![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা দেশ জুড়ে আজ রাজাকারদের বিচারের দাবী নিয়ে প্রজন্মের দিশারীরা ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও ঐ দাবীতে একমত, একথা বিশ্বাস হয় কিনা জানিনা, বিশ্বাস না করলেও রাগ করবনা।
আলেমরা আপনাদের সাথে এসে এই পরিবেশে আসতে অপারগ, কারন টা আপনারা বুঝতেই পারছেন, কিন্তু আলেম উলামাদের নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আজ বিব্রান্তি ছড়াচ্ছেন, আমরা তার নিন্দা জানা
তাই প্রজন্ম চত্বরে অবস্থানরত সকল দেশপ্রেমিক ভাই বোনদের আনুরুধ জানাচ্ছি ভণ্ড জামাত শিবিরের প্রপাগান্ডাকে এড়িয়ে চলুন।
বাংলাদেশের হাজার হাজার কৌমি মাদ্রাসার আলেম উলামা আপনাদের সাথে আছেন ও থাকবেন। আবার অ অনুরুধ করছি ইসলামের ক্ষতি হয় এমন কিছু করতে যাবেননা, জাতে উলামাদের তথা ধর্ম প্রান মুসল্মান্দের অন্তরে আঘাত লাগে। কিছুদিন যাবত লক্ষ করছি কিছু লোক ফেইসবুকে ও ব্লগে ইসলাম, মুসলমান, আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কটাক্ষ করেই চলেছেন, এতে করে আলেম উলামারাই আপনাদের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছেন।
মুসলিম, হিন্দু, বোদ্ধ ও খৃষ্টান আমরা সবাই বাঙ্গালী। যোদ্ধয়াপরাদীদের বিচার এটা আপনার একার না, এটা সমগ্র বাঙ্গালীর।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪০
বাকাট্টা বলেছেন: ইসলাম জামাতের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তাই জামাত নিষিদ্ধের নামে যারা সব ইসলামী দল নিষিদ্ধ করার দাবী করে তারা ঐ বামের উৎশৃঙ্খল নাস্তিক। আমার বিশ্বাস যে শাহবাগে অবস্থানরত সবাই এই বিষয়ে একমত না। সবচেয়ে বড় কথা আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হাম্বারা নানা টালবাহানা করছে। যদিও সংসদে তাদের ২৫০ এর বেশী আসন আছে।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
বাকাট্টা বলেছেন: আর হাম্বারা কিভাবে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে! যেখানে কট্টরপন্থী খেলাফত মজলিসের সাথে ২০০৬ সালে নিম্নলিখিত চুক্তি করছি'ল
৭১ এর ঘাতকদের বিচার ও জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতেই তাদের সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: শুধু জামাতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা হবে।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
নিষ্কর্মা বলেছেন: আমাদের দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো জন্মগত ভাবেই জামাত বিরোধী। এদের সাথে খামোখা লাগতে যান কেন।
আর ব্লগার ভাই, ব্লগে যে সব লেখা দেখছেন, এর বেশির ভাগই জামাত-শিবিরের কাজ। যারা আন্দোলনের সাথে জড়িত, বা যারা এখন আমার মত ব্লগিং করছে, আমরা সবাই ছাগুদের সাথে ব্যস্ত আছি। ঐসব আজেবাজে কথা লিখি না।
জামাতিরাই এইসব করছে যাতে আপনাদের মত কেউ কেউ আন্দোলনকে ভুল বোঝে। বুঝতে পেরেছেন আশাকরি।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
মুক্তি মূণ্ণা বলেছেন: ভাই ইসলাম কোন ফল বা ফুলের নাম নয় যে, ইউজ করে সজত্নে রেখে দিবেন, ইসলাম একটি পরিপুর্ন জীবন বিধান। যা রাজনৈতিক ভাবে সুচিত হয়েছে। ইসলাম ছাড়া রাজনিতি নেই। ইসলামিক রাজনিতীই দুনিয়াতে প্রথম শান্তি এনেছিল। তার প্রমান কুরানেই আছে। তাই অধ্যয়ন করে দেখতে পারেন।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
মোঃ ওমর শরীফ বলেছেন: হিতৈষী সাব, তাইলে সরকার রে কন- ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ব করতে। দেখেন কি হয়।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
শরিফুল ইসলাম লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০
খুব সাধারন একজন বলেছেন: সময় যত গড়ায় প্রোপাগান্ডা ততই সূক্ষ্ণ হয়।
পোস্টদাতার উদ্দেশে বলছি না, সার্বজনীন কথা,
*যারা প্রথমদিন লিখেছিল রাজাকারের মুক্তি চাই/জয় রাজাকার/আমি রাজাকার/জামাত জিন্দাবাদ/কাদের মোল্লার জয় ইত্যাদি,
*তারাই দ্বিতীয়দিন লিখেছিল আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নামা বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষেরা বেশ্যা, আমরা গাঞ্জুট্টি, নাস্তিক, রেপিস্ট, ভাড়াটে, জুসের বোতল লোভী,
*তৃতীয় দিন লিখেছিল, তারাও বিচার চায়, কিন্তু...
