নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বদেশপ্রেম এবং বাস্তবতা প্রকাশের চেষ্টা করি। অবসর সময় কবিতা লিখা একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। চেষ্টা করি সবাইকে ভালবাসতে এমন কি ভাসিও,কিন্তু কাছের মানুষ যখন দুঃখ দেয় তখন কেমন লাগে সেটা বলে বুঝাতে পারবনা।হবে হ্যাঁ সবসময় সত্যের জন্য সব সময় লিখব,যতই বাধা আ

মুন্না সন্দ্বীপী

মুন্না সন্দ্বীপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের দাবি!! ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে উদ্যোক্তাদের অবদান…………

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫


দিন বদলের বইছে হাওয়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ মোদের প্রথম চাওয়া” কারো চাওয়া, কারো পাওয়া কারো বা অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে পেলা এটাই যেন বিধাতার বিধান ।
তেমনি দেশের প্রায় সারে চার হাজার ডিজিটাল সৈনিক তাদের ভবিষ্যৎ হারাবে বলে আশঙ্কিত,
এরই ধরাবাহিকতায় এ নিবন্ধন।
বর্তমান সরকারের ভিসন ও মিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। কিন্তু বাস্তব টা কি ? সরকারের অগ্রাধিকার মুলক ভাবে প্রাত্যেকটা ইউনিয়নে, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ইউডিসি (পূর্বে –ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র) গঠন করেছে । সারা দেশে ৪ হাজার ৫০১ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে পুরুষ উদ্যোক্তা ৬,২৯৬ জন এবং মহিলা উদ্যোক্তা ৩,৯৭৬ জন রয়েছে যারা কিনা নিজের মেধা ও বিনিয়োগ কে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করবে। কিন্তু বাস্তবে কি আদৌ তা হচ্ছে? খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রায় ইউনিয়নে উদ্যোক্তারা দলীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান , ইউপি সচিব, মেম্বার, দ্বারা অপমানিত হচ্ছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কিছু যখন ভালোভাবে চলে, তখন অনেকে আসেন সেখানে তাদের মামা, সালা, ভাই বা আত্মীয়দের বসানোর জন্য। তবে আমি সতর্ক করে দিতে চাই, যারা জনপ্রতিনিধি—মেম্বার, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর—কেউ যেন আমার এই ডিজিটাল সেন্টারে শিং দিয়ে গুঁতোগুঁতি না করে। যারা উদ্যোক্তা, প্রথম শুরু করেছে, তাদের কেউ সরাতে পারবে না। তাদের স্থান অবশ্যই সেখানে থাকবে।
কিন্তু আজো অনেক ইউনিয়নে তাদের শিং এর ধারলো আঘাতে ক্ষত বিক্ষত উদ্যোক্তারা।
প্রাথমিক পর্যায়ে উদ্যোক্তারা প্রায় ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে বসে থাকত, ছিলোনা তাদের কোন আয়, তবুও আশায় আশায় তারা তাদের শ্রমকে কাজে লাগতে থাকল,এ ভাবে চলতে চলতে বর্তমানে প্রায় ইউডিসিতে দৈনিক দু’শ থেকে শুরু করে দু’হাজারের ও উপরে আয় করছে তারা। কিন্তু যখনি তাদের সুখের দিন আসতে শুরু করল ঠিক তখনি আরেক সতিন আসার ঘোষণা হল, সরকার ইউনিয়ন পরিষদে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়গের ঘোষণা দিলেন আর তাতে উদ্যোক্তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত! কেনই বা নয়…অফিস সহকারী নিয়োগ হলে উদ্যোক্তারা কোথাই যাবে। তাদের নূন্যতম আয় টুকুও চলে যবে । তারা অন্যত্রে চলেযেতে হবে। আর গিয়ে বা কি হবে ? তাদের অনেকের চাকুরির বয়স ও নেই। দুঃখী হয়ে ডিজিটাল নিয়ম খুঁজে আফসোস করা ব্যতিত আর কিছু করার থাকবেনা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তদের অবদান অনেক ,তারা আজ বিশ্বসেরা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছে, অনলাইন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ,-ই-কর্মাস, আউট সোর্সিং, সহ শত শত কাজ করে থাকে, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় কাজ উদ্যোক্তারাই করে থাকেন। সুতারাং এখানে আবার নতুন করে অফিস সহকারীর কোন প্রয়োজন হয় না । আর এ নতুন পদে সরকারে রজস্বখাত থেকে বিপুল পরিমান অর্থ তাদেরকে বেতন হিসাবে দিতে হবে যা আদৌ প্রয়োজন নেই। আর যদিও সারকার মনেকরে অফিস সহকারি অবশ্যক তাহলে সেটার একান্ত প্রাপ্য এবং একমাত্র দাবিদার উদ্যোক্তারই ,কেননা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞাতা অনেক এবং যোগ্যতা ও প্রশংসনীয় ।
তাই সরকারে প্রতি প্রত্যেকটা ইউডিসি উদ্যোক্তাদের দু’টা দাবি ।
১. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিয়োগ দেওয়া না হউক।
২. আর না হয় উক্ত অফিস সহকারী পদে উদ্যোক্তাদের নিয়োগ দেওয়া হউক।
একটা সময়উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তে ডিজিটাল সৈনিকরা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে নিয়ে যাবে।
তাদের কে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে । এমনটাই প্রত্যাসা ইউডিসি উদ্যোক্তাদের।





সুত্র..
১. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ব্লগ ।
২. ডিজিটাল সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
৩.স্থানীয় সরকার বিভাগ
৪. আইসিটি বিভাগ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.