![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক যেভাবে এই প্রজন্মও একটা স্বপ্ন দেখবে যা পূরন করবে পরের প্রজন্ম।
হত্যাকান্ডের ডেডবডির সুরতহালেই লুকানো থাকে হত্যার প্রকৃত রহস্য।কারন খুনির মোটিভেশন তার কর্মের দৃশ্যে থাকাই স্বাভাবিক। ১ নং এ দেখুন রক্তাক্ত দেহ দুটির পাশে একটা সিগেরেটের গোড়া পরে আছে, পা গুলো কিভাবে বাঁধা, রক্ত জমে থাকা একটা স্লিপার দেখুন, রুনির কমোরে ছুরি চালানোর আংশটা দেখুন, ৫ নংয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টায় রক্তে আঁকা সাগরের ভাষাটা বুঝুন, ৬ এ কি যেন একটা দেখুন, ৭'তে রক্তে জুতার ছাপ আর রাষ্ট্রের মুখ দেখুন।সুরতহালে আরও অনেক কিছু দেখার আছে।কতটা নিশংস ভাবে আয়েস করে খুনির খুন করেছে দুইটি মানুষকে ? কোন জন্তু জানোয়ারকে এভাবে জবাই করা হয় এমন বর্ননা কোন গল্পেও পড়িনি।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, সাগরের বুকের ডান পাশে বাঁটবিহীন অবস্থায় একটি ছুরির ফলা বিঁধেছিল। তার পিঠে ১১টি, বুকে পাঁচ-ছয়টি, গলার দুই পাশে পাঁচটি, হাতে ও মাথায় একটি করে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। আর রুনির পেটে দুটি বড় আকারের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। চোখের পাতার ওপর আঘাতের দুটি চিহ্ন ছিল। তিনি জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট ক্ষত দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাদের শ্বাসনালীও কেটে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে আমাদের ইডিয়ট সাংঘাতীক ভাইয়েরা এখানে আবিষ্কার করছে পরকিয়া। আপনাদের কি মনে হয় সামান্য পারিবারিক কোন কারনে ৩৬ ও ৩২ বছর বয়সের এক জোড়া নর নারীর এমন বিভৎস ভাবে খুন হওয়া কোন যুক্তি বা কারন বা আবেগ থাকতে পারে, এই সমজে ? অবাস্তব ! প্রেমের জন্য প্রায় ৪০ বছর বয়সের দান্দাল বাঙ্গাল এতটা মাথা খারাপ হবে তা এ্যাবসার্ড।আর রুনি'কে হত্যাকরার মাধ্যমে খুনি তো প্রেমের চিহ্নই রাখেনি।তাহলে দ্বিতীয় প্রপজিশনে বলা যায়, প্রেম না, তেমন কিছু থাকলে তা দেহ গত।বাঙালীকে কি এত উন্মাদ বা আহাম্মক মনে হয় আপনাদের, যে এরকম একটা বিভৎস হত্যাকান্ডের মোটিভেশন হবে দেহের মত তুচ্ছ একটা বিষয়, কত দেহ চাই এই বয়সের কারো ? না, কোন উন্মাদও এত সামান্য বিষয়ে এত বড় ঝুকি নেবে না। এরকম পাইলে খবর দিয়েন, ওরে মিউজিয়ামে রাখা হবে।বাংঙালী খুবই চতুর, মূর্খ, ধান্দাবাজ একটি জাতি, এ সব সময় কর্মের সমরুপ কার্যকারন বা স্বার্থ ছাড়া ঐ মাত্রায় কাজটি করে না।
গোয়েন্দা পুলিশের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, মেহেরুন রুনির সঙ্গে তার এক সহকর্মীর সম্পর্ক ছিল। তার স্বামী রাত দুইটায় বাসায় ফিরে রুনিকে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুনির সাংবাদিক বন্ধু রান্নাঘর থেকে বটি এনে সরওয়ারের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে সরওয়ার নিহত হয়। সরওয়ার নিহত হওয়ার পর ঘটনার স্বাক্ষী না রাখার কৌশল হিসেবেই রুনিকে হত্যা করা হয়।
রাত দুইটায় পরকিয়া জনিত আপত্তিকর অবস্থা, খুনির জীবনে কি ঐ রাইতেই শেষ রাইত ছিল নাকি ? আর দ্বিতীয় বন্ধুটি কি ছাগলের তিন নম্বরের মত পাহারা দিতে গেছিল ? ৪০ বছরের এত ডেডিকেটেড বন্ধু ! আচ্ছা, সাগর অফিসে থাকা অবস্থায়ই রুনির মোবাইল বন্ধ ছিল, পুলিশ সকালে মোবাইলটি কি বন্ধ পেয়েছিল ? এটা একটা বড় প্রশ্ন। তাহলে কি খুনিরা রুনিকে আগেই হত্যা করে ফেলেছিল, এবং সাগরের অপেক্ষায় রুনির মোবাইল বন্ধ করে বসেছিল ? তানা হলে দুইজন খুনির পক্ষে সাগর রুনির মত শক্ত সমর্থ দুইজন কে এরকম নিশংস্ব দীর্ঘ সময় ধরে এ ভাবে, বন্দুকের গুলি খরচ না করে, হত্যা করা অসম্ভব - বাঁচার শেষ চেষ্টায় মানুষ নাকি হাতির শক্তি অর্জন করে।তাছাড়া প্রাথমিক তদন্তে রুনি আগে খুন হয়েছেন বলেও ধারণা করা হয়েছিল। কারণ লাশ উদ্ধারের সময় রুনির শরীর (ঘাড়) শক্ত ছিল। রক্তও জমাটবাঁধা ছিল।তবে এক্ষেত্রে একটি দুর্বল পয়েন্ট সাগর থ্রী কোর্টার পরা ছিল। আরএকটি বিষয় হচ্ছে সাগরের পা এবং মুখ বাঁধা ছিল, রুনির মুখ বাঁধা ছিল।এখন প্রশ্ন মুখ বাঁধলো কি ভাবে ? প্রথম আঘাতটি করার আগে যদি মুখ না বাঁধা থাকতো তাহলে ফ্লাট তথা সমগ্র এলাকা একটি বিকট চিৎকার কি শুনতো না ? হতে পারে দুজন না ঘাতকের সংখ্যা ছলি আরও বেশি, এবং হত্যার সংগঠনটি হয়েছিল খুবই পরিকল্পিত।ঐ বিল্ডিংয়ের অন্য কোন ফ্লাটে ওৎপেতে ছিল ঘাতকরা।
যা হউক, এর পেছনে কিছু না কিছু, কারো না কারো, কোন না কোন বড় স্বার্থ আছে - ঠিক হত্যাকান্ডটির বিভৎসতা ও আলোড়নের সমান।ছবিটার দিকে তাকিয়ে দেখুন! মানুষের ইন্টুশন বলে একটা ইনস্টিংন্ট আছে, যা দিয়ে প্রথম দর্শনেই ঘটনা সম্পর্কে তার মনে একটা সিদ্ধান্ত তৈরী হয়, যা পরে হয়তো ইতস্ততায় হারিয়ে যায়।কিন্তু সত্য লুকানো থাকে সেই প্রথমে মনে হওয়ার মধ্যেই, যদিও প্রতিষ্টিত হয় মাথার সাজানো যুক্তি বা অন্য কিছু।এই খুনের দৃষ্যটিই বলছে, এর গভীরতা অনেক।খেয়াল করুন হত্যাকান্ডটি কতটুকু চাঞ্চলকর ? সাগর রুনি এখানে বলির পাঠাও হতে পারে অথবা সাগর রুনি কঠোর গোপনীয় কিছু জেনে গিয়েছিল ? অথবা খেয়াল করুন ঘটনাটি থেকে কেউ বা কোন গোষ্ঠি লাভবান হচ্ছে কিনা ? এমন অনেক পয়েন্ট ভাবুন! বাংলাদেশের মানুষ কখনও এতটা বোকা ছিল না, নেই যে পরকিয়ার মত কারনে এমন একটা রিস্ক নেবে।এদের কর্মের প্রকাশ স্বার্থের উপর নির্ভর করে প্রকাশ পায়।এই খুনের ডেমন্সট্রেশনটি দেখুন, কত গভীর হতে পারে এর অন্ত কারন ?
