নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত ছোটগল্প

তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়।

অসমাপ্ত ছোটগল্প

আমি অসঙ্গায়িত। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আমি জোঁক। শেষ করে/ না দেখে ছাড়ি না। আমি ডিপেন্দেদ হতে ভয় পাই, ডিপেন্দেদ মানুষ আর কম্পিউটারের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। পছন্দ করি সব। অপছন্দ করি, কোনো কিছু অপছন্দ করা। আমার আখাঙ্খার কোনো সমাপ্তি নাই, তাই আমি অসমাপ্ত আমার মৃত্যুই সমাপ্তি না, তাই ছোটগল্প। অসমাপ্ত ছোটগল্প ।।

অসমাপ্ত ছোটগল্প › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষকদের জন্য ভালবাসা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০০

কেজিতে থাকতে প্রিঞ্চিপাল ম্যাডাম আমাকে একটা পুরষ্কার দিছিলেন, কারন এনুয়াল স্পোর্টের সময়, ব্যাঙ লাফের বদলে খালি ডিগবাজি দিচ্ছিলাম, আমি ট্রায় করা ছাড়ি নি দেখে আমাকে সেই পুরষ্কার দিছিলেন।

ক্লাস ২তে থাকতে ২এর ঘরে নামতা মুখস্ত করতে না পারায় মাইর খাইছিলাম, সাহানা ম্যাডামের কাছে, ম্যাডাম মুখস্ত না করে অন্য উপায় পরে শিখিয়ে ছিলেন।

রচনা শিখি নাই দেইখা রৌশন আরা ম্যাডাম ক্লাসের বাহিরে দাড় করিয়ে রাখছিলেন।

বকুল ভাই জালি বেতে লাল ট্যাপ পেচায়া তারপর বলতেন, সামনে না পিছে, গর্ভভরে নিতম্ব পেতে দিতাম।

রবীন্দ্রনাথ স্যার, কোন দিন মাইর খাই নাই, তবে স্যার আপনাকে অনেক ভয় পাইতাম।

নাত্থি মেরে ৩তালা থেকে কোন দিন মৃদুল স্যার কাওকে ফেলে ছিলেন কিনা জানি না, তবে আমি ঠিকই ভয় পেতাম কারন যদি বলে বসেন "কোথা থেকে উঁরে এচে জুড়ে বসে ছিস?"

খুলনাতে রেজা স্যার আঙুলের ফাঁকে কলম দিয়ে যখন চাপ দিতেন, দুনিয়াটা তখন সাদাকালো মনে হতো।

ইংরেজি সাবজেক্টটার জন্য ভালোবাসা জন্মাইছিলই জাহাঙ্গীর স্যারের জন্য।

মেথ এ কম মার্ক্স পাওয়ার জন্য শফিক স্যার খালি গা করে কান ধরাইয়া লাইন ধরে আমাদের খালিশপুরের রাস্তায় হাটাইছিলেন, সেই লাইনের আমার সহপাঠীরা বুয়েট পাস করা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার আর ডিফেন্স অফিসারও আছে, খুলনা গেলে স্যারের পা ধরে বসে থাকার ইচ্ছা আছে। মতিউর রহমান স্যারের বাসা গোয়ালখালি কবর স্থানের সাথে লাগানো, খুলনা ছেড়ে আসার সময় বলে আসছিলাম, স্যার কিছু একটা হয়েই আবার আসবো, স্যার বলছিলেন, হয় এই খানে নয়তো পাশেই পাবি, স্যার কে জড়াইয়া ধরে কিছুক্ষণ কাঁদছিলামও, স্যারের দেয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা, "বাবা মাকে কক্ষনো কষ্ট দিস না"। শরীফ স্যার এর স্নেহ কক্ষনোই ভুলার মতো না। এক জন টিচার যে এক জন ভালো বন্ধু হতে পারেন, আজাদ স্যার কে না পেলে জানতাম না। কিছুদিন আগে ক্লাসে নেহাল স্যার বললেন, আমি তার প্রিয় ছাত্রের এক জন, দায়িত্ব যেন আরও বেড়ে গেলো। ডিজি স্যার তো আমাকে বলছেনই আমি তার ছেলের মতো, আমাকে নামও দিয়েছেন একটা "কালো পাহাড়", ইকোনমিক্সের একটা প্রেজেন্টেশনে স্যারের সামনেই চাপা মাড়া শুরু করছিলাম, স্যার বলছিলেন, "আমি তো ইকনমিক্স কিছু বুঝি নাকি?"

নিজেকে সব সময়ই অথর্বই মনে হতো, আমার জিবনে এই পর্যন্ত আসা শিক্ষকরাই আমাকে উপলব্ধি করিয়েছেন, আমাকে দিয়ে কিছু একটা সম্ভব। কোন দিন ভুলবো না আপনাদের অবদান।

৫ই অক্টোবর অর্থাৎ আজ, বিশ্ব শিক্ষক দিবস,

পৃথিবীর সকল শিক্ষকের সুস্থ এবং শান্তিময় জীবন কামনা করতেছি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: সম্মান জানাই পৃথিবীর সকল শিক্ষকদের ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এস-এস-সি পরীক্ষার আগে দুই মাস এক স্যারের কাছে অংক করছিলাম।পাচ বছর আগের কথা!সেই স্যার এখনও কারণে-অকারণে ফোন করে খোজ খবর নেয়।আমার কখনো যদি খুব খারাপ সময় কাটে স্যাররে বাসায় আসতে বলি।স্যারের জন্য শুভকামনা।
পোস্টে প্লাস!!!!!!!!!!!

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে আমার ছোটকালের স্যার আর ম্যাডামদের কথা মনে পড়ছে। আসলে এই বড় হয়ে উঠা, শিক্ষা, আচরন অনেক কিছুর জন্যই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাবা মা এবং আমার শিক্ষক এদেরকে আমি সমান চোখেই দেখি। অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইল সকল শিক্ষকদের প্রতি। ছাত্র হিসেবে তাদের ঋন হয়ত শোধ করতে পারব না।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: স্যারেরাই তো মানুষ বানাইলেন। ভাল কে ভাল বলা শিখাইছেন আর খারাপকে খারাপ। আমার প্রিয় মানুষদের একটা তালিকা করলে বেশ কয়েকজন স্যারএর নাম আসবে।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

সোহানী বলেছেন: হা সেই সাথে আমি যোগ করতে চাই শিক্ষকদের বেতন অবশ্যই বাড়াতে হবে। যে বেতন এখন তাঁরা পান তা অনেকটা গার্মেন্টস্ কর্মীদের কাছাকাছি যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.