরিবারের অনেকেই এটা প্রথমে খেতোনা , তবে এখন খাবার তালিকায় এটা না থাকলে
একেবারেই চলেনা । এক কথায় এটা স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ।
ব্লগ মুক্তি উপলক্ষে আপনার জন্য রইল প্রাণের সাতকরা পিকল সহ সাতকরা মিশ্রিত ভুনা মাংসের একটি ডিস ।
শুভেচ্ছা রইল
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় স্যার ,
আপনার প্রিয় একটি খাদ্য উপকরণের শতকরা এবং এটা নিয়ে আমি লিখেছি তাই আমার ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে। আপনার মতো একজন গুণী জনের প্রিয় একটি খাবারের তালিকা এই আচার থাকে
তা জেনে খুবই ভালো লাগলো।
সাতকরা ফল ও আচারের চাহিদা আছে । আপনার কথা ঠিক কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি তিতা মনে হয়।
তবে সাতকরার আচারের চেয়ে,
সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস রান্নার যে স্বাদ তা সত্যিই অতুলনীয় ।
আপনার দেওয়া শতকরা মিশ্রিত মাংসের ভুনা দেখিয়ে আবার জিভে জল চলে এলো। আপনি যদি কখনো এই আচার'টা পান , তাহলে একটা খেয়ে দেখতে পারেন কারন এটি সিলেটের সবচেয়ে প্রথম ও পুরাতন সাতকরার আচার ।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সময় করে এসেছেন এবং পড়েছেন। দোয়া করছি ভালো থাকুন।
২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
২৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
গরুর মাংস , খাসির মাংশ বিশেষ করে ল্যাম্বের মাংসের সাথে
সাতকরা বেশ মানানসই স্বাদ বর্ধনকারী উপাদান । সাতকরা ল্যম্বের
মাংসের গায়ে থাকা গন্ধ দুর করে । সাতকরার আরো একটি গুণ হলো
একটা তাজা সাতকরা কাটা অবস্থায় ফ্রীজারে রেখে দিলে ফ্রীজারের
ভিতরে একটি সুঘ্রান বিরাজ করে
আপনার দেয়া সাতকরা পিকলটি এখানে গ্রসারী সুপারষ্টোর গুলিতে
খুঁজাখুঁজি করে পেলাম না । এখানে শুধু প্রাণের সাতকরা পিকল
পাওয়া যায় তবে এটাও বেশ হট , খেতে ভালই লাগে । আপনি
প্রাণের সাতকরা পিকল টেষ্ট করে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
আপনাকেও পুনরায় এসে আমাকে মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এটি সিলেটের লোকাল আচার তাই হয়তো দেশের বাইরে পাওয়া যায় না। প্রাণের টা খেয়েছি মন্দ নয় ভালোই। সাতকরা সম্পর্কে আপনি যা বলছেন তা'তে অনেক উৎসাহিতবোধ করছি। অনেক ভালো লাগছে আপনার মত একজন গুণী মানুষকে আমার লেখায় পেয়ে ।
কৃতজ্ঞতা ও ভালো থাকুন সর্বদা এই কামনায়।
২৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
ওমেরা বলেছেন: সাতকরা কখনো দেখিনি তবে এখানে পরিচিত সিলেটিদের বাসায় সাতকরা দিয়ে গরুর গোস্ত খেয়েছি , তবে তেমন টেষ্ট পাইনি অবশ্য সেগুলো তো ফ্রেশ সাতকরা ছিল না ছিল আইস সাতকরা ছিল তাই হয়ত। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখার জন্য।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
আপনাকে একটা মজার কথা বলি , আমিও প্রথম প্রথম সাতকরা খেতে পারতাম না । কিন্তু এখন এর অন্ধ ভক্ত হয়ে গেছি।
মাঝেমধ্যে টাটকা , আর ফ্রিজে সংরক্ষণ তো করাই থাকে। আপনি আরো দু একবার খেলে হয়তোবা ভালো লাগবে।
সময় করে এসে লিখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ।
২৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বেসম্ভব অশ্লীল একটা খাদ্যের পরিচয় তুলে ধরে খাদক ব্লগারদের যে সমাগম জমিয়েছেন তা আসলেই সাতকরা আর আপনার কেরামতি । এই খাদকের আলোচনায় অল্প খাদক আর বেশি খাদকের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না ।
সত্যিকার অর্থে এ যেন এমন খাদ্য যা খেলেও পস্তাইবে না খেলেও পস্তাইবে টাইপো
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
তাজুল ভাই ,
এই প্রথম আপনাকে আমার ব্লগ বাড়ীতে আগমনে শুভেচ্ছা । সাতকরা সম্পর্কে আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ,
খেলেও পস্তাইবে না খেলেও পস্তাইবে ---কথাটি একদম সত্যি। সাতকরা সম্পর্কে একটু তুলে ধরেছি এখন দেখছি অনেকেই সাতকরার কেরামতি সম্পর্কে অবগত। আমার খুবই ভালো লাগছে অনেকেই সিলেটের এই খাবারটি পছন্দ করেন বলে আসলে সাতকরার নিজগুণে গুনান্বিত।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তাজুল ভাইকে।
৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আফনে কিতা সিলেট থাকৈন্নি ?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
না ভাই এখন সিলেটে থাকি না। তবে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাই।
