নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হ্যাঁ বল.....
- কই তু্ই, আমিতো তোর অফিসের নিচে, ট্যাক্সরিটার্ন দিতে আসছি।
- স্যরি দোস্ত, আমিতো অফিসে নাই।
- তাহলে তুই কই ?
- আমি ? আমিতো ব্রাজিল।
- কি ? ফাজলামি করিস ?
- না, দোস্ত। একটুও ফাজলামী না, আমি হোটেল গ্রান্ড পার্ক, ব্রাজিল।
- তাহলে তুই ফোন ধরলি ক্যামনে ?
- ব্রাজিলে কি ফোন ধরা যায়না ?
- না মানে তোর আগের জিপি নম্বরতো.......
- না, এখানে আসার আগে রোমিং করে নিয়েছি ....... তা তুই কি করলি.........তোর ব্যালেন্সতো শ্যাষরে দোস্ত.......
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মিলিসেকেন্ডে লাইন নাই।
- হেই শালা বিপ্পা (বিপু), ফোন কাটলি ক্যান ?
- নাআ.....তা কবে গেলি ব্রাজিল ?
- তুই আমার ফোন ধরলি ক্যান ? তোর টাকার মায়া আছে, আমার নাই শালা........আমি গতকাল গেছি, আগামীকাল ফিরমুু
- তা-এত তাড়াতাড়ী ফিরবি ক্যান, সাম্বানৃত্য দেখবি না ?
- শালা সাম্বানৃত্য তোর ইয়েদিয়ে দেবো। তারপর তুইই সাম্বানৃত্য করবি, আমি বইসা বইসা দেখমু, আমি ব্রাজিল (BRASIL) মানে বরিশাল (BARISAL), আমাজান মানে কীর্তণখোলার তীরে।
হ্যাঁ পাঠক, বরিশালের কথা বলছি। অফিসিয়াল ট্যুরকে প্লেজার ট্যুরে রুপান্তর করার বিষয়ে আমার বিস্ময়কর সুনাম অফিস অঞ্চলে। লঞ্চজার্নির লোভে বিমান এভয়েড করে টিপু-৭ এ করে বরিশাল রওনা দিলাম আনোয়ার ভাই ও আমাদের গাইড হান্নান সহকারে। এটা আমার ২য় লঞ্চট্যুর। প্রথমবার ঘটেছিলো কয়েক বছর অাগে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে, তাও মাত্র ৩ ঘন্টার দিবাজার্নি। এবারই পুর্নাঙ্গ লঞ্চট্যুর। সাড়েআটটার লঞ্চ প্রায় পনের মিনিট পর সদরঘাট থেকে ছাড়লো। আমার আর আনোয়ার ভাইয়ের জন্য ভিঅাইপি টুইন স্যুট। আর গাইড হান্নান এর জন্য সিঙ্গেল কেবিন। যথারীতি এখানেও ডিসক্রিমিনেশন। রাত দশটায় খাবার চলে আসলো। একটু পরপর হান্নান সাহেব কি লাগবে, কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানাতে চাচ্ছিলো। বয়সে অনেক বড় হওয়াতে অস্বস্তিও লাগছিলো তাই বললাম, খাওয়াতো শেষ আপনি নিজের কেবিনে গিয়ে রেষ্ট নিন, কোন কিছু লাগলে আমি ফোন দিবো। উনি আমার কথায় হাসিমুখে বিদায় নিলেন। রাত প্রায় ১১ টা। আমিতো চিরকালীন উড়নচন্ডি। স্যুটে শুয়ে বসে কি করব, বের হয়ে আসলাম বারান্দায়। আনোয়ার ভাই রুমে শুয়েশুয়ে টিভিতে ভিডিও দেখতে লাগলেন। কিছুক্ষন বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসে বসে চাঁদের আলোয় নদীর কালো জল দেখছিলাম। বুড়ীগঙ্গা থেকে আমাদের লঞ্চ মেঘনায় ঢুকে পড়েছে। দুএকটা ছোট ছোট লঞ্চকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে আমাদের লঞ্চ, আশেপাশে অনেকগুলো ইলিশ ধরার নৌকা দেখা যাচ্ছে। মাছ ধরার জালকে এভয়েড করে চলার জন্য পাওয়ারফুল টর্চের আলো দিয়ে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছিলো। চাঁদের আলো নদীতে পড়ায় এক মায়াবী পরিবেশ। নদীর বাতাস অনেক ঠান্ডা। ব্যালকনিতে একা বসে থেকে ভাল লাগছিলো না, আনোয়ারভাইকে দরজা লাগাতে বলে বাইরে বের হয়ে আসলাম। নিচের ডেকে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে তিনতলায় মাষ্টারের চেম্বারে এসে উঠলাম। নিজের পরিচয় দিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের আগ্রহ প্রকাশের ফলশ্রুতিতে সেখানেই অবস্থান গ্রহন। দারুন অনুভুতি। দারুন আগ্রহ নিয়ে লঞ্চচালনা পর্যবেক্ষণ শেষে আবার নিজের স্যুটের বারান্দায়। রাত তিনটায় বিছানায়। সকাল ছয়টায় হান্নানের ডাকাডাকিতে অনিচ্ছানিয়ে ঘুমচোখে বের হয়ে আসতে হলো। হোটেলের গাড়ি লঞ্চটার্মিনালের বাইরে। হোটেলে ফিরেই ফ্রেস হয়ে লাউঞ্জে বের হয়ে আসলাম। বাকিটা ছবিতেই বলা হোক...........
