নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উড়াল খাতা

আসসালামু আলাইকুম

খাজা মুহামমদ মাসুম আহমেদ

তবুও রাজাকারের ফাঁসি চাই

খাজা মুহামমদ মাসুম আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দর সব সময় সু্ন্দর

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

একটা বিষয় কি জানেন সুন্দর সব সময় সু্ন্দর ঠিক তেমনি সুন্দর সকলের কাছেই সুন্দর !



সমাজে সম্মানি ব্যাক্তির মাধ্যমে সামাজিক রিতিনীতি জনপ্রিয়তা পায় . আপনি দেখবেন একজন সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষকে আমরা অনুশরণ অনুকরন করি আর যে ব্যার্থ সে ব্যাক্তি কে নিয়ে আমরা হাসি তামাসা করে থাকি ।



কিছু মনে করবেন না

আমাদের সমস্যা কি জানেন ইসলামকে ভালবেসে গ্রহন করি নাই . আমরা প্রায় সকলই মুসলমান হয়ে জন্ম নেওয়ার কারনে মুসলমান , এই জন্য এই ব্যাপাবে তেমন কোন আগ্রহ নাই আমাদের। ইসলাম কে মাঝে মাঝে সামাজিকতার প্রয়োজনে লাগে তাই পালন করি ....এর চেয়ে বেশি মনে করি না আর ইসলামের ব্যাপারে এতো বাড়া বাড়িও ঠিক না ! এই রকম একটা জটিল অবস্থা আমাদের !



আমার এক বন্ধু নাটক পরিচালনা করে মোটামুটি ভাল কিছু কাজ করেছে ওকে একদিন নটক প্রসংঙ্গে বললাম আচ্ছা ! তোরা যে নাটক বানাস তা কিন্তূ আমাদের জিবন ঘনিষ্ঠ নয় আনেক কিছু ইচ্ছা করে দেখানো হয় না যেমন এই আমার জিবনের প্রেম ভালোবাসা ঝগড়া বিবাদ ঠিক আছে কিন্তূ আমি তো এতো সব করেও দিনে এক দুই ওয়াকতো নামাজ পড়ি । এটা কেন দেখাস না ? তোরা কি নামাজ পড়িস না ? আথবা তোদের বাবা দাদারা কি এই বিষয় গুলো তোদের শিখিয়ে যায় নাই ? আমার জিবনে যেমন নারীর প্রতি ভালবাসা এসেছে ঠিক তেমনি আমি নামাজের প্রতি একটা ভালবাসা আমার হৃদয় থেকে আছে । আমার পিতি মাতা সব সময় নামাজে পড়তেন কোরআন তিলাওয়াত ছিল তাদের দৈন্দিন করতে দেখেছি এই বিষয় গুলো তোদের নাটকে দেখিনা কেন ? তোরা কি হিন্দু না কি রে ? কোলকাতা থেকে বেলীরোডে এসে উঠছিস ! এমন একটা ভাব !



লালন ফকিরকে নিয়ে এতো নাটক কবিতা ছায়াছবি হলো অথচ হযরত শাহ জালাল মুজার্রেদী (রা.) আথবা হযরত শাহ আলি বোগদাদিকে (রা.) নিয়ে কেউ চিন্তা করেন না , কেন ?

যারা মহানায়ক ছিলেন এ দেশের মানুষের জন্যে । লালনের চেয়ে যারা আমাদের দেশের জন্য এ দেশের মুসলমানদের কাছে তাঁদের মর্জাদা বেশি বই কম না !!! আয় , তাদের নিয়ে কিছূ কাজ করি । কাজই তো করি .. কাজের ফাঁকে ফাঁকে হৃদয়ের তাদের জন্যে যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা আছে সে গুলো কিছু কিছু নিজের কাজের মাধ্যমে প্রকাস করি ।



ভদ্র‌লোক আমাকে বললেন দেখেন ইসলামিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে সমস্যা আছে মানুষ কি ভাবে নেয় ! বলা যায় না তার পর আবার মৌলবাদ রাজাকার এই বিষয় গুলো তো মাথায় রাখতে হয় !!!!



ওফফফ মৌল !!!! রাজাকার !!!