*তারাই চর্তুথ দিন লিখেছিল আমরা ফ্যাসিস্ট,
*পঞ্চমদিন লিখেছিল আমরা আর কয়দিন থাকব- একদিন রাজপথ ছেড়ে দিতে হবে,
*এরপর লিখেছিল আমরা কোটাবাজ (মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের কোটা!), সাগর রুনী হত্যা, পদ্মা সেতু, কুইক রেন্টাল,
*সপ্তম দিন আর আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, আওমী দলে থাকা রাজাকার ও ছাত্রলীগের বদনাম,
*এরপর দাড়ি টুপি ও মসজিদের অপমান ও আলেম সমাজ (আসলে শিবির)এর মিছিলে হামলা, সেন্টিমেন্ট নিয়ে টানাটানি, অথচ লক্ষ লক্ষ প্র্যাকটিসিং মুসলিম এই বাংলাদেশের আন্দোলনে জড়িত।
*নবম দিনে বলে, এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে, লীগও এই আন্দোলন চায় না, আওয়ামীলীগ করলেই কি যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্তি?
*দশম দিনে হুমকি দেয়, শাহবাগ আন্দোলন সফল তো হবেই না, বরং প্রশাসন ও অন্যান্য জায়গায় এটা হবে, সেটা হবে, শিবির সব মেরে ফেলবে (আন্দোলন শুরুর আগেরদিন যা বলেছিল, সে কথাতে ফিরে গেছে, 'গৃহযুদ্ধ' হুমকি দিলে ফ্যাসিস্ট হয় না, যারা গৃহযুদ্ধ রুখতে চায় তারা ফ্যাসিস্ট!)
আর আজকে একাদশ দিনে তারাই বলছে,
আর শাহবাগ যামু না। শাহবাগ বদলায়া গেছে।
আর তখন মধ্যম মানের শিল্পকর্ম ১০/২০/৩০ খান ফেববু শেয়ার পায়। অথচ বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার বিপ্লব এ অংশ নেয়া সব স্তরের বাংলাদেশের নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করা চমৎকার পোস্টগুলো একটাও প্লাস পায় না, একটাও প্রিয়তে পায় না, একটাও ফেসবুক শেয়ার বা মন্তব্য পায় না।
আর দলে দলে সেখানে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে 'বাংলার' 'সাধারণ' জনতা যারা শাবাগ যেতে যেতে ক্লান্ত। ভোটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাহ,
আমরা আমাদের র্ধৈয্য দেখে অবাক হচ্ছি।
আমরা এতই বদলে গেছি যে ফুল দিয়ে যুদ্ধ করতে চাই, ফুল বাঁচাতে নয়।
----------------------------
হায়রে, পরিস্থিতি ও প্রচারণা দেখে মনে হয় জামাত শিবিরও কি এইরকম মনে করে?