উপরের ছবিটি নিয়ে অনেকের কনফিউশন হচ্ছে তাই পুরাটা দিলাম।আমারদেশ থেকে নেয়া।
ব্লগার্স তদন্ত পাতা - সাগর রুমী কেইস
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুনী ধরা না পড়া পর্যন্ত বাড়তি কথা বলে লাভ নাই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৭
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: শোনেন, আপনি কোন আইনের রেফারেন্সে কথাটি বলছেন, জানেন ? আইনটি হলো, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড বা সিআরপিসি বা ফৌজদারী কার্যবিধি। এটি হচ্ছে একটি দাসের দেশের আইন।বলুন তো বৃটিশদের দেয়া এই ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডটি ওদের দেশে কখনও প্রচলীত ছিল কিনা ? না ছিল না, কারন আইনটি সম্পূর্ন রুপে বিল অফ রাইটসের পরিপহন্থী, যা ওদের পূর্বপুরুষের রক্তে অর্জিত হয়েছিল।আইনটি আমাদের মত গোলামের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল।"তদন্তাধীন ও বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোন আলোচনা সমালোচনা নয়।" এতে মালিক আর দুস্কৃতিকারীদের সুবিধা হয়, দুইয়ে আবার পরষ্পর বন্ধু।তদন্ত শেষে যে গল্প তৈরী হবে তা আসমানী কিতাবের কাছা কাছি।আর আমরাও জাত গোলাম, গোলামী মুক্ত হলেও মালিকে দেয়া আইনটি তাদের চেয়ে নিৎকৃষ্ট ভাবে প্রয়োগ করে চলেছি আজও।
"তদন্তাধীন ও বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোন আলোচনা সমালোচনা নয়।"এটি প্রকৃতি ও ন্যায়বিচার বিরোধী আইন।এ্যা নো ক্লাস ল।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১০
একলা বগ বলেছেন: ছবি কই পাইলেন?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫১
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: আমারদেশ পত্রিকা।জিনিয়াস।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১১
রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম তবে অবাক লাগল যে একজনকে বেধে হত্যা করল আরেক জনকে নয় !, তাহলে টার্গেট টা কে ছিল অস্পষ্ঠ বুঝা যাচ্ছে ।
একজনকে খোলা অবস্থার কারনেই পরকীয়া ব্যাপারটা চাপানো হচ্ছে । কিন্তু সামান্য পরকীয়ার ব্যাপারে একজনকে খুন করা যেতে পারে উভয়কে খুন করা ব্যাপারটা খটকা লাগছে ।
তদন্ত রিপোর্ট আসুক । দেখা যাক........
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬
শিক্ষানবিস বলেছেন: ছি আমরা কত খারাপ! যে মানুষটি নিজের স্বামীকে বাচানোর জন্য খুন হল, তাকে আমরা বলি একজনের সাথে তার পরকিয়া ছিল।
এ ধরনের কথা বলা বা ধারনা করা ও তা প্রচার করা যে কত বড় পাপ, তা কি আমরা ভেবে দেখি?
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৮
রাজ হাসান বলেছেন: ভাই পরকীয়া টিয়া কিছুই না,এখন কি করে পরকিয়া বানানো যায় মনে হয় সেই চেষ্টাই চলছে।না হলে এত কাল ক্ষেপনের কোনো কারন তো দেখছি না।আর যদি পরকীয়াই করত তাহলে সাগরকে হত্যা করেও রুনি এই ঘটনা ভিন্ন খাতে দেখাতে পারত কারন তারা সংবাদ কর্মী তাইনা।আমার মনে হয় তাদের কাছে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসে পরেছিল যাতে করে প্রভাবশালী অথবা বিদেশী কোনো গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষতির কারন হয়ে যেত তাই তাদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।যদি রুনি পরকীয়াই করত তাহলে সরওয়ার নিহত হওয়ার পর ঘটনার স্বাক্ষী না রাখার কৌশল হিসেবেই রুনিকে হত্যা করা হয় ঠিক সেইভাবে মেঘ কেও হত্যা করত তাই না।এখানে নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিষয় আছে যা একসময় অবহেলার ধুলোঝড়ে চাপা পরে যাবে।তবে এটুকু চির সত্য যদি এই ধরনের কোনো বিষয় হয় তাহলে আমাদের সামনে ঘোর বিপদ রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন যেন আমাদের সকল প্রকার বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং সেই সাথে সাগর সরোয়ার এবং মেহেরুন রুনির একমাত্র সন্তান মেঘকে সমস্ত শোক কাটিয়ে উথার শক্তি প্রদান করুক।আমীন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: বিদেশী কোনো গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষতির কারন হয়ে যেত...
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৮
মীর হাসিন রেজা বলেছেন: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুনী ধরা না পড়া পর্যন্ত বাড়তি কথা বলে লাভ নাই।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২১
উকুন বলেছেন: আমি ঠিক বুঝিনা কেন পুলিশ বারবার একি রকম কথা বলছে। যাইহোক এটার একটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।তার আগে কোনও মন্তব্য না করাই ভাল।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৪
নেমলেসবেসট বলেছেন: সময় উপযোগী লেখা ।ভাল লাগল
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৫
রাখালছেলে বলেছেন: প্রতিটা খুনের একটা মোটিভেশন থাকে । মোটিভেশন বের করার কিছু কমন দরজা খোলা হয় একটা হল পরকিয়া কিনা। এটা পুলিশের কাজ তাদের কাজ করতে দেন। খালি খালি কথা বলে ব্যাপারটা ঘোলা করা কি ঠিক ???
ওহ ছবিটা নিশ্চয়ই ঐ স্পট থেকে তোলা নাকি অন্যকিছু ???
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৬
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: পরকীয়া বলা হচ্ছে মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করার জন্য বা সাগরের পক্ষ নিয়ে যাতে কেউ কথা না বলে।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩০
কান্টি টুটুল বলেছেন:
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুনী ধরা না পড়া পর্যন্ত বাড়তি কথা বলে লাভ নাই।
অপেশাদার খুনি ডাবল মার্ডার করলো কিন্তু তারে ধরা যাইতেছে না.................
এখানে না বোঝার কি কিছু আছে?
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩২
হাসান বলেছেন: @লেখাজোকা শামীম - আপনার কি মনে হয় কখনও আসামীরা ধরা পড়বে?