এই রাজাকার রাই দেশ টা খাইলো ।



আমার সৌভাগ্য যে আমি একটি ইসলামিক পরিমন্ডলে বা পরিবেসে বড় হয়েছি, আমার দাদা চাচা ও আব্বা সহ প্রায় সকলের মধ্যেই ইসলামিক আদর্শ ছিল তারা মুসলমান হিসেবে আদর্শবান ছিলেন ,আমাদের পরিবারে সেই দাদারও পুর্ব পুরুষগন সব কাজের কেন্দ্রেই ছিল ইসলামের জন্য মুসলমান হিসেবে কাজ করা । কৃষিকাজ করছেন হৃদয়ে আল্লাহ ও তার নবীর প্রেম নি্যে মনে প্রানে নবীর প্রেমে গান বা নাত করতে করতে ধানের চারা বপন করতেন ধানের চারাও রোপন হইতো সারা দিনে একটি নবীর প্রেমে নাত ও বেন্ধে ফেলতেন ।রাতে এশার পড় বাড়ির সবাইকে নি্যে সে নাত খানা শুনাতেন আহা !! সারা দিনে সকল জরুরি কাজতো নিষ্ঠার সাথে তিনি করেছেন ই কিন্তূ তিনি সন্তষ্ট ছিলেন নবীর জন্য করা ঐ নাতে ..ইহাকে মহাপ্রেম বলে ।



সেই ছোট বেলা থেকে ইসলাম কে দেখেছি কিছু ব্যার্থ মোল্লা দের দ্বারা আক্রান্ত হতে যারা অতি সস্তা চিন্তা চেতনা দিয়ে সমাজে ইসলাম কে অগ্রহন যোগ্য করে উপস্থাপন করছে ।



তারা নিজেরাও ইসলাম কে ভালবেসে গ্রহন করে নাই রিজিকের টানে কোন কাজ না পারার কারনে কোথাও জায়গা না পেয়ে শেষ মেস দাড়ি রেখে লন্বা জুব্বা একটা পড়ে কাঠমোল্লা ( টাউট ) হয়ে গেছে ,,,,, এর পর বিরতিহীন বিরক্তির সাথে ইসলাম কে আমৃত্যু প্রচার করে ইসলামের বারটা বাজাই দিয়ে গেছে !!



তাদের অসস্তিকর উদ্ভট আচরন আমাদের ইসলামের দিকে আকৃষ্ট না করে আমরা বাই হার্ট ইসলাম থেকে দুরে সরে আসছি .

কি করা উচিত ? আমি জানি না বা এই প্রস্নের জন্য উপযুক্ত ব্যাক্তি আমি না ।



তবে কিছু বিষয় আমার মনে হ্য় এইটুকু বলতে পারি মাত্র !

আসলে ইসলাম কে আল্লাহ পাঁকই পুর্নতা দিয়েছেন এবং সম্পুর্ন করেছেন । আল্লাহ সকল কাজ করেই দিয়েছেন আমাদের কেবল ইহাকে হৃদয়ে ধারন করতে হবে । ভালবাসতে হবে ইসলাম কে ধর্ম হিসেবে ,ভালোবাসতে হবে আল্লাহ কে প্রভু বা শ্রষ্টা হিসেবে এবং অবস্যই অবস্যই ভালোবাসতে হবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ ও ইসলাম কে পায়েছি হৃদয়র ধারনের জন্য ।



কিছু আলেম ওলামাগন আল্লাহ কে ভয়ংকর কিছু প্রমান করতে ব্যাস্ত থাকে । আসলেই কি তাই !! ? আল্লাহ কি ভয়ংকর কেউ ? আল্লাহ কে ভালবাসতে হবে হৃদয় থেকে যে বান্দা তার সৃ্ষ্টিকর্তা প্রভুকে ভাল না বাসলো তার মতো হত ভাগা আর কে আছে ? আল্লাহ সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাবান তিনি আমাকে আপনাকে আনেক অনেক ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন । আমাদের জন্য আসমান জমিনকে প্রতিদিন প্রসারিত করছেন সে পরম প্রিয় প্রভুকে ভয় পাইলে হবে ? ভয় আল্লাহর কাছ থেকে তার প্রিয় বাম্দাকে দুরে রাখার কৌশন ! এছাড়া আর কিছু না । আমরা যেমন অফিসে বসের ব্যাপারে অন্য কে ভয় দেখাই যাতে সে বসের কাছে না ভিরে এমন বিষয় ।



