![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গড়তে ক্ষুধা মুক্ত পৃথিবী হবে আমার সঙ্গি!
সফলতার গল্পে চলুন ঘুরে আসি!
গল্পটা পাঁচ বছর আগের যা বর্তমানে বছরে লক্ষ টাকা আয়ের উৎস। গৌতম তখন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। শখের বসেই রোপন করেন লেবু চারা। শখ থেকে সফলতা! সময়ের প্রয়োজনে গৌতমের প্রকল্পটি বিস্তৃত হয়। নিজেদের লিচু বাগানের অবশিষ্ট ফাঁকা স্থানগুলো হয়ে ওঠে লেবু বনের অভয় আরণ্য। কয়েক বছরে দেঢ় বিঘা লিচু বাগান রূপায়িত হয়েছে লেবুর ঝাড়-জঙ্গলে।
লিচু বাগানের ফাঁকে ফাঁকে লেবুর চারা। পাঁচ-ছয়শত লেবু গাছের একটি ঝপ-ঝাড় দেঢ় বিঘার লিচু বাগানে। গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা লেবু। এলাচি আর সিড লেস লেবু গাছের বন। ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখে প্রতিদিন লেবু পাওয়া যায় ২ থেকে তিন হাজার পর্যন্ত। এ তিনমাসের প্রতিদিনই ৫/৬ হাজার টাকা করে আসে গৌতম ও তার পরিবারের। গৌতমের নিমন্ত্রণ ছিল বাগানটি ঘুরে আসার। আজ গিয়েছিলাম তার নিমন্ত্রণে লেবু উদ্যানে। গৌতম চাকুরির সুবাধে জেলার বাইরে থাকায় তার বড় ভাই নিরঞ্জন চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় লেবু বাগানটি ঘুরে দেখা। নিরঞ্জনই বাগানটির দেখভাল করে।
তাদের কাছ থেকে জানলাম বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আসে তাদের। এ বছর বাড়বে আশা করছে চারলাখ টাকা আয় হবে বছরে। বছরে এক/ দেঢ় লাখ পিচ লেবু হার্বেস্ট করছে তারা।
গাছ পরিণত হওয়ায় সংখ্যাটা বাড়ছে। নিরঞ্জন জানাচ্ছিল পাইকাররা বাগান থেকে এসেই নিয়ে যায় লেবু। লেবু চাষে তেমন একটা শ্রম নেই। অল্প শ্রমে অধিক মুনাফা। যেখানে ধান চাষে মেলে বিঘা প্রতি ১০/১৫ হাজার টাকা সেখানে একই পরিমাণ জমিতে কয়েক লক্ষ টাকার মুনাফা করার বিষয়টি সত্যিই রূপকল্পের মত।
শিক্ষিত যুবরা কৃষির হাল ধরছে। সম্ভাবনা তারাই তৈরি করছে। গৌতম ও নিরঞ্জন দুই ভাই মিলে যে সফলতার গল্প রচনা করছে তা যুবদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বটে।
গৌতম ও নিরঞ্জনের লেবু বাগান থেকে ফিরে....
মো: মোসাদ্দেক হোসেন
তরুণ উদ্যোক্তা, দিনাজপুর।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সফল কৃষক।অন্যের অনুকরণীয় হতেই পারেন।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৯
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: চমৎকার। পড়াশোনা করে এইরকম উদ্যোগতা পাওয়া খুবই বিরল।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো লাগলো সফলতার গল্প দেখে।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৮
*কালজয়ী* বলেছেন: @@
আত্মনির্ভরশীল উদ্যোগ। ভালো।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই অনুকরনীয় উদ্যোগ ।
যাদের সামর্থ আছে , মনে বল ও সাহস আছে
তাঁরা সকলেই এমন লাভজনক লেবু চাষ করতে
পারেন । জমি না থাকলেও সমস্যা নাই
অন্যের জমি বর্গা বা লিজ নিয়ে লেবু চাষ করা যেতে
পারে । কয়েকজন বন্ধু মিলে সমবায়ের মাধ্যমেও
এই রকম লাভজনক কৃষি কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা
সম্ভব ।
প্রসঙ্গক্রমে উপরে থাকা একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা যায়
গৌতমের মত অনেক ব্লগারের শুধু জমিই নয় আছে জমিদারী
আছে খামারবাড়ী, সেখানে লেবু চাষ করা যায় তারাতারি ।
সুন্দর সচিত্র পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৫
অক্পটে বলেছেন: সময়ের বুদ্ধিমান যুবক গৌতম আমাদের গৌরব। ফেসবুক প্রজন্মের যুবকরা ফিরো এসো সম্ভাবনার পথে।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
হাবিব বলেছেন: আপনার উত্তোরত্তোর সফলতা কামনা করছি।
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬
মেহবুবা বলেছেন: পজিটিভ খবর। ইদানিং শুনতে পারছি এমন খবর । ভাল লাগছে জেনে।
করোনার কারনে অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ গ্রামে ফিরেছে এবং তাদের কারো কারো বোধোদয় হচ্ছে । ধীরে হলেও এভাবে অর্থ উপার্জন ভালই হয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
গৌতমের জমি ছিলো; ব্লগারদের কার কার জমি আছে?