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৯
অদৃশ্য আলোক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী মেঘ ও দারোয়ান। তারা নিশ্চয় দেখেছে কারা এসেছিল। এমনকি মেঘ বলেছে, তাদেরকে পিকনিকে দেখেছিল্। তাহলে তাদেরকে খুজে বের করা এত কষ্টের কিছু নয়। টেলিফোন রেকর্ড চেক করেও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
আমার মনে হয়েছে, সাগর-রুনি দুজনেই সহজ সরল। কেউ তাদেরকে বন্ধুত্বের ফাদে ফেলে এই অবস্থা করেছে। অনেক আগে থেকেই হয়ত "ক্ষতি" করার পরিকল্পনা করে বন্ধুত্ব করেছিল। বন্ধু বা পরিচিত কেউ না হলে রাত ২ টা পর্যন্ত বাসায় থাকতে পারেনা।
গোপন তথ্য নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি পরকীয়া এটা আমরা একেকরকম গল্প রচনা করলে খুনীদেরই সুবিধা। এবং খুনীদের যারা বাচাতে চাইতে তাদের সুবিধা, তারা পরে সুবিধামত একটি নাটক সাজাতে পারবে। তাই এখন এসব কিছু কল্পনা করা ঠিক হবেনা। খুনীদের ধরে আসল রহস্য বের করাই প্রধান কাজ। অতীতে ভুমিদস্যুরা যেভাবে কোটি টাকা দিয়ে "লুকিং ফর শত্রুজ" কে ম্যানেজ করেছিল, সেরকম যেন এবারে না হয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: গোপন তথ্য নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি পরকীয়া এটা আমরা একেকরকম গল্প রচনা করলে খুনীদেরই সুবিধা। এবং খুনীদের যারা বাচাতে চাইতে তাদের সুবিধা, তারা পরে সুবিধামত একটি নাটক সাজাতে পারবে। তাই এখন এসব কিছু কল্পনা করা ঠিক হবেনা।
ভাই বিষয়টি খুবই মৌলিক দর্শন - আপনি বুঝবেন না।শুধু বিশ্বাস করে নিন, যত আলোচনা, সমালোচলা জনগণের তত লাভ, অপরাধীর তত ক্ষতি।অপরাধ ও অপরাধী তত ওপেন।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৬
কালো_সাদা বলেছেন: সবসময় খোঁজ রাখার চেষ্টা করি খুনিরা ধরা পড়লো কিনা প্রতিবারই হতাশ হতে হয় । পোস্টের সাথে সহমত।
পরকিয়ার মত ব্যপার এত সুন্দর একটা পরিবারকে গ্রাস করতে পারেনা
১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৬
~মাইনাচ~ বলেছেন: @হাসান, ২৪ ঘন্টা কিন্তু এখনো পারোইনি
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০১
মৃত্যুময় বলেছেন: অদৃশ্য আলোক বলেছেন: ....আমার মনে হয়েছে, সাগর-রুনি দুজনেই সহজ সরল। ...
আপনি মনেহয় ভুলে গেছেন তারা সাংবাদিক। সাংবাদিক আর যাই হোক সহজ সরল হয়না
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৩
রুহান রুহান বলেছেন: হাসান বলেছেন: @লেখাজোকা শামীম - আপনার কি মনে হয় কখনও আসামীরা ধরা পড়বে?
@হাসান- আমারো মনে হয় সত্যিকারের খুনি কখনো ধরা পড়বে না আর কেন, কিভাবে খুন হলো সেটাও আমরা জানতে পারবো না কিংবা জানতে দেওয়া হবে না। মানুষের জীবনের আসলে এখন কোনো মূল্য নেই!
সক্রেটিসের সময়কার একজন স্বল্প খ্যাত দার্শনিক থ্রেসিমেকাস বলেছিলেন, "শক্তিমানের স্বার্থরক্ষাই ন্যায়"। সেসময় সক্রেটিসের প্রবল ব্যক্তিত্ব আর যুক্তির সামনে ন্যায়ের এই সংজ্ঞা টিকেনি, টিকার কথাও না কিন্তু বর্তমান সময়ে সক্রেটিসের চেয়ে থ্রেসিমেকাসের ন্যায়ের সংজ্ঞাটাই বেশী গ্রহণ যোগ্য।
১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হে আল্লাহ, আমাদের উত্তর দাও!
২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৪
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: সিগারেট এ খুনির লেগে যাওয়া ডি এন এ স্যাম্পল টেস্ট করে এবং ওই দিন যারা ফ্ল্যাটে এসেছিল তাদের প্রত্যেকের ডি এন এর সাথে মিলিয়ে খুনি ধরা যেতে পারে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: সিগারেট এ খুনির লেগে যাওয়া ডি এন এ স্যাম্পল
২১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২২
রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: ভাইয়ারা, আপনারা হত্যাকারীকে ধরার চিন্তা করতেছেন, কিন্তু যারা ধরবে তারাই যদি হত্যাকারী হয়, তখন?? চেহারা খাতুন(সাহারা খাতুন) এর কথা বার্তা শুনলেই তো মনে হ্য়, ডাল মে কুছ কালা হ্যা। আর শুধু বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথী কেন? বাংলাদেশের সরকারের গোপন নথী সম্পর্কে জানতে দোষ কই?? আরও কিছু বলবো ভাবছিলাম, কিন্তু কমেন্টে অনেকেই দেখি সেই গুলাই বলছে।
সাগর-রুনির আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। মেঘ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।
২২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৯
এম এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: পোষ্ট অনেক সুন্দর। ভাবার আছে।ভাবছি হয়ত সরকারের কোন রাঘব বোয়াল জড়িত। অথবা সিরিয়াস কোন চক্র। রহস্য লাগছে। লেখার সাথে সহমত
২৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৭
আেলা আধােরর েখলা বলেছেন: াংবাদিকেরাই রুনির নামে বদনাম করছে, অতছ এই রুনিই এক সময় তাদের সহকরমী ছিল।
২৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৩
অদৃশ্য আলোক বলেছেন: আলোচনা সমালোচনা করতে বাধা নেই। কিন্তু খুনীদেরই একটি পক্ষ ঘটনা ভিন্নদিকে নিতে নানা কাহিনী প্রচার করতে পারে।
@মৃত্যুময়-সহজ সরল জীবনযাপন করাতো দোষের কিছুনা।
২৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৫
রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: একই বিষয়ক মনে হল। তাই ফেসবুকের লিংক টি দিলাম।
এই খানে
২৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৬
রাতুল রেজা বলেছেন: ভাই, আপনার এখনো মনে হয় খুনি কে সেটা পুলিশ জানেনা? পুলিশের ১ দিন লেগেছে খুনি দের চিনতে। ওখানে যেসব আলামত পরে ছিল, তা দেখে খুনি বের করতে পুলিশ লাগেনা, আমি নিজেই বের করতে পারতাম। খুনি কে এবং ক্যানো খুন হয়েছে অনেক আগেই পুলিশ জানে। কিন্তু ব্যাপারটা এমন কিছু যেটা প্রকাশ করলে বড় ধরনের সমস্যা হবে। কি কাহিনি জনগনের কাছে বলবে সেটার স্ক্রিপ্ট রেডি করতে একটু সময় লাগছে এই আর কি
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৯
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: ঘটনাটির পর কোথায় এক জায়গায় লিংক পেয়ে সাগরের ফেইসবুক টাইম লাইন প্রফাইলে দেখেছিলাম সাগর ফেইসবুক এ্যাকাউন্টটি খুলেছিল সেই ২০০৭ সালে নভেম্বর মাসে, ওর প্রথম স্ট্যাটাসটি ছিল "Hello", তারমানে নেটে ওর ভালোই এ্যাকটিভিটি ছিল।ওদের পরিবারের অনুমতি নিয়ে সাগর রুনির ফেবু সহ অন্যান্য এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া যাতে পারে।
কী ছিল সাগরের ল্যাপটপে? শুনেছি, সাংবাদিক হিসেবে সাগরের স্পেশালিটি ছিল এনার্জি। জার্মানিতেও তিনি এই বিভাগেই কাজ করেছেন বেশি।
২৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৫
অদৃশ্য আলোক বলেছেন: @রাতুল রেজা-ঠিক কথা বলেছেন।
২৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০২
বাজেকাম বলেছেন:
তানা হলে দুইজন খুনির পক্ষে সাগর রুনির মত শক্ত সমর্থ দুইজন কে এরকম নিশংস্ব দীর্ঘ সময় ধরে এ ভাবে, বন্দুকের গুলি খরচ না করে, হত্যা করা অসম্ভব - বাঁচার শেষ চেষ্টায় মানুষ নাকি হাতির শক্তি অর্জন করে।
আমার প্রশ্ন এখানেই। সাগরের মত একটা মানুষকে বাঁধতে দুজন লোক যথেষ্ট নয়।
আরো একটা বিষয়: রুনি সম্পর্কে বাজে গুজব ছড়িয়ে মূল মোটিভকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না তো?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৯
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: যেসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না: আটকৃত নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল জিজ্ঞাসাবাদে কি তথ্য দিয়েছে তা জানানো হচ্ছে না। ঘাতকরা তার সামনে দিয়েই বেরিয়ে গিয়েছিল এমন ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তারক্ষীদের দেয়া তথ্যের বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে চাইছে না। এছাড়া খুনটি ঠিক কি কারণে হয়েছে তাও পরিষ্কার করা হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু কি ধরনের অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে। খুনিরা কতজন ছিল এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৫
তীর্থযাত্রী বলেছেন: হিট অফ দ্যা মোমেন্ট অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে। হত্যাকাণ্ড নৃশংস, হত্যাকারী অপেশাদার এবং পূর্বপরিচিত এটা স্পষ্ট।
এখন দেখা যাক কি হয়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩১
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: হত্যাকারী যদি অপেশাদার হয় তাহলে বাংলাদেশের পুলিশ ছাগল - এটা বোঝেন ?
৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি তাদের নামে অপপ্রচার সম্পর্কে উপরের মন্তব্যটি করেছি। আলোচনা করতে কোন বাধা নাই। কিন্তু পরকীয়া বা অন্যান্য গুজব ওদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে মানুষকে ভুল বার্তা দেবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: হত্যাকাণ্ডের রাতে রুনি-সারওয়ারের ফ্ল্যাট থেকে অলঙ্কার, বিদেশি মুদ্রা, টাকা-পয়সা কোনো কিছুই নেয়নি খুনিরা; কিন্তু খোয়া গেছে সারওয়ারের নতুন ল্যাপটপ, আইপ্যাড ও মোবাইল ফোন। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ল্যাপটপে এমন কিছু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে�যা হাতিয়ে নেয়াই ছিল খুনিদের মিশন। ল্যাপটপ খোয়া যাওয়ার তথ্যটি তদন্তকারীদের নজরে আসতেই তাদের টেবিলে আসে বেশ কিছু প্রশ্ন।
খুনিচক্রের কী প্রয়োজন রয়েছে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের? কী রয়েছে ল্যাপটপে? খুনিরা মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে কেন নিয়ে যাবে তার রিপোর্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ-নেটবুক? রুনির মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলেও সাগরের ব্যক্তিগত মোবাইলটি পাওয়া যায়নি।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার স্থানটিতে (শয়নকক্ষে) জিনিসপত্র এলোমেলো এবং স্টিল আলমারি, ওয়্যারড্রবের ড্রয়ারগুলো খোলা থাকলেও সেখান থেকে কিছু খোয়া যায়নি। বেডরুমে অন্য একটি নষ্ট ল্যাপটপ, দুটি আইফোন, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও ক্যামেরাসহ বেশকিছু দামি জিনিসপত্র পড়ে থাকলেও ঘাতকরা সেগুলো স্পর্শ করেনি।
ফ্ল্যাটের অন্য কোনো কক্ষে তারা মালামাল তল্লাশিও করেনি। গোয়েন্দাদের ভাষ্য, ডাকাতি বা চুরির উদ্দেশে কেউ ঘরে ঢুকলে এগুলো তারা নিয়ে যেত। এমনকি পরকীয়া বা নারীঘটিত বিষয়েরও আলামত পাওয়া যায়নি। রুনির লাশের ফরেনসিক পরীক্ষায় ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সক নারী সংঘটিত অপরাধের আলামত পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। খুনের ধরন দেখেও এটি স্বাভাবিক কোনো হত্যাকাণ্ড মনে হয়নি। তাদের পথ পরিষ্কার ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই প্রচণ্ড ক্ষোভে ওই দম্পতিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলেই মনে হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সাগর দুটি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড ও দুটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন।সাগরের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ নষ্ট।এ কারণে সেটি তিনি কিছুদিন ধরে ব্যবহার করতেন না। হত্যাকাণ্ডের পর বাসা থেকে উদ্ধার করা ল্যাপটপটি ছিল নষ্ট। এটি অন্য কক্ষে ছিল।সাগরের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। বাসায় অনেক মূল্যবান জিনিস ছিল। রুনির ব্যবহার করা স্বর্ণালঙ্কারও যথাস্থানে পাওয়া যায়।তবে বাসার ওয়্যারড্রব, স্টিলের আলমারি ও টেবিলের ড্রয়ারগুলো খোলা অবস্থায় ছিল। ড্রয়ারের কিছু কাগজপত্র ছিল তছনছ অবস্থায় এবং ছড়ানো-ছিটানো। মনে হচ্ছে, ওই চক্র আরও কিছু কাগজপত্র খুঁজছিল।
সম্প্রতি তিনি কিছু তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেছিলেন। এসব তথ্য গোপনে তিনি ব্যক্তিগত ল্যাপটপে ধারণ করে রাখেন। দুর্বৃত্তদের টার্গেটই ছিল ওই তথ্যউপাত্ত। তারা যে কোনো উপায়ে সেগুলো নিজেদের দখলে নিতে ফাঁদ পাতে। তার ল্যাপটপ থেকে এই তথ্য দখলে নেয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বাসায় যায় দুর্বৃত্তরা। এতে বিপত্তি ঘটায় প্রচণ্ড ক্ষোভে সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করা হতে পারে।
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৭
নিহন বলেছেন: হাইরে বাংলাদেশ ।
৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৮
মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: সাগর রুনির হত্যার খবরটা যখন প্রথম জানি কেন জানিনা মাসুদ রানার একটি বইয়ের কথা মনে পড়েছিল। বইটার নাম মনে নেই। সম্ভবত অরক্ষিত সাগর বা এমন কিছু হবে। যাতে বাংলাদেশি একজন মহিলা এজেন্টকে মায়ানমারে তার ফ্ল্যাটে নৃসংশভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। বইটিতে বঙ্গোপসাগরের তেল সম্পদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নিয়ে একটি গল্প ছিল।
৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৩
তীর্থযাত্রী বলেছেন: আসলে আপনি কে? এতো তথ্য আপনি জানেন কিভাবে? আপনি কি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোস্ট দিয়েছেন?
আসলে আমরা সত্য জানতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা বুঝতে পেরেছি সাংবাদিকরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি অংশ এক রকম চাচ্ছে, অন্য অংশটা অন্যরকম চাচ্ছে। আমরা জনগন ২ রকম তথ্য পাচ্ছি।
আমরা সত্য জানতে চাই। কাউকে বাঁচানো অথবা ফাঁসানো তথ্য চাই না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৪
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: আমি এক মহাজ্ঞানী অতি সাধারন।তথ্য আমার চারপাশে বাতাসে উড়ে ... চাইলে আপনিও হতে পারেন, হবেন !