যিনি পরম দয়ালু খুবই মেহেরবান সুন্দরতম সৃষ্টিকার্তা তাকে ভয় পাইলে হবে ? বরং তাকে ভালোবাসতে হবে . ভিষন ভিষন , কারন এই ভালোবাসাই সত্য । আমাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন এই নাক, চোখ যার নিজহাতে তৈরি করছেন যিনি আমাকে এত বুদ্ধিমান করে সৃষ্টি করেছেন তাকে আমি কি যুক্তিতে ভালোবাসবো না আমার বুঝে আসে না ! আমি যদি সৎ প্রেমিক হই হৃদয়ে যদি ভালোবাসা করবার সত্য কোন অনুভব থাকে তবে যদি সুযোগ পাই আল্লাহ কে ভালোবাসার আমি তো এ কাজটাই করবো ।এই কাজ করতে করতে মরে যাব তার পর আলহামদুলিল্লাহ ।

আল্লাহর ভালবাসা আমরা পাচ্ছি প্রতিদিন প্রতিটি সময় এখন আমাদের ভালবাসতে হবে তাঁকে . আমরা কি করে আল্লাহ কে ভালবাসবো ?



আল্লাহ এই বিশাল পৃথিবী জুড়ে অবস্থান করেন প্রতিটি মানুষের সাথে প্রতিটি সৃষ্টির সাথে তিনি আছেন , তাই আল্লাহর সৃষ্ট মাখলুককে ভালবাসা দিতে হবে ইহাই আল্লাহ কে ভালবাসা হবে বলে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এভাবেই বলেছেন .



নামাজ , রোজা, হজ , যাকাত , আমার নিজের জন্যে এই গুলো আমাকে জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ।

কিন্তূ আল্লাহকে ভালবাসতে হলে তার সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা লাগবে । একজন মানুষ কষ্টে আছে আপনি তাকিয়ে থাকবেন ! না ! আপনাকে বিস্বাস করতে হবে আল্লাহ কষ্ট পাচ্ছে তাঁকে সাহায্য করুন আপনার সাধ্য মত আল্লাহ খুশি হবেন আপনার ক্ষমতা স্বল্প হোক আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে ।



শুধু মানুষ নয় আল্লাহ সৃষ্টির সকল প্রানির সাথে অবস্থান করেন এমন কি গাছ তরূ লতা পাতাও আল্লাহের জিকিরে সদা রত আছে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই সুতরং গাছ লাগান এতে আল্লাহ খুশি হবেন এর জন্য আনেক বিনিময় আল্লাহ আপনাকে দিবে । সকল প্রাচুর্যের উৎস তো একমাত্র তিনি ভয় পাবো কেন যিনি আমাকে দয়া করে এই সৃষ্টি করেছেন এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এতো আয়োজন করেছেন আমাদের জন্য ..।



যে সকল ব্যক্তি বলে আল্লাহ এক ভয়ংকর স্বত্তা !! আল্লাহ কে ভয় করো ! তিনি একটা বেত নিয়ে দাড়িয়ে আছেন আমাদের মৃত্যু হলে তিনি আমাদের কে শুধু মারবেন . আসলে এটা একটা সম্পুর্ন ভুল কৌশল । আল্লাহকে কে ভয় পাবে সে , যে তার বিরুদ্ধে অবস্থান করবে ! তার তো ভয় পাওয়াই উচিত ! ভয়ে তার মরে যাওয়া উচিত । আমি কেন ভয় পাব ? আমি কি চুরি করেছি ?