৩১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শ্রীমঙ্গলে সাতকরা দিয়ে মাংস খেয়েছিলাম সাতকরা হোটেলে। ভালোই লেগেছিলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনি সাতকরা খেয়েছেন এবং ভালো লেগেছে খেয়ে , শুনে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমি কিছুদিন আগে
সিলেটের পানসী হোটেলে খেয়েছি সেটাও অনেক মজা ছিল। আর বাসায় তো প্রায়ই খাওয়া হয়।
অনেক ভালো লাগলো সৌরভ ভাইকে পেয়ে ধন্যবাদসহ শুভকামনা রইলো।
৩২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১
বিজন রয় বলেছেন: আপনি খুব কম পোস্ট করেন।
কবিতা লিখুন তাহলে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
বিজন দা ,
আমাকে দিয়ে কি কবিতা হবে দাদা তারপরও আপনি বলার চেষ্টা করবো ।
একদম সত্যি কথা বলেছেন আরো বেশি পোস্ট লেখা উচিত ।
৩৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
বিজন রয় বলেছেন: তো আর দেরি নয়।
চেষ্টা করুন।
অন্তত আমার জন্য হলেও লিখুন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
লিখবো দাদা লিখবো । আপনি অনেক কষ্ট করে নিঃস্বার্থভাবে একটা তালিকা প্রকাশ করেন
সেটা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগে । চেষ্টা অবশ্যই করবো ।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৩৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: এর চারা কি ঢাকায় পাওয়া যায়?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আমি যতটুকু জানি ঢাকায় চারা পাওয়া যায় না । এটি পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মায়।
ধন্যবাদ দাদা ।
৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শুধু নামই শুনে গেলাম কিন্তু সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস খাওয়া হলোনা।
সিলেটে গেলে খেতে হবে। আপনার দেয়া মাংসের ছবিই বলে দিচ্ছে টেস্ট অসাধারণ হবে।
শরীর কেমন এখন আপনার ?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০০
মুক্তা নীল বলেছেন: মাইদুল ভাই ,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত । পরিশেষে আমার পোস্টে আপনাকে পেয়ে আমি আনন্দিত । যাক ভাই, আপনিও অন্তত সাতকরা নামটা শুনেছেন এতেই ভালো লাগছে। অনেকেই জানে অনেকেই জানেনা সাতকরা সম্পর্কে তাই এই পোস্টে লিখেছিলাম । সিলেটে গেলে অবশ্যই খেতে ভুলবেন না এবং কাঁচা সাতকরা কিনে এনে ফ্রোজেন করেও রাখতে
পারবেন ।
বাবুটা কেমন আছে? নিশ্চয়ই এখন একটু বড় হয়ে গেছে । বাবুটার জন্য অনেক দোয়া রইলো । আমিও আছি আল্লাহর রহমতে ভালই । আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন এই কামনা করি। ধন্যবাদ জানবেন ।
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি অনেকদিন ধরে কোন নতুন পোস্ট লিখছেন না। আশাকরি, ভালই আছেন?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
আমি খুবই আন্তরিকতার সাথে ভালোলাগা জানাচ্ছি আপনি আমার খোঁজ করেছেন । জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন অনেকদিন যাবৎ লিখছি না আমার লেখা উচিত এবং আমি অবশ্যই লিখব । আমি অসুস্থ ছিলাম তাই আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতেও দেরি হলো । একেতো আবহাওয়া বদল হচ্ছে আর দ্বিতীয়তঃ আমার ঘাড় ব্যথার সমস্যা আছে । কিছু অসুস্থতার কারণে ব্লগে এখন অনেকটা অনিয়মিত। আমি আজ আপনার কিছু লেখা পড়লাম , মন্তব্য করে এসেছি ।
কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানবেন।
৩৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট এতবার পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। পড়ার সাথে সাথে আমার কিছু ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
বেশ কয়েকবছর আগের কথা। আমার একজন বয়স্কা প্রতিবেশী এক সন্ধ্যায় আমার বাসায় বেল বাজালেন, হাতে দুটা সাতকরা। সিলেট থেকে কেউ তাকে এনে দিয়েছে কিন্তু কিভাবে রাঁধতে হয় তিনি জানেন না। আমি ফোন করে আমার মায়ের কাছ থেকে শুনে উনাকে বললাম। সেদিনই আমার মা আমাকে গরুর গোশত দিয়ে সাতকরা রান্না করে দিয়েছিলেন, একটু পরে সেই তরকারি কিছুটা নিয়ে দিয়ে আসলাম। প্রবীণ দম্পতি খুব খুশি হলেন আর জানালেন সাতকরার স্বাদ তাদের খুব ভালো লেগেছে।