৩৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫৫
রামন বলেছেন:
এই নৃশংস জোড়া খুনের বিবরণ ও ছবি দেখে দুই বছর আগে দুবাইয়ের একটি হোটেলে পালেস্টাইন নেতা মাবুর হত্যার কথা মনে পরে গেল।
এর আগে খবরে খুনিদের বিষয়ে যে ধারণা করা হয়েছিল তাতে করে খুনের ছবিগুলো দেখার পর জোড়া খুনের খুনিরা যে অপেশাদার বা অনভিজ্ঞ এটা ভাবার কোনো অবকাশ নাই। সাগরের তুলনায় রুনিকে অনেক কম আঘাত করা এবং মৃত্যুর নিশ্চিত করার জন্য সঠিক স্থানে আঘাতের চিন্হ দেখেই বোঝা যায় হত্যাকারীরা ঠান্ডা মাথায় খুন করার ক্ষেত্রে পারদর্শী ।আবার সাগরের তুলনায় রুনির আঘাতের সংখ্যা কম হওয়াতে এটাও আন্দাজ করা যেতে পারে যে রুনির উপর খুনিদের আক্রোশ ছিল না কেবল একটি হত্যাকান্ড ঘটাতে তাদেরকে আরেকটি অপ্রয়োজনীয় হত্যা করতে হয়েছিল যা কোনো গুরুত্বপূর্ণ এ্যাসাইনমেন্টে হয়ে থাকে। আর সেই ক্ষেত্রে সাগর নয়, রুনি ছিল বলির পাঁঠা।
সাগরের দেহে ছোট বড় একাধিক আঘাত দেখে বুঝা যায় ধীর গতিতে প্রাণ সংহার করার জন্যই খুনিরা নিষ্ঠুরভাবে একের পর এক আঘাত করেছিল। সাধারনত কিলিং মিশনের খুনীরা ভিকটিমকে মেরে ফেলার আগে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করার জন্য এভাবে নির্যাতন করে। সাগরের নিকট কি এমন তথ্য ছিল যা কোনো রাষ্ট্রের বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থের পরিপন্থী বা হুমকিস্বরূপ ছিল! এসব রহস্যের জট খুলতে হলে সাগরের আদি কর্মস্থান জার্মানিকেও তদন্তের বাহিরে রাখা যাবে না।
কাজেই সার্বিক বিবেচনায় এই জোড়া হত্যাকান্ডকে একটি সাধারণ হত্যাকান্ড বলে ধরে নেয়ার কারণ নেই এবং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড সেই বিশ্বাস নিয়েই এই জোড়া হত্যার রহস্যভেদ করতে প্রশাসনকে সুদুর প্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৩
সাহস বলেছেন: "সম্প্রতি তিনি কিছু তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেছিলেন। এসব তথ্য গোপনে তিনি ব্যক্তিগত ল্যাপটপে ধারণ করে রাখেন। দুর্বৃত্তদের টার্গেটই ছিল ওই তথ্যউপাত্ত। তারা যে কোনো উপায়ে সেগুলো নিজেদের দখলে নিতে ফাঁদ পাতে। তার ল্যাপটপ থেকে এই তথ্য দখলে নেয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বাসায় যায় দুর্বৃত্তরা। এতে বিপত্তি ঘটায় প্রচণ্ড ক্ষোভে সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করা হতে পারে"
একটা ল্যাপটপ এর জন্য জোডা খুন বোধগম্য নয়। অন্যকোন ওয়েতেও তারা এটি পেতে পারত ....।
আর মেঘকে তারা কেন বাচিয়ে রাখল এ বিষয়টিও বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আপনার কি মনে হয় ?
৩৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৫
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: BNGLDESH e kokhono real killer khuje pawa jai na.
taka jer court ter.
how many killed by B'dhora group?
৩৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৪০
রাশেদ_০৭৯ বলেছেন: খুনীরা পেশাদার হতে পারে, আর বিদেশী গোয়েন্দাদের সম্পর্ক থাকতে পারে, সাথে দেশী ও মদদ থাকতে , আর দেরী হওয়ার কারন, সরকার ও প্রশাসন নাটক সাজাচ্ছে কিভাবে তাদের কলঙ্কিত করা যায় এবং ঘটনা কে অন্যদিকে নেয়া যায়, সাংবাদিকদের একটা গোস্টি অলরেডি মেনেজড হয়ে গেসে, বাকীরা সেই ভাগের জন্য বসে আছে...
৩৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৫
রাহিক বলেছেন: ভাই এই খুনের সাথে শুধু এগুলো না আরো অনেক ব্যাপার স্যাপার জড়িত।আসল ঘটনা জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
৩৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে দেরি হলে সাধারনত সেই মামলা গুলো আর আলোর মুখ দেখে না, বিশেষ করে বাংলাদেশে এর নজির নাই বাললেই চলে। এইটার পরিনতিও কি সেই রকম হবে নাকি আমরা এর আগ্রগতি জানতে পারব?
৪০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
নেমলেসবেসট বলেছেন: কুইক রেনটাল বেশির ভাগ ই সামিট গুপ পাচ্চে
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: কুইক রেনটাল বেশির ভাগ ই সামিট গুপ পাচ্ছে ... প্রায় ৭০% কুইক রেন্টাল লাইসেন্স পেয়েছে সামিট গ্রুপ।
৪১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৬
মির্জা গালিব বলেছেন: সময় উপযোগী একটি পোষ্ট দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অসংখ্য প্রশ্ন জাগে মনে।
খুনিরা কিভাবে বাসায় প্রবেশ করল? কিভাবে কখন বেরিয়ে গেল?
মেঘ কখন ঘুম থেকে উঠল? নাকি সজাগই ছিল?
দু'জন কে কতক্ষন আগে পরে খুন করা হল?