পান্জাবি পায়জামা দাড়ি টুপি পরে কিছু মানুষ মসজিদে মাদ্রাসায় অবস্থান করবে এরাই মুসলমান আমি বিশ্বাস করি না . তারা মুসলমান ইসলামিক কিছু বিষয় নিয়ে পড়া শুনার চেষ্টা করছে এটা ঠিক আচ্ছে ।



আমি টুপি দাড়ির বিপরিতে লিখছি না (আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দেশি বিদেশি টুপি আমি সংগ্রহ করে থাকি )



ইসলাম কে কঠিন থেকে কঠিনতম করে ভয়ংকর করে উপস্থাপনের ফলে মানুষের হৃদয় থেকে ইসলাম কে দুরে কোথাও নির্বাশনে পাঠানোর জোর চেষ্টা হচ্ছে এটা বুঝতে হবে ... কেন হচ্ছে জানি না তবে কিছু অসাধু ব্যাক্তি গন তাদের প্রয়োজনেই ইহা করেছেন এইটা সত্য ।



আল্লাহ তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে আমাদের প্রতি যাহা আদেশ করেছেন বা যা আমাদের জন্যে ফরজ করেছেন তা আমরা অবস্য আবস্য করবো আর যা নিষেধ করেছেন বা হারাম করেছেন তা অবস্য অবস্য বর্জন করবো ।



কিন্তূ যা নিষেধ করেন নাই তা কেন করবো না ? কোরআনুল কারিমের অবতির্নের সময় শেষ হয়েছে ১৪০০ বছর আগে , ১৪০০ বছর আগেই ইহা কে পরিপুর্ন সম্পুর্ন করেছেন আমাদের প্রভু । আজ আমরা কম্পিউটারে লেখা লিখি করি তা তো তখন নিষেধ করেন নাই সুতরং এটা কেন করবো না ! হাঁ যদি " লা ইলাহা ইলাল লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" বা আমাদের মুল বিষয়ের সাথে সাংগ্রর্ষিক হয় তবে কথা ঠিক আছে । যেমন মেয়েদের জন্য সর্ট স্কার্ট পড়া এটা ইসলামের রিতিনীতির বিপরিতে তাই ইহা বর্জনীয় ।



ইসলাম কে যদি ১৪০০ বছর পুরানো মনে করা হয় তবে নিজ নিজ সংকৃর্নতা মাত্র ইহা কখন ইসলাম নয় । ইসলাম কিয়ামতে দিন পর্যন্ত আল্লাহ প্রসারিত করবেন ইনশাআল্লাহ ।



মানুষের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক বা সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার সম্পর্ক অত্যান্ত ণিবির . সকল ঘনিষ্টতা ছাড়িয়ে যার অবস্থান । প্রতিটি মানুষ তার প্রভুকে অনুভব করতে চাইলে খুব সহজেই সে তা অনুভব করতে পারবে । এজন্য কোন ইউনিভার্সিটি বা মাদ্রাসায় তাকে যাইতে লাগবে না । এই জন্য যা লাগবে ...ভালবাসা নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টির জন্য দ্বারাতে হবে প্রতিটি প্রানির পক্ষে ভালবাসতে হবে তাদের কাজে আসতে হবে । তখন এই কাজগুলো করতে করতে একদিন দেখবেন যিনি সত্য সে মহান মহিয়ান আপনাকে দয়া করেছেন কারন তিনি অতি দয়ালু আনেক আনেক মেহেরবান তার প্রিয় বান্দাদের প্রতি ।

সুন্দর সব সময় সুন্দর আর ইসলাম সকল সুন্দরের চেয়ে সুন্দর ।

গাল ভড়া বিস্রী দাড়ি পান খেয়ে লাল টক টক জিব হাতে একটা দাত খোচানি নোংড়া সৌদি জুব্বা পড়ে গায়ে ভট্কা ঘন্ধ যেন বাংলাদেশে দক্ষিন সুদানের কোন কসাই চলে আসছে আমাদের ইসলাম শিক্ষা দিতে ! আশ্চর্য্য ! দাড়ি সুন্দর করে রাখা সুন্নত , সুন্দর করে পোসাক পড়া সুন্নত গায়ে সুগন্ধি ব্যাভার করা সুন্নত , সুন্দর করে কথা বলা সুন্নত। আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের সৃষ্টিকর্তা সুন্দর , আমাদের নবী মুহাম্মদ (স.) সুন্দর , আমাদের ধর্ম ইসলাম সুন্দর ।

