নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুক্তিযোদ্ধা

মুশে হক

সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসি।

মুশে হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১ ভেতরে বাইরে

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

প্রথমা প্রকাশিত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খোন্দকার বীর উত্তম রচিত ১৯৭১ ভেতরে বাইরে বইটার নাম হওয়া উচিৎ ছিল “ এ কে খোন্দকার- ভেতর বাইরে”। কারণ এ যাবতকাল দেশের মানুষ খোন্দকার সাহেবের বাইরের দিক (যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দিক) দেখে এসেছে। এবার উক্ত বই লিখে তিনি তার ভেতরটা প্রকাশ করেছেন। তিনি এতদিন তার ভিতরে ইতিহাসের যেসব আবর্জনা ও বর্জ্য ধারণ করে আসছিলেন এবার তিনি তা ত্যাগ করেছেন।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটা দু:খজনক ঘটনা হলো ঘটনাচক্রে ইতিহাসের ঢেউ কিছু ব্যক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে পোউছে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ কি, জনযুদ্ধ কি এসব সম্পর্কে যাদের কোন ধারণাই ছিল না। কারণ তাদের রাজনীতির জ্ঞান ছিল শূন্যের ও নীচে। কনভেনশনাল যুদ্ধই তাদের যুদ্ধের জ্ঞানের বহর। তারা ভেবেছিলেন অস্ত্র সজ্জিত বাহিনীকে প্যারেডে একত্র করে বঙ্গবন্ধু ফরোওয়ার্ড মার্চ আদেশ দিয়ে বাংলাদেশের সকল ক্যান্টনমেন্ট যেখানে পাকিস্তানি সৈন্য ছিল তাদেরকে আক্রমন করার নির্দেশ দেবেন। আর তাতেই যুদ্ধ জয় ও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাবে। এটা যে কত বড় বোকার ধারণা তা খোন্দকার সাহেবের থাকলে তিনি এমন একটা বই লিখতেন না। জনযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ গ্রহনের পর সশস্ত্র হয় এবং যুদ্ধ করতে করতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ পায়। কনভেনশনাল বাহিনীর ন্যায় আগেই প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং অস্ত্র সজ্জিত হয়ে যুদ্ধে নামে না।জনযুদ্ধের ৯০% রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ এবং ১০% বা তারও কম সশস্ত্র যুদ্ধ। কনভেনশনাল যুদ্ধ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও জনযুদ্ধের কমান্ডার।

খোন্দকার সাহেব অজ্ঞতা বশত: অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে তার ভিতরের ধারণাগুলো (যা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারী ধারণার সাথে মিলে যায়) প্রকাশ করেছেন কিনা তা দেশবাসী দেখার অপেক্ষায় থাকবে। খোন্দকার সাহেব যেখানে নেমেছেন সেখান থেকে কালিমামুক্ত হওয়ার দায় তার নিজের। মনে রাখতে হবে ইতিহাস কাওকে ক্ষমা করে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

াহো বলেছেন:
http://www.sachalayatan.com/nazrul_islam/52981

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

আমায় ডেকো না বলেছেন: ব্যাটার বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে। এই বদলোকটা মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে সংবিধান থেকে "বিসমিল্লাহির্ রহমানির রহীম" বাদ করে দেয়ার জন্য বায়না ধরেছিল, শেখ হাসিনা তার প্রস্তাব গ্রহন না করায় সে পদত্যাগের হুমকি দেয়। তখন শেখ হাসিনা বলে আপনি ইচ্ছে করলে তা করতে পারেন। তখন সে তখনকার মত লেজ গুটিয়ে নিলেও,পরে এই বইটা লিখে সেই দিনের সেই প্রত্যাখানের প্রতিশোধ নিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.