হয়তো রুনিকে আগে খুন করা হয় এবং সাগরের কাছ থেকে তথ্য বের করার জন্য হাতপা বেধে ধিরে ধিরে আঘাৎ করে হত্যা হরা হয়।
মুল্যবান দ্রব্য না নিয়ে শুধু ল্যাপটপ এবং মোবাইল নেবার কারন থেকে অনুমান করা যায়, খুনিরা তথ্য গায়েব করার জন্যই একাজ করেছে।
খুনিরা ঠাণ্ডা মাথার না হলে এত দীর্ঘ সময় বাসায় অবস্থান করত না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২২
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত এ মামলার ক্লু-ই পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী, তাও নিশ্চিত হতে পারেনি।হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার তদন্তে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করলেও দিন যতই যাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তাদের ব্যর্থতা ততটাই প্রমাণিত হচ্ছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে—শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে মোটিভ প্রকাশ করা হবে না।
ওদিকে গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচনে ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ব্যবসায়ীর নাম রিয়াজ। সে পূর্ব রাজাবাজারে কাশবন হোটেলের মালিক। এছাড়া দম্পতির বাসার গৃহকর্মী জাহানারা ও তার ছেলে শাহীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দারা দাবি করেন।
হত্যাকাণ্ডে সাগর-রুনির ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিরোধ, পেশাগত বিরোধ এবং লেনদেন ও সম্পত্তি বিষয়ক বিরোধ এবং তাদের ওপর কোনো ব্যক্তি বা মহল ক্ষুব্ধ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এমনকি এটা ডাকাতি বা চুরির মতো ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে কেউ ঘরে ঢুকে যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি তাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
সাগর-রুনির পাঁচ বছরের ছেলে মাহিন সরওয়ার মেঘকে কোনো ছবি বা ভিডিও দেখানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে মনিরুল সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, আমরা সব ধরনের কলাকৌশল প্রয়োগ করেছি।
প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে পারে কিনা—এ প্রশ্ন করা হলে মনিরুল বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যে কেউ হোক, গ্রেফতার করা হবে। আইনে প্রভাবশালীর সংজ্ঞা নেই।
সাগর-রুনির কক্ষ থেকে কি খোয়া গেছে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, তেমন কিছু খোয়া যায়নি। সাগরের ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, নোটবুক ও মোবাইল ফোন খুনিরা নিয়েছে কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুনেছি একটি ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না। খোয়া যাওয়া জিনিসগুলোর বিষয়ে কেন মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি।
নিহত সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার বাদী নওশের আলমকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্তকারীদের বিষয়টি জানিয়েছেন। নওশের নিহত মেহেরুন রুনির ভাই।তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত রোববার মামলার বাদী নওশেরকে ফোন করে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওদের যা অবস্থা হয়েছে তোরও হবে’, বিষয়টি লিখিতভাবে তদন্তকারীদের জানান নওশের। তদন্তকারী একটি সংস্থা খোঁজ নিয়ে দেখেছে, সিলেট থেকে ফোনটি এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকারী বা ইন্ধনদাতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে সে যত বড় প্রভাবশালীই হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। আসামিকে আসামি হিসেবেই দেখা হবে।মনিরুল বলেন, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। শতভাগের এক ভাগ কম নিশ্চিত হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে পুলিশ কোনো তথ্যও প্রকাশ করবে না।
শতভাগ নিশ্চয়তার সংজ্ঞাটা কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসামিরা যখন এখানে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের সামনে খুনের বর্ণনা দেবে, তখনই আমরা শতভাগ নিশ্চিত বলে ধরে নেব।
যাক, তদন্ত কোথায় যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে না, আর বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাও হীমাংকের নিচে।গত বিশ বছরের রেকর্ডে একটি মামলাও নিরপেক্ষ তদন্তের নজির পুলিশের নাই।হয় টাকা, না হয় প্রভাব এই দুইটা ছাড়া পুলিশ আসলে কনো কাজই করতে পারে না।আজ কাল খেয়াল করে দেখবেন, ছোট্টো শিশুরা যখন এটা কি, ওটা কি বলতে শেখে তখন পিতা মাতারা তাদের দুইটা জিনিষ একই প্রকার গুরুত্ব নিয়ে শেখায়, এক কুত্তা, দুই পুলিশ।
৪২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০৩
অনিরূদ্ধ বলেছেন:
শার্লক হোমস পোস্টটা পর্যবেক্ষণে রাখলাম!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫২
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: আজ ডিবি বলছে রুনিকে আগে হত্যা করা হয়েছে।এর মানে কি ? রুনিকে যদি আগে হত্যা করা হয়ে থাকে তাহলে সাগর বাসায় এলে দরজা খুলে দিল কে ?
৪৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৪
নেমলেসবেসট বলেছেন: এমনও হতে পারে ,২ জন না আরো বেশি লোক ছিল। কেউ প্ঢ়থমে বনধু সেজে ঢুকে পরে খুনিদের ঢুকার সুযোগ করে দেয়।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২০
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: সে ক্ষেত্রে আশেপাশের কোন ফ্লাট ছিল খুনিদের প্রাথমিক ল্যান্ডিং প্লেইস।
৪৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৩
নেমলেসবেসট বলেছেন: আজ কেন জানি সাববির খুনের কথা মনে পরছে।সানবীর এর কিছুই হয়নাই
হায়রে দেশ
৪৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৪
হতভাগার পথ বলেছেন: সাগর থ্রি কো্য়াটার পরা ছিলো,মানে বাসায় এসে উনি ফ্রেশ হয়েছেন।বাসায় আসার অনেক পরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।সতরাং বাসায় এসে রুনীকে আপত্তিকর ভাবে দেখার প্রশ্নই আসেনা।
৪৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৪
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: ওয়েলডান শার্লক হোমস
৪৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৩
সোহেল চৌধুরী বলেছেন:
১। ৪টার দিকে তৌফিক নামের একজন লোক কমলাপুর থেকে রুনি-সাগরের বাসায় আসেন। কিন্তু বের হয়ে যাওয়ার কোন রেকর্ড নাই।
- তার হাতে কি চাবি ছিল?
২। রুনি অফিস থেকে ফেরার সময় মায়ের বাসা থেকে মেঘ কে নিয়ে আসেন
৩। রুনির অফিসের গাড়ির চালক রুনির সাথে গাড়িতে থাকা এটিএন বাংলার সংবাদ বিভাগের জৈষ্ঠ্য দু’জন সংবাদ কর্মির নাম বলেছে
৪। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন রুনির সাথেই খুনিরা বাসায় ঢুকেছে
৫। নিরাপত্তারক্ষী বলেছে ৭ টা থেকে ৭:৩০ এর মধ্যে রুনি বাসায় আসেন
- নিরাপত্তা রক্ষী কি ঐ দুজনকে বাসায় ঢুকতে দেখেছে?
৬। রুনি বাসায় ফেরে অনেক গুলো ফোন করেন ও দীর্ঘক্ষন ফোনে আলাপ করেন
- এ সময় খুনিরা কোথায় ছিল ও কি করছিল?
৭। রুনির এক বড় ভাই রাত দশটা পর্যন্ত রুনির বাসায় ছিলেন এবং মেঘের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন বাসায় থাকা দু’লোক মেঘের বাবার বন্ধু। মেঘ ওদের চিনে এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তার দেখানো ছবিতে অন্ততঃ একজনকে সনাক্ত করেছে। মেঘ পিকনিকে তাদেরকে দেখেছে।
× রুনির ভাই তাহলে ওদের চিনতেন না, তাহলে ওরা সে রকম পাবলিক সেলিব্রেটি কেউ না
- কোন পিকনিকে ওদেরকে দেখেছে মেঘ?
৮। রুনি খুনিদের নুডুলস, ডিম ও ভাত খাওয়ান। রুনির ভাই ১০টায় বাসা থেকে চলে গেলে খুনিরা থেকে যায়।
× খুনিরা বেশ পরিচিত ও সম্ভবত ঘনিষ্ট
৯। রুনির ভাই চলে যাওয়ার পর ১০ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রুনির মোবাইল বন্ধ থাকে
- দীর্ঘক্ষন আলাপ করার কারনে ব্যাটারী লো হয়ে যায়? এবং মোবাইল বন্ধ করে চার্জ দেন?
১০। সাগরের ঐদিন সকাল পর্যন্ত অফিসে থাকার কথা ছিল। গাড়িতে থাকা সহকর্মীর বর্ণনা মতে সাগর ভাল মুডে ছিলেন, গাড়িতে ভুপেন হাজারিকার গান শুনছিলেন।
× খুনিরা তাহলে রুনিকেই খুন করতে প্লান করেছিল, সাগর শুধু পরিস্থিতির শিকার?
× কোন খুনের প্লানই ছিল না পুরো ব্যাপারটা একটা এক্সিডেন্ট
- এক্সিডেন্টের কারণ কি?