ইসলামী শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি তাই বলে আপনি বলবেন আপনি ইসলাম শিখছেন অথচ আপনার আচরন আপনার পোসাক আপনার আদব দেখে মনে হবে না ! তা তো চলবে না ! সত্য ইসলামে অবস্থান করে যে সকল মুসলমান তারা সকলেই সু্ন্দর । কেউ যদি বর্নে কালো হলেও ইসলাম গ্রহন তার হৃদয় থেকে হওয়ার কারনে সেও সুন্দর যেমন হযরত বেলাল হাবসী (রা.) ।



একবার চিন্তা করুন এই সকল "কাঠ মুল্লাদের "কারনে সমাজের ইসলাম কোথায় গিয়ে ঠকেছে ? নাটক ছবিতে তাদের চরিত্র দেখলে তাদের ইমেজ কিছুটা বুজে আসবে , দেখবেন সমাজের বদ কুপ্রকৃতি সম্পুর্ন ঘটক রাজাকার অথবা যার তিন চার টা বউ আছে এমন বদ মাত্ববর রা এ সকল চরিত্রই কেবল ইসলাম পালন করে ( লা হাওলা ..) আসলে এখনে আনেকের ব্যাপারে অভিযোগ করা যায় যেমন গল্প যারা লিখেছেন তারা কি ইসলামের বিপক্ষে ছিলেন ? আসলে কি বাংলাদেশে মুসলমান রা কি শুধু রাজাকারই ছিল ? আর সকলে কি তাইলে হিন্দু ! গালা গালি করতে ইচ্ছা করে উচিত হবে যারা সমাজে ইসলাম কে নোংরা করেছেন যারা নোংড়া ভাবে উপস্থাপন করেছেন সবাইকে এর জন্য জবাব দিতে হবে । সালা মুসলমান হইয়া হিন্দুয়ানা !! জায়গা পাওনা । আবার এদেশে কিছু পন্ডিত আছে যারা মনে করে আমরা মুসলমান এর চেয়ে বেশি জরুরি আমরা বাংগালী !! কি আস্চর্য্য বলেন তো !!



কোই বাংলা কোই মুসলমান ?



এখানে বুঝবার আছে দাদা ! বাংলা মানে বাংলা ভাষা নয় বাংলা মানে বাংগালী হিন্দুয়ানা রিতি নিতি । আমরা হিন্দু তো হতে পারি নাই কিন্তূ সমাজ পতিদের কারনে আমরা হিন্দুত্ব বরন করেছি ।



আবার "কাঠ মুলভিতে" ফিরে আসি



যাকাত ফেতরা বেশি পাওয়া যায় সে ওয়াজ করবেন আর আল্লাহ কে ভয় করতে বলবেন ! এটা কোন ইসলাম ! তাসলিমা নাসরিন এই তাহুত মুলভি দের কারনে জন্ম নিয়েছে !!

আমি মনে করি ইসলাম হচ্ছে সুন্দর্যের আধার, যাহা নোংরা বা সুন্দর নয় উহা কখনই ইসলাম নয় এ স্বাধারন সত্যটা বুঝরার জন্য সৌদি আরব যেতে হবে না , কোন মাওলানা কাছে জানতে হবে না আমার , যে লোক টা দেখতে নোংড়া গায়ে ঘন্ধ ষে যদি মুফতি হোক আর মাওলানা ! আমার বুঝতে হবে যে সে আসলে ইসলাম খুজে পায় নাই অথবা ইসলাম তাকে পছন্দ করে নাই ।



বাগদাদের একজন ওলির কথা শুনেছি তিনি প্রথম জিবনে বাগদাদের সরাব খানা গুলোতেই সরাবের নেশায় চউর থাকতেন যে কোন কারনেই একদিন তিনি মাতাল অবস্থায় মাটিতে পড়া একটি আরবি লেখা দেখে খুব বিচলিত হয়ে যান তিনি হাতে তুলে নিয়ে দেখেন সেখানে বিসমোল্লাহির রাহমানুর রাহিম লেখে আছে তিনি অত্যান্ত আদবের সাথে সেই কাগজের টুকরা টিকে একটি উচু স্থানে রাখলেন এবং কিছু আতর ও সুগ্বন্ধি ছরিয়ে ছিটিয়ে দিলেন । এই কারনেই পরম দয়ালু আল্লাহ তাকে একদিন তার প্রিয় বান্দা রুপে গ্রহন করলেন ।