এম.ভি.টিপু-৭ (লঞ্চটি ৩ তলা)
হোটেল এর ফ্রন্ট ভিউ ( এখানেই অবস্থান এবং মিটিং )
হোটেল এর ব্যাক ভিউ (বেল পার্ক এরিয়া)
ইনসাইড দ্য হোটেল রুম
হোটেলের ব্যালকনি থেকে
হোটেলের জানলা থেকে
কীর্তণখোলার তীর থেকে (ছবিটা সুন্দর করে তুলতে পারিনি)
কীর্তণখোলার তীরে ক্রেন
বরিশাল জিলা স্কুল (বাংলাদেশের জিলা স্কুলগুলিকে আমার নিজের স্কুল বলে সবসময়ই মনে হয়)
বরিশাল শিশুপার্ক
বরিশাল পুলিশলাইন
অক্সফোর্ড মিশন গির্জা (এপিফানি গির্জা)। (সময়াভাবে পুর্বানুমতি না থাকায় বর্তমান বাস্তবতায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাজনিত কারনে ঢুকতে পারিনি, তাই সাইনবোর্ডের ছবিই সার। বাইরে থেকেই যথেষ্ট সুন্দর এক গির্জা।)
বরিশাল ক্লাব
নদীর তীরের পার্কের ভিতরে
গুটিয়ার মসজিদ দেখতে যাওয়ার পথে পানের বরজ
দূর্গাসাগর দীঘি (যার মাঝখানে ছোট্ট একটি দ্বীপ আছে)
দূর্গাসাগর দীঘির ইতিহাস (অলসতাজনিত কারনে ডিটেইলস লিখতে না চাওয়ায় এই ছবি)
ইনসাইড দ্য গুটিয়া মসজিদ (শহর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি. দুরে গ্রামের ভিতর এই মসজিদের নির্মাণশৈলির সুনামেই দেখতে আসা)
গুটিয়ার মসজিদ (রাতের ভিউ)
শহরটি যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রাস্তাঘাটগুলো সুন্দর এবং ছিমছাম। এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা বলে রিক্সাওয়ালা ভাইয়ের মুখে লেইট মেয়র হিরণ সাহেবের সুনাম খুবই শুনলাম। তবে একটা কথা না বললেই নয়, বরিশালের ভাষাটা আসলেই রিদমিক। লঞ্চ টার্মিনাল, বরিশালের শহরে ও আসেপাশে যখনই সাধারনের মাঝে ছিলাম, ভাষাটা আমাকে যথেষ্ট আকৃষ্ট করেছিলো।
বরিশাল নিয়ে যেহেতু লিখছিই, বরিশাল নিয়ে দুলাইনের একটি চুটকি মনে হয় বলতেই পারি। "গ্রাম থেকে দুই ভাতিজা বরিশালের শহরে এসেছে দেখার জন্য। সারাদিন শহর দেখা শেষে দুজনেই মহাখুশি, একজন খুশিটাকে পুর্নাঙ্গ করার্থে আরেকজনকে বললো, শহরেতো আইছিইরে ভাই, যাবার আগে চাচার নামে একটা কেইস করেই যাই।"
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
আরাফাত আল মাসুদ বলেছেন: ছবিগুলো দেখেই যেতে ইচ্ছে করছে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: একবার ঘুরে আসুন, ভাল লাগবে নিশ্চিত।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন সব ছবি আর বর্ণনা
শেষে এইটা কি কইলেন
বরিশাইল্যারা কি মামলাবাজ নিকি ?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমার বরিশাইল্লা এক ফ্রেন্ডকে ক্ষেপাতে গিয়েই এই চুটকিটা ইনসার্ট করেছি। এটা আমার আবিষ্কার না ভাই , তবে দু-লাইনের দারুন কৌতুক । যেহেতু অনেক ভালভাল কথা বলেছি ও অনেকগুলি সুন্দর ছবি দিয়েছি, তাই আশাকরি কেউ মাইন্ড করবেন না
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বর্ননা আর ছবি মিলে এক দারুণ পোস্ট ।