১১। সাগর বাসায় এসে কাপড় বদলান, উনার অফিসের বার্তা প্রধানের সাথে কথা বলেন।
× রাত দু’টার সময় বাসায় বাইরের দু’জন লোকের উপস্থিতি সাগরের কাছে অস্বাভাবিক লাগেনি।
× অথবা সাগর বাসায় ঐ দু’জনের উপস্থিতি জানতেন না।
১২। দু’টায় বাসায় ফিরে সাগরের কাপড় চেঞ্জ করতে ও ফোন সারতে অন্ততঃ ৩০ মিনিট/৪০ মিনিট সময় দরকার।
১৩। পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে বেডরুমে। সাগরের পা ও মাথা বাধা ছিল।রুনির হাত পা বাধা ছিল না। মেঘ ঘটনার সময় বেডরুমে ছিল।মেঘ চিৎকার করতে গেলে খুনিদের একজন ওর গলা টিপে ধরে।
× সাগর-রুনি যখন ঘুমিয়ে ছিল, খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে খুনিরা আক্রমন করেছে
× সাগর-রুনির বেডরুমে নক করলে দরজা খোলার পর খুনিরা আক্রমন করে
× সাগর-রুনি ও খুনিরা সবাই বেড রুমে ছিল
১৪। দু’জন খুনি দু’জনের উপর আক্রমন করল। সাহয্যের জন্য কোন চিৎকার কেউ শুনল না।খুব নিঃশব্দে কাজ শেষ করল।রুনি কে মাত্র দুটি স্টেব করে কিন্তু সাগরকে ২০/২১ টা স্টেব করে।
- খুনিরা হয়ত ঘুমের মধ্যে ক্লোরফরম জাতীয় কিছু ব্যবহার করেছিল
- খুনিরা ব্লেক মেইল করেছিল।
- রুনি কে জিম্মি করে সাগরের পা ও মুখ/মাথা বাধে।
- সাগরকে বেধে রুনিকে খুন করে। সাগর রুনিকে মারা যেতে দেখে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে বার বার সাগরকে আঘাত করে। এ সময় সাগরের কান্না নীচের তলার নুরুন্নবী শুনতে পান এবং শেষ পর্যায়ে যে ছুরি দিয়ে রুনিকে খুন করে সেই ছুরি সাগরের বুকে বসিয়ে দেয়। এ ধারনা সাপোর্ট করে যে খুনিদের মূল টার্গেট ছিল রুনি।
১৫। ৫টার দিকে নীচের তলার নুরুন্নবী পুরুষের কান্নার শব্দ শুনতে পান।
- সাগর তাহলে ৫টা পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
১৬। খুনিরা চলে গেলে মেঘ ৭টার দিকে তার নানুকে ফোন করে।
- খুনিরা তাহলে ৭টার কিছুক্ষন আগে বাসা ত্যাগ করে।
- খুন করার পর, বাসা ত্যাগ করার আগে গ্রিল কাটে। অথবা বিকেলে আসা তৌফিক গ্রিল কেটে রাখে
৪৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২১
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: ব্যাপারটা বিভিন্ন দিক থিকাই চিন্তা করা যাইতে পারে,যদিও সত্যটা হয়ত কোনদিনও জানা হইব না। আমার ব্যক্তিগত ধারণা ব্যাপারটা অতর্কিত কিছু না মানে সাগর বাইরে থিকা ঘরে ঢুকসে আর তারে সাথে সাথে মাইরা ফেলা হইসে এই ধরনের কিছু হয় নাই। সম্ভবত সাগর বাসায় ফিরার পর কোনো বিষয় নিয়া খুনিদের সাথে তার কিছু দরকষাকষি হইসে এবং এইটাতে সফল না হইলে আগে থিকাই খুনের প্লান নিয়াই খুনিরা ঘরে ঢুকসে। এই খুনিদের ধরতে এত সময়তো লাগার কথা না,কারণ মেঘ বলসে সে একজনরে কোনো এক পিকনিকে দেখসে এবং পরে জানা গেল তিনটা পিকনিকেরই ভিডিও আছে এবং সেই একজনরে নাকি পাওয়াও গেসে। আবার প্রথমে শুনসিলাম রুনির এক ভাই নাকি খুনের সময় বাথরুমে লুকায়া ছিল,সেও অবশ্যই খুনিদের দেখসে যদিও খুনের পর ওরা বাথরুমে যায় নাই এইটা রহস্যজনক কারণ এদেরকে বেশ ঠান্ডা মাথার খুনিই আমার মনে হইসে এবং ওরা বেশ অনেক সময় ধৈরাই ঘরে ছিল সেই হিসাবে ঘরে আর কে কে আছে সেইটাও জানার কথা। সত্যটা ইচ্ছা কৈরাই ধামাচাপা দেয়া হইব এইটা নতুন কিছু না!
৪৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২৩
আব্দুল মোমেন বলেছেন: অনেক আলোচনা হয়েছে। আর বিশেষ কিছু বলছিনা তবে পোষ্টটি
খু ব ই গুরুত্বপূর্ণ। লেখককে ধন্যবাদ।
৫০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৩
শিক্ষানবিস বলেছেন: সাগর রুনি হত্যাকান্ডটি যদি রাষ্ট্রীয় খুন হয়, যদি এর সাথে সরকারের গোয়েন্দারা জড়িত থাকে, যদি এর সাথে র বা মোসাদের সংশ্লিষ্টতা থাকে, যদি এর সাথে দেশী বা বিদেশী বড় কম্পানীর স্বার্থ তাহলে কোন দিন এর রহস্য উম্মেচিত হবে না। আল্লাহর কাছে বিচার চাওয়া ছাড়া মজলুমের কোন পথ নেই।
৫১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৩৩
নয়ামুখ বলেছেন: সাগর রুনী দুজনেই এনার্জি নিয়ে কাজ করতেন। সাংবাদিক হিসেবে সাগরের স্পেশালিটি ছিল এনার্জি। বর্তমানে পুলিশের ভুমিকা এবং মন্ত্রীদের মন্তব্য পড়ে কেনো যেনো মনে হচ্ছে এর পিছনে খুবই খুবই খুবই প্রভাবশালী কেউ জড়িত।
৫২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৩৯
নেমলেসবেসট বলেছেন: কেউ কোন আপডেট জানেন।সব কেমন চুপ হয়ে গেল
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫৭
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে খুনিচক্রকে বাঁচাতেই সঠিকভাবে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে। অতীতেও দেখা গেছে একইভাবে তদন্ত ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। নইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার ও হত্যারহস্য উন্মোচনের ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও ৮ দিনেও কেন তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু অগ্রগতিই নয়, এখন এ নিয়ে পুলিশের তেমন তৎরতা ও উৎসাহও দেখা যাচ্ছে না। ৪৮ ঘণ্টা পর আইজিপি বললেন, প্রনিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এখন ওইসব কথা থেকে পুলিশ সরে গিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ছিল খুনি পেশাদার ছিল না। তারা ওই বাসায় খাওয়া-দাওয়া করেছে। রুনির ছেলে তাদের মামা বলে সম্বোধন করেছে। খুনিরা বাসার গেট দিয়ে প্রবেশ করেছে আবার ওই গেট দিয়েই বেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখন পুলিশ বলছে চুরির কথা।স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, জামায়াত শিবিরের লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।আমার মনে হয় টুকু সাহেব জানেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। টুকু সাহেবকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হলেই তিনি বলতে পারবেন, কারা খুনি।
পুলিশ বলছে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে, ক্লু উদ্ধার হয়েছে, অপরাধীরা নজরদারিতে আছে। তাহলে পুলিশ নিশ্চয়ই জানে, কারা খুন করেছে। এই ঘটনায় নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। আরেকটি বিষয় হলো, এই ঘটনার বিচার না হলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা থাকবে না, দেশের মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। এটা দেশে আইনের শাসন, শৃঙ্খলা কোনোটির জন্যই ভালো হবে না।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী বলেই হয়তো কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—পুলিশ বারবার বলছে শত ভাগ নিশ্চিত না হয়ে কাউকে গ্রেফতার না।তার মানে খুনের সাথে সরকার দলীয় প্রভাবশালী কেউ জড়িত।
৫৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৫৮
