![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসঙ্গায়িত। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আমি জোঁক। শেষ করে/ না দেখে ছাড়ি না। আমি ডিপেন্দেদ হতে ভয় পাই, ডিপেন্দেদ মানুষ আর কম্পিউটারের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। পছন্দ করি সব। অপছন্দ করি, কোনো কিছু অপছন্দ করা। আমার আখাঙ্খার কোনো সমাপ্তি নাই, তাই আমি অসমাপ্ত আমার মৃত্যুই সমাপ্তি না, তাই ছোটগল্প। অসমাপ্ত ছোটগল্প ।।
পোস্টটা আমার না। আমি ফেবুতে দেখছি, এক ভাইয়া লিখছেন।
তবে মনে হলো এইটা সেয়ার করা উচিৎ এবং কোন সাংবাদিকের এইটা নিয়া কাজ করা উচিৎ।
আমার সাধ্য থাকলে কিছু করার চেষ্টা করতাম। কেও উদ্যোগী হয়ে কোন সংবাদ মাধ্যমে কিছু প্রচার করলেই হয়তো সমস্যা গুলো সমাধান সম্ভব।
এখন দেখেন আপনারা কেও দেশের স্বার্থে কিছু করতে পারেন কিনা।
পোস্টঃ
""" নারী উদ্যোক্তা এবং SME বান্ধব হবার জন্যে আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক টি অনেক ভালো ভালো সুযোগের কথা বলে। নানা চাপ প্রয়োগ করে, নানা সুবিধাও দেয় বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। খুব ভালো কথা, কিন্তু অন্যান্য সরকারী সংস্থা গুলোর সাথে এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যে কোন সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা দেখিনা।
সাধারণত SME Loan গুলো আমরা দেই জমি/সম্পপ্তি জামানত রেখে। এখন ফি বছর যদি জমি রেজিস্ট্রি খরচ বাড়ে, তাহলে কি সেটা আকর্ষণীয় হবে?
উদাহরন দেই, কিছুদিন আগে SME খাতে একটা ঋণ দিলাম দশ লক্ষ টাকা। বেচারার বিভিন্ন রেজিস্ট্রি এবং অন্যান্য খরচেই গেলো প্রায় ৪০০০০ টাকা। শেষের দিকে ব্যাবসায়ি-টি উৎসাহই হারিয়ে ফেলার উপক্রম।
অফিস-আদালতের মাঝে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ জায়গাটার নাম কি? একেকজনের অভিজ্ঞতা হয়তো একেক রকম। তবে, আমার ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে একই জায়গায়, সেটা হল সাব- রেজিস্ট্রি অফিস বা SRO.
যতবার জমির বন্ধকী অথবা অবমুক্তকরণের ( redemption) এর জন্যে আপনি যাবেন, সাধারণ ফি গুলো ছাড়াও আরও নানা আজব আজব ফি দিতে হবে আপনার, এবং এটা যেন ঐতিহ্য গত অথবা চিরন্তন সত্য। এতে কেউ অবাক হয়না বরং পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই আসে।
ধাক্কা খাই, NEC নিতে গেলে। NEC- তে ফি লেখা থাকে ২৫০ টাকা। কিন্তু, এর জন্যে আপনার কাছ থেকে নেয়া হবে চার হাজার।
তারপর, MUTATION.
সরকারী ফি কত? ২৩০/ ২৫০। যাবে কত? ২০ থেকে ত্রিশ হাজার।
DEED registry হবার পর আপনাকে নকল কপি দেয়া হবে, যার সাধারণত তিন বছর পর আসলটা দেয়া হয়। তিন বছর ধরে এই দলিলটা কি কেউ মুখস্থ করে কিনা আল্লাহ মালুম। আচ্ছা, তিন বছর পর আপনি গেলেন আসল কপি আনতে। অসাধারণ, u have to pay again for that purpose.
আর, একই জমির, একই রেজিস্ট্রি অফিসের অন্তর্গত থেকে দু’ তিনটে দলিল থাকারও প্রমান মেলে বলে কথিত আছে। আমি বিশ্বাস করি তা আছে, কিন্তু নিজে এখনো প্রমাণ পাইনি বলে সেটা জোর দিয়ে বলছিনা। এবং, আশা করি খোদা আমাকে সে পরীক্ষায় ফেলবেন না।
আর আছে, ভুল ভাল বলে খরচ বাড়ানোর সরকারী প্রক্রিয়া। যেমন, অনেক সময় হয়ত আপনার নতুন করে জমির আমমোক্তারনামা অবমুক্তকরণের ( REVOCATION OF POWER) দরকার নেই, কিন্তু তা করতে ছলে বলে বাধ্য করানো হয়।
এই অদ্ভুত কার্যালয়ের কার্যক্রমে আমার নিজেকে দোষী বলে মনে হয় মাঝে মাঝে। এইভাবে সৎ ব্যাবসায়ী-দের টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে দেখলে বুকটা খা খা করে। সততার অভাব কে আমরা স্বাভাবিক বলে নিচ্ছি জীবনের হাজারো ক্ষেত্রে।
এতই স্বাভাবিক যে লজ্জায় নত থাকার কথা যে মাথার, সে ঠিকই সর্ব শিখরে উদ্ধত।
আমি মফঃস্বল এলাকায় কাজ করছি। বাংলার সত্যিকার ব্যবসায়িরা, নতুনেরা, তরুনেরা যথেষ্ট উদ্যমী। আমি বিশ্বাস করি ব্যাংকিং কমিউনিটি ও এদের সাহায্যে তথা দেশের উন্নতির জন্যে, নিজের উন্নতির জন্যে মুখিয়ে আছে। কিন্তু পদে পদে এতো শঙ্কা, এতো অনিয়ম দেখে মাঝে মাঝে মুষড়ে পড়ি।
তবে, প্রত্যয় রাখলাম, একদিন আমরা সহজ কোন উপায় খুজে নেবো নতুনদের আরও সহজে অর্থায়ন করার, কম খরচে সত্যিকার আইনি প্রক্রিয়ায়, জটিলতা বিহীনভাবে, সবার জন্যে বোধগম্য ও একটি standard framework সহ। যেখানে নানা ব্যাংকার নানা মত না হয়ে সমাধান একটিই হবে। '''
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০০
আশীষ কুমার বলেছেন: সরকারের নিজের লোকের উপর সরকারের আস্থা নেই বলে সরকার অনেক কাজ ব্যাংকের মাধ্যমে করায়। এতে করে লেনদেনজনিত ঘুষ খরচ হয় না। যেমন- বিভিন্ন ভাতা, ফি, চালান ইত্যাদি। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কিছু কাজ ব্যাংকে হয়। যেমন- রেজিস্ট্রেশন ফি। বাকি কাজগুলোও ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসলে কিছুটা রক্ষা হবে।
কেউ কেউ হয়তো বলবেন ব্যাংকেও দুর্নীতি হয়। কিন্তু সাধারণ সেবা খাতে ব্যাংকে দুর্নীতি এক্কেবারেই কম হয়। ২৫০ টাকার ফি কি কোনভাবেই ২০০০০ টাকা নেয়া সম্ভব?