লঞ্চ ভ্রমণ ভয় পাই । এখন পর্যন্ত ভয়ে লঞ্চে চড়া হয়নি।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: বাস, রেল, নৌ, বিমান আরমদায়কতা বিবেচনায় নৌ ১ নং, রেল ২ নং, বিমান ৩ নং এবং বাস ৪ নং এ (আমার অভিজ্ঞতায়)।
লঞ্চজার্নি অনেক অনেক মজার।
অনেক ধন্যবাদ ।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ছবিগুলো অসাধারণ
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন লঞ্চজার্নি হয় না ব্যালকনিতে ভূত দেইখা ডরাইসি
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: লঞ্চজার্নি আসলেই মজার। বাধ্য হয়ে ভুত হতে হলো। দশচক্রে ভগবান ভুত হয়
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
চৌধুরী ইপ্তি বলেছেন: দারুণ সুন্দর দেখতে!!!!!!!!!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আসলেই সুন্দর শহর
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চ্রম পোস্ট
কেজ করার কাহিনী পড়ে খুব হাসলাম| এমন মামলাবাজ সবখানেই দেখা যায়
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হা-হা-হা, এটা জাস্ট কৌতুক
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুন্দর।
দীঘির ব্যাপারে আমার আমার দুর্বলটা আছে, সাঁটার কাটতে চাই
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৩
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার ভয় আছে, মনে হয় দীঘির পানিতে নামলেই কেউ টেনে নিচে নিয়ে যাবে..........
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১২
গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: বহুত পরিশ্রমের ফসল
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কই, সর্ব্বোচ্চ ৩০ মিনিটের ফসল এই পোষ্ট
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
সুমন কর বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকে ডিজিটাল বরিশাল ভ্রমণ করে নিলাম...
ছবিগুলো ভালো এসেছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দারুন বলেছেনতো, ডিজিটাল ভ্রমন। বহুত পছন্দ হয়েছে টার্মটা।
১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪১
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার বর্নণা ও ছবি।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: থেম্কু, থেম্কু
১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
ভবঘুরে মানব বলেছেন: বাহ! দারুণ আমেজ পেলাম লিখাটা পড়ে! ছবি গুলো সুন্দর অনেক অভিজ্ঞতার প্রকাশ করেছে, পাশাপাশি যারা এখনো ব্রাজিল থুক্কু বরিশালে যায় নি তাদের কে লোভ লাগিয়েছে!
তো যারা এখনো বরিশালে ঢুঁ মারেন নি তারা বরিশালের আকর্ষণীয় জায়গাগুলোতে ঘুরে আসার বেশ কিছু ট্যুর প্যাকেজ দেখে নিতে পারেন যাওয়ার আগে http://bit.ly/2asIVZE
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ভ্রমণ খুব ভাল বাসেন মনে হয়, ভালই লাগল আপনার ছবি ব্লগ।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৩
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, বেড়ানো অনেক অনেক পছন্দ করি। দেরীতে উত্তর দেবার জন্য দু:খিত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
হাসান নাঈম বলেছেন: বরিশাল ভ্রমনের জন্য অভিনন্দন।