নেমলেসবেসট বলেছেন: ভাই আমি অবাক যে, দেশে যাই হোক না কেন ব্লগে সব আসত কারা জড়িত।শেয়ার বাজার ,বিডিআর টাজেডি সব কাহীনির ভিতরের ঘটনা জানছি
ব্লগ পড়ে। কোন সাংবাদিক জানেনা এটা আমার বিশ্বাস হয়না।পুলিশ, সাংবাদিক সবাই জানে কারা অপরাধী।কেন সবাই চুপ এটা আমার মাথায় আসছে না
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: গতকাল র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাগর-রুনির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে। সাগর ও রুনির তিনটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট র্যাব ও গোয়েন্দারা গতকাল পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ও ঢাকা ব্যাংক কারওয়ানবাজার শাখা এবং জনতা ব্যাংক নগর ভবন শাখার তিনটি অ্যাকাউন্ট নম্বর তদন্তকারীরা সংগ্রহ করেছে। তারা ওই ব্যাংকগুলোতে গিয়ে লেনদেন সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে এসব অ্যাকাউন্ট নম্বরে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছিল কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। এমনকি কারা তাদের সঙ্গে নিয়মিত লেনদেন করত এ ধরনের কয়েকজনের ব্যাংক লেনেদেনও পরীক্ষা করে দেখছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্যও রয়েছে, কোনো একটি হাউজিং কোম্পানির সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেন ছিল নিহত দম্পতির। টাকা আত্মসাতের জন্য সেদিন বাসায় খুনিরা এসেছিল কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে এখন লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে বলে সূত্রটি জানায়।
৫৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৪
মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: হুরে হুরে সাগর-রুনিকে ভাড়াটে খুনিরা খুন করেছে:লাক ভেলকি লাগ চোখে মুখে লাগ
৫৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:১৯
চরমপত্র বলেছেন: সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি খুনের ঘটনার দিন সকাল ৭টা ২১ মিনিটে নিহত রুনির মোবাইল ফোন থেকে তানভীর নামে এক যুবকের মোবাইলে ফোন করা হয়েছিল। এই ফোনের কথোপকথনের সময় ছিল ৮ সেকেন্ড। ৭টা ২৭ মিনিটে রুনির মোবাইল ফোন থেকে ০১৭৩১-৪০২৮০৮ নম্বরে কল করা হয়। এই ফোনের কথোপকথনের সময় ছিল ৪৪ সেকেন্ড। পরবর্তীতে ৭টা ৩১ মিনিটে একই নম্বরে আবারো কথোপকথনের সময় ছিল ৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ড। অর্থাত্ ৭টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত রুনির মোবাইল ফোনে ৩ দফায় মোট কথোপকথন হয়েছে প্রায় ৮ মিনিট। প্রশ্ন উঠেছে, রুনি নিহত হওয়ার খবরটি প্রথমে মেঘ তার মায়ের মোবাইল ফোন থেকে নানি নূরুন নাহার মির্জার কাছে জানালে এই ৩টি ফোন কল কারা করেছিল? রুনির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে দেখা যায়, এই ৩টি ফোন কল করার সময় রুনির মোবাইলের সেলকোড ৬০২ নম্বর ছিল। মোবাইল ফোনের ব্যবহূত টাওয়ার ছিল ৫৮/ঘ/১, পশ্চিম রাজা-বাজার। এই টাওয়ার ও সেলকোডে ঘটনার আগেরদিন রাতে রুনির মোবাইলে ফোন কথোপকথনের সেলকোড ছিল ৬০২, এ থেকে ধারণা করা যায় যে, রুনির মোবাইল ফোন থেকে সকালে যেই ফোন করুক তার অবস্থান ছিল রুনি ও সাগরের বেডরুমে। আর রুনির মোবাইল ফোন থেকে যে মেঘ পরপর ৩ বার ফোন করেনি সে ব্যাপারে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে। গোয়েন্দারা ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে এই ৩টি কল যাচাই করে জানতে পেরেছে, পরের যে ২টি কল একই নম্বরে করা হয়েছে, সেটি ছিল রুনির ভাই নওশেদ আলমের। তবে রুনির মোবাইল ফোন থেকে কে কল করেছিল-এ বিষয়টি তানভীর ও রুনির ভাই বলতে পারবেন। ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা তানভীরকে আটক করে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাও করেছে।
এদিকে রুনির মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুতে ৭ দিন পূর্ব পর্যন্ত যে ৫০৮টি কল (ইনকামিং ও আউটগোয়িং) করা হয়েছে তারমধ্যে একটি নম্বর থেকে ২৬৬টি কল ও ৯৬টি এসএমএস আদান-প্রদান হয়েছে। গোয়েন্দারা এই মোবাইল ফোন নম্বরের মালিক কাজী গোলাম তৌফিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সাগর-রুনি নিহত হওয়ার আগেরদিন ৫৮/এ/১, পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্ল্যাটে তৌফিক নামে একব্যক্তির প্রবেশের ব্যাপারে অ্যাপার্টমেন্টের রেজিষ্টার বুকে নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। তবে সেখানে কমলাপুরের ঠিকানা দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে। ২৬৬ বার কল করা ঐ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তার নাম কাজী গোলাম তৌফিক, বাসা তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়ার ১৯/৪/বি নম্বর বাড়িতে।
এদিকে ১২ দিন অতিক্রম হলেও এ হত্যাকাণ্ডের কোন কুলকিনারা করতে পারেনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), ডিবির উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ৩টি কারণকে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও পেশাগত বিষয়গুলো মাথায় রেখে তদন্ত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে গোয়েন্দারা রুনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের জের ধরে সংশ্লিষ্ট ২ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রুনির সঙ্গে ঐ দুই যুবকের ঘনিষ্ট সম্পর্কও ছিল বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন। তবে সাগর ও রুনি নিহত হওয়ার সময় তাদের মোবাইল ফোনের অবস্থান পশ্চিম রাজাবাজারে ছিল না বলে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তেমন গুরুতর অভিযোগ আনতে পারছে না। তবে গোয়েন্দারা জানান, ঘটনার দিন সকালে ঐ ফ্ল্যাটে প্রথম প্রবেশ করেছেন রুনির মা নূরুন নাহার মির্জা। তার বক্তব্য আর মোবাইল ফোনের কললিস্টের তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এ কারণে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হতে পারছে না যে হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতকরা কীভাবে ফ্ল্যাট থেকে চলে গেলো। কারণ রুনির মোবাইল সকাল ৭টা ২১ মিনিটে ব্যবহার হওয়ায় ধরেই নেয়া হচ্ছে কেউ ঐ ফ্ল্যাটে প্রবেশের পূর্বে লাশের পাশে অবস্থান করছিলেন অথবা রুনি সকাল ৭টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
৫৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১৩
আবু যায়েদ সারুজি বলেছেন: এই পোস্টের লেখক ও মন্তব্যকারীদের কেউ জীবিত আছেন?
সাহারা খাতুন বেঁচে আছে কি না জানি না, তবে ৪৮ ঘণ্টা এখনও কিন্তু শেষ হয়নি!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৪
একলা বগ বলেছেন: বেশ কয়েকজন মিলে চেপে ধরে খুন করছে বলে মনে হচ্ছে। আহারে !!