নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানসম্মত , সুস্থধারার , ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক উস্কানিমূলক লেখালেখি বর্জিত ব্লগিং আমাদের কাম্য

মুতাওয়াক্কিল

আমি জীবন এবং মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র পরীক্ষা করার জন্য তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম [ সুরা আল মুলক - ২ ]

মুতাওয়াক্কিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়বিচার ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের অপূর্ব নিদর্শন

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ন্যায়বিচার ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের অপূর্ব নিদর্শন :


উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর শাসন আমল, একদিন ২ জন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে । উমর রাঃ তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে, 'ব্যাপার কি, কেন তোমরা একে এভাবে টেনে এনেছ ?' তারা বলল 'এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে ।'

উমর রাঃ বালকটিকে বললেন 'তুমি কি সত্যিই তাদের পিতাকে হত্যা করেছ ?' বালকটি বলল' হ্যা আমি হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত, আমার উট তাদের বাগানে ঢুকে পড়েছিল তা দেখে তাদের পিতা একটি পাথর ছুড়ে মারল,যা উটের চোখে লাগে । আমি দেখতে পাই যে উটটি খুবই কষ্ট পাচ্ছিল । যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটি পাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তার মাথায় লাগে এবং সে মারা যায় ।'

উমর (রাঃ) ২ভাইকে বলেলন 'তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে ?' তারা বলল 'না, আমরা তার মৃত্যূদন্ড চাই ।' উমর রাঃ বালকটির কাছে জানতে চাইলেন 'তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে?'

বালকটি বলল 'আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান, যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি ।

আমি তিন দিন সময় চাই, যা আমি সেই জিনিস গুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসতে পারি । আমার কথা বিশ্বাস করুন ।'

উমর রাঃ বললেন 'আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি যদি তুমি এক জন জামিন জোগাড় করতে পার যে নিশ্চয়তা দেবে যে তুমি ফিরে আসবে ?' বালকটি দরবারের চারদিকে তাকাল এত মানুষের মধ্যে কেউই তার জামিন হল না ।সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে রইল।

হঠাত্‍ দরবারের পেছন থেকে একটি হাত উঠল । কার হাত ছিল এটি? প্রখ্যাত সাহাবী আবু যর গিফারী (রাঃ) , তিনি বললেন 'আমি তার জামিন হব' চিন্তা করুন জামিন মানে হল, যদি বালকটি ফিরে না আসে তবে আবু যর গিফারী রাঃ এর শিরচ্ছেদ করা হবে। সুতরাং, বালকটিকে ছেড়ে দেওয়া হল । এক দিন গেল, দ্বিতীয় দিনেও বালকটি আসল না, তৃতীয় দিনে ২ভাই আবু যর গিফারীরাঃ এর কাছে গেল ।

আবু যর রাঃ বললেন 'আমি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করব' মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে আবু যর গিফারী রাঃ দরবারের দিকে রওনা হলেন । মদিনার লেকজন তাঁর পেছন পেছন যেতে লাগল । সবাই দেখতে চায় কি ঘটে। আবু যর রাঃ একটি বালকের ভুলের কারণে আজ জীবন দিচ্ছেন । হঠাত্‍ আজানের কিছুক্ষণ আগে বালকটি দৌড়ে আসল । লোকেরা সবাই অবাক হল ।

উমর রাঃ বললেন 'হে বালক তুমি কেন ফিরে এসেছ? আমিতো তোমার পিছনে কোন লোক পাঠাইনি । কোন জিনিসটা তোমাকে ফিরিয়ে আনল?'

বালকটি বলল 'আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলিম কথা দিয়েছিন কিন্তু সে তা রাখে নি তাই আমি ফিরে এসেছি' উমর রাঃ আবু যর রাঃ কে বললেন 'হে আবু যর তুমি কেন এই বালকের জামিন হলে?'

আবু যর রাঃ বললেন 'আমি দেখলাম একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন, আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন মুসলমান তাকে সাহায্য করেনি।'

এ কথা শুনে দুই ভাই বলল 'আমরাও চাই না যে কেউ বলুক একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি' তারপর বালকটি মুক্তি পেল ।

বর্তমান সমাজে কি পাওয়া যাবে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এই অপরূপ দৃষ্টান্ত?? যারা ইসলামকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে তারা যেন দেখে নেয় ইসলামের সৌন্দর্য !

আলহামদুলিল্লাহ্

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

ওমেরা বলেছেন: সুবাহান আল্লাহ !! মুসলমানদের সেই ঈমান আর এখন আর নেই । ধন্যবাদ খুব সুন্দর ঘটনা শেয়ার করার জন্য ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: জাঝাকাল্লাহ্

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর একটা ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!:)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ , জাঝাকাল্লাহ্

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অসাধারণ!!!!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটা ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:


যাজাকাল্লাহু খাইর। শিক্ষণীয় ইতিহাসের টুকরো।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাঝাকুমুল্লাহ খইর

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

নতুন বলেছেন: শরীয়া আইনে বালকে মৃত্যুদন্ড দেবার বিধান আছে?

আর একজনের অপরাধে অন্য একজনকে মৃত্যুদন্ডের বিধান আছে?

খলিফা অবশ্যই একজন/দুইজন সৈনিক/কম`কত`কে ঐ ছেলের সাথে পাঠাতে পারতেন.... তার জামিনের জন্য মানুষের দিকে তাকাতেন না....

আমার মনে হয়না বালকে মৃত্যুদন্ডের বিধান শরিয়া আইনে আছে....

এটা জানতে হবে...

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন: Click This Link

পাপ্তবয়স্ক না হলে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া যায়না শরীয়া আইনে....

আর একজনের বদলে অন্যজনের মৃত্যুদন্ড অবশ্যই হাস্যকর...

তাই আমার মনে হয়না এই রকমের কাহিনির সত্যতা আছে... :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪০

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: বালক হলেই যে সে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যাপারটা এমন নয় , অবশ্যই সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছিল , নইলে কিসাসের বিষয়টি আসতো না ! আর তারা সবকিছু বিচার বিবেচনা করেই বিচার ফয়সালা করতেন ! আর জামিনের অর্থ বুঝেন আপনি ? এটা ছেলেখেলা ব্যাপার ছিলোনা ! এটা অর্ধজাহানের খলিফার কোর্টের ঘটনা !

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

রাসেল ০০৭ বলেছেন: আমরাও চাই না যে কেউ বলুক একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: হুম...

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

Al Rajbari বলেছেন: গর্বিত আমি এমন ধর্ম পেয়ে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.