* ইয়াহিয়া খান- তিরিশ লাখ মারব, বাকিরা আমাদের হাতেই খাবে।
*নিয়াজী- নিচু দেশের নিচু মানুষ। এগুলো মানুষ না,বানর আর মুরগি।
*পাক আর্মির ক্যাপ্টেন- আমরা যাকে খুশি যে কোন কারণে মারতে পারি। এজন্য কাউকে গোণায় ধরি না।
*ভুট্টো, ১৯৭২- আমার সোনার বাংলা আবার আমার হবে।
-------------------------------
কারণ বাংলাদেশের জন্ম যারা চায়নি এবং সেইসব অপরাধীকে যারা টিকাতে চায় তারা একই কথা বলে-
১৯৭১ সালে জামাত ছিল না। গঠন হইসে আশি সালের পর।
২. শিবির বা কোন ছাত্র সঙ্গঠন একাত্তর সালে ছিল না।
৩. একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা নামে বহুত ডাকাত আর রেপিস্ট ছিল। তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। লুট করত আর ক্যাম্প করে মেয়ে মানুষ নাচাত।
৪. শিবির জামাতের পক্ষের সঙ্গঠন নয়।
৫. ছাত্রীসংস্থার সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক নেই-
৬. এজিদ একজন ন্যায়বিচারক শাসক। তিনি এই দেশে আসলে আমরা সবাই তার হাতে বায়াত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দিতাম।
৭. শহীদ বুদ্ধিজীবীর যে ছবি দেয়া হয়। চোখ বাধা ইটপাটকেলের ভিতর পড়ে থাকা অর্ধনগ্ন লাশ, সেগুলো আসলে একাত্তর সালে গণহত্যার শিকার জামাতে ইসলামীর সদস্য।
৮. শিবির, 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার'
৯. স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করব। -মুজাহিদ।
১০. মুজিব ক্ষমা করেছেন। সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করেছে। (মিথ্যা কথা এটাও)
১১. বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।
১২. আমি ক্ষমতায় আসলে কুরআনের আইনে তাদের শাসন করব। তাদের হাত সাক্ষ্য দিবে। পা সাক্ষ্য দিবে। -কা. মো.
১৩. বাঙালি বলতে কোন জাতি নেই।-গোলাম আজম।
১৪. এই যুদ্ধে পরাজয় হলে পূর্ব পাকিস্তানের একজন জামায়াত সমর্থকেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।- গোলাম আজম।
----------------
একাত্তরে কোন ব্যক্তি রাজাকারি করুক আর না করুক, জামাতি সঙ্গঠন সাঙ্গঠনিকভাবেই রাজাকারি করেছে।
এটা ছিল তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মিয়ার নির্দেশ। আবুল জামাতি (জামাতিদের পিতা) একাত্তরেও মিডিয়াতে রাজাকারির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান থেকে-
*সেই নির্দেশ গোআ, ম.র.নিজামী, আআ মুজাহিদ, ওরা পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ সারা বাংলার রেজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ বর্তমান জামাত পালন করছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ পালনের জন্যই আজো শিবির বলে, 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার।'
*সেই নির্দেশ পালন করেই জামাতিরা সব সত্যিকে অস্বীকার করে। একাত্তরকে অস্বীকার করে।
*সেই নির্দেশ পালন করেই এখন প্রোপাগান্ডা চালায়।
*সেই নির্দেশ পালন করেই বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়ে গৃহযুদ্ধ ঘোষণা করে।
তাই আজকের দিনের জামাত-শিবির সমর্থকদের মধ্যে,
গোলাম আজমের,
বর্তমানের শিবিরের এবং
রাজাকারদের মধ্যে কোন তফাত নেই
জামাতের গোড়ায় দোষ,
জামাতের নীতিতে দোষ,
তাই ব্যক্তি পর্যায়ে জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা জামাতের সাথে যুক্ত তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বিধায় স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জামাত ও তার সমস্ত নীতিগত সমর্থক ও তাদের সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই কর্মীদের লিস্ট জামাতের কাছেই রয়েছে। যারা দেখেশুনে এবং বুঝেও এমন অপপ্রচার ও অপশক্তির সমর্থন করতে পারে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
হিতৈষী বলেছেন: আপনার কৌমি মাদ্রাসার ওলামারাও তো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেন। তাহলে শাহবাগের সাথে একমত হলেন কিভাবে?