এরপর এই নিঃসন্তান দম্পতির স্বামী মারা গেলেন। কবছর পর স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হলেন। কেমো দেবার পর কিছুই খেতে পারতেন না, সেসময় তার খুব সাতকরা খাবার ইচ্ছা হল। মাকে বললাম, ততদিনে আমার মাও প্রায় চলৎ- শক্তিহীন। সেই অবস্থায় কাজের মেয়েকে নির্দেশ দিয়ে আচার বানালেন, বললেন একজন মৃত্যুপথযাত্রী একটা জিনিস খেতে চেয়েছেন এটা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
যাকে দিলাম উনি এত খুশি হয়েছিলেন আচারটা পেয়ে! কিছু দিন পর তিনি মারা গেলেন।
আপনার পোস্ট যতবার দেখি ততবারই এসব মনে পড়ে। আজ শেয়ার করলাম।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
আপনার এই প্রবীণ দম্পতি প্রতিবেশী ঘটনা আমার সাথে শেয়ার করেছেন , সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
উনি অসুস্থ অবস্থায় আপনার কাছ থেকে আচার পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন এই ঘটনাগুলো পড়ে
আমারও খুব ভালো লাগলো।
আপনার আন্তরিকতা ও মানবিকতার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইলো। আজ সেই প্রবীণ দম্পতি ও আপনার আম্মা কেউ বেঁচে নেই কিন্তু এই লেখাটার মাঝে আমরা উনাদেরকে স্মরণ করতে পেরে কষ্টের মাঝেও ভালো লাগলো।
কৃতজ্ঞতা সহ অশেষ ধন্যবাদ।
৩৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুগন্ধে ই মন ভালো হয়।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
মনির আপা ,
আপনার এই এক কথাতেই বুঝা যায় আপনিও সাতকরা প্রেমী ।
শুধুই সুগন্ধ আমার তরকারিটা কেমন হয়েছে সেটা তো বললেন
না (হা হা) । অবশ্য আমারও দোষ আছে আমিতো খাওয়ায়নি রান্না করে আপনাকে।
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।
৩৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
নিভৃতা বলেছেন: এই পোস্টটি দেখার সাথে সাথে সাতকরার মৌ মৌ গন্ধ যেন নাকে এসে লাগলো। জিভে জলের অস্তিত্বও যেন টের পাচ্ছি। সিলেট বিভাগে থেকেও অনেকদিন হয়ে গেলো সাতকরা খাওয়া হয় না। আপনার এই পোস্ট দেখাার পর তো এখন না খেলেই নয়।
০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ২:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
এই প্রথম আপনাকে আমার পোস্টে ভালোলাগা সহ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনি এ ফলটির সাথে পরিচিত এবং সিলেটে থাকেন জেনে আরো বেশি ভালো লাগছে। তো আর দেরি কেন যেহেতু সিলেটেই থাকেন তাহলে একদিন সময় করে খেয়েই ফেলুন । আরেকটি কথা , অনেক দেরিতে উত্তর দিলাম বলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। একটু ঝামেলায় ছিলাম তাই দেরি হলো।
ভাল থাকুন ও অনেক ধন্যবাদ।
৪০| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চাচারঘরর ভাই, হাতকড়া ভালা পাও কিন্তু সিলটি মাত বুঝঅ না। উভাও! তোমাের আমি আস্তেধীরে সাবুদ করমো।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩১
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই কে খুব সুন্দর করে বলেছেন , শুনে ভালো লাগলো
৪১| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার থুক্কু হইছে, আমি মনো করছিলাম নীল আকাশ
০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
নাহ্ সমস্যা নাই ভুল হতেই পারে ।
৪২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনি কোথায় ? অনেকদিন লেখা নাই।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২১
মুক্তা নীল বলেছেন: আমি তো আছি-ই ভাই, লিখবো । খোঁজ নেয়ার অনেক ভালো লাগলো ।
৪৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু নতুন পোস্ট নাই ক্যান ?
০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা আমাকে এই কথা বলছেন এটা তো আমার সৌভাগ্য, লিখবো।
৪৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইনশআল্লাহ অপেক্ষায় থাকলাম
০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
জী আপা , অবশ্যই ।
৪৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সত্যি কৃতজ্ঞ হয়েছি, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই
আমি আমি ভীষণ লজ্জিত ও দুঃখিত আমি খেয়ালই করিনি আপনার মন্তব্যটি।
আপনার প্রতি রইল আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।
৪৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২০
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ , ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমার অত্যান্ত পছন্দের ফল। আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশের টিলায় একটাসময় অনেকগুলা গাছ ছিলো, এখনো অবশ্য কয়েকটা আছে।