আধ্যাত্তিকতা হচ্ছে ইসলাম । অন্তরে বাহিরে . অন্তর থেকে অন্তরে গভির থেকে গভিরে এর বিচরন ....।



নামাজের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার প্রিয়তম আল্লাহর সাথে কথোপকথোন করেন । যে খাঁটি

সে তো এই কাজ করার জন্য সব সময় ব্যাস্ত ই থাকবেন এটাই তো স্বাভাবিক ! ভালোবাসা সবার আগে তার পর সব কিছু ভালবাসা আপনার ইবাদতের মুল জায়গায় নিয় যাবে তারপর প্রমাস্পদের সামনে ভালোবাসা জাহিরের সুযোগ পাবেন তখন আপনি কেমন প্রেমিক জানা জাবে এই তো ।

আরো একটি জটিল সমস্যা হচ্ছে

আজ ইসলামের কথা যারাই বলে থাকেন দেখা যায় তারা কোন না কোন ফিরকাহে আক্রান্ত বা দল বাজি , যে কারনে সে সকল প্রচারনা গুলোয় আছর থাকে না নিঃস্ফল। মানুষ ও গ্রহন বা হৃদয়ে ধারন সম্ভব হয় না ।



এই সমস্যা গুলো আপনাদের কাছে পৌছে দিতে সততার সাথে চেষ্টা করছি মাত্র , কারন সমস্যা টা আমার আপনার সকলের, বিষয় গুলোর জটিল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন এই জন্য আমি আধুনিক সুন্দর হৃদয়ের মুসলমান দের হৃদয় থেকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করবো ।



কোন দল তো ইসলাম না ? ইসলাম আমাদের ধর্ম । দলবাজি থেকে সম্পুর্ন মুক্ত করনে এবং বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে এমন সকল কিছু হইতে মুক্ত সকল মুসলমানের জন্য ইসলাম এক ও অভিন্ন্য . খুব ছোট করে না দেখে সম্পুর্ন ইসলামকে মনে প্রানে ধারন করা খুব প্রয়োজন .



উচুমানের ব্যাক্তিত্ব সম্পুর্ন আলোকিত মুসলমানরাই কেবল পারে ইসলামের হারিয়ে যাওয়া ঐতিয্য ফিরিয়ে দিতে ।ইসলাম কে উপস্থাপন করতে হবে সমাজে সর্ব শ্রেষ্ট মানুষ দ্বারা এটা জরুরি । নয় যে তাকে দাড়ি রাখতেই হবে বরং এখন সেভ করা আধুনিক সুন্দর ব্যক্তিত্য সম্পুর্ন আদর্শ মুসলমানকে এই দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে ।



যখনই কোথাও ইসলামিক ওয়াজ নসিহত বা মাহফিল গুলো শুনে থাকি এখনো ( বিশেষ কিছু ব্যাতিত ) আমার কাছে খুব পরো বিষয়টাই বুঝে আসে না . আমাদের সময়উপযুক্ত সঠিক কৌশলে ইসলাম কে উপস্থাপন করতে হবে । ভুলে যাওয়া চলবে না ইহা ২০১১ আমার ৭ বছরের মেয়ে এখন কম্পিউটারে বসে কাজ করতে পারে । এই প্রজন্মকে ইসলামের গভিরতা উপল্বধি করা গেলে যা প্রয়োজন পরবে তা হচ্ছে আমদের নিজ হৃদয়ে ইসলামকে ধারন করে সময় উপযুক্ত কৌশলে ভালোবেসে ইসলামের আলো ও সুগন্ধোকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে ইনশা আল্লাহ আমরা অনেক দুর এগোতে পারবো । আল্লাহ সকল কিছুর উপরে সম্পুর্ন ক্ষমতাবান ।



আপনার জন্য আমার শুভ কামনা তেমনি আপনার কামনাও আমার জন্য শুভ হবে এই প্রত্যাশায়...........ভাল থাকবেন.





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.